স্থিতিশীল
দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম প্রয়োজন: জ্বালানি উপদেষ্টা
জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, কয়েক বছর ধরে বিদ্যুতের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন হওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) 'দ্য রোল অব স্মার্ট গ্রিড ইন দ্য ফিউচার পাওয়ার সিস্টেম' শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল বলেন, 'চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের একটি স্মার্ট গ্রিড সিস্টেমের দিকে যেতে হবে, যা বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।’
ইউআইইউ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশে ইএসএস সুবিধাসহ প্রথম সোলার এনার্জি ল্যাব উদ্বোধন উপলক্ষে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে এবং ইউআইইউর সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এই অগ্রণী সোলার ল্যাবটি নবায়নযোগ্য এবং টেকসই শক্তি খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার সুযোগ দেবে।
ফাওজুল কবির বলেন, সরকার সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য উৎস চালু করছে। ‘এখন আমাদের স্মার্ট গ্রিডের দিকে যেতে হবে, যা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেমকেও প্রাধান্য দিচ্ছি।’
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম রেজওয়ান খান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
হুয়াওয়ে-সিইআর, ইউআইইউ সোলার ল্যাবটি হুয়াওয়ের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম লক্ষ্য হলো সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
হুয়াওয়ে এবং সিইআর, ইউআইইউ যৌথভাবে বাংলাদেশের বাজারের উদ্দেশ্য পূরণকারী প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য বিভিন্ন কোর্স কনটেন্ট তৈরি করবে।
কোর্সের বিষয়বস্তুতে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি, ডিজিটাল শক্তি এবং স্মার্ট শক্তি সমাধানের ক্ষেত্রে সর্বশেষ গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত বিকাশও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইএসএস সিস্টেম সহ প্রথম সোলার ল্যাব উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা নবায়ণযোগ্য জ্বালানি খাতে আমাদের তরুণদের সম্পৃক্ততার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইএসএস সিস্টেমসহ প্রথম সোলার ল্যাব উদ্বোধনকালে চীন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
ইয়াও ওয়েন উল্লেখ করেন, এই সহযোগিতা কেবল চীনা বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিভা বিকাশের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে না বরং সৌর শক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে ইউআইইউর শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে দীর্ঘকালীন অবদানকেও তুলে ধরে।
প্যান জুনফেং বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উত্তরণের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।’
তিনি আরও বলেন, সেই আলোকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হুয়াওয়ে ডিজিটাল পাওয়ার বাংলাদেশের গ্রাহকদের ৬০০ মেগাওয়াট+ ডিজিটাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণে সহায়তা করেছে। যা ৪৩৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এতে কার্বন নিঃসরণ ২ লাখ ৭ হাজার ৮৬৭ টন কমেছে, যা ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫০টি গাছ লাগানোর সমতুল্য।
তিনি বলেন, আইসিটি ও ডিজিটাল পাওয়ারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে এবং দেশের স্বনামধন্য জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্র ইউআইইউ'র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ যৌথভাবে এই সোলার ল্যাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে জানার, বেড়ে উঠতে ও অবদান রাখতে পেশাদারদের ব্যাপক সুযোগ করে দিতে পারে।
ইউআইইউ সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের (সিইআর) পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। সৌর বিদ্যুৎ ক্রমবর্ধমান ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছরগুলোতে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার নতুন সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখেছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই নতুন ছাদে রেকর্ড ৪২ মেগাওয়াট (মেগাওয়াট) সৌর ক্ষমতা যুক্ত করেছে।
শাহরিয়ার আলম অবশ্য বলেন, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সজ্জিত করতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রয়োজন। এই খাতে আমাদের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের বাস্তব জ্ঞানার্জনে এই ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানির ক্ষেত্রে গবেষণা বৃদ্ধি, এর ব্যবহার ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর) প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য প্রায় সব সোলার ডিজেল হাইব্রিড মিনি-গ্রিড ডিজাইন করেছে সিইআর, ইউআইইউ।
সিইআর ইডকল মানদন্ড অনুযায়ী সোলার পিভি সরঞ্জামের সার্টিফিকেশনের জন্য বাংলাদেশে সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) সরঞ্জামের অন্যতম পরীক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ শতাংশ: সালেহউদ্দিন
দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসীকে আরও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যস্ফীতি এক শতাংশ কমেছে এবং সরকার বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সক্ষম হয়েছে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সম্পর্কিত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির (এসিসিজিবি) বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দয়া করে অধৈর্য হবেন না... সরকার এটা নিয়ে কাজ করছে এবং আরও কিছুটা সময় লাগবে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ, আলু ও চিনির আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। সুতরাং, আপনারা শিগগিরই ফলাফল দেখতে পাবেন।’
আরও পড়ুন: আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে ১.১৭ শতাংশ: বিবিএস
তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মসুর ডাল, এলএনজি ও সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ চিনির আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। তাই কৃষিপণ্যের মজুদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে অনেক কারণ রয়েছে এবং এটি একদিনে ঘটেনি।
তিনি বলেন, ‘মার্কেট ফ্যাক্টর, প্রোডাকশন ফ্যাক্টর, ডিস্ট্রিবিউশন ফ্যাক্টর–এরকম অনেক ফ্যাক্টর আছে–পুরোনো মানুষ চলে গেছে এবং নতুন লোক বাজারে এসেছে। কিছু জিনিস হাত বদল হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
১ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চায় ভারত: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশটির 'অভ্যন্তরীণ বিষয়', তবে ভারত স্থিতিশীল সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো ‘একে অপরের ওপর নির্ভরশীল’।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং সেই সংঘাতে দিল্লির সম্ভাব্য শান্তি স্থাপনকারীর ভূমিকার উল্লেখি করেন তিনি। পাশাপাশি ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির মন্তব্য, গাজা যুদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে বিদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
জয়শঙ্কর বলেন, ‘কী হবে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের দিক থেকে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাই। আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো। আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। আমি সম্পর্কটা সেভাবেই রাখতে চাই।’
ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফল হিসেবে গত মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ঢাকা থেকে সামরিক বিমানে করে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা।
রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে তার লন্ডনে যাওয়ার কথা থাকলেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য সে দেশে যেতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
আপাতত শেখ হাসিনা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মাসে জয়শঙ্কর ভারতের পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার কার্যালয় 'খুব অল্প সময়ের নোটিশে' দিল্লিতে যাওয়ার অনুমতি চায়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অবসরসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে শেখ হাসিনাকে সময় দিতে প্রস্তুত ভারত সরকার।
গত সপ্তাহে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তার দেশও ভারতের সঙ্গে আগের মতো সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তবে এই সম্পর্ক হবে ‘ন্যায্যতা ও সমতা’ ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ইউনূস বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে একটি অভিনন্দন বার্তাসম্বলিত ফোন কল পেয়েছেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, 'আমরা চাই বিশ্ব বাংলাদেশকে একটি সম্মানিত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক।’
২ মাস আগে
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, ভূগাই ও কংশ নদীতে পানি কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।আরও পড়ুন: সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
৪ মাস আগে
সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও এখনো চড়া, বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দামও
রাজধানীর কাঁচাবাজারে ডিম, মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে। তবে শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতোই চড়া রয়েছে।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ ও হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিম, মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে।
তীব্র তাপপ্রবাহের সময় সারাদেশে ডিম ও মুরগির দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: সবজির মূল্য স্থিতিশীল হলেও সব ধরনের মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী
প্রতি ডজন (১২ পিস) ফার্ম ডিমের দাম ২০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩৫ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে এবং আকার ও মান ভেদে কেজিপ্রতি ৩৪৫ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৭০ থেকে ৭৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছে।
মান ভেদে শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।
আর মান ভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১৮০ টাকায়, যা বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা।
শুক্রবার কারওয়ান বাজার মাছের বাজারে ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়।
অন্যান্য মাছের মধ্যে পুঁটি ও ছোট মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ৩০০ টাকা, ফলি চান্দা (রূঁপচাদা) ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নদীর পাঙ্গাস ৭০০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের কার্প (কাতল) ২৫০-৩০০ টাকা কেজি, বড় সাইজের কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, মাগুর মাছ (শিং) ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে চাষ করা হয়েছে। শিং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার সবজির দাম চড়া কিন্তু স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে দাম বাড়ার জন্য মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন, ঢেঁড়স, সজনে, বরবটি, করলাসহ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজের এই মৌসুমে ফলটির দাম কিছুটা বেড়েছে। আকারভেদে এ ফল ১২০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং আনারস ৩০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেয়ারা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে (পাকা) ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীতে আপেল, মাল্টা, কমলা ও নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩৪০ টাকায়।
এছাড়া চাল, গম, আটা, দুধ, সয়াবিন, সুগন্ধি চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
সবজি-ফলের দাম কমলেও বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম
৬ মাস আগে
অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সরবারহ ব্যবস্থা শক্তিশালী রাখা ও বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখা সরকারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার ঢাকায় ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম আয়োজিত ইআরএফ সম্মেলন কক্ষে ম্যাক্রো ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি অ্যান্ড নেক্সট বাজেট শীর্ষক প্রাক বাজেট সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ, নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা, ফাস্ট ট্রাক অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সম্পদের যোগান দেওয়ার জন্য সরকার সচেষ্ট।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেটে সরকারের মৌলিক নীতি নির্ধারণী দলিলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দারিদ্র্য নিরসন, নারী ও শিশুর উন্নয়ন, জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সেবার মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা থাকবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং বাজেট বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে এবং ১ জুলাই থেকে মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থা বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের সেমিনার থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবনাগুলো আগামী জাতীয় বাজেটে সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে, যা চলমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জনমুখী, শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রণয়নে সাহায্য করবে এবং সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
সেমিনারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি, মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ চেম্বারস অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট, আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ, বিজিএমইয়ের ডিরেক্টর শামস মাহমুদসহ ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতের বৃদ্ধির জন্য স্মার্ট ট্যাক্সেশন পলিসি জরুরি: প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
সম্ভাব্য আকস্মিক বন্যা-খরার জন্য হাওর ও বরেন্দ্র অঞ্চলে বড় আকারে ‘সিমুলেশন’ অপরিহার্য: প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
সবজির মূল্য স্থিতিশীল হলেও সব ধরনের মাংসের দাম ঊর্ধ্বমুখী
রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে গরু ও মুরগিসহ অন্যান্য মাংসের দাম চড়া থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম।
শুক্রবার মহাখালী, কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ ও শান্তিনগরসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় গরু ও মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনার শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী
গত শুক্রবার গরুর মাংস মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।
মানভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০৫০ থেকে ১১৫০ টাকায়, আজ তা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে এবং এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।
একইভাবে প্রতি কেজি মোরগের দাম ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাতগুলোর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির খাদ্য ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে।
প্রায় সব সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও শুক্রবার ঢেঁড়স, সজনে, লম্বা শিম ও করলার মতো নতুন সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
সজনে ছাড়া বাকি সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার মান ভেদে প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম হালিপ্রতি ৭০ টাকা এবং ঘরে পালন করা মুরগির ডিম হালিপ্রতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি
৭ মাস আগে
বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাজারে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ সহযোগিতা চান।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
বাজার স্থিতিশীল করতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে টিটু তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এদিকে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ সরকারকে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাট ও চামড়া খাতে বিনিয়োগে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
৯ মাস আগে
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতির সাক্ষাৎ, রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
আগামী অর্থবছরে ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন এবং আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিরবিচ্ছন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে: পলক
এসময় ডলার সংকটের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও সরবরাহ ব্যবস্থায় (সাপ্লাই চেইন) যাতে কোনো বিঘ্নের সৃষ্টি না হয় সেজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি এলসি খোলার ক্ষেত্রে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও যাতে এলসি খুলতে পারে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত রেটে ডলার কিনতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বেসরকারি খাতের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় এফবিসিসিআই। কর ব্যবস্থাপনার সহজিকরণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা এবং অটোমেশনের মাধ্যমে দেশে ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প সম্প্রসারণের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আহরণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এসময় গুরুত্ব সহকারে এফবিসিসিআই সভাপতির কথা শুনেন। এ সময় জাতীয় বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সব উদ্যোগে বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আসন্ন জাতীয় বাজেটে এফবিসিসিআই’র প্রস্তাবনা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা ও নীতি সহায়তায় দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
এসময় এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে-বিদেশে গুজব ছড়িয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত: কাদের
প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত: প্রণয় ভার্মা
ভারতের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ততার বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদে দুই দেশ তাদের অংশীদারিত্বে "অধিক গতিশীলতার" দিকে নজর রাখছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, 'আমরা কানেক্টিভিটি ইস্যুগুলো নিয়ে অনেক গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত প্রণয় ভার্মার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে চালু হওয়া মার্কিন ডলারকে উপেক্ষা করে রুপি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ঐতিহাসিক আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কীভাবে এর সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করা যায় এবং সবার কাছে পৌঁছানো যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি তা করা যায়, তাহলে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার ওপর দুই দেশের নির্ভরতা কমে আসবে।’
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। উভয় পক্ষ সীমান্ত হাট নিয়েও আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে: প্রণয় ভার্মা
ড. হাছান মাহমুদ গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের কাজ শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে।
তিনি ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধানের উপরও জোর দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন এবং এর কার্যকর সম্প্রসারণের জন্য আরও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন মূল্যবোধের সর্বজনীনতা পুনর্ব্যক্ত করে: প্রণয় ভার্মা
কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা এ নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেননি, বরং বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ নিয়ে কথা বলেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা জানান। তবে সফরের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলেন জানান। পরিকল্পিত সফরের লক্ষ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। এছাড়া আগামী ১৭ জানুয়ারি উগান্ডায় বহুপাক্ষিক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মাহমুদের।
তিনি উগান্ডার কাম্পালায় ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কাছে যোগ হলো ভারতের উপহার: প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের নতুন মেয়াদে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বে আরও গতি অর্জন করবে এবং জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালো অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, 'সামগ্রিকভাবে আমি মনে করি, আমরা খুবই আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী, এই সরকারের নতুন মেয়াদে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও বেশি গতিশীল হবে। উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালোভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, তারা সবসময় বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত অভিন্ন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পরিচালিত একটি 'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' সমাজের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা করতে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে ভারত সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন অংশীদারিত্বে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে ঢাকা ও দিল্লির সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা: প্রণয় ভার্মা
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক 'খুবই ভালো' হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রণয় ভার্মা। কূটনীতিক বলেন, দুই দেশের জন্য 'অত্যন্ত ইতিবাচক এজেন্ডা' এগিয়ে নিতে তিনি আগামী দিনগুলোতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রত্যাশায় রয়েছেন তিনি।
যদিও এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল, হাইকমিশনার বলেছিলেন যে তারা সম্পর্কের বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে এবং আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।’
তিনি বলেন, গত এক দশকে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সম্পর্ক কীভাবে 'অভূতপূর্ব গতি ও প্রবৃদ্ধি' অর্জন করেছে এবং কীভাবে এটি জনকেন্দ্রিক সম্পর্কে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
উভয় পক্ষ সম্পর্কের সাম্প্রতিক কিছু অগ্রগতি ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব কীভাবে দুই দেশের জনগণকে উপকৃত করছে এবং কীভাবে এই সহযোগিতা উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা নিয়েও আলোচনা করেছে।
হাইকমিশনার ২০২৩ সালে অনেক ইতিবাচক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। সে সময় দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি পাইপলাইন, দুটি রেলপ্রকল্প, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমসহ বড় বড় প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে আগাম পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
এক্স (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা একটি বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও গভীর করার জন্য কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।
১০ মাস আগে