জয়শঙ্কর
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চায় ভারত: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশটির 'অভ্যন্তরীণ বিষয়', তবে ভারত স্থিতিশীল সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো ‘একে অপরের ওপর নির্ভরশীল’।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং সেই সংঘাতে দিল্লির সম্ভাব্য শান্তি স্থাপনকারীর ভূমিকার উল্লেখি করেন তিনি। পাশাপাশি ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির মন্তব্য, গাজা যুদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে বিদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
জয়শঙ্কর বলেন, ‘কী হবে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের দিক থেকে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখতে চাই। আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো। আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। আমি সম্পর্কটা সেভাবেই রাখতে চাই।’
ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফল হিসেবে গত মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ঢাকা থেকে সামরিক বিমানে করে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা।
রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে তার লন্ডনে যাওয়ার কথা থাকলেও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, তাদের নিয়ম অনুযায়ী আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য সে দেশে যেতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
আপাতত শেখ হাসিনা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মাসে জয়শঙ্কর ভারতের পার্লামেন্টে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনার কার্যালয় 'খুব অল্প সময়ের নোটিশে' দিল্লিতে যাওয়ার অনুমতি চায়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অবসরসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে শেখ হাসিনাকে সময় দিতে প্রস্তুত ভারত সরকার।
গত সপ্তাহে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তার দেশও ভারতের সঙ্গে আগের মতো সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। তবে এই সম্পর্ক হবে ‘ন্যায্যতা ও সমতা’ ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ইউনূস বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে একটি অভিনন্দন বার্তাসম্বলিত ফোন কল পেয়েছেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, 'আমরা চাই বিশ্ব বাংলাদেশকে একটি সম্মানিত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক।’
২ মাস আগে
শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব কতটা গভীর, তার উদাহরণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের নতুন মেয়াদে প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে শেখ হাসিনার সফর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে তারা কতটা গুরুত্ব দেন তা প্রমাণ করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশ তাদের 'প্রতিবেশী প্রথম', 'অ্যাক্ট ইস্ট', সাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির সংযোগস্থলে রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করা এক বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, 'সত্যিকারের ভালো প্রতিবেশী হওয়ায় আমাদের সম্পর্ক ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রগুলোকে সুসংহত করছে এবং নতুন ভিত্তি তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, আজ যেসব সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা স্পষ্ট হয়।
জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘সমুদ্র থেকে মহাকাশ, ডিজিটাল, সবুজ ও স্বাস্থ্য, সামরিক, রেল ও দুর্যোগ- মানবীয় উদ্যোগের সব ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় থেকে শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
এক নজরে ফলাফল
১. ভারত-বাংলাদেশ ডিজিটাল অংশীদারিত্বের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
২. ভারত-বাংলাদেশ সবুজ অংশীদারিত্বের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
৩. সামুদ্রিক সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই।
৪. ইন-স্পেস এবং বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিকম মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।
৫. রেল যোগাযোগের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের উভয় সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।
৬. বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) এবং ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের (এনআইও) মধ্যে সিএসআইআর’র আওতায় সমুদ্রবিজ্ঞান ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক সই।
৭. কৌশলগত ও অপারেশনাল স্টাডিজের ক্ষেত্রে সামরিক শিক্ষা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ (ডিএসএসসি) এবং মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।
৮. স্বাস্থ্য ও ওষুধের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতাপত্রের নবায়ন।
৯. দুর্যোগ মোকাবিলা, সহনশীলতা এবং প্রশমনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য এনডিএমএ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতাপত্রের নবায়ন।
১০. মৎস্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক নবায়ন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
ঘোষণা:
১. বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের জন্য ই-ভিসা চালু।
২. বাংলাদেশের রংপুরে ভারতের নতুন সহকারী হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করা।
৩. রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু।
৪. চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস পরিষেবা চালু।
৫. গেদে-দর্শনা এবং হলদিবাড়ি-চিলাহাটির মধ্যে দলগাঁও পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবার চালু।
৬. অনুদান সহায়তার আওতায় সিরাজগঞ্জে ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) নির্মাণ।
৭. ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু।
৮. গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন সম্পর্কিত আলোচনার জন্য যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন।
৯. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তা নদী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রকল্পের জন্য কারিগরি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর।
১০. বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য ৩৫০টি প্রশিক্ষণ পর্ব চালু।
১১. মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা প্রত্যাশী রোগীদের জন্য খরচ সর্বোচ্চ সীমা ৮ লাখ টাকা করা।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
৪ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
শুক্রবার ভারতের রাজধানী দিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ও বিশ্বস্ত প্রতিবেশী। এই সফর দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ ও ২২ জুন ভারত সফর করছেন।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর ভারতে সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু ও উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
গত ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের মধ্যে আজ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর প্রথম ৩ দিনের সরকারি সফরে রাত ১টার কিছু আগে নয়া দিল্লি পৌঁছান হাসান মাহমুদ।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত স্মিতা পন্থ বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
ভারত বলেছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের নয়া দিল্লিতে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর উভয় দেশের সম্পর্ককে উচ্চ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয় প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিকে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বৈঠক করবেন। যেখানে উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তৃত ক্ষেত্রের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং ভবিষ্যতের সম্পৃক্ততার এজেন্ডা নির্ধারণ করবেন।
তারা অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ইস্যু নিয়েও মতবিনিময় করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটিই হাসানের প্রথম বিদেশ সফর।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নয়া দিল্লিতে অবস্থানকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করবেন, তাই আঞ্চলিক ইস্যুর প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তার একটি সেমিনারে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজায়নে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৯ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির প্রশংসা জয়শঙ্করের
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটি এবং দুই দেশের জন্য বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে এর ব্যাপক প্রভাবের প্রশংসা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এর ব্যাপক প্রভাবের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয়দের বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে যেতে এবং বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।’
জয়শঙ্কর বলেন, আসল কথা হলো তারা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি সেখানে চলাচলকারী বাস ও ট্রেনের মাধ্যমে যোগাযোগের কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ
নেপাল প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানি হিমালয়ের দেশটির জন্য একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ লেনদেন।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন যে প্রতিযোগিতা আছে। আমি আজ বলব- আমাদের প্রতিযোগিতায় ভয় পাওয়া উচিৎ নয়। আমাদের প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানানো উচিৎ এবং বলা উচিৎ যে আমাদের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রয়েছে।’
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট মুম্বাই ড. বিজয় চৌথাইওয়ালে’র সঞ্চালনায় একটি জ্ঞানগর্ভ কথোপকথনে ড. জয়শঙ্করকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
৯ মাস আগে
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
১৯তম ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, 'শিগগিরই দিল্লিতে আপনাকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি।’
জয়শঙ্কর বলেন, উগান্ডার কাম্পালায় বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার সাফল্য কামনা করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উভয় দেশের মন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
তারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন নয়াদিল্লি সফর নিয়েও আলোচনা করেন।
১৯-২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন হাছান মাহমুদ।
আগামী ২১-২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জি-৭৭’র দক্ষিণ সম্মেলনে (সাউথ সামিট) বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বও দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত এবং কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ তারেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সফরের আলোচ্যসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি উল্লেখ করে ১৮ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ড. মাহমুদ বলেন, 'এটি তিন দিনের সফর হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে তিনি এ সফর করবেন।
সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনই এ বিষয়ে যাবে না।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের আগ্রহ ডাচ এনজিওগুলোর
জয়শঙ্কর এর আগে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এ আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে তাকে বলেন, তিনি শিগগিরই দিল্লি সফর করবেন।
১০ মাস আগে
হাছান মাহমুদকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানালেন জয়শঙ্কর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে সুবিধাজনক সময়ে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে এ আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমন্ত্রণ গ্রহণ করে শিগগিরই দিল্লি সফর করবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি জানান, ভারতেই তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরের পরিকল্পনা করছেন। তবে সফরের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এই সফরের লক্ষ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা।
এছাড়াও, মাহমুদ এই সপ্তাহে উগান্ডায় একটি বহুপাক্ষিক সফর শুরু করতে চলেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর হাছান মাহমুদের প্রথম কূটনৈতিক বৈঠক ছিল ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে ।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
তিনি উল্লেখ করেন, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যম যারা নির্বাচন কাভার করতে ঢাকা সফর করেছেন তারা নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি আন্দোলন ও প্রতিবাদের নামে অগ্নিসংযোগ করছে এবং যারা এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে ইন্ধন দেয় তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা যাবে না।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিনন্দন বার্তার জন্য ভারত সরকার এবং ড. জয়শঙ্করকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
টুইটারে শেয়ার করা এক বার্তায় তিনি বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও গভীর করতে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছে মোমেন
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে তারা দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকে মিলিত হন।
এসময় তারা কুশল বিনিময় করেন এবং দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মোমেনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সোমবার
জি-২০এফএমএম এবং রাইসিনা ডায়ালগ ২০২৩ এর সাইডলাইনে মোমেনের সঙ্গে তার সাক্ষাতের পরে জয়শঙ্কর এক টুইটে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে খুব ভালো লাগছে, প্রতিবেশী সর্বদা সবার আগে।’
মোমেন তার ব্রাজিলিয়ান এবং সুইডিশ সমকক্ষদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেছেন এবং সহযোগিতা জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
নয়া দিল্লিতে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) কাউন্সিলের বর্তমান সভাপতি।
তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় এবং সহযোগিতার নতুন খাত নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেন মোমেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হতে পারে ভারত: ভারতীয় গণমাধ্যমকে মোমেন
দিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: পার্শ্ব বৈঠক করবেন মোমেন
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোমবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও জয়শঙ্করের মধ্যে (আইটিসি মৌর্যে) বৈঠক চলছে।
আরও পড়ুন: গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে পৌঁছানোর পরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১০ মিনিট) দেশটির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিমানবন্দরে একটি সাংস্কৃতিক দল স্বাগত নাচ এবং বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবেশন করে।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনা একটি আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রায় আইটিসি মৌর্যের উদ্দেশে যাত্রা করেন, যেখানে তিনি সফরকালে অবস্থান করবেন। রাস্তাগুলোর দুই পাশ বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে। পথে বসানো হয়েছে শেখ হাসিনা ও মোদির প্রতিকৃতিও।
ইউক্রেন সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও চলমান কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ দুই দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশি এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
গুয়াহাটিতে শনিবার নদী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোমেন ও জয়শঙ্কর
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শনিবার গুয়াহাটিতে এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স রিভার কনক্লেভ ২০২২ (নদী সম্মেলন)-এর উদ্বোধন করবেন।
সরকার, কূটনৈতিক সম্প্রদায়, বিজ্ঞানী, কর্পোরেট, সুশীল সমাজ এবং নদীতে বসবাসকারী বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় সম্প্রদায়ের মতো নানা পর্যায়ের সুবিধাভোগীরা এতে উপস্থিত থাকবেন। তারা এসময় সকলে মিলে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে (ভারত-বাংলাদেশের) যৌথ নদী সম্পদের সুরক্ষা ও যৌথ নদীসমূহের পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি আঞ্চলিক সমাধান করার জন্য সুনির্দিষ্ট বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করবেন।
নদী সম্মেলনে-যোগাযোগ, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, সংরক্ষণ এবং গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় সহযোগিতার ওপর জোর দিয়ে যৌথ মতামতকে উত্সাহিত করতে যৌথ নদী এবং এসব নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে ইউএনএইচসিআরের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
এতে পূর্ববর্তী নদী সম্মেলনগুলোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রত্যয়ও পুনরায় ব্যক্ত করা হবে। এর আগের নদী সম্মেলন যথাক্রমে শিলং এবং ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এমনকি লকডাউন চলাকালীন বেশ কয়েকটি গবেষণা এবং আউটরিচ প্রকল্প এবং অনলাইন ইভেন্ট আয়োজিত হয়।
তৃতীয় নদী সম্মেলনটি গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। এ স্থানটি সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির গুরুত্বপূর্ণ মিলনস্থল হওয়া ছাড়াও এটি দক্ষিণ-পূর্বে ভারতের প্রবেশদ্বারও।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে এশিয়ান কনক্লেভের নির্বাহী পরিচালক সব্যসাচী দত্ত বলেন, এটা তাদের জন্য গর্বের বিষয় যে গুয়াহাটিতে তৃতীয় নদী সম্মেলনের এর আয়োজন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অন্যান্য অংশীদারদের সাথে নদী সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণ আহ্বান করতে সাহায্য করার জন্য প্রাথমিক পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এই আয়োজনকে সফল করার জন্য আমরা আসাম সরকার ও রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং বিদেশ মন্ত্রণালয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও বলেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্য এবং প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় একটি সুপরিকল্পিত সহযোগিতা, সমস্যাগুলোকে অনেকাংশে হ্রাস করতে পারে। এবং এই অঞ্চলটিকে যোগাযোগ ও গ্রিন ইকোনমির কেন্দ্রে পরিণত করতে পারে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চায় ঢাকা
২ বছর আগে