ভারত
‘গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করে ভারত’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তারা একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করে। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘এটিই বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।’
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, উদ্বেগ ও স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের (ভারতের) দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।’
‘ভারত জোর দিয়ে বলছে যে, বাংলাদেশের জনগণই দুই দেশের সম্পর্কের প্রধান অংশীদার। বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা, যোগাযোগ, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত ভারত। বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্যই এসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
আরও পড়ুন: সম্পর্কোন্নয়নে একাত্তরের সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের ধারাবাহিকতায় যে বাংলাদেশ হয়েছে, সেই ভূখণ্ডকে ‘খণ্ডিত’ আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘নতুন ভূখণ্ড ও বন্দোবস্ত লাগবে।’ অবশ্য পরে পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে এক সাংবাদিক ভারতের অবস্থান জানতে চাইলে মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি। এই ইস্যুতে আমাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। পোস্ট সরিয়ে ফেলার বিষয়ে জেনেছি। জনসম্মুখে মন্তব্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আমরা সতর্ক থাকার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ভারত যখন বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বারবার আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছে, তখন জনসম্মুখে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা দেখানো দরকার।’
জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের ওপর প্রভাব ফেলে এমন সব ঘটনা ভারত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের বিষয়গুলো আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে নেই এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসকে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
১২ ঘণ্টা আগে
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে আরও ১৯০০ টন আলু আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মালবাহী ট্রেনে আরও এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
বেনাপোলের রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মালবাহী ট্রেনে ৪২টি ওয়াগানে ভারতের পাঞ্জাব থেকে বেনাপোল রেলস্টেশনে এই আলুর চালানটি পৌঁছায়।’
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আলু আমদানি করা ছাড়া উপায় ছিল না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বেনাপোলের রেলস্টেশন মাস্টার জানান, মঙ্গলবার রাতে পণ্য চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করেন বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট বাংলাদেশ লজিষ্টিক সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মালদার ডিলাক্স ইন্টারন্যাশনাল।
বাংলাদেশ লজিস্টিক সার্ভিসের প্রতিনিধি ফারুক ইকবাল ডাবলু বলেন, ‘ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কাস্টমস ও রেলস্টেশনের কার্যক্রম শেষ করে বুধবার সকালে আলুবাহী ট্রেন নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। সেখানে আনলোডের পর আলুগুলো ঢাকা এবং চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে ৩৮ হাজার ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ১৯ লাখ কেজি। পণ্য চালানটির আমদানি মূল্য ৪ লাখ ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিকেজি আলুর মূল্য দেখানো হয়েছে সাড়ে ২৮ টাকা। পণ্যের চালানটি দ্রুত ছাড়করণের জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে ফের পেঁয়াজ ও আলু আমদানি শুরু
৩ দিন আগে
ভারতের উচিৎ নিজেদের সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা করা: সমন্বয়ক নুসরাত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো নয়, বরং প্রতিবেশীসুলভ। তাই তাদের আচরণ সেইভাবে হওয়া উচিত। এই বিষয়টি যদি বিজেপি সরকার বারবার এড়িয়ে যায় তাহলে বলতে হয়, ভারতেরও সময় এসেছে নতুন করে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার। এখন তাদের নিজেদের সংস্কারের চিন্তা-ভাবনা করা উচিৎ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গায় বিজয় মেলায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত ৭ দিনের মধ্যে: আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক
মেলার আয়োজন নিয়ে তিনি বলেন, খুব সুন্দরভাবে চুয়াডাঙ্গায় বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিজয় দিবসের আমেজ মেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। চুয়াডাঙ্গায় এসে আমার মনে হচ্ছে, নিজের বাড়িতেই আছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সমন্বয়ক ছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলার সভাপতি আসলাম অর্ক, সাধারণ সম্পাদক সাফফাতুল ইসলাম, মুখ্য সংগঠক সজিবুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।
৫ দিন আগে
ভারত থেকে আলু আমদানি করা ছাড়া উপায় ছিল না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য-উপাত্তের যে ঘাটতি ছিল, সেই ঘাটতি মোকাবিলা করতে প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে আলু আমদানি করা ছাড়া উপায় ছিল না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারের হরিণধরায় বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) পরিদর্শন শেষে ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের বাণিজ্য বিভিন্ন কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে আলুর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। বর্তমানে বাংলাদেশে পেঁয়াজ, সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমেছে, তবে চাল ও তেলের দাম বেড়েছে। শুধু দাম বাড়ছে- কথাটা সঠিক নয়, বিশ্ব বাজারেও নানা কারণে এসব পণ্যের দাম বেশি।’
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম নিম্নমুখী আরও পড়ুন: থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
তবে শুধু ভারত নয়, চীন ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শেখ বশির উদ্দীন বলেন, ‘হাজারীবাগ থেকে যখন সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়, তখন থেকে (ট্যানারি) মালিকরা অনেক সমস্যায় ভুগছিলেন। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের সুফল উদ্যোক্তরা ঠিক মত পাননি। তাই আজকে আমরা পরিদর্শন করে সমস্যা কোথায় কোথায়- জানার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে এবং আগামী কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ট্যানারির সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এ সময় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন খান, কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ নেওয়াজ, বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার অ্যান্ড ফুটওয়ার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আউয়াল নান্নু, বিটিএর সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণেই সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
৫ দিন আগে
ভারতকে ‘অসহযোগিতাকারী’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভারতকে 'অসহযোগিতাকারী' দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। সাধারণত এই তালিকাভুক্ত দেশগুলোর বিরুদ্ধে নির্বাসন বা বিতারণ প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এই তালিকায় ভারত ছাড়াও রয়েছে ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলা।
আইসিই বলেছে, এই দেশগুলো সাক্ষাৎকার পরিচালনা, সময়মতো ভ্রমণের নথি সরবরাহ করা এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন সহজতর করার মতো মূল প্রক্রিয়াগুলোতে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু বুধবার
আইসিইর মতে, যুক্তরাষ্ট্র ১৮ হাজার ভারতীয়সহ সাড়ে ১৪ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসীকে বহিষ্কারের পরিকল্পনা করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে।
যদিও অনেক ভারতীয় অভিবাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবস্থা নিয়মিত করার চেষ্টা করছেন, তবে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি অনথিভুক্ত অভিবাসীর দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে হন্ডুরাস। দেশটির ২ লাখ ৬১ হাজার জন যুক্তরাষ্ট্রে অনথিভুক্ত। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীন ৩৭ হাজার ৯০৮ জন অনথিভুক্ত অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। আর ভারত রয়েছে ১৩তম অবস্থানে।
আরও পড়ুন: নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
১ সপ্তাহ আগে
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে হাসিনার সমালোচনায় সমর্থন দিচ্ছে না ভারত: মিসরি
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনার পক্ষে অবস্থান নেয়নি ভারত। এটিকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য ছোটখাটো ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন তারা।
বুধবার কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিসরি নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ না হয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ভারতের মনোভাবের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
মিসরি বলেন, শেখ হাসিনা তার মতামত প্রকাশের জন্য 'বেসরকারি যোগাযোগের চ্যানেল' ব্যবহার করছেন। ভারত তাকে তার মাটি থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুবিধা দেয়নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক-পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক চায় ভারত: বিক্রম মিসরি
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের নীতির কথা তুলে ধরেন তিনি।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনার ভিডিও বার্তা প্রচারে পরই এই ব্রিফিং করা হয়।
মিসরি কমিটিকে জানান, এ সপ্তাহের শুরুতে ঢাকা সফরের সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ‘কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল’ বা নির্দিষ্ট সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ককে ভারত সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয় এবং বর্তমান সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক থাকবে।
পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফরেন অফিস কনসালটেশনসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক করতে সোমবার ঢাকায় আসেন বিক্রম মিসরি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠক এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর তিনি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে 'ইতিবাচক, গঠনমূলক ও পারস্পরিক লাভজনক' হিসেবে দেখতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থে এই পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক অব্যাহত না রাখার কোনো কারণ নেই।
এসব বৈঠকে মিসরি একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের কথা তুলে ধরেন।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জোর দিয়ে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূল অংশীদার হলো জনগণ।
তিনি বলেন, ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা এবং সংযোগ, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশের সঙ্গে বহুমুখী সম্পৃক্ততা সবই বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরির ব্রিফিং বিকালে
১ সপ্তাহ আগে
প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র চায় না ভারত: রিজভী
আধিপত্যবাদী মনোভাবের কারণে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোতে গণতন্ত্র দেখতে চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ, কিন্তু তারা চায় না ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা তাদের জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হোক।’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টন থেকে আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের পদযাত্রার উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, 'তারা কেন দিল্লির কথা মানবে?'
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য নয়, রক্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে দেশ স্বাধীন করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারত যদি চট্টগ্রামকে তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে, তাহলে বাংলাদেশ বাংলা, বিহার ও ওড়িশাকে নিজের অংশ হিসেবে দাবি করবে।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ভারত গত ১৬ বছর ধরে 'রক্তপিপাসু লেডি ফারাও শেখ হাসিনা'কে সমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল তাদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কারণে সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে সমালোচিত।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশের মানুষের চেতনা, আত্মশক্তি ও সাহসিকতা বোঝেনি।
পরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে কয়েকশ গাড়ি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে আগরতলা অভিমুখে তাদের ঘোষিত লংমার্চ শুরু করে।
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আগরতলা অভিমুখে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ শুরু
তিন সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে আনুষ্ঠানিক লংমার্চ শুরু করেন।
লংমার্চ শুরুর আগে তিনটি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। তারা ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমের আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টার নিন্দা জানান।
নেতারা বলেন, তারা আখাউড়া ভারতীয় সীমান্তে তাদের শান্তিপূর্ণ লংমার্চ শেষ করবেন।
১ সপ্তাহ আগে
ভারত মুসলিম-খ্রিস্টান হত্যায় রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ভারত মুসলিম ও খ্রিস্টান হত্যায় রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত। তাদের অপপ্রচারে দেশের সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য নষ্ট করা যাবে না।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য স্লোগানে’ ভারতীয় পণ্য বয়কট কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবীর রিজভী একথা বলেন।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ভারত চট্টগ্রাম দাবি করলে, আমরা নবাবী আমলের বাংলা বিহার উড়িষ্যা দাবি করব। দেশের মানুষ আর ভারতের তাবেদারি করবে না। তাবেদারির কারণেই শেখ হাসিনা তাদের প্রিয় ছিল।
আরও পড়ুন: বাবার বাকশাল কায়েম করতে গিয়েই গর্তে পড়েছেন হাসিনা: রিজভী
ভারতের ভিসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভিসা সীমিত করায় তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত। কলকাতা নিউমার্কেট ফাঁকা, হাসপাতালগুলো রোগীশূন্য।
তিনি বলেন, আমার আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিক করি, তাহলে দেশের একটি লোকও ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবে না।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় পণ্য বয়কটের অংশ হিসেবে একটি ভারতীয় চাদর পোড়ানো হয়। এছাড়াও নামমাত্র মূল্যে দেশিয় পণ্য বিক্রয় করা হয়।
১ সপ্তাহ আগে
ভারত কুটনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে: দুলু
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত কূটনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) গাবতলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে উপেক্ষা করে ভারত শুধুমাত্র শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল। তাই এদেশের মানুষ আজ ভারতের বিপক্ষে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে দুশমনি করছে’
দুলু বলেন, ভ্রান্ত নীতির কারণে নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা ভারতকে ত্যাগ করেছে। শেখ হাসিনার পক্ষে আর ওকালতি না করে ভারতকে তাদের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ভারতের আচরণ দাদাগিরির মতো।
তাই বাংলাদেশের মানুষ ৭১-এ পাকিস্তানের দাদাগিরি মেনে নেয়নি, তেমনি ভারতের দাদাগিরিও মেনে নেবে না বলে জানান দুলু।
বিএনপি নেতা শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিএনপি নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, দেওয়ান শাহীনসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।
২ সপ্তাহ আগে
‘শেখ হাসিনার সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে দুশমনি করছে’
ভারত শেখ হাসিনার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে দুশমনি শুরু করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশ কিংবা অন্য কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করবে না।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আসাদুজ্জামান রিপন এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিতে পরিবর্তন দরকার। তারও আগে দরকার ভালো মানুষ হওয়া। এছাড়া ভালো মানুষ সংসদে গেলে ভালো সরকার গঠন হবে। তাহলেই মানুষ সুশাসন পাবে। ৫ আগস্টের আগের পরের রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা। মানুষ এখন দুর্বৃত্তপনা ও চাঁদাবাজি পছন্দ করে না। এ ধরনের রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে পরিবর্তন ও সংস্কার দরকার। দেশে সংকট চলছে। তবে সংকট উত্তরণের পথ হচ্ছে নির্বাচন।
আসাদুজ্জামান রিপন নিজের সম্পর্কে বলেন, কখনও এমপি হলে আমার সঙ্গে আপনাদের ঢাকায় গিয়ে দেখা করতে হবে না। গ্রামে এসে আপনাদের সঙ্গে দেখা করব। এমপি হলে ব্যবসা কিংবা অন্য কিছু করা যাবে না।
আরও পড়ুন: আজ হোক বা কাল, রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবে: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, আজ আমি কোনো মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে আসিনি। আমি হারামের রাস্তায় চলি না। হালালের পথে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই। আমি ব্যানার পোস্টারের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান বেপারী।
জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আতিকুর রহমান, ঢাকা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সহকারী পিপি ওয়াহিদুজ্জামান টিটু, উপজেলা বিএনপির সদস্য মহসীন মোড়ল, কামাল হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী থেকে ইউপি সদস্য পর্যন্ত সবার জবাবদিহিতা চান তারেক
২ সপ্তাহ আগে