ভারত
ভারতে পালানোর সময় গাজীপুর সিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আটক
ভারতে পালানোর সময় যশোর সীমান্ত থেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে যশোরের শার্শার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
আসাদুর গাজীপুর ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাগান গ্রামের বাসিন্দা এবং সদর থানায় দুটি হত্যাসহ ৫ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
আরও পড়ুন: ইবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থী আটক
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, মঙ্গলবার সকালে যশোরের শার্শার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার সময় কিরণকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের নূর নবীর মাধ্যমে এক লাখ টাকার বিনিময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ সীমান্তে আসেন।
আসাদুরকে শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরে সেখান থেকে তাকে গাজীপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী আটক
১ দিন আগে
ভারতে পালানোর সময় শার্শা সীমান্তে আ. লীগ নেতা আটক
যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরনকে আটক করেছে বিজিবি।
বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে শার্শা উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এক ব্যক্তি ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাত সাড়ে ১১টায় শিকারপুর বিওপির টহলদল সীমান্তবর্তী বেতনা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই স্থান থেকে আসাদুর রহমান কিরনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী আটক
আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি স্থানীয় রামচন্দ্রপুর গ্রামের মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নূর নবীর মাধ্যমে এক লাখ টাকার বিনিময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাওয়ার জন্য চুক্তি বদ্ধ হয়ে সীমান্তে এসেছিলেন।
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে যশোরের শার্শা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: গাংনীতে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, ইউপি সদস্য আটক
২ দিন আগে
বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের পতন ভারতের জন্য বড় কূটনৈতিক ধাক্কা: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, 'নতুন বাংলাদেশ' সম্পর্কে ভারতের নেতিবাচক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। স্বৈরাচারী সরকারের পতন ইতিহাসে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত পরাজয় বলেও উল্লেখ করে সংস্থাটি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা মনে করি, ভারত তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত পরাজয় মেনে নিতে পারবে না। এটা স্বীকার করার সাহস তাদের নেই।'
স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর নতুন বাংলাদেশের প্রথম ১০০ দিন নিয়ে টিআইবির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে।’
আরও পড়ুন: হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে সহজতর করেছে বিচার বিভাগ: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
তিনি বলেন, বাংলাদেশের 'ইতিবাচক পরিবর্তনের' পর ভারত প্রত্যাশিত 'ইতিবাচক ভূমিকা' পালন করতে বা 'ইতিবাচক মনোভাব' দেখাতে পারছে না, কারণ ভারত ইতিহাসে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগতভাবে সবচেয়ে বড় পরাজয় মেনে নিতে পারছে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'তারা (ভারত) এখনো বাংলাদেশকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে, যা বাংলাদেশের এই স্বৈরতন্ত্রকে সমর্থন করে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কিছু ক্ষেত্রে (ভারতের পক্ষ থেকে) ভারতের গণমাধ্যম অনুঘটকের ভূমিকা পালনের জন্য এটি বিশাল ঝুঁকি তৈরি করেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অনেকের ধারণা ছিল ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন, জনগণ ও গণমাধ্যমে 'উদার চিন্তার' প্রচার হয়। ‘আমরা মনে করি, ভারত (সেই উদার চিন্তাভাবনা থেকে) বদলে গেছে।’
তিনি বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশকে যেভাবে তুলে ধরছে তা অন্তত ঝুঁকিপূর্ণ এবং অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য 'বিরক্তির কারণ'। এটা আমাদের (বাংলাদেশ) জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে আমরা এটাও মনে করি যে এটি ভারতের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর এবং লজ্জাজনক। তাই ভারতকে এ পথ থেকে সরে আসতে হবে।
তিনি ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তারা সব সময় দরজা উন্মুক্ত রাখার পক্ষে। ‘আমরা সবসময় দরজা উন্মুক্ত রাখার কথা বলি। ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। আমরা ভারতের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়: টিআইবি
বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে ঝুঁকি রয়েছে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ভারতের ভূমিকা ইতিবাচক এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে খুবই নেতিবাচক হতে পারে। তিনি বলেন, 'এই ঝুঁকির কথা মাথায় রাখতে হবে।’
এর আগে অনুষ্ঠানে 'স্বৈরশাসনের পতনের পর প্রথম ১০০ দিনে নতুন বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ' শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম।
প্রতিবেদনে আকরাম বলেন, কর্তৃত্ববাদের পতনের বাস্তবতা মেনে নিতে এবং নিজেদের ভুল স্বীকার করতে ভারতের ব্যর্থতা এবং ভারতে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং সর্বোপরি ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন সরকার ও বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে।
তিনি বলেন, ভারত সরকার, রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যম গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের বাস্তবতা মেনে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক ভুল তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে।
বাংলাদেশে জোরালো প্রতিবাদ সত্ত্বেও 'সীমান্ত হত্যা' অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন টিআইবির এই কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোভাব ইতিবাচক।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, রাশিয়া, চীন, ইরান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে।’
তিনি বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ডিরেক্টর মুহাম্মদ বদিউজ্জামান ও টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ-সম্পদ অবিলম্বে ফ্রিজ করুন: টিআইবি
২ দিন আগে
২ বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
প্রায় দুই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ভারত থেকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরের ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন নন-বাসমতি চাল আমদানি করেছেন। আমদানিকারকের আরও ১০০ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। বেনাপোল বন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, চালের আমদানি মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। আমদানি করা প্রতি কেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে এলসি খরচ, এক্সপোর্ট খরচ ,পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ। সেই হিসেবে প্রতি কেজি চালের মূল্য দাঁড়ায় ৫৫ টাকা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে চালের চালানটি বন্দর থেকে ডেলিভারি হবে বলে জানা গেছে।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে রবিবার থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় বাড়বে আমদানি। দেশের বাজারে দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালের উদ্বোধন
২৪ জন আমদানিকারকের মধ্যে যশোর এলাকার ১২ জন আমদানিকারক ৭৩ হাজার সিদ্ধ ও ১৯ হাজার আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। সবাই চাল আমদানি করতে পারবে কি না সন্দেহ ব্যবসায়ীদের। কারণ আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল আমদানি করে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট প্রথম চালানে ১০৫ মেট্রিক টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছেন। এই আমদানিকারকের আরও ১০০ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের কথা রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই দেশের বাইরে সিদ্ধ আতপ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিনহা জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ নভেম্বর ২৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরমধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয় বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে।
আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে। বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না। আমদানি করা চাল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, রাতে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিক টনের প্রথম একটি চালের চালান বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতে যাত্রী চলাচল কমেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে
৩ দিন আগে
বাংলাদেশ-ভারত, নেপাল ও ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির চিন্তা করা উচিত: অধ্যাপক ইউনূস
নেপাল ও ভুটানের উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগির জন্য দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘নেপাল মাত্র ৪০ মাইল দূরে হওয়ায় বাংলাদেশ সহজেই জলবিদ্যুৎ আনতে পারে। নেপালের জলবিদ্যুৎও সস্তা হবে,’ উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির কথা ভাবতে হবে।
বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সোশ্যাল বিজনেস গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যুৎ গ্রিডের অভাবে হিমালয়ের দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনার বেশিরভাগই অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
নেপালের কর্মকর্তারা বলেছেন, তার দেশের ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মতো বড় দেশগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সহায়তা করতে পারে।
আজারবাইজানের রাজধানীতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বন্যা প্রতিরোধ এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পানির সর্বোত্তম ব্যবহারে বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পানি আমাদের প্রধান পরিবেশগত সমস্যা। আমাদের পানি ব্যবস্থাপনা এমনভাবে করতে হবে যাতে তা প্রকৃতিকে সহায়ক হয় ‘
সামাজিক ব্যবসা সভায় তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুব উন্নয়ন ও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের ওপরও জোর দিয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার আগামী জানুয়ারিতে তরুণদের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করবে। এই আয়োজনে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক টি-টোয়েন্টি বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কপ২৯: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
১ সপ্তাহ আগে
ভারতের উত্তরাঞ্চলে বাস খাদে পড়ে নিহত ৩৬
ভারতের উত্তরাঞ্চলে রাস্তা থেকে উল্টে গভীর খাদে বাস পড়ে অন্তত ৩৬ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
রাজ্য সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দীপক রাওয়াত জানান, সোমবার উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য রাজ্য আলমোড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
উদ্ধার ও ত্রাণকর্মীরা ভেতরে আটকা পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে থাকা সাত যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার আশ্রয়কেন্দ্রে গাছ পড়ে নিহত ৯
রাজ্য সরকারের কর্মকর্তা বিনীত পাল জানান, রাজ্য সরকার দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে, জরাজীর্ণ বাসটি ৬০ মিটার (২০০ ফুট) গভীর গিরিখাতে পড়ে যাওয়ার আগে পিছলে যায়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, বেশ কয়েকজন যাত্রী বাস থেকে বের হতে সক্ষম হন আর কিছু যাত্রী ছিটকে পড়েন। আহত যাত্রীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জরাজীর্ণ এই বাসের অনুমোদন দেওয়ায় দুই পরিবহন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা বেপরোয়া গাড়ি চালানো, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল রাস্তা এবং পুরানো যানবাহনের কারণে হয়ে থাকে।
গত জুলাইয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি দোতলা যাত্রীবাহী বাস ও দুধের ট্রাকের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে মে মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস পাহাড়ি মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে গিয়ে ২১ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ায় রেলস্টেশনের ছাদ ধসে নিহত ১৩
২ সপ্তাহ আগে
সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় শ্রীমঙ্গলের এক ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য পিয়াস দাস গ্রেপ্তার হয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশের হাতে বুঝিয়ে দেয়।গ্রেপ্তার পিয়াস (৩৪) সদর ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবুজবাগ গ্রামের পিযূষ দাসের ছেলে পিয়াস ভারতে যাওয়ার জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশনে আসেন।
শ্রীঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামের রিকুইজিশন মূলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় করা মামলায় তিনি ১ নম্বর আসামি।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শেখ আফিলসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা, আটক ৫
৩ সপ্তাহ আগে
ভারত থেকে আরও ২৩২০০০ ডিম আমদানি
যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের ৫ শতাংশ শুল্কায়ন মূল্যের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিমের আরও একটি চালান এসে পৌঁছেছে।
এখন থেকে ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশে শুল্কায়ন হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ডিমের এ চালান খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছে বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিমের এ চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৫ চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১১ লাখ ৫৯ হাজার ২০০টি ডিম আমদানি হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বরে আমদানিকারক ঢাকার রামপুরার বিডিএস কর্পোরেশন ৬১ হাজার ৯৫০ টিম ডিম আমদানি করে। পরে আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন প্রতিষ্ঠান এসব ডিম আমদানি করেছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনও ডিম আমদানি করেনি।
ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার দর কমাতে গত ১৭ অক্টোবর শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আদেশটি বেনাপোল কাস্টমসে আসে গত ২০ অক্টোবর। আদেশ পাওয়ার পর ২১ অক্টোবর একটি চালানের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম কম শুল্কে মাত্র ৭৬ পয়সায় শুল্কায়ন করা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর ডিমের ৫টি চালান আসে বেনাপোল বন্দরে। আর এ সমস্ত চালানগুলো কাস্টমস থেকে ছাড় করতে কাজ করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের ম্যানেজার ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, ‘নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিচ্ছি। গত ২১ অক্টোবর ৫ শতাংশ শুল্কের ডিম খালাস শুরু হয়। প্রতিটি ডিম আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্কায়ন করা হতো। শুল্ক কমানোয় এখন থেকে প্রতিটি ডিমে মাত্র ৭৭ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে। এতে আমদানি করা নতুন চালানের এসব ডিম বাজারে ৯ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবে। এই ডিমের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের শ্রী লক্ষী এন্টারপ্রাইজ।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, কম শুল্কে গত ২১ অক্টোবর ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম খালাস দেওয়া হয়েছিল এবং আজ ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি খালাস দেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকের ডিমের চালান খালাসে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
৩ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় ভারত: ভার্মা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়; যা দুই দেশের আন্তঃনির্ভরতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং সেখানে উভয় দেশের জনগণই প্রধান অংশীদার।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মিরপুরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ২০২৪ এনডিসি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন হাইকমিশনার ভার্মা।
আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধী অনেক দেশে উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছেন: ভার্মা
সেখানে ভারতের বৈদেশিক নীতি ও উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কে কথা বলেন তিনি। নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা, বিশ্ব প্রশাসনের সংস্কার এবং গ্লোবাল সাউথের স্বার্থ প্রচারের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও দ্রুত জাতীয় উন্নয়নের জন্য বিশ্বের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার 'প্রতিবেশী প্রথম', 'অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি', সাগর ডকট্রিনের পাশাপাশি ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের আওতায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করেন ভার্মা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে ভারত: প্রণয় ভার্মা
৪ সপ্তাহ আগে
ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ৫ চালানে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টায় ৫ চালানে সাড়ে ৭ টাকা দরের ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
আগামী মাসের মধ্যে সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরও ৪০ লাখ ডিম আমদানি করা হবে। এরই মধ্যে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ঘাটতি পূরণে আরও সাড়ে চার কোটি পিস মুরগির ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। প্রতিটা ডিমের আমদানি শুল্ক ১ টাকা ৮৩ পয়সা। সব মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি। এ অবস্থায় পেঁয়াজ ও আলুর মতো ডিম আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানান তারা।
বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে ডিম আমদানির পাঁচ চালানে ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০ পিস মুরগির ডিম বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। ঢাকার ‘হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশন’ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো আমদানি করেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশনের প্রতিনিধি শাহ আলম বলেন, ‘দুই মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত মাসের ১০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যে মাত্র দুটি চালানে প্রায় ৩ লাখ ডিম আমদানি করার সুযোগ হয়। রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এ জন্য তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই মাসের সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। যেটি নভেম্বরে শেষ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অথচ প্রতিটি ডিমের শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা (অন্যান্য খরচসহ)। এই শুল্ক ৫০ পয়সার নিচে রাখলে বাজারে ডিমের দাম অনেক কমে যেত।
পেঁয়াজ ও আলুর মতো শুল্ক মওকুফ করার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন তারা।
ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাড়ে সাত টাকায় প্রতিটি ডিম আমদানি হলেও পরিবহন, শ্রমিক, ওয়েস্টেজ (নষ্ট ডিম) বাবদ প্রতিটি ডিমে আরও অন্তত ৩ টাকা খরচ হয়। আমদানি করা প্রতিটি ডিম ১০ দশমিক ৬০ টাকা থেকে ১০ দশমিক ৭০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হয়।
বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমদানি করা ডিমের শুল্কায়নসহ প্রতিটির দাম পড়েছে সাড়ে সাত টাকার মতো। গত বছরের ৫ নভেম্বর আসে প্রথম চালান, ৯ সেপ্টেম্বর আসে দ্বিতীয় চালান এবং চলতি মাসের ৬, ৭ ও ১৯ তারিখে আসে ডিমের তিনটি চালান। গত বছর ঢাকার বিডিএস করপোরেশন একই দামে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করেছিল।’
আরও পড়ুন: খুলনায় সরকারি দামে বিক্রি হচ্ছে না ডিম, বিপাকে জনসাধারণ
১ মাস আগে