ভারত
নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের নাগরিকত্ব আইন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বিষয়টি দেখছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন সিটিজেনশিপ এমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যেহেতু বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশ, সেই হিসেবে আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি।’
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে মত বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাবিক ও জিম্মি জাহাজ মুক্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের একটি দপ্তর আবারও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে – এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো দপ্তর তাদের মতামত দিতেই পারে। তারা বলেছে, বিরোধী দল অংশ নেয়নি। বাংলাদেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার দায় সরকারের ওপর বর্তায় না, সেটি সেই দলের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, 'সেই দল বরং নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল, সেই লক্ষ্যে দেশে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিল এবং সেই সহিংসতার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদেরই শুধু গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
হাছান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে এবং আমাদের যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক, সেটিকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সামনের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছি।’
যেকোনো দেশের ভিন্নমতকে বাংলাদেশ সম্মান করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। পৃথিবীর প্রায় ৮০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সম্পর্ক দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নিত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। সুতরাং আমাদের বিবেচনায় এই অঞ্চলের নিরিখে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয় এবং অভিন্ন স্বার্থে তারা একসঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে মূল্য দেই। একটি মুক্ত, উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করাসহ আমাদের অভিন্ন স্বার্থ অনুসরণ করতে উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব আমরা।’
সোমবার (১১ মার্চ) ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অঞ্চলে তথাকথিত 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা সম্পর্কে প্রক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিলার বলেন, ‘এই প্রচারণা সম্পর্কে আমরা জানি। ভোক্তাদের ব্যক্তিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি অবশ্যই মন্তব্য করব না, সেটা বাংলাদেশ হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে এবং তারা তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চায়।
তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সঙ্গে জনগণকেও সোচ্চার হতে হবে: হাছান মাহমুদ
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার সম্প্রতি তিন দিনের বাংলাদেশ সফর করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, 'আপনারা এর আগেও মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলো নিয়ে আমার কাছ থেকে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের কথা শুনেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের আইনের অপব্যবহার করে ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো হতে পারে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে তার ক্ষমতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বেলারুশের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী শেস্তাকভ এবং শ্রীলংকার হাইকমিশনার ভিরাক্কোডির সাক্ষাৎ
মুসলিমদের বাদ রেখেই নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের ঘোষণা ভারতের
ভারতে মুসলিমদের বাদ রেখেই ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়নের জন্য বিধি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন মোদি সরকার।
সোমবার (১১ মার্চ) আসন্ন ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে তৃতীয় মেয়াদে দেশটির ক্ষমতায় যাওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দু, পার্সি, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই আইনে মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যারা উল্লেখিত তিনটি দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
আইনটি ভারতের সংসদে ২০১৯ সালে অনুমোদিত হলেও রাজধানী নয়াদিল্লিসহ অন্যান্য স্থানে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মোদি সরকার এর বাস্তবায়ন আটকে দেয়। সেসময় কয়েকদিনের চলা সংঘর্ষে বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়।
২০১৯ সালে দেশব্যাপী বিক্ষোভগুলো সব ধর্মের অনুসারীদের দৃষ্টিগোচর হয়। সে সময় তারা বলেছিল, আইনটি ধর্মনিরপেক্ষ জাতি হিসেবে ভারতের ভিত্তিকে দুর্বল করে। মুসলমানরা বিশেষত উদ্বিগ্ন ছিল, সরকার তাদের কোণঠাসা করার জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক নিবন্ধকের সঙ্গে আইনটি ব্যবহার করতে পারে।
অবৈধভাবে ভারতে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত ও নির্মূল করতে মোদি সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হচ্ছে ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)। নিবন্ধনটি কেবল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি দেশব্যাপী অনুরূপ নাগরিকত্ব যাচাইকরণ কর্মসূচি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
মোদির সরকার ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব আইনকে মানবিক পদক্ষেপ হিসেবে বহাল রেখেছে। তাদের যুক্তি, এই আইন শুধু নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটি ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় বলেন, 'এই নিয়মের আওতায় এখন থেকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুরা আমাদের দেশের নাগরিকত্ব পাবেন।’
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টি এই ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে, 'নির্বাচনের মেরুকরণের জন্যই এর ঠিক আগের সময়টিতে এটি ঘোষণা স্পটতই পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে এই আইনটিকে 'বৈষম্যমূলক' বলে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি সমতাভিত্তিক সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।’
এতে আরও বলা হয়, আইনটি 'ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে বৈধতা দেয়' এবং 'এর কাঠামো ও উদ্দেশ্য বর্জনীয়'।
আরও পড়ুন: নোম্যান্সল্যান্ডে যৌথভাবে বাংলাদেশ-ভারতের ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন
১৪০ কোটিরও বেশি মানুষের দেশ ভারতে ২০ কোটি মুসলমান রয়েছে, যারা বড় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। তারা ভারতের প্রায় প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ২০১৪ সালে মোদির দল প্রথম ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা ধারাবাহিক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, মুসলিমবিরোধী সহিংসতার বিষয়ে মোদির স্পষ্ট নীরবতা তার কিছু চরমপন্থী সমর্থককে উৎসাহিত করেছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে আরও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
মোদি এমন একটি ফর্মুলায় ক্রমান্বয়ে ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেছেন যা ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, তিনি উত্তর অযোধ্যায় একটি মসজিদকে ধ্বংস করে সেখানে রাম মন্দির উদ্বোধন করেন। যা তার দলের দীর্ঘদিনের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতিফলন।
বেশিরভাগ জরিপ বলছে, আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে মোদি আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: নারীর প্রতি যৌন সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ
ভারত থেকে ১৪০০ টন ছোলা আমদানি হয়েছে
রমজান উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিনে ভারত থেকে পাঁচটি চালানের বিপরীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার ৪০০ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র সিং ছোলা আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রথম চালানে ৪০০ টন এবং আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বেসরকারিভাবে আমদানি করা আরও ১ হাজার টন ছোলার গুণগত মান নির্ণয় করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, বেসরকারিভাবে ছোলা আমদানির পাশাপাশি টিসিবির আওতায় ৪ হাজার টন কাঁচা ছোলা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, সরকারি পর্যায়ে ৪০০ টন ও বেসরকারি পর্যায়ে ১ হাজার টন কাঁচা ছোলা আমদানি করা হয়েছে। রোজা আগে ভারত থেকে ছোলা আমদানি হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, রমজান উপলক্ষে পাঁচটি চালানের বিপরীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গত দুই দিনে ১ হাজার ৪০০ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। এসব ছোলার গুণগত মান নির্ণয় করে তা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছোলাসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে যেন দ্রুত এসব পণ্য খালাস দেওয়া যায় সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
‘জঙ্গল’ থিমের পোশাক পরবেন আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিরা, থাকবেন হলিউড-বলিউড তারকারা
যখন এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ছেলে বিয়ে করতে চলেছেন তখন কী কী হতে পারে ভাবতে পারছেন? বিয়ের প্রধান অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার চার মাস আগেই তার বাবা প্রাক-বিবাহ আনন্দ উদযাপনের আয়োজন করেন।
শুক্রবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট শহর জামনগরে রাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, হলিউড ও বলিউডের তারকাদের মেলা বসেছে। বিলিয়নিয়ার শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি তার ছোট ছেলের বিয়ে উপলক্ষে বিশাল এক আয়োজনের তারা জড়ো হয়েছেন।
প্রায় ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি অতিথিদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন পপতারকা রিয়ান্না, বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, সুন্দর পিচাই, ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও বলিউড তারকা শাহরুখ খানও।
সবার চোখ এখন ২৮ বছর বয়সী অনন্ত আম্বানি ও তার দীর্ঘ সময়ের বান্ধবী রাধিকা মার্চেন্টের ওপর। আগামী জুলাইতে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তারা। এনকোর হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী বীরেন মার্চেন্ট ও উদ্যোক্তা শায়লা মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকা।
এই উৎসব আম্বানি পরিবারের জমকালো ও আভিজাত্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি অর্থনীতি ও রাজনীতিতে এই ভারতীয় বিলিয়নিয়ারের যে প্রভাব সেটিও প্রদর্শন করে।
দেশজুড়ে আলোচনায় থাকা আম্বানি পরিবার ও বিবাহ-পূর্ব এই জমকালো আয়োজন সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কে এই মুকেশ আম্বানি?
১১৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক ৬৬ বছর বয়সী মুকেশ আম্বানি ফোর্বস তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের দশম এবং এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
তার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ একটি বিশাল সাম্রাজ্য যার বার্ষিক আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। পেট্রোকেমিক্যাল, তেল-গ্যাস থেকে শুরু করে টেলিকমসহ রিটেইল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।
১৯৬৬ সালে তার বাবার প্রতিষ্ঠিত রিলায়েন্স আম্বানির নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ৪জি ফোন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা জিও চালু করার সঙ্গে সঙ্গে টেলিকম মূল্য যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল। বর্তমানে এটি ফাইভ জি পরিষেবা দিচ্ছে এবং গ্রাহকসংখ্যা ৪২০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে নিজেদের ব্যবসা আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একীভূত করতে ডিজনি এ সপ্তাহের শুরুতে ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে নতুন একটি মিডিয়া জায়ান্টের জন্ম হতে চলেছে।
আম্বানি পরিবারের অন্যান্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে মুম্বাইতে ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অ্যান্টিলা নামে একটি ২৭ তলাবিশিষ্ট ব্যক্তিগত অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং। এটিতে তিনটি হেলিপ্যাড, একসঙ্গে ১৬০টি গাড়ির ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যারেজ, ব্যক্তিগত সিনেমা থিয়েটার, সুইমিং পুল ও ফিটনেস সেন্টার রয়েছে।
আম্বানির সমালোচকরা বলছেন, সত্তর-আশির দশকে কংগ্রেস সরকার এবং ২০১৪ সালের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে রাজনৈতিক সম্পর্কের জোরে আম্বানির প্রতিষ্ঠান বিকাশ লাভ করে। ভারতে এই ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক সম্পর্ক (ক্রোনি ক্যাপিটালিজম) আম্বানির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নতি লাভ করতে সাহায্য করেছে।
বর্তমানে মুকেশ আম্বানি তার দুই ছেলে ও মেয়েকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে শুরু করেছেন। বড় ছেলে আকাশ আম্বানি এখন রিলায়েন্স জিওর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আর মেয়ে ইশা রিটেইল সেক্টর ও সর্বকনিষ্ঠ, অনন্ত নতুন জ্বালানি শক্তির ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন।
সীমা অতিক্রম করাই আম্বানির আয়োজনের বিশেষত্ব।
২০১৮ সালে মেয়ের বিয়ের সময় পশ্চিম ভারতের শহর উদয়পুরে বিবাহপূর্ব জমকালো উৎসবে পপ সেনসেশন বিয়ন্সেকে নিয়ে এসে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন আম্বানি। সে সময় ভারতীয় সেলিব্রিটি ও বলিউড তারকাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সেক্রেটারি অব স্টেট হিলারি ক্লিনটন ও জন কেরিও।
সেই বছরই ইশা আম্বানি ও আনন্দ পিরামল ইতালির লেক কোমোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মুম্বাইতে আম্বানির বাসভবনে বিয়ে করেছিলেন তারা।
আসন্ন বিবাহ-পূর্ব আয়োজনে বিশেষ যা রয়েছে-
আগামী জুলাইতে বিয়ের সময় কেমন জমকালো আয়োজন হতে চলেছে তারই আভাস দিচ্ছে তিন দিনব্যাপী এই প্রাক-বিবাহ আয়োজন।
গুজরাটের কাছেই মরুভূমিতে অবস্থিত ৬ লাখ জনসংখ্যার শহর জামনগরে আম্বানিরা এই উৎসবের আসর বসিয়েছে। যেখানে তাদের পারিবারিক নিবাস এবং তাদের ব্যবসার প্রধান তেল শোধনাগারও রয়েছে।
সেখানে জঙ্গল থিমের পোশাক পরে হবু বর অনন্ত পরিচালিত একটি প্রাণী উদ্ধার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন অতিথিরা। নির্যাতিত, আহত ও বিপন্ন প্রাণীদের বিশেষ করে হাতিদের আশ্রয়ের জন্য ৩ হাজার একর জমির ওপর এই কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে যা ‘ভানতারা’ বা ‘বনের তারকা’ নামে পরিচিত।
আমন্ত্রণপত্রে জানা যায়, অতিথিদের জন্য প্রতিদিন ভিন্ন ও নতুন এক ড্রেস কোড থাকবে। এজন্য তাদের সাহায্য করতে হোটেলে মুড বোর্ড, হেয়ার স্টাইলিস্ট, মেকআপ আর্টিস্ট ও পোশাক ডিজাইনাররা থাকবেন।
একটি মন্দির প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানও হবে।
অতিথিদের অনেকেই চার্টার্ড প্লেনে আসবেন। এই আয়োজনে প্রায় ১০০ শেফের তৈরি ৫০০ ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে।
অতিথিদের তালিকায় আরও রয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন জসিম আল থানি; কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার; ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমা।
বুধবার, আশেপাশের গ্রামে বসবাসকারী ৫১ হাজার লোকের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে আম্বানি পরিবার।
ভারতের বিখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস আর নেই
ভারতের বিখ্যাত গজলশিল্পী ও প্লেব্যাক গায়ক পঙ্কজ উদাস সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারপ্রাপ্ত এই গায়কের পরিবারের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
পঙ্কজ উদাসের মেয়ে নায়াব উদাস ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা আপনাদের দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি- দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার কারণে ২৬ ফেব্রুয়ারি পদ্মশ্রী পঙ্কজ উদাস মৃত্যু বরণ করেছেন।’
বিশিষ্ট গায়কের মৃত্যুর খবরে তার ভক্ত এবং অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক জানাচ্ছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: ভাষা সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা বি এম কলিমুল্লাহ আর নেই
পঙ্কজ উদাস ১৯৫১ সালের ১৭ মে গুজরাটের জেটপুরে কেশুভাই উধাস ও জিতুবিন উদাসের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
তার সবচেয়ে সুপরিচিত গানগুলো হলো- মহেশ ভাট পরিচালিত ১৯৮৬ সালের ক্রাইম থ্রিলার ‘নাম’র ‘চিঠঠি আয়ি চিঠঠি আয়ি হ্যায়’, ১৯৯৮ সালে প্রবীণ ভাটের ‘এক হি মাকসাদ’ ছবির ‘চান্দী জায়সা রং হ্যায় তেরা', ফিরোজ খানের ১৯৮৮ সালের অ্যাকশন থ্রিলার ‘দয়াবন’ ছবির ‘আজ ফির তুম্পে’, ১৯৯১ সালে লরেন্স ডি’সুজার রোমান্টিক ছবি ‘সাজনের’ ‘জিয়ে তো জিয়ে’ এবং আব্বাস-মাস্তানের ১৯৯৩ সালের প্রতিশোধ থ্রিলার ‘বাজিগর’ থেকে ‘ছুপনা ভি নেহি আতা’।
তার গজল ক্যারিয়ারে ‘আহাট’ (১৯৮০) এবং ‘না কাজরে কি ধার’ এর মতো নামী অ্যালবাম তার ট্রাকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘অউর আহিস্তা কিজিয়ে বাতেঁ’, ‘এক তরফ উসকা ঘর’ এবং ‘থোড়ি থোড়ি পিয়া করো’র মতো গানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া ‘ভালোবাসা’, ‘চোখ তার চোরাবালি’ সহ আধুনিক গানের জন্য বাংলার শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে সম্মানিত।
১৯৮৯ সালে প্রকাশিত ‘ভালোবাসা’অ্যালবামটি।
গজল শিল্প ও ভারতীয় সংগীত শিল্পে তার অবদানের জন্য পঙ্কজ উদাস ২০০৬ সালে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অভিনেতা আহমেদ রুবেল আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই
ভারত সীমান্তের ভেতরে পড়ে থাকা বাংলাদেশি কিশোরের লাশ হস্তান্তর
ভারত সীমান্তের ভেতরে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকা বাংলাদেশি কিশোর মাছুম আহমদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে আলোচনা করে শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরের লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
শুক্রবার মাছুম আহমদের লাশ বিজিবি, বিএসএফ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী থানা ও বাংলাদেশের কানাইঘাট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
কিশোর মাছুম আহমদের (১৪) সিলেটের কানাইঘাটের বাসিন্দা।
নিহতের বাবা কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের নুরুল হক জানান, মাছুম আহমদকে পরিকল্পিতভাবে অত্যন্ত পৈশাচিক কায়দায় নির্মমভাবে হত্যা করে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা ডান হাতটিও পাওয়া যায়নি। মাথার সামনে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ও সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইলিয়াছ হোসেন।
তবে কীভাবে ও কেন মাছুমকে খুন হয়েছে এর সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ইছামতি নদী থেকে বিএসএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার
পলাশবাড়ীতে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ৪
ভূস্বর্গ কাশ্মীরে ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, ঘুরতে যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
পাহাড় চূড়া, দীঘল উপত্যকা ও এক পশলা হৃদের প্রাণবন্ত ঐকতানের অন্য নাম কাশ্মীর। তুষারাবৃত চূড়া এবং ব্যস্ত-সমস্ত তৃণভূমির অবারিত মোহনীয়তায় নিমেষেই খুঁজে পাওয়া যায় ভূস্বর্গ নামটির মানে। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও উষ্ণ আতিথেয়তা যে কোনো পরিব্রাজককে আপন করে নিতে যথেষ্ট। ভারতীয় উপমহাদেশের সর্ব উত্তরে অবস্থিত বিশ্ব জোড়া পর্যটকদের এই প্রিয় গন্তব্য নিয়েই এবারের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, জেনে নেয়া যাক কাশ্মীর ভ্রমণের আদ্যোপান্ত।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরে যাওয়ার উপায়
ভিসা প্রক্রিয়া
কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা লাগবে। এর জন্য ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্টটি আনুমানিক প্রস্থানের দিন থেকে ন্যূনতম ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পাসপোর্ট বইয়ে কমপক্ষে দুটি পৃষ্ঠা খালি থাকতে হবে।
এই পাসপোর্টের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও সঙ্গে রাখা যেতে পারে।
ভিসা আবেদনের জন্য একটি পাসপোর্ট আকারের ছবি জেপিজি বা পিএনজি ফাইলের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।
কাশ্মীরে যেয়ে কোথায় থাকা হবে তার একটা প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে বুকিংয়ের কাগজপত্র প্রিন্ট করে নিতে হবে।
ভারতে প্রবেশ ও ত্যাগ করার সময়টা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিমান বা ট্রেন যেভাবেই যাওয়া হোক না কেন, আসা-যাওয়ার টিকেট দেখাতে হবে।
সর্বোপরি, কাশ্মীরে যাবতীয় খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট ভ্রমণ তহবিল আছে কিনা তার একটা প্রমাণ দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
ঢাকা থেকে কাশ্মীর যাতায়াত
জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে সংযোগ আছে ভারতের দিল্লী অথবা চণ্ডিগড়ের। ঢাকা থেকে আকাশপথে সরাসরি এই রাজ্যগুলোতে পৌঁছা যায়। স্থলপথে যেতে হলে রেলপথে বা বাসে কলকাতা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে হবে।
কাশ্মীরের জনপ্রিয় জায়গাগুলো ঘুরতে হলে প্রথমে যে পর্যন্ত যেতে হবে সে জায়গাটি হচ্ছে শ্রীনগর। দিল্লী থেকে শ্রীনগর বিমানে যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা। এখানে খরচ হতে পারে প্রায় ২৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা।
রেলপথে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কলকাতার হাওড়ার ট্রেন আছে যেখানে শ্রেণীভেদে জনপ্রতি ভাড়া ২ হাজার ৫৯৯ থেকে ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা। তারপর হাওড়া থেকে ট্রেন বদলে যাওয়া যাবে জম্মু। এখানে ননএসি স্লিপারগুলোর ভাড়া ৭৫০ থেকে ৭৯০ রুপি বা ৯৯০ থেকে ১ হাজার ৪২ দশমিক ৮ টাকা (১ ভারতীয় রুপি = ১ দশমিক ৩২ বাংলাদেশি টাকা)।
ঢাকা থেকে বাসে গেলে কলকাতা পর্যন্ত বাস ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৬০ টাকা। অতঃপর রেলপথে জম্মু পৌঁছানোর পর শ্রীনগরের বাকিটা পথ গাড়িতে শেয়ার করে কিংবা বাসে করে যেতে হবে। সব মিলিয়ে এভাবে শ্রীনগর পর্যন্ত যেতে সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ ২ দিন ১৯ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, ঘুরতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
কাশ্মীরের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো
শ্রীনগর
কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার শ্রীনগরেই মিলবে অপার্থিব অনুভূতির সঞ্চার করা ডাল লেকের স্নিগ্ধতা। এছাড়া এই লেকে রয়েছে এশিয়ার প্রথম ভাসমান সিনেমা হল। শঙ্করাচার্য মন্দিরের চূড়া থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের এই রাজধানী শহরটির প্রায় পুরোটা চোখে পড়ে।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি
প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৫০ মেট্রিক টন নারিকেল আমদানি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে নারিকেল নিয়ে ভারতীয় দুইটি ট্রাক বাংলাদেশে আসে।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৩৪ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন নারিকেল আমদানিতে খরচ পড়েছে ২৫০ ডলার। বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাসাত ট্রেডার্স এই নারিকেল আমদানি করে।
বন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে নারিকেলের চাহিদা থাকায় ভারতের তামিলনাড়ু থেকে দুই ট্রাকে ৫০ মেট্রিক টন নারিকেল আমদানি করা হয়েছে। বন্দরের কার্যক্রম শেষ করে এসব দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে।
হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তারা জানান, এই প্রথম হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তামিলনাড়ু থেকে দুই ট্রাকে ৫০ মেট্রিক টন নারিকেল আমদানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় ৪ পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে এনবিআর
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ২ নারী
ভারতে পাচারের দীর্ঘ আড়াই বছর পর বাংলাদেশি দুই নারীকে ভ্রমণ অনুমোদনের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে ওই দুই নারীকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ওই দুই নারীর বাড়ি গোপালগঞ্জ কাশিয়ানি ও ঢাকা গেন্ডারিয়ায়।
আরও পড়ুন: ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
ফেরত আসা নারীরা জানান, দালালের খপ্পরে পড়ে প্রায় আড়াই বছর আগে তারা ভারতে পাচার হন। পরে ভারতের পুলিশের হাতে আটক হন। পরে পুলিশ তাদের কারাগারে পাঠায়। সেখান থেকে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরে আসেন তারা।
এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ দুই নারীকে হস্তান্তর করেছে।
ওসি আরও জানান, ইমিগ্রেশনে আইনি পক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তের আদেশ আপিল বিভাগে বাতিল
১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি