ভারত
ভারত নিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তার মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার
বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমান তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে যে মন্তব্য করেছেন, তা একান্তই তার ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই মন্তব্যের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই মন্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বা নীতির প্রতিফলন নয়। সরকার কোনোভাবেই এ ধরনের বক্তব্য সমর্থন করে না বা এর সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে না।
এ ছাড়া মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এএলএম ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত মন্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে সম্পৃক্ত করা থেকে বিরত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ সব দেশের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক সম্মান ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ফজলুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে না সরকার: শফিকুল আলম
১ দিন আগে
পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পালাল ভারতীয় রাফায়েল
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেট বিমানের তাড়া খেয়ে কাশ্মীরে টহলরত ভারতীয় রাফায়েল পিছু হটেছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বরাতে দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডন এই খবর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
সম্প্রতি পাহেলগ্রামে হামলার ঘটনায় কোনো প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তোলে ভারত। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সরকার ভারতের এই অভিযোগকে প্রত্যাখান করে আসছে। একই সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সামরিক বাহিনীকে ভারতীয় যেকোনা আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাহেলগ্রামের ঘটনায় সেনাবাহিনীকে যেকোন ধরনের অভিযানের স্বাধীনতা দিয়েছেন।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বরাতে পিটিভি ও রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) অতিক্রম না করে চারটি ভারতীয় রাফায়েল রাতভর আকাশে টহল দিয়েছে।
রেডিও পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিমান বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় রাফায়েলের উপস্থিতি টের পায়।
পিটিভি জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ নিলে ভারতীয় বিমানগুলো আতঙ্কিত হয়ে পিছু হটে।’ নিরাপত্তা সূত্র আরও বলেছে, সামরিক বাহিনী ভারতীয় যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে।’ তবে সরকার ও সামরিক বাহিনী ওই ঘটনার বিস্তারিত জানায়নি।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার আজ সকালে বলেছিলেন, “ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা’ সূত্রে জানা গেছে।”
গত রাত ২টায় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারার বলেন, ‘পাহেলগ্রামের ঘটনায় ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা’ সূত্রে জানা গেছে।”
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান চাইলে মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন। হামলাটি ২০০০ সালের পর থেকে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।
কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স, যা দ্য কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে পরিচিত সংগঠনটি এক বার্তায় হামলার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা জোড়ালোভাবে অস্বীকার করেছে।
তারার বলেন, পাকিস্তান এই অঞ্চলে ভারতের স্ব-ঘোষিত বিচারক হয়ে ওঠা ও শাস্তিদাতা এবং ‘বেপরোয়া’ ও আত্মঅহংকারী ভূমিকাকে তীব্রভাবে প্রত্যাখান করে।
৩ দিন আগে
কারাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৭ জন
ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তিন বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন সাতজন। এর মধ্যে একজন পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
তারা হলেন— রবিউল ইসলাম (২৮), ফয়সাল (৩০), মিন্টু বারাই (৩২), আয়নাল মাতব্বর (৩৫), রিপন খোলিফা (৩৫), শাহিদুল শেখ (৩৩) ও আলামিন হোসেন (২৬)।
তারা যশোর, নড়াইল, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বরিশাল জেলার বাসিন্দা।
ফেরত আসা রিপন খোলিফা জানান, ভালো কাজের আশায় দালালচক্রের মাধ্যমে তারা সাড়ে তিন বছর আগে ভারতের কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হন। এরপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সে দেশের আদালত তাদের তিন বছর সাজা দিয়ে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। কারাভোগ শেষে ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের দায়িত্ব নিয়ে শেল্টার হোমে রাখে। পরে উভয় দেশের দূতাবাসের সহযোগিতায় এবং ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় তারা দেশে ফিরেছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ বলেন, ‘ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত সাত বাংলাদেশিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ফয়সাল পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীননগর থানায় অস্ত্র মামলা রয়েছে। তাকে রবিবার যশোর আদালতে সোর্পদ করবে পোর্ট থানা পুলিশ।’
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি
তিনি আরও বলেন, ‘বাকি ছয়জনকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের দায়িত্ব নিয়ে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।’
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ‘ফেরত আসাদের মধ্যে ছয় জনকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
৬ দিন আগে
ঢাকার বাতাসের মান মাঝারি, দূষণের শীর্ষে ভারতের দিল্লি
রাজধানী ঢাকার বাতাস দিন দিন বিষাক্ত হয়ে উঠছে, যা শিশু, বয়স্ক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা মানুষের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ঢাকা এখন ১৭তম স্থানে আছে। যা শহরের পরিবেশগত সংকটের গভীরতা প্রকাশ করে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৯৩। এই মাত্রার বাতাসকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘মাঝারি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা শিশু, বয়স্ক এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন এমন মানুষের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর।
ভারতের দিল্লি, মিশরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু শহর যথাক্রমে ১৯৫, ১৭৪ ও ১৭৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুসারে, ঢাকার বাতাস সবসময়ই বিশ্বের সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর তালিকার উপরের দিকে থাকে। কখনও কখনও তা ঝুঁকিপূর্ণও হয়ে ওঠে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। সেটা বেড়ে ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে এলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আজও বইতে পারে উষ্ণ তাপপ্রবাহ
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
২০২৩ সালে বাংলাদেশে পিএম ২.৫ মাইক্রোনের গড় ঘনত্ব ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বার্ষিক বায়ুমান নির্দেশনার চেয়ে ১৬ গুণ বেশি।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের ৩টি প্রধান উৎস হলো— ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘দূষণে শহরটি ক্রমাগত বসবাসের অযোগ্য হলেও সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টাস্কফোর্সটি আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে।
৮ দিন আগে
ভারতের কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ২৬
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এই কাশ্মীরের পহেলগামে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির।
এমন এক সময়ে ভারতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরব গেছেন। পাশাপাশি ভারত সফরে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
হিমালয়ের কোলে অবস্থিত মনোরম শহর পেহেলগামকে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। জনপ্রিয় এই পর্যটন নগরীর এই হামলা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। হামলার পর আহতদের উদ্ধারে সেখানে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। কারণ, এই এলাকায় কেবল হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে পৌঁছানো সম্ভব।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় সন্দেহভাজন রাখালদের হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২
এনডিটিভি জানিয়েছে, পহেলগামের বৈসারণ উপত্যকার ওপরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জঙ্গিরা জঙ্গল থেকে হঠাৎ বের হয়ে নির্বিচারে গুলি শুরু করে। নিহতদের মধ্যে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এ ঘটনায় কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে যতগুলো হামলা হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় এটা অনেক বড় হামলা।’
হামলার পর নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে মঙ্গলবার রাতেই দেশে ফিরেছেন বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে।
হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। গতকাল (মঙ্গলবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আমাদের সংকল্প অটুট রয়েছে এবং এটা আরও শক্তিশালী হবে।’
হামলার পর কাশ্মীরে গেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাশ্মীরের শ্রীনগরে গিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিল্লিতে অমিত শাহর বাসভবনে জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান তপন দেকা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন, সিআরপিএফ প্রধান জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক নলিন প্রভাতসহ সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা। ওমর আবদুল্লাহ এবং কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
হামলার পর ঘটনাস্থল পেহেলগাম এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক খবরে বলা হয়, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা এই ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিষয়টি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠীই হামলায় দায় স্বীকার করেনি।
এই হামলার তীব্র নিন্দা ও ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউরোপীয় ইউনিয়েনের প্রধান উরসুলা ভন দার লিয়েনসহ অনেকে।
১০ দিন আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি
ভারতে ছয় বছর কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন ৭ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
ফেরত আসারা হলেন- মনিকা আক্তার (২১), লিলি বেগম (৩১),কাজল গাজী (২৭),আম্বিয়া বিবি (৩২), আকলিমা খাতুন (২২), সাবিনা বিবি (২৫)ও ইসলাম সর্দার (৫৭),। তারা ঢাকা, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর ও বগুড়া জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ জানান, ভালো কাজের আশায় সাত বছর আগে তারা দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে ভারতের যান। সেখানে কলকাতায় তারা বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হন।
অনুপ্রবেশের অভিযোগে সে দেশের আদালত তাদের ৬ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ নারী
কারাভোগ শেষে ভারতের একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে শেল্টারহোমে রাখে। পরে উভয় দেশের দূতাবাসের সহযোগিতায় এবং ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় তারা দেশে ফিরেছেন।
ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে রাইটস যশোর নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদেরকে গ্রহণ করবে।
রাইটস যশোরের সাইকোসোস্যাল কাউন্সিলর জাওয়াদুল করিম জানান, ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রাতে ইসলাম সর্দার নামে একজনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ছয় নারীকে হস্তান্তরের জন্য তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগযোগ চলছে।
১৩ দিন আগে
ভারতে মুসলিমদের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
ভারতে ওয়াকফ আইন সংশোধনীর মাধ্যমে মুসলিমদের সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ ও এই আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গোলচত্বরে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ‘ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ভারতে মুসলিম নির্যাতন, বন্ধ কর করতে হবে’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও, লড়াই কর’, ‘ওয়াকফ আইন বাতিল কর, করতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিলের মাধ্যমে মুসলিমদের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার হরণ করার ষড়যন্ত্র করছে। ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলিম সমাজের ধর্মীয়, শিক্ষা ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। সেটি দখল বা নিয়ন্ত্রণে নেওয়া মানে মুসলমানদের অস্তিত্বে আঘাত হানা। আমরা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। শান্তিপূর্ণ কিন্তু দৃঢ়ভাবে আমাদের প্রতিবাদ জানাব।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ আইন পশ্চিমবঙ্গে বলবৎ হবে না: মমতা
তারা বলেন, বাংলাদেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা যেন কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের আর অনুসরণ না করেন। কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের সংস্কৃতিকে বাংলাদেশে আর প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এই দেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতের সাধারণ জনতা মুর্শিবাদের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনজন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে শহিদ হয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
তারা আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামেমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই বিল স্থগিত করেছেন। আমরা দেখেছি, ইসরায়েলের নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েও বারবার চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ভারত এই উপমহাদেশের ইসরায়েল। তারা যে এই চুক্তি ভঙ্গ করবে না, আমরা তার কোনো নিশ্চয়তা পেতে পারি না।’
১৫ দিন আগে
পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য অযৌক্তিক: ভারত
ওয়াকফ আইন ঘিরে সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের দেওয়া বক্তব্য ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে ভারতের বক্তব্য, অনভিপ্রেত মন্তব্য না দিয়ে বাংলাদেশ বরং নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দিক।
গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এ কথা বলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে তিনি এই বিবৃতিটি প্রকাশ করেছেন।
জয়সোয়াল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য করা হয়েছে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নিপীড়ন নিয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা টানার বিষয়টি প্রায় প্রকাশ্য ও কপট অপচেষ্টা। সংখ্যালঘু নির্যাতনে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এখনো সেখানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘অযৌক্তিক মন্তব্য এবং ভালোর বেশ না ধরে নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দিলে বাংলাদেশ আরও ভালো করবে।’
গতকাল (বৃহস্পতিবার) মুর্শিদাবাদের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর চেষ্টার প্রতিবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনো চেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি। বাংলাদেশ সরকার মুসলিমদের ওপর হামলা এবং তাঁদের জানমালের নিরাপত্তাহানির ঘটনার নিন্দা জানায়।’
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের সহিংসতা: বাংলাদেশের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ঢাকার
১৫ দিন আগে
ট্রানজিটসহ ভারতকে দেওয়া সব সুবিধা বাতিল করতে আইনি নোটিশ
ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টসহ ভারতকে দেওয়া সব সুবিধা বাতিল চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আজিজুল হক এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এই আইনজীবী বলেন, ‘নোটিশ পাওয়ার পর সরকার যদি ভারতকে দেওয়া ট্রানজিট, ট্রান্সপশিপমেন্ট সুবিধা ও বৈষম্যমূলক চুক্তি বাতিলে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত এরই মধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। এখন বাংলাদেশের জনগণও চায় ভারতকে দেওয়া সব সুবিধা বাতিল করা হোক।’
১৬ দিন আগে
ভারতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ, সীমান্তে লাশ দেখে পরিবারে আহাজারি
রাতের আঁধারে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে গিয়ে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ওয়াসিম আলী নামের এক যুবক। গত সোমবার (৭ এপ্রিল) থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ দেখে ওই যুবকের পরিবারে চলছে আহাজারি। তাদের ধারণা, ওই মরদেহটি নিখোঁজ ওয়াসিম।
যদিও বিজিবি কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি। উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আদিবাসিপাড়ার রমজান আলীর ছেলে ওয়াসিম আলী।
স্বজনরা জানায়, সোমবার রাতে ওয়াসিমসহ আরও তিনজন অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফের সামনে পড়েন। পরে তিনজন পালিয়ে গেলেও ওয়াসিম পালাতে পারেননি।
এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে নদী থেকে অজ্ঞাত ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ।
ওয়াসিমের পরিবারের দাবি, এটি ওয়াসিমের লাশ। বিএসএফ হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। রমজান আলী বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন যে লাশটি তার ছেলে ওয়াসিমের।’ তিনি দ্রুত লাশটি উদ্ধারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে খালিশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘লাশটি ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে থাকায় উদ্ধার করা যায়নি। তবে বিএসএফকে জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পদ্মায় ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবি, নিখোঁজ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ‘লাশটি বাংলাদেশি না, ভারতীয় তা এখনও আমরা জানতে পারিনি। এছাড়া কোনো পরিবার তাদের কোনো সদস্য নিখোঁজ থাকার বিষয়েও আমাদেরকে জানাইনি।’
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন মনিরা বলেন, ‘ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে একটি লাশ ভাসছে এটা শুনেছি। তবে লাশের পরিচয় এখনও মেলেনি।’
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে একটি লাশ পড়ে আছে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএসএফের সঙ্গে বিজিবি যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেবে। কাজেই বিজিবির পক্ষ থেকে না জানানো পর্যন্ত আমরা কোনোকিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’
২১ দিন আগে