আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন। তাই সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের জন্য বর্তমান সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার ফল হচ্ছে আজকের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ভুল ভোটার তালিকা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), নির্বাচন কমিশনের আধুনিক অবকাঠামো, জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন-২০২২ এবং নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালীকরণ।
আরও পড়ুন: ফাঁস হওয়া ফোনালাপ নিয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছে। কিন্তু কেউ এই আইন করার সাহস দেখায়নি যা দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন নির্বাচন কমিশনকে এভাবেই সহযোগিতা করে যাবেন।’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রচনা করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, মর্যাদা দিয়েছেন। তাদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। নতুন প্রজন্মের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান তুলে ধরতে হবে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।
নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে: আইনমন্ত্রী