আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনি দিক বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এটি প্রধানমন্ত্রীর উদারতা। এই আইনি অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনা হলে প্রথমে তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তি বাতিল করতে হবে। এরপর অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে যেতে খালেদা জিয়াকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রবিবার সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, 'আবেদনটি প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করে। আমি মনে করি, সরকার আইন অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারবে না।’
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে যেতে খালেদা জিয়াকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আবেদনটি অবশ্যই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। তারপর সে সম্পর্কে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে। তাদের আনুষ্ঠানিক জমা দেওয়ার পরে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা ও মহানুভবতায় খালেদা জিয়ার সাজা বহাল থাকার পরও এভারকেয়ার হাসপাতালে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ আরও ৬ মাস বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।
৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সাল থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর খালেদা জিয়া- হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর দুর্নীতির আরেকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র ৪টি ধারা আছে। এসব অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার নিয়ে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যাখ্যা।
আনিসুল হক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং বা কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য সাজা ১৪ বছরের।
তিনি বলেন, কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল এ গুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসএ'র অধীনে দায়ের করা মামলা চলবে: সংসদে আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার আইনি প্রয়োজন আছে। কারণ পুলিশের কাজ হলো, যদি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেটা বন্ধ করা। অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা।
মন্ত্রী বলেন, বিচারে সোপর্দ করতে গেলে কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন হয় এবং এই সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা তাদের দায়িত্ব। ওইখানে যদি পুলিশের হাতটা বেঁধে দেওয়া হয়, তাহলে তো তারা সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে না, কাজ করতে পারবে না। এমন এমন জায়গা আছে, যেখানে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রেই কেবল ৪২ ধারা প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির চতুর্থ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, ২০০৬ সালের আইসিটি আইনে ৫৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। এ ধারার বিষয়ে অনেক প্রশ্ন ও আপত্তি ছিল। আবার সাইবার স্পেস নিয়ন্ত্রণ বা সুরক্ষারও প্রয়োজন ছিল। এমন প্রেক্ষাপটেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল না- সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম বা স্বাধীন সাংবাদিকতা করার জন্য এটা একটা বাধা হয়ে দাঁড়াক। মোটেই এটা ইচ্ছা ছিল না এবং এটাও সত্য যে বাংলাদেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথাটা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা দেওয়া আছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে অপব্যবহার হয়েছে তা সরকার সবসময় স্বীকার করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭০০১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে এখন আছে ৫ হাজার ৯৯৫টি মামলা। এই মামলার শতকরা ৯৫ ভাগ দায়ের করেছে বাংলাদেশের জনগণ। এর মধ্যে হয়তো রাজনীতিবিদরাও আছেন। কিন্তু যখন দেখা গেল, এই আইনের কিছুটা অপব্যবহার করা হচ্ছে, তখন কিন্তু সরকার এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছে। এরপর সারা পৃথিবীর বেস্ট প্রাকটিসগুলো সম্বন্ধেও সরকার জ্ঞাত হয়েছে।
এরপর যখন দেখা গেছে আইনটিতে কিছু কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন তখন সেটা নিয়ে কথা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া তৈরির সময়ও আলোচনা হয়েছে। প্রথম দফার আলাপে সরকার এটাকে আরও সহজ করার চেষ্টা করেছে। এখানে যেসব যৌক্তিক আপত্তি পাওয়া গেছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সময় কারও সঙ্গে আলাপ করা হয়নি, কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। কেউ হয়তো বলতে পারেন তার সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি, অমুকের সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি। কিন্তু এই আইনের বিষয়ে ধারণা নেওয়ার জন্য কোথায় অসুবিধা হচ্ছে, কোথায় কী করতে হবে, সেসব কথা বলার জন্য কিন্তু আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারপরও যখনই আপত্তি উঠেছে, তখন আবারও আলাপ-আলোচনা করেছি। যাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে তারা হলেন নির্বাচিত প্রতিনিধি। এরপর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বিএফইউজের বেশ কয়েকটি পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে। মিথ্যা মামলার বিষয়ে তাদের যে পরামর্শ ছিল, সেটা নেওয়া হয়েছে। ২১ ধারার বিষয়ে বিএফইউজে থেকে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন ৪২ ধারা নিয়ে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু সাংবাদিক নয় সর্বক্ষেত্রে যারা কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কর্মী আছেন তাদের সবার স্ব-স্ব অবস্থানের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে খুবই সিরিয়াস।
আরও পড়ুন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়াকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিলেও কোনো কারণ উল্লেখ করেননি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, 'দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২'-এর ধারা ৪(১) এর অধীনে ডিএজি ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
জনস্বার্থে জারি করা আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘একজন আইন কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির সময় পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন এবং তার পদত্যাগের জন্য নির্ধারিত কোনো কারণ ছাড়াই রাষ্ট্রপতি যে কোনো সময় তার চাকরি বাতিল করতে পারেন।’
গত ৪ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সমর্থনে বিশ্ব নেতাদের বিবৃতির প্রতিবাদে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রস্তুত করা একটি বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
পরে মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী বলেন, ডিএজি ইমরান অ্যাটর্নি জেনারেলের পূর্বানুমতি ছাড়াই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ডিএজি ইমরান) অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে নিযুক্ত। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলতে হবে অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিতে হবে। তিনি সেগুলোর কোনোটি করেননি।’
আরও পড়ুন: ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী
ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি ইস্যুতে বক্তব্য দিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি (এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)।
তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে হয় তার পদত্যাগ করে অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের পারমিশন নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি তা করেননি। তাই তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এটা দেখব।
এর আগে বিএফইউজের আলোচনা সভায় সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, কেবল সাইবার অপরাধ দমনের জন্যই এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা সরকারের লক্ষ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবসময় সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তার সরকার এমন কোনো আইন করবে না, যা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করবে।
সাংবাদিক সমাজ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন, সেটা সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে দূর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারা সংশোধনসহ তিন দফা প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত করার আগে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অবশ্যই অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইনটি মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। আগের মামলাগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসারেই চলবে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে এ কথাটা উল্লেখ আছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে সংসদ ডাকা হয়েছে। আইনটি যাতে সংসদে যেতে পারে সেজন্য আইনটির বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অবশ্যই অংশীজনদের ডেকে আলাপ-আলোচনা করা হবে। আপনারা আমাদের কাছ থেকে জানতে পারবেন।’
আগের মামলা আগের আইনে নিষ্পত্তির কথা সাইবার নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে। তবে সরকার আগের মামলায় নতুন আইনের কম শাস্তি নিশ্চিতের চিন্তা-ভাবনা করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে লিখা আছে- প্রথম কথা হচ্ছে অপরাধ করার সময় যে আইন বলবৎ ছিল সে আইনেই বিচারকার্য হবে এবং সেই আইনে যে সাজা ছিল সেই সাজাই দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ৩৫ অনুচ্ছেদে একটা কথা আছে, সেটা হচ্ছে যদি নতুন আইন যেটা করা হচ্ছে ওইটার পরিবর্তে সেখানে যদি সাজা অধিক হয় তাহলে সে সাজাটা দেওয়া যাবে না। পুরানো আইনে অর্থাৎ যে আইনে সে অপরাধ করেছে অথবা যে আইন বলবৎ ছিল অপরাধ করার সময়, সেই আইনে যে সাজা আছে, তাকে সেই সাজাই দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়টা হচ্ছে কোনো ভিন্নতর সাজা দেওয়া যাবে না। এখানে আমরা অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমরা যদি ২১ ধারা ধরি। এ ধারায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ বছর সাজা।
তিনি বলেন, ‘এখানে আজ নতুন আইনে অর্থাৎ সাইবার নিরাপত্তা আইনে বলা হচ্ছে পাঁচ বছর। তাহলে বিজ্ঞ আদালত যখন এ আইন পাস হওয়ার আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলবৎ থাকার সময় যে অপরাধ হয়েছে, তাহলে তিনি সংবিধান মতে এ ১০ বছর সাজা কিন্তু দিতে পারেন। আমরা সেখানে যাতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয় এমন একটা ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের হাতে ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না।
তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশন এ সভার আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, গৃহহীণদের গৃহের ব্যবস্থা করেছেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গেছেন, তা সারা বিশ্বে বাঙালি জাতির মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে; বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী
দুঃখ প্রকাশ করে আনিসুল হক আরও বলেন, যে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীও হত্যা করার সাহস পায়নি তাকে হত্যা করেছে এদেশেরই কিছু মির্জাফর-বিশ্বাস ঘাতক। তাকে সপরিবারে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। কারণ খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের একজনও বেঁচে থাকলে তাকে দাবায়ে রাখা যাবে না।
সভাপতির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুরো কৃষি ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিয়েছেন। আমাদেরকে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান,কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়লাভ করতে না পারলে, এই দেশকে বিএনপি-জামায়াত মিলে বিরানভূমি করে ফেলবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে চিরতরে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। এই ষড়যন্ত্র রুখতে হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে আবারও জয়লাভ করাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আগস্ট ট্রাজেডি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি’- শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশ চাই, বিএনপি জামায়াতের ধ্বংসের রাজনীতি চাই না। সময় এসেছে তাদের সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়ার।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের বিচার তো দূরের কথা, পুরস্কার হিসেবে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি রাজাকার ও আল-বদরকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় প্রকাশে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে বলেও এ সময় জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কমিশন গঠনের জন্য একটি খসড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতিহাস ঘেঁটে, ইতিহাসের উপর গবেষণা করে সত্য প্রতিষ্ঠা করে এটি জনগণের কাছে রেখে যাব আমরা। ’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে এবং এই বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে সরকার পরিচালনা করছেন।’
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদারসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইন ‘নতুন বোতলে পুরানো মদ’ নয়: আইনমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এজন্য প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আইনটি পাস করা হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার আইনজীবী সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করবো না বরং বাঙালি ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ঘাতকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে ষড়যন্ত্র করার জন্য আজকের দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ দিনে শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, তার পরিবারের অন্য ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। খুনিরা জানতেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশকে চাননি, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদের আমরা আজ জীবিত পেতাম না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দু’জন খুনির একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে সে দেশে অবস্থানকারী কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণভাবে কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
সোনার বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত প্রধানমন্ত্রীর