আনিসুল হক
সাবেক আইনমন্ত্রী ও সাবেক আইজিপির রিমান্ড মঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক হত্যা মামলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৩ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অন্যদিকে, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ ৯ জনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন।
এর আগে, জিহাদ হোসেন হত্যা মামলায় আনিসুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। ওয়াসিম শেখ হত্যায় আনিসুল হকের আরও ৩ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। এদিন শুনানির জন্য তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের সাবেক এমপি মজিদ ২ দিনের রিমান্ডে
যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক মামলায় সাবেক শিক্ষান্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহম্মেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম এবং গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জিহাদ হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন জিহাদ হোসেন (২২)। এ সময় গুলিতে আহত হন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নুরুল আমিন মোল্লা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনকে আসামি করে গত ৩ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল ৫ দিনের রিমান্ডে
ওয়াসিম শেখ হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মো. ওয়াসিম শেখ। সন্ধ্যা ৭টায় গুলিতে আহত হন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রেহানা আক্তার গত ২৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৩ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
৫০ দিন আগে
তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আশিক মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মহসীন এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পৃথক ৮ মামলায় আনিসুল হকসহ গ্রেপ্তার ৯
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘আশিক হত্যা মামলায় আনিসুল হককে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে ওঠানো হয়েছিল। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত ২৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আশিক মিয়া। এ ঘটনায় তার মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও আনিসুল হকসহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
৭১ দিন আগে
সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক ২ দিনের রিমান্ডে
বাড্ডা থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাবেক হুইপ গিনির রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
প্রথমে আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন৷ রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
১৮৫ দিন আগে
হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে তাদের কারও পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে সালমান ও আনিসুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মইনুল হাসান বলেন, রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে পালানোর চেষ্টাকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
২৪৬ দিন আগে
সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার: ডিএমপি
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন সাঈদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পালানোর চেষ্টাকালে ঢাকার নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় আনিসুল ও সালমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: অতিরিক্ত ডিআইজি
২৪৭ দিন আগে
কোটা সংস্কারে সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না: আইনমন্ত্রী
কোটা সংস্কারে সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেবে সরকার সেটা বিবেচনা করবে, সেটার প্রতিপালন করার চেষ্টা করবে।’
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেন। এরপর সাত থেকে আটজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে মামলা করেন। আজ যারা কোটা আন্দোলন করছেন, তারা তো হাইকোর্টে যাননি। হঠাৎ একদিন যখন হাইকোর্টের রায়ের কথা পত্রিকায় বের হয়েছে, তখন তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। তারা হাইকোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
প্রশ্ন উঠেছে, কোটা আদালতের বিষয় নয়, সরকারের বিষয়- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আদালতে যখন একটি বিষয় যায়, তখন সরকার অপেক্ষা করে আদালত কী বলে। তারপর সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার সময় হয়। তাই কোটার বিষয়ে সরকার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। সরকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান করবে।’
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকারী ছাত্রছাত্রীরা চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেন। আদালত মূল দরখাস্ত বিবেচনা, নিষ্পত্তিকালে তাদের বক্তব্য বিবেচনায় নেবেন। সর্বোচ্চ আদালত তাদের এ আশ্বাস পর্যন্ত দিয়েছেন। তারপরও এ আন্দোলন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে? আন্দোলনের যে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, এর প্রয়োজনীয়তা থাকে?’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ইনডেমনিটি আইনের ধারাবাহিকতায় আমরা কিন্তু এখন ছাত্রদের মুখে স্লোগানের কথা শুনছি। যারা আন্দোলন করছেন, তারা যদি- আমি কে, তুমি কে, আমরা বাঙালি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান- বলতেন তাহলে আমি অবশ্যই বলতাম তারা সঠিক পথে আছেন।’
আনিসুল হক বলেন, ‘যৌক্তিক কথা প্রধানমন্ত্রী শুনবেন। জনগণের জন্য যেটি ভালো হয়, সেটি প্রধানমন্ত্রী করবেন, কিন্তু তার সরকার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না। সেই আদর্শ হলো বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ অসম্মান করতে পারবে না। এ চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ এবং একটি আইনের শাসনে প্রতিষ্ঠিত দেশ হিসেবে পরিচিত করার সংগ্রামে লিপ্ত হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাংলাদেশে বিচারহীনতার জন্ম দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করে দেওয়ার হাতিয়ার হয়েছিল। এই অধ্যাদেশ জন্ম দিয়েছিল- বাংলাদেশে রাজাকার, আল-বদর এবং নিজামী মুজাহিদরাই থাকবে, মুক্তিযোদ্ধারা থাকবে না।’
ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ১২ই নভেম্বর এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করে প্রমাণ করে দেন যে, বাংলাদেশের জনগণ এই অর্ডিন্যান্স সহ্য করবে না।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রেতাত্মারা: আইনমন্ত্রী
কোটা নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ন্যায়বিচার করবেন আদালত: আইনমন্ত্রী
২৭৫ দিন আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রেতাত্মারা: আইনমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
শুক্রবার (১২ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী ও বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, কোটা আন্দোলনে সেই প্রেতাত্মাদের ষড়যন্ত্র অস্বীকার করতে পারব না।’
এ সময় নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে সর্ব্বোচ্চ আদালতের আদেশ মেনে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাবেন।
জানমাল রক্ষা করা এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, 'সেখানে যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।'
আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন- আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
২৭৯ দিন আগে
মুক্ত খালেদাকে কীভাবে মুক্তি দেব, বুঝে উঠতে পারছি না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘মুক্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কিভাবে মুক্তি দেব, তা বুঝে উঠতে পারছি না।’
বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার শর্তহীন মুক্তির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস অসত্য ও আক্রমণাত্মক কথা বলছেন: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, ‘দেখুন, আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না! খালেদা জিয়া মুক্ত, এই মুক্ত মানুষকে আবার কী করে মুক্তি দেব?’
সোমবার ‘খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না’ উল্লেখ করে তার মুক্তি দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার দণ্ড বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে। সম্প্রতি তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ন্যায়বিচার করবেন আদালত: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ হাস্যকর: আইনমন্ত্রী
২৮২ দিন আগে
বিচার বিভাগের দক্ষতা-সক্ষমতা বাড়াতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে আরও বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। যার অন্যতম হলো মাদারীপুরের শিবচরে ৩৭ দশমিক ২৭ একর জমির উপর বিশ্বমানের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠা।
তিনি বলেন, এ একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আশা করছি, এই টাকা দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ শেষ করে আগামী অর্থবছরে জুডিসিয়াল একাডেমির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা সম্ভব হবে।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৬তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে কক্সবাজারে একটি বিশ্বমানের রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ৩ দশমিক ৩৪ একর ভূমি বরাদ্দ দিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আরও দুইটি অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া ঢাকায় বিদ্যমান চারটি অর্থঋণ আদালতের পাশাপাশি আরও তিনটি অর্থঋণ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে আদালত সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৬তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির শত্রু হিসেবে খ্যাত খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী।
তাই ঋণখেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি আরও কার্যকরভাবে অনুসরণের পরামর্শ দিয়ে বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ মামলার শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপণ রোধ করতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, অর্থঋণ আদালত আইনের ৪৬ (৫) ধারা মতে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আদালত, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (আর্থিক প্রতিষ্ঠান/ব্যাংকার) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিয়মিত সমন্বয় সাধন এবং বাদীপক্ষ/ডিক্রিদার পক্ষের সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এছাড়া ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ মঞ্জুরির বিষয়ে জবাবদিহি ও ঋণ আদায়ে বাদীপক্ষের দায়-দায়িত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কেবল ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ রেখেছে ২ হাজার ২২ কোটি টাকা। এর বাইরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জন্যও বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৪৮ কোটি টাকা।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক শেখ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে: আইনমন্ত্রী
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
৩১২ দিন আগে
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের সব অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতামূলক মনোভাব ও ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা ও বিচারকর্মে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আন্তরিক।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
শনিবার (৮ জুন) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি অ্যাক্রোস দ্য বর্ডার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, দেশের জাতীয় অগ্রগতি ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নীতির ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত। এসব নীতির প্রতি বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধানের আলোকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ফলে বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিচারকরা স্বাধীনভাবে ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছে বলে জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের কর্মক্ষেত্রের সুযোগ-সুবিধা, বেতন-ভাতা, আবাসন এবং পরিবহনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করা হয়েছে। ফলে নাগরিকদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগ দক্ষতার সঙ্গে ও কার্যকরভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির সমন্বয় ও বিচার প্রক্রিয়ার আধুনিকায়নের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে শুধু বিচার প্রশাসনের উন্নতিই হবে না বরং বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাও জোরদার হবে।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, ভুটানের হাইকোর্টের বিচারপতি লবজাং রিনজিন ইয়ারগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আরও পড়ুন: বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ করত: আইনমন্ত্রী
শ্রম আইন সংশোধনে কিছু বিষয়ে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে: আইনমন্ত্রী
৩১৩ দিন আগে