গণতন্ত্র
বিএনপি, গণতন্ত্র-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে: তারেক
বিএনপি, গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ক্রমাগত নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে সতর্ক করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তারা গত কয়েকদিন ধরে একটি চক্রান্তের কথা বলছি। আরেকবার ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হচ্ছে। আমরা এটা নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য বা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বলছি না। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের অস্তিত্ব, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ক্রমান্বয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সদস্যদের সম্মানে জিয়া সাইবার ফোর্সের ইফতার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
তারেক বলেন, অতীতেও দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তারা লক্ষ্য করেছেন যে, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনে ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকায় বিএনপি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছে।
সোমবার গণমাধ্যমে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের জড়িয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি জানান, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহের পর তিনি জানতে পারেন, ঘটনাটি পত্রিকায় বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
তারেক আরও বলেন, 'একটি স্বার্থান্বেষী মহল বা যারা বিএনপি, জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তারা ক্রমান্বয়ে ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় বিএনপি যে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছিল, সেরকম একটি পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে।’
জাতীয়তাবাদী সাইবার ফোর্সকে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, 'আপনারা যারা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, তাদের এটা অনুধাবন করতে হবে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য ও প্রকৃত তথ্য প্রচারের মাধ্যমে এ ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বিএনপিপন্থী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, 'আপনাদের কাছে আমার একটি বিশেষ অনুরোধ আছে। আপনাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিতে পারে। কিন্তু যে প্রেক্ষাপটে আপনারা কাজ শুরু করেছেন, তাতে বিএনপি মনে করছে, তাদের সব অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের সহযোগিতা এখন আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। আপনারা সবাই মিলে কাজ করলে আগামী দিনে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিএনপি কী করতে চায়—তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারবেন এবং জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারবেন।’
তিনি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে ফ্যাসিবাদবিরোধী জনসমর্থন আদায়ে বিএনপিপন্থী অনলাইন কর্মীদের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। ‘আপনার ভূমিকা এখন আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। মনে হচ্ছে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হলেই এটা করতে পারবেন... আমার বিশ্বাস আপনারা এই কাজটি সবচেয়ে সুন্দর ও সঠিক উপায়ে করতে পারবেন।’
স্বাধীনতার পর থেকে যখনই বিএনপি দেশ শাসনের সুযোগ পেয়েছে তখনই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন, শিল্প, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণের মতো ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বলে দাবি করেন তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
তিনি বলেন, ‘হয়তো আমরা আরও কিছু করতে পারতাম ... কিন্তু আমরা পারিনি, এটাই আমাদের সীমাবদ্ধতা। এখন পর্যন্ত যা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নত করে, জাতিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে, সেগুলোর প্রতিটি খাতে বিএনপি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং মারাত্মক দমন-পীড়ন সহ্য করেছে।’
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের সাইবার যোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দেশ ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে আবারও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এখন আবার সেই লড়াইটায় নামতে হবে। আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমার বিশ্বাস আমাদের যোদ্ধারা এই চক্রান্তকে পরাজিত করে এই লড়াইয়ে জয়ী হবে।’
৩১ দিন আগে
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী জাতিসংঘ মহাসচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ যেহেতু উল্লেখযোগ্য একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই আমি আরও বেশি গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী।’
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর এক হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গুতেরেস বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের জন্য এক সন্ধিক্ষণ, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আপনাদের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করা।’
বাংলাদেশের জনগণের পাশে থেকে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে মনে করে জাতিসংঘ: বিএনপি
এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, জাতিসংঘ শান্তি, জাতীয় সংলাপ, আস্থা ও সংহতি প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে আমরা একত্রিত হয়েছি। এই সময়ে সংহতি ও মানবতার ওপর গুরুত্বারোপ করা আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখব, যাতে আপনারাই সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা ও সুযোগগুলো গ্রহণ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমি সম্মানিত। এই রমজান সবার জন্য শান্তি, আশীর্বাদ ও নতুন আশা নিয়ে আসুক।’
৩৩ দিন আগে
গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয়: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক বলেন, ‘স্বৈরাচার চলে গেলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্বল করার নানা অপচেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছর ধরে সনাতনীরা রাজনৈতিকভাবে শোষিত হয়ে আসছে। কিন্তু, এখন তারা এটা বুঝতে পেরেছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আগামীতে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি কাজ করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাৎ হোসেন এবং বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরের অন্যান্য সন্ন্যাসী ও পুরোহিতরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: তারেক রহমান
৪৮ দিন আগে
ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের বুকে চেপে বসেছিল: মির্জা ফখরুল
দেশে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ নির্বাচনেই মুক্ত হবে গণতন্ত্র। বিগত অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার একটা পাথরের মতো আমাদের বুকে চেপে বসেছিল।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গন বলেন, সংস্কৃতি বলেন, ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গণতন্ত্র প্রয়োজন। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র পথ।’
‘গত ১৫ বছর আমরা ভয়ঙ্কর সময় পার করেছি। বিগত অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার একটা পাথরের মতো আমাদের বুকে ছিল। তারা দানবের মতো দেশের সব প্রতিষ্ঠানসহ আমাদের খেলার মাঠগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের ফুটবল-ক্রিকেটসহ ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত বছর ছাত্র-জনতার হাত ধরে ভূমিকম্প হয়ে গেল। তাদের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন একটি বাংলাদেশের সৃষ্টি। একটি রাজনৈতিক দল আজ সারা দেশে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে।’
আরও পড়ুন: আগে জাতীয়, পরে স্থানীয় নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
এসময় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় ও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বিরসহ জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও ক্রীড়া প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।
দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছিল। ফলে ক্রীড়াঙ্গন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয়মুক্ত করতে চাই। আর তাই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় এ ব্যাপারে কাজ করছি।’
৬০ দিন আগে
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রাথমিক দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের: ড. মঈন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।
এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা কাপুরুষের মতো ভারতে পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সে যেসব তরুণ ভোটার হয়েছেন, তারা গত ১৬ বছর ধরে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরে পেতে দেশের জনগণকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। ইনশাআল্লাহ সেই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে- যার জন্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লাখো মানুষ জীবন দিয়েছিলেন।’
জাতীয়তাবাদী বাউল দল ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান' স্মরণে 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী মাজার প্রাঙ্গণে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ভোটের অধিকারসহ মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে এবং মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালে নতুন প্রজন্মকে বাকশালের ট্যাবলেট খাইয়েছে এবং পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করে বিকৃত ইতিহাস শিখিয়েছে।
ড. মঈন বলেন,'কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এতে কাজ হলে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ঘটত না। আওয়ামী লীগের মনগড়া ইতিহাসে বিভ্রান্ত হয়নি বলেই ৫ আগস্ট তরুণরা নতুন ইতিহাস রচনা করেছে।‘
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আইনের শাসন, সত্য, ন্যায়বিচার ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে। ‘তারা মিথ্যা, অবিচার, নিপীড়ন, কারাবাস বা মিথ্যা মামলা সমর্থন করে না। আমরা সত্যের পথে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালালে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ‘কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করা আওয়ামী লীগ পালিয়ে আসা রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে কাজ করেছে। তাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করার কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই।’
তিনি আরও বলেন,১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ নেতারা যেভাবে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এবং জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে গেছে। ঠিক একইভাবে স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিদেশে চিকিৎসার দাবি বিএনপির
১৫৩ দিন আগে
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারই জাতীয় সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের সমস্যা সমাধানে এবং জাতির বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও ঘোষণা দেন, ‘তার দল ক্ষমতায় গেলে কৃষকের পানি সংকট নিরসন করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য আমদানি কমানোর লক্ষ্যে সত্তরের দশকের শেষ দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে খাল খনন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন, তা আবার শুরু করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিদেশে আসিফ নজরুলকে অসম্মান দেশের মর্যাদার ওপর আঘাত: তারেক রহমান
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশ, জনগণ ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গ্রামাঞ্চলসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির সবাইকে সতর্ক করতে হবে এবং এই বার্তা দিতে হবে- গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত সব খাতের সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে প্রকৃত প্রতিনিধিদের জবাবদিহি না থাকরে বাজার নিয়ন্ত্রণ বা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নির্মূল করা সম্ভব হবে না। ‘একইভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া শিক্ষা থেকে শিল্প পর্যন্ত দেশের কোনো খাতের উন্নয়ন, দুর্নীতি দমন কিংবা কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
যেকোনো মূল্যে নাগরিকদের ভোটাধিকার রক্ষা করতে হবে- ইউনিয়ন পর্যায়ের নাগরিকদেরকেও এই বার্তা পৌঁছে দিতে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন,‘ আপনাদেরকে অবশ্যই জনগণকে বলতে হবে, তারা যে দলের রাজনীতিকেই সমর্থন করুক না কেন, কাকে ভোট দিতে চায় না কেন, তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো ভুয়া নির্বাচন বা রাতে ভোটের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, 'দিনের আলোতে ভোট দিতে হবে। আপনার পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে এবং নিরাপদে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। কাউকে বিরক্ত করা বা অন্যকে ভয় দেখানোর সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে হবে। ‘আমরা যদি এটা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে আমরা ধীরে ধীরে দেশ ও জনগণের সমস্যা দূর করতে পারব।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সব ধরনের চক্রান্ত নস্যাৎ করতে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দ্রব্যমূল্য রাখতে কৃষি খাতের উন্নয়ন, কৃষকের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং সব ধরনের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন তারেক রহমান।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে আরও প্রকৃত কৃষকদের সম্পৃক্ত করে কৃষক দলকে শক্তিশালী করা হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নিন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
১৫৯ দিন আগে
গণতন্ত্রে প্রভাবিত হ্যারিস সমর্থক, আর মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনে ট্রাম্প সমর্থকরা
মঙ্গলবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট প্রদানকারী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোটারদের কাছে গুরুত্বের বিষয় ছিল সম্পূর্ণরূপে আলাদা। যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে জাতির মধ্যে একটি বৃহত্তর বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠে এ নির্বাচনে।
দেশজুড়ে ১ লাখ ১৫,০০০ এরও বেশি ভোটার নিয়ে পরিচালিত জরিপ এপি ভোটকাস্টে দেখা গেছে, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ হ্যারিসের সমর্থকদের জন্য প্রধান অনুপ্রেরণা। প্রচারের শেষ দিকে ট্রাম্পকে ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিলেন হ্যারিস। সেটিই সম্ভবত কার্যকর হয়েছে।
এতে আরও দেখা গেছে, দেশটি নেতিবাচকতা ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় ডুবে রয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকরা মূলত অভিবাসন ও মুদ্রাস্ফীতির উপর ফোকাস করছিলেন—দুটি সমস্যা যা সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট তার প্রচারণার শুরু থেকেই তুলে ধরেছেন।
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপের। এতে স্থানীয় কারখানার কর্মসংস্থান বাড়বে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ তেল উৎপাদন বাড়িয়ে দাম কমিয়ে আনবে।
সামগ্রিকভাবে, জাতি, শিক্ষা ও সম্প্রদায়ের ধরনের উপর ভিত্তি করে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের জোটগুলো ২০২০ সালের ফলাফলের সঙ্গে মূলত একই রকম দেখা গেছে।
প্রাথমিক এপি ভোটকাস্টের ফলাফলে দেখা গেছে, কিছু ডেমোগ্রাফিক গোষ্ঠীর মধ্যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে, যা চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে তরুণ, কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্পানিক ভোটারদের মধ্যে।
মূল অগ্রাধিকারের বিষয়ে ভোটারদের পরস্পরবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ করা গেছ। বিশ্বের প্রধান অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত যিনিই জয়ী হবেন তার জন্য এটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। ভোটাররা একেক প্রার্থীর গুণাবলীকে একেকভাবে দেখেছেন। তারা হ্যারিসের চেয়ে ট্রাম্পকে একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে বর্ণনা করছেন। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হিসেবে হ্যারিসকে এগিয়ে রেখেছেন ভোটাররা।
আরও পড়ুন: শুরুতেই ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও দোদুল্যমাণ রাজ্যগুলোর ফলাফল এখনো ঘোষণা হয়নি
হ্যারিস ও ট্রাম্পের ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে একমত হতে পারেননি।
হ্যারিসের ভোটারদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বলেছেন, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ তাদের ভোটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উচ্চ মূল্য, গর্ভপাত নীতি, দেশে বাক স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ বা প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাবনা- অন্য কোনো বিষয় তার সমর্থকদের জন্য এত বড় বিষয় ছিল না।
অন্যদিকে ট্রাম্পের ভোটাররা অর্থনৈতিক ইস্যু ও অভিবাসন নিয়ে বেশি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। প্রায় অর্ধেক ভোটার বলেন, উচ্চ মূল্য তাদের নির্বাচনি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে এমনটাই বলেছেন অনেকে। ট্রাম্পের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ ভোটার বলেছেন, গণতন্ত্র তাদের ভোটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
ট্রাম্পের প্রায় অর্ধেক সমর্থক দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে অর্থনীতি ও চাকরির বিষয়কে উল্লেখ করেছেন। প্রায় এক তৃতীয়াংশ জানিয়েছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে অভিবাসন।
এদিকে, হ্যারিসের সমর্থকরা সেই তুলনায় আরও বিস্তৃত সমস্যা নিয়ে মনোযোগী ছিলেন। প্রায় ৩ জনের মধ্যে একজন অর্থনীতিকে প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রায় দুইজনের মধ্যে একজন বলেছেন গর্ভপাত এবং প্রায় ১০ জনের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যসেবা অথবা জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
১৬২ দিন আগে
গণতন্ত্র নির্বাচনসহ অনেক কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন নয়, এর মধ্যে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টিও জড়িত।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী (শহীদ জিহাদ দিবস) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তারেক বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার অপরিহার্য শর্ত। তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়, এর অর্থ মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিএনপির অবিচল আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে শহীদ জিহাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারেক।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী জিহাদকে ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়।
নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন আহমেদ জিহাদ একটি অবিস্মরণীয় নাম। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্যই এই রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছিল।
তিনি বলেন, শহীদ জিহাদ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে সাহসিকতার সঙ্গে অগ্রণী ভূমিকা রাখে গিয়ে পুলিশ তার বুকে গুলি চালিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'এই নির্ভীক ছাত্রনেতা শাহাদাত বরণ করেছিলেন এবং তার আত্মত্যাগ সে বছর গণঅভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল। যার ফলে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটে।’
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, আর জিহাদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দৃঢ় প্রত্যয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারেক বলেন, 'আমরা যদি তার স্বপ্ন পূরণ করতে না পারি তাহলে তার (জিহাদের) আত্মা কষ্ট পাবে।’
বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে 'শহীদ জিহাদ দিবস' পালন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে দৈনিক বাংলা ক্রসিংয়ে জিহাদ স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আমানুল্লাহ আমানের নেতৃত্বে নব্বইয়ের দশকের একদল ছাত্রনেতাও তার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জিহাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে জিহাদ স্মৃতি পরিষদ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: তারেক রাহমানের বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ করতে সমাবেশ ধামরাই উপজেলা বিএনপি-অঙ্গদলের
১৮৯ দিন আগে
গণতন্ত্র, নির্যাতনের শিকারদের পুনর্বাসনে সহায়তায় আগ্রহী ডেনমার্ক
বাংলাদেশে সুশাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বিনির্মাণের পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে ডেনমার্কের সহযোগিতা বাড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাকে ব্যাপক বলেও স্বীকার করেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে তার নতুন কার্যভারের জন্য অভিনন্দন জানান। এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেনের মূল অভিনন্দন বার্তা হস্তান্তর করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করা হবে: ফখরুল
উপদেষ্টা আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সংস্কারসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডেনমার্কের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্য দেয় এবং গুরুত্ব দেয়।
উপদেষ্টা বিশেষ করে তরুণদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করেন, যার ফলে রাজনৈতিক ও নির্বাচনি ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রয়োজন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে ডেনমার্কের সম্পৃক্ততার অগ্রাধিকার বিশেষ করে সবুজ রূপান্তরের বিষয়ে বিস্তারিত জানান এবং ডেনমার্কের দুটি অগ্রাধিকার প্রকল্প- এপিএম টার্মিনাল কোম্পানির মাধ্যমে চট্টগ্রামের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা এবং ৫০০ মেগাওয়াট অফশোর বায়ু শক্তি উৎপাদনের বিষয়ে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
উপদেষ্টা বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য ডেনমার্কের কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে স্বাগত জানান।
উভয় পক্ষই ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের ডেনমার্কের অস্থায়ী সদস্যপদ লাভের জন্য বহুপক্ষীয় ফোরামে আরও বেশি করে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে ততদিন সমর্থন করবে বিএনপি
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন: জয়
২২০ দিন আগে
গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য যারা দায়ী তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনও রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
রিজভী বলেন, 'আপনি, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল একতরফাভাবে কারচুপি-ডাকাতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছেন। কেন পদত্যাগ করলেন না? দেশ ও জাতির চেয়ে চাকরির গুরুত্ব কি আপনার কাছে বেশি ছিল? আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য যারা দায়ী তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন অন্যতম।’
গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষিবিদ সমিতি (এ্যাব)।
রিজভী বলেন, তরুণ ও কিশোরদের নেতৃত্বে পৃথিবী কাঁপানো আন্দোলনের মাধ্যমে এক ভয়ংকর দানবকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি, ২০ দলীয় জোটসহ সমমনা দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পথ সুগম করতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তার ওপর ভিত্তি করেই ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে।’
স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিএনপি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি গভীরভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ একটি রাজনৈতিক দল। 'আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।'
তিনি বলেন, ‘অতীতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এমন একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা ক্ষমার কথা বলছেন। যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের আমরা কীভাবে ক্ষমা করতে পারি?’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
সব অফিস-আদালত-আদালতে শেখ হাসিনার ভূত এখনো বিদ্যমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন একটি বিশেষ মহলের লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করলে চারটি ছাড়া বাকি সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরের ক্ষমতায় থাকাকালে কিছু সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে এবং মিডিয়ার মালিকানা দলের অনুগতদের কাছে হস্তান্তর করে ভিন্নভাবে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘তাই এসব গণমাধ্যমগুলো ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে।’
রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের প্রাথমিক কাজ হচ্ছে সত্য উদঘাটন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা। ‘গণতন্ত্রের জন্য এটা অপরিহার্য। গণমাধ্যম যখন এই ভূমিকায় ব্যর্থ হয়, তখন তা গণতন্ত্রের স্তম্ভের পরিবর্তে স্বৈরশাসকদের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য গণমাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম।’
দেশে গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: অপরাধীদের ক্ষমা নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত: রিজভী
২২৪ দিন আগে