গণতন্ত্র
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি, ফলাফলও সবার মেনে নেওয়া উচিত: মৌনির সাতৌরি
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং এর ফলাফল সবাইকে সম্মান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতৌরি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ সফর শেষ করার আগে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সাতৌরি বলেন, ‘অবশ্যই আগামী ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে হতে হবে এবং নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। বাংলাদেশে নির্বাচনের পর স্থিতিশীলতার জন্য এই শর্ত অপরিহার্য।’
‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচন কেবল একটি ধাপ মাত্র। সব রাজনৈতিক অংশীদাররা যেন ঐকমত্য তৈরি হওয়া সংস্কারগুলোকে সমর্থন করে। সেইসঙ্গে সেগুলোর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইসাবেল উইসেলার-লিমা (ইপিপি, লুক্সেমবার্গ), আরকাদিউস মুলারচিক (ইসিআর, পোল্যান্ড), উরমাস পায়েত (রিনিউ ইউরোপ, এস্তোনিয়া) এবং ক্যাটারিনা ভিয়েরা (গ্রিনস/ইএফএ, নেদারল্যান্ডস)।
৭৬ দিন আগে
গণতন্ত্র-গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে আপস করেননি আবদুস শহিদ: বক্তারা
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মরহুম আবদুস শহিদ গণতন্ত্র-গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি—তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, আবদুস শহিদ গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি। সাংবাদিকদের রুটি-রুজির প্রশ্নেও ছিলেন সোচ্চার তিনি।
স্মরনসভার শুরুতে আব্দুস শহিদ ও গতকাল প্রয়াত নয়াদিগন্ত সম্পাদক, বর্ষিয়ান সাংবাদিক আলগীর মহিউদ্দিনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে ডিইউজে-ডিআরইউ ও টিআইবি
ডিইউজের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের সঞ্চালনায় স্মরনসভায় বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, দ্য নিউ নেশনের সাবেক এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বাকের হোসাইন, বিএফইউজের সহসভাপতি খায়রুল বাশার, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম মহসিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিক মুহাম্মদ ও রাশেদুল হক, আবু বকর, সিনিয়র সাংবাদিক শাহ মনওয়ার জাহান কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক আবদুস শহিদ ছিলেন অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ। সারাজীবন সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন। দেশ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেন। ওপার থেকে সংসদ সদস্যের স্থলে সাংসদ, মরহুমের স্থলে প্রয়াত, কররে স্থলে সমাধি বর্তমান যেসব শব্দ আমদানি শুরু হয়, তখন তিনি এর কট্ট্রর বিরোধীতা করেন। আমাদের ওপারের এসব শব্দ লিখতে দিতেন না। এ সময়ের তরুণ সাংবাদিকদের আদর্শবান সাংবাদিক হতে নীতিনৈতিকতা ও আদর্শকে ধারণ করতে তাকে স্মরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, দলীয় রাজনীতির প্রভাবে সাংবাদিক সমাজ আজ বিভক্ত। সে কারণে আবদুস শহিদরা যে ভূমিকা রেখেছিলেন, এখন তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যাচ্ছে না। এতে যেমন সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকতার মান নিম্নগামী হয়েছে, তেমনি সাংবাদিকেরা তাদের পেশাগত ক্ষেত্রেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই দ্বিধাবিভক্তির কারণে সাংবাদিকরা যথার্থ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছেন না।
মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, আবদুস শহিদ সত্য কথা বলতে ভীত ছিলেন না। কারাবরণ করেছেন, চাকরিচ্যুত হয়েছেন, কিন্তু সত্য প্রকাশে আপস করেননি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তার এই আপসহীন ভূমিকা তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক আবদুস শহিদ পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো জীবনযাপনের জন্য নিজের কাজকে সীমিত করেননি। তিনি সর্বসাধারণের কল্যাণে কাজ করেছেন। এ জন্য ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করতেও দ্বিধা করেননি তিনি। সাহসিকতার সঙ্গে তিনি সত্য প্রকাশ করেছেন, সততা ও আপসহীনতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
খুরশীদ আলম বলেন, আবদুস শহিদ ছিলেন সাচ্চা জাতীয়তাবাদী। তিনি সৎ ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। একজন নিষ্ঠাবান, দায়িত্বশীল ও কর্মপাগল সাংবাদিক ছিলেন। তিনি চৌকস ফোরাম লিডার ছিলেন। তিনি অকপটে সত্য কথা বলতে পারতেন।
বাকের হোসাইন বলেন, আবদুস শহিদ খুব লিবারেল মানুষ ছিলেন। কোনো বিরোধ চরমপর্যায়ে নিয়ে যেতেন না। তাই তাকে বলতাম আপসকামী মানুষ। মোট কথায় তিনি অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান মানুষ ছিলেন। তিনি ডিইউজের কোনো বলয়ের নেতা ছিলেন না। তিনি সবার নেতা ছিলেন।
১০২ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে ভুল পদক্ষেপ, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্তের বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
অন্তর্বর্তী সরকারের যেকোনো ভুল সিদ্ধান্ত দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এবং ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও মৌলবাদের উত্থানের পথ উন্মুক্ত করে দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘সরকারের যেকোনো ভুল পদক্ষেপ গণতন্ত্রের যাত্রাকে সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ এবং মৌলবাদ মাথা উঁচু করতে পারে। তাই, আমাদের সকলকে, বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’
আশুলিয়ার শ্রীপুরে দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে বুধবার (৩০ জুলাই) বিএনপির ঢাকা জেলা শাখা আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে ভার্চুয়াল ভাষণে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন।
২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় নৃশংস ঘটনার শিকারদের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আন্দোলনের সময় আশুলিয়া থানার কাছে শহীদদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
পড়ুন: খালেদা জিয়া সুস্থ, নির্বাচনে অংশ নেবেন: আবদুল আউয়াল মিন্টু
ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের উল্লেখ করে তারেক বলেন, জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে আশা করেছিল তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার হবে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে না দিয়ে, তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে কাজ করার পরিবর্তে খারাপ কৌশল অবলম্বন করতে পারে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচনী অগ্রাধিকার নির্ধারণে প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা অন্তর্বর্তী সরকার প্রদর্শন করছে কিনা তা নিয়ে জনগণের মধ্যে একটি গুরুতর উদ্বেগ ও প্রশ্ন রয়েছে।’
তারেক আরও সতর্ক করে বলেন, পরাজিত ও পলাতক ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো তাদের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য সরকারের কোনো ভুলের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, শত শত শহীদের রক্তপাতের পরও পতিত, পলাতক, পরাজিত এবং ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো ছায়ায় লুকিয়ে আছে, ফিরে আসার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিভেদ তৈরি না করার আহ্বান জানান, যাতে দেশের গণতন্ত্র আবার বাধাগ্রস্ত না হয়।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে রাজনৈতিকভাবে অনেক কিছু বলা এবং ব্যাখ্যা করা হচ্ছে এবং গণতন্ত্রে এটি স্বাভাবিক। কিন্তু এমন কিছু করবেন না— যা আবারও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষতি করতে পারে।’
পড়ুন: দেশে জনগণের প্রতিনিধিত্বের সরকার খুবই জরুরি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা আরও সতর্ক করে বলেন, ছোটখাটো বিষয়ে অপ্রয়োজনীয় বিরোধ ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনার প্রত্যাবর্তন’র পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
তিনি দ্রুত তাদের মতপার্থক্য ভুলে এবং দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সকল রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, আমাদের বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার এবং একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার আহ্বান জানাই। আসুন একটি সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করি।’
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাংলাদেশের মানুষ ও মাটির সন্তানদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে—এমন ঘটনায় তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিএনপির এই নেতা হতাশা প্রকাশ করেন যে, সরকার এখনও গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে পারেনি।
ক্ষমতায় থাকার জন্য নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পথ বেঁছে নেওয়ার অভিযোগ করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে শেখ হাসিনা যে নৃশংসতা চালিয়েছেন—তার জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
১২৭ দিন আগে
বাংলাদেশে গণতন্ত্র খুব একটা চর্চা হয়নি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র খুব কমই চর্চা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র খুব কমই চর্চা হয়েছে। সম্ভবত এটি পাকিস্তানের রাজনীতির উত্তরাধিকার থেকে এসেছে... আমরা গণতন্ত্রকে অল্প সময়ের জন্যই চর্চা হতে দেখেছি। তারপর আমরা আবার এই চর্চা থেকে অনেক দূরে চলে গেছি।’
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে দ্য বাংলাদেশ ডায়লগ এবং ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত 'সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনাল ২০২৫' শীর্ষক জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ফখরুল এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যেখানে বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এবং আপনাদের (অসন্তুষ্টদের) কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটাই কার্যকর গণতন্ত্রের সারাংশ।’
পড়ুন: নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া গণতন্ত্র ও জুলাই বিপ্লববিরোধী: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেমন থাকবে, তেমনি ভিন্নমতের মানুষেরও মত প্রকাশের অধিকার থাকতে হবে—এটাই কার্যকর গণতন্ত্রের মূল সত্তা।’
তিনি বলেন, ‘এটা ভিন্নমত দমন করার বিষয় নয়; বরং আমাদের এর জন্য জায়গা তৈরি করতে হবে। কেউ যদি আমার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেও, তবুও তাদের মত প্রকাশের অধিকার রক্ষার জন্য আমাকে সবকিছু করতে হবে।’
ফখরুল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে বাংলাদেশের জন্য আরও সুদিন আসবে। একদিন, আমরা গর্বের সঙ্গে একটি জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।’
তরুণদের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে যে কিছুই বদলাবে না। কিন্তু আমাদের তরুণরা ইতোধ্যেই আমাদের ছাড়িয়ে গেছে। আমি এখন খুব আশাবাদী যে পরিবর্তন আসবে। বিতর্ক হবে, মতবিরোধ থাকবে— এবং আমাদের একে অপরের ভিন্নমত পোষণের অধিকার রক্ষা করতে হবে। আমি যদি কারো সঙ্গে একমত নাও হই, তবুও তাদের মতামত প্রকাশের অধিকার রক্ষার জন্য আমি আমার জীবনের ঝুঁকি নেব। আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’
বিতর্কের সময় আগে ব্যবহৃত ‘সম্মানিত’ শব্দটির কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বিতর্কের একটি বিষয়ে তার আপত্তি আছে। ‘প্রধানমন্ত্রী বা স্পিকার বলার আগে কি আমাদের সত্যিই ‘মাননীয়’ শব্দটি ব্যবহার করা উচিত? আমি বিশ্বাস করি এই ধরনের শব্দের অতিরিক্ত ব্যবহার কর্তৃত্ববাদকে প্ররোচিত করে।’’
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশেদা ইমাম এবং ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস উপস্থিত ছিলেন।
১৪৯ দিন আগে
ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ককে বাণিজ্যের চোখে দেখে ওয়াশিংটন: কুগেলম্যান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ব্যাপকভাবে বিদেশি সহায়তা কমিয়েছে মন্তব্য করে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়া কিংবা রাষ্ট্রগঠনে অর্থব্যয়ে তাদের আগ্রহ ‘নিতান্তই কম’।”
এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যকার সাম্প্রতিক ফোনালাপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের পক্ষ থেকে ওই ফোনালাপের যে বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়েছে যে ওয়াশিংটনের কাছে এখন ঢাকার সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্ব বাণিজ্য ও আঞ্চলিক বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষেত্রে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কূটনীতি বিষয়ক সাময়িকী ফরেন পলিসির উইকলি সাউথ এশিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কুগেলম্যান লিখেছেন, দুই নেতা অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (ইন্দো-প্যাসিফিক) নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনা করেন। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তার অর্থ হলো চীনের প্রভাব মোকাবিলা।
কিন্তু এ দুটো লক্ষ্যই বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলে মনে করেন এই এই দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না হলে বাংলাদেশকে ৩৭ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়তে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবেই জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতিতে অটুট রয়েছে, এতে কোনো বড় শক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান না নেওয়ার কৌশল অনুসরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত তারেক
এর আগে গেল সোমবার (৩০ জুন) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতা নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনাগুলোর একটি।
কুগেলম্যান বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনার দেশ থেকে পলায়নের পর গণতন্ত্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে উন্নয়ন সহায়তা ও কারিগরি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ফোনালাপের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টা উভয়েই যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন।’
ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত শুল্ক নীতিমালার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এ সংকট মোকাবিলায় গত এপ্রিলে জরুরি বৈঠক করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
এরই অংশ হিসেবে নতুন শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক কাঠামো ঘোষণা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি সহজ করার চেষ্টা চলছে।
চলমান আলোচনা থেকে শুল্ক সংকটের সমাধান আসবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ সরকার। আগামী ৮ জুলাই এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
১৫১ দিন আগে
ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্রকে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে বর্তমান সুযোগকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে একটি নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য যে সুযোগ তৈরি হয়েছে—তা দ্রুত কাজে লাগাতে হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকালে রাজধানীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক যাত্রা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির উদ্বোধনের জন্য এই সভার আলোচনার আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের সামনে সৃষ্ট সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্রকে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। বলেন, ‘সর্বোপরি, আমাদের যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ অতীতের রাজনৈতিক আন্দোলনে ত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের বীরদের রক্ত এবং শোকার্ত মায়েদের চোখের পানি যেন বৃথা না যায়। ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত বছরের গণঅভ্যুত্থানসহ অতীতের রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
১৫৬ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র উপায় জাতীয় নির্বাচন: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একমাত্র উপায় হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।
তিনি বলেন, ‘জনগণের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য নির্বাচন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। লন্ডনের বৈঠকে দুই নেতা (প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) এই বিষয়ে একমত হয়েছেন।’
সোমবার (১৬ জুন) সকালে লন্ডন থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন খসরু।
শুক্রবার (১৩ জুন) অধ্যাপক ইউনূস ওতারেকের মধ্যে বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতির বিরোধিতা করে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যে সমালোচনা করেছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যদি আমরা সত্যিই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি—তাহলে সবারই নিজস্ব মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত।’
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেকের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সুতরাং, প্রত্যেকেরই তাদের মতামত প্রকাশের অধিকার আছে। আমি মনে করি, এটি আমাদের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তিগুলোর মধ্যে একটি—যে প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারে। আমাদের অবশ্যই এটি মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।’
নির্বাচনের তাৎপর্যের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। ‘তরুণ প্রজন্ম কখনও ভোটদানের সুযোগ পায়নি। তাই তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায়।’
বিএনপি নেতা আশা প্রকাশ করেন, দেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাবে, কারণ জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়েছে।
ফ্যাসিবাদী উপাদানগুলোর সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, সংস্কার ঐকমত্যের উপর নির্ভর করে এবং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। ‘সংস্কার নির্বাচনের আগে শেষ হবে না এবং এর পরেও অব্যাহত থাকবে।’
ফ্যাসিবাদীদের বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের উপর নির্ভর করে। ‘বিচার বিভাগ বিচার পরিচালনা করবে এবং অভিযুক্তদের আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রায় ছয় মাস সময় আছে। যদি এই সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন না হয়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে।’
রাজনৈতিক ঐকমত্য সম্পর্কে বিএনপি নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে যত বেশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জাতির জন্য ততই মঙ্গল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্যের কারণেই আমরা স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসককে সরাতে সক্ষম হয়েছি। তাই, আমরা যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করব।’
নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে খসরু বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে বিএনপির কোনো বড় আপত্তি নেই। ‘আমরা সবসময় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। যদি সময়সীমা ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে স্থানান্তরিত হয়, তবে এটি কোনো বড় বিষয় নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঐকমত্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া।’
১৭১ দিন আগে
দেশে পদে পদে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া
দেশে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভিডিও বার্তায় একথা বলেন তিনি।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ দিয়া আমৃত্যু যে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে গেছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
‘প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারে বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে আসে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশই হয়ে ওঠে বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন,’ বলেন তিনি।আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের প্রশ্নে খালেদা জিয়া কখনও আপস করেননি: কাদের গনি
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এ দেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ করেছিলেন, সেই চট্টগ্রামেই এক সফল, সৎ, দূরদর্শী ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে খালেদা বলেন, দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করাই যেন হয় শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীর দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের নিরলস কাজ করার আহ্বান জানান দলটির চেয়ারপারসন।
১৮৯ দিন আগে
গণতন্ত্রের জন্য আর কতক্ষণ অপেক্ষা, প্রশ্ন বিএনপির নজরুলের
জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার প্রচেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের গর্বিত জনগণ—যারা ভাষা, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছি। আমরা এখনও গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করছি এবং এর জন্য আমাদের আওয়াজ তুলছি, স্লোগান দিচ্ছি এবং সমাবেশ করছি। আর কতক্ষণ? আমাদের আর কতবার এই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে?’
মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল বলেন, একটি মহল বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন পূর্বশর্ত উত্থাপন করে ও বিভিন্ন দাবি তুলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে। তারা বলছে এটা আগে করতে হবে এবং সেটা আগে করতে হবে...। আগে বা পরে করার কোনো প্রশ্নই আসে না। যা করা দরকার তা করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল বলেন, তারা শুনছেন যে অনেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি করছেন। ‘এটা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। আমরা সবাই জানি যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে। তাই, এই ধরনের দাবি করা মানে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের উপর ‘কালো ছায়া,’ নির্বাচনকে ব্যাহতের ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
যারা সংস্কারকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছেন, তাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা।
নজরুল বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনকে বিরোধী শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার এই প্রচেষ্টা আরেকটি ভুল, এমনকি একটি অপরাধও। গণতন্ত্র নিজেই একটি সংস্কার।’
তিনি বলেন, রাজতন্ত্র ও সামন্ততন্ত্র থেকে সংস্কার ও বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্রের উদ্ভব হয়েছে। ‘বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র বিভিন্নভাবে কাজ করে... তাই, সংস্কার ও গণতন্ত্র পরস্পরবিরোধী নয় বরং পরিপূরক। সেকারণেই আমরা বলি- ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, সংস্কার করতে হবে, নির্বাচন করতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর সবকিছুই করতে হবে।’
নজরুল আরও বলেন, একটি মহল প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না। ‘কিন্তু আমাদের চেয়ে কি কেউ বেশি সংস্কার চায়?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
১৯৮ দিন আগে
গণতন্ত্রের উপর ‘কালো ছায়া,’ নির্বাচনকে ব্যাহতের ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের উপর ‘নতুন কালো ছায়া’র আভাস দিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করার ও জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রের বিষয়েও সতর্ক করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে বিএনপির যৌথ সভায় থাইল্যান্ড থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রকৃত গণতন্ত্র এবং সত্যিকারের ফ্যাসিবাদমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন, সেই আশার উপর একটি নতুন ছায়া পড়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার: সালাহউদ্দিন আহমদ
সম্প্রতি থাইল্যান্ডে তার চোখের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার এবং জনগণের ভোটদান এবং অন্যান্য অধিকার হরণের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি সরকারের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশকারীকে দেশকে বিভ্রান্ত করার এবং গণতান্ত্রিক পথ থেকে বিচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেন। বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, বিভাজনের রাজনীতি আবারও শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের সঙ্গে আপস করবে না বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির প্রতিটি নেতা ও কর্মীকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদের সচেতনভাবে কাজ করতে হবে এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
ফখরুল বলেন, এখন বিএনপির প্রধান দায়িত্ব হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের কাছে আমি অনুরোধ করছি, তারা এই বিষয়গুলো খুব সচেতনভাবে মনে রাখবেন...। বিএনপির নেতা ও কর্মীদেরই ভূমিকা পালন করতে হবে—যাতে কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করতে না পারে, কেউ যেন আর স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ দিয়ে গণতন্ত্রকে দমন করতে না পারে।’
১৯৮ দিন আগে