লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের লাশ চারদিনেও ফেরত দেয়া হয়নি।
লাশ ফেরত পাওয়ার অপেক্ষায় নিহত ইউনুস আলীর বাবা বুলবুল মিয়া, মা রাবেয়া বেগম, স্ত্রী আন্জু বেগম ও বোন বুলি খাতুন চার দিন ধরে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে যাচ্ছে। কিন্তু কবে বা কখন তারা লাশ ফেরত পাবেন এ নিয়ে কিছুই বলছেন না বিজিবি, এমন অভিযোগ তাদের।
এদিকে লাশ ফেরতের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকার নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তারা বন্দরের আমাদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন।
এর আগে গত রোববার ভোররাতে ওই উপজেলার বুড়িমারী বান্ধেরমাথা সীমান্তের ৮৪৩ নং মেইন পিলারের কাছে বিএসএফ’র গুলিতে সাগর ও ইউনুছ নামে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ওই সীমান্ত দিয়ে রোববার ভোরে ভারতীয় গরু পারাপার করতে যায় বাংলাদেশি কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের টহলদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। সাগর এবং ইউনুস গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বিএসএফ তাদের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে বলে জানা যায়। চার দিন অতিবাহিত হলেও বুধবার বিকাল পর্যন্ত লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
নিহত ইউনুসের বাবা বুলবুল মিয়া বলেন, আমার ছেলে যত বড়ই অপরাধী হোক তার লাশ পাওয়ার অধিকার তো আমাদের আছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের চার দিনেও আমি আমার ছেলের লাশ পাচ্ছি না।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ইউনুসের বোন বুলি খাতুন বলেন, চার দিন ধরে বিজিবি’র কাছে যাচ্ছি। তারা আমাদের কিছুই বলছে না। আমার কোনো কথাই শুনছে না।
বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘লাশ ফেতর নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা হওয়ার পর বোঝা যাবে কবে বা কখন লাশ ফেরত পাওয়া যাবে। লাশ ফেরত পেলে আমরা তাদের পরিবারকে দিয়ে দেবো।’