বিএসএফ
হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: ৪দিন পর আজ লাশ হস্তান্তর
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ চারদিনের মাথায় ভারতের পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে।
সোমবার বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. রফিকুল ইসলাম।
নিহত সাহাবুল হোসেন বাবু হিলি সীমান্তের ধরন্দা গ্রামের আবুল হোসেনের একমাত্র ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সীমান্তে ধরন্দা এলাকার ২৮৫/২৫নং সাব-সীমানা পিলারের পাশদিয়ে ভুলবশত ভারতের কুন্ডুপাড়া এলাকায় ঢুকে পড়ে বাবু। এসময় বিএসএফ বাবুকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবু।
সোমবার ৪ দিন পর বিকাল সাড়ে ৪টায় হিলি চেকপোস্ট দিয়ে নিহত বাবুর লাশ বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে হিলি সীমান্তেরপুলিশ বাংলাদেশের হাকিমপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হিলি স্থলবন্দরে ১৮ বছর পড়ে থাকা ৫০ ট্রাক পণ্য ধ্বংস
হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশি স্থানীয়রা। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সীমান্তের ২৮৫ এর ২৫ সাব সীমানা পিলারের পাশে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাবুল হোসেন বাবু (২৪) হাকিমপুরের ধরন্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ১৮ বছর পড়ে থাকা ৫০ ট্রাক পণ্য ধ্বংস
হাকিমপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার পর সীমান্তের বাসিন্দারা দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পায়। ঘটনাটি আমাকে জানালে আমি ভারতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি শাহাবুল হোসেন বাবু নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। সে বাংলাদেশের ধরন্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শাহাবুল।
২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের পক্ষ থেকে এখনও লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।
শিগগিরই এ বিষয়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত: রেলমন্ত্রী
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া সীমান্তে বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- দোলাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মংলু (৩৬) ও একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে সাদিক (২২)।
বড়খাতা ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম জানান, বুধবার গভীর রাতে মংলু ও সাদিকসহ কয়েক বাংলাদেশি দোলাপাড়া সীমান্তে যান ভারতীয় গরু আনতে। ভারতীয়দের সহায়তায় গরু নিয়ে পারাপারের সময় কাঁটাতারের এপাড়ে থাকা বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই বাংলাদেশি।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত মংলু ও সাদিকের লাশ তাদের সহযোগীরা নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দোলাপাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের অভিযোগ
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫,৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে: বিএসএফ
শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহতের অভিযোগ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত এবং একজন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার রাতে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ওপারে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ শামিম রেজা (২৫)। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার দুলর্ভপুর ইউনিয়নের সড়াপাড়া এলাকার বাইরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের অভিযোগ
আহত ব্যক্তির নাম শরিফুল ইসলাম (৩৩)। একই উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের পোড়াপাড়া এলাকার মৃত সোহবুল হকের ছেলে।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাতে ১০-১২ জন মিলে ভারতে গরু আনতে যায়। এসময় ভারতের চাঁদনীচক বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শামিম রেজা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত শরিফুল ইসলামসহ অন্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে শরিফুল গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি রবিার রাতে বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
কিন্তু পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে তাদের পরিবার মুখ খুলছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও আমাদেরকে কিছু জানায়নি।
তিনি আরও জানান, শুনেছি ঘটনাটি অহেদপুর সীমান্ত থেকে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঘটেছে। সাধারণত ভারতের অভ্যন্তরে এমন কিছু ঘটলে বিএসএফ আমাদেরকে জানিয়ে থাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারাও আমাদের কোন কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫,৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে: বিএসএফ
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শাহাদাত হোসেন (২৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর সকালে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় সীমান্তের ৮৬৩ নম্বর মেইন পিলারের ৭ ও ৮ নম্বর সাব পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শাহাদাত হোসেন উপজলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আউলিয়ারহাট গ্রামের গাইবান্ধাপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে এবং পেশায় গরুর রাখাল।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় শাহাদাত হোসেনসহ বাংলাদেশি রাখালের দল পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় সীমান্তের ৮৬৩ নম্বর মেইন পিলারের ৭ ও ৮ নম্বর সাব পিলারর মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। তারা ভারতের কুচবিহার জেলার মাথাভাঙা থানার আশাকবাড়ি গ্রামের মডিকলবাড়ী সেতু এলাকা দিয়ে গরু আনছিলেন। এসময় বিএসএফ ১৬৯ রাণীনগর ব্যাটালিয়নের চুয়াঙ্গারখাতা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। এসময় বাকি রাখালরা পালিয়ে এলেও বিএসএফ শাহাদাতের লাশ নিয়ে যায়।
শাহাদাত হোসেনের বাবা ইদ্রিস আলী বলেন, বিএসএফের গুলিতে আমার ছেলে শাহাদাত মারা গেছে। ছবিতে দেখেছি, তার বুকে গুলি লেগেছে। ছেলের লাশ ফেরত চাই।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত পিলার থেকে ১২০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে একটি লাশ পড়েছিল। এ বিষয়ে বিএসএফের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫,৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে: বিএসএফ
ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) প্রধান পঙ্কজ কুমার সিং বলেছেন যে তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫ হাজার ৫০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বুধবার দিল্লিতে বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার এই ক্রয়ের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।’
বিএসএফ প্রধান বলেছেন, নজরদারি ক্যামেরা, ড্রোন এবং অন্যান্য মনিটরিং গ্যাজেটের জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ৫ হাজার ৫০০ নজরদারি ক্যামেরা (সিসিটিভি) এবং কিছু অন্যান্য গ্যাজেট পেয়েছি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো ক্রয়ের জন্য ৩০ কোটি টাকার তহবিল অনুমোদন করেছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ দিন পর বাংলাদেশি কৃষকের লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ
সিং বলেন, শিগগিরই বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।
তিনি সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের ব্যবহারকে একটি ‘প্রধান চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
বিএসএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, ‘আমরা সীমান্ত এলাকায় ব্যাপকভাবে নজরদারি বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। এজন্য পশ্চিম ও পূর্বাংশে (পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে) নজরদারি ক্যামেরা এবং ড্রোন ব্যবহার করা হবে।’
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, জানিয়েছেন স্থানীয়রা
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ -এর নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকালে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের উত্তর গোতামারী সীমান্তে ৯০১ নং সীমান্ত পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সাদ্দাম হোসেন (৩২) একই ইউনিয়নের ভুন্টিয়ামঙ্গল এলাকার আছির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ওই সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে নির্যাতন করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বিএসএফ ধরে নেয়ার ৩দিন পর মিলল কৃষকের লাশ
গোতামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোনাবেরুল হক মোনা জানান, তিনি লাশ দেখেছেন, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ও হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম নিহত সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, জানিয়েছেন স্থানীয়রা
পাটগ্রামে বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে বাংলাদেশি আহত
বিএসএফ ধরে নেয়ার ৩দিন পর মিলল কৃষকের লাশ
ফেনীর পরশুরামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশি এক কৃষককে ধরে নেয়ার তিনদিন পর তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বাঁশপদুয়া সীমান্ত এলাকার ৬৪ নং পিলারের ৯-১০ নং পিলারের একশ গজ ভিতরে স্থানীয়রা নিহতের লাশ দেখে বিজিবিকে খবর দেয়।
নিহত মেজবাহ উদ্দিন (৪৭) পৌর এলাকার উত্তর গুথুমা গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
স্থানীয় কাউন্সিলর, গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বিকালে উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশের অংশে ধান কাটাছিলেন মেজবাহ উদ্দিন। এসময় ভারতীয় বিএসএফ ওই সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে এবং মেজবাহ উদ্দিনকে পেয়ে আটক করে নিয়ে যায়। মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম ও তার পরিবার বিষয়টি ওইদিনই স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা থেকে নিখোঁজ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার
স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন সুমন জানান, নিখোজেঁর পরদিন সোমবার সকাল ১১টা, দুপুর ২টা এবং বিকাল সাড়ে ৫টায় পর পর তিনবার বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক করেন। কিন্তু মেজবাহ উদ্দিনকে ধরে নেয়ার বিষয়টি বিএসএফ অস্বীকার করে।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার জানান, রবিবার বিকালে মেজবাহ সীমান্ত এলাকায় গেলে বিএসএফ তাকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থলেই তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি দিতে দেখা যায়। এ সময় তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর তিনদিন আশপাশে খুঁজেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে তার লাশ কাঁটাতারের একশ গজ ভিতরে জঙ্গলের ভিতরে ফেলে দেয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
৪ বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুর রহমান জানান, ভারতের কাঁটাতারের একশ গজের ভিতরে এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিজিবিকে খবর দেয়। তবে ওই লাশের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা দাবি করছেন তিনদিন আগে ওই ব্যক্তিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনদিন আগে বিএসএফ একজনকে ধরে নিয়ে গেছে। বুধবার সকালে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দেয়। যেহেতু ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা তাই বিজিবি আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ উদ্ধার করবে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শমসাদ বেগম জানান, ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি এক কৃষক মারা গেছেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন খবর পেয়েছি।
তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় রেললাইনে কিশোরীর লাশ উদ্ধার
৫ দিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার পাঁচদিন পর চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ছোট বলদিয়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ীর লাশ ফেরত দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দামুড়হুদা সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে মুনতাজের লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে লাশটি দর্শনা থানা পুলিশ জিম্মায় নেয়।
নিহত মুনতাজ আলি (৩৫) হোসেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোট বলদিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত
পতাকা বৈঠকে ভারতের পক্ষে বিএসএফের বিজয়পুর ক্যাম্পের ইনস্পেক্টর মহেশ রায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা বিজিবির-৬ ব্যাটালিয়ন সহকারি পরিচালক ইমরান শেখ পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
এবিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াকের সরকারি নাম্বারে একাধিক কল করলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
দর্শনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকার বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের জিরো লাইনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
তিনি জানান, দর্শনা পুলিশ লাশ হস্তান্তরের পর নিহতের পরিবারের কাছে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পাঁচ দিন পর লাশ হস্তান্ত করল বিএসএফ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে অবৈধভাবে গরু নিয়ে আসার জন্য ভারত সীমান্তে যান মুনতাজ হোসেনসহ তার সঙ্গীরা। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি চালালে মুনতাজ নিহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
পরদিন রবিবার সকালে ভারত সীমান্তের মধ্যে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা। ওইদিনই বিএসএফ লাশ নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক
কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের হাতে নির্যাতিত বাংলাদেশি কৃষক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের শিংনগর সীমান্তে ঢুকে এক বাংলাদেশি কৃষককে নির্যাতন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা।
ভুক্তভোগী এসলাম আলী (৭০)।
বিজিবি-৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সুরুজ মিয়া জানান, বুধবার দুপুরে ওই কৃষক সীমান্ত জিরো লাইনের ১৫ গজের মধ্যে মাঠে কাজ করছিলেন তখন বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তে ঢুকে তাকে নির্যাতন করে। দুই হাত ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়রা কৃষককে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা আহত কৃষকের ছেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বিএসএফকে এই বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএসএফ প্রায়ই বাংলাদেশে প্রবেশ করে এখানকার কৃষকদের ওপর নির্যাতন চালায়।