বিএসএফ
ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের বুলেটে ভারতীয় চোরাকারবারি নিহত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের রাবার বুলেটে দেশটির একজন চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার গোরকমন্ডল সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে লালমনিরহাটের গোরকমন্ডল বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তে টহল জোরদার করে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। পরে সকাল সাড়ে আটটা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে গোরকমন্ডল ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফিরোজ এবং বিএসএফের পক্ষে ৩ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের অধীন ভারবান্দা গিদালদহ ক্যাম্পের কমান্ডার গিরিশ চন্দ্র নেতৃত্ব দেন। পতাকা বৈঠকের পর সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে গুলিতে নিহত ওই ভারতীয় চোরাকারবারীর লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।
বিজিবি জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম জাহানুর আলম (২৪)। তিনি ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালদহ এলাকার ভোরাম পয়োস্তি গ্রামের কবিদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
স্থানীয়রা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে একদল ভারতীয় চোরাকারবারী ওই সীমান্ত দিয়ে চোরাই মালের পোটলা নিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় ভারতীয় ভারবান্দা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।’
তারা আরও বলেন, ‘এতে ভারতীয় চোরাকারবারী জাহানুর রাবার বুলেটের স্প্রিন্ট বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলের একটি জলাশয়ে পড়ে গিয়ে নিহত হন। বাকিরা পালিয়ে যান। এসময় গোলাগুলির শব্দে গোটা সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম জানান, ‘বিএসএফের কাছে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ভোরের দিকে একদল ভারতীয় নাগরিক টহলরত বিএসএফ পোস্টে হামলা চালায়। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে এক ভারতীয় হামলাকারী নিহত হন। বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর সাথে বাংলাদেশ বা বিজিবির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’
১৪ দিন আগে
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা কমার কোনো লক্ষণ নেই
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী ভারতের স্থল সীমান্ত সবচেয়ে বেশি। কিন্তু প্রায় সময়েই নানা কারণে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। যার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানা প্রশ্নও উঠছে। সীমান্তে অব্যাহত ভয়াবহ সহিংসতায় বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে।
গত দুই বছরে হতাহতের সাম্প্রতিক পর্যালোচনায় সীমান্ত এলাকায় চলমান উত্তেজনা ও চ্যালেঞ্জের বিষয়টি উঠে এসেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের ২০২৩ সালের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় ওই বছর সীমান্তে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন বাংলাদেশি।
এর মধ্যে ১৯ জন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এবং বাকি ছয়জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনাগুলো বিএসএফ সদস্যদের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার এবং স্থানীয় ভারতীয় বাসিন্দাদের জড়িত বিক্ষিপ্ত সহিংসতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে অর্থাৎ শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য বিএসএফের মহাপরিচালকের কাছ থেকে বছরের পর বছর ধরে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, প্রাণঘাতি অস্ত্রের ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে বিএসএফ, যার ফলে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটছে।
২০২৪ সালে এই প্রবণতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বিজিবি সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গেল বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিএসএফের হাতে আরও ১৯ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আর এসব নিহত আগের বছরের একই ধরনের সহিংসতার ধারাবাহিকতা।
এ ছাড়া বছরটিতে ভারতীয় বেসামরিক নাগরিকদের হাতে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব হতাহতের কারণে উভয় সরকারের ক্ষোভ ও জবাবদিহিতার দাবিকে আরও বাড়িয়েছে।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো দেশ দুটির সরকার পর্যায় ও বাহিনী পর্যার্য়ে ধারাবাহিক আলোচনা চললেও ২০২৫ সালেও হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। প্রথম দুই মাসে, ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, আরও তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। আরও এসব নিহতদের মধ্যে– একজন বিএসএফ সদস্যদের হাতে এবং দুজন ভারতীয় নাগরিকের হাতে প্রাণ হারান।
সর্বশেষ এই প্রাণহানিগুলো অর্থনৈতিক সুযোগ, অভিবাসন বা বাণিজ্যের সন্ধানে সীমান্ত অতিক্রমকারী ব্যক্তিদের চলমান ঝুঁকির কথা তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: দহগ্রাম সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা, বিজিবির বাধা
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার উদ্বেগের জন্য একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অঞ্চলে বসবাসকারীদের জীবনকে প্রভাবিত করছে ঘন ঘন সহিংসতা। এসব অঞ্চলে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম এবং আঞ্চলিক বিরোধের খবরও পাওয়া যাচ্ছে প্রায়ই।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো উভয় দেশকে উত্তেজনা কমাতে, সীমান্ত সুরক্ষা প্রোটোকল জোরদার করা এবং সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে বিস্ময়ের ব্যাপপার হলো সাম্প্রতিক প্রাণহানির বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে এর আগের ঘটনাগুলোর ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সীমান্তে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ ও চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো।
নিহতদের পরিবারের জন্য, সহিংসতা একটি স্থায়ী দুঃখের কারণ এবং যার কোনো সমাধান নেই। মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং আরও নিরাপদ ও মানবিক সীমান্ত নীতির বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের ওপরই চাপ বাড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম শফিকুর রহমান বলেন, গত ১০ বছরে ২২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে ভারতের বিএসএফ। এছাড়া একই সময়ে ভারতীয় নাগরিকদের হাতে নিহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন বাংলাদেশি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রহমান জোর দিয়ে বলেন, বিজিবি সদস্যরা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার নীতমালা কঠোরভাবে মেনে কাজ করে। ‘যদি কোনো ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তাহলে আমরা তাদের আটক করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি অথবা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করি। আমরা কখনও গুলি চালাই না, যে কারণে আমাদের সীমান্তে বিজিবির হাতে কোনো ভারতীয় নাগরিকের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখনই বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করি, কমান্ডার স্তরে হোক বা অন্য কোনো স্তরে, আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করি যে, যদি কোনো বাংলাদেশি অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে তাহলে তাদেরদের উপর গুলি না চালাতে। বরং তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা উচিত।’
সীমান্তে বিএসএফের প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে কঠোর অবস্থান নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বিজিবির নজরদারির পরও বাংলাদেশি নাগরিকরা কীভাবে সীমান্ত অতিক্রম করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সীমান্তে ৯৯ শতাংশ ঘটনা চোরাচালান সংক্রান্ত। সীমান্তের দুই পাশেই রয়েছে চোরাচালান সিন্ডিকেট। যারা চোরাচালানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে তারা প্রায়ই ভারতীয় অংশের সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এরপর যখন তারা ফিরে আসতে থাকে তখন তারা বিএসএফের প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। এসময় সহিংস সংঘর্ষ হয় যেখানে বিএসএফ সদস্যরা বেশিরভাগ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে ভারতীয় নাগরিকরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে আমরা মানবাধিকার আইন মেনে চলি। গুলি চালানোর পরিবর্তে আমরা তাদের আটক করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি।’
শফিকুর রহমান আরও উল্লেখ করেন, সীমান্ত ফাঁড়িগুলোর (বিওপি) মধ্যে দূরত্ব অনেক বেশি। প্রতিটি বিওপি ২০ থেকে ৩৫ জন সদস্য নিয়ে পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, 'সারা দেশে বিজিবির প্রায় ৭০০টি দল রয়েছে। যারা সবসময় সীমান্তে টহল দিয়ে থাকে। তবে তা যথেষ্ট নয়। ফলে বিজিবির প্রতিরোধের শতচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু বাংলাদেশি নাগরিক অজান্তেই সীমান্ত অতিক্রম করে।’
আরও পড়ুন: সীমান্তের কাছে আইএসআই জড়ো হওয়ার খবর খাঁটি কল্পকাহিনী: প্রেস উইং
ভারতে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিজিবি সীমান্ত অতিক্রম নিরুৎসাহিত করতে এবং এর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্নভাবে সীমান্ত এলাকার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকয় সীমান্ত সম্পর্কিত হতাহত রোধের বিষয়টি অগ্রাধিকারে রয়েছে। উভয় দেশকে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং সীমান্তে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
২৬ দিন আগে
পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় আটক আলমগীর শেখ নামে এক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর আটক জেলেকে ফেরত দেওয়া হয়। আজ (মঙ্গলবার) বিকালে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলমগীর শেখ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিত থেকে জানা যায়, সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রঘুনাথপুর সীমান্তে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরার সময় অবৈধভাবে ভারতের প্রায় ৭০০ গজ ভেতরে ঢুকে পড়েন আলমগীর শেখ। এ সময় ভারতের নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল ভারত
এ ঘটনা জানার পর ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান ভারতে অনুপ্রবেশকারী আলমগীর শেখকে ফেরত চেয়ে বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ১০/৪-এস নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নৌকা ও জালসহ আলমগীর শেখকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত পাওয়া আলমগীর শেখকে নৌকা ও জালসহ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৯ দিন আগে
পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৮ মার্চ) সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তের সুইডাঙ্গা এলাকার বিপরীতে ভারতের খালপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আল-আমিন (৩৬) সদর উপজেলার হরিভাষা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।
বিজিবি ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, আল-আমিন গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। আজকে শনিবার ভোরে আলা-আমিনসহ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দলকে ভারতীয় ভাটপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল দেখে ফেলে। এ সময় তাদের উপর আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার্থে বিএসএফও তাদের উপর গুলি চালায়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল-আমিন নিহত হন। পরে বিএসএফ তার লাশ ভারতে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
খবর পেয়ে সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৭ এস এলাকায় ভারতের ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন।
পতাকা বৈঠকে এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে লাশ ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা বিএসএফের গুলিতে এক ‘চোরাকারবারি’ নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভারত ও বাংলাদেশের ১০ থেকে ১৫ জন ‘চোরাকারবারি’ বিএসএফকে আক্রমণ করে এ সময় আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বিএসএফ।
৪০ দিন আগে
জকিগঞ্জে কুশিয়ারার পানি নিতে দিচ্ছে না বিএসএফ
চুক্তি অনুসারে শুষ্ক মৌসুমে কুশিয়ারা নদী থেকে বাংলাদেশের প্রতিবছর ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের কথা থাকলেও তা মানছে না ভারত। দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় চালু করা যাচ্ছে না রহিমপুরী পাম্প হাউস।
ফলে এ সময়ে কুশিয়ারা হয়ে রহিমপুরী খাল দিয়ে সিলেটের জকিগঞ্জসহ চার উপজেলার পানি ঢোকার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। এসব খাল নাব্য হারানোর কারণে ওই অঞ্চলগুলোর সেচ সুবিধা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে হাজার হাজার একর জমি অনাবাদি পড়ে থাকছে।
এই সংকট নিরসনে ২০১১ সালে রহিমপুরী খাল খনন ও শতকোটি টাকা ব্যয়ে পাম্প হাউস স্থাপনের কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
২০১৬ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও বিএসএফের বাঁধার মুখে রহিমপুরী খাল ও কুশিয়ারা নদীর সংযোগস্থল খনন করতে পারেনি পাউবো। ফলে মুখ থুবড়ে পড়ে প্রকল্পটি। এক সময় মরাখালে পরিণত হয় রহিমপুরী খালটি।
আরও পড়ুন: ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক
এই অবস্থায় ২০২২ সালের ২১ আগস্ট যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে কুশিয়ারা নদী থেকে রহিমপুরী খাল দিয়ে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ও চুক্তির খসড়া প্রস্তুত হয়। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটি সম্পাদিত হয়।
কিন্তু চুক্তি সম্পাদনের পরও বিএসএফের বাধার কারণে পাম্প হাউসটি চালু করা যাচ্ছে না। রহিমপুরী খালের উৎসমুখ (কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী অংশ) খনন করতে বাধা দেওয়ায় অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে পাম্প হাউস। এতে সিলেটের চার উপজেলার বিশাল কৃষি ও মৎস্য সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, ‘বিএসএফের বাধার কারণে রহিমপুরী খালের উৎসমুখ খনন করতে না পারায় পাম্প হাউস চালু করা যাচ্ছে না। উৎসমুখ খনন করতে গেলেই বিএসএফ বাধা দিচ্ছে। ফলে জকিগঞ্জসহ সিলেটের ৫ উপজেলার কৃষি ও মৎস্য উন্নয়নে যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: এবার জয়পুরহাট সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণচেষ্টা রুখে দিল বিজিবি
স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট জেলার মধ্যে সবচেয়ে কৃষিনির্ভর উপজেলা হচ্ছে জকিগঞ্জ। আগে সেচ সুবিধা থাকায় শুষ্ক মৌসুমেও এই উপজেলায় প্রচুর ধান ও রবি শষ্য উৎপাদন হতো। কিন্তু ওই অঞ্চলের খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় নাব্য হারায় হাওর ও বিলগুলো। ফলে সেচের সুবিধা না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে এখন হাজার হাজার একর জমি অনাবাদি পড়ে থাকে।
স্থানীয়রা বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী রহিমপুরী খাল দিয়ে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার হলে জকিগঞ্জ উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকার জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে। রহিমপুরী খাল ও শাখা খাল দিয়ে পানি উপজেলার হাওর ও বিলগুলোতে নামার ফলে শুষ্ক মৌসুমেও খাল ও হাওর-বিলগুলো পানিতে পূর্ণ থাকতো। এই পানি সেচ কাজে ব্যবহার করা যেত।
এতে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খালের গভীরতা বাড়ায় বন্যার শঙ্কাও কমতো। এছাড়া খাল, বিল ও হাওর দিয়ে পানি পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ে নামতো। ফলশ্রুতিতে ওই তিন উপজেলার কৃষিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তো বলেও জানান স্থানীয়রা।
৪৭ দিন আগে
১৭-২০ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক
ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল বলেন, ‘২০২৫ সালের ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে ডিজি পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই আলোচনায় সীমান্ত সম্পর্কিত সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, পারস্পরিকভাবে সম্মত সব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিকে সম্মান জানানো হবে। এগুলো দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কাঠামোগত সম্পৃক্ততার ভিত্তি এবং সীমান্তে পারস্পরিকভাবে উপকারী নিরাপত্তা ও বাণিজ্য অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করে।’
৭৫ দিন আগে
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের হাতে মা-ছেলে আটক, পরে ফেরত
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে এক নারী ও তার ছেলেকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে ওইদিন রাতেই পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানীপুর সীমান্তের শূন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর তাদের ফেরত দেওয়া হয়।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের চান্দেরহাট সীমান্তের ৩৩৩/২ এস পিলার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন— জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের নিরলা রায় (৪৪) ও তার ছেলে আকাশ রায় (২২)।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সীমান্তে অনুপ্রবেশকালে নারী-শিশুসহ আটক ৮
বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে মা-ছেলে আটক হয়। বিষয়টি জানার পর তাদের ফেরত চায় বিজিবি। পরে সন্ধ্যায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের পর রাতে তাদের ফেরত দেয় বিএসএফ।
পতাকা বৈঠকে চান্দেরহাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনিরউদ্দীন এবং বিএসএফের পক্ষে পরিদর্শক শরৎ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মা ও ছেলেকে থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি। সেইসঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে তাদের নামে থানায় মামলা করেছে বিজিবি।’
৮০ দিন আগে
এবার জয়পুরহাট সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণচেষ্টা রুখে দিল বিজিবি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের প্রচেষ্টা এবারও রুখে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উচনা সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে জিরো পয়েন্ট থেকে ৩০ গজের মধ্যে ভারতীয় অংশে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা বিজিবির বাধায় বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় আজ (মঙ্গলবার) বিকালে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবি জানায়, সকাল ৮টার দিকে ভারতীয় চকগোপাল ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশ অংশের জয়পুরহাট-২০ বিজিবির পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা বিওপির আওতাধীন ধরঞ্জি ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া-সংলগ্ন পূর্ব উচনা গ্রামের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ২৮১ নম্বরে মেইন পিলারের ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ সাব পিলার এলাকা পর্যন্ত আনুমানিক ২০-৩০ গজ জিরো পয়েন্টের ভেতরে (ভারতীয় অংশে) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করে। এ ঘটনা জানতে পেরে হাটখোলা বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দিলে, বিজিবি সদস্যদের বাধার মুখে ভারতের বিএসএফ সদস্যরা বেড়া নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে স্থান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা: জিরো পয়েন্ট এড়িয়ে চলার আহ্বান বিজিবির
জয়পুরহাট-২০ বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ বলেন, ‘ঘন কুয়াশার মধ্যে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবির সদস্যরা বাধা দেয়। বাধা পেয়ে বিএসএফ সদস্যরা বেড়া নির্মাণ না করে ফিরে যেতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
৮৫ দিন আগে
চাঁপাই সীমান্তে ফের উত্তেজনা, মুখোমুখি দুই দেশের নাগরিক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফের সামনেই বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করছে ভারতীয় নাগরিকরা। ওপার থেকে টিয়ারশেল ছুড়তেও দেখা গেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল বিজিবি।
স্থানীয় বাংলাদেশিদের অভিযোগ, সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ সদস্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয়রা। ফলে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। এ সময় দুই দেশের নাগরিকের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
উপস্থিত কয়েকজন বলেন, বিএসএফ সদস্যরা হঠাৎ করেই কাঁটাতারের বেড়ার পাশে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তারা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা একাধিক ককটেল ফাটান। পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন বিএসএফ সদস্যরা।
বিকাল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে থেমে থেমে উত্তেজনা চলছে।
আরও পড়ুন: কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে চৌকা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনা
৫৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি চৌকা সীমান্তে আইন অমান্য করে বিএসএফের পক্ষ থেকে শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করলে বিজিবি বাধা দেয়। এতে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
৮৮ দিন আগে
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শহিদুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তি গোপনে রংপুরে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
আহত শহিদুল ইসলাম (৪০) ওই উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কাশিরডাঙ্গা গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৯ নম্বরের ৪ নম্বর উপপিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারীদের চার থেকে পাঁচজনের একটি দল ভারতের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা থানার ময়নাতলী গ্রামে গরু আনতে যায়।
এ সময় ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় শহিদুল গরু নিয়ে ফেরার পথে ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে তার পায়ে গুলি লাগে। পরে সঙ্গীরা তাকে রাতেই রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানে গোপনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আহত গরু ব্যবসায়ী (ডাঙ্গোয়াল) ছিলেন। এ ঘটনায় রবিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে মীররাপা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
৯৪ দিন আগে