বিএসএফ
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফের গুলিতে সবুজ মিয়া (২৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের শমসেরনগর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সবুজ মিয়া ওই ইউনিয়নের পচাভান্ডার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-৬১ বিজিবির অধীনস্ত শমশেরনগর সীমান্তের মেইন পিলার ৮৬৪/৫-এর বিপরীতে ভারতের ভেতরে কেনাকাটা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
শমসেরনগর বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার কামাল উদ্দিন একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, বিএসএফকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠানো করা হয়েছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তে এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। শুনেছি এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
১৩ দিন আগে
ভারতে অনুপ্রবেশ করা ৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেনী সীমান্তে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। কাজের সন্ধানে ভারতে যাওয়ার পর ওই দেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে ছিলেন তারা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে রাতে তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।
সীমান্তে অপমানজনক পুশইনের ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হওয়ায় এবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
হস্তান্তর করা বাংলাদেশিরা হলেন— ফেনীর পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের খায়েজ আহাম্মদের ছেলে সাইদুজ্জামান ভূঞা (২৯), একই উপজেলার নিজকালিকাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. এমদাদ হোসেন (২৭), ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দূর্গাপুর সিংহ নগরের ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (২৯), নওগা জেলার আবু জাফরের ছেলে মো. রাফি (২৫) ও চাঁদপুর জেলার কদরা গ্রামের হেদায়েত উল্লাহর ছেলে আবুল বাশার (৫৫)।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে ৩৯ নারী পুরুষকে হস্তান্তর বিএসএফের
পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, ওই পাঁচজনের মধ্যে সাইদুজ্জামান, এমদাদ, গিয়াস ও রাফিকে ১২ এপ্রিল ভারতের মনুমুখ এলাকা থেকে আটক করে দেশটির পুলিশ। ভারতের অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে আটকের পর তারা ৩ মাস যাবৎ সেখানে কারাগারে ছিলেন। মুক্তির পর ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়, পরে বিএসএফের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে, আবুল বাশারকে ৯ জুন ভারতের উদয়পুর থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ১ মাস যাবৎ ভারতীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, বিজিবির মাধ্যমে ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা তাদের নাম ঠিকানা যাচাই করে দেখছি। তাদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।
এর আগে, ফেনীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে ৪ দফায় ৬৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করে বিএসএফ।
১১৩ দিন আগে
মেহেরপুর সীমান্তে ৩৯ নারী পুরুষকে হস্তান্তর বিএসএফের
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নারী ও শিশুসহ ৩৯ জনকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ।
মঙ্গলবার(১৯ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার সময় কাজিপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৪৭ এর নিকট বিজিবি'র কাছে তাদের হস্তান্তর করে বিএসএফ।
পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১১ সদস্যের ভারতের ১১ বিএসএফের গান্দিনা ক্যাম্পের এসি সুনিল কুমার ও বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, কাজিপুর বিওপি নায়েব সুবেদার কায়ূম হোসেন ও আসাবুর রহমান।
আরও পড়ুন: আজ ৪৫ জনকে পুশইন ও ২৭ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে বিএসএফ
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, হস্তান্তর করা ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ অবস্থান করছিলেন। ভারতীয় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে সীমান্তে এনে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
১২০ দিন আগে
লালমনিরহাটে সীমান্তে বিএসএফের পুশইনের চেষ্টা, ৯ বাংলাদেশি নাগরিক আটক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করার সময় আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোরে বুড়িমারী সীমান্ত এলাকার মাছিরবাড়ি নামক স্থান থেকে তাদের আটক করে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি)-এর একটি টহল দল।
আটকদের মধ্যে চারজন পুরুষ, তিনজন মহিলা এবং দুই শিশু রয়েছে।
আটকদের নাম হলো— মো. মোশাররফ হোসেন (৫০), তার স্ত্রী মোছা. পারভিন আক্তার (৪০) এবং তাদের তিন ছেলে মো. রাব্বি হোসেন (২৬), মো. নাহিদ হাসান (২৪) ও মো. সজীব আলী (১৬)। এছাড়া মোশাররফ হোসেনের মা মোছা. কোহিনূর নেছা (৭০) এবং মো. রাব্বি হোসেনের স্ত্রী মোছা. বর্ষা আক্তার (২২) ও তাদের দুই শিশু সন্তান মো. রেহান হোসেন (১৮ মাস) ও মোছা. জয়া খাতুন (৩)। সকলের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়ার মঙ্গলহাটা গ্রামে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে চাপে রাখতেই পুশইন করছে ভারত: মির্জা ফখরুল
বিজিবি সূত্র জানায়, আটক ব্যক্তিরা প্রায় ১০ বছর আগে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সেখানে গুজরাট প্রদেশের শচীন এলাকায় হকারি ব্যবসা করতেন। পরবর্তীতে ৯৮ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশইনের চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের আটক করে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, আটক নয়জন বর্তমানে ৬১ বিজিবি'র হেফাজতে আছেন। বুধবার বিকালে তাদের পাটগ্রাম থানায় সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
১২৬ দিন আগে
সীমান্তে আটক বাবা ও তিন সন্তানকে ফেরত দিল বিএসএফ
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে আটক এক ব্যক্তি ও তার তিন সন্তানকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বামনবাড়ি সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারসংলগ্ন এলাকায় ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ওই ব্যক্তিরা হলেন— বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কাশুয়া বাদামবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম (৫২) এবং তার তিন ছেলে সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিস্টার ও মোহাম্মদ আলফাস।
স্থানীয়রা জানান, কাজের সন্ধানে নজরুল ইসলাম তার তিন সন্তানকে নিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তারা বালিয়াডাঙ্গীর নাগরভিটা সীমান্ত দিয়ে ৩৭৩/১-এস নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করলে বামনবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দল তাদের আটক করে।
এ ঘটনার পর বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবির-৫০ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরবর্তীতে দুই বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর তাদের ফেরত আনা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ঠেলে পাঠানো দুই পরিবারের ৬ সদস্য আটক
বিজিবি জানায়, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদের ভারতে প্রবেশের পেছনে জড়িত দালাল চক্রের সন্ধানও চালানো হবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (ইউপি) মোহাম্মদ আবু সালেহ বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বিজিবি এবং বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের চারজনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।’
ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহমেদ বলেন, ‘বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।’
১৩৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১৫ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর ওই ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়।
ওই দিন বিকাল পৌনে ৩টার সময় চুয়াডাঙ্গায়-৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার সময় চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন এবং বিএসএফ-৩২ ব্যাটালিয়নের মধ্যে দর্শনা সীমান্ত মেইন পিলার ৭৬ এর নিকট শূন্য লাইনে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান এবং ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুজিত কুমারসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা বৈঠকের আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাদের দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর করা ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু রয়েছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীর বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ১৫ জনকে হস্তান্তর করেছে।
১৩৯ দিন আগে
এবার ২১ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দিল বিএসএফ
ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন থামছেই না। এবার শেরপুরে নালিতাবাড়ীর নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে রাতের আাঁধারে ২১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে নাকুগাঁও সীমান্ত এলাকার ১৪১৬ নম্বর সীমানা পিলারের মাঝখানের ৩ নম্বর সীমান্ত গেইট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
পুশইন করা সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের মধ্যে ৫ জন বয়স্ক পুরুষ, ৫ জন নারী ও ১১টি শিশু রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান।
তিনি জানিয়েছেন, পুশইন হওয়া আটককৃতদের নাকুগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। প্রথমকিভাবে তারা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা গেছে। তাদের বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ভারতের মেঘালয়ের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গতকাল গভীর রাতে ২১ জন রোহিঙ্গাকে পুশইন করেন। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের হাতিপাগার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে নাকুগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণা সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃতরা ৬টি পরিবারের সদস্য। তারা ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে যায় এবং সেখানে শ্রমিক হিসেবে হোটেলে ও বাসাবাড়িতে কাজ করতে শুরু করে। এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশের অভিযানে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে ছিল বলে পরিচয় দেয়। ভারতীয় পুলিশ পরে তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের মেঘালয়ের ডালু সীমান্তে কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে আনা হয় এবং মধ্যরাতে রাতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার ৩ নম্বর সীমান্ত গেইট দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই একইভাবে নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ নারী-পুরুষকে পুশইন করে বিএসএফ।
১৪৫ দিন আগে
বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার পর অর্ধগলিত মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে ইব্রাহিম (৪০) নামের এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ৩দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (৫ জুলাই) রাত ১০টার পর নিতপুর সীমান্তের ২৩২নং পিলার এলাকার কাতলামারী নামক স্থানে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে নিতপুর সীমান্তের রোদগ্রামের সৈয়দ মন্ডলের ছেলে ইব্রাহিম গরু নিয়ে ঘাস খাওয়াতে গেলে বিএসএফ আগ্রাবাদ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হন ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় দিনভর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। যেহেতু ঘটনাস্থল ভারতের অভ্যন্তরে, সেহেতু বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে পাতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ইব্রাহিমকে গুলি করে হত্যার বিষয়টি জানতে বিএসএফ’র আগ্রাবাদ ক্যাম্পের কাছে জানতে চায় বিজিবি। কিন্তু তারা এই হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে চিঠি চালাচালির দুদিন পর এই হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তিনদিন পর মরদেহ ফেরত দেয়।
১৬ বিজিবি নিতপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন, মরদেহ হস্তান্তরের সময় পোরশা থানা পুলিশ, বিজিবি, আগ্রাবাদ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ও নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
১৬৪ দিন আগে
তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ওয়াসিম আকরামের (২৮) লাশ অবশেষে দেশে ফিরেছে। মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় লাশটি দেশে ফেরায় সন্তোষ জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকালে নিহতের স্বজন ও পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সী ইমদাদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত ওয়াসিম আকরাম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
বিজিবি জানান, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলী ঘটনাস্থলের বাংলাদেশ অংশে দাঁড়িয়ে লাশটি তার ছেলে ওয়াসিম আকরামের বলে দাবি করে। ওই সময় বিএসএফ লাশ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজার সীমান্তে ৪৮ জনকে পুশ-ইন বিএসএফের
পরে লাশ ফিরে পেতে বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করে ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ধারাবাহিক যোগাযোগের ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশি ওই যুবকের লাশ ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।
পরে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ৬০ নম্বর মেইন সীমান্ত পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফ ও দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নিহতের লাশটি বাবা রমজান আলী এবং তার বড় ভাই মেহেদী হাসান কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাঘাডাঙ্গা গ্রামে ওয়াসিম আকরামের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
১৬৪ দিন আগে
মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে আরও ২০ জনকে পুশইন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার (১৮ জুন) ভোর পৌনে ৫টার দিকে ভারত থেকে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়। এরপর মাসুদপুর বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল তাদের আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ।
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ৭ জন মহিলা ও ১০টি শিশু রয়েছে। তারা কুড়িগ্রামের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণা সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
এ ছাড়া আটকদের নাম ও ঠিকানা যাচাইয়ের কাজ শেষে তাদের শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
কর্নেল ফাহাদ বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে জোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
এর আগে, গত ৩ জুন জেলার ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারি সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে ও ২৭ মে গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৭জনকে পুশইন করে বিএসএফ।
১৮২ দিন আগে