বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৫ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৭৫ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে তারা দেশে ফেরেন।
লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরানো হয়।
লিবিয়ার বেনগাজি থেকে আজ সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বুরাক এয়ারের ফ্লাইট যোগে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা অনিয়মিতভাবে লিবিয়ায় অবস্থান করছিলেন।
প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের এই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে বিনিময় করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ১২৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে
প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে পথখরচ, কিছু খাদ্যসামগ্রী, প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা।
লিবিয়ায় বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা যৌথভাবে কাজ করছে।
১০৫ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১৫ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর ওই ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়।
ওই দিন বিকাল পৌনে ৩টার সময় চুয়াডাঙ্গায়-৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার সময় চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন এবং বিএসএফ-৩২ ব্যাটালিয়নের মধ্যে দর্শনা সীমান্ত মেইন পিলার ৭৬ এর নিকট শূন্য লাইনে বিজিবি-বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পতাকা বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান এবং ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী সুজিত কুমারসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা বৈঠকের আগে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারী ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাদের দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর করা ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৭ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু রয়েছে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীর বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ১৫ জনকে হস্তান্তর করেছে।
১২৬ দিন আগে
ইরানে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু
ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাত ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। এমতাবস্থায় ইরানে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন চালু করেছে তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৬ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইরানে বসবাসরত সকল বাংলাদেশি নাগরিক ও বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে তেহরানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় স্থাপন করা হটলাইনে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
হটলাইন নাম্বারগুলোর হোয়াটসঅ্যাপে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস, তেহরান- হটলাইন:১। +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮২। +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা- হটলাইন:+৮৮০১৭১২০১২৮৪৭
১৭১ দিন আগে
ত্রিপুরা থেকে ফিরল ১১ বাংলাদেশি
ভারতে অনুপ্রবেশের পর ত্রিপুরা রাজ্যে আটক এক নারীসহ ১১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে তারা দেশে ফেরেন।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রত্যাবাসনের সময় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের মানবপাচার প্রতিরোধ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের জরুরি সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সেলিং সেবা এবং যাতায়াতের খরচ হিসেবে নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
দেশে ফেরত আসা ব্যক্তিরা হলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মো. খাবির, মো. রুহুল, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদিরুল ইসলাম, মো. মান্নান আলী ও মো. রুহুল আমিন। এছাড়াও ফিরেছেন কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, বাগেরহাটের মো. হেলাল জমাদ্দার, ও রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম অনিক।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৭ জন
এ সময় দুইদেশের সীমান্তে আগরতলা হাইকমিশনের প্রথম সচিব এস এম আলমাস হোসেন, আখাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মোখলেছুর রহমান, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন কর্মকর্তারা ও প্রত্যাবাসিতদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ত্রিপুরায় অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে গত এক দেয়্ড় বছরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১১ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছিল। স্থানীয় আদালতের নির্দেশে তাদের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার নরসিংগর কারাগারে পাঠানো হয়। পরে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তাদের নাগরিকত্ব যাচাই শেষে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ করে।
আগরতলার বাংলাদেশ মিশনের সহকারী কনস্যুলার ওমর শরীফ বলেন, 'ভারতীয় পুলিশ বিভিন্ন সময় অবৈধ প্রবেশের জন্য এই ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতের নির্দেশে তাদের ৬ মাসের সাজা দেওয়া হয়। সাজা শেষে তারা আজ দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরত আসা সবাই পশ্চিম ত্রিপুরার নরসিংগরের ডিটেনশন সেন্টারে ছিলেন।'
তিনি আরও বলেন, 'আজ আমরা ১১ বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করাতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। আরও ১৪ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ চলমান। নাগরিকত্ব নিশ্চিত হলেই তাদের দেশে ফেরত আনা হবে।’
দেশে ফিরে আসা ফারজানা আহমেদ নিপা জানান, ‘দেশে থাকতে তিনি পার্লারে কাজ করতেন। বন্যায় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিনি ভারতের ব্যাঙ্গালোরে কাজ পাবেন এই প্রলোভনে নয় মাস আগে সীমান্ত অতিক্রম করেন। তবে সেদেশে পৌঁছানোর পরেই তিনি পুলিশের কাছে ধরা পড়ে জেলে যান।’
ব্র্যাকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. শিহাবুল হোসেন জানান, ‘আমরা তাদের দুদেশের শূন্যরেখায় স্বাগত জানিয়েছি। পরে জরুরি সহায়তা হিসেবে তাদের আমরা খাবার, কাউন্সেলিং সেবা ও নগদ তিন হাজার টাকা করে যাতায়াতের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছি।’
ভবিষ্যতে তাদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগাম তাদের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
২০৩ দিন আগে
বাংলাদেশিদের জন্য আরব আমিরাতের ভিসা প্রাক্রিয়া জোরদার
বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় কূটনৈতিক আলোচনার ফলস্বরূপ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) আবারও বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা কার্যক্রমে গতি বাড়িয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, এরইমধ্যে আমিরাতের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এই সফরের লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করা।
রবিবার (৪ মে) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএই’র রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হমুদি। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূত জানান, ‘ইউএই দূতাবাস এখন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের জন্য দলগত ভিসা প্রক্রিয়াও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হচ্ছে, যা বাণিজ্য ও পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘ইউএই’র মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেমও আবার চালু করেছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিশেষ দূতের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহে উভয় দেশের মধ্যে অর্ধডজনের বেশি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ভিসা সহজীকরণ থেকে শুরু করে বিনিয়োগ সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার দুপুরের মধ্যে ভিসা আবেদন না করলে হজে যাওয়া অনিশ্চিত
এরই মধ্যে বিপণন ব্যবস্থাপক ও হোটেল কর্মীদের মতো পেশাজীবীদের জন্য ভিসা প্রদান শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য ৫০০টি ভিসা এরইমধ্যে ইস্যু হয়েছে এবং আরও এক হাজার ভিসা অনুমোদিত হয়েছে, যা খুব শিগগিরই দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে ভিসা নীতিতে আরও শিথিলতা আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি আরও জানান, মানবিক বা বিশেষ প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলে সেসব ক্ষেত্রেও নমনীয়তা দেখানো হবে।
লুৎফে সিদ্দিকী এসব অগ্রগতিকে স্বাগত জানান এবং রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ও আমিরাত এরইমধ্যে একটি সামগ্রিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে এবং এ বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে।
২১৪ দিন আগে
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় দুই ভারতীয়কে ধরে আনলেন স্থানীয়রা
দিনাজপুরের বিরল সীমান্তে দুইজন বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফ। এ ঘটনার পাল্টা পদক্ষেপে হিসেবে তাৎক্ষণিক দুজন ভারতীয়কে ধরে এনেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার (২ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ নিয়ে পতাকা বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
স্থানীয়রা জানান, বিরলের ৮ নম্বর ধর্মপুর ইউনিয়নের বিজিবির ধর্মজৈন বিওপির কাছে সীমান্তের ৩২০ নম্বর মেইন পিলারের সাব পিলার ৯ এস ও ১০ এস-এর মধ্যবর্তী স্থানে জমিতে ধান কাটছিলেন মাসুদ ও এনামুল নামের দুই বাংলাদেশি কৃষক। এ সময় বাংলাদেশের সীমানায় অনুপ্রবেশ করে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যান।
এই ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে তারা একই এলাকা থেকে অবিনাশ টুডু ও ফিলিপ সরেন নামের দুই ভারতীয় আদিবাসী কৃষককে ধরে নিয়ে আসেন।
অবিনাশ টুডু ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার অনন্তপুর গ্রামের সরন টুডুর ছেলে এবং একই গ্রামের ফিলিপ সরেন লতু সরেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয়রা
বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের ধর্মজৈন বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার রেজাউল করিম জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি দুই কৃষককে ফেরত পেতে এবং ভারতীয় ওই দুই নাগরিককে ফেরত দিতে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকে বসেছে বিজিবি।
স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশি কৃষককে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। সে সময়ও ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনেছিলেন তারা। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উভয়কে নিজ নিজ দেশে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
২১৬ দিন আগে
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৭ বাংলাদেশি
ভারতে ছয় বছর কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন ৭ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
ফেরত আসারা হলেন- মনিকা আক্তার (২১), লিলি বেগম (৩১),কাজল গাজী (২৭),আম্বিয়া বিবি (৩২), আকলিমা খাতুন (২২), সাবিনা বিবি (২৫)ও ইসলাম সর্দার (৫৭),। তারা ঢাকা, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর ও বগুড়া জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ জানান, ভালো কাজের আশায় সাত বছর আগে তারা দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে ভারতের যান। সেখানে কলকাতায় তারা বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হন।
অনুপ্রবেশের অভিযোগে সে দেশের আদালত তাদের ৬ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ নারী
কারাভোগ শেষে ভারতের একটি এনজিও সংস্থা তাদের গ্রহণ করে শেল্টারহোমে রাখে। পরে উভয় দেশের দূতাবাসের সহযোগিতায় এবং ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় তারা দেশে ফিরেছেন।
ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে রাইটস যশোর নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদেরকে গ্রহণ করবে।
রাইটস যশোরের সাইকোসোস্যাল কাউন্সিলর জাওয়াদুল করিম জানান, ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রাতে ইসলাম সর্দার নামে একজনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ছয় নারীকে হস্তান্তরের জন্য তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগযোগ চলছে।
২২৯ দিন আগে
মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয়দের মারধরের শিকার বাংলাদেশি, হাসপাতালে ভর্তি
শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তের দুলালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম মাদব চন্দ্র (৪০)। তিনি লোহাকুচি এলাকার মৃত মদনমোহনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, লোহাকুচি সীমান্তের মালদা নদীতে মাছ ধরতে টেপাই (বাঁশের তৈরি মাছ ধরার ফাঁদবিশেষ) স্থাপন করেন মাধব। কিন্তু প্রতিদিনই ওই টেপাইয়ের মাছ চুরি করে নিয়ে যায় ভারতীয় নাগরিকরা।
আজ (শনিবার) বেলা ১১টার দিকেও তিনি নদীতে গিয়ে ভারতীয়দের তার টেপাই থেকে মাছ চুরি করতে দেখেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ভারতীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে মাধবকে মারধর করে। আহত হয়ে একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে অন্য এক ভারতীয় নাগরিকের খবরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
আরও পড়ুন: চাঁদা না দেওয়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ
এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
তিনি জানান, আহত মাদব চন্দ্র বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
২৫০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের ফেরাতে চুক্তি
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ' সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে এতে সই করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সই করেন অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াটচার্চ।
আরও পড়ুন: খনিজ চুক্তি সই না করেই হোয়াইট হাউস ছাড়লেন জেলেনস্কি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সাংবাদিকদের বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্সের একটা টিম এসেছে বাংলাদেশে। সীমান্ত, ভিসা ইত্যাদি সমস্যা এবং আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলাপ করার জন্য তারা এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া লাগোয়া অনেকগুলো দেশ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া কাছাকাছি দেশ। যেখান থেকে খুব দ্রুত নৌপথে সেখানে চলে যাওয়া যায়। স্থলপথে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি গিয়ে নৌপথে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করত। সাধারণত তারা ধরে যে দেশের লোক সেখানে তারা পাঠিয়ে দেয়। আমাদের ক্ষেত্রে সেটা করার কথা। কিন্তু তারা যেহেতু আমাদের সঙ্গে সম্পর্কটার মূল্য দেয়, তাই তারা এসেছে যে এটার কি করা যায়।'
নাসিমুল গনি বলেন, 'আমরা বললাম, স্ট্যান্ডার্ড যে প্রসেডিং আছে সেটা ঠিক আছে। এর সঙ্গে উৎস দেখা দরকার যে, মানুষ কেন দৌড়াচ্ছে সেখানে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল বুঝিয়ে সেখানে নিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া কোনো ব্যাপার না, ওয়ান-টুতে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি- এসব বলে লোকগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে দেখতেছে কি বিপদে তারা পড়েছে!'
মূলত দালালদের খপ্পরে পড়ে তারা এই অবস্থায় এসেছে। অবৈধ প্রবেশের সময় তারা তাদের ধরেছে বলে জানান নাসিমুল গনি।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ইতোমধ্যে কেউ ঘর-বাড়ি বিক্রি করেছে। কেউ জমি বিক্রি করেছে, টাকা ধার করেছে, মোটামুটি সর্বস্বান্ত হয়েছে। এই গল্পগুলো তারা সেখানে শুনেছে। তারা বিস্তারিত অনেক অনুশীলন করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা পরস্পর একমত হয়েছি যে, যখন জানবো যে আমাদের দেশের লোক তখন তাদের আমরা গ্রহণ করব। কি পদ্ধতিতে আমরা তাদের গ্রহণ করব, সেটার কার্যক্রমের অংশটি আজকে সই হয়েছে।'
এ চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কি জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, 'তারা প্রথমে আমাদের কাছে নাম পাঠাবে। নাম এই, ঠিকানা এই, আমরা তখন তদন্ত করব যে এই নামে আসলে কেউ আছে কিনা। সত্যি সে বিদেশে আছে কিনা। যখন আমরা দেখব এই নামে একটা লোক আছে, ছবিটাও মিলছে, তখন আমরা বলব ঠিক আছে তোমরা কবে পাঠাবো বলো। তারা পাঠালে পরে আমরা এদের গ্রহণ করব।'
তিনি বলেন, 'তারা (বাংলাদেশি) এখন সেখানে বিভিন্ন জায়গায় ডিটেনশন সেন্টারে আছে। তারা উপলব্ধি করেছে এই লোকগুলো পরিস্থিতির শিকার। আমরা এখন কিভাবে সমাজের লোকগুলোকে পুনর্বাসন করতে পারি। অন্যভাবে বলা যায়, আমরা কিভাবে তাদের ক্ষতিপূরণ করতে পারি। এটাতে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য একটা অঙ্গীকার করেছি।'
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে কি কোনো আর্থিক মূল্য থাকবে কিনা- এ বিষয়ে নাসিমুল গনি বলেন, 'পুনর্বাসনের প্রক্রিয়াটা আমরা আর্থিক মূল্য দিয়ে হিসাব করতে যাব না। এ বিষয়ে তো আন্তর্জাতিক কতগুলো নিয়ম আছে। সেটার বিষয়ে উভয়পক্ষ যেভাবে একমত হয়, সর্বোচ্চ যতটুকু সুবিধা আমরা নিতে পারি। অন্য যারা এভাবে পাঠিয়ে দেয়, তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের কিছু পেতাম না। এটাতো আমার হাতে একটা উদাহরণ এসে গেল।'
তিনি বলেন, 'আমি বলতে পারি এটা আমার জানামতে প্রথম এই ধরনের কোনো চুক্তি। আমার জানার ভুল হতে পারে। এক্ষেত্রে হবে যে কি কারণে এটা হচ্ছে, সেগুলো অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।'
২৫৫ দিন আগে
পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় আটক আলমগীর শেখ নামে এক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর আটক জেলেকে ফেরত দেওয়া হয়। আজ (মঙ্গলবার) বিকালে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলমগীর শেখ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিত থেকে জানা যায়, সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রঘুনাথপুর সীমান্তে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরার সময় অবৈধভাবে ভারতের প্রায় ৭০০ গজ ভেতরে ঢুকে পড়েন আলমগীর শেখ। এ সময় ভারতের নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল ভারত
এ ঘটনা জানার পর ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান ভারতে অনুপ্রবেশকারী আলমগীর শেখকে ফেরত চেয়ে বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ১০/৪-এস নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নৌকা ও জালসহ আলমগীর শেখকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত পাওয়া আলমগীর শেখকে নৌকা ও জালসহ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৬১ দিন আগে