বাংলাদেশি
মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয়দের মারধরের শিকার বাংলাদেশি, হাসপাতালে ভর্তি
শনিবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তের দুলালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম মাদব চন্দ্র (৪০)। তিনি লোহাকুচি এলাকার মৃত মদনমোহনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, লোহাকুচি সীমান্তের মালদা নদীতে মাছ ধরতে টেপাই (বাঁশের তৈরি মাছ ধরার ফাঁদবিশেষ) স্থাপন করেন মাধব। কিন্তু প্রতিদিনই ওই টেপাইয়ের মাছ চুরি করে নিয়ে যায় ভারতীয় নাগরিকরা।
আজ (শনিবার) বেলা ১১টার দিকেও তিনি নদীতে গিয়ে ভারতীয়দের তার টেপাই থেকে মাছ চুরি করতে দেখেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ভারতীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে মাধবকে মারধর করে। আহত হয়ে একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে অন্য এক ভারতীয় নাগরিকের খবরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
আরও পড়ুন: চাঁদা না দেওয়ায় পিস্তল ঠেকিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ
এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
তিনি জানান, আহত মাদব চন্দ্র বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
১৯ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের ফেরাতে চুক্তি
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ' সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে এতে সই করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সই করেন অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াটচার্চ।
আরও পড়ুন: খনিজ চুক্তি সই না করেই হোয়াইট হাউস ছাড়লেন জেলেনস্কি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সাংবাদিকদের বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্সের একটা টিম এসেছে বাংলাদেশে। সীমান্ত, ভিসা ইত্যাদি সমস্যা এবং আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলাপ করার জন্য তারা এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া লাগোয়া অনেকগুলো দেশ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া কাছাকাছি দেশ। যেখান থেকে খুব দ্রুত নৌপথে সেখানে চলে যাওয়া যায়। স্থলপথে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি গিয়ে নৌপথে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করত। সাধারণত তারা ধরে যে দেশের লোক সেখানে তারা পাঠিয়ে দেয়। আমাদের ক্ষেত্রে সেটা করার কথা। কিন্তু তারা যেহেতু আমাদের সঙ্গে সম্পর্কটার মূল্য দেয়, তাই তারা এসেছে যে এটার কি করা যায়।'
নাসিমুল গনি বলেন, 'আমরা বললাম, স্ট্যান্ডার্ড যে প্রসেডিং আছে সেটা ঠিক আছে। এর সঙ্গে উৎস দেখা দরকার যে, মানুষ কেন দৌড়াচ্ছে সেখানে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল বুঝিয়ে সেখানে নিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া কোনো ব্যাপার না, ওয়ান-টুতে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি- এসব বলে লোকগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে দেখতেছে কি বিপদে তারা পড়েছে!'
মূলত দালালদের খপ্পরে পড়ে তারা এই অবস্থায় এসেছে। অবৈধ প্রবেশের সময় তারা তাদের ধরেছে বলে জানান নাসিমুল গনি।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ইতোমধ্যে কেউ ঘর-বাড়ি বিক্রি করেছে। কেউ জমি বিক্রি করেছে, টাকা ধার করেছে, মোটামুটি সর্বস্বান্ত হয়েছে। এই গল্পগুলো তারা সেখানে শুনেছে। তারা বিস্তারিত অনেক অনুশীলন করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা পরস্পর একমত হয়েছি যে, যখন জানবো যে আমাদের দেশের লোক তখন তাদের আমরা গ্রহণ করব। কি পদ্ধতিতে আমরা তাদের গ্রহণ করব, সেটার কার্যক্রমের অংশটি আজকে সই হয়েছে।'
এ চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কি জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, 'তারা প্রথমে আমাদের কাছে নাম পাঠাবে। নাম এই, ঠিকানা এই, আমরা তখন তদন্ত করব যে এই নামে আসলে কেউ আছে কিনা। সত্যি সে বিদেশে আছে কিনা। যখন আমরা দেখব এই নামে একটা লোক আছে, ছবিটাও মিলছে, তখন আমরা বলব ঠিক আছে তোমরা কবে পাঠাবো বলো। তারা পাঠালে পরে আমরা এদের গ্রহণ করব।'
তিনি বলেন, 'তারা (বাংলাদেশি) এখন সেখানে বিভিন্ন জায়গায় ডিটেনশন সেন্টারে আছে। তারা উপলব্ধি করেছে এই লোকগুলো পরিস্থিতির শিকার। আমরা এখন কিভাবে সমাজের লোকগুলোকে পুনর্বাসন করতে পারি। অন্যভাবে বলা যায়, আমরা কিভাবে তাদের ক্ষতিপূরণ করতে পারি। এটাতে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য একটা অঙ্গীকার করেছি।'
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে কি কোনো আর্থিক মূল্য থাকবে কিনা- এ বিষয়ে নাসিমুল গনি বলেন, 'পুনর্বাসনের প্রক্রিয়াটা আমরা আর্থিক মূল্য দিয়ে হিসাব করতে যাব না। এ বিষয়ে তো আন্তর্জাতিক কতগুলো নিয়ম আছে। সেটার বিষয়ে উভয়পক্ষ যেভাবে একমত হয়, সর্বোচ্চ যতটুকু সুবিধা আমরা নিতে পারি। অন্য যারা এভাবে পাঠিয়ে দেয়, তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের কিছু পেতাম না। এটাতো আমার হাতে একটা উদাহরণ এসে গেল।'
তিনি বলেন, 'আমি বলতে পারি এটা আমার জানামতে প্রথম এই ধরনের কোনো চুক্তি। আমার জানার ভুল হতে পারে। এক্ষেত্রে হবে যে কি কারণে এটা হচ্ছে, সেগুলো অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।'
২৪ দিন আগে
পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে আটক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল বিএসএফ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় আটক আলমগীর শেখ নামে এক বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর আটক জেলেকে ফেরত দেওয়া হয়। আজ (মঙ্গলবার) বিকালে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলমগীর শেখ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রামনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবির বিজ্ঞপ্তিত থেকে জানা যায়, সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রঘুনাথপুর সীমান্তে প্রবাহিত পদ্মা নদীতে ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরার সময় অবৈধভাবে ভারতের প্রায় ৭০০ গজ ভেতরে ঢুকে পড়েন আলমগীর শেখ। এ সময় ভারতের নিমতিতা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল ভারত
এ ঘটনা জানার পর ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির-উজ-জামান ভারতে অনুপ্রবেশকারী আলমগীর শেখকে ফেরত চেয়ে বিএসএফের কমান্ড্যান্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ১০/৪-এস নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নৌকা ও জালসহ আলমগীর শেখকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত পাওয়া আলমগীর শেখকে নৌকা ও জালসহ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
৩০ দিন আগে
৫৬ বাংলাদেশি জেলেকে ছেড়ে দিল মিয়ানমার
কক্সবাজার টেকনাফ বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার সময় ছয়টি ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ)সকালে তাদের ছেড়ে দেন। এসময় জেলেদের কাছে থাকা মাছ ও জাল রেখে দেন মিয়ানমার নৌ বাহিনী।
ধরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া ছয়টি ট্রলারের মালিকরা হলো- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকার মো. বশির আহমদ, মো. আমিন, নুরুল আমিন, আব্দুর রহিম, মো. শফিক। এদের মধ্যে মো. শফিকের মালিকাধীন দুটি ট্রলার রয়েছে।
এর আগে বুধবার (৫মার্চ) দুপুরে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, মাছ শিকারে গিয়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে। তারা ইতোমধ্যে টেকনাফের উদ্দেশ্য রওনা করেছে।
টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে। তবে তাদের কাছে থাকা মাছ ও জাল রেখে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকা ১৩ জেলে উদ্ধার
৪২ দিন আগে
বাংলাদেশিসহ ১০ অভিবাসীকে গুয়ান্তানামো বে পাঠানোর সিদ্ধান্ত, মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসন নীতির আওতায় বাংলাদেশিসহ ১০ অভিবাসীকে কিউবার কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগারে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের ঘটনায় মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১ মার্চ) ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এই মামলা করেছে।
সংগঠনটির ভাষ্যে, টেক্সাস, অ্যারিজোনা ও ভার্জিনিয়া থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলার যে নাগরিকদের আটক করা হয়েছে, তারা কোনো গ্যাং সদস্য বা ঝুঁকিপূর্ণ অপরাধীও নন। অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গুয়ান্তানামো বে স্থানান্তরের এই পরিকল্পনার পেছনে বৈধ কোনো যুক্তি নেই বলে অভিমত দেয় এসিএলইউ।
আরও পড়ুন: অভিবাসন নীতিতে কঠোর ট্রাম্প, তবে ধনী হলে অন্য কথা
এছাড়া ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এসিএলইউ জানায়, মামলার ১০ জন আটক ব্যক্তির সবাইকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাসিত করার আদেশ রয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতোমধ্যে গুয়ান্তানামো বেতে স্থানান্তরের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিশিয়া ম্যাকলাফলিন শনিবার এসিএলিউয়ের এই আইনি চ্যালেঞ্জকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে ওই এজেন্সির দায়ের করা মামলার বৈধতা নিয়ে লড়বে ট্রাম্প প্রশাসন।
দ্বিতীয় মেয়াদে মসনদে বসেই অবৈধ অভিসাসীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হন ট্রাম্প। অভিবাসীদের আটক করে পাঠাতে শুরু করেন নিজ নিজ দেশে।
সূত্র: পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন
৪৫ দিন আগে
লিবিয়ায় আটকে থাকা ১৪৫ বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন
লিবিয়ার বেনগাজি গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা ১৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ফেব্রুয়ারি বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৫ জন বাংলাদেশিকে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
দূতাবাস জানিয়েছে, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিরা ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।আরও পড়ুন: লিবিয়া-তিউনিশিয়া থেকে ফিরলেন আটকে পড়া ১৬১ জন বাংলাদেশি
দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) কাজী আসিফ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে তাদের গ্রহণ করে এবং বেনগাজীর বেনিনা বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল এরইমধ্যে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং আইওএম-এর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের বিনা খরচে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
৬৩ দিন আগে
দালালের খপ্পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াচ্ছেন বাংলাদেশিরা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দালালের খপ্পরে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দালাল চক্রের কবলে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে আমরা জানতে পেরেছি। একটি বাংলাদেশি এজেন্সি রাশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাঠায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করা হয়।’আরও পড়ুন:ভারত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বেড়া দেওয়ার সব প্রোটোকল-চুক্তি মেনে চলছে: ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এ বিষয়ে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ ধরনের কাজে জড়িত রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, রাশিয়ায় মানবপাচারের সাথে জড়িত থাকা চক্রের একজনকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছে।
‘এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গমনেচ্ছুদের জন্য অথবা যাদের পাসপোর্টে রাশিয়া ভ্রমণের বৈধ ভিসা আছে, তাদের জন্য দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে,’ বলেন রফিকুল আলম।আরও পড়েন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত: ঢাকা
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে সোলায়মান কবির নামক একজন বাংলাদেশি দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তিনি পালিয়ে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান নিলে দূতাবাস তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কেউ যদি যোগাযোগ করে তাদের সমস্যার বিষয়টি জানায় তাহলে দূতাবাস তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
৬৬ দিন আগে
সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী বাংলাদেশি: মহারাষ্ট্র পুলিশ
তিন দিন আগে মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় হামলার শিকার হন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলি খান। আর তখন থেকেই শুরু হয়েছে হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের অভিযান।কথা উঠেছে, মুম্বাইয়ের বান্দ্রার মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপদ এলাকাতে মাঝরাতে কে এই নবাবের প্রাসাদে ঢুকে হামলা চালালো? এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশের সাতটি দল। শুরুতে একজনকে গ্রেফতার করলেও পরবর্তীতে বলা হয়—সে হামলাকারী না।-খবর হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা।এবার দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে মহারাষ্ট্র থানা আটক করেছে মোহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদকে। আর এই শরিফুল ইসলামকে নিয়েই শুরু হয়েছে জল ঘোলা হওয়া।মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন শরিফুল একজন বাংলাদেশি। তার ভারতীয় বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তার বিভিন্ন জিনিসপত্র ঘেটে প্রাথমিকভাবে তাকে বাংলাদেশি বলেই মনে করছে ভারতের পুলিশ।এরইমধ্যে শরিফুলের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছে পুলিশ। এতে তার বয়স ৩০ উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজ বাসায় ছুরিকাহত সাইফ আলী খান, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারপুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শরিফুল ৫-৬ মাস আগে মুম্বাইতে এসেছিলেন। এরপর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে আবার দিন পনেরো আগে বান্দ্রা এলাকায় আসেন তিনি। এখানে তিনি বিজয় দাস নামে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। তার নামবদল থেকে শুরু করে অন্যান্য কাগজপত্র কোনোটাই বৈধ না বলে দাবি ভারতীয় পুলিশের।এর আগে ১৬ জানুয়ারি মাঝরাতে সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে হামলা করে একজন। সাইফ তাকে থামাতে গেলে দুজনার মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং এক পর্যায়ে হামলাকারী সাইফের পাঁচ জায়গায় ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে বলিউডের এ নায়ক লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
৮৮ দিন আগে
মোজাম্বিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় সংকটে ৫ হাজার বাংলাদেশি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, মোজাম্বিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় দেশটিতে বসবাসরত ৫ হাজার বাংলাদেশি আর্থিক ও মানসিক সংকটে ভুগছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ের নতুন ভবনে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পররারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের এই মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, গেল বছরের ৯ অক্টোবর মোজাম্বিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল মোজাম্বিক লিবারেশন ফ্রন্ট (ফ্রেলিমো) সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। এরপর মোজাম্বিকে রাষ্ট্রপতির নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয় ২৪ অক্টোবর থেকে।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পর বেশ কয়েকটি শহরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে মোজাম্বিকে বসবাসরত ব্যবসাার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি আর্থিক এবং মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন।
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকান লুটপাট ও সম্পুর্ণরুপে ধ্বংস হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হওয়ায় অনেক বাংলাদেশি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। মাপুটো, নাম্পুলা এবং জাম্বেজিয়া প্রভিন্সে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
মোজাম্বিকে বসবাসরত বাংলাদেশিরা মূলত ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের বেশিরভাগই মুদি দোকান পরিচালনা করেন। এছাড়া, বেশকিছু সংখ্যক বাংলাদেশি কৃষিখাতে নিয়োজিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন, মোজাম্বিকের সমবর্তী দায়িত্বে রয়েছে এবং মোজাম্বিকে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমিউনিটির নেতাদের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
লিবিয়া ও তিউনিসিয়াতে নৌ দুর্ঘটনা
তিউনিস থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর মাহদিয়া নামক অঞ্চলে গত ১ জানুয়ারির নৌ দুর্ঘটনায় ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। যাদের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি এবং ২ জন সুদানিজ। শ্রম মন্ত্রণালয়র একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে তিউনিশিয়া সফর করেছে।
এছাড়া গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর আরেকটি নৌ দুর্ঘটনায় ৩৬ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এতে একজন বাংলাদেশি নহিত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশি বলে দূতাবাস। বাংলাদেশ হতে মৃতের নিকাত্মীয়ের ডিএনএ’র নমুনার সঙ্গে মিল সাপেক্ষে লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার জন্য ভিসাপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণভ্যুত্থানে আহতদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ উদ্যোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন এবং বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন বিদেশি মিশনসমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন কর করা হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়ায় গত ১ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২৫ অব্দি গুরুতর আহত ৮ জন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের ৪ সদস্যদের জন্য দ্রুততম সময়ে ভিসাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ১১ জন আহতকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ২ জন ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন । ২৮ জনের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয় প্রক্রিয়াধীন।
রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার ইস্যু
ব্রিফিংয়ে রফিকুল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ৩৬ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের ফলে মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, সীমান্তে আমাদের সকল সীমান্তরক্ষী বাহিনী সর্বাত্মক সতর্কতায় আছে। সব কিছুর পাশাপাশি আমাদের মানবিক দিকটাও বিবেচনায় রাখতে হয়েছে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে রফিকুল বলেন, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সম্পূর্ণ এলাকা আরাকান আর্মি দখল করায় সীমান্ত পারাপার বেড়ে যেতে পারে। মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইউরোপীয় দেশগুলোর ভিসা সেন্টার খোলার চেষ্টা চলমান: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৯৭ দিন আগে
সুনামগঞ্জ সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্তে ভারতীয়দের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নাকি গারোরা গুলি করেছেন; তা নিশ্চিত করতে পারেনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিব)।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সুপারি পাঠানোর সময় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক মো. সাইদুল ইসলাম উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের গামাতলা খাসপাড়া পূর্ব এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাইদুল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সুপারি পাঠানোর সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
চিকিৎসক শফিকুর ইসলাম বলেন, নিহতের বুকে ও পেটে দুটি গুলি লেগেছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কী ধরনের গুলি শরীরে লেগেছে।
স্থানীয়দের কেউ কেউ জানিয়েছেন, সীমান্তে সুপারি নিয়ে গেলে সাইদুলের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছেন তারা।
আরও পড়ুন: কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে চৌকা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনা
স্থানীয়দের ধারণা, বিএসএফের গুলিতেই সাইদুল মারা গেছেন।
সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবির অধিনায়ক একেএম জাকারিয়া কাদির জানিয়েছেন, বিএসএফের গুলিতে নাকি ভারতীয় গারোদের গুলিতে আমাদের বাংলাদেশি একজন নিহত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ জন্য মাছিমপুর বিওপি ও ভারতের কড়াইগড়া বিএসএফ ক্যাম্পের পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকের পরে জানতে পারব কী ঘটেছে।
৯৮ দিন আগে