বাংলাদেশি
ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করতে পিটার হাসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের প্ল্যাটফর্ম
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে আইনি জটিলতা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের অলাভজনক প্ল্যাটফর্ম কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ড. ইউনূসের কর্মচারীরা বেআইনিভাবে বকেয়া অর্থ আটকে রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়, ‘নিম্ন আদালত দেখেছে ড. ইউনূস নিজের করও পরিশোধ করছেন না। তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ড. ইউনূস এখনও তার পরিণতির জন্য শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করেন।’
প্ল্যাটফর্মটি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে তাদের মতামত উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ করেছে। সিনেটর হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিটিক্যাল ডেস্ককেও এই বার্তা পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে দাবি করা হয়, ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থনের সুবিধাভোগী। এতে উল্লেখ করা হয়, তার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং গ্রামীণ ফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অন্যান্য উদ্যোগের লাইসেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দিয়েছে। এর প্রাথমিক মূলধনের জন্য ৫০০ কোটি টাকাও দিয়েছে।
কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের প্লাটফর্মটির পক্ষে চিঠিতে আহ্বায়ক খালিদ হাসান লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূসের অত্যধিক শক্তিশালী আমেরিকান লবি দেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অভিভূত হয়েছিলেন। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল উদ্যোগের জাতিসংঘের নিরীক্ষা চাওয়া উচিত। শেখ হাসিনাকে হত্যার ৪৩টি প্রচেষ্টার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সিআইএকে অবশ্যই জানতে হবে।’আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হুমকি: আ.লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
চিঠিতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো গ্রেনেড হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমান বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংগঠকদের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র ও বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন।’
ওই হামলায় আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ৩১ জন নিহত হন। বেঁচে যাওয়া বেশিরভাগই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতেই এ হামলা চালানো হয়েছিল।
চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপের অভাব এবং হামলার বিষয়ে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নীরবতার সমালোচনা করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘দুঃখজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়নি। বিস্ময়কর ছিল শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নীরবতাও। তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার নিন্দা করেননি, নিহতের পরিবার বা দলকেও সান্ত্বনা দেননি।’
কমিটি জোর দিয়ে বলেছে, জাতীয় উন্নয়ন ও আইনি সংস্কারের জন্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ২০০ বছর আগে আমেরিকার স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনাযোগ্য।
চিঠির শেষ অংশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশকে অবশ্যই তার 'মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ' প্রকাশ করতে হবে এবং ইসলামী মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে এই নীতি অনুসরণ করছেন। আমাদের অবশ্যই তাকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব: পিটার হাস
বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা 'অরাজনৈতিক ও পর্যালোচনাধীন': ওমান রাষ্ট্রদূত
ওমান সালতানাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি বলেছেন, ওমানি কর্তৃপক্ষের নিয়মিত পর্যালোচনার পর বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ‘অরাজনৈতিক ও অস্থায়ী’।
রবিবার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বর্তমানে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির মাধ্যমে পর্যালোচনাধীন বিষয়টি। উভয় পক্ষের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে শিগগিরই সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
ওমানের রাষ্ট্রদূত সংক্ষিপ্ত নোটিশে বৈঠকটি অনুমোদন করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে সাম্প্রতিক জনশক্তি, জ্বালানি, সার, বিনিয়োগ ইত্যাদি সহযোগিতার বিষয়ে তাকে জানান।
ওমান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তথ্য হালনাগাদ করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে ওমান সালতানাতের সংস্কৃতি, নৈতিকতা ও পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ওমানে প্রায় ৮ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে।
ওমান কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ক ভিসার স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য ওমানের যেকোনো শর্ত পূরণে সহযোগিতা ও সমন্বয় করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে বলে আশ্বস্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওমানকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী আরও বলেন, স্বার্থ, মূল্যবোধ ও নীতির অভিন্নতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ওমান জাতিসংঘ, ওআইসি, ন্যাম, আইওআরএসহ বহুপাক্ষিক ফোরামে কার্যকর সহযোগিতা ও সমন্বয় বজায় রেখেছে এবং গাজাসহ প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুতে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণে ওমানের রাষ্ট্রদূতকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওমানের রাষ্ট্রদূত বেসরকারি চ্যানেলের পরিবর্তে জি টু জি ব্যবস্থায় ওমান সালতানাত থেকে ইউরিয়া সার কেনার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সহযোগিতা করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ সুলতান হাইথাম বিন তারিক আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: লাও গণপ্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করা উচিত এনআরবি নেতাদের: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য সবাইকে উৎসাহিত করা উচিত এনআরবি নেতাদের।
অনাবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের একটি প্রতিনিধিদল রবিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রেসিডেন্ট মোহা. সাহিদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: গার্ড রেজিমেন্টকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য এনআরবিদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি জানায় প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
তারা জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করছেন তারা।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ খুবই চমৎকার।
দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সংগঠনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রবাসীদের বিদেশে বাংলাদেশের দূত হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তারা যাতে দেশে যথাযথ স্বীকৃতি পায় তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম খানসহ অন্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারে মিয়ানমারের সমর্থনের প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতির
বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর নগরভিটা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মো. রাজু মিয়ার মৃতদেহ ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে উপজেলার জগদল বিওপি সীমান্তে বিজিবি ও পুলিশকে মৃতদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
নিহত রাজু মিয়া (২৮) উপজেলার বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের গড়িয়ালি গ্রামের হাবিবুর আলীর ছেলে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত রাজুর লাশ বিএসএফ ২ দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে।
মৃতদেহ গ্রহণের পরপর নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় শনিবার বিকালে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঘটনাটির প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।
উল্লেখ্য, রাজু ইসলাম শুক্রবার ভোরে নাগরভিটা সীমান্তের ৩৭৬/৫ পিলারের পাশ দিয়ে ভারতীয় এলাকায় গরু আনতে যায়। প্রায় ১০০ গজ অভ্যন্তরে তিনগাঁও নামক স্থানে বিএসএফ টহল দল তাকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মালয়েশিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই ) কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে অবস্থিত আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের অফিসে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেকে এনআইডি করতে পারেননি। এনআইডি না থাকায় তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের কথা বিবেচনা করে মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ।
তিনি বলেন, বিশ্বের ৪০টি দেশে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের। এর ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় এনআইডি কার্যক্রম শুরু হলো।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার শামীম আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এনআইডি সে মর্যাদার পরিচয় বহন করে।
মতবিনিময় সভায় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি, সামাজিক -সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, প্রবাসী সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রতিনিধিদল এবং হাইকমিশন ও এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি
ভারতে পাচার হওয়া নারী ও শিশুসহ ১৩ বাংলাদেশি কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন।
বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে রবিবার (২৩ জুন) রাত ১০টায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন- বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার আমজাদ তালুকদারের ছেলে রফিক তালুকদার (৫৩) ও তার ছেলে মামুন তালুকদার (২৫), একই জেলার মোল্লাহাট উপজেলার সালেক শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার (৩৮), খুলনা জেলার রুপসার আক্কাস ভূঁইয়ার ছেলে রাজু ভূঁইয়া (২৫), একই থানার আব্দুল আজিমের মেয়ে আফসানা আক্তার (২৩), তার ছেলে আমিন (৬), মেয়ে ফাতিমা (৪); একই থানার নজরুল শেখের ছেলে ওমর ফারুক শেখ (২৬), খুলনা সদরের আল আমিন হাওলাদারের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (২৩), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার আফজাল মোল্লার ছেলে আব্দুন সাত্তার (৫০), খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙার শামছুর শেখের মেয়ে ফাতেমা (২৮), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার আল আমিন হাওলাদারের ছেলে ফাহিম হাওলাদার (২) ও মাহীম হাওলাদার (৪)।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ভালো কাজের আশায় দালালচক্রের মাধ্যমে দেড় থেকে দুই বছর আগে ১৩ বাংলাদেশিকে সীমান্তপথে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাভোগের পর ভারতের মানবাধিকার সংস্থা রেসকিউ ফাউন্ডেশন তাদের গ্রহণ করে নিজেদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখে। এরপর ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে রবিবার রাতে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাদের হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের গ্রহণ করে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করে রবিবার রাতেই তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারত থেকে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি
ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরলেন ২০ বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের প্রত্যাবাসন করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু পাচার রোধবিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই প্রত্যাবাসন সফল হয়।
প্রত্যাবাসনের সময় সেখানে ছিলেন- কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের মিনিস্টার কাউন্সেলর সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে মানবপাচার ও প্রতারণার শিকার হয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বা দেশটিতে যাওয়ার পর আটক হওয়া বাংলাদেশি নারী ও শিশুদের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে রাখা হয়েছিল।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের উদ্যোগে তাদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে নিরাপদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
বাংলাদেশি আম আমদানিতে আগ্রহী চীন
চীন চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সোমবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জানান।
জুনের প্রথম সপ্তাহে চীন থেকে একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের আমবাগান ও উৎপাদন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ
চীনা প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ আম রপ্তানির অনুমোদন দেবে।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুর রহমান ছিলেন।
কৃষি খাতে চীনের বিনিয়োগের প্রত্যাশা করে মন্ত্রী বলেন, কৃষি খাতের আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণের জন্য বাংলাদেশের আধুনিক ও কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের কৃষকদের চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন, যাতে কৃষকরা কম দামে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি পেতে পারে।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সভায় কৃষি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার এবং কৃষি গবেষণা ও প্রযুক্তি বিনিময় জোরদারে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
২ মে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে এই স্টোরেজ। এখানে সারা বছর পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে।
পেঁয়াজ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে আমরা পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছি।’
নেদারল্যান্ডস সরকারের এ উদ্যোগ এক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বোঝাপড়া জোরদারের লক্ষ্যে কাতারের আমিরের সদ্য সফর: ঢাকা
কাতারের আমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
ফেরত যাবে মিয়ানমারের ১৮০ সেনা, ফিরবে ১৭০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৮০ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ১৭৭ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য ও পরে তাদের তিনজন সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। তারা নৌপথের প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা এ সপ্তাহেই তাদের ফেরত পাঠাবো বলে আশা করছিলাম। কিন্তু সমুদ্র অনুকূলে না থাকায় আগামী সপ্তাহে বা সমুদ্র শান্ত হলে সহসাই তাদের পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তায় উপকূলের সুবিধাবঞ্চিত ১২শ’ তরুণীর কর্মসংস্থান করেছে ব্র্যাক
পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটিতেও তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানান ড. হাছান।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ১৩ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠিত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) সভায় আন্তুর্জাতিক পর্যায়ে কেমন সাড়া মিলছে -এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডে জেআরপি সভায় আমাদের পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব যোগ দিয়েছেন এবং আমাদের প্রস্তাবিত অর্থ ও সহযোগিতায় গত বছরের তুলনায় ভালো সাড়া মিলছে।
আরও পড়ুন: অটিজম সচেতনতায় দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী বাংলাদেশ: মিয়ানমারে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত
ভারত সীমান্তের ভেতরে পড়ে থাকা বাংলাদেশি কিশোরের লাশ হস্তান্তর
ভারত সীমান্তের ভেতরে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকা বাংলাদেশি কিশোর মাছুম আহমদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে আলোচনা করে শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরের লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
শুক্রবার মাছুম আহমদের লাশ বিজিবি, বিএসএফ ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী থানা ও বাংলাদেশের কানাইঘাট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
কিশোর মাছুম আহমদের (১৪) সিলেটের কানাইঘাটের বাসিন্দা।
নিহতের বাবা কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সীমান্তবর্তী সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের নুরুল হক জানান, মাছুম আহমদকে পরিকল্পিতভাবে অত্যন্ত পৈশাচিক কায়দায় নির্মমভাবে হত্যা করে তার দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা ডান হাতটিও পাওয়া যায়নি। মাথার সামনে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে।
লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ও সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার ইলিয়াছ হোসেন।
তবে কীভাবে ও কেন মাছুমকে খুন হয়েছে এর সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ইছামতি নদী থেকে বিএসএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার
পলাশবাড়ীতে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত, আহত ৪