বাংলাদেশি
ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের
অসামান্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অসাম্প্রদায়িক ও নিপীড়নমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ এবং তার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
রবিবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেছেন।
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন দুর্গাপূজা এবং আসন্ন নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে তাদের সহকর্মী, সদস্য ও স্বজনদের কল্যাণের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেন, দুর্গাপূজা ও আসন্ন নির্বাচনের সময় হিন্দুদের সুরক্ষায় কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. মোমেন ধর্মীয় শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মূল্যবোধ রক্ষায় তার সমর্থন ও অঙ্গীকারের জন্য ধন্যবাদ ও প্রশংসা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুদের যুক্তরাজ্যে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং তাদের বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির পাশাপাশি দেশের অর্জনের প্রতিনিধিত্ব করার আহ্বান জানান।
হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন তাদের আত্মীয়দের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি পিটিশন হস্তান্তর করেছে।
অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্থ এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- রবিন পাল, ভাইস চেয়ারম্যান, হারাধন ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান, প্রশান্ত কুমার দত্ত, ভাইস চেয়ারম্যান, সুজিত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, বিশ্বজিৎ দে, কোষাধ্যক্ষ, কঙ্কন কান্তি ঘোষ, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ, বাপ্পি দাম, মহিলা সাংগঠনিক সম্পাদক, অর্জুন কুমার দত্ত, উপ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সচিব, বিনোদন সম্পাদক সুশান্ত কুমার হালদার ও সদস্য ডা. দেবব্রত চৌধুরী।
আরও পড়ুন: আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি: শেখ হাসিনা
মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফানের মৃত্যুর তদন্ত করছে মালয়েশিয়া পুলিশ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে মালয়েশিয়া পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশনের চিঠি পাঠানোর পর তদন্ত করার কথা জানিয়েছে সারাওয়াক প্রদেশের পুলিশ।
মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশের কুচিং শহরে অবস্থিত সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা বিভাগের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফান সাদিক ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইরফানের পরিবার এর আগে ময়নাতদন্ত এবং তদন্ত না করার লিখিত অনুরোধ করে। এজন্য হাসপাতালের মৃত্যুর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়ার পুলিশ।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুনরায় তদন্তের কথা বলা হলে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ হাইকমিশন মৃত্যুর ঘটনাটি পুনরায় তদন্ত করার জন্য মালয়েশিয়ার সরকারকে লিখিত অনুরোধ জানায়।
এরপর তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় সারাওয়াক রাজ্যের পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ফের বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
নিহত রবিউল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুলা গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে এবং গরু ব্যবসায়ী।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর একই জেলার জীবননগর উপজেলার নোনাগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মিজানুর রহমান নামে আরেক বাংলাদেশি নিহত হন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, রবিউল ইসলাম নামে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। রবিউলের খোঁজ খবর নিতে পতাকা বৈঠক ডেকেছে বিজিবি।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে পতাকা বৈঠকের পর আমরা নিশ্চিত করেছি যে ঠাকুরপুর সীমান্তে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫ হাজার রানের মাইলফলকে মাহমুদউল্লাহ
ডানহাতি অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৫ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৫ হাজার রান ছুঁতে মাহমুদউল্লাহর প্রয়োজন ছিল মাত্র এক রান। এরপর তিনি অনায়াসে সেই এক রান নিশ্চিত করেন। যার ফলে চতুর্থ বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।
নিউজিল্যান্ড সিরিজে তার অংশগ্রহণ সম্পর্কে প্রাথমিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও, ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত মাঠে নামেন এবং দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনি ৪৯ রান করেন।
মাহমুদউল্লাহর আগে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের হয়ে এই মাইলফলক অর্জন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, অভিষেক জাকিরের
লিটন বিশ্রামে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন শান্ত
বাংলাদেশ বনাম নিউ জিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ: ফাইনাল ম্যাচে তামিম ও লিটন বিশ্রামে থাকতে পারেন
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবী ছদ্দিনের ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, মিজানুর রহমান জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুর বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। তার লাশ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন ধরে ভারতীয় গরুর ব্যবসা করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজও করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার মিজানুর ও তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিজানুর। পালিয়ে যান তার সহযোগীরা।
তিনি আরও বলেন, তার লাশ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. জাবীদ হাসান গণমাধ্যমকে জানান, মিজানুর রহমানের স্ত্রী ইসনাহার থানায় এসে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তার স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
এ ঘটনার বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানার বরাত দিয়ে জীবননগর থানার ওসি আরও জানান, শনিবার বেলা ১১টার সময় এক নারী মৌখিকভাবে তার স্বামী মিজানুর তিন দিন ধরে নিখোঁজের বিষয়টি ৫৮ বিজিবিকে জানান। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে আজ শনিবার বিকালে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিয়েছে ৫৮ বিজিবি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, বিএসএফের বিরুদ্ধে মামলা
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১৬ বাংলাদেশি
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৬ বাংলাদেশি। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা যুবকরা হচ্ছেন- বুলবুল আহমেদ, মহসিন শেখ, আবুল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ, রেজাউল খান, শাহজালাল, হাসান হালদার, নাজমুল ইসলাম, মাসুদ তালুকদার, জুলহাস শেখ, রাশেদ মোড়ল, রাশেদুল ইসলাম, সাইদুজ্জামান, আবু মুসা, মিজানুর রহমান ও মাহবুল শিকদার। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা, খুলনা ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন: সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৩ বাংলাদেশি নারী
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান জানান, ভালো কাজের সন্ধানে চোরাই পথে দালালদের মাধ্যমে সাড়ে ৩ বছর আগে ভারতের তামিলনাড়ু গিয়েছিলেন ওই বাংলাদেশিরা। সেখানে বিভিন্ন দোকান ও হোটেলে কাজ করার সময় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে আদালত তাদের ৩ বছরের সাজা দিয়ে জেলে পাঠায়।
সাজার মেয়াদ শেষে ২ দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্থক্ষেপে রবিবার সন্ধ্যায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের নিজ বাড়িতে পৌছে দেওয়ার জন্য থানা থেকে তাদের গ্রহণ করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, ফেরত আসা যুবকরা গত সাড়ে তিন বছর আগে চোরাই পথে দালালদের মাধ্যমে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে যায়। সেখানে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতের সোপর্দ করলে, তাদের ৩ বছর সাজা হয়। রবিবার তাদের বিশেষ ট্রাভেল পারমিট এর মাধ্যেমে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিবৃতিতে নেতৃস্থানীয় ১৯৮ জন বাংলাদেশি আমেরিকানের নিন্দা
বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চলমান বিচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির দেওয়া বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্বকারী ১৯৮ জন মার্কিন নাগরিক।
বুধবার বাংলাদেশি আমেরিকানদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা, নিম্নস্বাক্ষরিত বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া বিবৃতিতে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।’
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই বিবৃতিটি কোনো সঠিক তথ্য না জেনেই দেওয়া হয়েছে এবং সেই প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আক্রমণ করেছে। যে স্বাধীনতা ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কতৃক নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, কর ফাঁকি, শ্রম অধিকারের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এইসব অভিযোগের মামলা এখনো বিচারাধীন ও কোনো রায় হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে স্বাক্ষরকারীরা, যাদের অনেকেই আইনের শাসন নিয়ে কথা বলেন, তারাই বাংলদেশে ড. ইউনূসের বিচার নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন অভিযোগগুলো নিয়ে কোনোকিছু না জেনেই।
এতে বলা হয়, ‘আমরা, নিম্নস্বাক্ষরিত বাংলাদেশি আমেরিকানরা অনেক বছর যাবৎ ড. ইউনূসের অসদাচরণ পর্যবেক্ষণ করে আসছি। জনসংযোগ ও প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে ড. ইউনূসের প্রতারণার কৌশল সম্পর্কেও আমরা সচেতন। আমরা মার্কিন নাগরিক হিসেবে, এসব নিয়ে আগে কখনও অভিযোগ করিনি। আমরা বিশ্বাস করি বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা ড. ইউনূসের মিত্যাচার ও প্রতারণার শিকার।’
স্বাক্ষরকারীরা বলেন, এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা শুধুমাত্র ড. ইউনূসের পক্ষে ন্যায় বিচার প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়ে থামেনি তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া, আইনের শাসন এবং অন্যান্য বিষয়ের কথাও উল্লেখ করেছে, যেগুলোর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত চেয়ে ১৬০ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: ইআরডিএফবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিবৃতির কিছু অংশে বলা হয়েছে, ‘...আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচন কমিশন দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আগের দু’টি জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।’ - এ ধরনের বিবৃতি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অতীতে, তথাকথিত ‘প্রধান দলগুলো’ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ছিল অশ্রদ্ধাশীল।’
এতে আরও বলা হয়, এটা আমাদের কাছে স্পষ্ট যে স্বাক্ষরকারীরা একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অকারণে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের সুনামকে ক্ষুণ্ন করেছেন। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তাদের দাবি পুরো বিচার ব্যবস্থাকে অসম্মান করা এবং একটি সার্বভৌম জাতির মাননীয় বিচারকদের অমর্যাদা করার সামিল।
তারা বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার গত ১৫/২০ বছরের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। লাখ লাখ প্রান্তিক নাগরিকের জীবনমানের উন্নয়নে, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা স্বাক্ষরকারীদের দলগতভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে তাদের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাহার করে ১৭০ মিলিয়ন বাংলাদেশির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বারাক ওবামার চিঠি
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন:
ডঃ নুরন নবী, কাউন্সিলম্যান, নিউজার্সিএবিএম নাসির, অধ্যাপক, নর্থ ক্যারোলিনাআবু আহমেদ মুসা, কাউন্সিলম্যান, মিশিগানরানা হাসান মাহমুদ, প্রকৌশলী, ক্যালিফোর্নিয়া ডাঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক, পেনসিলভেনিয়াস্বীকৃতি বড়ুয়া, আইটি প্রকৌশলী, নিউইয়র্কআবুল খান, স্টেট রেপ্রেজেন্টেটিভ, নিউ হেম্পসায়ারমাহবুবুল তয়ুব আলম, মেয়র, মিলবোর্ন, পেনসিলভেনিয়ামোঃ নুরুল হাসান, কাউন্সিলম্যান, মিলবোর্ন, পেনসিলভেনিয়াডঃ সুফিয়ান এ খন্দকার, বিজ্ঞানীডঃ আশরাফ আহমেদ, বিজ্ঞানী ও লেখকডঃ জোতি প্রকাশ দত্ত, লেখক, ফ্লোরিডাপ্রফেসর আবু নাসের রাজিব, ক্যালিফোর্নিয়ামোরশেদ আলম, এক্টিভিস্ট, নিউইয়র্কআহাদ আহমেদ, প্রকৌশলী, মিশিগানডঃ বামন দাস বসু, বিজ্ঞানী, মাসাচুসেটসসাফেদা বসু, এক্টিভিস্ট, মাসাচুসেটসডঃ খন্দকার মনসুর, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্কডঃ মহসিন পাটোয়ারি, অধ্যাপক, নিউইয়র্কজামাল উদ্দিন হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আলাবামাডঃ মহসিন আলী, লেখক, নিউইয়র্কদস্তগীর জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক, ভার্জিনিয়াফাহিম রেজা নূর, এক্টিভিস্ট, নিউইয়র্কডঃ জিনাত নবী, বিজ্ঞানী, নিউজার্সিহাসান ফেরদৌস, লেখক, নিউইয়র্কমেজর (অবঃ) মঞ্জুর আহমেদ, কমিউনিটি লিডার,নিউইয়র্কডঃ প্রদীপ কর, বিজ্ঞানী, নিউইয়র্কডাঃ প্রতাপ দাস, চিকিৎসক, নিউইয়র্ককৌশিক আহমেদ, সম্পাদক, নিউইয়র্কলাভলু আনসার, সাংবাদিক, নিউইয়র্করাফায়েত চৌধুরী, এক্টিভিস্ট, নিউইয়র্কআবু তাহের, এক্টিভিস্ট, পেনসিলভেনিয়াসউদ চৌধুরী, এক্টিভিস্ট, নিউইয়র্কডঃ মিজান আর মিয়া, অধ্যাপক, ইলিনয়ডঃ জামিল তালুকদার, অধ্যাপক, উইসকনসিনডঃ শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক, নিউইয়র্কডঃ হাসান মাহমুদ, অধ্যাপক, নিউজার্সিডঃ খন্দকার মনসুর, বিজ্ঞানী, মেরিল্যান্ডডঃ সৈয়দ আবু হাসনাত, শিক্ষক, মাসাচুসেটসমাহবুবুর রহমান ভূঁইয়ান, ব্যবসায়ী, জর্জিয়াতাজুল ইমাম, শিল্পী, নিউইয়র্কআব্দুর রহিম বাদশা, ব্যবসায়ী, নিউইয়র্কডঃ মিজানুর রহমান, বিজ্ঞানীআব্দুল কাদের মিয়া, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্কজাকারিয়া চৌধুরী, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্কবেদারুল ইসলাম বাবলা, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্কমিন্টু রহমান, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়ানাদিরা রহমান, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়াআরেফিন বাবুল, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়াডঃ শাহাব সিদ্দিক, বিজ্ঞানী, জর্জিয়ামোহাম্মদ আলী বাবুল, আইনজ্ঞ, নিউইয়র্কমোহাম্মদ মাওলা, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়াঝর্ণা চৌধুরী, থিয়েটার শিল্পী, নিউইয়র্কলুতফুন নাহার লতা, শিল্পী, নিউইয়র্কডাঃ ফারুক আজম, চিকিৎসক, নিউজার্সিমিয়ান হেলাল, ব্যবসায়ী, নিউজার্সিশামসুন নাহার হেলেন, প্রযুক্তিবিদ, নিউজার্সিইকবাল ইউসুফ, কমিউনিটি লিডার, মাসাচুসেটসআতিকুর রহমান, কমিউনিটি লিডাররুমি কবির, লেখক, জর্জিয়াআলী আহমদ ফারিস, ব্যবসায়ী, মিশিগানরাশেদ আহমেদ, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্কসীতাংশু গুহ, সাংবাদিক, নিউইয়র্কডঃ দিলীপ নাথ, শিক্ষক, নিউইয়র্কএমএ সালাম, কমিউনিটি লিডার, নিউজার্সিফকির ইলিয়াস, কবি, নিউইয়র্কমিশুক সেলিম, কবি, নিউইয়র্কখালেদ শরীফউদ্দিন, কবি, নিউইয়র্কআবু সাঈদ রতন, কবি, নিউইয়র্কহাসান আল আবদুল্লাহ, কবি, নিউইয়র্কমিথুন আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নিউইয়র্কমিনহাজ আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নিউইয়র্কশাখাওয়াত আলী, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্কডঃ আব্দুল বাতেন, বিজ্ঞানী, নিউইয়র্কডঃ হাসান মাসুদ, শিক্ষক, নিউইয়র্কশহীদ হাসান, কণ্ঠশিল্পী, নিউইয়র্করথীন্দ্র নাথ রায়, কণ্ঠশিল্পী, নিউইয়র্কইস্তিয়াক রূপু, কবি, নিউইয়র্কগোপাল স্যান্নাল, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্কডঃ মাহবুবুর রহমান টুকু, ব্যবসায়ী, নিউইয়র্কডঃ নাহিদ বানু, বিজ্ঞানী, নিউজার্সিমাহবুব রেজা রহিম, কমিউনিটি লিডার, আরিজোনাডঃ মনোয়ার হোসেন, বিজ্ঞানী, নিউজার্সিগোলাম ফারুক ভূঁইয়ান, ব্যবসায়ী, নিউজার্সিরেহান রেজা, কমিউনিটি লিডার, ক্যানসাসডঃ হাসান মামুন, শিক্ষক, নিউজার্সিজাহেদুল মাহমুদ জামি, কমিউনিটি লিডার,ক্যালিফোর্নিয়াতৌফিক সোলাইমান খান, কমিউনিটি লিডার, ক্যালিফোর্নিয়ানজরুল আলম, কমিউনিটি লিডার, ক্যালিফোর্নিয়াসাইফুর রহমান ওসমানি, সাংবাদিক, ক্যালিফোর্নিয়াডঃ গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক, পেনসিলভেনিয়ারবিউল করিম বেলাল, ব্যবসায়ী, পেনসিলভেনিয়াডঃ আহসান চৌধুরী, প্রকৌশলী, টেক্সাসহাশমত মোবিন, কমিউনিটি লিডার, টেক্সাসশাহ হালিম, কমিউনিটি লিডার, টেক্সাসম্যাগি হালিম, কমিউনিটি লিডার, টেক্সাসডাঃ আনিসুল আসলাম, চিকিৎসক, ক্যালিফোর্নিয়ামোহাম্মদ বিল্লাহ রানা, ব্যবসায়ী, ক্যালিফোর্নিয়াহাদি বিল্লাহ রোবা, ব্যবসায়ী, নেভাডাকাজী শাহরিয়ার রহমান, প্রকৌশলী, ক্যালিফোর্নিয়াকরিমুল হক চৌধুরী, ব্যবসায়ী, ক্যালিফোর্নিয়াবশীর আথার, বিজ্ঞানী, ক্যালিফোর্নিয়াতপন মন্ডল, এক্টিভিস্ট, ক্যালিফোর্নিয়াশাহ আলম, কমিউনিটি লিডার, ক্যালিফোর্নিয়ামমিনুল হক বাচ্চু, কমিউনিটি লিডার, ক্যালিফোর্নিয়াতাসনিম সালাম আসলাম, প্রকৌশলী, ক্যালিফোর্নিয়াআবেদ মনসুর, কমিউনিটি লিডার, ক্যালিফোর্নিয়াহাবিব আহমেদ টিয়া, কমিউনিটি লিডার, ক্যালিফোর্নিয়ামোফাজ্জল হোসেন, কমিউনিটি লিডার, ক্যালিফোর্নিয়ামোহাম্মদ হোসেন রানা, কমিউনিটি লিডার,ক্যালিফোর্নিয়াআবুল হাসনাত রায়হান,কমিউনিটি লিডার,ক্যালিফোর্নিয়াআসাদুজ্জামান বাচ্চু, ব্যবসায়ী, মিশিগানদেওয়ান জামির, প্রকৌশলী, ক্যালিফোর্নিয়াবেলাল বেগ, প্রবন্ধকার, নিউইয়র্কনিনি ওয়াহেদ, সাংবাদিক, নিউইয়র্কডঃ ফরজাহান রহমান শাওন, অধ্যাপক, নর্থ ক্যারোলিনাডঃ খন্দকার মনসুর, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্কখুরশিদ আনোয়ার বাবলু, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্কহাসান আল আবদুল্লাহ, লেখক, নিউইয়র্কসৈয়দ আবু হাসনাত, অধ্যাপক, মাসাচুসেটসডঃ দেলওয়ার হোসেন, অধ্যাপক, আলাবামাইকবাল ইউসুফ, ডাইরেক্টর, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাআতিকুর রহমান, ব্যবসায়ী, ফ্লোরিডাহাসান জাহাঙ্গীর, ব্যবসায়ী, ফ্লোরিডাজুনাইদ আখতার, কমিউনিটি লিডার, ফ্লোরিডাডঃ হেমায়েত উল্লাহ, অধ্যাপকডঃ মাহবুব প্রমাণিকডঃ পুরবী বসু, লেখক, ফ্লোরিডাকৃষিবিদ মোঃ মকবুল হোসেন তালুকদার, নিউইয়র্কফারহানা ইলিয়াস তুলি, কবি, নিউইয়র্কসৈয়দ মামুনুর রশিদ, কবি, নিউইয়র্কস্বপ্নিল ফিরোজ, কবি, নিউইয়র্কলিটন আহমেদ, এক্টিভিস্ট, নিউইয়র্কগোলাম মহিউদ্দিন, সঙ্গীতশিল্পী, জর্জিয়ানজরুল ইসলাম, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়াফারুক আহমেদ, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়ামহিন, কমিউনিটি লিডার, ফ্লোরিডাআবুল হাসান, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়াআহমাদুর পরভেজ, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়াডঃ মোহাম্মদ নাসিম, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়ামাহমুদ আব্বাস, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়ামোহাম্মদ আকবর খান, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়ারেজা করিম, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়াআলি হোসেন, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়াপিন্টু ইউসুফ, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়ানুরুল কবির নাহিদ, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়ামোজাম্মেল, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়ামশিউর রহমান, ব্যবসায়ী, জর্জিয়ারাসেল ভূইয়ান, ব্যবসায়ী, জর্জিয়াআরেফিন পিয়াল, শিক্ষক, জর্জিয়া
প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: এইউবি ও ডিইউটিএ
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫১ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫১ বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তাদের বহনকারী বিমানটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: আটক বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
তারা লিবিয়ার বেনগাজী গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সহায়তায় দেশে ফিরেছেন।
লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাশার ৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বেনগাজি বেনিনা বিমানবন্দরে তাদের দেখতে যান।
তিনি তাদের অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনের পথ বেছে না নিতে বলেছেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে আইওএম-এর সহায়তায় ১৩১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ২১ মাস জেল খেটে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি যুবক
পাচার হওয়া দুই নারীকে ফেরত পাঠাল ভারত
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মানিক মিয়া (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত ১২টার দিকে আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার ১০৬২-২এস এর কাছে শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নিহত মানিক মিয়া জেলার রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মানিক মিয়াসহ ২০-২৫ জন বেহুলারচর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নম্বর ১০৬২-২এস-এর কাছে যায়। এ সময় ভারতের ৪৫ ব্যাটালিয়নের কুচনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মানিক মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে সঙ্গীরা তার লাশ অন্যত্র সরিয়ে গোপনে দাফনের চেষ্টা করে।
দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ বন্দরের ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর এলাকা থেকে মানিকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জামালপুর বিজিবির ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাশরুকীর জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে বন্দরের ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর এলাকার মোতালেবের বাড়ি থেকে বেহুলারচর এলাকার মানিক মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
তারা একটি সুন্দর পরিবার ধ্বংস করেছে: কানাডায় নিহত বাংলাদেশির স্ত্রী
কানাডার অন্টারিওতে বসবাসকারী নিহত বাংলাদেশি শরীফ রহমানের স্ত্রী শায়লা নাসরিন বলেছেন, তার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন হয়ে গেছে। তিনি মেনে নিতে পারেছন না যে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পর তার স্বামীর দরজার তালা খোলার পরিচিত শব্দ তিনি আর কোনোদিন শুনতে পাবেন না।
নিহত শরীফ রহমান (৪৪) স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর মালিক এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন।
সিবিসি কানাডার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাকে ও তার মেয়েকে দুর্ভাগ্যবশত তার স্বামীকে ছাড়াই বাকি জীবন কাটাতে হবে।
নাসরিন বলেন, ‘ঘরের প্রতিটি কোণে আমি তাকে অনুভব করতে পারি।’
শরীফ অন্টারিওর লন্ডন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ২৪ আগস্ট মারা যান।
ওয়েন সাউন্ড পুলিশ জানিয়েছে, শরীফের রেস্তোরাঁয় বাকি থাকা বিল নিয়ে তর্কের সময় ১৭ আগস্ট তিনজন তার উপর হামলা চালায়।
রবিবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুলিশ এখনও তার হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তিকে খুঁজছে।
নাসরিন বলেন, ‘তারা একটি সুন্দর পরিবারকে ধ্বংস করেছে।’
পরিবারটি প্রায় ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় চলে আসে। তারা কয়েক বছর পরে ওয়েন সাউন্ডে বসবাস শুরু করে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরেব ওমরাহ করে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রবাসীর মৃত্যু
সিবিসি কানাডার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রহমান সেখানে রেস্তোরাঁ ব্যবসা শুরু করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
নাসরিন বলেন, ‘সে সবসময় রেস্তোরাঁয় তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সে শুধু আমাকে এবং আমাদের মেয়েকেই ভালোবাসত না, সে ভালোবাসা ও আবেগ দিয়ে রান্নাও করত।’
তার স্ত্রী আরও বলেন, শরীফ খুব কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন। সে কমিউনিটি নিয়ে খুব ভাবত, অভাবীদের সহায়তা করত এবং ক্ষুধার্তদের খাওয়াতে পছন্দ করত।
রবিবার, শত শত লোক শরীফের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে ওয়েন সাউন্ডের রাস্তায় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
নাসরিন বলেন, ‘আমি শুধু মুসলিম কমিউনিটি নয়, সব কমিউনিটির সমর্থন পাচ্ছি। এটা আশ্চর্যজনক।’
শরীফের হামলার পরের দিনগুলোতে এবং তার মৃত্যুর পর মানুষ তার দোকানের সামনে ফুল ও নোট রেখে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর থেকে মানুষ সামাজিক মাধ্যমে তাদের ভালোবাসা ও সমবেদনা জানাচ্ছে।
নাসরিন বলেন, ‘আপনারা কল্পনা করতে পারেন তিনি সমাজের প্রতি কতটা নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। এজন্যই তিনি মানুষের কাছ থেকে এত ভালোবাসা পেয়েছেন।’
ওয়েন সাউন্ড মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিকান্দার উমান বলেন, সংহতির বহিঃপ্রকাশ অতুলনীয়।
কানাডিয়ান পুলিশ শরীফের মৃত্যুর বিষয়ে তাদের তদন্তের বিষয়ে কোনো আপডেট দেয়নি।
সিবিসি কানাডার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছেতবে পুলিশ এখনও তিনজন সন্দেহভাজনকে খুঁজছে। যাদের মধ্যে দুজনের বয়স ২০-৩০ এর মধ্যে এবং অন্যজনের বয়স ৪০-৫০ এর মধ্যে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন, গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর মালিবাগে ট্রেনের ধাক্কায় সৌদি প্রবাসী নিহত