গুলি
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
নরসিংদীতে হুমায়ূন কবির নামে ছত্রদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হুমায়ুন (৩৫) মেহেড়পাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ও একই ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে।
নিহতের ভাতিজা তন্ময় জানান, রাতে পাঁচদোনা বাজার এলাকার একটি মাঠে হুমায়ুনসহ কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। রাত ১১টার দিকে একই এলাকার পরিচিত দুই যুবক হুমায়ুনকে কথা বলার জন্য খেলার মাঠের অদূরে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই গুলির শব্দ শুনতে পান মাঠে থাকা তন্ময়সহ অন্যরা। এ সময় তন্ময় এগিয়ে গেলে তাকেও লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে মোটসাইকেলে করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে গুলিবিদ্ধ হুমায়ুনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে কোনো পূর্বশতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।’
৪ দিন আগে
জৈন্তাপুর সীমান্তে ভারতীয় খাশিয়ার গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে ভারতীয় খাশিয়ার গুলিতে জমির আহমদ নামে এক যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নম্বর ১২৮৬-১২৮৭ টিপরাখলা-ঘিলাতৈলয় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে মাহিন্দ্র-ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৫
নিহত যুবক জমির আহমদ (২৩) উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ঘিলাতৈল গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে ভারতে প্রবেশের সময় খাসিয়ার গুলিতে ঐ যুবক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে ঐ যুবক নিহত হয়েছেন।
এছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা নির্মানাধীন দোকানের দেয়াল ধসে ২ শ্রমিক নিহত
১ মাস আগে
মুন্সিগঞ্জে গুলিতে ডাকাত নিহত, গ্রামবাসীসহ আহত ৩
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৫ মামলার আসামি বাবলা চৌধুরী খালাসি ওরফে বাবলা ডাকাত গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গ্রামবাসীসহ আরও অন্তত ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে (২২ অক্টোবর) গজারিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘটনাটি ঘটে। এসময় ১৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে র্যাব-সেনাবাহিনী পরিচয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতি, থানায় মামলা
নিহত বাবলা ডাকাত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বাচ্চু খালাসীর ছেলে।
এদিকে আহত গুলিবিদ্ধ রহিম বাদশাকে ঢামেকে এবং আহত গ্রামবাসী আক্তার হোসেন ও লিটন মিয়াজীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রহিমেরর দ্বিতল ভবনে সংঘর্ষ হয়। গুলির শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসলে দুটি ট্রলারে দুই দল ডাকাত পালিয়ে যায়।
এ সময় ভবনটিতে থাকা ৯ ডাকাতকে তালাবদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে তালা ভেঙে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আর পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের মধ্যে ৫ ডাকাতকে উপজেরার হোসেন্দি এলাকা থেকে আটক করা হয়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মেঘনা তীরের মল্লিকের চরে সকালে লুন্ঠিত মালামালের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ (বন্ধুক যুদ্ধ) হয়।
তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে বাবলার প্রাণ যায়। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া দুর্গম মল্লিকের চরকেও আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতেন নৌডাকাতরা বলে জানান ওসি মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: ডাকাতের কবলে পড়ে করাচিতে ৯ মাসে নিহত শতাধিক
২ মাস আগে
চট্টগ্রামে যুবককে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে আফতাব উদ্দিন তাহসীন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শমসের পাড়া মেডিকেল কলেজের অদূরে চান্দগাঁও বানিয়ারা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত একই পরিবারের ৩ জন
নিহত তাহসীন চান্দগাঁও থানাধীন হাজীরপুলের মোহাম্মদ মুসার ছেলে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মো. সবেদ আলী বলেন, চান্দগাঁও থানাধীন বাইন্নার পোল দক্ষিণ বাড়ির সামনে কয়েকজন দুর্বৃত্তরা মিলে তাহসীন গুলি করে আহত করে। চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ জরুরি বিভাগের লাশঘরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, মেঘনায় জেলেদের হামলায় ইউএনওসহ আহত ৫
২ মাস আগে
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত একই পরিবারের ৩ জন
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৫টায় উখিয়া ১৭ নম্বর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার ১৭ নম্বর ক্যাম্পের (এক্স) ১০৪ নম্বর ব্লকের আহাম্মদ হোসেন (৬৫), তার ছেলে সৈয়দুল আমিন (২৮) ও মেয়ে আসমা বেগম (১৫)।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কী কারণে, কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
২ মাস আগে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ
সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহতের ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার(৯ অক্টোবর) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ পরী দ্বীপের কোনা পাড়ার বাসিন্দা উসমান (৬০) নিহত হন।
ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো একটি কূটনৈতিক নোটে বাংলাদেশ এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরার সময় প্রায় ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলে এবং উসমানের নৌকাসহ ৬টি মাছ ধরার নৌকা অপহরণ করায় বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
অবশেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন এবং ভবিষ্যতে আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত’
২ মাস আগে
বাগেরহাটে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
বাগেরহাটে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বহনের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি দেশি তৈরি পাইপগান, ছয় রাউন্ড গুলি, তিনটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল এবং পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দের দাবি করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে রামপাল উপজেলার ফয়লা গরুর হাট এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার মহেশ্বর পাশা এলাকার হুমায়ুন কবির হুমা (৩৬), ইসতিয়াক শাহারিয়ার (২৩), কাজী রায়হান (২১), মো. আসিফ মোল্লা (২০) এবং মো. ইমন হাওলাদার (২১)।
আরও পড়ুন: মিরপুরে অভিনব কায়দায় প্রতারণা-ছিনতাই, ৫৭ লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার ৬
সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, পাঁচজন দুর্বৃত্ত রামপাল উপজেলার ফয়লা হাট এলাকায় ঘোরাফেরা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল রেখে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার পাঁচজনই দেড় মাস আগে রামপাল উপজেলার ভাগা গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে অবস্থান করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের ভাড়া বাড়ির টিনের ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছয় রাউন্ড গুলি জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা খুলনা জেলার আড়ংঘাটা এলাকার আরিফ হত্যা মামলার আসামি। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা বাগেরহাটের রামপালে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিল।
আরিফ হত্যার ঘটনার ২৫ জুন আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার পাঁচজন ওই মামলার আসামি।
তাদের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে দুটি ড্রেজার জব্দ, গ্রেপ্তার ১৮
২ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিজ পরিষদে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউপি চেয়ারম্যানের নঈম উদ্দিন ওরফে সেন্টু (৫০) উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কর্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এলে তাদেরও লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা মেরে রাখে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। সাংবাদিকরা ছবি নিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় একটি পক্ষ। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের লাশ ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরেই ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিএনপির রাজনীতি করলেও দলে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন এবং তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তার সখ্য ছিল।
দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন, ‘চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু এক সময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি নিরপেক্ষ ছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিজ কক্ষের চেয়ারেই বসে ছিলেন। তাকে পেছন থেকে জানালা দিয়ে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ৭ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা
২ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে গুলিসহ উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রগুলো সাবেক এমপি হেনরী ও তার স্বামীর
সিরাজগঞ্জে মসজিদ থেকে গুলিসহ উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রগুলো সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদারের বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার ফুলকোঁচা গ্রামের নির্মাণাধীন একটি মসজিদের সিঁড়ি থেকে গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, ৩ জন গ্রেপ্তার
উদ্ধার করা অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২টি শটগান, ২টি ম্যাগাজিন ও ১৬ রাউন্ড গুলি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্রগুলো দেখে মুসল্লিরা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে যাচাই-বাছাইয়ের পর গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্রগুলোর মালিককে শনাক্ত করা হয়।
ওসি বলেন, গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্রগুলোর মালিক হেনরী ও তার স্বামী শামীম।
তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র জমা না দেওয়ায় হেনরী ও তার স্বামীর শর্টগান দুটির লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
৩ মাস আগে
নরসিংদীতে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
নরসিংদীতে পৃথক অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জেলার মাধবদী ও পলাশ থানার টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে ২টি ওয়ান শুটারগান এবং ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফীন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে পরিচালিত হয় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান। এর অংশ হিসেবে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের নির্দেশনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে মাধবদী থানার টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আনন্দী সেতুর পূর্বপাশে বাংলা মার্কেট এলাকায় অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
এসময় পরিত্যক্ত অবস্থায় বাজারের ব্যাগে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ওয়ান শুটারগান এবং ৪ রাউন্ড সবুজ রঙের ওয়ান শুটারগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
একই রাতে পলাশ থানা পুলিশ ফুলবাড়িয়া হালদারপাড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফীন বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গুলি মাধবদী এবং পলাশ থানা হেফাজতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে এ পর্যন্ত ৩টি অস্ত্র এবং ১৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান শামসুল আরেফীন।
আরও পড়ুন: যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ২৫, ৫৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
নরসিংদীতে কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
৩ মাস আগে