গুলি
বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাট সীমান্তে যুবক নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত লিটন মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টায় ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
লিটন মিয়া আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মো. মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বুধবার(২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, বিএসএফ’র গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন। দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বাংলাদেশির লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় ভারতের জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বারথার ক্যাম্পের টহল সদস্যদের গুলিতে লিটন মিয়া আহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নিয়ে এমজেএম নামক হাসপাতালে ভর্তি করালে বুধবার তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নাটোরে আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার, ভাবি আটক
সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে দুইটি পিস্তল ও গুলি কেনেন শিক্ষক রায়হান: ডিবি পুলিশ
সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষক রায়হান শরীফ দুইটি পিস্তল ও গুলি কেনেন বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুলহাজ উদ্দীন।
রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেন রায়হান। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবির ওসি।
ওসি মো. জুলহাজ উদ্দীন জানান, মূলত তিনি সিনেমা দেখেই অনুপ্রাণিত হন এবং অস্ত্রের প্রতি তার এক ধরনের আকর্ষণ তৈরি হয়। এরপর বেশ কিছুদিন অস্ত্রের অনুসন্ধান করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: রোজায় শরীর সুস্থ রাখতে যে ১০টি বিষয় এড়িয়ে চলা উচিৎ
এরই এক পর্যায়ে অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ও ডিসেম্বর মাসে বিদেশি দুইটি পিস্তল ও গুলি কেনেন তিনি।
তিনি আরও জানান, সব অস্ত্রই তিনি শখের বশে কিনেছেন। এছাড় আরও কিছু অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা থাকলেও অস্ত্র ব্যবহার করে বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনার ছক তার ছিল না বলে জানান।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, যার কাছ থেকে অস্ত্র কিনেছিলেন পেশাদার সেই অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীর তথ্যও পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার দুপুরে আবারও শিক্ষক রায়হান শরীফকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ৪ মার্চ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর পায়ে গুলি করেন রায়হান। তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে ডা. রায়হান শরীফকে হেফাজতে নেয়। এরপর তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮১ রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু বিদেশি চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
খুলনায় কারগারে বসে এসএসসি পরীক্ষা দিলো রায়হান
সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় মামলা
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আশিক তমালকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে আহত শিক্ষার্থী তমালের বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আরাফাত আশিক তমাল শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
রায়হান শরীফ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক। তিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং শহরের দত্তবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এ বিষয়ে ওই কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিরুল হোসেন চৌধুরীকে বার বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে আহত শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ শিশুকে ধর্ষণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন
দুর্নীতির মামলায় ড. ইউনূসসহ ৮ জনের জামিন
রাঙ্গামাটিতে ২ ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফ প্রসিত দলের সদস্য দীপায়ন চাকমা (৩৮) ও আশিষ চাকমাকে (৪৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করে সাজেক থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
নিহত দুইজন হলেন, মোরঘোনা ২ নম্বর ওয়ার্ড বাঘাইছড়ি রূপাকারি ইউনিয়নের মৃত শান্তি কুমার চাকনার ছেলে আশিষ চাকমা।
অপরজন হলেন- উত্তর এগুজ্জ্যাছড়ি ৫ নম্বর ওয়ার্ড বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের মৃত অনিল বরন চাকমার ছেলে দিপায়ন চাকমা।
তবে ইউপিডিএফের দাবি জেএসএস সন্তু লারমার লোকজন এই হত্যার সঙ্গে জড়িত।
তবে ইউপিডিএফের অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস সন্তু লারমা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা বলেন, সাজেক এলাকায় জেএসএসের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। ইউপিডিএফের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
সাজেক থানার সার্কেল এএসপি ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। খবর পাওয়ার পরপরই সাজেক থানা থেকে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, বাঘাইছড়ির মাচালং এলাকায় দুইজন নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ঘটনা নিয়ে মামলা হবে এবং যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নুরুল হুদা লিটন নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে জোহান্সবাগে লিটনের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিতে নিহত নুরুল হুদা লিটন দাগনভূঞা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব জগতপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে।
আরও পড়ন: নেত্রকোণায় প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বিয়ের জন্য বাড়িতে কনে দেখে রাখা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ নুরুল হুদার দেশে আশার কথা ছিল।
নুরুল হুদার জ্যাঠাতো ভাই মনির হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে গাড়িতে উঠতে গেলে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার লাশ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ন: গাইবান্ধায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাছ বাজারে প্রাইভেটকার, নিহত ৩
রাজশাহীতে অসুস্থ বাবাকে দেখতে যেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মেয়ে নিহত
ব্যালট পেপার ও বাক্স রক্ষায় প্রয়োজনে গুলি করবে পুলিশ: ফেনীর এসপি
ব্যালেট বক্স ও পেপার রক্ষায় গুলি করার নির্দেশনা রয়েছে মন্তব্য করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান। তিনি বলেন যদি কোন দুষ্কৃতিকারী ব্যালট ও ভোটের সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তার উপর গুলি চালানোর নির্দেশনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আপনারা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনীর দাগনভূঞা বাজারের জিরো পয়েন্টে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ভোটারদের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ভোট নিয়ে বিভিন্ন মহল গুজব ও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। একারণে এবারের ভোটে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সকালে পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পাঁচটি বাহিনী মাঠে কাজ করবে। এবার ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে এসে সকলে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ২০৭৭৩ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে: ইসি
এ সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ফেনী জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ফেনী-৩ আসনে এবার ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তারা যেন আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আমরা এই উদ্বুদ্ধকরণ সভা করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদরা থাকবে তাঁরা ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা দেবে।
ফেনী জেলা তথ্য অফিসার রাশেদুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা, দাগনভুঞা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম।আরও পড়ুন: নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আ. লীগ নেতা লিটু
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৪ জন নিহত
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রের গুলিতে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
প্রাগের পুলিশ প্রধান মার্টিন ভন্ড্রাসেক জানিয়েছেন, চার্লস ইউনিভার্সিটির দর্শন বিভাগের ভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
ভন্ড্রাসেক গতকাল সন্ধ্যায় বলেছেন ১৪ জন মারা গেছেন এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। এর আগে বলেছিলেন ১৫ জন মারা গেছেন এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু, নিহতের সংখ্যা পরিবর্তনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেননি তিনি। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ নিহতদের সম্পর্কে বা জান পালাচ স্কোয়ারের ভ্লতাভা নদীর কাছের ভবনে গুলি চালানোর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনও বিবরণ দেয়নি।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিট রাকুসান বলেছেন, তদন্তকারীরা কোনও চরমপন্থী মতাদর্শ বা গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছেন না।
ভন্ড্রাসেক বলেন, পুলিশ বিশ্বাস করে যে বন্দুকধারী বৃহস্পতিবার সকালে প্রাগের পশ্চিমে তার শহর হোস্তৌনে তার বাবাকে হত্যা করেছিল এবং তিনি আত্মহত্যার পরিকল্পনাও করেছিলেন। তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
পরে বৃহস্পতিবার ভন্ড্রাসেক বলেন, তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বন্দুকধারীকে ১৫ ডিসেম্বর প্রাগে আরেক ব্যক্তি ও তার দুই মাস বয়সী মেয়েকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে হাইস্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ২, আহত ৫
পুলিশ প্রধান বন্দুকধারীকে একজন চমৎকার ছাত্র হিসাবে বর্ণনা করেছেন যার কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই, তবে অন্য কোনও তথ্য সরবরাহ করেননি।
ভন্ড্রাসেক বলেন, বন্দুকধারী 'মারাত্মক আঘাত' পেয়েছেন। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন তা পরিষ্কার নয়।’ ‘তার কোনও সহযোগী ছিল বলে মনে করার মতো কিছুই নেই।’
ভন্ড্রাসেক বলেন, বন্দুকধারীর কাছে আইনত বেশ কয়েকটি বন্দুক ছিল। পুলিশ বলেছে, বৃহস্পতিবার তিনি ভারী সশস্ত্র ছিলেন এবং প্রচুর গোলাবারুদ বহন করছিলেন। তিনি যা করেছিলেন তা ‘সুচিন্তিত একটি ভয়ঙ্কর কাজ’।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
চার্লস ইউনিভার্সিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির সদস্যদের প্রাণহানির ঘটনায় আমরা শোক প্রকাশ করছি, শোকসন্তপ্ত দের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং যারা এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
সাজেকের সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি-ভাঙচুর
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
তবে একই স্থানে সে সময় পর্যটকবাহী একটি মাহেন্দ্র, একটি পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হক জানান, অজ্ঞাতনামা দুর্বত্তরা পর্যটকবাহী গাড়ি লক্ষ করে এক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে কেউ হতাহত হননি। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পর্যটকসহ গাড়িগুলো উদ্ধার করে বাঘাইহাট জোনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেগুলো আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রহরায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এদিকে অবরোধের কারণে আন্তঃজেলা ও জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি।
শহরের ভেতরে স্বল্প সংখ্যক ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলাচল করলেও শহরতলীতে সড়ক অবরোধ চলছে কড়াকড়িভাবে।
অবরোধের সমর্থনে ভোরে জেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস, স্বনির্ভর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ইউপিডিএফ সমর্থকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে।
পিকেটাররা জেলার মানিকছড়ি ও দীঘিনালাসহ কয়েকটি এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেছে।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ
সাজেকে ডায়রিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
বিজয় দিবসেও সীমান্তে বিএসএফের গুলি, আহত ৩ বাংলাদেশি
মহান বিজয় দিবসেও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দৈইখাওয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার সময় উপজেলার দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে গরু পারাপারের সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে বিএসএফ।
আরও পড়ুন: অবরোধ: রাজধানীর গুলিস্তানে বাসে আগুন
গুলিবিদ্ধরা হলেন- হাতীবান্ধা উপজেলার দৈখাওয়া সীমান্ত গ্রামের আজিম বাজার এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, একই উপজেলার গেন্দিকুরি এলাকার বাসিন্দা শ্রী সুজন এবং গেন্দুকুরি বিলুপ্ত সিটমহল এলাকার আসির উদ্দিনের ছেলে হাকিম মিয়া।
দৈখাওয়া বিওপি ক্যাম্পের ল্যান্স নায়েক মো. সুবেদার বশির উল্লাহ জানান, দৈখাওয়া সীমান্তে মেইন সীমান্ত পিলার ৯০১ থেকে প্রায় ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বান্নিগড়ায় ঘন কুয়াশার মধ্যে ভোর সাড়ে ৪টায় ১৪-১৫ জন বাংলাদেশি কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে বাংলাদেশে গরু পারাপার করছিল।
তিনি আরও বলেন, এসময় ভারতের বড়মরিচা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ৫-৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে দুইজনের পায়ে ও একজনের হাতে গুলি লাগে।
এসময় অন্যান্য সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পায়ে গুলি লাগা আহত দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অপরজন অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসাধীন বলে তিনি জানান।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, 'সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহতের খবর শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলিস্তানে আজ সকাল থেকে ২টি বাসে আগুন
রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রসীত বিকাশ খীসা পন্থী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ৪ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পানছড়ির ৯নং ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা আরো ২ জনকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
ইউপিডিএফ ঘটনার দাবি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
খাগড়াছড়ি পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৬ নেতা-কর্মী আটক
নিহতরা হলেন- প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিনসা ত্রিপুরা।
এছাড়াও ইউপিডিএফ নেতা হরি কমল ত্রিপুরা ও নীতি দত্ত চাকমা নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপিডিএফ জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, মঙ্গলবার এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেজন্যই তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে জেলার পানছড়ি উপজেলার পুজগাং এলাকায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলির ঘটনায় ঐ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র চিফ কালেক্টর আটক, বিদেশি পিস্তল, বুলেট, ম্যাগাজিন জব্দ