লালমনিরহাট
লালমনিরহাটে মামার কোদালের আঘাতে ভাগিনার মৃত্যুর অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মামা আহাদুলের কোদালের আঘাতে ভাগিনা হাফিজুরের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযো উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহাদুলের মৃত্যু হয়। এর আগে রবিবার ফকিরপাড়ার রমণীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে হাফিজুরসহ ছয়জন আহত হন।
মৃত হাফিজুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আপতার উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অগ্নিদগ্ধ দুই শিশুর ঢামেকে মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আহাদুলের সঙ্গে তারই আপন ভাগিনা হাফিজুরের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে আহাদুলের কোদালের আঘাতে হাফিজুরসহ উভয় পক্ষে ছয়জন আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। হাফিজুরসহ আহত দুইজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে হাফিজুরের মৃত্যু হয়।
হাফিজুরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আহাদুলের পক্ষে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি থাকা শহিদুল ইসলাম ও সৌখিন ইসলাম নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে নিহতের স্বজনরা।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, হাফিজুরকে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: হযরত আলী হত্যা মামলায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
৩ দিন আগে
লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে ৪ জনের মৃত্যু
লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগরে করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- আজিজার রহমান, মোবারক হোসেন, মকবুল হোসেন ও আব্দুল ওহাব। তাদের সবার বাড়ি জোংড়া ইউনিয়নের ইসলাম নগরে।
স্থানীয়রা জানায়, আলাউদ্দিন নগর এলকার রেল লাইনের পাশে ধান মাড়াই করছিলেন ওই চারজন। এসময় বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটি আসে। কিন্তু তারা ট্রেনের শব্দ টের না পাওয়ায় ট্রেনে কাটা পড়েন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তারা মারা যান।
পাটগ্রাম স্টেশন মাস্টার নুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:
১ সপ্তাহ আগে
লালমনিরহাটে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ায় যুবদল নেতা বহিষ্কার, জেলা কমিটি বিলুপ্ত
দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে লালমনিরহাটে যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুলহাসসহ তিন যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। একইসঙ্গে জেলা যুবদল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়ার সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ায় যুবদল নেতা আটক
অপর দুই বহিষ্কৃত নেতারা হলো- পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোমিনুল ইসলাম, পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া।
এর আগে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (৩১ অক্টেবর) সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাসদস্যরা।
পরে লিখিত কোনো অভিযোগ না থাকায় মুচলেকা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয় সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পণ্য সামগ্রী সরবরাহসহ তিনটি গ্রুপে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোকাদ্দেম। পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকাল থেকে অন্যদের দরপত্র জমাদানে বাধা দিয়ে আসছিলেন লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস।
দখল, টেন্ডার সন্ত্রাস এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী নানা অনাচারের কারণে তাকে বহিস্কার ও কমিটি বিলুপ্ত করা হয় বলে জানানো হয় দলের বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ধানসহ সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত
২ সপ্তাহ আগে
ঘরে উঠছে আমন ধান, উৎসবমুখর তিস্তার চর
লালমনিরহাটের তিস্তাবিধৌত চরাঞ্চলে লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। নবান্নের আনন্দ কৃষকদের মনে। আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে কাটছে ব্যস্ত সময়। বন্যায় ক্ষতি কম হওয়ায় এবছর তিস্তার চলে আমনের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের মুখে ফিরেছে হাসি।
কৃষকরা জানান, তিস্তার চরে প্রতিবছর বন্যায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও এবছর তেমন ক্ষতি হয়নি। প্রতিবছর তুলনায় চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় ফসল কম হলেও ধানের বর্তমান বাজার দরে সন্তুষ্ট তারা।
তারা আরও বলেন, চলতি বছর দোনপ্রতি (২৭ শতক) ১২ থেকে ১৪ মণ করে আমন ধান পেয়েছেন তারা। এ বছর সার, কীটনাশক, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমন ধান উৎপাদনে খরচও হয়েছে বেশি। তবে ধানের মূল্যও বেশি থাকায় খরচ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না তাদের। প্রতি মণ ধানের বাজার মূল্য ১২শ থেকে ১৩শ ৫০ টাকা। ভালো দামে ধান বিক্রি করতে পারায় ফলন কম হলেও লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন তারা।
হাতীবান্ধার চর-সির্দুনায় গিয়ে দেখা যায়, তীব্র রোদের মধ্যেই তিস্তার চরে কৃষকরা আমন ধান কাটছে। সেখানেই ধান মাড়াই করে বস্তায় নেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ কৃষকের বাড়ি নদীর তীরবর্তী এলাকায় হওয়ায় নৌকা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। খেতের পাশে ছোট ছোট টিনের চালার ঝুপড়ি ঘরও বানিয়ে নিয়েছেন অনেকে। সেখানে চলছে বিশ্রাম ও খাবার খাওয়া। আমন ধান ঘরে তোলাকে কেন্দ্র করে তিস্তার চরে যেন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
কৃষক আফজাল উদ্দিন বলেন, এ বছর খরার কারণে আগের তুলনায় ধান কম হয়েছে। তারপরেও দোন প্রতি ১২/১৪ মণ করে ধান হবে। তাছাড়া এখন বাজারে ধানের দাম বেশি তাই এবার লোকসান হওয়ার শঙ্কা নেই।
কালীগঞ্জে তিস্তার চরের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর কষ্টে রোপা আমন ধান তিস্তা নদীর বন্যায় তলিয়ে যায়। দীর্ঘদিন পানির নিচে থাকায় ধান গাছে পচন ধরে। চলতি বছর তিস্তায় স্বল্প মেয়াদী বন্যা হওয়ায় ধান ভালো হয়েছে। এবার লাভবান হব।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে চলতি আমন মৌসুমে ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছে কৃষকরা। বর্তমানে চরে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যদিও এবার খরায় আমনের ফলন আশানুরূপ হয়নি, তবে স্থানীয় ধানের বাজার মূল্য বেশি থাকায় চরের কৃষকরা লাভবান হবেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরাঞ্চলের আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বর্তমান বাজার মূল্য ভালো, কৃষকরা এবার মোটামুটি লাভবান হবেন।
কৃষকরা আমন ধান তোলার পর ভুট্টা, গম, আলু, শাকসবজি ইত্যাদি চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
২ সপ্তাহ আগে
লালমনিরহাটে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ায় যুবদল নেতা আটক
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাসকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন সেনাসদস্যরা।
জুলহাস লালমনিরহাট পৌরসভা গেট এলাকার বাসিন্দা। তিনি লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পণ্য সামগ্রী সরবরাহসহ তিনটি গ্রুপে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোকাদ্দেম।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর আওয়ামী লীগের ২ নেতা আটক
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের নিদিষ্ট দরবক্সে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়।
হাসপাতালের দরপত্র জমাদানে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। সেই পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকাল থেকে অন্যদের দরপত্র জমাদানে বাধা দিয়ে আসছিলেন লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জুলহাস।
এসময় দরপত্র গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষকেও লাঞ্ছিত করেন তিনি। অন্য দরদাতারা দরপত্র জমাদান করতে না পেরে সেনা সদস্যদের খবর দেয়।
খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে যুবদল নেতা জুলহাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলে ২৪ জন দরদাতা তাদের দরপত্র জমা দেন।
লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছ বলেন, পৌর যুবদল আহ্বায়ক জুলহাস দৌড়ে পালানোর কারণে তাকে আটক করেছে। এটি মূলত আপোষযোগ্য বিষয়। পত্রিকায় না লেখাই ভালো।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সামিরা হোসেন বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছিল জুলহাস নামে একজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়ে তাদের ফোন করা হলে তারা এসে বিশৃঙ্খলাকারীকে আটক করেছে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, দরপত্র দাখিল নিয়ে হট্টগোল করার চেষ্টা করলে জুলহাস নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শেখ আফিলসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা, আটক ৫
৩ সপ্তাহ আগে
লালমনিরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ধানসহ সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের বেশিরভাগ খেতই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়।
এলাকার আমন ধানের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের। বাতাসে জমিতে শুয়ে পড়েছে মাঠের আধা পাকা আমন ধান।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আগাম জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য আমন মৌসুমে কৃষককে সরকারি প্রণোদনা বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
দুহুলী গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ঝড়ে ধান গাছগুলো নেতিয়ে পড়েছে। আমার ২০ শতক জমির ধান হেলে পড়েছে। ধানের শীষে যে দানা রয়েছে তা এখনো শক্ত হয়নি। অনেক ধান চিটা হয়ে যাবে। আর যে ফলন হওয়ার কথা ছিল তাও কমে যাবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বৃষ্টি, ৮৮৭ আশ্রয়কেন্দ্র চালু
কৃষক মহেশ বাবু জানান, তিনি বর্গা নিয়ে ৫০ শতাংশ জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। ঝোড়ো হাওয়ায় ধান গাছগুলো নুয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অনেক ভালো ফলন হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তিনি চিন্তিত।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে রোপা আমন ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এতে উৎপাদনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না এমনটাই জানায় কৃষি অফিস।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আমন ধানের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এই দুর্যোগ কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে বাগেরহাটে নদ-নদীতে বেড়েছে পানি
৩ সপ্তাহ আগে
লালমনিরহাটে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে আরফিনা বেগম নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের কিসমত এলাকার নিজ বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরফিনা বেগম (২৩) ওই এলাকার সম্রাট মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে স্বামী সম্রাট মিয়ার সঙ্গে স্ত্রী আরফিনা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে হাতাহাতি হলে আরফিনা বেগম অন্য ঘরে চলে যান। সকালে তার স্বামী বাহিরে চলে গেলে পরিবারের লোকজন আরফিনা বেগমকে ডাকাডাকি করেন। পরে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে খবর দেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দুপুরে গলায় ফাঁস দেওয়া লাশটি উদ্ধার করে লালমনিরহাট মর্গে পাঠায় পুলিশ। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে আরফিনার স্বামী সম্রাট মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশটি লালমনিরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বরিশালে ভূমি কর্মকর্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ মাস আগে
লালমনিরহাটে ১৪ দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি
লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগরে গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ১৪টি দোকান ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারে বসুনিয়া মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বাজারের ব্যবসায়ীরা যখন দিন শেষে যে যার মতো বাড়ির দিকে যাচ্ছিল আবার অনেকে ঘুমে আচ্ছন্ন তখন গভীর রাতে আগুনে সব শেষ হয়ে গেছে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনটি গোডাউনসহ ১৪টি দোকান ঘর পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএসসির জাহাজে আগুন: ১ জনের লাশ উদ্ধার
কাপড়ের দোকানের মালিক কাদের চৌধুরী জানান, তার দোকানে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার কাপড় ছিল। সামান্য কিছু কাপড় উদ্ধার করা গেলেও। তার প্রায় ৫০ লাখ টাকার কাপড় আগুনে পুড়ে গেছে।
মহেন্দ্রনগর বাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল হাকিম খান জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে একটি কাপড়ের দোকানেই প্রায় অর্ধ কোটি টাকার কাপড় পুড়ে গেছে। এছাড়াও একটি কসমেটিকস দোকান, কীটনাশকের দোকান, একটি মুদির দোকান, টেইলার্স ও তিনটি গোডাউনের সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী মো. ওয়াদুদ হোসেন জানান, আগুন লাগার সংবাদ পাওয়ার পরেই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি এবং প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এবার বিএসসির আরেক জাহাজে আগুন
১ মাস আগে
লালমনিরহাটে নিখোঁজের দুই দিন পর ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে নিখোঁজের দুই দিন পর রমজান আলী নামে ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের নয়ারহাট চৌধুরীটারী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
রমজান আলী (৬৪) ওই ইউনিয়নের ফলিমারী বকশিটারী গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ধানখেত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রমজান আলী মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। বুধবার সকালে স্থানীয়রা নয়ারহাট চৌধুরীটারী এলাকায় সড়কের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে আদিতমারী থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রেল সেতু থেকে অজ্ঞাত যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহিদুল (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) চরিতাবাড়ী এলাকায় নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
শহিদুল কমলাবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত চরিতাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
কমলাবাড়ি ইউনিয়নের পরিষদের সদস্য আবু বাক্কার বলেন, ‘শনিবার মজুদ রাখা খড় আনতে শহিদুল সেচ পাম্প ঘরে যান। সেখানে মোটরের বিদ্যুতের ছেঁড়া ক্যাবলে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন শহিদুল। এসময় তার ভাই হামিদুল তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে দুজনকে উদ্ধার করে আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই পর্যটকের মৃত্যু
২ মাস আগে