কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৫ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ২১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। রবিবার দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৫ জনের।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫০ জন। দেশটিতে গত দুদিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১০২ জন মারা গেছেন বলে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এটি ছিল একদিনে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা।
পরপর তৃতীয় দিনের মতো দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫ জনে এবং ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর হার ১.৪৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নমুনা পরীক্ষা ও নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে এবং অন্যদিকে সুস্থতা ও মৃতের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
গতবছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয় ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন অর্থাৎ ৮৫.৫৩ শতাংশ।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
এখন পর্যন্ত ৫৭ লাখ ১৪ হাজার ৯০ জন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ এবং ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬০৯ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।