মৃত্যু
ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক তার গলায় জড়িয়ে কৃষকের মৃত্যু
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঘাস কাটতে গিয়ে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক লাইনের তারে গলা আটকে গিয়ে আসাদুল ইসলাম (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের খর্পদোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুল উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার মৃত সামাদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আসাদুল বাড়ির অদূরে ভারতীয় সীমান্তঘেষা খর্পদোলায় ঘাস কাটতে যান। সেখানে পানি সেচের জন্য বৈদ্যুতিক মোটরের সংযোগের লাইনের বাঁশের খুটি ভেঙে তার ঝুলে ছিল। একপর্যায়ে ওই ঝুলে থাকা তারে তার গলা জড়িয়ে যায়, আর তিনি সেখানেই পড়ে থাকেন। পরে দুপুরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মৃত অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ১৬ বছর পর ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা বলেন, ‘ঘাস কাটতে গিয়ে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক লাইনের তারে গলা আটকে আসাদুলের মৃত্যু হয়।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
১১ ঘণ্টা আগে
সিলেটে মাটিচাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যু
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় টিলা কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই শ্রমিকের নাম সুমন আহমদ (৩০)। তিনি সিলাম ইউনিয়নের রুস্তমপুর টিলাপাড়ার রজব আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার ভোরে একটি পিকআপ ভ্যানে অন্যান্য শ্রমিকের সঙ্গে মোহাম্মদপুর পশ্চিমপাড়ায় মাটি কাটার কাজে যান সুমন। মাটি কেটে গাড়িতে তুলে একটু সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে পার্শবর্তী একটি টিলা ধসে তার উপরে পড়লে মাটির নিচে চাপা পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: শেরপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটিচাপা অবস্থায় কবিরাজের লাশ উদ্ধার
তাৎক্ষণিকভাবে মাটি সরিয়ে সুমনকে উদ্ধার করে ততক্ষণে হাসপাতালে নিয়ে যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য শ্রমিকরা। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসএমপির মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
৫ দিন আগে
ভোলায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
ভোলা সদর উপজেলায় পৃথক দুই ঘটনায় পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ও চরসামাইয়া ইউনিয়নে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
জেলা পুলিশ জানায়, রোববার (৬ এপ্রিল) ভোলার সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. কামালের মেয়ে তামান্না (১৩), একই ওয়ার্ডের মো. মহিউদ্দিনের ছেলে তানজিল (৮) ও সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফরাজিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. রুবেল চৌধুরীর ছেলে মো. জিসান (৬) পানিতে ডুবে মারা গেছে।
নিহত তামান্না ও তানজিলের স্বজনরা জানান, মাছ চাষ করার জন্য বাড়ির পাশের পুকুরে খাল থেকে পানি প্রবেশ করাচ্ছিল স্থানীয়রা। এ সময় তানজিল সেখানে খেলতে গিয়ে স্রোতের মুখে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে তামান্না ঝাঁপ দিলে সেও ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু দুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
অন্যদিকে মৃত জিসানের চাচা মিলন চৌধুরি বলেন, ঘরের পাশের পুকুরে জিসান হঠাৎ পিছলে পানিতে পড়ে গেলে সাহায্যের জন্য পাশে থাকা বড় বোন চিৎকার করে মানুষ ডাকে। কিন্তু ঘরের পাশে স-মিল চালু থাকায় চিৎকারের শব্দ কারো কানে পৌঁছায়নি। পরে জিসানকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। পৃথক দুই ঘটনায় ভোলা থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
৭ দিন আগে
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১০
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। শনিবার (৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন, আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬ জন রোগী।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৪
চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৯০২ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
৮ দিন আগে
চোর সন্দেহে পিটুনিতে শ্রমিকদল নেতার মৃত্যু, লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তার ৪
লক্ষ্মীপুরে চোর সন্দেহে শ্রমিকদল নেতা রাজু হোসেনকে সংঘবদ্ধ পিটুনির পর মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩১ মার্চ) সদর উপজেলার সবুজের গোঁজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর গতকাল (সোমবার) তার মৃত্যু হলে এদিন রাতেই নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
নিহত রাজু হোসেন চররুহিতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ঈদের আগের দিন (রবিবার) রাতে প্রতিবেশী কবির হোসেনের ঘরে মোবাইল চার্জ দিয়ে বেরিয়ে যান রাজু। এ সময় তাকে চোর সন্দেহে আটক করেন কবির হোসেন ও তার সহযোগিরা। একপর্যায়ে অটোরিকশা চোর সন্দেহে কাজল কোম্পানির ইটভাটার সামনের রাস্তায় গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে পিটুনি দেন তারা। রাতভর তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সোমবার সকালে রাজুকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানে অবস্থার আবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু, আহত ২
এ ঘটনার পর পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত কবির হোসেনসহ চারজনকে আটক করে। পরে মামলা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন— সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের কবির হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, লিটন হোসেন ও রেখা বেগম। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘রাজুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
১২ দিন আগে
নরসিংদীতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা, স্বজনদের দাবি কুপিয়ে হত্যা, পুলিশ বলছে গণধোলাই
নরসিংদীর পলাশে চাঁদা না দেওয়ায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠছে। এ সময় বাঁচাতে গেলে তাদের মা-বাবাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ বলছে, চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ের শিকার তারা।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে পলাশ উপজেলার ভাঘদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাকিব মিয়া (২৫) ও সাকিব মিয়া (২০) পলাশের কর্তাতৈল গ্রামের আশ্রাফ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের বাবা-মা।
পুলিশ বলছে, চোর সন্দেহে বাঘদি গ্রামের লোকজন সকালে একজনকে গণধোলাই দিয়েছে। পরে রাতেও চোর সন্দেহে কয়েকজনকে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী।
তবে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, রাকিব ও তার ববা আশ্রাফ উদ্দিন বিদেশে লোক পাঠাতেন। তাই এলাকার দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল একদল দুর্বৃত্ত। কিন্তু তারা চাঁদা দিতে রাজি হননি।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ উপলক্ষে সাকিব ও তার বন্ধুরা ঘুরতে বের হলে কর্তাতৈল এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা করে। ওই সময় তারা সাকিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।
খবর পেয়ে তার ভাই রাকিব ও মা-বাবাসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই সময় দুর্বৃত্তদের বাধা দিতে গেলে রাকিব ও তার মা-বাবাকেও কোপানো শুরু করে তারা। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরে তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় রাকিব ও তার মা-বাবাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাকিবও মারা যান। এরপর তার মা-বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহতদের চাচি হাজেরা বেগম বলেন, এলাকার কিছু দুর্বৃত্ত দীঘদিন ধরে চাঁদা চেয়ে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় আজকে ঈদের দিন ঘুরতে গেলে সন্ত্রাসীরা সাকিব ও রাকিবকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানোর পর চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করে। অপর আহত ৩ জনকে ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান।’
১২ দিন আগে
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে নয়ন মিয়া (১৩) নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের দিন কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসেন নয়ন। এ সময় তারা জিরো পয়েন্টসংলগ্ন এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে নয়ন স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরে তার সঙ্গী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
১৩ দিন আগে
ছাতার কাঠি দিয়ে আতশবাজি ফুটাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
পটুয়াখালীতে বন্ধুদের নিয়ে আতশবাজি ফুটাতে গিয়ে রাফি নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার পর বাসার সামনের একটি মাঠে ছাতার কাঠি দিয়ে আতশবাজি ফুটাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ মনির হোসেন ছেলে এবং পটুয়াখালী চরপাড়ায় ওইজিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল রাফি। তার বাবা নিউমার্কেটে মৎস্য ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা জানায়, রাফি কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আতশবাজি ফুটাচ্ছিল। এ সময় একটি আতশবাজি বিস্ফোরিত হয়ে তার গলায় শ্বাসনালীতে আঘাত করে।
সঙ্গে সঙ্গে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দুপক্ষের মারামারি, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারির মৃত্যু
পরিবার-পরিজন ও স্থানীয়রা এই ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন এবং এমন দুর্ঘটনা এড়াতে আতশবাজি ব্যবহারে আরও সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
১৩ দিন আগে
নওগাঁয় দুপক্ষের মারামারি, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারির মৃত্যু
নওগাঁর পোরশায় পুকুরের পানি সেচকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আফজাল হোসেনের (৫৫) মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৩০ মার্চ) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আফজাল পোরশা উপজেলার গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ও বড়গুন্দইল নওয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ মার্চ বিকালে বড়গুন্দইল নওয়াপাড়া মালতিপুর ও কাদিপুর জামে মসজিদের লিজ নেয়া পুকুরের পানি সেচকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুপক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘঠিত হয়। এতে প্রতিপক্ষের লোকজনের মারপিটে আফজাল হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাসচাপায় মা ও ২ মেয়েসহ নিহত ৪, আহত ২
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘এ ঘটনায় ২৮ মার্চ নিহতের ছোট ভাই আলফাজ হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন। ‘পরে গুন্দইল গ্রামের ইমামুল হাসান, একই গ্রামের বাবুল হোসেন ও সাপাহার উপজেলার পদলপাড়া গ্রামে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। ওসি আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘বিষয়টি পোরশা ও সাপাহার থানার সীমানা এলাকায়। এজন্য দুই থানার কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’
১৪ দিন আগে
বগুড়ায় ‘বিষাক্ত’ অ্যালকোহল পানে ৩ জনের মৃত্যু
বগুড়ায় ‘বিষাক্ত’ অ্যালকোহল পানে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা তিনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে সনি রায় নামে এক যুবক বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে আওরঙ্গজেব ও রাসেলেও মৃত্যু হয়।
এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর মেডিকেল ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) লালন হোসেন।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় চারজন এক সঙ্গে ‘বিষাক্ত’ অ্যালকোহল পান করেন। এরপর থেকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। চারজনের মধ্যে এনামুল হক পিলু নামে আরও একজন মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পিলু বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় অ্যালকোহলের বোতল নিয়ে আসে চিন্টু। আমরা চারজন মিলে খাই। খাওয়ার পর পাতলা পায়খানা, সঙ্গে শ্বাসকষ্টও ছিল।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘দায়ের কোপে’ বাবার মৃত্যুর অভিযোগ, ছেলে আটক
এনামুলের ভাই এমদাদ হোসেন বলেন, ‘তার ভাই কাপড়ের ব্যবসা করেন। সে মদ খেত আমরা জানি। তার সঙ্গে আওরঙ্গজেব ও রাসেল মারা গেছেন।’
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) এ কে এম মইন উদ্দিন বলেন, ‘মদপানে মৃত্যুর খবর পেয়ে দুজনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে তারা আগেই লাশ দাফন করেছেন।’
১৪ দিন আগে