মৃত্যু
খালেদা জিয়ার মৃত্যু: শোককে শক্তিতে রূপান্তরের আহ্বান ফখরুলের
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সৃষ্ট শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে একটি অপ্রতিরোধ্য দল হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে যে শোক তৈরি হয়েছে, আসুন, আমরা এই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে একটি অপ্রতিরোধ্য দল হিসেবে গড়ে তুলি। বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠিত করি।’
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন।… আজকে সেই নেত্রীর ইন্তেকালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এই ক্ষতি পূরণ সহজে সম্ভব নয়।
‘এমন একটা সময়ে তিনি চলে গেলেন, যখন তাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, যখন জাতি গণতান্ত্রিক উত্তরণের দিকে যাচ্ছে। এই শোক, এই বেদনা আমাদের পক্ষে ধারণ করা খুব কঠিন। তারপরও এই শোককে আমরা শক্তিতে রূপান্তরিত করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীর দেখানো পথে আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই।’
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়ে বুধবার দুপুর ২টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে শেরেবাংলা নগরে তার স্বামী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জানাজা পড়াবেন আমাদের জাতীয় মসজিদের খতিব অর্থাৎ বায়তুল মোকাররমের খতিব। আর এই জানাজায় সঞ্চালনা করবেন আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম খান।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে এই জানাজায় অংশগ্রহণ করব।… আমি বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের কাছে অনুরোধ জানাব, আপনারা সেই শৃঙ্খলা মেনে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে জানাজা পড়বেন।’
এরপর খালেদা জিয়াকে দাফনের কার্যক্রমে যাদের দায়িত্ব থাকবে, কেবল তারাই অংশ নেবেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘অনুরোধ থাকবে আপনাদের কাছে যে আপনারা কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করে শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন না এবং ব্যাহত করবেন না এই পুরো কর্মসূচিকে।
‘আমরা বিশ্বাস করি, দেশনেত্রীর প্রতি আপনাদের যে সম্মান, যে শ্রদ্ধা, সেটাকে অটুট রাখার জন্য আপনারা সেই শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন এবং সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবেন এই জানাজা এবং দাফন কার্য সুচারুরূপে সমাধা করতে।’
এ সময় দলের পক্ষ থেকে সাত দিন শোক পালনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সাত দিন আমরা কালো পতাকা ধারণ করব। কালো ব্যাজ ধারণ করব এবং কালো পতাকা উড়বে প্রতিটি কার্যালয়ে, আমাদের দলীয় কার্যালয়ে। এবং প্রত্যেক কার্যালয়ে দোয়া পড়া হবে, কোরআন তেলাওয়াত হবে।
‘এই বিষয়গুলো আপনারা সবাই পালন করবেন। আমরা আবারও সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
৬ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়া বাংলাদেশের পরিচয়ের সঙ্গে চিরকাল যুক্ত থাকবেন: জাবি উপাচার্য
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি একজন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রনায়ক ও অভিভাবককে হারাল।
কামরুল আহসান বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আপসহীন নেতৃত্বের জন্য তিনি জনসাধারণের কাছে ‘আপসহীন দেশনেত্রী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যু ইতিহাসের এক কিংবদন্তির প্রস্থান, যা কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে সময়ের প্রয়োজনে তিনি কোটি মানুষের নেত্রীতে পরিণত হন। গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী এই নেতা দেশ, মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ে ছিলেন অবিচল।
উপাচার্য বলেন, ব্যক্তিগত ও সামাজিক মূল্যবোধে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অনন্য প্রেরণার উৎস। স্বভাবে ও আচরণে পরিমিত, পরিশীলিত ও সহনশীল এই নেতা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থরক্ষায় সব সময় সাহসী ও সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন। শারীরিকভাবে বিদায় নিলেও বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের পরিচয়ের সঙ্গে চিরকাল যুক্ত থাকবেন এবং দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনি বারবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবেন।
শোকবার্তায় উপাচার্য ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বেগম খালেদা জিয়ার এক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ওই ভাষণের মাধ্যমে তিনি ধ্বংস বা প্রতিশোধ নয়, বরং ভালোবাসা, শান্তি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
জানাজা দুপুর ২টায়, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ আগামীকাল বুধবার দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুর সাড়ে ৩টায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন স্থানে বুধবার দুপুর ২টায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হবে।
খালেদা জিয়ার দাফনের সময় জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সেইসঙ্গে দাফনে উপস্থিতদের কোনো ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোক
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক্সে প্রকাশিত এক শোকবার্তায় তিনি এ শোক প্রকাশ করেন।
পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অন্যতম জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে আমি শোকাহত।’
খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীদের আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে অন্যান্য বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শোক জানিয়েছেন।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়ন ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার দূরদর্শিতা ও উত্তরাধিকার দুই দেশের অংশীদারত্বকে ভবিষ্যতেও আমাদের পথ দেখাবে। তার আত্মা শান্তিতে থাকুক।’
মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বেগম খালেদা জিয়া।
তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
মৃত্যুর সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, নাতনি জাইমা রহমান, ছোট ছেলের স্ত্রী শার্মিলী রহমান সিঁথি, ছোট ভাই শামীম এসকান্দার, তার স্ত্রী, বড় বোন সেলিনা ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য।
এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য চিকিৎসকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া নানা জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি জটিলতা, যকৃতের জটিল রোগ, অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
৮ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক্সে প্রকাশিত এক শোকবার্তায় শাহবাজ শরিফ খালেদা জিয়াকে ‘পাকিস্তানের নিবেদিতপ্রাণ বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
পোস্টে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে তার আজীবন সেবা এক দীর্ঘস্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে গেছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেগম জিয়া পাকিস্তানের একজন নিবেদিতপ্রাণ বন্ধু ছিলেন। শোকের এই মুহূর্তে আমার সরকার ও পাকিস্তানের জনগণ বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে।।’
তিনি খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
৮ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠকে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন ও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা শুরু হয়েছে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলশানের বাসভবন থেকে তারেক রহমানের গাড়ি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তার আসার আগেই সভায় অংশ নিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এসে পৌঁছান।
বৈঠকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দলের বিস্তারিত কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান।
এ ছাড়াও উপস্থিত হতে পথে রয়েছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
বৈঠক ঘিরে কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ডিক্যাবের শোক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনউদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুনের সই করা এক শোকবার্তায় বলা হয়, গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠা, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি সমুন্নত রাখা এবং বাংলাদেশের জনগণের অধিকার সুরক্ষার সংগ্রামে খালেদা জিয়ার ঐতিহাসিক ভূমিকা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হবে।
ডিক্যাব জানায়, আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি দেশের ইতিহাসের সংকটময় সময়ে বারবার জাতিকে অগণতান্ত্রিক শাসন থেকে দূরে রাখতে পথনির্দেশনা দিয়েছেন।
বার্তায় আরও বলা হয়, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ গড়ে তুলতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
শোকবার্তায় খালেদা জিয়ার শোকাহত পরিবার, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে ডিক্যাব। প্রিয়জন হারানোর এই অপূরণীয় ক্ষতির সময়ে তার পরিবারের জন্য শক্তি ও সান্ত্বনা কামনা করেছে সংগঠনটি।
ডিক্যাবের শোকবার্তায় আরও বলা হয়, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শক্তিশালী নারী নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক অধ্যায়ের এক যুগের অবসান হলো। ‘মহান আল্লাহ তার আত্মাকে চিরশান্তিতে রাখুন।’
৯ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, বুধবার সাধারণ ছুটি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সারা দেশে সাধারণ ছুটি থাকবে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। এছাড়া আগামীকাল (৩১ ডিসেম্বর) সরকারি ছুটি। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা হবে। সংসদ ভবন প্লাজায় তার জানাজা হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার রহমানের মাজারের (জিয়া উদ্যানে) ওখানেই তাকে দাফন করা হবে।
জানাজা কখন হবে জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ বলেন, সেই সিদ্ধান্তটা একটু পর হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটা মিটিং আছে; সাড়ে ১২টায় সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সম্ভাব্য সময় বলতে পারি আগামীকাল জোহরের নামাজের পর।
তিনি বলেন, তার মরদেহ এখন এভারকেয়ার হাসপাতালে থাকবে। সেখানে যে সকল প্রস্তুতিমূলক কাজ হওয়া দরকার সেগুলো হবে। এরপর কাল সকালে সেখান থেকে রওনা দিয়ে জাতীয় সংসদে নেওয়া হবে। মূল রাস্তা দিয়েই তার মরদেহ সেখানে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে, সেজন্য হয়তো একটু বেশি সময় লাগবে।
১০ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার দূরদর্শিতা ও উত্তরাধিকার আমাদের অংশীদারত্বকে পথ দেখাবে: মোদি
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এই শোক প্রকাশ করেন তিনি।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ঢাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা এই বিয়োগান্তক ক্ষতি সয়ে নেওয়ার জন্য তার পরিবারকে ধৈর্য দান করুন।’
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়ন ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
২০১৫ সালে ঢাকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘তার দূরদর্শিতা ও উত্তরাধিকার দুই দেশের অংশীদারত্বকে ভবিষ্যতেও আমাদের পথ দেখাবে। তার আত্মা শান্তিতে থাকুক।’
১২ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিএনপির ৭ দিনের শোক
দলের চেয়ারপারসন ও দেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৭ দিনব্যাপী শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, আগামী সাতদিনব্যাপী দলের নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন এবং প্রত্যেকটা অফিসে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল করা হবে। এছাড়া নয়া পল্টন ও গুলশান কার্যালয়ে শোক বই খোলা হবে। পরবর্তীতে দাফন-কাফনের সময়সূচি জানানো হবে।
রাজনীতিতে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে পরিচিত খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থতায় ভোগা দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রয়াণে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১২ ঘণ্টা আগে