মৃত্যু
হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পৌরসভার গয়াহরি গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর প্রানেশ দেবের মা অনিমা রানী দেব ও ছেলে নিপেশ চন্দ্র দেব।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট-দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে অনিমা বাথরুমে গোসল করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় মাকে বাঁচাতে নিপেশ এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
পরে অচেতন অবস্থায় মা ও ছেলেকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু
২ দিন আগে
জাকারিয়া পিন্টুর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক, মুক্তিযোদ্ধা জাকারিয়া পিন্টু হাসপাতালে মারা গেছেন জানতে পেরে আমি মর্মাহত ও শোকাহত।
ইউনূস বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কিংবদন্তি অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সরকারের জন্য অর্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন সংগ্রহের জন্য ভারতজুড়ে ছুটে বেড়িয়েছেন। তিনি যখন মাঠে খেলতেন না, তখনও আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ দিতেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মুখ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর বাবার মৃত্যুতে ডিআরইউ’র শোক
‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক হন। কিংবদন্তি এ খেলোয়াড় সেন্ট্রাল ব্যাক পজিশনে খেলতেন, একইসঙ্গে তিনি লাল-সবুজ জার্সিতে একজন অসাধারণ ডিফেন্ডার ছিলেন। দুই দশকের ক্যারিয়ার শেষ করার পর দেশের ক্রীড়া অঙ্গনকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন একজন পুরোদস্তুর স্পোর্টসম্যান।’
প্রধান উপদেষ্টা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং ক্রীড়া অঙ্গনের সংশ্লিষ্টজন, যাদের কাছে জাকারিয়া পিন্টু একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি ছিলেন তাদের সকলের প্রতিও সমবেদনা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
৩ দিন আগে
দেশে আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময় নতুন করে একজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৪৯১ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ জন। এ নিয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২০ লাখ ১৯ হাজার ১৮৩ জনে।
১ সপ্তাহ আগে
অক্টোবরে সড়কে মৃত্যুর ৪১.৭৯% মোটসাইকেল দুর্ঘটনায়
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে ৪৪৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ৪৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় ৮৩৭ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ৭৪ জন নারী এবং ৬৬ জন শিশু।
মোট ২০৮টি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৪১.৭৯ শতাংশ এবং মোটরবাইক দুর্ঘটনার হার ৪৬.৯৫ শতাংশ।
এছাড়া, ১০২ জন পথচারী (২১.৭৪ শতাংশ) এবং ৬৭ জন যানবাহন চালক বা তাদের সহকারী (১৪.২৮ শতাংশ) নিহত হন।
এ সময়, ৪টি নৌ দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু এবং ৩ জন আহত হন, আর ২১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৮ জন মারা যান এবং ৬ জন আহত হন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সংগঠনটি জানায়, ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং এর নিজস্ব রেকর্ডের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ২৪
যানবাহন অনুযায়ী মৃত্যুর হিসাব
যানবাহনের ধরন অনুযায়ী মৃত্যুর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোটরবাইক চালক বা যাত্রীদের মধ্যে ১৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে (৪১.৭৯ শতাংশ)। বাস যাত্রীদের মধ্যে ৩১ জন (৬.৬০শতাংশ) মারা গেছেন এবং ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ট্রলি বা লরির যাত্রীদের মধ্যে ২০ জন (৪.২৬ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
এছাড়া প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স যাত্রীদের মধ্যে ১২ জন (২.৫৫ শতাংশ) মারা গেছেন, আর তিন চাকার যান (যেমন অটো রিকশা, সিএনজি, টমটম) যাত্রীদের মধ্যে ৯৪ জন (২০.০৪ শতাংশ) প্রাণ হারিয়েছেন।
নসিমন ও করিমনের মতো স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন দুর্ঘটনা ১০ জন (২.১৩ শতাংশ) এবং সাইকেল চালক ও রিকশা যাত্রীদের মধ্যে ৪ জন (০.৮৫ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার স্থান অনুযায়ী সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৭৩টি (৩৯.০৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে ঘটেছে, ১৬২টি (৩৬.৫৬ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৬৪টি (১৪.৪৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৮টি (৮.৫৭ শতাংশ) শহুরে এলাকায় এবং এছাড়া অন্যান্য অপ্রত্যাশিত স্থানে ৬টি (১.৩৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন
দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল ১১২টি (২৫.২৮ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭১টি (৩৮.৬০ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৪টি (২৩.৪৭ শতাংশ) পথচারীকে আঘাত, ৪২টি (৯.৪৮শতাংশ) পেছন থেকে ধাক্কা এবং ১৪টি (৩.১৬শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটে।
দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহন
দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনের মধ্যে ২৫.৪৮ শতাংশ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, ট্র্যাক্টর, ট্রলি, লরি ও ড্রাম ট্রাক জড়িত ছিল।
মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অ্যাম্বুলেন্স ও জিপ দুর্ঘটনা ছিল ৪.৩৯ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ছিল ১৪.৪৮ শতাংশ, মোটরবাইকের ছিল ২৮.০৭ শতাংশ এবং তিন চাকার যান (যেমন অটো-রিকশা) ছিল ১৭.৫৯ শতাংশ।
এছাড়া স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ছিল ৫.৪৩ শতাংশ, সাইকেল ও রিকশা ছিল ১.৮১ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ছিল ২.৭১ শতাংশ।
যানবাহনের সংখ্যা
মোট ৭৭৩টি যানবাহন দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। এর মধ্যে ১১২টি বাস, ১১৯টি ট্রাক, ২২টি কাভার্ড ভ্যান, ২৫টি পিকআপ, ৭টি ট্র্যাক্টর, ৬টি ট্রলি, ৯টি লরি, ৮টি ড্রাম ট্রাক, ১টি ১৮-চাকার লরি, ১২টি মাইক্রোবাস, ১৪টি প্রাইভেট কার, ৫টি অ্যাম্বুলেন্স, ৩টি জিপ, ২১৭টি মোটরবাইক, ১৩৬টি তিন চাকার যান, ৪২টি স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন, ১৪টি সাইকেল বা রিকশা এবং ২১টি অজ্ঞাত যানবাহন।
দুর্ঘটনার সময়
দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫.৪১ শতাংশ দুর্ঘটনা হয়েছিল ভোরে, ২৬.৬৩ শতাংশ সকালে, ১৬.৯৩ শতাংশ দুপুরে, ১৫.৫৭ শতাংশ সন্ধ্যা, ৯.২৫ শতাংশ গোধূলি এবং ২৬.১৮ শতাংশ রাতে।
বিভাগ অনুযায়ী দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান
বিভাগীয় পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ২৯.৫৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর ৩০.৭০ শতাংশ গটেছে ঢাকা বিভাগে। মোট দুর্ঘটনার ১৫.৩৪ শতাংশ ও মৃত্যুর ১৩.৮৫ শতাংশ হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। দুর্ঘটনার ১৭.৮৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর ১৭.২৭ শতাংশ ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। মোট দুর্ঘটনার ৯ শতাংশ ও মৃত্যুর ৮ দশমিক ১০ শতাংশ গয়েঠে খুলনা বিভাগে, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৩১টি ঘটনায় ১৪৪ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট। সেখানে ২২টি ঘটনা এবং ২৪ জন মারা গেছে।
বিভিন্ন জেলা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম সর্বোচ্চ দুর্ঘটনা ও মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে, মাগুরা, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পঞ্চগড়ে দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
রাজধানী ঢাকা শহরে ২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু এবং ৩৪ জন আহত হয়েছেন।
মৃত্যুর পেশাগত বিশ্লেষণ
প্রকাশিত গণমাধ্যম তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য, দুইজন আনসার সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নয়জন শিক্ষক এবং চারজন সাংবাদিক ছিলেন।
দুর্ঘটনা ও হতাহতের এসব ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা উন্নত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জন নিহত, আহত ৯৭৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
১ সপ্তাহ আগে
দেশে আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময় নতুন করে ১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৫ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
শনিবার (৯ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২ জনের করোনা শনাক্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ জন। এ নিয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২০ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত
১ সপ্তাহ আগে
বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যু
বেনাপোল বন্দরে স্ট্রোক করে দিনেশ চান যাদব নামে এক ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তুলার চালান নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে ২৫ নম্বর শেডে টিটিআই এসিড মাঠে তুলাবোঝাই ট্রাকটি রাখেন।
আরও পড়ুন: বাবার সিএনজি অটোরিকশায় নানাবাড়ি যাওয়ার সময় বাস চাপায় ২ শিশু নিহত
নিহত ট্রাকচালক দিনেশ চাদ যাদব (৫২) ভারতের উত্তর প্রদেশের আহমেদ নগর জেলার জালালপুর এলাকার বাসিন্দা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতীয় এক ট্রাকচালকের স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবীর তরফদারকে জানাই। বন্দর পরিচালক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজার কমলেশ সাইনি ও পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীকে জানান। তবে ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকের মধ্যেই স্ট্রোক করে মারা যান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ট্রাকচালকের লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত, আহত ২
১ সপ্তাহ আগে
দেশে আরও ১ জনের করোনা শনাক্ত
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময় নতুন করে একজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৪৮২ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ জন। এ নিয়ে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২০ লাখ ১৯ হাজার ১৭১ জনে।
২ সপ্তাহ আগে
কমলগঞ্জে অটোরিকশা উল্টে ২ কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
মৌলভীবাজারে অটোরিকশা উল্টে আব্দুল্লাহ আল সায়েম ও অমিত সূত্রধর নামে ২ কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এতে শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল দিকে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বাসের ধাক্কায় ভ্যান চালকের মৃত্যু
নিহতরা হলেন- শ্রীমঙ্গল কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার আব্দুল্লাহ আল সায়েম (১৭) ও ভাগলপুর এলাকার অমিত সূত্রধর (১৮)।
তারা কমলগঞ্জ সরকারি গণ-মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আহতরা হলেন- শ্রীমঙ্গল কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার শাহীন মিয়া (১৮), সৈকত দেব (১৮) ও শিশু জান্নাতুল (১১)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল থেকে অটোরিকশায় কমলগঞ্জ কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় শিক্ষার্থীরা।
কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বটেরতলা এলাকায় এলে একটি শিশুকে বাচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটি উল্টে যায়।
ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সায়েমের মৃত্যু হয়। অটোরিকশায় থাকা আরও তিনজন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আহত অমিত ও শিশু জান্নাতুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৌলভীবাজার হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। সেখান থেকে আহত অমিতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু, আহত ৪
২ সপ্তাহ আগে
গোপালগঞ্জে ইজিবাইকচাপায় শিশুর মৃত্যু
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চাপায় আরিয়ান (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল দিকে উপজেলার পশ্চিমপাড়-শুয়াগ্রাম সড়কের বড় দক্ষিণপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
আরিয়ান উপজেলার বড় দক্ষিণপাড় গ্রামের হক মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরিয়ান যখন রাস্তা পার হচ্ছিল, তখনই দ্রুতগতির একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
তাকে উদ্ধার করে সংকটাপন্ন অবস্থায় কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল বলেন, কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ দায়ের হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে সিএনজি পাম্পে আগুন: দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
২ সপ্তাহ আগে
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় লালন শাহ সেতুর পশ্চিম পাড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় অভি সরদার (২০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী সড়কের লালনশাহ সেতুর পশ্চিম পাড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ১ জনের মৃত্যু
অভি সরদার পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা গ্রামের সুজন সরদারের ছেলে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি ট্রাকের পিছনে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় হঠাৎ ট্রাকটি গতি কমালে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী অভি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাসচাপায় জামায়াত নেতার মৃত্যু
২ সপ্তাহ আগে