আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া আত্মঘাতী হামলার পর সেখান থেকে বিদেশি সৈন্যসহ আফগানদের উদ্ধারের কাজ আবার শুরু হয়েছে। এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে ফের ফ্লাইটগুলো চালু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিতে মার্কিন সেনাসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে যে বিদেশি সৈন্যদের চলে যাওয়ার সময়সীমার আগে আরও হামলা হতে পারে। তালেবানের দেয়া সময়সীমা মধ্যে চলে যেতে পারলে আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটবে।
আরও পড়ুন: কাবুলে জোড়া আত্মঘাতী হামলা: মার্কিন সেনাসহ নিহত ৭২
তালেবান রাজধানী কাবুল দখল করে নেয়ার পর আফগানিস্তান থেকে পালাতে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ্য করেই বৃহস্পতিবার এই হামলা চালানো হয়। বিমানবন্দরের বাইরে এই হামলায় কমপক্ষে ৯৫ আফগান ও ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আফগান ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১১ সালের আগস্টের পর আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর জন্য সবচেয়ে মারাত্মক দিন ছিল এটি। আফগানিস্তানে আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের এটিই শেষ সপ্তাহ।
আফগান কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, মর্গগুলোর ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাবুলে ইউক্রেনের বিমান ছিনতাই
নিহতদের আত্মীয়দের ঘটনাস্থল থেকে লাশ নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নিহতের সংখ্যা ১৬৯ জন হতে পারে।
জোড়া আত্মঘাতী হামলার পর বৃহস্পতিবার রাতে এক আবেগঘন বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের আফগানিস্তান সহযোগী সংগঠনকে দায়ী করেন, যারা তালেবান যোদ্ধাদের চেয়ে অনেক বেশি মৌলবাদী।
আরও পড়ুন: কাবুল থেকে আরও দ্রুত লোকজন সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কাবুল থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউস শুক্রবার সকালে বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৫০০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এখনও এক হাজার আমেরিকান ও হাজার হাজার আফগান কাবুল বিমানবন্দর থেকে উদ্ধারের অপেক্ষায় আছে।