হামলা
কোটা আন্দোলন: শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় আহত ১০
ঝিনাইদহে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: সংঘর্ষের জেরে ৩ বিভাগীয় শহরসহ বগুড়ায় বিজিবি মোতায়েন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। এসময় শহরের পায়রা চত্বর এলাকা থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২
ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে দুইজন আহত হয়েছেন।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা, দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের
আহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক বিভাগের সাবেক ছাত্র নিশাত আহমেদ (২৫) এবং সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সে ছাত্র আবরার নাদিম ইতু (২৬)।
জানা যায়, সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে তারা সড়কে বসে নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে অর্ধশত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।
হামলার বিষয়ে আহত আবরার নাদিম ইতু বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি শুরু হতে না হতেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা করে। আমাদের প্রত্যেকের মাথায় আঘাত করেছে তারা। আমাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়ে গেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিলুর রহমান রিয়াদ বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের পাশ দিয়ে ছাত্রলীগের একটি মিছিল যাওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর স্লোগান দিলে সংঘর্ষ হয়।’
ফরিদপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: মঙ্গলবারের কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে এডিটরস গিল্ড ও বিএফইউজের নিন্দা
কোটা সংস্কার: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বরিশাল অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এতে অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল নগরী।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিএম কলেজ ও ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।
এদিকে নগরের চৌমাথা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এসময় কোটা সংস্কারের পক্ষে ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে তারা।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: মঙ্গলবারের কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
অন্যদিকে, আমতলার মোড় এলাকায় বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবামেক) শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে স্লোগান দেয় তারা।
অবরোধের স্থানগুলোতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হলেও আন্দোলনকারীদের কোনোরকম বাধা দেওয়া হচ্ছে না। সকালে বিএম কলেজ এলাকায় ছাত্রলীগের কিছু কর্মী আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে সোয়া ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সবগুলো অবরোধ চলমান ছিল।
বরিশাল মহানগরীর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুর রহমান বলেন, ‘কোথাও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা শান্তভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ স্লোগানে এডিটরস গিল্ড ও বিএফইউজের নিন্দা
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা বিএনপির
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'তারা (শিক্ষার্থীরা) তাদের দাবি নিয়ে সফলভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করছেন তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন রয়েছে এবং সবাই ন্যায্য সমাধানের অপেক্ষায় আছেন।’
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শরিক গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সমাধান খোঁজার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডুবাচ্ছে: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিক্ষোভকারীদের রাজাকার স্লোগান সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে খসরু বলেন, শিক্ষার্থীরা বোঝাতে চেয়েছে তাদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে তাদের রাজাকার হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ষড়যন্ত্রের কথা বলে, বিএনপির উসকানি দিয়ে এবং আন্দোলনকারীদের স্বাধীনতাবিরোধী ও রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ষড়যন্ত্রের কথা বলে গোটা জাতিকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
তিনি বলেন, 'এসব বিষয়কে পুঁজি করার কোনো সুযোগ নেই। এটা নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এমনটাই বলছেন তারা। নতুন প্রজন্ম এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে এগুলোকে (রাজাকার ট্যাগ) পুঁজি করে কেউ মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।’
খসরু বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদী ও দখলদার সরকার দেশের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয় বলেই কোটা সংস্কার সমস্যার সমাধান করছে না।
আরও পড়ুন: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
বিএনপি মনে করে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ একটি নির্বাচিত সরকার থাকলে খুব সহজেই এ সমস্যার ন্যায্য সমাধান পাওয়া যেত।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খসরু ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া গত চার দিন ধরে ১২ দলীয় জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এনডিএ, গণফোরাম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, এলডিপি এবং গণঅধিকার পরিষদের আরেকটি অংশের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে তাদের ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করছে সরকার: মির্জা আব্বাস
পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনার কাছে আত্মঘাতী হামলা, ৮ বেসামরিক নাগরিক আহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সামরিক স্থাপনার প্রাচীর দেয়ালের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে আট বেসামরিক লোক আহত হয় এবং আশপাশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সোমবার (১৫ জুলাই) ভোরে বান্নু শহরে আত্মঘাতী এক ব্যক্তি এই বিস্ফোরণে অংশ নেয় বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা তাহির খান বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত 'সমন্বিত হামলার' জবাব দেয় এবং বান্নু শহরের বড় সামরিক স্থাপনায় বিদ্রোহীদের প্রবেশের প্রচেষ্টাকে রুখে দেয়। হামলার লক্ষ্যবস্তুতে মূলত সামরিক বাহিনীর কার্যালয় ও নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়ি রয়েছে।
আরও সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও স্থলবাহিনী এখন ওই এলাকায় পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি।
এসব হামলায় বেশ কয়েকজন সেনাও আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সরকার বা সেনাবাহিনীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পৃথক অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত
বান্নু আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রদেশটিতে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একটি মসজিদে পুলিশের ছদ্মবেশাধারী এক আত্মঘাতী সন্ত্রাসীর বোমা হামলায় অন্তত ১০১ জনের মৃত্যু হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিল পুলিশ কর্মকর্তা।
হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা জোরদার করায় পাকিস্তানি তালেবানের ওপর বেশি সন্দেহ করা হচ্ছে।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামে পরিচিত পাকিস্তানি তালেবান একটি পৃথক গোষ্ঠী কিন্তু আফগান তালেবানের মিত্র। ২০২১ সালে আফগান তালেবান প্রতিবেশী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে টিটিপি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী
চবি-ষোলশহরে কোটাবিরোধী ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ১০
চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে কোটাবিরোধী অন্দোলনরত শিক্ষাথীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৪টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীরা ঝড়ো হয় ষোলশহর রেল ষ্টেশনে।
সংঘর্ষ শুরু পরপরই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যানবাহন বন্ধ ছিল।
এর আগে দুপুরে চবি স্টেশনে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঠেকাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের চাবি কেড়ে নেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা।
আজ ৩টা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নগরীর ষোলশহর স্টেশনে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়।
এর আগ দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
এদিকে, ছাত্রলীগের নেতারা ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া শাটল ট্রেন আটকে আন্দোলনের এক সমন্বয়কারীকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোটা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দুপুর আড়াইটায় শাটল ট্রেনে করে শিক্ষার্থীরা ষোলশহর স্টেশনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী তাদের লাঠি ও বাঁশ নিয়ে ধাওয়া দেন। অনেকেই ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে ধরে নিয়ে প্রক্টরের কাছে গিয়ে তার ভর্তি বাতিলের দাবি জানান। ছাত্রলীগের নেতারা শাটল ট্রেনের চালককে জিম্মি করে চাবি ছিনিয়ে নেয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা আজ সকালে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন যে দুপুর আড়াইটার সময় শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর রেলস্টেশনে সমবেত হবেন। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা যাতে শাটল ট্রেনে উঠতে না পারেন, এজন্য ট্রেনের প্রতিটি বগির সামনে ছাত্রলীগ কর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ট্রেনে উঠতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে 'ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের' হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমান শাটল ট্রেনের চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক ট্রেনের চাবি ছিনিয়ে নিয়েছে। এ কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।’
এদিকে, শাটল ট্রেন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, ‘কোটা সংস্কারের পক্ষে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। তারা আন্দোলন করুক সেটাতে আমরা একাত্মতা পোষণ করেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ কটুক্তি করবে সেটা আমরা মেনে নেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেন আমরা বন্ধ করিনি। তাছাড়া আমরা কোনো হামলাও করিনি। রাফি নিজেই স্বীকার করেছে সে নিজেই মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের ভূমিকা উন্মোচিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
শনিবার নির্বাচনি জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক। তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। আমরা অবশ্যই তার ওপর এ ধরনের হামলার নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: চীন সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: শেখ হাসিনা
সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল তুলে ধরতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আমেরিকা সব সময় তাদের গণতন্ত্র নিয়ে গর্ববোধ করে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।
শেখ হাসিনা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, 'গণতন্ত্রের অগ্রপথিক যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি সভ্য দেশে কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল তা আমাদের প্রশ্ন।’
রিপাবলিকান পার্টি এই হামলার জন্য সরকারকে দোষারোপ করেনি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সরকারকে দায়ী করা হতো।’
শনিবার পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনি সমাবেশে এ হামলা করা হয়। বুলেটের আঘাতে অল্পের জন্য বেঁচে যান ট্রাম্প। তবে তার কান সামান্য কেটে যায়, মুখমণ্ডল থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। এরপরই তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয়। এ সময় হামলাকারী ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি নিহত হন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
আদালতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কিছু করার নেই: কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ
চট্টগ্রামের দুর্বৃত্তদের পৃথক হামলায় মো. জালাল উদ্দিন (৪৫) ও ইব্রাহিম খলিল (৪০) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার আনোয়ারার শোলকাটা ও সাতকানিয়ার চন্দনাইশে ঘটনা দুটি ঘটেছে।
নিহত জালাল উদ্দিন উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলতাফ মুন্সীর ছেলে এবং ইব্রাহিম খলিল বান্দরবানের লামা উপজেলার ইয়াংছার ছমুর মুখ এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে অটোরিকশার চাপায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার অনোয়ারার শোলকাটা এলাকার মনুমিয়া দিঘিরপাড়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে জালাল উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত মোক্তার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মোক্তার একই এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল আহমেদ বলেন, ‘রবিবার ভোরে জালাল উদ্দিন নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
অপরদিকে, সাতকানিয়া উপজেলার চন্দনাইশের দোহাজারীতে শনিবার রাতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইব্রাহিম নামের এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতে দোহাজারী বাস স্টেশন থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন ইব্রাহিম। দোহাজারীর বিওসির মোড় সেতু এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ে ছিনতাইকারীরা এসে অটোরিকশার গতিরোধ করে। এ সময় তারা অটোরিকশার চালক ও ইব্রাহিমকে মারধর করে। মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে বাধা দিলে ইব্রাহিমের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যান চাপায় বিএনপি নেতার মৃত্যু
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার নিহত
লেবাননের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর টায়ারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর এক সামরিক নেতা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) টায়ারের আল-হোশ এলাকায় একটি বেসামরিক গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা চালায় বলে জানিয়েছে লেবাননের একটি সামরিক সূত্র।
সূত্র জানায়, একটি ইসরায়েলি ড্রোন আকাশ থেকে গাড়িটির পর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে গাড়িটি পুড়ে যায়, সেইসঙ্গে গাড়ির চালক ও যাত্রী নিহত হন।
ওই গাড়ির চালক ছিলেন হিজবুল্লাহর একটি সামরিক ইউনিটের কমান্ডার, যার ডাকনাম হজ আবু নিমাহ। দক্ষিণ লেবাননের হাদ্দাথা গ্রামের বাসিন্দা নিমাহ দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত এলাকার পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় সেক্টরের সীমান্তরেখায় কাজ করতেন।
এ ঘটনায় হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য আসেনি।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘খুব শিগগির’ অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে লেবাননে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত ইসরায়েলের
সূত্র আরও জানায়, দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম ও শহরে তিনটি বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এসময় সীমান্তের পাঁচটি গ্রাম ও শহরে অন্তত ৩০টি শেল নিক্ষেপ করে তারা।
২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করার সময় থেকেই হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে। তবে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে লড়াই সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা একটি পূর্ণ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে ইরানও তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে তারাও ইসরালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। সর্বোপরি, এটি একটি বড় পর্যায়ের আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।
সম্প্রতি হিজবুল্লাহর মোকাবিলায় ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে সৈন্য জড়ো করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, আমাদের কাছে নতুন এমন অস্ত্র ও গোয়েন্দা সক্ষমতা রয়েছে, যা ইসরায়েলের গভীরে আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করার সক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন: লেবাননে মার্কিন দূতাবাসে বন্দুকধারীর হামলা
জবাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারাও হিজবুল্লাহকে তাদের পূর্ণ সক্ষমতা দেখায়নি। যুদ্ধ শুরু হলে লেবাননও আরেকটি গাজায় পরিণত হবে।
তবে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই কেবল ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করা হবে।
দক্ষিণ গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
স্থল অভিযানের আগে সোমবার (১ জুলাই) ওই এলাকা খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর রাত থেকে শুরু হয় হামলা।
স্থানীয় নাসের হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন।
ইসরায়েলের খালি করতে বলা এলাকার মধ্যে একটি ইউরোপীয় হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতালটির পাশেই এই হামলা হয়।
আরও পড়ুন: রাফাহতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত
স্থানটি খালি করার প্রাথমিক আদেশের সময় ‘হাসপাতালটি এই নির্দেশের বাইরে’ বলে জানানো হয়। তবে প্রাণ শঙ্কায় অনেক রোগী ও কর্মীই জায়গাটি ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
সোমবার হামাস যোদ্ধারা খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলে অন্তত ২০টি রকেট ছোড়ে। হামাসের রকেট হামলায় হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে তারপরই ওই ঘোষণা দিয়ে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের সহায়তাকারী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) তথ্যানুসারে, খান ইউনিসের যে অংশে ইসরায়েল হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে শরণার্থীদের জায়গাটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে অন্তত আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের ‘যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা’ হামাসের প্রত্যাখ্যান
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের হামলায় দেশটির অন্তত ১ হাজার ২০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। সে সময় ২৫০ ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র শাসক গোষ্ঠী হামাস। ওই ঘটনার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।