হামলা
উত্তাল ভাঙ্গা: থানাসহ চারটি সরকারি দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর, আহত অনেকে
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা। বিক্ষোভ রুপ নিয়েছে সহিংসতায়। থানা, উপজেলা পরিষদ, হাইওয়ে থানা, পৌরসভায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। আগুন দেওয়া হয়েছে মোটরসাইকেলে। এসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা থেকে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। পরে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙ্গা গোলচত্বরে অবস্থান নেন।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে গোলচত্বরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন তারা। এ সময় সেখানে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে পুলিশকে বিক্ষুব্ধদের কাউকে বাধা দিতে দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোকারীদের সঙ্গে দুপুর ১ টার দিকে বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার জনতা লাঠিশোটা, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল নিয়ে যোগ দেন। পরক্ষণেই দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এ সময় ১০ থেকে ১২ জন আর্মড পুলিশের সদস্য দৌড়ে পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মসজিদে আশ্রয় নেন। উত্তেজিত জনতার ইটপাটকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়াতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। পরে কিছু সময় ঘিরে রাখেন উত্তেজিত জনতা। একপর্যায়ে মাদ্রাসা ও মসজিদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: আসন পুনর্বিন্যাস: ফরিদপুরে টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরোধ, সমন্বয়ক আটক
এরপর সেখান থেকে বিক্ষুব্ধরা থানার দিকে চলে যান। থানায় থাকা গাড়ি ও থানা ভাংচুর করেন। ভেতরে আটকা পড়েন পুলিশ সদস্যরা। পরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন সেখানে থাকা মোটরসাইকেলে। পরে হাইওয়ে অফিস ও পৌরসভা কার্যালয়ে ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মাইটিভির ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি সরোয়ার হোসেন।
এদিন সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা মাঠে অবস্থান নিলে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পরে বেলা সাড়ে ১১ টায় হঠাৎ করেই সেখানে জড়ো হোন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, ‘আমরা বিক্ষুব্ধদের শান্ত করার চেষ্টা করছি এবং নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের বলা হয়েছে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে। আমরা দ্রুত প্রতিবেদন দিলে আশা করি দুয়েকদিনের মধ্যে সমাধান হবে।’
ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করার পর থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুটি মহাসড়কসহ (ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল) এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়ে তিনদিনের আল্টিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধরা।
কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ করা হয়। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। এরপর শনিবার তিন দিনের সকাল সন্ধ্যা অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে ঘোষণাকারী সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম.ম. সিদ্দিক মিয়াকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপরাধে গতকাল রোববার রাতে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ।
৮০ দিন আগে
নুরাল পাগলার মাজারে হামলা, মসজিদের ইমামসহ গ্রেপ্তার ১৮
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানো, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ হামলায় হতাহতের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গোয়ালন্দে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, মাজার ভাঙা, মারামারিতে আহত, নিহত, সম্পদ লুটপাট, কবর থেকে লাশ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলার অপরাধে আজ সকাল পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম লতিফ হুজুর, যিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। আজ ভোরে তাকে মানিকগঞ্জের চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়াও দরবার ভাঙা, মারামারিতে আহত, নিহত, সম্পদ লুটপাট, কবর হতে লাশ উত্তোলন ও পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় নিহতের পিতা মো. আজাদ মোল্লা (৫৫) বাদী হয়ে গতকাল (সোমবার) রাতে একটি মামলা করেছেন বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নুরাল পাগলার দরবার থমথমে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা
গত ২৩ আগস্ট (শনিবার) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান নুরাল পাগলা। ওই দিন রাতে দরবারের ভেতরে ১২ ফুট উঁচু করে দাফন করা হয়। বিষয়টি শরিয়ত পরিপন্থি বলে অভিযোগ তোলেন ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি।
এরপর গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, ভাঙচুর চালায়। এ সময় নুরাল পাগলার ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং দুপক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
৮৬ দিন আগে
সোনারগাঁওয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্দেরবাজার খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সোনারগাঁ থানার পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার নলচর গ্রামের একটি হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি মহসিন এবং যুবলীগ নেতা টিটু। তাদের গ্রেপ্তার করতে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, এসআই জিয়াউর রহমান ও দুই পুলিশ সদস্য সোনারগাঁও থানাকে অবহিত করে বৈদ্দেরবাজার এলাকায় অভিযান চালায়।
মহসিনকে গ্রেপ্তার করায় আসামিদের পক্ষে স্থানীয় সাতভাইয়াপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, উজ্জল, ইকবাল, বাবুল লিটন দাসসহ প্রায় ৩০/৪০ জন লোক একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ তাকে ছিনিয়ে নেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামির পালানোর চেষ্টা
এ সময় খাজা মিয়া নামের এক বিকাশ দোকানদারের দোকান ভাঙচুর করে অর্থ লুট করা হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। কিন্তু আসামির হাতে থাকা হাতকড়া উদ্ধার হলেও পরবর্তীতে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাসেদুল হাসান খান বলেন, খবর পেয়ে আমাদের থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ ঘটনায় মেঘনা থানা পুলিশ কোনো লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লা জেলার হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম জানান, আমি শুনেছি গ্রেপ্তার আসামি ওই মামলার ঘটনায় জড়িত নন দাবি করে গ্রামবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
৯১ দিন আগে
ইউক্রেনে ৫ শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল ছুড়েছে রাশিয়া
ইউক্রেনে পাঁচ শতাধিক ড্রোন ও অন্তত দুই ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। কিয়েভের বেসামরিক অবকাঠামো, বিশেষত জ্বালানি স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে মস্কো এসব হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে জেলেনস্কি প্রশাসন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদারের চলমান তৎপরতার মধ্যেই এ হামলা চালাল মস্কো।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতভর এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম ও মধ্য ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতারা।
গত কয়েক মাস ধরেই আকাশপথে হামলা ও সম্মুখসারির ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা ভাঙার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে যুদ্ধ বন্ধের তৎপরতা চালালেও পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনায় জেলেনস্কি সম্মতি জানালেও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
এদিকে বেইজিং সম্মেলনে গিয়ে পুতিন বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, টানেলের শেষে একটুখানি আলো আছে। দেখা যাক পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়।’
এ সংঘাত সমাধানে ‘কমন সেন্সের’ প্রাধান্য থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি। তা ছাড়া সমাধান খুঁজতে ট্রাম্পেরও আন্তরিক ইচ্ছা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পুতিন জানান, তিনি জেলেনস্কিকে মস্কোয় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে রাজি আছেন, তবে বৈঠকটি ‘ভালোভাবে প্রস্তুত’ হতে হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ৮২৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
যদিও ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা আগেই জানিয়েছেন, যেকোনো শীর্ষ সম্মেলন কেবল তখনই সম্ভব, যখন নিম্নপর্যায়ের বৈঠকে প্রাথমিক চুক্তি চূড়ান্ত হবে।
অন্যদিকে, রাশিয়ার এ হামলাকে পুতিনের ‘দায়মুক্তি দেখানো’ বলে অভিহিত করেছেন জেলেনস্কি। যুদ্ধ অর্থনীতির ওপর বেশি চাপ না থাকার কারণেই পুতিন এ আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ফোনালাপ হওয়ার কথা রয়েছে।
বেইজিং বৈঠকে রাশিয়ার সমর্থকরা
সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলন ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে অংশ নিতে বর্তমানে চীনে অবস্থান করছেন পুতিন। সম্মেলনে তার সঙ্গে ছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।
এই তিন নেতাই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করছেন বলে অভিযোগ করেছে ওয়াশিংটন। তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়া মস্কোকে সেনা ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে আর চীন-ভারত রুশ তেল কিনে রাশিয়ার অর্থনীতিকে চাঙ্গা রেখেছে।
বুধবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা ইনস্টিটিউটের সম্মেলনে ইইউয়ের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কায়া কালাস বলেন, ইউক্রেনে হামলায় রাশিয়া একা নয়, চীনও আছে সঙ্গে। তারা মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। ফলে ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ইউক্রেন ও মিত্রদের নতুন সামরিক সহায়তার আলোচনা
রাশিয়া হামলার মাত্রা বাড়ানোর পর থেকে নিজদেশের প্রতিরক্ষা জোরদারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
নতুন সামরিক সহায়তা ও কূটনৈতিক সমর্থন পেতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ডেনমার্ক সফর করেছেন জেলেনস্কি। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র আনার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। প্রতি মাসে এ তহবিলে আরও প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার যোগ করার লক্ষ্য রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শান্তিচুক্তির বিনিময়ে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেতে পারে ইউক্রেন
এরপর যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে বুধবার ফ্রান্সে যান জেলেনস্কি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাঁখো তাকে প্যারিসে সমর্থন জানিয়েছেন।
শান্তি চুক্তি সই হওয়ার দিন থেকেই তারা ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলেও জানান মাঁখো। তবে রাশিয়া চুক্তির ব্যাপারে আন্তরিকতা ও প্রতিশ্রুতি অটুট রাখবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করতে কিয়েভ সফর করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি।
জেলেনস্কি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, রাশিয়ার কাছ থেকে এখনো আমরা যুদ্ধ শেষ করার কোনো ইঙ্গিত পাইনি। তা সত্ত্বেও ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে কিয়েভের ঐক্য কূটনৈতিক সমাধানের পথে এগোতে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াবে বলে মনে করেন তিনি।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, প্যারিস বৈঠকের পর স্পষ্ট হবে কে কী ধরনের সহায়তা দিতে পারবে।
৯১ দিন আগে
সিলেটে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মহানগরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী তিন শিক্ষার্থীর দাবি, নয়াবাজারের কিং ফুটসাল স্পোর্টস সেন্টারে কলেজ আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’ চলছিল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও অতিরিক্ত কয়েক মিনিট মাঠ ব্যবহার করার জেরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। একসময় ছাত্রলীগের আশ্রয়ে থাকা জায়গীরদার আল মামুন ওরফে বুলেট মামুনের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক এই হামলা চালান।
অন্যদিকে, পুলিশ বলছে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একদল শিক্ষার্থী এক ঘণ্টার জন্য ফুটসাল মাঠ ভাড়া নিয়ে খেলা শুরু করেন। তবে নির্ধারিত সময় শেষে তারা আরও দেড় ঘণ্টা অতিরিক্ত মাঠ দখলে রেখে খেলা অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ের জন্য ভেন্যু বুকিং করা অন্য খেলোয়াড়রা মাঠে প্রবেশ করে আপত্তি জানান। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
এ সময় সেন্টারের অফিস কক্ষও ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটান পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল। হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণেই আমাদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকেই ছাত্ররা জানতে পেরেছে যে হামলাটি হয়েছে ওই মামুনের নেতৃত্বে এবং এরা একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিএনপির গণমিছিলে হামলা, আহত ১০
আহত ১১ শিক্ষার্থীকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে।
শিক্ষার্থী ও কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে আটক একজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তারা অভিযোগ দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
তিনি জানান, অভিযুক্ত মামুনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ছাত্রলীগের পদ-পদবি তার নেই, তবে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। পুলিশ তাকে আটক করতে বালুচর এলাকায় বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছে।
১২০ দিন আগে
গঙ্গাচড়ার হিন্দুপল্লীতে হামলার ঘটনায় ১৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি: পুলিশ
রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাতপুর ছয়আনি এলাকায় হিন্দুপল্লীর বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় ১৬ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গরু-ছাগল ও স্বর্ণালঙ্কার লুট, বসতবাড়িতে ভাঙচুরে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙচুর করা বাড়িঘর মেরামতে কাজ করছে প্রশাসন।
এ ঘটনায় করা মামলায় আদালতে দেওয়া পুলিশের প্রতিবেদনে ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি ছায়আনিপাড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের ১২টি বাড়িতে হামলা করে। সেখানে বসবাসকারী ২২টি পরিবারের টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, গরু-ছাগল, পানির পাম্পসহ প্রায় ১১ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বসতবাড়ির দরজা-জানালায় ব্যাপক ভাঙচুর করায় প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভুক্তভোগী রবীন্দ্রনাথ বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় মামলা করেন। এরপর সেদিন রাতেই নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়। শুনানি বৃহস্পতিবার তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজন দুই দিনের রিমান্ডে
গংগাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল ইমরান জানান, প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সাড়ে ১৬ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হিন্দু পল্লীতে। চূড়ান্তভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
১২৬ দিন আগে
হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজন দুই দিনের রিমান্ডে
রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাতপুর ছয়আনি বালাপাড়া হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকালে মামলার শুনানিতে গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল এমরান আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে গতকাল বুধবার বিকালে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত আজ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পড়ুন: গঙ্গাচড়ায় হিন্দুপল্লীতে হামলা: গ্রেপ্তার ৫ জন জেলহাজতে
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিংগেরগাড়ি মাঝাপাড়া গ্রামের ইয়াছিন আলী (২৫), মাগুড়া শ্রীপাড়ার স্বাধীন মিয়া (২৮), দক্ষিণ চাঁদখানা মায়াপাড়ার আশরাফুল ইসলাম (২৮), উত্তর সিংগেরগাড়ি পাঠানপাড়ার এস এম আতিকুর রহমান খান আতিক (২৮) ও দক্ষিণ সিংগেরগাড়ি চওড়াপাড়ার সাদ্দাম হোসেন সেলিম (২২)।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৬ জুলাই) ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে গঙ্গাচড়ার আলদাতপুর ছয়আনি বালাপাড়া এলাকার এক হিন্দু কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ওই কিশোরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।গত রবিবার (২৭ জুলাই) সাইবার সুরক্ষা আইনে করা মামলায় কিশোরকে আদালতে হাজির করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তবে এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাশের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিংগেরগাড়ি, মাগুড়া ও বাংলাবাজার এলাকা থেকে দফায় দফায় লোকজন মিছিল নিয়ে এসে হামলা চালান।
পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগী রবীন্দ্রনাথ বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় গত মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ বলেন, গঙ্গাচড়ার হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে আদালতে তোলা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
১২৬ দিন আগে
গোপালগঞ্জে সহিংসতা: আরেক মামলায় আসামি সাড়ে ৫ হাজার
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ হাজার ৪৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক মো. মতিয়ার মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।
ওসি সাজেদুর রহমান জানান, মামলায় ৪৪৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় পাঁচ হাজারজনকে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, গোপালগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএম মাসুদ রানা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদ মাহামুদ বাপ্পি, সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতীশ রায়, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক আলিমুজ্জামান বিটু, মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ আলী আশরাফ, শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নাঈম খান (জিমি), ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সহিংসতা: আরও একটি মামলা, আসামির সংখ্যা ছাড়াল ১০ হাজার
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে সমাবেশ করার জন্য স্থান নির্ধারণ করে এনসিপি। সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন এবং সাধারণ মানুষকে স্বাভাবিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখেন। আসামিরা রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে। সরকারি কাজে বাধাদান ও সরকারি কর্মচারীদের আক্রমণ করে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল নিক্ষেপ করে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের মারধর ও গুরুতর জখম করে।
এ নিয়ে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে ও হত্যার ঘটনায় মোট ১৩টি মামলা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো করা হয়েছে।
এই মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১ হাজার ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ১৪ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা হামলা চালান। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন এবং আহত হন অর্ধশতাধিক।
১২৮ দিন আগে
চাঁদপুরে বিএনপির গণমিছিলে হামলা, আহত ১০
চাঁদপুরের কচুয়ায় বিএনপির গণমিছিলে হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, বিএনপির স্থানীয় নেতা মোশাররফ হোসেন সমর্থিত দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পরে গণমিছিল বের করা হয় উপজেলার রহিমানগর বাজারে। এ সময় আরেক পক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতদের উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানান কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র ও আহত বিএনপির স্বজনরা।
পড়ুন: মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, চাঁদপুরের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত
এ ঘটনার পর থেকে রহিমানগর বাজার এলাকা এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিমসহ যুবদল ও মহিলা দলের নেতারা।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সমর্থিত নেতাকর্মীদের আয়োজনে গণমিছিলটি রহিমানগর বাজার প্রদক্ষিণকালে ১৫ থেকে ২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে। ওইসময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েক জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে এবং টহল অব্যাহত রেখেছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সেলিম উল্ল্যাহ সেলিম এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে কোনো বিএনপির সমর্থকেরা হামলা করতে পারে না। হামলাকারীদের পতিত ফ্যাসিবাদের দোসর বলেও তিনি মন্তব্য করেন তিনি।
১৩১ দিন আগে
গোপালগঞ্জে হামলা: সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ আজ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে বুধবার বিকালে হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় তিনি হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে পয়লা জুলাই থেকে আমাদের যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ছিল— “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা”— সেই কর্মসূচিতে আমরা দেশের প্রত্যেকটি জেলায় যাচ্ছি এবং সেখানে গিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিশ্রুতি এবং স্থানীয় মানুষের সমস্যার কথা শুনছি।’
‘তারই ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার) গোপালগঞ্জে আমাদের কর্মসূচি ছিল। আমাদের এই পদযাত্রার ঘোষণা অনেক আগে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা আমাদের গোপালগঞ্জের কর্মসূচিতে হামলা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে তারা জঙ্গি কায়দায় হামলা করে।’
আরও পড়ুন: এনসিপি নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে: নাহিদ
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে আমরা যখন মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা হই, তখন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের গাড়িবহরে হামলা করে। গোপালগঞ্জের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা, মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়, গুলিবর্ষণ করে।’
‘সেখানে যারা নিরাপত্তাবাহিনী ছিল—আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী, তাদের ওপরও হামলা চলায় এবং একপর্যায়ে তাদের সহায়তায় আমরা সেখান থেকে খুলনায় চলে আসি।’
১৪১ দিন আগে