হামলা
বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় নিহত ১, মা-মেয়ে আটক
শেরপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মাজেদা বেগমের লাঠির আঘাতে মোরাদ হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নকলা উপজেলার টালকি ইউনিয়নের পূর্ব টালকি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোরাদ হোসেন পূর্ব টালকি গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকার কল্যাণপুরে একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে নিহত ১
এ ঘটনায় নকলা থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুশী বেগমকে আটক করেছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানা যায়, বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে গ্রামের মোরাদ হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই জালাল উদ্দিনের বিরোধ চলছিল। এর জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মাজেদার সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাজেদা লাঠি দিয়ে মোরাদের মাথার পেছন দিকে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুশী বেগমকে আটক করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জমি নিয়ে বিরোধে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কিশোরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে ছুরিকাঘাতে একজন খুন
ইরান হামলা করলে আত্মরক্ষায় পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত ইসরায়েল
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার বলেছে, সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে প্রাণঘাতী বিমান হামলার প্রতিশোধ নিলে তারা আত্মরক্ষা করতে এবং পাল্টা আঘাত হানতে প্রস্তুত রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ায় ইরানি কনুলেটে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে তেহরান। ওই হামলা ইসরায়েল চালিয়েছে বলে বিশ্বাস করে মার্কিন সামরিক বাহিনীও। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
গাজায় ছয় মাসের যুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলকে মানবিক সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে।
আরও পড়ুন: রুশ নিয়ন্ত্রিত জাপোরিঝঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে ড্রোন হামলা
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান সামান্থা পাওয়ার বুধবার আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ চলছে বলে যে 'বিশ্বাসযোগ্য' প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা তিনি মেনে নিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি সপ্তাহে বলেছেন, গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবাহ বাড়াতে ইসরায়েল যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলা ও স্থল হামলায় অন্তত ৩৩ হাজার ৩৬০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৪ হাজার ৯৯৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে কতজন বেসামরিক ও কতজন যোদ্ধা রয়েছে তা আলাদা করে জানাতে না পারলেও নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার পর যুদ্ধ শুরু হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ইরান হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে তারা দেশটিকে রক্ষা করতে এবং পাল্টা হামলা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে।
ইরান গত সপ্তাহে দামেস্কে বিমান হামলায় নিহত তার দুই জেনারেলের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। তারা এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইরান বা ওই অঞ্চলে সমর্থিত বহু সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েল অতিরিক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট প্রস্তুত রেখেছে এবং অন্যান্য সেনাদের সক্রিয় করেছে।
সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইরানি ভূখণ্ড থেকে হামলা হলে এটি স্পষ্ট যে, মধ্যপ্রাচ্যকে উত্তেজিত করতেই ইরান হামলা চালাবে। ’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েল আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নত করেছে। 'যেখানে প্রয়োজন সেখানে কীভাবে কাজ করতে হবে তা আমরা জানব।’
হাগারি বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল এরিক কুরিলা ইসরায়েলি সামরিক নেতাদের সঙ্গে কৌশলগত মূল্যায়নের জন্য ইসরায়েলে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে তীর্থযাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সপ্তাহে বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি এখনো আগের মতোই দৃঢ়।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বিক্ষোভ, জিম্মি মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং গাজায় হামাসের হাতে আটক কয়েক ডজন জিম্মির মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে তেল আবিবের রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা জিম্মিদের বড় বড় ছবি এবং ইংরেজি ও হিব্রু ভাষায় লেখা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে।
অক্টোবরে দেশটিতে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর থেকে চলতি মাসের শুরুতে হাজার হাজার ইসরায়েলি জেরুজালেমে জড়ো হয়, যা সরকারবিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। প্রায় ছয় মাসের যুদ্ধ নেতানিয়াহুর নেতৃত্ব নিয়ে নতুন করে বিভক্তি তৈরি করেছে, যদিও দেশটির অধিকাংশই মূলত যুদ্ধের পক্ষে রয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, আগাম নির্বাচন ইসরায়েলকে ছয় থেকে আট মাসের জন্য অচল করে দেবে এবং জিম্মি আলোচনাকে থামিয়ে দেবে। তিনি হামাসকে ধ্বংস করার এবং সমস্ত জিম্মিকে ঘরে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে সেই লক্ষ্যগুলো অধরা রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বৃহস্পতিবার বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি "আসন্ন", ইউএসএআইডি প্রশাসক সামান্থা পাওয়ারকে নরম করে বলেছেন, সেখানে এরইমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে তা "বিশ্বাসযোগ্য"।
জিন-পিয়েরে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা গাজায় পৌঁছানো মানবিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় ত্রাণ বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই প্রতিবেদনগুলো সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি, যাতে গাজায় আরও বেশি সহায়তা পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় ত্রাণের প্রবাহ বাড়াতে ইসরাইলকে চাপ দেওয়া অব্যাহত রাখবে।
মার্কিন চাপের মুখে ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে গাজায় সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত সপ্তাহে বলেছে যে তারা আরও একটি কার্গো ক্রসিং খুলবে এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে আগের চেয়ে আরও বেশি ট্রাক পাঠাবে। কিন্তু কয়েকদিন পরও এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক কর্মকর্তারা বলছেন, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর গাজায় বিপুল সংখ্যক লোক অনাহারে রয়েছে।
যদিও ইসরায়েল বলছে, তারা এই অঞ্চলে প্রবেশকারী ত্রাণ ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়িয়েছে, জাতিসংঘের কর্মীরা কেবল সামান্য বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সরাসরি ইরানে হামলা চালানোর হুমকি ইসরাইলের
থানায় ঢুকে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা
বগুড়ার শাজাহানপুরে থানায় ঢুকে আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতে শাজাহানপুর থানা থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিতে গিয়ে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালান তারা। এ সময় থানার ওসি শহিদুল ইসলামসহ ৮ পুলিশ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টার মামলায় ৭ আসামি কারাগারে
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাঝিড়া এলাকা থেকে নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে আড়িয়া বাজারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিঠুনকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি বার্মিজ চাকু ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে। পরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে মাঝিড়া নুরুজ্জামানসহ ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী রাত ১০টায় শাজাহানপুর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়।
খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম থানায় এলে নুরুজ্জামান ও তার বাহিনী বাদা দেয়। সে সময় ওসিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন নুরুজ্জামান এবং তার সঙ্গীরাও অন্য পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এর কিছু সময় পরে নুরুজ্জামান লোকজন নিয়ে মাঝিড়া বটতলা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করার চেষ্টা করলে পুলিশ নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে আটক করে।
এ ঘটনায় নূরুজ্জামানের বাসা থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসনের বাসা থেকে ৩ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে পুলিশ।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় থানায় ঢুকে পুলিশকে আহত করে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টায় নুরুজ্জামানসহ আরও ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের উপর হামলা, অবৈধ অস্ত্র-মাদক জব্দ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় পৃথক কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ধারণা করা হয় কেএনএফ সদস্যরা থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে, পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনাপূর্ণ সংঘর্ষ হয়েছে। যা সহিংসতার একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে থানচি বাজারের কাছে গুলি বিনিময় শুরু হয়। সশস্ত্র দলটি থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে বলে খবর পাওয়া যায়। এসময় পুলিশও প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দেয়।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিমউদ্দিন চলমান সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতের অন্ধকারের কারণে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে অসুবিধার কথা প্রকাশ করেন। থানচি বাজারের প্রান্তে বিজিবি ক্যাম্প ও সেনা তল্লাশি চৌকির নিকটবর্তী এই থানাটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
থানচি বাজার কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামল্লাই ম্রো জানান, যৌথবাহিনী ও কেএনএফ জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মামুন আরও জানান, কেএনএফ সদস্য, পুলিশ ও বিজিবি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যবস্থাপক উদ্ধার
মঙ্গলবার রাতে রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে অস্ত্রের মুখে দেড় কোটি টাকা ও ১০টি অস্ত্র লুট করে কেএনএফ আগ্রাসী তৎপরতা শুরু করে।
উপরন্তু, সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজহাদ উদ্দিনকে একটি মসজিদে নামাজের সময় অপহরণ করা হয়েছিল, যদিও পরে বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছিল যে ব্যাংকের ভল্ট থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি।
বুধবার বিকালে থানচি উপজেলায় কেএনএফ জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দুটি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করলে আরও সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে উদ্ধারের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: প্রয়োজনে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে যোগ দেবে সেনাবাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতার প্রাইভেটকারে ককটেল হামলা, আহত ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামকে বহনকারী প্রাইভেটকারে ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের চৌধুরি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে গাড়িচালক আব্দুর রহিম ও জেলা পরিষদের অ্যাকাউন্টস অফিসার মামুনুর রশিদ আহত হন।
ককটেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাইভেটকারটিও। পরে খবর পেয়ে রাতেই জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গাড়িচালক আব্দুর রহিম বলেন, রাজশাহীতে কাজ শেষ করে তিনজন একই প্রাইভেট কারে শিবগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। সদর উপজেলার চৌধুরি মোড়ে পৌঁছামাত্রই মহাসড়কের পাশ থেকে গাড়িকে লক্ষ্য করে অন্তত ১০টি ককটেল হামলা চালানো হয়। এতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায় এবং মামুন তার ডান হাতে লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে দুজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য ও নয়ালাভাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, আমাকে হত্যা করতেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ককটেল হামলা চালানো হয়েছে। তার দাবি-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাই তাকে হত্যা করতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, ককটেল হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
মস্কোর কনসার্ট হলে হামলায় নিহত বেড়ে ৯৩, দায় স্বীকার আইএসের
রাশিয়ার কনসার্ট হলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ জনে। রুশ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এসব তথ্য জানান রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রধান।
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি ও রাষ্ট্রদূত হাসের বৈঠক সম্পর্কে মস্কোর 'ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা' সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্র: ওয়াশিংটন
শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেছে, মস্কোর পশ্চিম প্রান্তে ক্রোকাস সিটি হলের ধ্বংসাবশেষের বাইরে জরুরি সেবার দিতে বেশকিছু সংখ্যক যানবাহন জড়ো হয়েছে। ক্রোকাস সিটি হলে ছয় হাজারেরও বেশি লোক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি শপিং মল ও কনসার্ট হল ছিল।
গত কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ায় এই হামলা সবচেয়ে প্রাণঘাতী এবং ইউক্রেনে দেশটির আগ্রাসন তৃতীয় বছরে পদার্পণের মধ্যে এ হামলা চালানো হলো।
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্দুকধারীরা ঘটনাস্থলে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বেসামরিকদের গুলি করছে। শুক্রবার থিয়েটারের ছাদে রাশিয়ান রক ব্যান্ড পিকনিকের পারফরম্যান্স ছিল। এজন্য সেখানে সংগীতপ্রেমীরা জড়ো হন। ওই কনসার্ট চলাকালে সেখানে বন্দুধারীরা হামলা চালালে আগুন ধরে যায়। শনিবার সকালের দিকে দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর সময় ছাদটি ধসে ধসে পড়ে।
আটকদের মধ্যে চারজন হামলায় সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছে তাস।
ইসলামিক স্টেট গ্রুপ অনুমোদিত সামাজিক মিডিয়া চ্যানেলগুলোতে বিবৃতি পোস্ট করে তারা হামলার দায় স্বীকার করেছে। যদিও ক্রেমলিন বা রাশিয়ান নিরাপত্তা বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার জন্য কাউকে দায়ী করেনি।
আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের শাখা সংগঠন আমাক নিউজ এজেন্সি বিবৃতিতে জানায়, তারা ক্রাসনোগোরস্কে 'খ্রিস্টানদের' একটি বড় সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, আইএস এই হামলার জন্য দায়ী বলে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, আইএসের শাখা মস্কোতে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ মাসের শুরুর দিকে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপনে তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মস্কো সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী : রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই মার্কিন কর্মকর্তা এপিকে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তাকে জানানো হয়েছিল তবে গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ হামলার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আক্রান্তদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বার্তা পাঠানো হচ্ছে।
শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেএ হামলাকে 'জঘন্য ও কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা' আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনার ওপর জোর দিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
মস্কোতেই শনিবার সকালে ভুক্তভোগীদের রক্ত ও প্লাজমা দানের জন্য শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পুতিন সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সতর্কবার্তাকে রুশদের ভয় দেখানোর চেষ্টা বলে প্রকাশ্যে নিন্দা জানিয়েছিলেন। এ সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেন, 'এগুলো প্রকাশ্য ব্ল্যাকমেইল এবং আমাদের সমাজকে ভয় দেখানো ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা।’
এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে সিনাইয়ে রুশ যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করে ইসলামিক স্টেট। এতে ২২৪ আরোহীর সবাই নিহত হন। তাদের অধিকাংশই মিশর থেকে ছুটি কাটাতে আসা রুশ নাগরিক ছিলেন। প্রধানত সিরিয়া ও ইরাকের পাশাপাশি আফগানিস্তান ও আফ্রিকায় তাদের কার্যক্রম চালায় এই গোষ্ঠীটি। বিগত বছরগুলোতে রাশিয়ার গোলযোগপূর্ণ ককেশাস ও অন্যান্য অঞ্চলে বেশ কয়েকটি হামলার দায়ও স্বীকার করেছে তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মস্কো সম্পর্কে আরও উন্নতির প্রত্যাশা রুশ রাষ্ট্রদূতের
গাজীপুরে ডাকাতের হামলায় ২ পুলিশ আহত, গাড়িচাপায় ডাকাতের পা বিচ্ছিন্ন
গাজীপুরের শ্রীপুরে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় চলন্ত গাড়ির নিচে চাপা পড়ে এক ডাকাত সদস্যের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
রবিবার(৩ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের হাসিখালি সেতু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- শ্রীপুর থানায় কর্মরত কনস্টেবল মো. রুহুল আমিন ও মো. সেলিম। তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ডাকাত দলের সদস্য রুবেল মিয়া শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনায়েত কবির জানান, এএসআই আলিমের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ মাওনা ইউনিয়নে টহল দেওয়ার সময় জানতে পারে মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের সিংগারদিঘী গ্রামের হাসিখালি সেতুতে গাছের গুঁড়ি ফেলে ডাকাতি করা হচ্ছে।
ডাকাতির সময় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা রামদা দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। এতে এক পুলিশ সদস্য মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন, অপরজনের হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ৩টি ঝুটের গোডাউন
তিনি আরও জানান, এরপর পুলিশের অন্য সদস্যরা ধাওয়া দিলে ডাকাত দলের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ির নিচে চাপা পড়ে রুবেল নামে এক ডাকাত সদস্যের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফারাহ বিনতে ফারুক জানান, আহত দুই পুলিশ সদস্য ও অপর এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মদপানে ২ জনের মৃত্যু
গাজার রাফায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ ও গাজা উপত্যকার আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্যাপক হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এতে নারী ও শিশু সহ আহত হয়েছেন আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোরে রাফাহ এলাকায় প্রায় ৪০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এছাড়া স্থল বাহিনী ব্যাপক গোলাবর্ষণও করেছে ওই এলাকায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সোমবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে 'সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক হামলা’ চালিয়েছে। তবে এর বেশিকিছু বলা হয়নি ওই বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৩ জনের মৃত্যু; রাফাহ অভিযান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনে এবং আহত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৪ জন।
গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা নিরাপত্তার সন্ধানে মিশর সংলগ্ন রাফাহ এলাকায় পালিয়ে গেছে।
সীমান্তবর্তী শহরটি রাফাহ ক্রসিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর কাছ থেকে খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা পেয়ে থাকেন ফিলিস্তিনিরা। বর্তমানে ওই এলাকার খালি কৃষিজমিতে, স্কুলে এবং রাস্তার পাশে তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন ফিলিস্তিনের বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা।
আরও পড়ুন: রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তবে স্থলভাগে আক্রমণের আগে দক্ষিণ গাজার শহর থেকে কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করার জন্য সামরিক বাহিনীকে বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ঘোষণা দেওয়ায় গাজাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকেরও বেশি এখন রাফায় গাদাগাদি করে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলি উচ্ছেদের নির্দেশে বারবার উচ্ছেদ করায় গাজার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন এই অবস্থায় রয়েছে। এরপর তারা কোথায় যেতে পারবে তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বেসামরিক জনগণের জন্য কোনো পরিকল্পনা ছাড়া রাফাহতে হামলা হলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই রাফাহতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খান ইউনিস শহরে উত্তর দিকের স্থলভাগের যুদ্ধ থেকে বাঁচতে বেসামরিক নাগরিকদের সেখানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল।
শনিবার রাতভর রাফাহ এলাকার বাড়িঘরে তিনটি বিমান হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। প্রতিটি হামলায় অন্তত তিনটি পরিবারের একাধিক সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে মোট ১০টি শিশু ছিল। সবচেয়ে কনিষ্ঠতম শিশুটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের ওই এলাকার সবচেয়ে বড় নাসের হাসপাতালে গুলি চালালে অন্তত একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তীব্র আগুনের কারণে হাসপাতালের ভবনগুলোর মধ্যে চিকিৎসা কর্মীরা আর চলাচল করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ৩০০ চিকিৎসাকর্মী, ৪৫০ জন রোগী এবং ১০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ গাজায় হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক হাজার হামাস সদস্যের সশস্ত্র হামলায় নিহত হয় ১ হাজার ২০০ মানুষ। এসময় আরও ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল অভিযানে প্রায় ২৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজার ২৩ লাখ মানুষের প্রায় ৮০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটি খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার ঘাটতিসহ মানবিক সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
রাখাইনে আরাকান আর্মির হামলায় ৫৮ নাসাকা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৫৮ সদস্য।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বিজিপির ৫৮ জন সদস্য বা নাসাকা সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
আহতদের মধ্যে পবিন্দ্র ধর নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে এবং এসব গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে ঘুমধুমের সীমান্ত এলাকায় এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, জিরো লাইনে পড়ছে গুলির খোসা ও মর্টার শেল। ফলে তার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তুমব্রু, বাইশফাড়ি, ভাজাবনিয়া সীমান্ত পয়েন্টের বাসিন্দারা এখন চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, একটি মর্টার শেলের অংশ একটি বসতবাড়ির উপরে পড়ায় দুটি গ্রামের বাসিন্দারা চলে গেছেন।
চলমান পরিস্থিতির কারণে অনেক কৃষক তাদের ফসলি জমিতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। উৎপাদিত ফসল জমি থেকে কাটতে না পারায় জমিতে পচে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ