হামলা
বৈরুতের কেন্দস্থলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০
যুদ্ধ বিরতির কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যে পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই লেবাননের রাজধানী বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে অব্যাহত ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার(২৩ নভেম্বর) এই হামলা চালানো হয় বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় ৬৬ জন আহত হয়েছেন। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে মধ্য বৈরুতে চতুর্থ হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটল।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে কয়েক মাস ধরে চলা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে একটি চুক্তির জন্য মার্কিন দূত আমোস হোচস্টেইন ওই অঞ্চল সফর করার পর এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই লড়াইয়ে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ বা লেবাননের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বোমা হামলা ও লড়াইয়ে প্রায় ৯০ জন সৈন্য ও প্রায় ৫০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
আটতলা ভবন ধ্বংস
শনিবার ভোর ৪টার ইসরায়েলি বিমান হামলায় বৈরুতের কেন্দ্রস্থলের একটি আটতলা ভবন ধ্বংস হয়ে যায়। হিজবুল্লাহর আইনপ্রণেতা আমিন শিরি বলেন, হিজবুল্লাহর কোনো কর্মকর্তা ভেতরে ছিলেন না। হামলায় আশপাশের কয়েকটি ভবনের সম্মুখভাগ ধসে যায় এবং গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
লেবাননের সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা ওয়ালিদ আল-হাশাশ বলেন, 'এলাকাটি আবাসিক, খুব ঘেষাঘেষি ও জনাকীর্ণ ভবন এবং সরু রাস্তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে।’
আরও পড়ুন: লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হতাহতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, শনিবারও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী টায়ারে ড্রোন হামলায় দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
সোর এলাকার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ফাতাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ বিকাই বলেন, নিহতরা নিকটবর্তী আল-রশিদিহ শিবির থেকে আসা ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং তারা মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন।
বিকাই বলেন, গত মাসে লেবাননের দক্ষিণ উপকূল এড়িয়ে চলার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সতর্কতা সত্ত্বেও, ‘আপনারা এমন কাউকে বলতে পারেন না যে, খাওয়ার প্রয়োজনেও আপনি মাছ ধরতে পারবেন না।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহর শমুস্তারে চার শিশুসহ আটজন, দক্ষিণাঞ্চলীয় রুমিন গ্রামে আরও পাঁচজন এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বুদাই গ্রামে আরও পাঁচজন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতালের পরিচালকসহ নিহত ৬
২৪ মিনিট আগে
খুলনায় ডিবি সদস্যদের উপর হামলা, আহত ৩
মাদক উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে তেরখাদা উপজেলার কোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় জেলা ডিবির এএসআই মইনুদ্দীনকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় কনস্টেবল তবিবুর ও শামীমকে।
খুলনা জেলা ডিবির ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, হামলায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এএসআই মইনুদ্দিনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১ সপ্তাহ আগে
ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা জারি
ব্যাংকিং খাতকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সেবাদানকারীদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (বিসিএসআই) নিয়মিত তথ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের পরে শুক্রবার (১ নভেম্বর) এই সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিবিসি বাংলার প্রয়াত পাঁচ সাংবাদিককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ
এতে বলা হয়েছে, কিছু ব্যাংক ডুয়াল-কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত অবৈধ লেনদেনের শিকার হয়েছে, যা দেশব্যাপী সাধারণ গ্রাহকদের প্রভাবিত করছে।
নির্দেশনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার অপরাধীদের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপকে তুলে ধরেছে, যারা অনবরত জনসাধারণ এবং ব্যাংক গ্রাহকদের একইভাবে হয়রানি করছে। সাইবার হামলার এই ঊর্ধ্বগতি শুধু বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী সাইবার হুমকি বৃদ্ধির প্রবণতাকে চিহ্নিত করে। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে, যেখানে ম্যালওয়্যার আক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বার বার ঘটে থাকে।
এসব সাইবার হুমকি প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদান, যাচাইকরণ বৃদ্ধি, ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) ব্যবহার, টু-ফ্যাক্টর/মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন, লগইন প্রচেষ্টার সংখ্যা সীমিত রাখাসহ বেশ কিছু জরুরি পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকটি বর্ণিত ঝুঁকির বিষয়ে সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক (আইসিটি)তদারকি করবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিবিএসের তথ্য জালিয়াতির অভিযোগের মধ্যেই নতুন 'পরিসংখ্যান নীতিমালা' বাস্তবায়নের উদ্যোগ সরকারের
৩ সপ্তাহ আগে
পদ্মায় দুর্বৃত্তের হামলা থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ২ এএসআই নিখোঁজ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে পুলিশ ও স্থানীয় দুই ইউপি মেম্বারের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই পুলিশ সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
আহতরা হলেন- কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছানোয়ার হোসেন এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেন।
তাদের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দুই ইউপি মেম্বার ছানোয়ার ও আনোয়ার কুমারখালী থানার চারজন পুলিশকে নিয়ে পদ্মা নদীতে যান। এসময় নদীতে অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন জেলেরা। পুলিশের নৌকাটি জেলেদের দিকে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় নৌকায় থাকা এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চললেও পদ্মা নদীতে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। ওই এলাকায় জেলেদের প্রধান ইয়ারুল। পদ্মায় তার একটি বাহিনীও আছে। সোমবার ভোরে স্থানীয় ইউপি মেম্বারদের সহযোগিতায় কয়েকজন পুলিশ নৌকা নিয়ে পদ্মায় যান। এসময় তারা অভিযানের নামে জেলেদের মাছ লুটে নেওয়ার চেষ্টা করলে জেলেরা তাদের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা হেলমেট পরা ছিল।
কুমারখালীর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমাদুল হাসান বলেন, রাতে মৎস্য অভিযান ছিল না। পদ্মায় পুলিশ কেন গেছে তা জানি না।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, কুমারখালী থানার দুজন এএসআই নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম নৌকা নিয়ে পদ্মায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তবে তারা কী কারণে এখানে এসেছিলেন সেটা এখনও পর্যন্ত জানতে পারেননি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় নিখোঁজের ২ দিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
৩ সপ্তাহ আগে
ভোলায় ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের ওপর হামলা, আটক ৫৩
ভোলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানসহ আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বোরহানউদ্দিনের তেতুলিয়া নদীতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
এছাড়া লালমোহন উপজেলার মেঘনায় পৃথক অভিযানে ৫৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জনকে কারাদণ্ড, ৩৩ জনকে জরিমানা করা হয়। এসময় ৩৫ হাজার মিটার জাল ও ১০টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে বোরহানউদ্দিনের তেতুলিয়া নদীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে জেলেরা। এতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হেলাল ও একজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এসময় দুটি নৌকা জব্দ করা হয়। এসময় ২৫ জন জেলে পালিয়ে গেলেও শাকিল নামে এক জেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আটক জেলে শাকিলকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ অপরাধী পালিয়ে যাওয়ায় মৎস কর্মকর্তা বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে লালমোহনের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে ৫২ জেলেকে আটক করেছে মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে থেকে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত সর্বমোট পাঁচটি অভিযানে এদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ৯ জেলেকে কারাদণ্ড, বাকিদের জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। বিপুল পরিমান জাল, নৌকা ও মাছ জব্দ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে লালমোহনের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে ৫২ জন জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৯ জেলেকে ৫ দিন করে বিনাশ্রমে কারাদণ্ড, ৩৩ জনকে ৫ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এসময় ৩৫ হজার মিটার জাল, ৮টি নৌকা ও ৭০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
৩ সপ্তাহ আগে
সুদানের পূর্বাঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ১২০: জাতিসংঘ
সুদানের পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের একটি শহরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের যোদ্ধাদের কয়েকদিনের হামলায় ১২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকদের একটি গ্রুপ ও জাতিসংঘ।
সুদানের সামরিক বাহিনীর কাছে একের পর এক বিপর্যয়ের শিকার হওয়ার পর এটি ছিল গোষ্ঠীটির সর্বশেষ হামলা। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ আফ্রিকার দেশটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। লাখ লাখ জনগণকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং দেশটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।
আরএসএফ যোদ্ধারা গত ২০-২৫ অক্টোবরের মধ্যে গেজিরা প্রদেশের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের গ্রাম ও শহরগুলোতে তাণ্ডব চালান। তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালান এবং নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালান। এছাড়া তারা খোলা বাজারসহ ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি লুটপাট করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের ট্র্যাকিং ম্যাট্রিক্সের রবিবারের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে তাম্বুল শহর এবং পূর্ব ও উত্তর গেজিরার অন্যান্য গ্রামের ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপ আগামী সপ্তাহে সুদান সফরের আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘গেজিরা প্রদেশে হত্যাকাণ্ড এবং ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন সুদানের জনগণের উপর এই সংঘাতের অগ্রহণযোগ্য মানবিক ক্ষতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।’
সংঘাত বন্ধে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'নষ্ট করার সময় নেই। লাখ লাখ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।’
সুদানে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়কারী ক্লেমেন্টাইন এনকোয়েতা-সালামি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'এগুলো নৃশংস অপরাধ। নারী, শিশু এবং সবচেয়ে অরক্ষিত লোকেরা এমন একটি সংঘাতের ধকল বহন করছে; যা ইতোমধ্যে বহু জীবন কেড়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে দারফুর গণহত্যার সময় ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা ও গণহত্যাসহ যে ভয়াবহতা সংঘটিত হয়েছিল তার সঙ্গে এই হামলার মিল রয়েছে।
জানজাভিদ নামে পরিচিত আরব মিলিশিয়া থেকে আরএসএফ সৃষ্টি হয়েছিল। সুদানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ওমর আল-বশির দারফুরের মধ্য বা পূর্ব আফ্রিকান হিসেবে চিহ্নিত জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এসব বিদ্রোহীদের একত্রিত করেছিলেন। এ সময় জানজাভিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অন্যান্য নৃশংসতার অভিযোগ আনা হয় এবং দারফুর গণহত্যার সমার্থক হয়ে ওঠে। জানজাভিদ গ্রুপগুলো এখনো আরএসএফকে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: সুদানে মসজিদে বিমান হামলায় নিহত ৩১
সুদানিজ ডক্টরস ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সারিহা শহরে কমপক্ষে ১২৪ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে ত্রাণ সংস্থাগুলো যাতে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, সেজন্য 'নিরাপদ করিডোর' খোলার জন্য আরএসএফকে চাপ দিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'আহতদের সাহায্য করা বা চিকিৎসার জন্য তাদের সরিয়ে নেওয়ার কোনো উপায় নেই।’
অনলাইনে বেশকিছু ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এর কিছু আরএসএফ যোদ্ধারা নিজেরাই শেয়ার করেছে। সেসব ফুটেজে দেখা গেছে, আধাসামরিক গোষ্ঠীর সদস্যরা বন্দিদের ওপর নির্যাতন করছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সামরিক ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি এক বৃদ্ধের চিবুক ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন এবং পেছনে অন্য সশস্ত্র ব্যক্তিরা স্লোগান দিচ্ছেন।
ওই ভিডিওতে করা মন্তব্যে আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
আরএসএফের বিরুদ্ধে গ্রামগুলোতে হামলা চালিয়ে বেসামরিকদের ওপর গুলি চালানোর পাশাপাশি 'বিপুল সংখ্যক বাসিন্দার' সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে গণতন্ত্রপন্থি দল ও গোষ্ঠীগুলোর জোট কোঅর্ডিনেশন অব সিভিলিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস।
এক বিবৃতিতে জোটটি 'এই ব্যাপক লঙ্ঘনের জন্য আরএসএফকে দায়ী' করেছে এবং প্রস্তুতকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
সামরিক বাহিনী সফলভাবে আরএসএফের দখলে থাকা এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করার পর গেজিরায় এ হামলা চালানো হলো।
সেপ্টেম্বরে সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুম ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক অভিযান শুরু করে এবং আরএসএফের কাছ থেকে বিশাল এলাকা পুনরুদ্ধার করে। এ ছাড়া চলতি মাসের শুরুর দিকে তারা গেজিরা প্রদেশের কৌশলগত পার্বত্য এলাকা জেবেল মোয়া এবং গেজিরা ও নিকটবর্তী সিন্নার প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ দখল করে আরএসএফ বাহিনীকে হটিয়ে দেয়।
অক্টোবরে আরএসএফের একজন শীর্ষ কমান্ডার, গেজিরার ডি ফ্যাক্টো শাসক আবু আকলাহ কেইকেল পক্ষত্যাগ করেন এবং সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
একটি স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ফলে আরএসএফ যোদ্ধারা কেইকেলের অনুগত হিসেবে পরিচিত গেজিরার গ্রাম ও শহরগুলোতে হামলা চালায়।
২০২৩ সালের এপ্রিলে খার্তুমে সামরিক বাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সুদানে যুদ্ধ শুরু হয়।
এই যুদ্ধ গণহত্যা এবং জাতিগতভাবে উসকানি দিয়ে হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। বিশেষ করে দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে, যেখানে আরএসএফের নৃশংস আক্রমণ চলছে।
সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা অনুসারে, সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে নিহত ১১
৩ সপ্তাহ আগে
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ল যুদ্ধের ঝুঁকি
চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রতিশোধ নিতে ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানের রাজধানী তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের এই হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার সময় পরস্পর চিরশত্রুদের সর্বাত্মক যুদ্ধের কাছাকাছি ঠেলে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। যেখানে গাজার হামাসসহ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ ইতোমধ্যেই ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছে, তারা ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে। তবে পারমাণবিক বা তেল স্থাপনাগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি বলে দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে চলমান অভিযান নিয়ে কথা বলেছেন ওই কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি শনিবার এক ভিডিওতে বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর থেকে ইরান ও এ অঞ্চলে তাদের সমর্থিত বাহিনী ইসরাইলের ওপর অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইরানের মাটি থেকে সরাসরি হামলা অন্যতম। বিশ্বের অন্য সব সার্বভৌম দেশের মতো ইসরায়েল রাষ্ট্রেরও জবাব দেওয়ার অধিকার ও কর্তব্য রয়েছে বলে জানান তিনি।’
প্রাথমিকভাবে, ইরানের ১ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ার জন্য ইসরায়েলের হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেল স্থাপনাগুলো সবই দেখা হয়েছিল। তবে অক্টোবরের মাঝামাঝি ইসরায়েলের কাছ থেকে বাইডেন প্রশাসন আশ্বাস পায় যে তারা এ জাতীয় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে না।
তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে স্বীকার করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এছাড়া কিছু শব্দ শহরের আশপাশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে।
তবে সংক্ষিপ্ত উদ্বৃতি ছাড়া ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি এবং এমনকি তেহরানের একটি সবজি বাজারে লোকজনের ট্রাক লোড করার লাইভ ফুটেজও দেখিয়েছে।
তেহরানের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, অন্তত সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাসিন্দা কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩ গণমাধ্যমকর্মী নিহত
তেহরানের লোকজন বিস্ফোরণের শব্দের সঙ্গে সঙ্গে আকাশে আগুনের আভাস দেখতে পাচ্ছিল। অন্যান্য ফুটেজে দেখা গেছে, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র আকাশের দিকে ছুটছে এবং অন্যান্য বিস্ফোরণ ঘটছে।
ইরান শনিবার ভোরে দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে বাণিজ্যিক বিমান সংস্থাগুলো ইরান এবং ইরাক, সিরিয়া এবং লেবাননের আকাশ এড়িয়ে গেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় আনা হয়। গাজা ও ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় হামাস ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতৃত্ব ইসমাইল হানিয়া ও হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধাদের পৃথক না করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে লেবাননের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় তিন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হিজবুল্লার হামলায় দক্ষিণ লেবাননে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৪ সপ্তাহ আগে
১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, মেঘনায় জেলেদের হামলায় ইউএনওসহ আহত ৫
বরিশালের মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে জেলেদের হামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) ৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে পরিচালিত অভিযানে হামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯৪ জেলের কারাদণ্ড
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, র্যাব-কোস্টগার্ড, আনসারসহ উপজেলার মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে অভিযান করা হয়। এ সময় নদীতে জাল ফেলে অবস্থান করা একটি নৌকাসহ জেলেদের আটক করা হয়। তখন জেলেদের ডাকে আরও তিনটি নৌকায় করে লোক এসে তাদের ওপর হামলা করে।
তিনি বলেন, জেলেরা তাদের নৌযানে ইট, লাঠির মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে নিক্ষেপ শুরু করেন। এতে তিনিসহ (ইউএনও) একজন আনসার সদস্য ও চারজন কর্মচারী আহত হন।
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাব সদস্যরা ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১১ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। বাকি চারজন অপ্রাপ্ত বয়সী হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
১ মাস আগে
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০৬
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ৩০৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১০ হাজার ৬৯৮ জন।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শুধু শনিবারই ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫১ জন নিহত ও ১৭৪ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে ১৪ জন নিহত ও ৬৩ জন আহত এবং নাবাতিয়েহে ১০ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৩, আহত ৩৬
এছাড়াও বেকায় তিনজন নিহত ও ১১ জন আহত এবং বালবেক-হারমেলে ১৩ জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে মাউন্ট লেবাননে ২২ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত এবং উত্তর লেবাননে দুই জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবাননের সামরিক সূত্র জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দক্ষিণ লেবাননের গভীরে মায়ফাদুন গ্রামের একটি বাড়িতে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে যাতে ৭ জন বেসামরিক লোক নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে তীব্র উত্তেজনায় লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধের মধ্যেই লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ এক বৃহত্তর সংঘাতের আশঙ্কা জাগিয়ে তুলছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনে দুই মন্ত্রণালয় কাজ করছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১ মাস আগে
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার সাত বছর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে প্রধান করে ২৫১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গত বুধবার ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ সিকান্দার ভুট্টো বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশিকের মৃত্যু: আওয়ামী লীগের ১০৪ জনের নামে মামলা
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় মামলা করা সম্ভব হয়নি। এখন দেশে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ফিরে আসায় মামলা করছি।’
মামলায় অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পাপ্পু, জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপন, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, পরশুরাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, পরশুরাম পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল, ছাগলনাইয়া পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা, ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার, পরশুরাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ইয়াছিন শরীফ মজুমদার, মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো, বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূঞা, চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে ককটেল ও গুলি চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার চেষ্টা চালায় তারা। এছাড়াও ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে আহত হন। এছাড়াও প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। গাড়িবহর চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও চাঁদা আদায় করে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রুপ হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কারাগারে
১ মাস আগে