বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি বুধবার এক গণশুনানিতে বিদ্যুতের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এর আগে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৬৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
যদিও শুনানিতে এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে ক্যাব ও ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা প্রস্তাবটিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বিপিডিবি অদক্ষ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উচ্চ হারে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অনৈতিক পদ্ধতি দূর করে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং কমিশনের অন্য চার সদস্য এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে বিপিডিবির মহাব্যবস্থাপক বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে সরবরাহ করতে ৮৮,৯৯৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘন্টা (ইউনিট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রতিষ্ঠানটির ৭৪,১৮৯ কোটি টাকা রাজস্ব লাগবে।
শুনানিতে তিনি বলেন, বিপিডিবি যদি বিদ্যমান মূল্যহার বিদ্যুত প্রতি ইউনিট ৫.১৭ টাকায় বিক্রি করে, তাহলে ২০২২ সালের অর্থবছরে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হতে হবে।
তিনি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা করার প্রস্তাব করেন।
তার দাবি, আমদানি করা গ্যাস, তরল পেট্রোলিয়াম জ্বালানি এবং কয়লার দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়েছে, যে কারণে সংস্থাটিকে বিদ্যুত বৃদ্ধির প্রস্তাবে যেতে বাধ্য করেছে।
গণশুনানিতে বিভিন্ন ভোক্তা অধিকার সংগঠন, বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষক, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এতে অংশগ্রহণ করে।
পড়ুন: শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি যুগান্তকারী অর্জন: প্রধানমন্ত্রী