সুপারিশ
ছোট আকারের মিডিয়া-কর্মীদের শেয়ার দেওয়ার সুপারিশ
ছোট আকারের মিডিয়া কোম্পানিতে কর্মীদের শেয়ার দেওয়া বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গণমাধ্যমের মালিকানা সংক্রান্ত সুপারিশে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের মালিকানার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং একক মালিকানা ও একাধিক গণমাধ্যমের মালিকানা অর্জনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কেন্দ্রীকরণের বিষয়গুলোয় সংস্কার শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কারগুলো দ্রুত কার্যকরে উদ্যোগ নেবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
‘এমনকি দর্শক বা পাঠকের কত শতাংশ একটি গণমাধ্যমের গ্রাহক-ভোক্তা, এর ভিত্তিতেও সেই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের নতুন প্রকল্পের অনুমোদন বা আবেদন প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে। একক মালিকানার পরিবর্তে মালিকানা বিস্তৃত করার প্রয়োজনীয়তার কথা আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন কমিশন তার প্রতিবেদনে বলেছিল।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ায় গণমাধ্যম চালু করার অধিকার দেশটির যেকোনো নাগরিকের রয়েছে; কিন্তু সেই গণমাধ্যমকে করপোরেশন হিসাবে কাজ করতে হয়, যার অর্থ হচ্ছে তা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হবে, যাতে সাধারণ মানুষও শেয়ার ধারণ করতে পারবে।
‘একই সঙ্গে দেশটির মিডিয়া অ্যাক্টে সাংবাদিক-কর্মচারীদের শেয়ার দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। উন্নত বিশ্বেও অধিকাংশ বড় গণমাধ্যম কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির কারণে কোম্পানির উদ্যোক্তা বা ব্যবস্থাপকদের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে অন্তত জবাবদিহি করতে হয়।’
এতে আরও বলা হয়, তথ্যের সঙ্গে মানুষের বিশ্বাস বা আস্থার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা জনগণের আমানতের সঙ্গে তুলনীয়। অথচ ব্যাংকের আমানতকে জনগণের আমানত বিবেচনায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হলেও আমাদের দেশে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তেমনটি করা হয়নি।
সুপারিশে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালক পারিবারিকভাবে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ারধারণ করতে পারে না এবং কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে একই সময়ে পরিবারের তিনজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারেন না। কিন্তু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এক্ষেত্রে তাই পরিবর্তন প্রয়োজন।
‘কমিশন প্রথম পর্যায়ে মাঝারি ও বৃহৎ মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সর্বসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়া ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সমীচীন মনে করছে। উদ্যোক্তা পরিচালক ও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেয়ার ধারণের সীমা ২৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত করা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে শেয়ারবণ্টন বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। কর্মীদের শেয়ার ধারণের সর্বোচ্চ সীমা পাঁচ শতাংশেই সীমিত রাখতে হবে, যাতে উদ্যোক্তারা কর্মীদের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারেন।’
এতে ছোট আকারের মিডিয়া কোম্পানিতে কর্মীদের শেয়ার দেওয়া বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে বলে সুপারিশে বলা হয়েছে।
‘একই কোম্পানি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, পরিবার, উদ্যোক্তা যাতে একই সঙ্গে একাধিক মাধ্যমের মালিক হতে না পারেন, সেজন্য বিশ্বের বহুদেশে ক্রস-ওনারশিপ (টেলিভিশনের মালিক সংবাদপত্রের মালিক হতে পারেন না, বা সংবাদপত্রের মালিক টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক হতে পারেন না) নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এটি আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ‘ব্রিটেনেও কাছাকাছি ধরনের এক আইনে টেলিভিশনের মালিক কোনো স্থানীয় পত্রিকায় ২০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারেন না। ভারতে এ ধরনের একটি বিল পার্লামেন্টে বিতর্কের অপেক্ষায় আছে। আমাদের দেশেও বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়ার সময় এই মর্মে সিদ্ধান্ত ও প্রজ্ঞাপন হয়েছিল বলে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ গণমাধ্যম কমিশনের কাছে পেশ করা লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন। তবে সেই প্রজ্ঞাপন মন্ত্রণালয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্পষ্টতই সরকারগুলো ওই নীতি অনুসরণ করেনি।’
আরও পড়ুন: সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় ঐকমত্য সম্ভব: আলী রীয়াজ
সুপারিশে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উত্তম চর্চা হচ্ছে গণমাধ্যমের কেন্দ্রীকরণ যেন কোনোভাবেই ঘটতে না পারে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ। কমিশন মনে করে, আমাদেরও অচিরেই অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। ক্রস-ওনারশিপ নিষিদ্ধ করে অর্ডিন্যান্স জারি করা যায় এবং যেসব ক্ষেত্রে এটি বিদ্যমান, সেগুলোয় পরিবর্তন আনার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাদের ব্যবসা পুনর্গঠনের লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়া প্রয়োজন।
‘এগুলো নানা পদ্ধতিতে হতে পারে। যেসব কোম্পানি/গোষ্ঠী/প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি/পরিবার একই সঙ্গে টেলিভিশন ও পত্রিকার মালিক তারা যে কোনো একটি গণমাধ্যম রেখে অন্যগুলোর মালিকানা বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করে দিতে পারে। অথবা দুইটি মিডিয়ার (টেলিভিশন ও পত্রিকাকে) সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একত্রিত করে আরও শক্তিশালী ও বড় আকারের একটি মিডিয়া (টেলিভিশন অথবা দৈনিক পত্রিকা) পরিচালনা করতে পারে,’ বলা হয় সুপারিশে।
২৫ দিন আগে
জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ: কমিশন প্রধান
জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে কমিশনের প্রতিবেদনে শতাধিক সুপারিশ থাকছে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ তথ্য জানান।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব
কমিশন প্রধান বলেন, ‘আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে, কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ, আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। এগুলোর ভিত্তিতে আজকে আমরা প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে স্বাক্ষর করব। কালকে (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় আমরা প্রধান উপদেষ্টার অফিসে যাব এবং তার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করব। একই সঙ্গে কালকে আইন কমিশনও তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।’
প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন এর বাইরে আমি কিছু জানাতে পারবো না।’
এ সময় পাশে থাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সেটি হবে পাবলিক ডকুমেন্ট। ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে, সবাই জানবেন। জমা দেওয়ার পরে সবাই জানুক এতে ভুল বোঝাবুঝির অসুবিধা থাকে না।’
এরপর কমিশন প্রধানসহ সদস্যরা প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষর শেষে বের হওয়ার সময় মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যে সুপারিশ করেছি, সেগুলো সবই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অসম্ভব কিছু হলে তো আমরা সেগুলো সুপারিশ করতাম না। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিনা; সেটা তো এখন সরকার বুঝবে।’
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এ কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা করে তুলতে এ কমিশন গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ব্যবস্থায় আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন: ইসি সানাউল্লাহ
৯০ দিনের (৩ মাস) মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় আগেই প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে কমিশন।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সাবেক সচিব মোহাম্মদ তারেক এবং মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, সাবেক যুগ্ম-সচিব রিজওয়ান খায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম ফিরোজ আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহীনা সোবহান, নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ, শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহেদী হাসান।
৭১ দিন আগে
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে করণীয় সুপারিশ জমার দেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণের সুপারিশ আগামী দশ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্যদের এই সুপারিশ দিতে নির্দেশ দেন ড. ইউনূস।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদে আমরা কী করতে পারি- সে বিষয়ে সুপারিশ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। দশ দিনের মধ্যে আমরা প্রয়োজনীয় সুপারিশ তুলে ধরব।’
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তাদের কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ চেয়েছেন যাতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সুপারিশগুলো থাকে। সচিবালয়ে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড যেন আর না ঘটে, তার জন্য যত রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার সেগুলো যেন নেওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সুপারিশসমূহ তুলে ধরবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় হাইকমিশনে প্রধান উপদেষ্টা
গত ২৫ ডিসেম্বর সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনির নেতৃত্বে ৮ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে সরকার। আজ কমিটি তাদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি ব্রিফিংয়ে জানান, বিদ্যুতের তারের লুজ কানেকশন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় কোনো নাশকতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
১০৬ দিন আগে
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় কমিশনের সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ কথা জানান।
কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জেষ্ঠ্য সচিব বলেন, ‘কমিশনের মেজর সুপারিশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে- ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ করা হোক। ওই এলাকার দাবির প্রেক্ষিতে আমরা দুটি বিভাগ করার পরামর্শ দিচ্ছি।’
‘এই দুটি বিভাগ করতে গেলে দুই একটা জেলা এই বিভাগ থেকে ওই বিভাগে দিতে হবে। সেটি আমরা ম্যাপ করে দিয়েছি। একটি ম্যাপ দেখলেই বুঝা যাবে- সামনে দশটি বিভাগ, কোন জেলাকে কোন জায়গায় দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে আবারও কড়াকড়ি
তিনি বলেন, ‘সব বিভাগকে টাচ (স্পর্শ) করা হয়নি। এখানে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামকে টাচ করা হয়েছে, যাতে কুমিল্লা, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ সেরকম হয়। আমরা (সুপারিশ) দিয়েছি, সরকার যদি মনে করে যে দশটা বিভাগ করবে, ফাইন।’
মোখলেস উর রহমান আরও বলেন, ‘জনগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও অনেক এমন সুপারিশ আমরা করেছি। একই বিষয় কত হাজার মানুষ সাপোর্ট করেছে, কত হাজার লোক চাহিদা দিয়েছে- এ বিষয়ে আমরা গুগলে ক্লাস্টার করেছি।’
১২০ দিন আগে
সিভিল সার্ভিস থেকে ‘ক্যাডার’ শব্দটি বাদ পড়ছে
সিভিল সার্ভিসে ‘ক্যাডার’ শব্দটি বাদ দিতে সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। ‘ক্যাডার’ শব্দটি নেতিবাচক হওয়ায় কমিশন এ সুপারিশ করবে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সচিব বলেন, ‘প্রশাসন নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ। বিশেষ করে বিসিএস, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এটাকে নানান কারণে এখন মনে করা হয় ক্যাডার। এই ক্যাডার শব্দটির সাথে নেগেটিভি থাকে। এজন্য জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশন অনেকগুলো সংস্কারের প্রস্তাব দেবো। এরমধ্যে একটা থাকবে যে এই ক্যাডার শব্দটি বাদ দিয়ে, যার যে সার্ভিস যেমন সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল সার্ভিস হেলথ, সিভিল সার্ভিস এগ্রিকালচার এরকম। এটা আমাদের বড় সংস্কার। এতে আমরা মনে করি অনেকের মানসিক শান্তি আসবে। এটা করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্যুর করতে গিয়ে দেখলাম মানুষ মনের থেকে যে কথাগুলো বলেছে এবং কয়েকটি অফিস সম্পর্কে মানুষের নেগেটিভ ধারণা রয়েছে। সে বিষয়ে আপনারাও জানেন। এগুলো আমি উল্লেখ করতে চাই না। তবুও দুই-একটা বলতে হয় যেমন এসিল্যান্ড, রেজিস্ট্রেশন অফিস সম্পর্কে মানুষের বাজে ধারণা।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার কমিশনের সংস্কারের সঙ্গে নীতিমালা কার্যকরে গুরুত্বারোপ
‘রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতি এমন লেভেলে যে, সেখানে কোনো অভিযোগ নেই। সবাই সেখানে দিয়ে যাচ্ছে। দিচ্ছে, নিচ্ছে এবং এটাও বলে আগের স্যারের থেকে কম নিচ্ছেন। দুর্নীতির এ ধরনের একটা প্রেক্ষাপট আমাদের জিইয়ে রেখেছে।’
মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘মানুষ পরিবর্তন চায়, সেই পরিবর্তনের জন্যই এই পরিবর্তিত সরকার এসেছে। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি।’
ইতোমধ্যে এক লাখ মানুষ অনলাইনে কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক নাম পরিবর্তন হবে কিনা- জানতে চাইলে এই জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, অনেকে বলেছেন জনপ্রশাসন না বলে জনসেবা বলা যায় কিনা। জেলা প্রশাসক ব্রিটিশ আমলের সৃষ্টি এবং এই শব্দের বাইরে অনেকগুলো প্রতিশব্দ আছে। কালেক্টর আছে, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আছে, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট আছে। আমরা এসব নিয়ে সুপারিশ দেবো। তবে সরকার সেটাই নেবে যেটা দেশের জনগণ চায়।
শুধু শব্দ পরিবর্তন করে কি কোনো পরিবর্তন হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, আসলে মানুষের মন ও মস্তিষ্কের পরিবর্তন করতে হবে। এই দুই জায়গার পরিবর্তনটা আগে করতে হবে। সামনে আরও পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: আলিফ হত্যায় সিএমপি কমিশনারের পদত্যাগের দাবি চট্টগ্রামের আইনজীবীদের
১৩৬ দিন আগে
বাংলাদেশে বন্যা: চালের আমদানি শুল্ক মওকুফের সুপারিশ
সাম্প্রতিক বন্যার কারণে চালের উৎপাদন ব্যাপকহারে কমে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে চালের বর্তমান আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ মওকুফ করা হলে চালের দাম বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হবে এবং থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি উৎসাহিত হবে। যেখানে শুল্ক ছাড়াই প্রতি কেজির মূল্য যথাক্রমে ৬৬ টাকা ও ৫৪ টাকা হবে।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে সরকার
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন উৎপাদন মৌসুমে বন্যার সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দুই দফা বন্যায় ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন চাল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
সরকার সম্প্রতি আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করলেও আমদানিকারকরা উচ্চ শুল্কের কারণে নিরুৎসাহিত। চালের সরবরাহকে সীমিত করছে এবং ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক-রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির প্রচেষ্টা বানচালে ঐক্যের আহ্বান বিএনপির
১৬৯ দিন আগে
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশের ব্যাখ্যা দিলেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষদের জন্য ৩৫ ও নারীদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেন এই সুপারিশ করা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দেন সুপারিশ কমিটির আহ্বায়ক মুয়ীদ চৌধুরী।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশের পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা দেন তিনি।
কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘মেয়েদের একটু আলাদা করে বেশি বয়স দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হলো, মেয়েদের ছেলেদের মতো ওই বয়সে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফ্যামিলি অবলিগেশন্স থাকে, বিয়ে হয়ে যায়, বাচ্চাকাচ্চা হয়। তাই তারা যেন আসতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের নারী কর্মকর্তার সংখ্যা তুলনামূলক কম। কোটা আছে, কিন্তু অতটা ফুলফিল হয় না এখনও। সেজন্য আমরা এ সুপারিশ দিয়েছি। যাতে নারীরা এ সুবিধাটা পায়, তারা আসতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৩৫ বছর (চাকরিতে প্রবেশে) সবার জন্য প্রযোজ্য হবে, তবে নারীদের জন্য আমরা ২ বছর বাড়িয়ে ৩৭ বছর সুপারিশ করেছি। এতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে।’
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিশনের
কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলেছি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও দেখেছি। বিভিন্ন দেশে যে বয়সসীমা আছে সেটার সঙ্গে আমাদের সুপারিশ সঙ্গতিপূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে আলাদা নয়।’
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে, এ বিষয়ে উনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এমন সুবিধা আছে সেজন্য আমরা এটা করেছি। আমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করিনি।’
সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বিষয়ে কমিটি কোনো সুপারিশ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যাদের বিষয়ে সুপারিশ করলাম, তারা চাকরি করে অবসরে আসতে অনেক সময়। এরমধ্যে অনেক কিছু চিন্তা করে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এছাড়া এখন যারা অবসরে যাবেন, তারা আগের বয়স অনুসারী চাকরিতে ঢুকেছেন, তাদের অবসরের ক্ষেত্রে তো কোনো অসুবিধা নেই। আগামী ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত তো তারাই অবসরে যাবেন। এটা নিয়ে এখনই চিন্তার কোনো কারণ নেই। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কারণে তাদের ওপর তো কোনো প্রভাব পড়ছে না। যাদের বয়সের সুপারিশ আমরা করেছি তারা এখনও চাকরিতে ঢুকেইনি, জন্মগ্রহণই করেনি। তারা চাকরিতে ঢোকার পর চাকরি করলে তখন কী করতে হবে, সেটা সরকার সেই সময় সিদ্ধান্ত নেবে।’
চাকরিতে অবসরের বয়স বাড়ানো নিয়ে কোনো ক্ষোভ হবে না বলেও জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে চাকরিচ্যুত!
গত ৩০ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা। তাদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড ছোড়ে পুলিশ। এরপরও তারা সেখানে অবস্থান নেন। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরে ওইদিনই চাকরি প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সদস্য সচিব। কমিটিতে সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও তৎকালীন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সদস্য হিসেবে ছিলেন। কমিটি গত ৯ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: কমিটির আহ্বায়ক
১৮৪ দিন আগে
চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ ওসিকে প্রত্যাহারের সুপারিশ ইসির
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এবং বির্তকিত ভূমিকার কারণে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চট্টগ্রাম বিভাগের ৪ ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৭ মে) বিকালে তাদের প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর চিঠি দিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের পুরোনো বাস প্রত্যাহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রত্যাহার হওয়া দুই ওসি হলেন- আনোয়ারা থানার মোহাম্মদ সোহেল আহমেদ ও চন্দনাইশ থানার ওবায়দুল ইসলাম।
ইসি জানায়, কুমিল্লার দেবীদ্বার, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও আনোয়ারা থানার ওসিকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই চার ওসিকে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) ৩১ মে পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসিকে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শককে (তদন্ত) দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপে ১৩০ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
৩২৪ দিন আগে
মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিনিধিদলের সুপারিশের বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য করার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা তাদের মতামত দিয়েছে। এটা তাদের মতামত। এগুলো আলাদা কিছু নয়। আমরা এগুলোকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না।’
আরও পড়ুন: আশার আলো ভারত মহাসাগর, কার্যক্রম পরিচালনা নিরাপদ করতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, অনেক বিদেশি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে মজা করে এবং কিছু মিডিয়া তাদের অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, তারা সবসময় সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারা ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে তারা ভোটার চান।
তিনি আরও বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে যান না, বরং বিদেশিরা দ্বিপক্ষীয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসে।
আইআরআই ও এনডিআই'র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক প্রাক-নির্বাচন-পূর্ব প্রতিনিধিদল রবিবার বলেছে, বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্তভাবে তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নির্ধারণ করবে।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে 'সমর্থন ও শক্তিশালী করার চেতনায়' তাদের প্রাক-নির্বাচনী বিবৃতি দেয়।
প্রতিনিধিদল বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির রোডম্যাপ হিসাবে নিচের সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেছে যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সুপারিশগুলো হলো-
· সংযত আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ইস্যুতে উন্মুক্ত ও অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশ নেওয়া
· মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং ভিন্নমতকে সম্মান করা
· অহিংসতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করা
· স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা জোরদার করাসহ সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা এবং
· নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় নির্বাচনী অংশগ্রহণের সংস্কৃতি প্রচার করা।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
৫৪৯ দিন আগে
কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
কৃষি জমি বাঁচাতে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সোমবার সংসদ ভবনে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এতে ফসলি ও চরের জমিতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ নিশ্চিত করতে জমিতে নির্মিত সোলার প্যানেলের উচ্চতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিগত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে চরাঞ্চলে ভুট্টা, সূর্যমুখী ও সয়াবিনের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে।
বৈঠকে কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোসলেম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ কিরণ, আনোয়ারুল আবেদীন খান, উম্মে কুলসুম, হোসনে আরা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
৫৮৩ দিন আগে