ক্যাব
সংকটের সময় লাভ না করে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান: ক্যাব
বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত নৌকার ভাড়া, গণপরিবহন ও ট্রাক ভাড়া, মোমবাতি, শুকনো খাবার, খাবার পানি, সবজিসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা সংস্থাটি বলেছে, বানভাসী মানুষদের কষ্টকে পুঁজি করে ব্যবসা করার পরিবর্তে নিত্যখাদ্য পণ্য ও সেবায় জনগণের পকেট কাটার উৎসব বন্ধ করুন। একই সঙ্গে লোক দেখানো সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় ত্রাণ বিতরণের চেয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের মতবিনিময়
শনিবার (২৪ আগষ্ট) চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী অঞ্চলে চলমান বন্যার কারণে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছে ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটি।
বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ ও ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
৩ মাস আগে
রোগীদেরকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের প্রক্রিয়া অমানবিক: ক্যাব
সারাদেশে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার-অপারেশন বন্ধ করে রোগীদের দুর্ভোগে ফেলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
একই সঙ্গে রোগীদেরকে জিম্মি করে দাবি আদায়ে প্রক্রিয়া অমানবিক, অনৈতিক চরম বর্বরতার সামিল, সাংবিধানিক অধিকার খর্বের শামিল বলেও মনে করে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির নেতারা বলেন, ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দুই নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে চিকিৎসকদের সব ধরণের প্রাইভেট চেম্বার-অপারেশন বন্ধ রেখেছে।
কিন্তু দুইজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের কারণে অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনেকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এ ধরণের অমানবিক ও অন্যায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
আরও পড়ুন: যাত্রী দুর্ভোগ ও সেবা না বাড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধি অগ্রহণযোগ্য: ক্যাব চট্টগ্রাম
চিকিৎসক হোক আর যা-ই হোক সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইনীভাবে মোকাবিলা করা উচিত। কিন্তু আদালতের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে হীন ষড়যন্ত্রে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া জনগণের চিকিৎসা সেবার মতো মৌলিক অধিকার খর্ব করার শামিল।
যা শুধুমাত্র নিন্দনীয় নয় এটা চরম বর্বরতার শামিল এবং আদিমযুগে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ সে শ্লোগানে প্রত্যাবর্তনের আহ্বান।
এটা অনেকটা লাশের রাজনীতির মতো।
ক্যাব নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে লাখ লাখ রোগীকে জিম্মি করে এ ধরনের অনৈতিক, অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অমানবিক কর্মকাণ্ড পরিহার করে সকল চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার-অপারেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা বাতিল করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আদালতের কাছে প্রতিকার চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে অবৈধ ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি করেন।
একই সঙ্গে গুটি কয়েক অসাধু লোকের কারণে প্রাইভেট চেম্বার-অপারেশন ও সকল চিকিৎসকের একযোগে অঘোষিত ধর্মঘট চিকিৎসকদের মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং চিকিৎসকরা আইনে ঊর্ধ্বে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মত প্রকাশ করে এ ধরনের আত্মঘাতি কর্মসূচি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
নেতারা আরও বলেন, চিকিৎসা পেশা একটি মহান সেবাধর্মী পেশা হলেও বর্তমানে সনদবিহীন, ভুঁয়া, অসাধু চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকরা এ মহান পেশাকে কাজে লাগিয়ে দিনে দিনে কোটিপতি হবার বাসনায় লিপ্ত।
সেকারণে রোগীর সেবা, মানবতার সেবার চেয়ে অর্থই তাদের কাছে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও সুযোগ সুবিধা থাকলেও রোগীরা সেখানে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না।
নেতৃবন্দ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেক্টরে এ ধরণের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বেসরকারী ক্লিনিক, প্যাথলজিকাল ল্যাবসহ স্বাস্থ্য বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠানে কঠোর নজরদারির দাবি জানান।
স্বাস্থ্য সেক্টরে কমিশন প্রথা, উপহার প্রথা বাতিলসহ ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় কঠোর আইনী প্রতিকার এবং সিবিএ সংগঠনের মতো বিএমএর অযাচিত হস্তক্ষেপ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।
বিবৃতিদাতা নেতারা হলেন- ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: একাধিক ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নেটওয়ার্ক সমস্যা হচ্ছে: জিপি
ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১১.০৮ শতাংশ, শহুরে দরিদ্রদের সমস্যাও প্রকট: ক্যাব
১ বছর আগে
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া অবৈধ: হাইকোর্ট
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে পারফরম্যান্স বোনাসের (উৎসাহ ভাতা) দেয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, কোনও বিধি প্রণয়ন ছাড়াই খেয়াল-খুশিমতো পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সামসুন নাহার লাইজু।
পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ঢাকা ওয়াসা আইন ১৯৯৬ এ সুস্পষ্টভাবে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পানির মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা থাকলেও কোনো বিধি প্রণয়ন ছাড়াই খেয়াল খুশিমত পানির মূল্য বৃদ্ধি এবং অবৈধভাবে ওয়ায়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করে ক্যাব। উভয় পক্ষে দীর্ঘদিন শুনানি হওয়ার পর যেকোনও সময় রায় দেয়ার কথা ছিল। আজ উচ্চ আদালত বিধি বহির্ভূতভাবে পানির মূল্য নির্ধারণ ও পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
তিনি আরও জানান, যেহেতু অন্যায় কাজগুলো আগেই সমাপ্ত হয়েছে তাই সেসব বাতিল না করে ক্ষমা করে দিয়েছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে বিধি ছাড়া যেন পানির মূল্য নির্ধারণ করা না হয় এবং পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া না হয় সে মর্মে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মহামান্য আদালতের কাছে বিধি প্রণয়ন না হওয়ায় পর্যন্ত জুডিশিয়াল গাইডলাইন করে দেয়ার যে আবেদন ছিল তা আপাতত মঞ্জুর করা থেকে বিরত থেকেছেন এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে সরকার অনতিবিলম্বে বিধি প্রণয়ন করে বিদ্যমান অসুবিধা দূর করবে।
বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছরের ৩১ জুলাই ক্যাবের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ওই রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কোনো বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ড, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হলে তাতে সাড়া দেননি আদালত। পরে গত বছরের ১১ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে মূল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী গত ১৬ নভেম্বর ওয়াসার পক্ষে ব্যারিস্টার এ এম মাসুম একটি এফিডেভিট দাখিল করেন।
তাতে বলা হয় ২০১১-২০১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত ৮টি অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া হয়। এর মধ্যে ২০১১-২০১২ অর্থবছরে পারফরম্যান্স বোনাস বাবদ দেয়া হয় ২ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ টাকা। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দেয়া হয় ৩ কোটি ১লাখ ৩৮ হাজার ২১৯, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দেয়া হয় ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯২ হাজার ৮১টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে দেয়া হয় ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩১০ টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দেয়া হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৭ টাকা, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দেয়া হয় ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৯হাজার ২৫৩টাকা, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে ২৩ কোটি ৬২ লাখ, ৪০ হাজার ৫১৫টাকা, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে ১৭ কোটি ৭৮লাখ ৫১ হাজার ৫১৭টাকা।
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওয়াসা প্রথম ৫টি অর্থবছরে ১টি করে উৎসাহ বোনাস দিলেও; ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৪টি, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪টি এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩টি উৎসাহ বোনাস দিয়েছে। তবে ২০১৩-২০১৪ এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে কোনও উৎসাহ বোনাস দেয়া হয়নি।
ওয়াসার এফিডেভিটে আরও বলা হয়, ওয়াসা আইনের ধারা ২২ অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির কারণে কোনও রকমের বিধি প্রণয়ন করা ছাড়াই বোর্ডের অনুমতি নিয়ে প্রতি বছর ৫শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধি করতে পারে। ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানমালা-২০১০ এর ৩৪(৩) বিধি অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দিতে পারে।
এদিকে সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫ বার ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় বিধি তৈরি না করেই পানির দাম বাড়ানো এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে পারফরম্যান্স বোনাসের নামে টাকা বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে ক্যাব।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিধি প্রণয়ন ছাড়া পানির মূল্য নির্ধারণ ১৯৯৬ সালের ওয়াসা আইনের ২১ ও ২২ ধারার পরিপন্থী।’ আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার পারফরম্যান্স বোনাস ঘোষণা ও বিধি ছাড়া পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার কর্মীদের উৎসাহ বোনাসে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
১ বছর আগে
সরকারকে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের অনুরোধ ক্যাবের
আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগত দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
শনিবার এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নাজের বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) ভোজ্য তেলের দাম সমন্বয় করা উচিত। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম নিয়মিতভাবে কমছে।
তিনি ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের জন্য বিটিটিসিকে অনীহার জন্য দায়ী করেন।
বিটিটিসি শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করে অভিযোগ করে ক্যাব সহ-সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লে স্থানীয় বাজারে বিটিটিসি দাম বাড়ায়। কিন্তু যখন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে, তখন দাম কমানোর আগ্রহ দেখায় না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম পাঁচবার উঠানামা করেছে। এর মধ্যে তিন দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে।
২০২২ সালের ৫মে সরকার বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিভিওভিএমএ) সয়াবিন ও পাম তেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়।
বিভিওভিএমএ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা নির্ধারণ করে।
এর অর্থ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৪৪ টাকা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দুই-এক দিনের মধ্যে তেলের দাম কমবে: বাণিজ্যসচিব
বিশ্বব্যাপী তেল, এলএনজির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে: মোমেন
২ বছর আগে
বিদ্যুতের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি বুধবার এক গণশুনানিতে বিদ্যুতের দাম ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এর আগে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৬৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
যদিও শুনানিতে এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে ক্যাব ও ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা প্রস্তাবটিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বিপিডিবি অদক্ষ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উচ্চ হারে বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অনৈতিক পদ্ধতি দূর করে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করতে পারে।
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং কমিশনের অন্য চার সদস্য এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে বিপিডিবির মহাব্যবস্থাপক বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে সরবরাহ করতে ৮৮,৯৯৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘন্টা (ইউনিট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রতিষ্ঠানটির ৭৪,১৮৯ কোটি টাকা রাজস্ব লাগবে।
শুনানিতে তিনি বলেন, বিপিডিবি যদি বিদ্যমান মূল্যহার বিদ্যুত প্রতি ইউনিট ৫.১৭ টাকায় বিক্রি করে, তাহলে ২০২২ সালের অর্থবছরে ৩০ হাজার ২৫১ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হতে হবে।
তিনি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা করার প্রস্তাব করেন।
তার দাবি, আমদানি করা গ্যাস, তরল পেট্রোলিয়াম জ্বালানি এবং কয়লার দাম বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়েছে, যে কারণে সংস্থাটিকে বিদ্যুত বৃদ্ধির প্রস্তাবে যেতে বাধ্য করেছে।
গণশুনানিতে বিভিন্ন ভোক্তা অধিকার সংগঠন, বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষক, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এতে অংশগ্রহণ করে।
পড়ুন: শতভাগ বিদ্যুতায়ন একটি যুগান্তকারী অর্জন: প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুতায়নের শতভাগ অর্জন ‘মিথ্যা’ প্রচারণা: বিএনপি
২ বছর আগে
ইফতার বিতরণের পরিবর্তে অর্থ প্রদানের আহ্বান ক্যাবের
একসঙ্গে বেশি বাজার না করা ও ইফতার সামগ্রীর পরিবর্তে নগদ অর্থ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
সোমবার এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীসহ সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
বিবৃতিতে তারা বলেন, রমজান মাস এলেই আমাদের দেশের কিছু ধনাঢ্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা আকারে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন। কিন্তু পুরো রমজান মাস জুড়ে সাধারণ দরিদ্র মানুষ যেন ইফতার ও সাহারি স্বাশ্রয়ী মূল্যে খেতে পারেন তার জন্য কিছু না করে অনেকটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ সমস্ত আয়োজনে সাধারণ মানুষের একবেলা ইফতার জুটলেও পুরো রমজানে ইফতার সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ, সেখানে তারা কোন ভূমিকা রেখে না। দান হিসেবে ইফতার সামগ্রী প্রদানের কারণে এ সমস্ত সামগ্রীর যোগান ও সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং সামগ্রী পরিবর্তে নগদ অর্থ দেয়া হলে দরিদ্র মানুষ তার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কেনা-কাটা করতে পারতেন।
নেতারা বলেন,দান-খয়রাত ও জাকাত দরিদ্র মানুষের প্রতি করুনা নয়, এটা তাদের অধিকার হলেও ইফতার ও যাকাতের কাপড় বিতরণের সময় প্রতিবছর বিপুল পরিমান প্রাণহানি ঘটে। ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে অনেক সময় অপচয়ও ও চুরি হয়।
এদিকে রমজানে পুরো নগর জুড়ে অসহনীয় যানজট, গণপরিবহনে বিপুল ভাড়া হাঁকানো, রাস্তার ওপর ময়লার স্তুপ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের প্রাপ্যতাসহ নানা নাগরিক ভোগান্তির জালে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা ভ্রুক্ষেপ না করে নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে কোন উদ্যোগ না নিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোভিড শয্যা বাড়ানোর দাবি ক্যাবের
এছাড়া ইফতার সামগ্রীর পরিবর্তে দুঃস্থ ও গরীব লোকজনকে নগদ অর্থ বিতরণ, মাসের বাজার এক সঙ্গে না করে সপ্তাহের বাজার করে নিত্যপণ্য, খাদ্য-পণ্য ক্রয়ে সংযমী হওয়া, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, যানজট ও জনগণের নিরাপদ যাতায়ত নিশ্চিত করতে সড়ক সংস্কার বা মেরামত, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির প্রাপ্যতাসহ জনভোগান্তি নিরসনে ভূমিকা রাখাতে বিবৃতি উল্লেখ করা হয়।
২ বছর আগে
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অবিলম্বে এই দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সোমবার ক্যাব’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে এস এম নাজের হোসাইন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৫ সালের অক্টোবরে বিআরটিসির কার্যালয়ে বাস ডিপো ব্যবস্থাপকদের সাথে এক বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আমি এই মুহূর্ত থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, বিআরটিসির পাশাপাশি অন্যান্য পরিবহনেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেবে। আর না নিলে দায়ী পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মন্ত্রীর ঘোষণার পরও বিষয়টি পুরোপুরি বাস্তায়ন হয়নি।
আরও পড়ুন: কেনাকাটায় সতর্ক না হলে পরিবারের জন্য মৃত্যু কিনে আনার মতো হবে : ক্যাব
অন্যদিকে, ২০১৮ সালে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টিকারী নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির অন্যতম দাবি ছিল, ঢাকাসহ সারা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সে সময়ই প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় একটি খসড়া গণপরিবহন আইন অনুমোদন করলেও, সেখানে হাফ ভাড়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি চরম অবমাননা করেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার জন্য দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার গণপরিবহন আইন সংশোধনসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ হয়নি।
অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে সরকার গণপরিবহন ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করলেও গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় না করে নিজেদের ইচ্ছামতো দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে গণপরিবহনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এছাড়া ভাড়া নির্ধারণের সময় গড় ৭০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন দেখিয়ে ভাড়া আদায় দেখালেও কার্যত দ্বিগুণ যাত্রী পরিবহনের ঘটনা যেন স্বাভাবিক। ভাড়া নির্ধারণে অতিরিক্ত অযৌক্তিক ব্যয় ও মাইলেজ এর বিভ্রান্তিকর তথ্য দেখিয়ে একচেটিয়া ভাড়া নির্ধারণ প্রক্রিয়াটিও ত্রুটিপুর্ণ বলে মন্তব্য করে, গণপরিবহন মালিকদের স্বার্থে এই প্রক্রিয়াটি রহিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্যাবের
বিবৃতিতে এস এম নাজের হোসাইন আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে অধিকাংশ সময় গণপরিবহন শ্রমিকদের হাফ পাস বা হাফ ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছেই। অথচ গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা মুখে মুখে বুলি আওড়ায়, শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার নিয়ম অনুসারেই ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। কিন্তু বাস্তবে সেই চিত্রের কোনো ছিটেফোঁটাও নেই। এছাড়া ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নগরের বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা গণপরিবহনগুলো অর্ধেক ভাড়ার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে চলেছে পুরো বর্ধিত ভাড়াও। এ যেন রীতিমতো ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসাবে আর্বিভূত হয়েছে। একই সাথে দরিদ্র, অস্বচ্ছল ও শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে হাফ ভাড়া নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল মুক্তিসংগ্রামে দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণদের ভূমিকা অনন্য। দেশে চলমান ভোগ্যপণ্য ও সেবার ক্রমবর্ধমানে ঊর্ধ্বমুখী দামে লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন হুমকিতে। গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া দিয়েই শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে অনেক পরিবারের পক্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দামে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না: ক্যাব
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে কোভিড শয্যা বাড়ানোর দাবি ক্যাবের
চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোভিডসহ সব ধরনের চিকিৎসায় শয্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতারা।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে রোগীরা চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস.এম. নাজের হোসাইন এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কেনাকাটায় সতর্ক না হলে পরিবারের জন্য মৃত্যু কিনে আনার মতো হবে : ক্যাব
বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা অভিযোগ করেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলি শয্যা ও আনুসাঙ্গিক সুবিধা না বাড়িয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আবার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর নির্ভরশীল। আবার অনেক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক একদিকে সরকারি চিকিৎসক অন্যদিকে বেসরকারি ক্লিনিকের মালিক।
কিছু চিকিৎসকদের দ্বৈত ভূমিকার কারণে মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পায় না, আবার বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়েও সেখানেও জিম্মি। ফলে পুরো চট্টগ্রাম নগর জুড়ে চিকিৎসা সেবার জন্য হাহাকার চলছে।
ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মেজবাহ উদ্দীন তুহিন, তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রæপের সভাপতি চৌধুরী কে.এন.এম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডিকে পুনঃনিয়োগ না দেওয়ার আহ্বান ক্যাবের
নেতারা অবিলম্বে করোনা ও সাধারণ রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোসহ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ নানাবিধ দাবি জানান।
৩ বছর আগে
নির্ধারিত মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রি নিশ্চিতে কঠোর নজরদারির দাবি
সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে ভোজ্যতেল বিক্রি নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছে ভোক্তাদের সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
৩ বছর আগে
করোনার টিকা বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি
করোনাভাইরাসের টিকা বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম।
৩ বছর আগে