বিদ্যুত
বিদ্যুত সেবাকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত: ফরহাদ মজহার
বিদ্যুতের সেবাকে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা উচিত উল্লেখ করে নতুন জ্বালানি নীতি প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার।
সোমবার ( ৪ নভেম্বর) পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) মিলনায়তনে 'এনার্জি ট্রানজিশন ইন হোয়াট ওয়ে?' শীর্ষক সেমিনারে ফরহাদ মজহার নব্য উদারনীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
নীতিনির্ধারক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে মজহার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে একে 'ফ্যাসিবাদী' আখ্যা দিয়ে নব্য উদারবাদী অর্থনৈতিক মডেল প্রচারের অভিযোগ করেন। উদারবাদী নীতিটি করপোরেট স্বার্থকে প্রাধান্য দেয় এবং সমাজকে 'লুটপাটে' উৎসাহিত করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
তিনি যুক্তি দেন, এই পদ্ধতিটি বেসরকারিকরণের ওপর অযৌক্তিক জোর দিয়ে সরকারি খাতকে দুর্বল করে দিয়েছে এবং জনগণের জীবনকে হতাশ করেছে। আমাদের অবশ্যই নয়া উদারনীতিবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, যেখানে বেসরকারি খাতের স্বার্থ প্রাধান্য পায়। এই নব্য উদারবাদী আদর্শ ব্যাপক হতাশার জন্ম দিয়েছে।
মজহার আমলাতন্ত্রে ব্যাপক জবাবদিহিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। যাকে তিনি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসাবে চিহ্নিত করেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ শোষণকারী নব্য উদারবাদী নীতি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত বলে মনে করেন।
আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার শোষণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের সমস্যাগুলো মোকাবিলার জন্য আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তি বিকাশের ক্ষমতা রয়েছে ‘
মাজহার তার বক্তব্যে নব্য উদারবাদী অর্থনীতির পক্ষে থাকার জন্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি পরিবেশগত স্থায়িত্বকে উপেক্ষা করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনা না করে আমরা একটি জাতীয় জ্বালানি নীতি তৈরি করতে পারি না। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ভবিষ্যতের যে কোনও নীতির মূল হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরিকল্পিত ও ব্যয়বহুল উন্নয়ন প্রকল্প নিয়েছে হাসিনা সরকার: উপদেষ্টা ফাওজুল
মজহার জ্বালানি নীতিতে জনবান্ধব পদ্ধতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন। মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য আরইবি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু বললে তা সফল হবে না, সেটা বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি যেই হোক না কেন।’
বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফয়েজ আহমেদ গণমুখী উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতির মূল মাপকাঠি হিসেবে গ্রাহক সন্তুষ্টির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে সহযোগিতা অপরিহার্য।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন) উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলমও এ খাতের অগ্রাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্ক করে বলেন, শক্ত দার্শনিক ভিত্তি ছাড়া জ্বালানি রূপান্তর মুখ থুবড়ে পড়বে। তিনি গত ১৫ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কর্মকর্তাদের সেবার চেয়ে মুনাফাকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করা হয়। কর্মকর্তারা মুনাফার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন, যার ফলে উল্লেখিত মুনাফা এবং প্রকৃত সাংগঠনিক ক্ষতির মধ্যে মিল ছিল না। তিনি উল্লেখ করেন যে, আগের সরকারের নীতিগুলো দেশকে আমদানির উপর নির্ভরতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, যার ফলে স্বনির্ভরতা কমেছে।
আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রশাসনের সকল স্তরে টেকসই, জনগণের চাহিদা এবং জবাবদিহিতাকে অগ্রাধিকার দিতে বাংলাদেশের জ্বালানি নীতির কৌশলগত পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কর অব্যাহতি: দেশে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাড়ানোর পরিকল্পনা
১ মাস আগে
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন। ভর্তুকি মূল্যেই জমিতে বিদ্যুতের সেচ সুবিধা পায়। ফলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মিল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এক লাইসেন্সে সব ব্যবসা করতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন লাইসেন্সে কোনো ব্যবসা করা যাবে না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ধান চাল কেনার ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। খাদ্যবান্ধব ডিজিটাল কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওএমএস-এ ডিজিটাল করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি এর উদ্বোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতদাররা দেশের শত্রু: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিকে লক্ষ্য রেখে বাজেটে গম কেনার যে কথা ছিল সেই আলোকে এরই মধ্যে ৭ দিন আগেই সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম কেনা হয়েছে। গুজবে কান না দিয়ে একসঙ্গে বেশি চাল না কেনার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক (রাজশাহী) জহিরুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রমজানে ৫০ লাখ পরিবারকে দেড় লাখ টন চাল দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো বা লোকসান কমাতে আরও বন্ড ইস্যু নিয়ে দ্বিধায় সরকার
বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয় থেকে উৎপন্ন রাজস্বের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনতে সঠিক বিকল্প বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার দ্বিধায় রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের বিদ্যুতের দাম আরও বাড়ানো উচিত নাকি ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও বন্ড ইস্যু করা উচিত তা নিয়ে শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা বিভক্ত।’
তিনি বলেন, সরকার যদি বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায়, তাহলে হয় রমজানের আগে করতে হবে বা রমজানের পরে- এই প্রশ্নগুলো প্রায় প্রতিদিনই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচিত হচ্ছে।
বিপিডিবির ক্রমবর্ধমান লোকসানের বোঝা কমাতে তারা আরও বন্ড ইস্যু করার প্রভাবও বিশ্লেষণ করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ ১২ টাকা, যেখানে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৬ টাকা ৭০ পয়সা দরে।
বিপিডিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, এর অর্থ সরকারকে প্রতি ইউনিটে ৫ দশমিক ৩ টাকার অতিরিক্ত বোঝা বহন করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
বিপিডিবির ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক ক্রেতা হিসেবে বিপিডিবি এই অর্থবছরে মোট ৯৮ হাজার ৬৪৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৭ হাজার ২৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
এর প্রতি ইউনিটের উৎপাদন খরচ ১১ টাকা ৩৩ পয়সা এবং প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করতে খরচ হয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা, লোকসান হয়েছে প্রায় ৪ টাকা ৬৩ পয়সা।
সর্বশেষ গত বছরের জানুয়ারিতে পাইকারি শুল্ক ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়। সেটি কার্যকর হয় একই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে।
এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় হয়েছে ৫০ হাজার ৮৫৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যার ফলে লোকসান হয়েছে ৪৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
এই বিশাল লোকসানে সরকার চরম বিপাকে পড়েছে কারণ বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ৮২ হাজার ৭৭৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে। একই সময় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কেন্দ্র থেকে ১৩ হাজার ৩০৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিপিডিবির নিজস্ব কেন্দ্রে গড়ে প্রতি ইউনিট উৎপাদন খরচ ৭ টাকা ৬৩ পয়সা, স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (আইপিপি) থেকে ১৪ টাকা ৬২ পয়সা, রেন্টাল কেন্দ্রে ১২ টাকা ৫৩ পয়সা, পাবলিক প্লান্টে ৬ টাকা ৮৫ পয়সা এবং ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের খরচ ৮ টাকা ৭৭ পয়সা।
সরকার বেসরকারি খাত ও ভারত থেকে ডলারে বিদ্যুৎ কেনে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের জমা হওয়া বকেয়া বিল এখন প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে বিদ্যুৎ খাতে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা) এবং বাকি ১ বিলিয়ন ডলার জ্বালানি খাতে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও সংকটের ভয়াবহতার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আসলে সংকটটা স্থানীয় মুদ্রার নয়। যেভাবেই হোক আমরা ম্যানেজ করতে পারব। তবে মূল সংকট ডলার নিয়ে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাচ্ছি না।’
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ঋণ পরিশোধের জন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলার প্রয়োজন।
এমন পরিস্থিতিতে বিপিডিবির কিছু পাওনা পরিশোধের সুবিধার্থে সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি বন্ড চালু করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, 'প্রাথমিকভাবে আমরা ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছেড়েছি এবং এটি বেড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য সরকারকে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়াতে হবে বা আরও বন্ড চালু করতে হবে। যদি আরও বন্ড দেওয়া হয় তবে এটি ব্যাংকিং খাত থেকে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহকে সংকুচিত করতে পারে।’
তবে তারা কী করবেন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আরও ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত রপ্তানির প্রস্তাব আদানি গ্রুপের: সূত্র
১০ মাস আগে
জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জরুরি ভিত্তিতে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের লাইন শনাক্ত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
সংসদীয় পর্যবক্ষেক এই কমিটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা নির্ধারণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার পরামর্শও দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসেকা আয়েশা খানের সভাপতিত্বে কমিটির ৪১তম বৈঠক থেকে এ সুপারিশ করা হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) আওতাধীন এলাকায় লোডশেডিং কমাতে গৃহীত পদক্ষেপ এবং দেশে নির্মাণাধীন কয়লা, জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সর্বশেষ বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সংসদীয় কমিটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্যদের নিয়মিত যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বলেছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ে ক্রয় ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
সভায় পূর্ববর্তী ৩৯ ও ৪০তম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
কমিটি আমদানিকৃত জ্বালানি বিক্রয় বা বিতরণ ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় করার জন্য, সিস্টেমে অনিয়ম থাকলে তা অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভূতাত্ত্বিক জরিপ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ এবং প্রয়োজনে কোয়ারিগুলোতে পাহারাদার নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় প্যানেল।
কমিটির সদস্য মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আসলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদীয় ৬ স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন
বিমান ছিনতাই তদন্তে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি
১ বছর আগে
বাংলাদেশে আরও ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত রপ্তানির প্রস্তাব আদানি গ্রুপের: সূত্র
উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে ভারতের আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে আরও ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত রপ্তানির জন্য সরকারকে একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে।
বিদ্যুত বিভাগের একটি উচ্চপদস্থ সূত্র সম্প্রতি ইউএনবিকে জানিয়েছে, ‘এই বিদ্যুতের পুরোটি আসবে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে। এর মধ্যে ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরশক্তি এবং বাকি ৬০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুত থেকে।’
বর্তমানে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডে একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশের জন্য নির্মিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ২৫ বছরের বিদ্যুত ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) অধীনে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত রপ্তানি করছে ভারতের জায়ান্ট আদানি গ্রুপ ।
খুব সম্প্রতি আদানি গ্রুপের কাছ থেকে নতুন প্রস্তাবটি এসেছে, যখন গ্রুপটির প্রধান গৌতম আদানি ঢাকা সফর করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছিলেন, কারণ মিডিয়ার সঙ্গে তাদের কথা বলার অনুমতি নেই।
সূত্র জানিয়েছে যে প্রস্তাবিত জলবিদ্যুতের ৬০০ মেগাওয়াট নেপাল থেকে আসবে যেখানে আদানি গ্রুপ একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে।
অন্যদিকে, প্রস্তাবিত ১ হাজার মেগাওয়াট সৌর শক্তি ভারত থেকে আসবে যেখানে আদানি এখন নবায়ণযোগ্য বিদ্যুত প্ল্যান্ট স্থাপন করছে।
উচ্চ পর্যায়ের আরেকটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে যে ‘আমরা শুনেছি আদানি গ্রুপকে তার প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে’।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে আদানি গ্রুপের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার উদ্যোগটি ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুত উৎপাদনে নবায়নযোগ্য বিদ্যুত ৪০ শতাংশে উন্নীত করার সরকারের পরিকল্পনার অংশ। যখন দেশটি তার উৎপাদন ক্ষমতা ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৯ হাজার ৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুত আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে এখন ১ হাজার ১৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হলেও জাতীয় গ্রিডে আসছে মাত্র ৮২৫ দশমিক ২৩ মেগাওয়াট।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩০টি প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ১ হাজার ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন প্রকল্পের কাজ চলছে এবং ৮ হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
গত সপ্তাহে বিদায়ী ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসন বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে নসরুল এ কথা বলেন।
দু’টি ডেনমার্কের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থার একটি যৌথ উদ্যোগ বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ৫০০ মেগাওয়াট প্রাথমিক ক্ষমতাসহ একটি বাণিজ্যিক, ইউটিলিটি-স্কেল অফশোর উইন্ড (উপকূলীয় বায়ু বিদ্যুত) প্রকল্প স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি বিনিয়োগ প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
প্রস্তাবটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডেডিকেটেড গ্রিনফিল্ড নবায়ণযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগকারী এবং নির্মাতা, কোপেনহেগেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার পার্টনারস (সিআইপি) এবং কোপেনহেগেন অফশোর পার্টনারস (সিওপি) থেকে এসেছে।
আরও পড়ুন: শুল্ক সমস্যা অমীমাংসিত রেখেই বাংলাদেশে আদানির বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১ বছর আগে
বাঁশখালী-মেঘনাঘাট ৪০০ কেভি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন চালু
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে মদুনাঘাট হয়ে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট পর্যন্ত ৪০০ কেভি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন চালু করেছে।
পিজিসিবি জানিয়েছে, ২৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সঞ্চালন লাইনটি মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৫টা ১৬ মিনিটে চালু করা হয়েছে। এটি মেঘনাঘাট প্রান্ত থেকে চালু করা হয়েছে।
লাইনটি বাঁশখালীতে নির্মাণাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে চট্টগ্রাম শহরের মদুনাঘাট হয়ে মেঘনাঘাটে নবনির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনে বিদ্যুত সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: নতুন রেকর্ড গড়ে বিদ্যুত উৎপাদন ১৫,৩০৪ মেগাওয়াটে
এর আগে গত ২৩ জুলাই মেঘনাঘাট থেকে ঢাকার আমিনবাজার পর্যন্ত ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হয়।
উভয় লাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪০০ কেভি লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ায় উচ্চ ভোল্টেজ পাওয়ার ট্রান্সমিশন অবকাঠামো এখন আরও নিবিড় হয়েছে।
দীর্ঘতম ৪০০ কেভি লাইনটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আবারও ৫ শতাংশ বাড়ল, বুধবার থেকে কার্যকর
১ বছর আগে
১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের সমস্যা শেষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
চলমান বিদ্যুত সংকট নিরসনে আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে আরও বিদ্যুৎ যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা লোডশেডিং করতে বাধ্য হয়েছি….মানুষের দুর্ভোগ আমি উপলব্ধি করতে পারি। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত যুক্ত হবে। এরপর ১০-১৫ দিনের মধ্যে আরও বিদ্যুত যোগ হবে। তাহলে আর কোনো কষ্ট থাকবে না।’
বুধবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার জনগণ অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করছে। ‘আমরা ভাবতে পারি না যে তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিতে উঠবে।’
তিনি বলেন, বৃষ্টির অভাবে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ‘আমরা বারবার মিটিংয়ে বসে উপায় খুঁজে বের করছি এবং এই দুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একা এই সমস্যার মুখোমুখি নয়, বৈশ্বিক সমস্যার কারণে এটা ঘটছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে বাইরের শক্তি ক্ষমতায় বসাতে পারবে না, বরং সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে: প্রধানমন্ত্রী
নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: আ.লীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি শাসনামলের বিচারহীনতা থেকে আ. লীগ দেশকে মুক্ত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও সারাদেশে চলছে তীব্র লোডশেডিং। দেশে প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ১২-১৩ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যার ফলে, তাপমাত্রার পারদ ৩৮-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকা অসহ্য গরমের মধ্যেও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ তীব্র লোডশেডিংয়ে শিকার হচ্ছেন।
দিনের বেলায় লোডশেডিং ইতোমধ্যেই ২৬০০ মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে এবং সন্ধ্যায় তা সর্বোচ্চ ৩৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহের অবস্থা আরও খারাপ বলে অভিযোগ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে দিনে ৩-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, বাকি সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়।
মজার বিষয় হলো, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) অফিসিয়াল তথ্যানুযায়ী জানা যায়, মধ্যরাতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা সর্বোচ্চ, যখন মানুষ গভীর ঘুমে থাকে।
আরও জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দেশে ২৬১০ মেগাওয়াট লোশেডিং হয়েছে, যেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট এবং উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট।
সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ বিদ্যুত উৎপাদনের পূর্বাভাসে ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াটের সম্ভাব্য চাহিদার বিপরীতে ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের অনুমান করা হয়েছিল, যেখানে মাত্র ৯০০ মেগাওয়াট লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন’। সন্ধ্যার পিক আওয়ারে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ২৭০০ মেগাওয়াট থেকে ৩৫০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।
তিনি বলেছেন, সরকারি প্রতিবেদনে সবসময় প্রকৃত চিত্র ফুটে ওঠেনা।
তবে, সারাদেশে বিদ্যুত সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পিজিসিবি-র অফিসিয়াল তথ্যে দেখা যায় যে সোমবার বিকাল ৪টায় লোডশেডিং ছিল ২৮১৫ মেগাওয়াট; সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ২৭৩৫ মেগাওয়াট এবং মঙ্গলবার সকাল ১টায় ৩২৬৬ মেগাওয়াট।
এছাড়া, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় (মধ্যরাত) ৩২১৫ মেগাওয়াট এবং দিবাগত রাত ২টায় (মধ্যরাত) ৩১৪৩ মেগাওয়াট লোডশেডিং ছিল।
এর মানে মধ্যরাতে সর্বোচ্চ লোডশেডিংয়ের পরিমাণ দেশে একটি নতুন ঘটনা, কারণ মধ্যরাতে দেশের চাহিদা কমে গেলেও বিদ্যুতের উৎপাদনও ১১ হাজার মেগাওয়াটের পর্যায়ে নেমে আসে।
আগের বছরগুলোতে সাধারণত মধ্যরাতে কোনো লোডশেডিং দেখা যায়নি। এ বছর নিয়মিত মধ্যরাতে লোডশেডিং হচ্ছে।
তবে বিপিডিবির কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ
তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ
১ বছর আগে
বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশে চলমান তাপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণ সম্পর্কে তার নিজের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী তার ফেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রচণ্ড গরমে ভুগছে। এয়ার কন্ডিশনার ও ফ্যানের ব্যবহার বাড়ছে এবং মানুষ আরামের জন্য এই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ৩ জুন বাংলাদেশ ১৩ হাজার ৬৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করেছে, তবুও লোডশেডিং ছিল।
আরও পড়ুন: ২ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
তিনি লেখেন, গত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলের মতো যদি ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হতো, তাহলে আজকে দেশে কী হতো?
নসরুল হামিদ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব গ্রামে-শহরে বিদ্যুত দিয়েছে। এটি জনগণের সরকার, তাই সরকার সকলের সহযোগিতায় এই সংকট মোকাবিলা করতে চায়।’
তিনি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে বিদ্যুত সাশ্রয়ের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে: নসরুল হামিদ
জ্বালানি তেলে সরাসরি ভর্তুকি দেওয়া হয়নি: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
সরকার আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করবে: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকার এখন আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণের দিকে এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাজারভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্যাসের দাম নির্ধারণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। একইভাবে, বিদ্যুতের শুল্কও বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গৃহস্থালি গ্রাহকদের গ্যাসের দাম আবারও ৪৭ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, একজন সিঙ্গেল বার্নার ব্যবহারকারীকে বর্তমান মাসিক বিল ৯৯০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৩৭৯ টাকা এবং ডাবল বার্নার ব্যবহারকারীকে মাসে ১ হাজার ৮০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৫৯১ টাকা দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন বাজারভিত্তিক মূল্য ব্যবস্থা শিগগিরই চালু করা হবে, যার অধীনে কখনও কখনও দাম তাদের আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ভিত্তিতে বাড়বে এবং আবার কখনও কমবে। এখন গ্যাসের জন্য যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সরকার।
সৌরবিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক একটি সমীক্ষা চালিয়েছে; যেখানে তারা বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করেছে যেখান থেকে প্রায় পাঁচ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে: নসরুল
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাংককে বলেছি যে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তারা সেখানে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে।’
তিনি আরও বলেছেন, বায়ু অফশোর শক্তিকে কেন্দ্র করে একটি বিকল্প তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার একটি সমীক্ষাও চালাচ্ছে যে এই ধরনের অফশোর ও অনশোর বায়ু শক্তির সম্ভাবনা থেকে কত দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের দেশের জন্য একটি বড় সুবিধা যে আমাদের উপকূলে অগভীর সমুদ্রের একটি বিশাল এলাকা রয়েছে, যেখানে পানির গভীরতা ৫০-৬০ মিটার।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু পরিবেশগত দিক এবং মৎস্যসম্পদও রয়েছে বলে অনেক বিষয়েই নজর দিতে হবে। বাতাস থেকে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আগে আমাদের অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হবে।’
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার এখন সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ দিতে কাজ করছে।
‘ইউটিলিটি স্কেল সোলার’- শিরোনামের কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের একজন দলনেতা বলেন, ভূমি পাওয়াই একটি মূল চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক জামালপুরে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আগ্রহী।
বিশ্বব্যাংক দলের নেতা বলেছেন, ‘আমরা প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল সংগ্রহ করতে পারি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
১ বছর আগে