রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই, ২০২০- জুন, ২০২৫) দলিলের মোড়ক উন্মোচন এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যের হত্যার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেই সময়ে দেশ যুদ্ধের ক্ষত কাটিয়ে উঠছিল, যেখানে ফসলের বাম্পার ফলন হচ্ছিল, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছিল এবং স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সরকার তার সীমিত সংস্থান নিয়েই অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছে।
‘সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আমরা করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি, আমরা নির্দেশনা দিয়েছি (করোনা নিয়ন্ত্রণে), প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি এবং টিকা দেয়া শুরু করেছি, যেখানে অনেক উন্নত দেশ এখনো এটি শুরু করতে পারেনি,’ বলেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বেড়ে হবে ২০ হাজার টাকা: প্রধানমন্ত্রী
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে যখন গবেষণা চলছিল সেটি পেতে সরকার তাদের সবার সাথে প্রাথমিক পর্যায়েই যোগাযোগ করেছিল।
‘আমরা ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অগ্রিম অর্থ দিয়েছিলাম যাতে ডব্লিউএইচও অনুমোদন দেয়ার সাথে সাথেই আমরা সেগুলো একবারে পেয়ে যাই, আমরা তা করতে সক্ষম হয়েছি এবং একটি উদাহরণ স্থাপন করেছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের জনগণ এ ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন যে দেশে আর করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়বে না।
জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার আগেই এটি অনুমোদন করেছে এবং বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পরিকল্পনাটি ভিশন-২০৪১ এর কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে।
অনেকের চেয়ে ভালোভাবে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছি: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ভাষ্যিতে তারা পরবর্তী পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে এটিকে অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
‘আমরা চাই যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে, যেখানে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে এবং সেটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টিকাদান ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ