তিনি বলেন, ‘অনেক উন্নত দেশ তাদের জন্য এখনো কোনো ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়নি। অন্য কোথাও আমি আমার মনোযোগ দেইনি। আমার কাছে মানুষ ও মানুষের জীবন অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
টিকাদান ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বাংলাদেশের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
‘আমি বলেছিলাম যখনই এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে এবং যখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটি অনুমোদন করবে, বাংলাদেশ এটি (ভ্যাকসিন) প্রথম পাবে এবং তা সঠিক প্রমাণিত হয়েছে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশকে ২০ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে দেয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন, অনেকে আমাদের (ভ্যাকসিন) দিতে চান, কিন্তু আমাদের যা প্রয়োজন তা আমরা নিয়ে এসেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন নিয়ে কিছুটা সন্দেহ ছিল, কিন্তু এখন তা নেই।’
কোভিড ভ্যাকসিন: সমালোচকদের কড়া জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে, আমাদের অনেক কিছুই শুনতে হবে, এই সকল কথায় মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই বলেছিলেন যে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না, যদিও সরকার এই ভ্যাকসিনের জন্য এক হাজার কোটি টাকা আলাদা করে রেখেছিল।
যারা টিকা নিচ্ছেন তাদের সকলকে নিয়মিত মাস্ক পরা এবং হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মহামারির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপর্যয় আসে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
কোভিড-১৯ টিকা কারা কত পাবেন, সংসদে জানালেন প্রধানমন্ত্রী
‘তবে আমাদের সে সময় শক্ত থাকতে হবে। সেখানে আমাদের মানুষের সাথে থাকতে হবে এবং একটি পরিকল্পিত উপায়ে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সেই অনুসারে কাজ করতে হবে। এভাবেই যেকোনো বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার উপর জোর দিয়ে, কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন শেখ হাসিনা
করোনার অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী