তিনি বলেন, ‘টিকাদানের নিবন্ধনের বিষয়ে মন্ত্রী (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) ও স্বাস্থ্যের মহাপরিচালককে (ডিজি) কিছু নির্দেশনা দিয়েছি এবং ডিজিকে মন্ত্রীর কাছ থেকে আরও বিস্তৃত নির্দেশ জেনে নেয়ার কথা বলেছি।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৪০ বছরের বেশি সবাইকে টিকাদানের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ওই নির্দেশনায় তিনি কর্তৃপক্ষকে এমন একটি ব্যবস্থা তৈরির কথা বলেন যাতে টিকা নেয়ার সময় নিবন্ধিত ব্যক্তি তার বাবা, মা বা কোনো প্রবীণ ব্যক্তির সাথে আসতে পারেন এবং তারাও এই টিকা নিতে পারেন।
শেখ হাসিনা ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মধ্যে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকাদানের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গ্রামাঞ্চলে যে বিভ্রান্তি রয়েছে (টিকাদানের বিষয়ে) ইনশাল্লাহ তা শেষ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে গুজব ছড়ানো, রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকুন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণকে টিকাদানের লক্ষ্যে নিবন্ধকরণ প্রক্রিয়া এখন থেকে কিছুটা উন্মুক্ত করা উচিত।
টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার পরে আমাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে, বলেন তিনি।
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে নিলেও সবাইকে মাস্ক পরা এবং নিয়মিত হাত ধোয়া অব্যাহত রাখার নির্দেশনা নিশ্চিতেও কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টিকা নিলে ভয় নেই, বরং না নিলেই ভয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা মনে করলে হবে না যে কেউ ভ্যাকসিন নিলে তার আর কিছুই হবে না, সবাইকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে।’
প্রথম ডোজ নেয়ার ৮-১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেয়ার ৮-১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। এসময় ডিসি, ইউএনও এবং বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরতদের টিকা নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের টিকা নেয়ার উপর গুরুত্বারোপ
দেশের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য টিকা নেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের খুব দ্রুত টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসা উচিত, তাদেরকে তা বলতে হবে, দেশের সব পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ভ্যাকসিন নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা টিকা নেবেন তাদের অবশ্যই একটি কার্ড দিতে (জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো) হবে যাতে তারা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার ক্ষেত্রে ওই কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই কার্ডটি বিদেশে যাওয়ার সময় ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণ হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের টিকা গ্রহণ
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের টিকা নেয়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নিবন্ধন করলেই কেবল তারা এই ভ্যাকসিন নিতে পারবে।’
আরও পড়ুন: টিকা নিলেন জাফরুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীকেও নেয়ার আহ্বান
তিনি বলেন, মহামারির সময়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জনগণকে সেবা প্রদানের জন্য স্ব স্ব এলাকায় কমিটি গঠন করেছেন।
তিনি বলেন, তারা রোগীদের পরিবহনে এবং মৃতদের লাশ দাফন করার বিষয়ে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন।
এতে আমাদের অনেক নেতা-কর্মী সংক্রমিত হয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে অনেকেই মারা গিয়েছেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে কোভিড টিকাদান শুরু