আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বোমা বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাওয়া আগের বোমাগুলোর মতোই এই বোমাটিও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
খবর পাওয়ার পর, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর প্রশিক্ষিত বোমা ডিসপোজাল দল আধুনিক যন্ত্রপাতিসহকারে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে আরও একটি ‘যুদ্ধকালীন বোমা’ উদ্ধার
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বোমাটি ফেলা হয়ছিল।
এর আগে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর এবং ১৪ ডিসেম্বর দুটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
শ্রমিকরা তৃতীয় টার্মিনালের জন্য মাটি খননের কাজ করতে গিয়ে মাটির নিচে চাপা পড়া সিলিন্ডারের মতো বোমা দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিমানবন্দরে মিলল ২৫০ কেজির বোমা
করোনার কারণে কয়েক মাস দেরি করে গত ডিসেম্বরের শেষদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
এর নির্মাণ কাজ গত বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল এবং ২০২১ সালের এপ্রিলের মধ্যে এটি শেষ করার পরিকল্পনা করেছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষে (সিএএবি)।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল নির্মাণে লাগবে ৪ বছর: প্রতিমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিতা করপোরেশন ও স্যামসাং মিলে গঠিত এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি)।
দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন ও ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল, শাহজালালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন
বিমানবন্দরের মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে সুপরিসর এই তৃতীয় টার্মিনাল। এই অর্থ ব্যয়ের একটি অংশ প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেবে জাইকা। বাংলাদেশ সরকার বাকি অর্থের যোগান দেবে।
এই প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং, রাস্তা, কার পার্কিং, কার্গো কমপ্লেক্স, পার্কিং অ্যাপ্রোনসহ আরও অন্যান্য স্থাপনা তৈরি করা হবে।
তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে চার বছর। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় দুই কোটি যাত্রী চলাচলের সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণ শুরু হতে পারে ডিসেম্বরে
এই প্রকল্পের একটি অংশে কাজ করবে কোরিয়াভিত্তিক স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি করপোরেশন। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দরে পরিণত হবে বলে আশা করছে সরকার।
গত ৯ আগস্ট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী জানান, প্রকল্পের ৬.৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ করে তা যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।