বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহেল কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মিত হলে বছরে ২০ লাখ যাত্রী এই টার্মিনাল ভবন দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। যৌথভাবে ভবনের স্থাপত্য নকশা করেছে কোরিয়ার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইউশিন ও হিইরিম। আন্তর্জাতিক মানের যাত্রী সেবার জন্য নতুন ভবনে থাকবে ৬টি বোডিং ব্রিজ (ডাবল ডকিং ২টি, সিঙ্গেল ২টি), কনবেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক-ইন-কাউন্টার যার মধ্যে ২টি স্বয়ংক্রিয়, বহির্গামী ও আগমনী যাত্রীদের জন্য মোট ২৪টি পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার, ৬টি এসকেলেটর, ৯টি লিফট এবং আগমনী যাত্রীদের জন্য ৩টি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট, ভবনের ফ্লোরে বসবে ইঞ্জিনিয়ারড স্টোন। নতুন টার্মিনালের ১ম তলা আগমনী যাত্রীদের এবং ২য় তলা বহির্গামী যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত হবে। শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে আগত যাত্রী টার্মিনালের চেক-ইন লেভেলে সরাসরি যেতে পারবেন। আবার বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা ১ম তলা থেকে বিমানবন্দর ত্যাগ করে সারফেস রোড ব্যবহার করে শহরের যেকোনো প্রান্তে যেতে পারবেন। টার্মিনাল অভিমুখী বা বহির্মুখী সকল যানবাহন চলাচল হবে একমুখী যা বিমানবন্দর অংশকে সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত রাখবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নতুন টার্মিনাল ভবনের সাথে আরও যে সকল অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে তা হলো অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত কার্গো টার্মিনাল, ফায়ার স্টেশন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, রক্ষণাবেক্ষণ ভবন, ৬টি বিমান পার্কিং উপযোগী এপ্রোন, টেক্সিওয়ে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রসহ ফুয়েল ডিস্ট্রিবিউশান অ্যান্ড হাইড্রেন্ট সিস্টেমসহ আরও অনেক সুবিধা থাকবে এই নতুন টার্মিনালে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হকের উপস্থাপনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।