তৃতীয় টার্মিনাল
তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশের যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতাকে বদলে দেবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের ফলে বাংলাদেশের যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বদলে যাবে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইইউ রাষ্ট্রদূত তার এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী হাসিনার চিত্তাকর্ষক নতুন বিমানবন্দর টার্মিনালের উদ্বোধন প্রতি বছর ২৪ মিলিয়ন যাত্রী পরিচালনা করার সম্ভাবনাসহ বাংলাদেশের যাত্রী ও কার্গো সক্ষমতাকে বদলে দেবে।’
তাকে নতুন টার্মিনালে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুরের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গেছে, যা তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন।
জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জ্যান জানোস্কি তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন। শনিবার এর সফট-ওপেনিং হয়েছে।
তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, ‘শিগগিরই বাংলাদেশের (তৃতীয় টার্মিনাল থেকে) বিমান চলাচল শুরু হবে। ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন তৃতীয় টার্মিনালের সৌন্দর্যে আমি স্তম্ভিত। এটির বাস্তবায়নে প্রচুর জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে ফার্স্ট এয়ারবাস ৩৮০ অবতরণ দেখার তর সইতে পারছি না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৭ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করে বলেছেন, বাংলাদেশের রিসোর্ট শহর কক্সবাজার বা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শিগগিরই বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে একটি আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।
১ বছর আগে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল
চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।
সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিগত ২০২০ সালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ৪৭১ দিনের মধ্যে সফট ওপেনিং করার কথা ছিল। আজ (২ অক্টোবর) চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ২৪১ দিন। আগামী ৭ অক্টোবর সফট ওপেনিং হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন সফট ওপেনিং এ উপস্থিত থাকবেন। নির্ধারিত সময়ের আগে সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে তৃতীয় টার্মিনালের। সফট ওপেনিংয়ের অনুষ্ঠান তৃতীয় টার্মিনালের ভেতরে অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশের মানুষ যেন উদ্বোধনের দিন গণমাধ্যমের মাধ্যমে এই টার্মিনাল দেখতে পারেন, সেজন্য আমরা ভেতরে উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি নিয়ে এম মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সফট ওপেনিংয়ের আগে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করা। বর্তমানে এখন প্রায় ৮৮ শতাংশের ওপরে অর্থাৎ ৮৯ শতাংশের কাছাকাছি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি ওপেনিংয়ের আগে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যাত্রীদের জন্য টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু (ফুল ফাংশনাল) করার। তবে আমাদের কাজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক আগে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। নির্ধারিত সময়ের আগে যাত্রীদের জন্য টার্মিনালটি পুরোপুরি চালু হবে বলে আশা করছি।
তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জনবল আছে কি না- প্রশ্ন করা হলে মফিদুর রহমান জানান, জনবলের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। এ ছাড়া আমাদের এখন যারা আছেন তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসহ সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নতুন টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে সেবার মান বাড়বে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই তৃতীয় টার্মিনাল করা হয়েছে যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের জন্য। এভিয়েশন হাব হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এই তৃতীয় টার্মিনাল করা হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান আরও জানান, যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশি একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে বিদেশি সংস্থা কাজ করলেও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকবে আমাদের হাতে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
তিনি বলেন, বিদেশি সংস্থাকে বলে দেওয়া হবে যেন যাত্রী সেবার মান সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর অথবা সমমনা বিমানবন্দরগুলোর মতো হয়। যাত্রীসেবার মান সুনিশ্চিত করতে পারবে। এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করব।
এ ছাড়া আমাদের দেশীয় স্টেকহোল্ডার যারা রয়েছে তাদেরও বলা হয়েছে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। নতুন টার্মিনালে যাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুক অনুযায়ী অফিসের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
নতুন তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রস্তুত কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, এটা কোনো একক কাজ না। আমরা সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনা করব, দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরের মতো।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করছে স্যামসাং গ্রুপের কনস্ট্রাকশন ইউনিট স্যামসাং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ট্রেডিং (সিঅ্যান্ডটি) করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির নির্মিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে বুর্জ খলিফা, পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, তাইপে ১০১, সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের ৪ নম্বর টার্মিনাল, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আবুধাবির ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা উন্মোচনের মাধ্যমে নির্মাণে আধুনিকতা নিয়ে এসেছে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপ।
এ ছাড়া টার্মিনালের ভেতরের ভবনটির নকশা তৈরি করেছেন বিখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের টার্মিনাল-৩, চীনের গুয়াঞ্জুর এটিসি টাওয়ার ভবন, ভারতের আহমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইসলামাবাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের নকশা তৈরি করেন।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ডেনিশ মায়ের্স্ক গ্রুপের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করবে জাপান: বেবিচক চেয়ারম্যান
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডিংয়ের কাজ জাপান করবে, জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। তাদেরই এ কাজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের কাজ দেওয়ার জন্য কি ধরনের টার্মস দেওয়া হবে সেটি নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে করা হবে।’
শনিবার (১৫ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘এটিজেএফবি ডায়ালগ’ এ এই তথ্য জানানো হয়। ডায়লগের আয়োজন করে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সভাপতি তানজিম আনোয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
বিমানের উড়োহাজার কেনা প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের বহর বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন ও কার্গো সক্ষমতা বাড়াতে বলেছেন। এ কারণেই এয়ারক্রাফট কেনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এয়ারবাস কেনা হবে, বোয়িং কেনা হবে না সেটা নয়। যে আমাদের ভালো অফার দেবে তাকেই বেছে নেবে বিমান। আমাদের সঙ্গে বোয়িং-এর আগে থেকেই সম্পর্ক আছে, এয়ারবাসের ইস্যুও এসেছে। এয়ারবাস বোয়িং থেকে ভালো অফার দিলে আমরা ওদিকেই যাব।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাব করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ম্যাস্টার প্ল্যান করে কাজে নেমে গিয়েছিলাম। জায়গা অধিগ্রহণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এজন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকার প্রায়োরিটিতে রাখতে পারেনি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য(পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য (এটিএম) শাহ কাউসার আহমেদ চৌধুরী, সদস্য (প্রশাসন) মো. মাহবুব আলম তালুকদার,সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী, প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ১৮০০ গ্রাম কোকেন জব্দ, ভারতীয় নারী আটক
১ বছর আগে
তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সেবা উন্নত করতে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেয়া হবে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেছেন, সংস্থাটি দেশিয় বা যেকোনো বিদেশি কোম্পানি হতে পারে, তবে এর মান অবশ্যই আন্তর্জাতিক হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিদেশি কোম্পানিকে বুঝানো হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মানের দেশিও হতে পারে বা বিদেশিও হতে পারে।
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, মূলত গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা আর যাত্রী ভোগান্তির কারণে তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা হবে।
যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড এবং কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানের কাছে আউটসোর্স করা হবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে অনেকবার যথেষ্ট কঠোরভাবে বলা হয়েছে একটি লাগেজও যাতে নষ্ট না হয়। লাগেজটাকে যেন মানুষের মতো ফিল (অনুভব) করা হয় কিন্তু তারা শুনছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।
পড়ুন: ঢাকার নদী দূষণে মূল দায়ী ওয়াসা: এনআরসিসি চেয়ারম্যান
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানের সেবা, যেখানে যাত্রীর কোনো অভিযোগ থাকবে না। দ্রুত সেবা দেয়া যাবে। যাতে কোনো যাত্রী ভোগান্তি না হয় এবং সরকারের আয়ও বাড়বে।’
তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ইউএনবিকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করার কথা ভাবছি। তখন সমস্ত নিয়ম ও শর্ত পরিপালন করে যারা যোগ্য বিবেচিত হবেন তারাই এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদান করা, তার জন্য করণীয় সকল কাজ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের কাজের মান নিয়ে কোন ধরনের আপোষ করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। দরপত্রে উল্লেখিত মানের পণ্যই এই প্রকল্পের কাজে সরবরাহ নেয়া হবে, অন্য কোন কিছু গ্রহণ করা হবে না। রাষ্ট্রের বা জনগণের এক পয়সা ক্ষতি হয় এরকম কোন কিছু এখানে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান উন্নত দেশে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করছে এমন প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হবে। বিমানবন্দরের সেবার মান নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো আপস করব না।
মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দরে যাত্রীরা যাতে কোন হয়রানির শিকার না হন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে সেবা দেয়া হয়, সেই ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা যাতে দেয়া হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।
পড়ুন: তীব্র খরায় বাগেরহাটে আমন উৎপাদন ব্যাহত
কফি, একাকীত্ব বা সুখ: বিশ্বের ‘উদ্ভট’ যত মন্ত্রণালয়
২ বছর আগে
শাহজালাল বিমানবন্দরে আরও একটি জিপি বোমা উদ্ধার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণাধীন এলাকায় চলমান পাইলিংয়ের সময় সোমবার আরও একটি ২৫০ কেজি ওজনের জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
ঢাকায় বিমানবন্দরে মিলল ২৫০ কেজির বোমা
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের সময় বুধবার ২৫০ কেজি ওজনের একটি বোমা পাওয়া গেছে।
৩ বছর আগে