আইএসপিআর
সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তর এলাকা প্লাবিত, দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করে বেড়িবাঁধের অন্তত ১৫০ ফুট জায়গা খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙনের স্থানে একটি বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করলেও জোয়ারের পানির চাপ বাড়ায় তা সম্ভব হয়নি। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাউবো প্রতিনিধি ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। সংকট নিরসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তারা। বর্তমানে আশাশুনি ক্যাম্প থেকে দুটি পেট্রোল টিম এলাকাটিতে অবস্থান করে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনকে বাঁধ মেরামতের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।
এ ছাড়াও, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ব্যাটালিয়নের একটি দল বাঁধ মেরামতের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
আরও পড়ুন: অসৎ গোষ্ঠীর উসকানিতে কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে হামলা: আইএসপিআর
১৫ দিন আগে
মিয়ানমারে দ্বিতীয় দফায় পাঠানো হলো ত্রাণ, ওষুধ ও উদ্ধারকারী দল
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দ্বিতীয় দফায় জরুরি ওষুধ, চিকিৎসক দল, ত্রাণসামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ও বিমান বাহিনীর দুটিসহ মোট তিনটি পরিবহন বিমান উদ্ধার সরঞ্জামাদিসহ একটি উদ্ধারকারী দল, জরুরি ওষুধ সামগ্রীসহ একটি চিকিৎসক দল এবং ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২ হাজার, ধীর গতির উদ্ধার অভিযান
৩৪ জন উদ্ধারকারী ও ২১ জন চিকিৎসাকর্মী মিলিয়ে মোট ৫৫ জনের একটি দল এই মিশনে অংশ নিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর কর্নেল মো. শামীম ইফতেখারের নেতৃত্বে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান ও জরুরি চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করবে দলটি।
উদ্ধারকারীদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ২১ জন, নৌবাহিনীর দুজন, বিমানবাহিনীর একজন ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০ সদস্য রয়েছেন। চিকিৎসা সহায়তা দলে রয়েছেন সেনাবাহিনীর ১০ জন, নৌবাহিনীর একজন, বিমানবাহিনীর দুজন ও অসামরিক ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দ্বিতীয় দফায় পাঠানো ১৫ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, তাঁবু, স্বাস্থ্যবিধি পণ্য ও ঔষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী।
আরও পড়ুন: জুমার নামাজের সময় ভূমিকম্প, মিয়ানমারে নিহত অন্তত ৭০০ মুসল্লি
এর আগে, রবিবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে প্রথম দফায় মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়। সেই মিশনে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার ও একটি মেডিকেল টিম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গত শুক্রবার দিনের মাঝামাঝি সময়ে এশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে মিয়ানমারে। এরপর থেকে সেখানে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে দেশটির সামরিক সরকার। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ হাজার ৯০০ মানুষ। ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও প্রায় ২৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
১৬ দিন আগে
ভলকার তুর্কের বার্তা সম্পর্কে সেনাবাহিনী অবগত নয়: আইএসপিআর
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে হার্ডটক অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের মন্তব্যের জবাবে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ‘এ বিষয়ক কোনো ইঙ্গিত কিংবা বার্তা সম্পর্কে সামরিক বাহিনী অবগত না।’
সোমবার (১০ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপির বলছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করে এবং সর্বদা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে ভলকার তুর্কের মন্তব্য কিছু মহলের মাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি এবং এর পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
‘সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবিসির হার্ডটক অনুষ্ঠানে গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে ভলকার তুর্কের মন্তব্য নিয়ে একটি সংবাদ প্রচার করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবাধিকারের তাৎপর্য যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে এবং যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে, তবে অধিকতর সঠিকতা ও স্বচ্ছতার উদ্দেশ্যে সেই মন্তব্যের কিছু বিষয়ে স্পষ্টিকরণ প্রয়োজন বলে মনে করে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার থেকে এ বিষয়ক কোনো ইঙ্গিত কিংবা বার্তা সম্পর্কে অবগত নয়। যদি এ সংক্রান্ত কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়ে থাকে, তবে তা তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়ে থাকতে পারে, সেনাবাহিনীকে নয়।’
‘নিরপেক্ষতা ও সততার মহান ঐতিহ্য ধারণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অতীতের ঘটনাপ্রবাহ, বিশেষত ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করেনি।’
আরও পড়ুন: অসৎ গোষ্ঠীর উসকানিতে কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে হামলা: আইএসপিআর
আইএসপিআর জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময়ও সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং কোনো পক্ষপাত বা বাহ্যিক প্রভাব ছাড়াই জননিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্জিত আয়ের একটি ক্ষুদ্র অংশ শান্তিরক্ষীরা পেয়ে থাকেন এবং এর সিংহভাগ জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে, যার পরিমাণ গত ২৩ বছরে প্রায় ২৭০০০ কোটি টাকা।’
‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের সাথে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ককে গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করে এবং দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব পালনে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। সেনাবাহিনীর ভূমিকা সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে উদ্বেগ অথবা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে তা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে ফলপ্রসূভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে,’ বলা হয় আইএসপিআরের বিবৃতিতে।
৩৮ দিন আগে
অসৎ গোষ্ঠীর উসকানিতে কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে হামলা: আইএসপিআর
অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গোষ্ঠীর উসকানিতে দুর্বৃত্তরা বিমান বাহিনীর সদস্যদের দিকে ইট ও পাথর নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারে একটি তল্লাশি চৌকিতে বাকবিতণ্ডার পর স্থানীয় একদল বাসিন্দা ঘাঁটিতে হামলা চালালে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিয়াম স্কুলের কাছে বিমান বাহিনীর একটি চেকপয়েন্টে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে থামানো হয় এবং তার মোটরসাইকেলের যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় তাকে বিমান বাহিনীর প্রভোস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাঁটির ভেতরে নিয়ে যায়।
এর কিছুক্ষণ পরই সমিতি পাড়ার প্রায় ২০০ বা তারও বেশি বাসিন্দা ঘাঁটির কাছে জড়ো হলে বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় একজন কর্মকর্তাসহ বিমান বাহিনীর চার সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় শিহাব কবির নাহিদ নামে স্থানীয় এক যুবককে বিমান বাহিনীর গাড়িতে করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি রক্ষার জন্য বিমান বাহিনীর সদস্যরা স্ট্যান্ডার্ড 'রুলস অব এনগেজমেন্ট' অনুযায়ী ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তবে আইএসপিআর স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনো তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়নি।
বিমান বাহিনীর সদস্যরা নাহিদকে গুলি করেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত অভিযোগের বিষয়টিও 'সম্পূর্ণ মিথ্যা' বলে দাবি করেছে আইএসপিআর।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা: আইএসপিআর
আইএসপিআর জোর দিয়ে বলেছে, বুলেটের খোসাগুলোর বহুল প্রচারিত চিত্রগুলো বিশ্লেষণ করে প্রমাণিত হয়েছে যে সেগুলো ফাঁকাগুলির, যা প্রাণঘাতী নয় এবং কেবল শব্দ তৈরি করে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে ঘাঁটির আনুষ্ঠানিক নাম 'বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি শেখ হাসিনা' ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সরকারি গেজেটের মাধ্যমে এই ঘাঁটির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে 'বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার' রাখা হয় এবং নাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
৫২ দিন আগে
কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন: আইএসপিআর
ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে কাজ করা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মিশনের সদস্যরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর(আইএসপিআর)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর বলছে, ‘ডি আর কঙ্গোতে চলমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি সব শান্তিরক্ষী নিরাপদ রয়েছেন এবং তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, সোমবার কঙ্গোর সবচেয়ে বড় শহর গোমা দখলের দাবি করেছে রুয়ান্ডাভিত্তিক বিদ্রোহীরা। কঙ্গো সরকার বলছে, বিদ্রোহীদের এই অগ্রযাত্রা হচ্ছে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সামরিক প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করেছে: আইএসপিআর
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সাহায্যকর্মী বলেন, এরআগে কঙ্গোলিজ সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল এম২৩ নামের বিদ্রোহীরা। কিন্তু সোমবার সকালে শহরজুড়ে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়।
এক বিবৃতিতে গোমার বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্রোহীরা। শহরের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে কঙ্গোর সামারিক বাহিনীর সদস্যদের জড়ো করছেন তারা।
আফ্রিকার অন্যতম দীর্ঘ যুদ্ধে নাটকীয়ভাবে কঙ্গোর খনিজ-সমৃদ্ধ অঞ্চলে হামলা চালিয়ে বসেছে এম২৩ বিদ্রোহীরা। এতে সেখানকার নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।
উত্তর কিভু প্রদেশে গোমা শহরটির অবস্থান। এই প্রদেশের এক তৃতীয়াংশ নাগরিক এরইমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, গেল ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকার দুই শান্তিরক্ষী এবং উরুগুয়ের একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও এগারো জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রুয়ানার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহায়তায় কঙ্গোতে হামলা চালিয়েছেন এম২৩ বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। সব ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছে আইএসপিআর
৮০ দিন আগে
মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী: আইএসপিআর
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, ‘কিলো ফ্লাইট’র বীর সদস্য ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিমান বাহিনীর শাহীন হলে বিমান বাহিনী প্রধান তাদের এই সংবর্ধনা দিয়েছেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী সংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা ও কিলো ফ্লাইটের সদস্যদের অবদান জাতি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে।
তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। মোট ২৯ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে 'কিলো ফ্লাইট'-এর সদস্য ও তাদের উত্তরসূরিরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান মুক্তিযোদ্ধা/তাদের উত্তরাধিকারী এবং কিলো ফ্লাইট সদস্য/তাদের উত্তরাধিকারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাস দিয়ে যান চলাচল সীমিত থাকবে: আইএসপিআর
তিনি উল্লেখ করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ময়দানে মাত্র তিনটি বিমান নিয়ে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার, বিভিন্ন ধরনের রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র এমনকি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সুসজ্জিত।
পরিচালন ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
বিমান বাহিনী প্রধান গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ও কিলো ফ্লাইটের সদস্যদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা ও কিলো ফ্লাইটের সদস্যদের আত্মত্যাগ ও অবদান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বর্তমান সকল সদস্যের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটির প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিমানসেনারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২ বিদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে নৌবাহিনী: আইএসপিআর
১৪৬ দিন আগে
২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাস দিয়ে যান চলাচল সীমিত থাকবে: আইএসপিআর
আগামী ২১ নভেম্বর জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাস দিয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকবে।
রবিবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই দিন শহীদ জাহাঙ্গীর গেট থেকে ক্যান্টনমেন্ট হয়ে স্টাফ রোড পর্যন্ত বহিরাগতদের চলাচল না করার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২ বিদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে নৌবাহিনী: আইএসপিআর
তবে সেনানিবাস এলাকার বাসিন্দা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সড়কটি ব্যবহার করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ওই দিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা এবং দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যায় সরাসরি জড়িত ৬ জন আটক: আইএসপিআর
১৫১ দিন আগে
লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যায় সরাসরি জড়িত ৬ জন আটক: আইএসপিআর
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম সারওয়ার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছয়জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনার সময় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার পর বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানাল আইএসপিআর।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার দুর্গম এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনাকালে শহীদ হন ২৩ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট তানজিম।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
এ ঘটনার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওই এলাকায় চিরুনি অভিযান চালালে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কর্তৃপক্ষ আটকদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড বিভিন্ন ধরণের গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ ট্রাক এবং একটি মোটরসাইকেলসহ উল্লেখযোগ্য প্রমাণ উদ্ধার করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটকদের মধ্যে চারজন সরাসরি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, বাকি দুজন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. বাবুল প্রকাশ (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. আরিফ উল্লাহ (২৫), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫) ও মো. হোসেন (৩৯)।
এদের মধ্যে মো. বাবুল প্রকাশকে অভিযানের মূল অর্থদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়ে তিনি লেফটেন্যান্ট তানজিমকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
এছাড়া ডাকাত দলের দ্বিতীয় নেতা মো. হেলাল উদ্দিন, চালক মো. আনোয়ার হাকিম, সশস্ত্র সদস্য মো. আরিফ উল্লাহ, সোর্স মো. জিয়াবুল করিম ও মো. হোসেন সকলেই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ডাকাত চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আটক ছয়জনকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেনা সদস্যদের মাধ্যমে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর
২০৪ দিন আগে
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইএসপিআর চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:জনগণের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
এতে বলা হয়, এই অস্থিরতা তিন পার্বত্য জেলায় সহিংস দাঙ্গায় পরিণত হতে পারে। তাই তিন জেলার জনগণকে শান্ত থাকার এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলাচল সীমিত করে।
গত বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার ভোরে খাগড়াছড়িতে সহিংস ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'বৈঠকে তরুণ কর্মকর্তাদের অসন্তোষের মুখে সেনাপ্রধান,’ খবর প্রত্যাখান আইএসপিআরের
২০৯ দিন আগে
সরকার পতনের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে সেনানিবাসে আশ্রয় নেন ৬২৬ জন: আইএসপিআর
গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের সদস্যসহ মোট ৬২৬ জন দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হলে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বেসামরিক নাগরিক প্রাণের ভয়ে সেনানিবাসে আশ্রয় নেন।
এতে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ, জীবন রক্ষা এবং আইনের শাসন সমুন্নত রাখার প্রয়াসে মোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সেনানিবাসের ভেতরে বিদেশি মিশনের কেউ অবস্থান করছে না: আইএসপিআর
এর মধ্যে ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ জন পুলিশ অফিসার, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজন (স্ত্রী ও শিশু) ছিলেন।
পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন নিজ উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করেন।
এছাড়া আশ্রয় দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত তিনজন তাদের পরিবারের চার সদস্যসহ মোট সাতজন সেনানিবাসে অবস্থান করছেন। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এক্ষেত্রে, গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শনে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে এবং থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
২৪২ দিন আগে