ঢাকায় নিযুক্ত নর্ডিক রাষ্ট্রদূতেরা বলেছেন যে তাদের দেশগুলো আগামী ৫০ বছর ও তার পরেও বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও টেকসই’ অংশীদারিত্ব করতে চায়, যেখানে বৃহত্তর সহযোগিতার লক্ষ্যে সুযোগ অন্বেষণে প্রধান খাতগুলো থাকবে-জলবায়ু, সবুজ রূপান্তর, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সুস্থ মহাসাগর, লিঙ্গ সমতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ।
কসমস ডায়ালগে যৌথভাবে প্রস্তুত মূল বক্তব্য প্রদানকালে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টর সভেনডসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেনও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব, বহুপক্ষীয়তা, বৈশ্বিক সংহতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর বিভাগ ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ তার চলমান রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতা সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ইউএনবি’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত পণ্ডিত-কূটনীতিক ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
এছাড়া, আলোচনায় আরও যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও ড. লাইলুফার ইয়াসমিন।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, ‘এই ৫০ বছরে আমরা একসাথে একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা করেছি। আমাদের অংশীদারিত্ব চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের মধ্যদিয়ে হয়েছে। আর আমরা দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, এটা বলা ন্যায্য হবে যে নর্ডিকরা বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার ও বন্ধু হয়ে থাকতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়লগ বৃহস্পতিবার