ডেনমার্ক
ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন করেছে।
সকালে ডেনমার্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এ. কে. এম. শহীদুল করিম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। এরপরে দূতাবাস মিলনায়তনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সন্ধ্যায় ডেনমার্কে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের শিশু, কিশোরদের নিয়ে দূতাবাস মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী: পটুয়াখালীতে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
পঞ্চগড়ের টিউলিপ বাগান পরিদর্শনে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন পঞ্চগড় জেলার টিউলিপ বাগান পরিদর্শন করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে প্রাণবন্ত রংয়ের এই ফুল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবিকার সুযোগ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, ‘এই রঙিন টিউলিপ বাগানে এসে আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত যে ডেনিশ সরকার, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে এই তরুণ নারী কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করেছে।’
সোমবার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বৃদ্ধির জন্য একটি গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন সংক্রান্ত একটি প্রতিনিধি দল পঞ্চগড়ের টিউলিপ খেত পরিদর্শন করেছেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন অ্যাম্বাসেডর পিটারসেন এবং ইফাদ-এর বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নউড হ্যামেলিরস।
তারা স্থানীয় সেসব কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছেন, যারা ইফাদ এবং ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির যৌথ-অর্থায়নে গ্রামীণ মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের সহায়তায় টিউলিপ চাষ করছেন।
সাধারণত শীতল আবহাওয়ায় জন্মানো টিউলিপের চাহিদা ঢাকায় বেশি।
২০২১ সালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন এবং এর অংশীদার সংস্থা, ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এবং ইফাদ-এর উদ্যোগে বাস্তবায়িত একটি মূল্য শৃঙ্খল উন্নয়ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে আটজন কৃষককে টিউলিপ চাষ এবং বাজারজাত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় সৌরভ ছড়াচ্ছে ‘টিউলিপ’
ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ইউরোপের উগ্র ডানপন্থী এক নেতার শুক্রবার পবিত্র কোরআন পোড়ানোর আরেকটি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় নিদর্শন অবমাননার এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ আবারও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের অযৌক্তিক উস্কানি ও ইসলামফোবিয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
কুমিল্লায় `পবিত্র কোরআন অবমাননা’, শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের
ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক লাইভ স্ট্রিমিং: কোথায়, কিভাবে দেখবেন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার ২০২২
দোহার ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ডেনমার্কের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দুই ম্যাচে দুটি জয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে। কাগজে কলমে ও শক্তির বিচারে ডেনমার্ককে হারাতে ফ্রান্সের খুব একটা বেগ পাওয়ার কথা না। তবে অঘটনের ফিফা ফুটবল ২০২২ বিশ্বকাপে ঘটতে পারে যেকোন কিছুই। শেষ মুহূর্তেও বদলে যেতে পারে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক খেলার চিত্র।
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ: কিভাবে দেখবেন ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচ সরাসরি
বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ এর প্রতিটি ম্যাচ বাংলাদেশের ১টি সরকারি টিভি চ্যানেলসহ মোট ৩টি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করছে। আপনি যদি তিউনেশিয়া বনাম অস্ট্রেলিয়া লাইভ ম্যাচ টি টিভিতে দেখতে চান সেক্ষেত্রে বিটিভি, গাজী টিভি অথবা টি-স্পোর্টস চ্যানেলে দেখতে পারবেন।
কোথায় দেখা যাবে কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং?
কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক লাইভ ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্পোর্টস ১৮ এবং স্পোর্টস ১৮ এইচডি চ্যানেলে। এ ছাড়া কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির লাইভ স্ট্রিমিং দেখা যাবে জিও সিনেমা অ্যাপ্লিকেশনে।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২: সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে ব্রাজিলের জয়
ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ কাতার: ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচ কোন চ্যানেলে দেখা যাবে?
টিভিতে ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক লাইভ খেলা
বাংলাদেশ: BTV, Gazi TV, T-Sports
ভারত: Sports18, Sports18 HD, Sony TV Networks
পাকিস্তান: ARY Digital Network
নেপাল: Media Hub Private Limited
ভারতীয় উপমহাদেশ: Sony Network
টফি অ্যাপে লাইভ বিশ্বকাপ
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ কাতার ২০২২ এর লাইসেন্সড মোবাইল ব্রডকাস্টার হিসেবে স্বত্ব পেয়েছে বাংলালিংকের টফি অ্যাপ। কে স্পোর্টস এর সাথে সাব-লাইসেন্সিং এগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে এই সুবিধা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলালিংক। সুতরাং টফি অ্যাপ এবং টফি ওয়েবসাইটে বিশ্বকাপ ফুটবল লাইভ দেখতে পারবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে টফিতে ফুটবল বিশ্বকাপ লাইভ বিনামূল্যে দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপ ২০২২: পর্তুগালের কাছে ৩-২ গোলে ঘানার পরাজয়
বাংলাদেশ থেকে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক দেখা যাবে টি স্পোর্টস চ্যানেল থেকে। গাজি টিভিও (জিটিভি) ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করবে। এছাড়া রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশন চ্যানেল, বিটিভি ফুটবল বিশ্বকাপ সরাসরি সম্প্রচার করছে।
এছাড়া বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে লাইভ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক ম্যাচ।
বিশ্বকাপের জন্য ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক সম্ভাব্য একাদশ–
সম্ভাব্য লাইন আপ
ফ্রান্স: (৪-২-৩-১): লরিস (গোলরক্ষক), পাভার্ড, উপমেকানো, ভারানে, হার্নান্দেজ, চুয়ামেনি, রাবিওট, দেম্বেলে, গ্রিজম্যান, এমবাপে, জিরুদ
ডেনমার্ক: (৩-৪-৩) স্মাইকেল (গোলরক্ষক), ক্রিস্টেনসেন, অ্যান্ডারসেন, কেয়ার, হজবার্গ, এরিকসেন, মাহেল, ক্রিস্টেনসেন, ডামসগার্ড, ডলবার্গ, ওলসেন
সবমিলিয়ে দলদুটি মোট ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ফ্রান্সের জয় আটটি এবং ডেনমার্কের ছয়টি। অপর দুটি ড্র।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২: উরুগুয়ে-দ. কোরিয়া শূন্য গোলে মাঠ ছাড়ল
ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
৫৭ লাখেরও বেশি মানুষের নর্ডিক দেশ ডেনমার্ক মূলত ৪৪৩টি দ্বীপের এক দ্বীপপুঞ্জ। নিম্নভূমির এই দেশটির আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। বিশ্বের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্ক অন্যতম। শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় কোনো অংশেই কম নয়। বরং দেশটির উচ্চমানের জীবনযাত্রার কারণে হাজারো শিক্ষার্থী ডেনমার্ক অভিমুখী হন উচ্চশিক্ষার জন্য। এই ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার নানা দিক নিয়েই আজকের আয়োজন।
ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা
বাংলাদেশ থেকে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তরের জন্য ডেনমার্ক গেলেও, সেখানে স্নাতক করারও বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে। এইচএসসি পাস বা মাধ্যমিক ডিপ্লোমাধারীরা তাদের সনদ দিয়ে ডেনমার্কে ব্যাচেলরের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই সনদ ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমমূল্য কি না তা যাচাই করা হয়। এখানে মূলত একাডেমিক মার্কশীটের প্রতিটি বিষয়ের প্রাপ্ত গ্রেড ও জিপিএ (গ্রেড পয়েন্টের গড়) ডেনমার্কের পরীক্ষার নম্বর ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।
ডেনিশ এজেন্সি ফর সায়েন্স অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন তাদের আন্তর্জাতিক পরীক্ষার হ্যান্ডবুকের নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি গ্রেডগুলোকে ড্যানিশ গ্রেডিং স্কেলে রূপান্তর করে।
আরো পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
তাই এই যোগ্যতা পূরণ হয়েছে কি না তা জানতে শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দের বিষয়ের জন্য পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভালো ভাবে অধ্যায়ন করে নেয়া উচিত।
এছাড়া ডেনমার্কের স্নাতক শিক্ষার জন্য এখানে নিবন্ধন করে যোগ্যতা যাচাই করে নেয়া যেতে পারে। অথবা এই ফর্মটি পূরণ করে সরাসরি ইউনিভার্সিটিতে পাঠালে তারা ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে দেয়।
মাস্টার্স ও পিএইচডিসহ যে কোনো স্নাতকোত্তর অধ্যায়নের জন্য যোগ্যতা ন্যূনতম ৪ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রী। তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এক্ষেত্রে ডেনিশ ডিগ্রীগুলোর সমতূল্য বাংলাদেশের ব্যাচেলর ডিগ্রীগুলো একটা স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারে।
আরো পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
ভাষাগত যোগ্যতা
ইংরেজি ভাষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষা দক্ষতা ন্যূনতম ইংরেজি-বি ক্যাটাগরির হতে হবে। এটি মূলত ডেনিশ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রণীত ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাই ব্যবস্থা। কোনো কোনো প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ইংরেজি-এ প্রয়োজন হয়।
ইংরেজি-বি এর সমতূল্য আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ পয়েন্ট, যেটা ইংরেজি-এ এর ক্ষেত্রে ৭ পয়েন্ট।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনমার্কের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
ডেনমার্ক বোলোগনা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। তাই শিক্ষার্থীরা ডেনিশ প্রতিষ্ঠানে যে ডিগ্রি অর্জন করেন তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ২০২৩-এর কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ের ৮২-তম অবস্থানে আছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনমার্কের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো-
- আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়
- ডেনমার্কের কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়
- ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ডেনমার্ক
- আলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়
- কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুল
- রসকিল্ড ইউনিভার্সিটি
এছাড়াও ডেনমার্কের আন্তর্জাতিক ভাবে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পছন্দ অনুসারে বিভিন্ন বিষয় বেছে নেয়ার জন্য স্বাগত জানায়।
আরো পড়ুন: নরওয়েতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের উপায়
ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন পদ্ধতি
ডেনমার্কে পড়াশোনার জন্য যাবতীয় যোগ্যতা নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা স্বীকৃত হওয়ার পর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই যোগ্যতা প্রমাণের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি যোগাড় করে রাখা আবশ্যক।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- স্নাতকের জন্য শুধু এইচএসসি/ডিপ্লোমার মূল প্রশংসাপত্র
- আইইএলটিএস/টোফেল স্কোরের সনদ
- যদি কোনো নথিতে নামের পরিবর্তন থাকে তাহলে নাম পরিবর্তনের নথি প্রয়োজন হবে; যেমন: বিবাহের সনদপত্র
- যোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য দ্বিতীয়বার আবেদন করা হয়ে থাকলে পূর্বের মূল্যায়ন এবং স্বীকৃতির সিদ্ধান্তের নথি সংযুক্ত করতে হবে
- স্নাতকোত্তরের জন্য উপরোক্ত নথিপত্রের সাথে স্নাতক ডিগ্রি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সংযুক্ত করতে হবে|
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?
এছাড়াও বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে ডেনিশ এজেন্সি ফর হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড সায়েন্স শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে আরও কাগজপত্র চাইতে পারে।
ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের উপায়
ডেনমার্কে স্নাতক উচ্চশিক্ষার আবেদনগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত হয়। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদেরকে সরাসরি একক কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন না করে জাতীয় ভর্তির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই অনলাইন আবেদন চলাকালে কাগজপত্র আপলোড করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
- মূল নথিগুলোর প্রতিটি আলাদা ভাবে উভয় পিঠ স্ক্যান করতে হবে।
- স্ক্যান করা নথির ছবি অবশ্যই রঙিন হতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে যেন, নথির তথ্যগুলো স্পষ্ট পড়া যায়।
- শুধুমাত্র পিডিএফ ফাইল গ্রহণযোগ্য
- স্ক্যানের পর প্রতিটি নথির ফাইলের তার স্ব-স্ব নাম দিয়ে কম্পিউটারে রাখতে হবে। তারপর আবেদনের সময় প্রয়োজন অনুসারে আপলোড করতে হবে|
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
প্রতিটি প্রোগ্রামে আবেদনের বেলায় শিক্ষার্থীকে অবশ্যই পৃথক পৃথক স্বাক্ষর করা পৃষ্ঠা পাঠাতে হবে। ডিজিটাল আবেদন সম্পন্ন করার পর সেই জাতীয় ভর্তির ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে স্বাক্ষর করার পৃষ্ঠা। সেটি প্রিন্ট করে স্বহস্তে স্বাক্ষর করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
তবে মাস্টার্স বা পিএইচডির বেলায় শিক্ষার্থীকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এখানেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর করার নথি পাবেন। এখানেও একই ভাবে প্রিন্ট করে স্বহস্তে স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দিতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায়।
সাধারণত স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদনগুলো স্নাতক ডিগ্রির আবেদনের তুলনায় সহজ।
আরো পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
অনলাইন আবেদনের পর কাগজপত্র পাঠানোর উপায়
স্নাতকের ক্ষেত্রে সমস্ত নথি পাঠানোর ঠিকানা হলো- Danish Agency for Higher Education and Science, Haraldsgade 53, 2100 Copenhagen
কুরিয়ারের সময় খামের ওপর শিক্ষার্থীর পুরো নাম এবং জন্ম তারিখ উল্লেখ করতে হবে। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে সব একই শুধু ঠিকানার জায়গায় থাকবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা। শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে মূল নথিগুলো ডাকযোগে আবেদনে উল্লেখিত শিক্ষার্থীর ঠিকানায় ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ডেনমার্কে পড়াশোনার খরচ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে পড়াশোনার খরচ প্রতি বছরে প্রায় ৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার ইউরো হয়ে থাকে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ লাখ ৮ হাজার থেকে ১৮ লাখ ২৪ হাজার।
সবচেয়ে সাশ্রয়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বছর ৬ হাজার থেকে ৯ হাজার ইউরোর (প্রায় ৬ লাখ ৮ হাজার থেকে ৯ লাখ ১২ হাজার বাংলাদেশি টাকা) মধ্যে চার্জ করে থাকে। স্বভাবতই স্নাতক ডিগ্রীগুলো স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর চেয়ে কম খরচের হয়ে থাকে।
ডেনমার্কে জীবনযাত্রার জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা
শুধু ডেনমার্কেই নয়; জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত মানুষের জীবনধারণের পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। ডেনমার্কে বাসা ভাড়া, খাবার, যাতায়াত এবং কেনাকাটা সব মিলিয়ে মাসে খরচ পড়তে পারে প্রায় ৭৫০ থেকে ৯০০ ইউরোর মত, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭৫ হাজার ৯৭০ থেকে ৯১ হাজার ১৬৪ টাকা। কোপেনহেগেনের মত উচ্চ খরচের শহরে যা সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ ইউরোর (এক লাখ ২১ হাজার ৫৫২ বাংলাদেশি টাকা) মতো উঠতে পারে।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ডেনমার্কে পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন চাকরির সুযোগ
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরা ডেনমার্কে পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারেন। তবে জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাসে এরকম কোনো বিধি নিষেধ নেই; পুরোটা সময়ই কাজ করা যায়।
ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপের সুবিধা
ডেনমার্কের ব্যয়বহুল উচ্চশিক্ষার খরচ চালানোর জন্য সেরা উপায় হচ্ছে স্কলারশিপ। আর ডেনমার্ক তার আন্তর্জাতিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ ভালো স্কলারশিপের ব্যবস্থা রেখেছে। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও স্কলারদের নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকার মাধ্যমে এই স্কলারশিপগুলোতে সহজেই আবেদন করা যেতে পারে। সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কলারশিপ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ইরাসমাস মুন্ডাস/জয়েন্ট মাস্টার ডিগ্রি এবং ডেনিশ সরকারি বৃত্তি অন্যতম।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ পুষিয়ে নেয়ার জন্য ডেনমার্কের বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের সুযোগ আছে।
আরো পড়ুন: শাবিপ্রবিতে পিটার হোর-মোস্তাক রহমান স্কলারশিপ পেলেন ৬ শিক্ষার্থী
ডেনমার্কে পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ
স্নাতক হওয়ার পরে চাকরি খুঁজে পেতে ছয় মাস সময় পাওয়া যায়। আর এর মধ্যেই রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়ার জন্য আবেদন করতে হয়। উত্তম উপায় হলো ডেনমার্কে পড়াশোনা করার জন্য রেসিডেন্স পারমিটের আবেদন করার সময়েই ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করা। এছাড়া পরবর্তীতে ডেনমার্ক ইমিগ্রেশন সার্ভিস নেয়ার সময়েও ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করা যায়।
পরিশিষ্ট
আমাদের উপরোক্ত আলোচনায় ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপের ধারণা এবং উচ্চশিক্ষা শেষে কি করতে পারেন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়েছে। আশা করা যায় ডেনমার্কে পড়াশোনার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নেবার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশটিতে পদার্পনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর সামনে খুলে যাবে পুরো ইউরোপে দরজা। তাই মনোরম প্রকৃতির সান্নিধ্যে জীবন ধারণের স্বাদ পাবার তৃপ্তি তো আছেই। তার পাশাপাশি এক কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ারের জন্য দারুণ গন্তব্যের অন্বেষণে অনায়াসেই ভাবা যেতে পারে ডেনমার্কের কথা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি
নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী: কসমস ডায়ালগে রাষ্ট্রদূতেরা
ঢাকায় নিযুক্ত নর্ডিক রাষ্ট্রদূতেরা বলেছেন যে তাদের দেশগুলো আগামী ৫০ বছর ও তার পরেও বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও টেকসই’ অংশীদারিত্ব করতে চায়, যেখানে বৃহত্তর সহযোগিতার লক্ষ্যে সুযোগ অন্বেষণে প্রধান খাতগুলো থাকবে-জলবায়ু, সবুজ রূপান্তর, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সুস্থ মহাসাগর, লিঙ্গ সমতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ।
কসমস ডায়ালগে যৌথভাবে প্রস্তুত মূল বক্তব্য প্রদানকালে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টর সভেনডসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেনও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব, বহুপক্ষীয়তা, বৈশ্বিক সংহতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর বিভাগ ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ তার চলমান রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতা সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ইউএনবি’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত পণ্ডিত-কূটনীতিক ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
এছাড়া, আলোচনায় আরও যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও ড. লাইলুফার ইয়াসমিন।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, ‘এই ৫০ বছরে আমরা একসাথে একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা করেছি। আমাদের অংশীদারিত্ব চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের মধ্যদিয়ে হয়েছে। আর আমরা দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, এটা বলা ন্যায্য হবে যে নর্ডিকরা বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার ও বন্ধু হয়ে থাকতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়লগ বৃহস্পতিবার
সাতক্ষীরায় জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে ডেনমার্কের প্রিন্সেসের মতবিনিময়
ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করে সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে পৌঁছান।
পরে প্রিন্সেস মেরি একটি গাড়িতে করে কুলতলী গ্রামে যান এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের রাজকুমারীর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
পরিদর্শনকালে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন তাদের জীবন পরিবর্তন করেছে এবং তাদের কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে-তা তিনি আবিষ্কার করেন।
ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলার পর প্রিন্সেস মেরি একটি স্থানীয় বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ের সময় এর কার্যকারিতা এবং এর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে পারেন।
দুপুরে তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা সুন্দরবনের উপকূলীয় মৌসুমী রিসোর্টে এসে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
ডেনমার্কের রাজকুমারীর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
ডেনমার্কের রাজকুমারী ম্যারি এলিজাবেথ ডোলান্ডসন কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার ৫ নম্বর ক্যাম্পে পৌঁছালে ডেনিশ রাজকন্যাকে স্বাগত জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
রাজকুমারী ডেনমার্কের রিফিউজি কাউন্সিলের উদ্যোগে ক্যাম্পের পাহাড় ভাঙ্গন রোধ এবং পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তিনি ৮ ও ৬ নম্বর ক্যাম্প ক্যাম্পে যান ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের রাজকুমারী ঢাকায়
প্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশ্বাস ডেনমার্কের
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রযুক্তি ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
সোমবার বাংলাদেশে সফররত ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ এবং দেশটির উন্নয়ন ও সহযোগিতামন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ডেনিশ মন্ত্রী বলেন, ‘সহযোগিতার একটি নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে এবং ডেনমার্কের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’
আরও পড়ুন: গ্রিন ট্রানসিশনে অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের ডকুমেন্ট সই
প্রায় ৩৯ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন উল্লেখ করেন মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ (উন্নয়নের) রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে উচ্চ পর্যায়ের সম্মান অর্জন করেছে।
তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কের রাজকুমারী ঢাকায়
ক্রাউন প্রিন্সেস প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন।
শেখ হাসিনা ডেনমার্ককে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জীবন ও জীবিকার জন্য ভাসানচর গড়ে তুলেছে এবং সেখানে শ্রমিকদের কল্যাণে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।
এছাড়া জলবায়ু ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়গুলো বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং সরকার জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে এবং সমস্যা মোকাবিলায় কিছু বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ তিনদিনের সফরে সোমবার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসতে পারেন ২৮ এপ্রিল
গ্রিন ট্রানসিশনে অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের ডকুমেন্ট সই
জলবায়ু ও গ্রিন ট্রানসিশন নিয়ে দুই দেশের অংশীদারিত্ব জোরদার করতে সোমবার বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক টেকসই ও সবুজ ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট বিষয়ে একটি ডকুমেন্ট (নথি) সই করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন ও সহযোগিতা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মর্টেনসেন এই ডকুমেন্ট সই করেন। এ সময় ঢাকায় সফররত ডেনমার্কের রাজকুমারী মেরি এলিজাবেথ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পর একই স্থানে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পড়ুন: অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী বাংলাদেশ-নরওয়ে