সুইডেন
ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন এমবাপ্পে
দুঃসময় একটু একটু করে পিছু ছাড়ছে রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের। মৌসুমের শুরু থেকে ক্লাব ও ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলেও মাঠের খেলায় ছন্দে ফিরছেন তিনি। এবার মাঠের বাইরেও পেলেন সুখবর।
ছুটি কাটাতে সুইডেন গিয়ে যে আইনি জটিলতায় পড়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবল তারকা, তা থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি গত অক্টোবর মাসের। চোটের কারণে ফ্রান্স দলের সঙ্গে নেশন্স লিগের ম্যাচ না খেলে আন্তর্জাতিক বিরতির সময়টুকুতে ছুটি কাটাতে সুইডেন গিয়েছিলেন এমবাপ্পে। সেখানে যে হোটেলে তিনি উঠেছিলেন, মাদ্রিদে ফেরার পর ওই হোটেলে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তিনি যে সময় হোটেলে ছিলেন, ঠিক সেই সময়ই ওই ঘটনা ঘটে। ফলে সুইডিশ পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারিতে পড়েন মেসি-রোনালদো-পরবর্তী যুগে ফুটবল বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়া এই ফুটবলার।
এ নিয়ে ফরাসি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি ‘ভুয়া’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোভ ঝাড়েন এমবাপ্পে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের নতুন পোশাকের ব্র্যান্ড ‘আর্টিস্ট প্যাক’-এর প্রোমোশন থেকে সে সময় এমবাপ্পেকে সরিয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে সুইডিশ পুলিশের তদন্ত শেষে স্বস্তি পেয়েছেন এই মাদ্রিদ স্টার। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
এ বিষয়ে প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মারিনা চিরাকোভা বলেন, ‘তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।’
‘ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হয়েছিল। তবে আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, প্রমাণ ছাড়াই (তার বিরুদ্ধে) তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অনর্থক।’
বিবৃতি দেওয়ার সময় একবারও অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেননি চিরাকোভা। তবে একাধিক সুইডিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ওই ‘সুপরিচিত’ ব্যক্তি আসলে কিলিয়ান এমবাপ্পেই।
এরপর এমবাপ্পের আইনজীবী মারি-আলিক্স কানু-বেরনার্দ ও তার প্রতিনিধির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাদের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে, কয়েকদিন আগে ফরাসি টেলিভিশন কানাল প্লাসের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে এমবাপ্পে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, (খবর) দেখে আমি অবাকই হয়েছিলাম। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি!’
তিনি বলেন, ‘এসব (গুজব) এভাবে না জানিয়েই ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিষয়টি আমাকে একেবারেই প্রভাবিত করেনি।’
ফর্মহীনতা কাটিয়ে সম্প্রতি ছন্দে ফিরতে শুরু করেছেন এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচে গোল পেয়েছেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সভ্যতা বিনির্মাণ ও সমাজ সংস্কারে উদ্ভাবনশীলতা এবং উৎপাদনমুখী গবেষণা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নতির চাবিকাঠি। আর এই উদ্ভাবন এবং গবেষণার প্রাণকেন্দ্র হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। স্বভাবতই উচ্চশিক্ষার অবস্থান সর্বদা মেধার পক্ষে থাকে। আর তাই উন্নত দেশগুলো তাদের বিদ্যাপীঠগুলোতে বিশ্বের নানা প্রান্তের মেধাবী শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানায়। এমনই একটি দেশ সুইডেন, যেটি বছরের পর বছর ধরে এর নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিশ্চিত করে আসছে। বিশ্বখ্যাত সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এই আশ্রয়স্থলে ক্যারিয়ার গঠন হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্নতূল্য। চলুন, শেনজেনভুক্ত দেশ সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, অধ্যয়ন খরচ এবং স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কেন সুইডেন উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রম শেনজেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তন্মধ্যে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ের শীর্ষ শতকে রয়েছে কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (৭৩) ও লুন্ড ইউনিভার্সিটি (৮৫)।
প্রধান ভাষা সুইডিশ হলেও স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের প্রতি ১০ জনের ৯ জনই সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। তাই পড়াশোনাসহ নিত্য জীবনযাত্রা এবং চাকরি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের পছন্দের অন্যতম গন্তব্য সুইডেন।
সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী পরিবেশগত দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশ সুইডেন। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দূষণমুক্ত দেশগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা এই দেশটির দূষণ সূচক মাত্র ১৭ দশমিক ৭। এছাড়াও বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভ্রমণবান্ধব দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রয়েছে এই নর্ডিক দেশটি।
আরো পড়ুন: জাপানে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
পড়াশোনার জন্য সুইডেন যাত্রার আরও একটি প্রধান কারণ হচ্ছে স্টুডেন্ট নোবেল নাইটক্যাপ। এই অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বের একাডেমিক সুপারস্টারদের সন্নিবেশ ঘটে। এই ভূ-খণ্ডে নোবেল পুরষ্কারকে কেন্দ্র করে চলে নানা আয়োজন। বিশেষ করে স্টকহোমে পুরো একটি সপ্তাহ উদযাপন করা হয় নোবেলকে ঘিরে।
শত শত স্টার্টআপ কোম্পানির স্বর্গরাজ্য সুইডেনকে বলা হয় ইউরোপের সিলিকন ভ্যালি। ক্যালিফোর্নিয়ার পর স্টকহোমই হচ্ছে দ্বিতীয় শহর, যেখানে সর্বাধিক সফল কোম্পানিগুলোর গোড়াপত্তন হয়েছে।
ইউরোপীয় দেশটির আরও যে বিষয়টি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে তা হলো- কর্ম ও জীবনের মধ্যে এক আশ্চর্য ভারসাম্য। এখানে প্রতিটি চাকরিতেই রয়েছে যথেষ্ট শিথিলতা। প্রয়োজন অনুযায়ী শিফটিং এবং প্যাটার্নিটি বা ম্যাটার্নিটি লিভসহ বিভিন্ন উপলক্ষে সাময়িক ছুটির নীতি। এখানে মূলত কর্মীদের সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা পাওয়ার জন্য তাদের চাপমুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পুরো দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ কর্মচারী খুব দীর্ঘ সময় ধরে বা ওভারটাইম কাজ করে।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সুইডেনের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
ইউরোপসহ গোটা বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত সুইডেনের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো-
· কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
· লুন্ড ইউনিভার্সিটি
· উপসালা ইউনিভার্সিটি
· স্টকহোম ইউনিভার্সিটি
· চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
· ইউনিভার্সিটি অব গোথেনবার্গ
· ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট
· লিন্কোপিঙ ইউনিভার্সিটি
· উমিয়া ইউনিভার্সিটি
· হালম্স্ট্যাড ইউনিভার্সিটি
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সুইডিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার জন্য সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো-
· প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
· ব্যবসা ও অর্থনীতি
· সাংবাদিকতা, যোগাযোগ ও তথ্য
· লাইফ সায়েন্সেস অ্যান্ড মেডিসিন
· ডিজাইন অ্যান্ড আর্কিটেক্চার
সুইডেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
সাধারণত ফল ও স্প্রিং সেমিস্টার- এই দুই সময়ে ভর্তির কার্যক্রম চালু করে সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তন্মধ্যে ফল সেমিস্টার আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হয়। এই মৌসুমে আবেদনের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রোগ্রাম চালু থাকে। আবেদন গ্রহণ অব্যাহত থাকে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ফল-এ যে প্রোগ্রামগুলো বাদ পড়ে যায়, সেগুলোতে ভর্তির আবেদন নেওয়া হয় স্প্রিং সেমিস্টারে। এ মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলে পরের বছরের আগস্ট পর্যন্ত।
কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামার সেমিস্টারেও ভর্তি নেওয়া হয়। তাই উত্তম হচ্ছে প্রথমে বিষয় পছন্দ করে তার জন্য উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করে তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা।
তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদনের ব্যাপারে ফল সেমিস্টারকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কেননা আবেদনের জন্য যথেষ্ট বিকল্প কোর্স পাওয়ার সুযোগ তো আছেই! তাছাড়া এ সময়ে আবেদন করা হলে অধ্যয়ন ফি প্রদান, প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রেরণ, রেসিডেন্স পার্মিটের আবেদন এবং আবাসন খোঁজার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে যে কোনো প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য একটি সাধারণ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (universityadmissions.se) মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হয়। এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাঙ্ক্ষিত প্রোগ্রামগুলোকে নির্বাচন করে সেগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর পূর্বে প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো জেনে নেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদন করলে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার সনদ
· স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ৪ বা অনার্সসহ ৩ বছরের স্নাতক ডিগ্রির সনদ
· ইংরেজি ভাষা দক্ষতার স্কোর:
· আইইএলটিএস (একাডেমিক) মোট স্কোর ৬ দশমিক ৫ (কোনো বিভাগে ৫ দশমিক ৫ এর কম পাওয়া যাবে না)
· টোফেল ইন্টারনেটভিত্তিক স্কোর ২০ (০ থেকে ৩০ স্কেলে) এবং মোট স্কোর ৯০
· শিক্ষার্থীর স্নাতকের ৪ বছর ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করলে, অথবা উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে থাকলে আলাদা করে আইইএলটিএস বা টোফেলের দরকার হবে না। এ ক্ষেত্রে মিডিয়াম অব ইন্স্ট্রাকশন বা এমওআই প্রদর্শন করতে হবে।
· একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· স্টেটমেন্ট অব পার্পাস
· লেটার অব মোটিভেশন
· লেটার অব রিকমেন্ডেশন
· আবেদন ফি পরিশোধের রশিদ: ৯০০ ক্রোনা বা ১০ হাজার ৫৫৭ টাকা (১ সুইডিশ ক্রোনা = ১১ দশমিক ৭৩ বাংলাদেশি টাকা)
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সুইডেনে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
দীর্ঘকালীন পড়াশোনার জন্য এই ইইউ সদস্য রাষ্ট্রে যেতে হলে অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। এই পারমিটে অধ্যয়নের জন্য ৩ মাস বা ৯০ দিনের বেশি সুইডেনে বসবাস করার অনুমতি লাভ করা যায়।
এক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরি যে, এই পারমিট নিয়ে শেনজেনভুক্ত অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করা যাবে না। তার জন্য আলাদাভাবে স্বল্প মেয়াদী (৩ মাসের কম সময়ের জন্য) ভিসার আবেদন করতে হবে।
সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদনের দ্রুততম ও সহজ উপায় হলো অনলাইনে আবেদন করা। এর জন্য https://www.migrationsverket.se/manageaccount/ -এই লিংকে যেয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। অতঃপর আবেদন প্রক্রিয়ার সময় জরুরি নথিপত্রের স্ক্যানকপি আপলোড করতে হবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
ভিসার আবেদনের জন্য দরকারি নথিপত্র
· পাসপোর্টের ডাটা পৃষ্ঠা (পাসপোর্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অন্তত ৩ মাস পর্যন্ত বৈধ থাকতে হবে এবং যেখানে কমপক্ষে দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকবে)
· সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যুকৃত ভর্তির অফার লেটার (এখানে পূর্ণকালীন অধ্যয়নের সময়সীমা ন্যূনতম ৯০ দিন বা ৩ মাসের অধিক হতে হবে)
· সুইডেনে বসবাসের জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ: প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার ৩১৪ ক্রোনা (১ লাখ ২০ হাজার ৯৮৮ টাকা)। নথি হিসেবে প্রার্থীর নিজের নামে থাকা সাম্প্রতিক ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে, যার ইস্যুর তারিখ ৪ মাসের খুব বেশি হওয়া যাবে না।
· শিক্ষার্থী যদি নিজে তার ব্যয়ভার বহন করেন তবে তার স্বপক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণস্বরূপ প্রাসঙ্গিক নথি লাগবে। কর্মচারী হলে কর্মসংস্থানের শংসাপত্র প্রয়োজন হবে। স্ব-নিযুক্ত হলে সুইডিশ কোম্পানির নিবন্ধন অফিস থেকে নিবন্ধন শংসাপত্র এবং এফ-ট্যাক্স কার্ডের অনুলিপি জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
কর্মসংস্থানের শংসাপত্রে যে তথ্যাবলি থাকতে হবে, তা হলো:
· নিয়োগকর্তার নাম, যোগাযোগের বিবরণ ও কোম্পানির নিবন্ধন নম্বর
· বেতন
· চাকরির সময়কাল
অন্য কেউ স্পন্সর করে থাকলে তার পক্ষ থেকে একটি স্পন্সরশিপ লেটার দিতে হবে। স্পন্সর বা গ্যারান্টরের নিকট থেকে তহবিল শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে।
স্পন্সর লেটারে যেসব তথ্যাদি থাকবে, তা হলো-
· স্পন্সর বা গ্যারান্টারের নাম
· তহবিলের প্রাপক তথা শিক্ষার্থীর নাম
· তহবিলের মোট পরিমাণ এবং প্রাপ্তির সময়। তহবিল কিস্তিতে স্থানান্তর করা হলে সেই কিস্তি সংখ্যা।
· স্পন্সরশিপের সুনির্দিষ্ট সময়কাল
· তহবিলের কোন অংশ শিক্ষার্থীর জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ
· স্পন্সর আয়ের উৎস ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত তথ্যাবলি
আরো পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে তার একটি শংসাপত্র। এখানে উল্লেখ থাকবে-
· স্কলারশিপ প্রদানকারীর (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান) নাম
· স্কলারশিপ অর্জনকারী তথা শিক্ষার্থীর নাম
· স্কলারশিপের সময়সীমা এবং সুইডেনে পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে তার স্বীকারক্তি
· অর্থের মোট পরিমাণ, কখন এবং কি পদ্ধতিতে প্রদান করা হবে তার বিস্তারিত
· স্কলারশিপের কোন অংশটি শিক্ষার্থীর জীবনযাত্রার ব্যয় বহনে খরচ হবে
আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
স্টুডেন্ট লোন পেয়ে থাকলে, তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং একটি শংসাপত্র। এখানে উল্লেখ থাকবে-
· ঋণ প্রদানকারী বা প্রদানকারীদের নাম
· ঋণ গ্রহীতা তথা ছাত্র/ছাত্রীর নাম
· ঋণের সময়সীমা
· শিক্ষার্থী কখন তা পরিশোধ করবেন
· ঋণের অর্থ অধ্যয়নের জন্য কিভাবে ব্যবহৃত হবে (মাসিক বা মোট পরিমাণ)
· ঋণের কোন পরিমাণটি দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীর জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করা হবে
· পিএইচডির ক্ষেত্রে সুপারভাইজার অধ্যাপকের একটি শংসাপত্র, যেখানে অধ্যয়নের পুরো সময়কাল উল্লেখ থাকবে
· পুরো অধ্যয়নের সময় জুড়ে সুইডেনে যাতায়াত ও বসবাসের জন্য স্বাস্থ্য বীমা: কমপক্ষে ৩০ হাজার ইউরো বা ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার ৩৫১ টাকা (১ ইউরো = ১৩৩ দশমিক ২৮ টাকা), যা যে কোনো শেনজেনভুক্ত দেশের জন্য প্রযোজ্য
আরো পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
রেসিডেন্স পারমিট কার্ডের জন্য বায়োমেট্রিক নিবন্ধন
অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে দূতাবাসে যাওয়ার উদ্দেশ্য হলো রেসিডেন্স পারমিট কার্ড। এর জন্য দরকার হবে ছবি তোলার এবং আঙুলের ছাপ নেওয়ার। দূতাবাসে উপস্থিত হওয়ার আগে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় যোগাযোগের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
ভিসা কেন্দ্রের ঠিকানা: সুইডেন দূতাবাস, বে'স এজওয়াটার, ৬ষ্ঠ তলা, গুলশান ২, ঢাকা-১২১২
ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি
স্টুডেন্ট রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন ফি ১ হাজার ৫০০ ক্রোনা। বাংলাদেশের সুইডেন দূতাবাস ওয়েবসাইট অনুসারে, এই ফি ১৪ হাজার ৮০০ টাকা, যেটি জমা দিতে হবে ব্র্যাক ব্যাংকে সুইডেন দূতাবাসের অ্যাকাউন্টে। অ্যাকাউন্ট নাম্বার- ১৫০১২০৪৮৪০৫৪৫০০১।
আরো পড়ুন: হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের উপায়, পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপ, ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় ও রেসিডেন্স পারমিট কার্ড সংগ্রহ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকরণের কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ ৩ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে অতিরিক্ত তথ্য বা নথির প্রয়োজন হলে আরও সময় লাগতে পারে। তাই সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর অধ্যয়ন ফি পরিশোধের পরে যত দ্রুত সম্ভব রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করা উচিত। এতে ভিসার প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়, যার ফলাফল সেমিস্টারের ক্লাস শুরুর বেশ আগেই চলে আসতে পারে।
আবেদন যাচাই-বাছাই করে সুইডিশ অভিবাসন অধিদপ্তর কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত ই-মেইলের মাধ্যমে প্রার্থীকে জানাবে। অতঃপর সে অনুযায়ী পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।
সুইডেনে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ
অধ্যয়ন এবং জীবনযাত্রার যাবতীয় খরচ মিলে সুইডেনের উচ্চশিক্ষায় যে বাজেট রাখতে হয় তা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। বিষয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষে অধ্যয়ন ফি বাবদ খরচ হতে পারে প্রতি বছর ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩৬ থেকে ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৪ টাকার সমতূল্য। তন্মধ্যে ব্যবসা ও স্থাপত্যের কোর্সে খরচ সবচেয়ে বেশি। অপরদিকে, সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক কোর্স ফি সর্বনিম্ন। এ দুয়ের মাঝে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রোগ্রাম ও ন্যাচারাল সায়েন্স কোর্সের মূল্য বছরে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ক্রোনা। এই পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৭ হাজার ৬৫৫ থেকে ১৭ লাখ ৯১৬ টাকার সমান।
নিত্যদিনের থাকা-খাওয়া ও চলাফেরার খরচ বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন রকম। বিশেষ করে স্টকহোম ও গোথেনবার্গের মতো বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয়ভার সর্বাধিক। অন্যদিকে লুন্ড ও উপসালার মতো শহরগুলো মোটামুটি শিক্ষার্থীবান্ধব।
আরো পড়ুন: ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সব মিলিয়ে গড়পড়তায় যে বাজেট থাকে সেখানে বিপুল অংশ জুড়ে থাকে আবাসন। মাসে প্রায় ২ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ ক্রোনা (২৯ হাজার ৩২৬ থেকে ৭৬ হাজার ২৪৮ টাকা)। ইউটিলিটির জন্য রাখতে হবে মাসে ১ হাজার ৩০০ ক্রোনা (১৫ হাজার ২৫০ টাকা)। খাবার ও প্রতি মাসের মুদির জন্য ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ ক্রোনা (১৭ হাজার ৫৯৬ থেকে ২৯ হাজার ৩২৬ টাকা)। পরিবহনে ব্যয় হবে ১ হাজার ক্রোনা বা ১১ হাজার ৭৩০ টাকা।
সুইডেনে স্কলারশিপের সুবিধা
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে রয়েছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের সুবিধা। এগুলোর মধ্যে কেটিএইচ রয়্যাল ইন্স্টিটিউট অব টেকনোলজির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১ লাখ ৪১ হাজার থেকে ৩ লাখ ৭২ হাজার ক্রোনা পর্যন্ত। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৪ থেকে ৪৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৯ টাকার সমতূল্য।
চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি স্কলারশিপের মূল্য ২৩ হাজার থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার ক্রোনা। এটি প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ থেকে ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৪৬৩ টাকার সমান।
লুন্ড ইউনিভার্সিটি গ্লোবাল প্রতি বছর ৮৫ হাজার থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ক্রোনার (৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯ থেকে ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯২৪ টাকা) স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
লিন্কোপিং ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়া যায় বছরে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ২ হাজার ক্রোনা বা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৯ থেকে ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৬ টাকা।
সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ ফর গ্লোবাল প্রফেশনাল কার্যক্রম থেকে বরাদ্দ থাকে প্রতি মাসে ১২ হাজার ক্রোনা অথবা ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৫ টাকা।
উপসালা ইউনিভার্সিটি গ্লোবাল স্কলারশিপের আওতায় থাকে সেমিস্টার প্রতি ৫০ হাজার থেকে ৭২ হাজার ৫০০ ক্রোনা। পরিমাণটি বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৩ থেকে ৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৮ টাকা।
ক্যারোলিনস্কা ইন্স্টিটিউট স্কলারশিপ মাসে ১৩ হাজার ক্রোনা (১ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ টাকা) দেয়। জনপ্রিয় স্কলারশিপ প্রকল্প ইরাস্মাস মুন্ডাস জয়েন্ট মাস্টার ডিগ্রি থেকে প্রতি সেমিস্টারে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৫২ হাজার ক্রোনা (৬ লাখ ৯ হাজার ৯৮৪ টাকা)।
আরো পড়ুন: ডলার এনডোর্সমেন্ট কী, কীভাবে করবেন
সুইডেনে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
সুইডেনে পড়াশোনার জন্য রেসিডেন্স পারমিট লাভের মাধ্যমে অধ্যয়নের পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের অনুমতিও পাওয়া যায়। আলাদা করে আর ওয়ার্ক পারমিটের দরকার পড়ে না। এমনকি অন্যান্য দেশগুলোর মতো এখানে কাজের জন্য কোনো ধরাবাঁধা সময়সীমা নেই।
সুইডেনে খণ্ডকালীন চাকরি করে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০০ ক্রোনা (৪ হাজার ৬৯২ টাকা) পর্যন্ত আয় করা যায়। এই হারে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করে মাসিক ৩২ হাজার ক্রোনা (৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭৫ টাকা) পর্যন্ত উপার্জন করা যেতে পারে। এটি ছাত্রাবস্থায় বাজেট পরিচালনার জন্য এক বিরাট সাপোর্ট। শুধু নিত্যদিনের জীবনযাত্রার ব্যয়ভার সামলানো নয়, এর মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। তাছাড়া ভবিষ্যতে পূর্ণকালীন চাকরির জন্য নেটওয়ার্কিং-এও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই স্বল্পকালীন কাজগুলো।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায়
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে কাজগুলোর প্রবণতা সর্বাধিক, সেগুলোর ঘণ্টাপ্রতি গড় রেটের একটি তালিকা দেওয়া হলো-
· লাইব্রেরি সহকারী: ১৬৫ ক্রোনা বা ১ হাজার ৯৩৬ টাকা
· গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি: ২০০ ক্রোনা বা ২ হাজার ৩৪৬ টাকা
· গবেষণা সহকারী: ২০০ ক্রোনা অথবা ২ হাজার ৩৪৬ টাকা
· ল্যাব টেকনিশিয়ান: ২৩৬ ক্রোনা (২ হাজার ৭৬৮ টাকা)
· রিসেপশনিস্ট: ১৬০ ক্রোনা (১ হাজার ৮৭৭ টাকা)
· ওয়েটার বা ওয়েট্রেস: ১৩০ ক্রোনা (১ হাজার ৫২৫ টাকা)
· বিক্রয় সহকারী: ১৪৪ ক্রোনা (১ হাজার ৬৮৯ টাকা)
· আইটি সাপোর্ট: ২৫৩ ক্রোনা (২ হাজার ৯৬৮ টাকা)
· ফ্রিল্যান্স রাইটিং বা অনুবাদক: ২৪২ ক্রোনা (২ হাজার ৮৩৯ টাকা)
এই উপার্জনের ক্ষেত্রে কর দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা জরুরি। কেননা মাসিক আয়ের প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
শেষাংশ
মানের দিক থেকে সর্বোচ্চ স্তর বজায় রাখায় সুইডেনের উচ্চশিক্ষা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তবে স্কলারশিপ ও খণ্ডকালীন চাকরির সুবিধা মেধাবীদের জন্য এই অধ্যয়নকে অনেকটা সহজসাধ্য করে তুলতে পারে। ভর্তির সময়ানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির জন্য স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনে সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষ করে অধ্যয়ন ফি পরিশোধের পরপরই প্রথম কাজ হলো রেসিডেন্ট পারমিটের জন্য আবেদন করা। নথিপত্র ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত, যেন পরবর্তীতে অতিরিক্ত কোনো তথ্য দেওয়ার দরকার না পড়ে। এর ফলে দ্রুত সময়ে ভিসাপ্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়ে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
৩ মাস আগে
জ্বালানি-তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সুইডেনকে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশের জ্বালানি-তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে সুইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২৬ জুন) বাংলাদেশে দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সুইডেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় বাংলাদেশে অবস্থানকালে রাষ্ট্রদূতের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূতও তার এ সময়কালকে অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ ও ফলপ্রসূ বলে বর্ণনা করেন।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, প্রযুক্তি, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেন তারা।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী ইউরোপের দেশগুলোর অন্যতম সুইডেনের প্রায় ৫০টি প্রতিষ্ঠান দেশে কাজ করছে। কাপ্তাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬০ দশকের শুরু থেকে এবং সুইডিশ এনজিও সিডা বহুবছর ধরে এ দেশে কাজ করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের 'বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন' এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ নানা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান করা হয়েছে।
৫ মাস আগে
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
সাক্ষাৎকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সুইডেনের আর্থিক সহায়তায় জাতীয় সহনশীলতা প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে বরাদ্দ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেফ প্লাস দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে জ্বালানির জন্য এলপিজি সরবরাহ করা হচ্ছে। সবুজায়নের জন্য ক্যাম্প এলাকায় বৃক্ষরোপণ ও শাকসবজি চাষ করা হচ্ছে। সেফ প্লাসের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি ভাসানচরে সম্প্রসারণের জন্য প্রতিমন্ত্রী সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করলে রাষ্ট্রদূত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এছাড়া সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কক্সবাজার ও ভাসানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম, কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে শরণার্থীদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিস্কাশন এবং রাখাইন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আব্দুল ওয়াদুদ এবং এ বি এম শফিকুল হায়দার।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
১০ মাস আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত লিন্ডের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান সবুজ জ্বালানি ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগিতা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে সুইডেনের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
সুইডেন এ বিষয়ে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানায় রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকে দেওয়া সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দনপত্রটি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
১৯৯৭ সালে গঠিত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই সাত দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংগঠন বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকনোমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) নতুন সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মনি পান্ডের সঙ্গে বৈঠকে বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ, আঞ্চলিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, যোগাযোগ অবকাঠামোসহ নানা বিষয়ের পাশাপাশি চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকও আলোচনায় স্থান পায়।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবিরের মৃত্যুতে মোমেনের শোক
আওয়ামী লীগের সুইডেন শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর কবিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীর বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছেন।
মোমেন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাহাঙ্গীর কবির।
১ বছর আগে
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায় সুইডেন : সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব
সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডায়ানা জানসে বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অবিরাম সহযোগিতার আশ্বাস জাপানি ভাইস মিনিস্টারের
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিবকে বলেন, তার সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বিশ্বব্যাপী মানবজাতির কল্যাণে অর্থ ব্যয় করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য সামগ্রী পরিবহনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত নয়।’
তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব মুদ্রাস্ফীতির প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে যা পরিবহন খরচও বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো খাদ্য সংকট নেই, কারণ দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা তাদের পক্ষ থেকে অসাধারণ কাজ করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে উন্নত দেশগুলো তাদের ভূমিকা পালন না করার জন্য সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত কাজ করছে না।’
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
বাংলাদেশে আরও সুইডিশ বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা চাইলে সারাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের জন্য জমি বরাদ্দ করা যেতে পারে।
সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশেষ করে দেশে দারিদ্র্য বিমোচন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রবন্দর অর্থনীতির জন্য একটি গেম চেঞ্জার হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সুইডেনের ভালো উন্নয়ন সহযোগী।
তিনি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০টি সুইডিশ কোম্পানি কাজ করছে।
জানসে বলেছেন, তার দেশ পরিবেশগত উদ্দেশ্যে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
তিনি বিভিন্ন জলবায়ু পরিবর্তন ফোরামে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
১০ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব।
আরও পড়ুন: জ্বালানি বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল
১ বছর আগে
ভিএসএফ গ্লোবালের সঙ্গে সুইডেনের ভিসা সেবা চুক্তি নবায়ন
ভিএসএফ গ্লোবালের সঙ্গে ভিসা সেবা চুক্তি নবায়ন করেছে সুইডেন।
বাংলাদেশের ঢাকাস্থ ভিএফএস গ্লোবাল ভিসা আবেদন কেন্দ্রে প্রতি সপ্তাহে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সুইডেনের ভিসার আবেদন পত্র জমা নেওয়া হবে।
সুইডেনের বিচার মন্ত্রণালয় বিশ্বের ৩৭টি দেশ থেকে সুইডেনের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ সেবা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভিএসএফ গ্লোবালকে নির্বাচিত করেছে। নতুন এই চুক্তির আওতায় ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেন সরকারের পক্ষে বিশ্বব্যাপী আটটি অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেগুলো হলো — দক্ষিণ এশিয়া, আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং রাশিয়া।
ভিএফএস গ্লোবাল ২০১৪ সাল থেকে সুইডেন সরকারের সঙ্গে কাজ করছে এবং নতুন চুক্তির অধীনে নিম্নলিখিত ৩৭টি দেশে বায়োমেট্রিক সেবাসহ স্বল্পমেয়াদী শেনজেন ‘সি’ ভিসা সেবা দেবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
দেশগুলো হলো— বাংলাদেশ, বলিভিয়া, কম্বোডিয়া, কানাডা, চিলি, চীন, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কেনিয়া, কসোভো, লেবানন, মঙ্গোলিয়া, মরক্কো, মিয়ানমার, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, প্যালেস্টাইন, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে।
ভিএফএস গ্লোবাল ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সুইডেন সরকারের পক্ষে প্রায় পাঁচ লাখ ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
সুইডেনের বিচার মন্ত্রণালয় এবং সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সি জানান, ‘আমরা আশা করছি আগামী দিনগুলোতে ভিএফএস গ্লোবাল বরাবরের মতো পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমাদেরকে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা করা অব্যাহত রাখবে।’
ভিএফএস গ্লোবালের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ক্রিস ডিক্স বলেছেন: ‘ভিএফএস গ্লোবাল একক সেবাদানকারী সংস্থা হিসেবে সুইডেন সরকারকে সেবাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পেরে খুবই খুশি।’
উল্লেখ্য, ভিএফএস গ্লোবাল বিশ্বের বৃহত্তম আউটসোর্সিং এবং প্রযুক্তি বিষয়ক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যারা সরকার ও কূটনৈতিক মিশনের জন্য কাজ করে। এই কোম্পানি ৭০টি দেশের সরকারের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে বিশ্বের ১৪৪টি দেশে ৩ হাজার ৩০০ -এরও বেশি ভিসা আবেদন কেন্দ্রের একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
১ বছর আগে
টেকসই ওয়াশ সেবাদানে ওয়াটারএইডের ভূমিকা প্রশংসনীয়: সুইডেনের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধা নিশ্চিত করতে গত কয়েক বছর ধরে আমরা ওয়াটারএইডের সঙ্গে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য ব্যবহার উপযোগী ও টেকসই ওয়াশ সেবাদানের ক্ষেত্রে ওয়াটারএইডের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
দেশের প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলসমূহে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বুধবার (৯ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচ বছর মেয়াদী ‘কান্ট্রি প্রোগ্রাম স্ট্রাটেজি ২০২৩-২০২৮’-এর সূচনা করেছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধা নিশ্চিত করতে শুধু পলিসি তৈরি বা সংশোধন করতেই সহায়তা করছে না, মাঠ পর্যায়ে এই পলিসি বাস্তবায়নেও সহযোগিতা করছে’।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সুবিধার স্থায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি এর পরিচালনা পদ্ধতির উপরও জোর দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পানির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড এর যৌথ উদ্যোগ
তিনি আরও বলেন, এ ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মাথায় রাখতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পানির প্রাপ্যতা একদিকে কমবে, অন্যদিকে পানির চাহিদা বাড়বে’।
তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওয়াটারএইডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে ওয়াটারএইড দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সামগ্রিক ওয়াশ পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় উন্নত। কিন্তু, নিরাপদভাবে পরিচালিত (সেইফলি ম্যানেজড) স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে সকলের কাছে উন্নত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্য তাই সরকারি-বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে কাজের উদ্যাগ গ্রহণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘সকলের জন্য জলবায়ু-সহিষ্ণু নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ সংক্রান্ত এসডিজি’র সার্বজনীন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আগামীতে আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট অধিশাখার যুগ্মসচিব জনাব এমদাদুল হক চৌধুরী, পানি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয় ড. আইনুন নিশাত, ওয়াটারএইড দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, সুশীল সমাজ ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা, শ্রীমঙ্গল, টাঙ্গাইল ও ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নত ওয়াশ সুবিধা ব্যবহারকারী এবং তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত শ্রোতাদের তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে ওয়াটারএইডের স্বেচ্ছাসেবীরা
১ বছর আগে
বিদেশি দূতাবাসের সামনে কুরআন পোড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারে ডেনমার্ক
ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন স্থানীয় সময় রবিবার (৩১০ জুলাই) বলেছেন, নর্ডিক দেশে বিদেশি দূতাবাসের সামনে কুরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় পবিত্র গ্রন্থের অবমাননাকে বেআইনি ঘোষণা করার কথা ভাবছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিশ পাবলিক ব্রডকাস্টার ডিআর-এর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো ‘এমন একটি বিশ্বে বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, যার আসলে ঐক্যের প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘তাই আমরা সরকারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা দেখব কিভাবে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের বিদ্রুপ বন্ধ করতে পারি। যা ডেনিশ স্বার্থ এবং ডেনিশদের নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।’
ডেনমার্ক এবং প্রতিবেশী সুইডেনে মুষ্টিমেয় কিছু ইসলামবিরোধী মানুষের প্রকাশ্যে কুরআন অবমাননার সাম্প্রতিক ঘটনায় মুসলিম দেশগুলোতে প্রচণ্ড বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
লোকে রাসমুসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের মন্ত্রিসভা মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস না করে এই ধরনের কাজ নিষিদ্ধ করার জন্য ‘একটি আইনী পন্থা’ খুঁজে বের করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে এটি সহজ হবে না।
তিনি ডিআরকে বলেছেন, ‘অবশ্যই ধর্মীয় সমালোচনার জায়গা থাকতে হবে। একটি ব্লাসফেমি ধারা পুনঃপ্রবর্তনের কোনো চিন্তা আমাদের নেই।’
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন অবমাননা নিয়ে বাংলাদেশ ও সুইডেনের আলোচনা
তিনি বলেন,‘কিন্তু আপনি যখন বিদেশি দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে কুরআন পোড়ান বা ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে তাওরাত পোড়ান; তখন তা বিদ্রুপ করা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয় না।’
রবিবার ডেনিশ সরকারের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ড্যানিশ সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তবে ডেনমার্কে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থের অবমূল্যায়নের ফলে জাতিটি বিশ্বের অনেক জায়গায় ‘এমন একটি দেশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, যারা অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি, ধর্ম ও ঐতিহ্যের অপমান ও অবমাননার সুযোগ দেয়।’
এতে আরও বলা হয়েছে, সরকার আবারও এই ধরনের অবমাননার নিন্দা করেছে এবং বলেছে যে তারা ‘গভীরভাবে আপত্তিকর ও বেপরোয়া কাজটি নির্দিষ্ট কিছু মানুষ করেছে’ এবং ‘তাদের এই কাজ ডেনিশ সমাজ যে মূল্যবোধের উপর নির্মিত তা প্রকাশ করে না।’
সুইডেনে প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন রবিবার ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, তার সরকার কুরআন এবং অন্যান্য পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা সংক্রান্ত আইনী পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছে। কেননা শত্রুতার পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের কাজগুলো সুইডেনের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করছে।
ক্রিস্টারসন বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমরা সবচেয়ে গুরুতর নিরাপত্তা নীতির মধ্যে আছি।’
সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেনের সরকার আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সুইডেনে মসজিদের বাইরে কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের
১ বছর আগে