অংশীদারিত্ব
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম বলেন, গত ৫০ বছরে তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য খাতে বাংলাদেশে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৫০ বছর এবং এরপরেও বাংলাদেশের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী।
মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) “মহান শহীদ দিবস” ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে: পর্যটনমন্ত্রী
স্কট উরবম বলেন, মাতৃভাষা দিবস শুধু বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়েই নয়, সমগ্র পৃথিবীর মানুষের হৃদয়েও বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে সেইসব বীরের মহান আত্মত্যাগের কথাও উল্লেখ করেন যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বাংলা ভাষা রক্ষায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলা পৃথিবীতে অন্যতম সর্বাধিক উচ্চারিত ভাষা হিসেবে স্থান করে নিয়েছে এবং এটি সারা বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রভাব ও গুরুত্বের প্রমাণ বহন করে।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী সব ভাষাবীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে দিনব্যাপী এক কর্মসূচি গ্রহণ করে দূতাবাস। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, মার্কিন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনের সব শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বাঙালি জাতির ‘বাতিঘর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভাষা সৈনিকদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার উপযুক্ত কূটনৈতিক মাধ্যম হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে আরও জানার জন্য উৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার
পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাস পরিবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভারত, নেপাল, জাপান ও শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা এবং একটি বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দল কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে উপস্থিত অতিথিদের মুগ্ধ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত ইমরান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই গৌরবোজ্জ্বল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ও ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম অংশ নেন।
রাত ১২ টা ০১ মিনিটে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ‘প্রভাত ফেরি’ বের করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন, তথ্যচিত্র প্রর্দশন এবং বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (ইকনোমিক) ড. মো. ফজলে রাব্বি, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নূর।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি, ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট এবং ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া শুরু
৮ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন
আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে তৃতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টারিয়াল ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস জুটা আরপিলাইনেন এবং ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জ্যানেজ লেনারসিচের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
৯ মাস আগে
অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ সফরে ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ সদস্যের ব্রিটিশ ক্রস-পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল সফরে আসছে।
২৮ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
তাদের আজ (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম সংসদীয় সফর।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ চায় যুক্তরাজ্য
সাবেক কনজারভেটিভ টেক অ্যান্ড ডিজিটাল ইকোনমি মন্ত্রী পল স্কালি এমপির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এই সংসদীয় প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- ৩ জন লেবার দলের সংসদ সদস্য (এমপি)। তারা হলেন- বাংলাদেশবিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশ বিষয়ে এপিপিজির চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপি, ইউকে হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্রবিষয়ক নির্বাচন কমিটির সদস্য নিল কোয়েল এমপি ও হাউস অব কমন্সে বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন এমপি। হাউস অব কমন্সের জ্যৈষ্ঠ সংসদীয় সহকারী ডমিনিক মফিটও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকবেন কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই এবং কানেক্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ইভেলিনা বানিয়ালিয়েভা।
প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়া সফর করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এবারই প্রথম ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ পরিদর্শন করছে।
সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করার পর একটি সবুজ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবে।
তারা ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য সিলেট সফর করবেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় প্রদান এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে ৩০ জানুয়ারি প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল এবং কমনওয়েলথ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কানেক্ট এই সফরের সমন্বয় করছে।
প্রতিনিধি দলটির ৩১ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
৯ মাস আগে
ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক আধুনিক অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে: ক্যামেরন
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নকেন্দ্রিক থেকে আধুনিক অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও অভিবাসন অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে পারব। নিরাপত্তাসংক্রান্ত অংশীদারিত্ব জোরদার করতে পারব এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জসমূহ যেমন- জলবায়ু পরিবর্তন, অবাধ ও উন্মুক্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (ইন্দো প্যাসিফিক) এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণে সহযোগিতা করতে পারব।’
আরও পড়ুন: অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে শরণার্থীদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত প্রতিটি দেশের: ডেভিড ক্যামেরন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে বাংলাদেশসহ অন্য দেশের অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় সহযোগিতার অগ্রগতির উপর ‘অত্যন্ত গুরুত্ব’ দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য শোনার এবং আমাদের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘আমাদের গভীর পারস্পরিক সম্পর্ক, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক এবং পারস্পাকি স্বার্থ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস থেকে সম্প্রতি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে এই মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব বিষয়ে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গঠনমূলক যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বুধবার হাছান মাহমুদের কাছে চিঠিটি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: ক্যামেরনের সাথে আলাপে রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিয়ে সু চির মিথ্যাচার
৯ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গভীর করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকগুলো পদক্ষেপ রয়েছে এবং পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপের কথা ভাবছে তা এক সাংবাদিক জানতে চাইলে ওই মার্কিন কর্মকর্তা এ মন্তব্য করেন।
প্যাটেল বিশেষভাবে জলবায়ু সমস্যা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। কারম এসব ক্ষেত্রে সুযোগ রয়েছে বলে বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র।
প্যাটেল বলেন, ‘অবশ্যই, এর মাধ্যমে - আমাদের বেসরকারি অংশগুলোর সঙ্গেও জড়িত হওয়ার সুযোগ রয়েছে, যা আমরা বিশ্বাস করি যে এই সম্পর্ককে গভীর করার জন্যও মুখ্য ও গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার চিন্তা নাকচ করল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব: পিটার হাস
৯ মাস আগে
বৃহত্তর সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ তার সমর্থন প্রসারিত করতে প্রস্তুত এবং আসিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং মানব মূলধন উন্নয়নে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের গুরুত্ব স্বীকার করি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসিয়ান কূটনীতিকদের জন্য 'এনহেনসিং এনগেজমেন্ট বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য আসিয়ান রিজিওন' কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কিছু বিদেশি সংস্থার রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য নিবন্ধনের আবেদন করা উচিত: মোমেন
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রযুক্তি, কৃষি, নীল অর্থনীতি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির মতো ক্ষেত্রে আমাদের বন্ধুপ্রতিম আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ অনুসন্ধানের জন্য আগ্রহী।
তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ এশীয় এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক সংযোগের কেন্দ্র হতে কাজ করছি।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্র ও তাদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: 'মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা' দাবি করা ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত: মোমেন
তিনি বলেন, ‘আমাদের আপেক্ষিক শক্তি, প্রাসঙ্গিকতা এবং আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ইচ্ছা প্রদর্শনের জন্য আমরা আসিয়ান সচিবালয়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।’
মোমেন সম্মিলিত নিরাপত্তা, শান্তি ও অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে আসিয়ান প্রক্রিয়া এবং এর কেন্দ্রীয় ধারণার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে আমরা আমাদের জনগণের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি।’
বাংলাদেশের কূটনীতিকরা আগামী দিনগুলোতে এই লক্ষ্য অর্জনে আসিয়ান সহকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং মোকাবিলা করতে প্রস্তুত: মোমেন
১১ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায়, কারণ তারা একসঙ্গে কাজ করার জন্য বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দৃষ্টি রাখছে।
৯ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি এবং অবশ্যই এটি এমন একটি দেশ যার সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে চাই।’
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
তিনি বলেন, বাণিজ্য, জলবায়ু ক্ষেত্রে সহযোগিতা, নিরাপত্তার ক্ষেত্র এবং যেখানে সেই সম্ভাবনা বিদ্যমানসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র অব্যাহত রয়েছে।
প্যাটেল বলেন, তারা কোনো দেশে নির্দিষ্ট কোনো সরকার, রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সমর্থন করে না।
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব এলাকায় নির্বাচন চলছে, সেখানে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে- জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা ওই নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, বাংলাদেশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে: মুখপাত্র
১১ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন জাইকার
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।
এই মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখতে সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: জাইকার সহায়তায় প্রণীত হলো ডায়াবেটিস মেলিটাস সংক্রান্ত জাতীয় নির্দেশিকা
জাইকার এ অংশীদারিত্বের যাত্রায় শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত প্রতিশ্রুতির বিষয়গুলো উঠে আসে।
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার জাপান। জাইকার মাধ্যমে গত পাঁচ দশকে এই অংশীদারিত্ব আরও বিকশিত ও শক্তিশালী হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রকে বাস্তবে রূপদান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাইকা সদর দপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান।
এসময় জাইকার অতিথিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও উন্নয়ন সহযোগীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) লোন হিসেবে তিন হাজার ২৮৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), ২০২২ সাল পর্যন্ত অনুদান সহায়তা (গ্র্যান্ট এইড) হিসেবে ১৪৪ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৯৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ২০২২ সাল পর্যন্ত টেকনিক্যাল কোঅপারেশনের জন্য ১০৪ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ৬৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং লোন ও ইক্যুইটি হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ফাইন্যান্সের জন্য ২৫ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ১৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি ১৪ হাজারেরও বেশি সরকারি কর্মীর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে এবং এক হাজার ২৮৬ জন জাপানিজ ওভারসিজ কোঅপারেশন ভলান্টিয়ার্সকে দেশে নিযুক্ত করেছে।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বের জন্য আদর্শ উদাহরণ জাপান। জাইকা ও জাপানের সহযোগিতায় আমাদের কমিউনিটির বিকাশ ও উন্নয়ন সাধিত হবে। জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু; এই অংশীদারিত্ব আমাদের দেশের লক্ষ্যপূরণে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী আমরা।’
বাংলাদেশ ও জাপানের অসামান্য বন্ধুত্বের উপর গুরুত্বারোপ করে জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, ‘৫০ বছরের এই যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে টেকনিকেল কো-অপারেশন, রেয়াতি ঋণ (কনসেশনাল লোন), অনুদান সহায়তা (গ্র্যান্ট এইড), স্বেচ্ছাসেবী ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে বহু খাতে সহযোগিতা করেছে জাইকা। সবসময় সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার শক্তিশালী বন্ধুত্ব গড়ে তোলাই ছিল জাইকার লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তাদের মাঝে জাইকার পৃষ্ঠপোষকতায় ট্যাব বিতরণ
দেশে জাইকা’র সহযোগিতায় সম্পন্ন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর উপর আলোকপাত করে জাইকা সদরদপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি বলেন, ‘জাইকা সর্বমোট তিন ট্রিলিয়ন জাপানি ইয়েনেরও বেশি সহযোগিতা প্রদান করেছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে আমাদের শীর্ষ তিন ঋণগ্রহীতা দেশের একটি।’
এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান বলেন, ‘গত ৫০ বছরের মধ্যে জাপানের সহযোগিতা বাংলাদেশের সর্বত্র পৌঁছে গেছে। দেশের ১৫টি খাতের সবগুলোতে জাপানের অংশগ্রহণ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী জাপান। দেশের উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে জাইকা অত্যন্ত ইতিবাচক ও সহযোগিতাপরায়ণ। তাই গত ৫০ বছরে সবধরনের সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে এমন উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্টেগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, তিনটি ঢাকা মেট্রো লাইনের জন্য ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প, দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রকল্প এবং ব্রিজেস রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টস।
জাইকার ৫০ বছরের এই সহযোগিতার মধ্যে আরও রয়েছে- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, সুশাসনের বিকাশ, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন, কঠিন (সলিড) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি।
বাংলাদেশে জাইকার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন কেবলমাত্র অতীতের স্মৃতিচারণ নয়; বরং বাংলাদেশের মানুষের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার অংশ।
এটি দীর্ঘ প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকা অংশীদারিত্বের শক্তি এবং আগামীর দিনগুলোতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাইকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
১১ মাস আগে
নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, নতুন ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস)’ বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের একীভূতকরণে অবদান রাখবে এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করবে।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ পোশাক কূটনীতি উদ্যোগের অধীনে বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ক্রমাগত কাজ করছে।
তিনি বিজিএমইএ সদস্যদের একটি চিঠিতে বলেছেন, তিনি ডিসিটিএস প্রকল্প স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একটি শক্তিশালী পরামর্শ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন।
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
ফারুক হাসান বলেন, যুক্তরাজ্য ছাড়াও তারা কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বাজারে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে ৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছি। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার; অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিজিএমইএ হাসপাতালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুলাই সময়কালে যুক্তরাজ্যে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যা ২০২২ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, আমরা আমাদের বাণিজ্যের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সমস্ত সমস্যা সমাধান করেছি এবং সেগুলি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করার জন্য আমরা ব্রিটিশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস)’ নামে একটি নতুন ট্যারিফ স্কিম চালু করেছে।
এই স্কিমটি ইউরোপিয় ইউনিয়নের জিএসপি স্কিমের জায়গায় নিয়েছে। এর অধীনে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায়।
নতুন স্কিম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর তৈরি পোশাকগুলো যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করার সময় যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ডিসিটিএস আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করে শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার সহজ করবে।
ডিসিটিএস ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস স্কিমের অনুরূপ। ২০২৪-৩৪ সালের জন্য ইইউ'র খসড়া জিএসপি প্রস্তাবে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যগুলো টেক্সটাইল সুরক্ষা ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের ডিসিটিএসে এ ধরনের টেক্সটাইল সুরক্ষা বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ এও বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এমনকি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশগুলোর জন্য কিছু আন্তর্জাতিক কনভেনশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ডিসিটিএস আরও নমনীয় বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যাইহোক আমরা সামাজিক ও পরিবেশগত মান অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আরও এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা আমাদের শিল্পকে নিরাপদ এবং টেকসই করার জন্য প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছি ওকরছি। আমরা ব্রিটিশ পোশাকের ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি ও আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি।
যুক্তরাজ্যের বাজার নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সবাইকে উৎসাহিত করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বিশেষত বাসার বাইরে পরার পোশাক, প্রথাগত পোশাক (ফরমাল) ও সব সময় ব্যবহারের উপযোগী পোশাক এবং সুতি ছাড়া অন্য কাপড়গুলো নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে পারে।
যুক্তরাজ্যের উন্নয়নশীল দেশগুলোর ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) কার্যকর হয়েছে যা বাংলাদেশসহ ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী পণ্যের উপর ট্রেডিং নিয়মগুলোকে সহজ করে এবং শুল্ক কমিয়ে দেয়।
বাণিজ্য বৃদ্ধি, চাকরি বৃদ্ধি ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করবে ডিসিটিএস। এই নতুন পরিকল্পনা আধুনিক ও পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতির নিদর্শন।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন বলেছে, ডিসিটিএস-এ পরিবর্তনের অর্থ হলো বাংলাদেশ তৈরি পোশাকসহ রপ্তানির ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইরাক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আশাবাদী বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
১ বছর আগে
কানেক্টিভিটির মূলে থাকা অংশীদারিত্বের তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ ভারতীয় হাইকমিশনারের
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণ থেকে জনগণের (পিটুপি) মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কানেক্টিভিটির দীর্ঘমেয়াদি তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, একটি সমন্বিত ভূগোল এবং অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংযোগের সুযোগ এবং গুণমান বৃদ্ধি একটি সাধারণ আকাঙ্ক্ষা, পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের চালিকাশক্তি।
শনিবার এক সেমিনারে হাইকমিশনার বলেন, সড়ক ও রেল, অভ্যন্তরীণ নৌপথ, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, জ্বালানি ও ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে ভবিষ্যত সংযোগ গড়ে তোলা হবে।
তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভৌগোলিক নৈকট্যকে শক্তিশালী কানেক্টিভিটি উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভারত-বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: হাইকমিশনার
হাইকমিশনার ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের যৌথ আত্মত্যাগের শিকড় বলে বর্ণনা করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে সংযোগের উদ্যোগগুলোও পারস্পরিক সহানুভূতি এবং পারস্পরিক নির্ভরশীলতার একই চেতনা দ্বারা পরিচালিত হয়। যা আমাদের জনগণ এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণ ও মঙ্গলকে কেন্দ্র করে।
সেমিনারে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পণ্ডিত, বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যমকর্মী এবং অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।
'ডেভেলপমেন্ট অব চট্টগ্রাম থ্রু ইনহ্যান্স কানেক্টিভিটি: প্রস্পেক্ট অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস' শীর্ষক সেমিনারে হাইকমিশনারকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐক্য পরিষদের সহযোগিতায় শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
আরও পড়ুন: ভারত পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ঠিকানা: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
বাঙালির সহস্র বছরের আকাঙ্ক্ষা ধারণ ও বাস্তবায়ন করেন বঙ্গবন্ধু: হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী
১ বছর আগে