বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) বিশিষ্ট ফেলো ও বোর্ড সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পর্ষদে যোগদান করেছেন।
রাষ্ট্রদূত সোবহান বিইআইয়ের সাবেক সভাপতি ও সিইও, বিনিয়োগ বোর্ডের (বিওআই) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং ১৯৯৭-১৯৯৯ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও ১৯৯৫-১৯৯৭ পর্যন্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
তিনি ভারত, চীন, মালয়েশিয়া ও জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার হিসেবেও কাজ করেছেন।
কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পর্ষদে যোগদানের কথা উল্লেখ করে ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ফারুক সোবহানকে পেয়ে ফাউন্ডেশন অত্যন্ত সম্মানিত। ‘তিনি বিস্ময়কর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি এবং আমার কোন সন্দেহ নেই যে তিনি আমাদের এই উদ্যোগে অনেক গুরুত্ব যোগ করবেন।’
রাষ্ট্রদূত সোবহান ১৯৮২-১৯৮৩ সালে জাতিসংঘের গ্রুপ অব ৭৭-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯১-১৯৯২ টিএনসিতে জাতিসংঘ কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-জাকার্তা সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
তিনি নয়াদিল্লিতে অবস্থিত সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজের বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য (এসএসিইপিএস) এবং ১৯৯৪-২০০১ সাল পর্যন্ত কোয়ালিশন ফর সাউথ এশিয়ান কো-অপারেশন (সিএএসএসি)-এর সহচেয়ারম্যান ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত সোবহান ২০০৩ সালে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলিয়ট স্কুল ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন।
তিনি ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন সেন্টার ফর কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।
রাষ্ট্রদূত সোবহান এসএমই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ২০০৮-০৯ সময়কালে এর বোর্ডে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এশিয়া সোসাইটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের গোলটেবিল বৈঠকে সদস্য ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত সোবহান ২০০৮-২০১১ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও উন্নয়ন কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'
তিনি ২০০৪ সালে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন ভূমিকা’-বিষয়ে এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিত টাস্ক ফোর্সের সভাপতিত্ব করেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সিভিই-তে হোয়াইট হাউসের শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা করার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি পদে আছেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। স্বনামধন্য কূটনীতিক থেকে স্কলার বনে যাওয়া ড. ইফতেখার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন-স্লোভেনিয়া প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. ড্যানিলো টার্ক, ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত কৃষ্ণান শ্রীনিবাসন, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বর্তমানে আইইউবিতে সেন্টার ফর বে অব বেঙ্গল স্টাডিজের পরিচালক তারিক করিম, ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের জোসেফ কোরবেল স্কুল অব ইন্টারন্যাশনালের অর্থনীতির বিশিষ্ট অধ্যাপক হায়দার এ খান, ইউএস ফরেন সার্ভিসের ক্যারিয়ার মেম্বার প্রফেসর জর্জ এডওয়ার্ড মুস, বিশিষ্ট চীনা কূটনীতিক অবসরপ্রাপ্ত লি ডেবিয়াও এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
কসমস ফাউন্ডেশন হল কসমস গ্রুপের একটি মানবহিতৈষী শাখা। ইউনেস্কোর সহযোগিতায় কসমস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রতিবন্ধী শিল্পীদের জন্য উৎসবের আয়োজন করছে।
ফাউন্ডেশন গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কিউরেটরিয়াল স্পেস, গ্যালারি কসমস ও এর অগ্রগামী প্রিন্টমেকিং স্টুডিও, আতেলিয়ার ৭১-কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
আরও পড়ুন: কালিদাস কর্মকারের স্মরণে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আয়োজন