কসমস
মাসুদ জামিল খান আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল নিযুক্ত
কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল ঘোষণা করা হয়েছে।
আয়ারল্যান্ড সরকার গত সপ্তাহে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য মাসুদকে দেশটির অনারারি কনসাল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
মাসুদ দেশের বৃহত্তম বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এবং একটি স্বাধীন সংবাদভিত্তিক সাময়িকী ঢাকা কুরিয়ার-এর একজন পরিচালকও।
মাসুদ ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সোদের স্কুল অব বিজনেস থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ফিন্যান্স নিয়ে পড়াশোনা করেন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
তিনি একজন প্রকৃতিপ্রেমিক, পরিবেশবাদী ও ওয়াইল্ডটিমের সদস্য।
এছাড়াও, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং ভ্যাঙ্কুভার বোর্ড অব ট্রেডের সদস্য।
খান অনেক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও মিডিয়া সম্পর্কিত ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
ঢাকার আমেরিকান স্কুলে তিনি ২০০১ সালে এআইএসডি ট্রায়াথলন চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ব্রজেন দাস সাঁতার প্রতিযোগিতা পুরস্কার অর্জন করেন।
খান শহীদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদের (বি ইউ) নাতি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
একুশে পদক ২০২৩ বিজয়ী কনক চাঁপাকে গ্যালারি কসমসের সংবর্ধনা
১ বছর আগে
গ্যালারি কসমসে শুরু হলো আর্টক্যাম্প ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের স্মরণে গ্যালারি কসমস দুই দিনব্যাপী বিশেষ ওয়াটাকালার আর্ট ক্যাম্প আয়োজন করেছে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর কসমস সেন্টারে ‘স্প্লেন্ডার্স অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই আর্ট ক্যাম্পটি শুরু হয়েছে।
বৃষ্টিস্নাত দিনে সকাল ১০টায় শুরু হয় আর্ট ক্যাম্পটির আনুষ্ঠানিকতা।
এতে যোগ দেন-আব্দুল্লাহ আল বশির, আজমল হোসেন, কামরুজ্জোহা, সাদেক আহমেদ, শাহনূর মামুন ও সৌভি আক্তার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কসমস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এনায়েতউল্লাহ খান, ডিএমডি মাসুদ জামিল খান, গ্যালারি কসমসের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর ও চিত্রশিল্পী সৌরভ চৌধুরী।
আর্টক্যাম্পটির তত্ত্বাবধানে থাকা সৌরভ চৌধুরী এই আয়োজন নিয়ে ইউএনবিকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে আমাদের এই আর্টক্যাম্পের আয়োজন। দুই দিনব্যাপী এই আর্টক্যাম্পে প্রথমদিন অংশগ্রহণকারীরা তাদের ক্যানভাসের বিষয় বঙ্গবন্ধু। দ্বিতীয় দিন আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলো আঁকবেন।’
আরও পড়ুন: উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হোম অফিস যেভাবে সাজাবেন
১ বছর আগে
নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে বিপুল সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে: কসমস ডায়ালগে নেপালের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বৃহস্পতিবার বলেছেন, তার দেশ দ্বিপক্ষীয় ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতায় জ্বালানি খাতে মাইলফলক স্থাপনসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে সহযোগিতা করার বিপুল সম্ভাবনা দেখছে।
তিনি বলেন, ‘৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত রপ্তানিসহ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে প্রথম ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ লেনদেন সহজতর করতে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা উৎসাহিত হয়েছি। এটি কেবল একটি প্রারম্ভিক ও প্রতীকী পদক্ষেপ। কিন্তু আমাদের দ্বিপক্ষীয় এবং জ্বালানিতে উপ-আঞ্চলিক যৌথ সহযোগিতার জন্য একটি নতুন ড্রাইভ শুরু করতে এটি একটি বিশাল মাইলফলক হবে।’
এছাড়া রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপালে ৬৮৩ মেগাওয়াট সানকোশি থ্রি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে যৌথ বিনিয়োগের বিষয়েও আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ভারতের জিএমআর কোম্পানির সঙ্গে আপার কর্নালি থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চুক্তি চূড়ান্ত করতে সচেষ্ট রয়েছে।’
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশনের চলমান রাষ্ট্রদূতের লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-নেপাল রিলেশন: প্রগনসিস ফর দ্য ফিউচার’- শীর্ষক কসমস ডায়ালগে মূল বক্তব্য দেওয়ার সময় নেপালের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
ভারতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এবং কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত ইমেরিটাস উপদেষ্টা তারিক এ করিম আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এবং কসমস ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মাসুদ খান স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব হরি শর্মা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসি প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপালের জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা একটি বহুল আলোচিত বিষয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বর্তমানে নেপালের জ্বালানি উদ্বৃত্ত রয়েছে। কিন্তু, আমরা এখন যা উৎপাদন করছি তার মাত্র ৫ শতাংশ অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। এরমানে, যদি পুরোপুরি ব্যবহার করা যায়, তাহলে নেপালের জলবিদ্যুৎ দক্ষিণ এশিয়ার ক্লিন এনার্জি সলিউশনে অসাধারণ অবদান রাখতে পারে।’
তারিক করিম বলেন, বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে যদি বলি, তবে তা হলো দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করা।
আরও পড়ুন: নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী: কসমস ডায়ালগে রাষ্ট্রদূতেরা
তিনি বলেন, এখন নেপাল ও বাংলাদেশ অবশেষে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছে।
তিনি এটিকে বিশাল ও অত্যন্ত আকর্ষণীয় সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।
প্রাক্তন কূটনীতিক বলেন, সূচনা হিসেবে যদি ৪০ মেগাওয়াট আসতে শুরু করে, পরবর্তীতে এটি একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিবে।
তিনি এই অঞ্চলে; বিশেষ করে ভুটান, নেপাল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের জলবিদ্যুতের সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
করিম বলেন, দুপক্ষের কাছ থেকে যে পরিমাণ প্রত্যাশা ছিল, সম্পর্ক সেই গতিতে এগোয়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে, আমরা যদি কিছু চাই তবে আমাদের কিছু দিতে হবে। আমরা যদি কিছু অস্বীকার করি, তাহলে আমাদের প্রতিও কিছু অস্বীকার করা হবে।’
মাসুদ খান বলেন, দুই দেশের মধ্যে অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল খাত হলো জ্বালানি।
তিনি বলেন, ‘নেপাল তার জলবিদ্যুতের সক্ষমতা বাড়াতে এবং বাংলাদেশ তার গ্যাস উৎপাদনকে অপ্টিমাইজ করার সঙ্গে সঙ্গে এটিও বৃদ্ধি পাবে।’
জ্বালানি সহযোগিতার জন্য একটি সচিব-পর্যায়ের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি রয়েছে, যা ২০২২ সালের আগস্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
মাসুদ বলেন, জ্বালানি ও বিদ্যুতের বাণিজ্য ত্রিপক্ষীয় হতে হবে, কারণ ভারতের সম্মতি এবং অংশগ্রহণ সম্ভবত অপরিহার্য ও সমালোচনামূলক হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতির জন্য সেই দিকটির ওপর কিছুটা জোর দেওয়া প্রয়োজন।’
সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, দুই দেশকে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে অব্যবহৃত সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০-৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হচ্ছে। ‘এটি বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সম্পর্কের অগ্রগতির একটি ছোট পদক্ষেপ, তবে আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য একটি বিশাল উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতের আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য এর প্রভাব ব্যাপক হবে।’
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ
নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে তা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। ২০২২ সালে এটি প্রায় ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল বাংলাদেশে লাল মসুর ডাল, আদা, এলাচ এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য, ফল, গাছপালা এবং উদ্ভিদের অংশ রপ্তানি করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়লগ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ থেকে প্রধান রপ্তানির মধ্যে রয়েছে খৈল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক আইটেম, পাট ও বস্ত্র, আলু এবং ফার্মাসিউটিক্যালস।
বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাবান্ধা ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন হয়ে বাংলাদেশে নেপালি সুতার প্রবেশের ওপর দুই দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা এর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের দেশের প্রধান চেম্বার এফএনসিসিআই ও এফবিসিসিআই-এর নেতৃত্বে বেসরকারি খাতগুলো ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কিন্তু আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এবং নৈকট্যের পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা যা অর্জন করেছি তা সম্ভাবনার কাছাকাছিও নেই।’
তিনি বলেন,অন্যান্য শুল্ক ও চার্জ (ওডিসিস) বাদ বা হ্রাসসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংযোগ বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করার প্রয়োজন রয়েছে। ‘আমাদের অবশ্যই স্থল শুল্ক স্টেশনে এবং পদ্ধতির মানসম্মতকরণ সুবিধাগুলো আপগ্রেড করার মাধ্যমে অশুল্ক বাধাগুলো সমাধান করতে হবে।
সংযোগ
রাষ্ট্রদূত ভান্ডারি বলেন, জ্বালানি বাণিজ্য বা এই বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পৃক্তা বৃদ্ধির অন্য কোনো দিক সংযোগ ছাড়া সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘সংযোগ ভৌত এবং ডিজিটাল উভয় ক্ষেত্রেই এবং স্থল, আকাশ ও পানিপথের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় আঞ্চলিক এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মূল।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দুটি এয়ারলাইন্স - বিমান বাংলাদেশ ও হিমালয় এয়ারলাইন্স কাঠমান্ডু ও ঢাকার মধ্যে প্রতি সপ্তাহে ১০টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমাদের দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও জনগণের চলাচল বেশি হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তৃতীয় দেশের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্যের জন্য মোংলা ও চট্টগ্রামে বন্দর সুবিধা ব্যবহার করার প্রস্তাবের জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, উপ-আঞ্চলিক সংযোগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, বিবিআইএন কাঠামোর অধীনে পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
দূত বলেন, পরস্পরের উদ্বেগের সমাধান করে আলোচনার সফল সমাপ্তি করতে পারলে উপ-আঞ্চলিক নির্বিঘ্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে।
ডিজিটাল কানেক্টিভিটির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এটি একটি উদীয়মান খাত। ‘আইটি খাত নেপাল ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই বিকাশ লাভ করছে। আমাদের এই নতুন খাতটি অন্বেষণ করতে হবে, সহযোগিতার প্রসার করতে হবে এবং ডিজিটাল সংযোগ বাড়াতে হবে।’
পর্যটন
ভান্ডারি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে পর্যটন এবং জনগণের মধ্যে বিনিময় দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগকারী খাত।
তিনি বলেন, ‘নেপালের রাজকীয় পর্বতমালা, সবুজ উপত্যকা, সুন্দর জলপ্রপাত এবং ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বা বাংলাদেশের উর্বর সমভূমি, চমৎকার সমুদ্র সৈকত, মনোমুগ্ধকর ম্যানগ্রোভ বন এবং সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় আমাদের দু’দেশেরই অনন্য এবং বৈচিত্র্যময় পর্যটন পণ্য রয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন যে তাদের অবশ্যই হিমালয় ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে, পাহাড় ও সমতলের মধ্যে এবং মার্কেট ও মনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: কসমস-বিআইপিএসএস গোলটেবিল: ইউক্রেন সংঘাতের বিরূপ প্রভাব কাটাতে বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের ধর্মীয় ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এবং ইকো-ট্যুরিজম ও অ্যাডভেঞ্চার গন্তব্যকে পর্যটন সার্কিটের মাধ্যমে সংযুক্ত করার জন্য অনেক কিছু করা বাকি আছে। আমাদের অবশ্যই উদ্ভাবনের প্রসার করতে হবে, উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে হবে এবং জনগণ ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ উভয়ই জলবায়ু সংকটের প্রথম সারিতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জলবায়ু কর্মকাণ্ডকে অগ্রাধিকার দিতে পারি এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে নেপাল ও বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নির্গমন পরিস্থিতির বৈশ্বিক লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু-সহনশীল পথ তৈরি করতে পারি।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের অবশ্যই বৈশ্বিক পর্যায়ে জলবায়ু এজেন্ডাকে শীর্ষে রাখতে হবে, যেমনটি আমরা শার্ম এল-শেখের 'লস ও ড্যামেজ' করেছিলাম। ‘আমাদের কণ্ঠস্বর উত্থাপন চালিয়ে যেতে হবে। জলবায়ু অর্থায়নসহ আমাদের অভিজ্ঞতা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো ভাগ করে নেওয়া এবং আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য এবং বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, দুটি দেশই ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) বিভাগ থেকে উন্নয়নশীল হতে প্রস্তুত।
দূত বলেন, অবশ্যই এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল হতে আমাদের উভয় দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন মাইলফলক। তবে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন ব্যবস্থা হারানোর কারণে উভয় দেশ নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে। তাই একটি মসৃণ, টেকসই ও অপরিবর্তনীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং যেকোনো পুশব্যাকের বিরুদ্ধে ধাক্কা দিতে হবে। বর্তমান প্রস্তুতির সময় অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
তার সমাপনী বক্তব্যে মাসুদ খান বলেন, তাদের অবশ্যই তিনটি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সুযোগ ও সম্পদ অন্বেষণ এবং কাজে লাগাতে হবে। যেমন থ্রিসি (জলবায়ু, সংস্কৃতি, বাণিজ্য) থেকে পর্যটন থেকে নবায়নযোগ্য, জলবায়ু এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা থেকে বাণিজ্যিক সহযোগিতা পর্যন্ত।
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’ চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন শনিবার বলেছেন যে চীন, একটি দায়িত্বশীল প্রধান দেশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন তরান্বিত করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ‘অবিচলভাবে মধ্যস্থতা করছে’।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় এক বন্ধু একবার আমাকে আন্তরিকভাবে বলেছিলেন যে অনেক লোক মুখে মুখে সাহায্যের কথা বলে, তবে কেবল চীন প্রত্যাবাসনকে তরান্বিত করতে বাস্তবিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে কসমস ডায়ালগ অ্যাম্বাসেডরস’ লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ (বাংলাদেশ-চায়না রিলেশনস: প্রগ্নসিস ফর দ্য ফিউচার)-শীর্ষক এক সিম্পোজিয়ামে মূল বক্তব্য দেওয়ার সময় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও প্রাক্তন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
পুনর্বাসনের প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার ২০ জন রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের রাখাইন পরিদর্শন করেছে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ১৫টি গ্রাম ও অন্যান্য অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, প্রতিনিধি দলের নেতাও বলেছেন, ‘আমরা মংডু শহরের চারপাশে তাদের জন্য করা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে ২০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ফিরে এসেছি। প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের সদিচ্ছা দেখেছি। আমরা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চাই।’
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু একটি মানবিক ট্র্যাজেডি এবং এটি আর কখনোই হওয়া উচিত নয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে, কারণ তিনি বাংলাদেশের মাটিতে এই রোহিঙ্গাদের স্থান দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশ বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের উচিত নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
১ বছর আগে
ঢাকায় কিশোর মাহবুবনী: যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বৈরথে ভূ-রাজনীতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে
আগামী ১০ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ‘ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার’ মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যা বিশ্বের কয়েক বিলিয়ন মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। বিশেষত, বাংলাদেশের মতো দেশগুলো এর সম্ভাব্য সব ধরনের প্রভাব মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে কসমস ডায়ালগের সর্বশেষ সংস্করণে মূল বক্তব্য দেয়ার সময় প্রখ্যাত লেখক, কূটনীতিক ও ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ কিশোর মাহবুবনী এসব কথা বলেন।
সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসির সাবেক ডিন মাহবুবনী বলেছেন, ‘আপনারা যেখানেই থাকেন না কেন, আপনারা যাই করেন না কেন, আপনাদের জীবন এই ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার দ্বারা প্রভাবিত বা ব্যাহত হবে। আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিতে পারি।’
কসমস গ্রুপের জনহিতকর বিভাগ ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ তার চলমান রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতা সিরিজের অংশ হিসেবে এই সংলাপের আয়োজন করছে।
কসমস ফাউন্ডেশন, কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ এর বিশিষ্ট বক্তাদের বক্তৃতা সিরিজের অংশ হিসেবে ‘ইমার্জিং এশিয়ান নেশনস ইন গ্লোবাল জিওপলিটিক্স: ইমপ্লিকেশনস ফর বাংলাদেশ’- শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করেছে। যার সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
২ বছর আগে
নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী: কসমস ডায়ালগে রাষ্ট্রদূতেরা
ঢাকায় নিযুক্ত নর্ডিক রাষ্ট্রদূতেরা বলেছেন যে তাদের দেশগুলো আগামী ৫০ বছর ও তার পরেও বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও টেকসই’ অংশীদারিত্ব করতে চায়, যেখানে বৃহত্তর সহযোগিতার লক্ষ্যে সুযোগ অন্বেষণে প্রধান খাতগুলো থাকবে-জলবায়ু, সবুজ রূপান্তর, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সুস্থ মহাসাগর, লিঙ্গ সমতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ।
কসমস ডায়ালগে যৌথভাবে প্রস্তুত মূল বক্তব্য প্রদানকালে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টর সভেনডসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেনও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব, বহুপক্ষীয়তা, বৈশ্বিক সংহতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর বিভাগ ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ তার চলমান রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতা সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ইউএনবি’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত পণ্ডিত-কূটনীতিক ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
এছাড়া, আলোচনায় আরও যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও ড. লাইলুফার ইয়াসমিন।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, ‘এই ৫০ বছরে আমরা একসাথে একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা করেছি। আমাদের অংশীদারিত্ব চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের মধ্যদিয়ে হয়েছে। আর আমরা দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, এটা বলা ন্যায্য হবে যে নর্ডিকরা বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার ও বন্ধু হয়ে থাকতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়লগ বৃহস্পতিবার
২ বছর আগে
কসমস-বিআইপিএসএস গোলটেবিল: ইউক্রেন সংঘাতের বিরূপ প্রভাব কাটাতে বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে
এক গোলটেবিল বৈঠকে বুধবার বক্তারা বলেছেন, কর্মক্ষম মানবসম্পদ, খাদ্য উৎপাদন ও ভৌগোলিক অবস্থানে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে জ্বালানি অনুসন্ধান বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচলিত ও নবায়নযোগ্য (জ্বালানির) বৈচিত্র্যপূর্ণ নীতির ওপর জোর দিয়েছেন।
তারা বলছেন, এসব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও টেকসই নীতির অভাবে দেশ নিজস্ব জ্বালানি অনুসন্ধানে গত দেড় দশকে পিছিয়ে পড়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে কসমস ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) যৌথ আয়োজনে ‘এ ওয়ার্ল্ড ইন টার্মায়েল: দ্য ফলআউট ফ্রম দ্য ইউক্রেন কনফ্লিক্ট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান ও বিআইপিএসএসের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) এএনএম মুনিরুজ্জামান এই আলোচনা সঞ্চালনা করেন।
এতে আলোচক হিসেবে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে সালমা তারিন এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
‘বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক একটি সংলাপের আয়োজন করছে কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশ সময় বুধবার সন্ধ্যায় (৭টা) কসমস ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে ভার্চুয়াল এই সংলাপের প্রিমিয়ার হবে।
এই সংলাপটি কসমস ফাউন্ডেশনের চলমান ‘অ্যাম্বাসেডরস লেকচার সিরিজ’-এর অংশ।
সংলাপে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ন্যাথালি চুয়ার্ড তার মূল বক্তব্যে আলোচনা করবেন- সম্পর্কের (বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড) সূচনা, কীভাবে দুই দেশ ৫০ বছরের দীর্ঘ যাত্রা অতিবাহিত করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের (দুই দেশের ) ভবিষ্যৎ কী হতে পারে তা তুলে ধরবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখবেন।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন প্রখ্যাত কূটনীতিক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া আলোচক প্যানেলে থাকবেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম,মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আনিস এ খান এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
২০২২ সালকে বাংলাদেশ এবং সুইজারল্যান্ড উভয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ এবছর দেশ দুটি তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে।
সুইজারল্যান্ড এটিকে (৫০ বছরের বন্ধন) একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছে। এটি দুই দেশের ‘দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী’ অংশীদারিত্বকে প্রমাণ করে এবং এটি তাদের যৌথ যাত্রার ক্ষেত্রে একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত।
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কসমসের ভার্চুয়াল সভা বৃহস্পতিবার
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ নিয়ে আশাবাদী মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, ঢাকা ও কুয়ালালামপুর শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করবে বলে তিনি আশাবাদী।
কসমস ফাউন্ডেশনের ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে তার মূল বক্তব্য দেয়ার সময় রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এফটিএ ছাড়াও ভবিষ্যতের সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো ‘অবশ্যই ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রের’ সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তিনি বলেন, দুই দেশের জন্য এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মতো ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়ানো; কারণ তা পরবর্তী দশক বা তারও বেশি সময়ে সম্পর্কের প্রকৃতি নির্ধারণ করতে পারে। এ বিষয়ে আমি আবারও আশা করি যে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি এফটিএ স্বাক্ষরিত হবে।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই সংলাপটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রিমিয়ার হয়।
এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা বক্তাদের
২ বছর আগে
কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'
বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের জন্য স্টুডিও-ভিত্তিক শিল্প চর্চাকে উৎসাহিত করে প্রিন্টমেকিং-এর মাধ্যমকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'-এর মাধ্যমে নতুন ও প্রতিভাবান শিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে কসমস আতেলিয়ার৭১।
সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারের কসমস আতেলিয়ার৭১-এ শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান ডিসেম্বর মাসব্যাপী চলবে। বছরে সাধারণত দু’বার অনুষ্ঠিত হয় এই 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'।
দেশের চারজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী ও ভিজ্যুয়াল শিল্পী-ইকবাল বাহার চৌধুরী, ফারজানা রহমান ববি, কামরুজ্জোহা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু কালাম শামসুদ্দিন এবারের রেসিডেন্সি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। এচিং অ্যাকোয়াটিন্ট, উড ইন্টাগ্লিও, ড্রাইপয়েন্ট, কোলাগ্রাফ-এই চারটি মাধ্যম তারা নিজ নিজ থিমের ওপর ভিত্তি করে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: 'ইনসাইড আউট’: শিশুদের জন্য গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী পেইন্টিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপ
২ বছর আগে