কসমস ফাউন্ডেশন
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো হলেন আসাদ-উল ইকবাল লতিফ
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিঙ্গাপুরের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক আসাদ-উল-ইকবাল লতিফ।
১৯৫৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন লতিফ। তার একাডেমিক ও পেশাগত জীবন বর্ণাঢ্য।
কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ স্নাতক এবং শেভেনিং স্কলার হিসেবে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার অব লেটারস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
এছাড়াও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার এবং হনুলুলুর ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারে জেফারসন ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
লতিফের সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয় কলকাতার দ্য স্টেটসম্যানে। পাঁচ বছর সেখানে কাজ করার পর ১৯৮৪ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে দ্য বিজনেস টাইমস ও দ্য স্ট্রেইটস টাইমসে কাজ করেন। পরে তিনি ইনস্টিটিউট অব সাউথইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো এবং ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের ৫০ খণ্ডের সিঙ্গাপুর ক্রনিকলস সিরিজের সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর বেশ কয়েকটি আলোচিত বইয়ের লেখক লতিফ। যার মধ্যে রয়েছে- ‘বিটুইন রাইজিং পাওয়ারস: চায়না, সিঙ্গাপুর অ্যান্ড ইন্ডিয়া’, ‘থ্রি সাইডস ইন সার্চ অব এ ট্রায়াঙ্গল: সিঙ্গাপুর-আমেরিকা-ইন্ডিয়া রিলেশনস’ এবং ‘ইন্ডিয়া ইন দ্য মেকিং অব সিঙ্গাপুর’।
তার সাংস্কৃতিক কাজের মধ্যে রয়েছে 'সেলিব্রেটিং ইউরোপ: অ্যান এশিয়ান জার্নি' ও 'ইরোস: রুমিনেশনস অন লাভ ইন প্রোস অ্যান্ড ভার্স'।
সম্প্রতি ‘দুই বাংলা’র সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা নিয়ে একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি শেষ করেছেন তিনি। বইটিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দু'পাশে সমসাময়িক বাঙালি জীবনের অভিন্ন ঐতিহ্যের সন্ধান করা হয়েছে।
এছাড়াও বইটিতে বাংলার নবজাগরণ, জসীমউদ্দীনের প্রেমগাঁথা, বাংলার দুর্ভিক্ষ, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক বাঙালিত্ব, শহরের স্টেটসম্যান হাউসের বাঙালি সংস্কৃতি এবং অমর্ত্য সেনের বাংলার প্রভাব উঠে এসেছে।
ফেলো হিসেবে লতিফের মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি এবং অবদানের প্রত্যাশায় কসমস ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
কসমস ফাউন্ডেশন সম্পর্কে
কসমস গ্রুপের একটি মানবকল্যাণমূলক শাখা কসমস ফাউন্ডেশন, যা একটি ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত। কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিগত সমাধান দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে এই ট্রাস্ট।
এছাড়াও বাংলাদেশের শিল্পকলা আবিষ্কার, সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপী দর্শকদের সামনে তুলে ধরছে এই ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের অধীনে রয়েছে কসমস গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কিউরেটরিয়াল স্পেস, গ্যালারি কসমস ও প্রিন্টমেকিং স্টুডিও অ্যাটেলিয়ার ৭১।
এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য স্থানীয় দর্শকের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী শিল্প ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদকে ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে যেন অতীতকে আলোকিত করা, বর্তমানকে যাচাইবাছাই করা ও ভবিষ্যতের কল্পনা করা যায়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে থ্যালেসের সঙ্গে কসমস গ্রুপের সেমিনার
৫ মাস আগে
গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
ঢাকার রিকশা পেইন্টারদের একটি দলকে সম্মান জানিয়ে 'গ্যালারি অন হুইলস' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কসমস ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বারিধারার ব্যক্তিগত জাদুঘরে কসমস ফাউন্ডেশনের শিল্প শাখা গ্যালারি কসমসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চলতি মাসের শুরুতে রিকশা ও রিকশা চিত্রগুলোকে ইউনেস্কো তার ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান জুনিয়র, কসমস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এবং কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ হানিফ পাপ্পু, সৈয়দ আহমেদ হোসেন, এস এ নূর আলী, মো. মনির হোসেন ও মোহাম্মদ সোলেমানসহ বিভিন্ন রিকশা চিত্রশিল্পী ও দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি ঐতিহ্যের তালিকায় এই উল্লেখযোগ্য অন্তর্ভুক্তিকে সম্মান জানাতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য রিকশা চিত্রশিল্পীদের এবং কসমস ফাউন্ডেশনকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই বছর আমরা ঢাকায় আমাদের ঐতিহ্যবাহী (স্বাধীনতা) কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে 'অ্যাডর্ন-এ-রিকশা'- শিরোনামের একটি অনন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। যা ছিল আমাদের দেশের আইকনিক বাহনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আমাদের সমৃদ্ধি ও ফিলিপিনো উৎসবের রং।’’
অনুষ্ঠানটি যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে এবং ফিলিপাইনের ‘আতি আতিহান’ উৎসবের মতো বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলোর কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত লিও বলেন, এই অর্জন উদযাপনের জন্য বাংলাদেশেরও একটি রিকশা-থিমভিত্তিক বার্ষিক উৎসব হওয়া উচিত।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘‘যখন আমরা বড় হয়েছি, আমরা পেছনে প্রাণবন্ত ও অর্থবহ চিত্রকর্ম সম্বলিত রিকশা দেখেছি– এবং সবসময় উপলব্ধি করেছি যে এই কাজের উল্লেখযোগ্য শৈল্পিক মূল্য রয়েছে। আমি এনায়েতউল্লাহ খান ও কসমসকে অভিনন্দন জানাতে চাই এটি উপলব্ধি করার জন্য এবং আজ রাতে আমাদের সামনে এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য। এই শিল্প আমাদের জীবদ্দশায় বহুদূরে এগিয়ে যাবে। কারণ রিকশা ও রিকশাচিত্র যানবাহনের চেয়ে বেশি, ঢাকা ও এর জনগণের সঙ্গে এর এক ধরনের অনন্য ও চিরায়ত বন্ধন রয়েছে। এটি সেই সম্পর্কের সারমর্ম, যা সহজাতভাবে কখনই ফিকে হওয়ার নয়, ইউনেস্কো একেই স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা আজ এখানে তা উদযাপন করছি।’’
আরও পড়ুন: ‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
১ বছর আগে
‘বিজয়’: বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী-মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম ও শিশু শিল্পীদের নিয়ে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আর্ট ইভেন্ট
দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কসমস ফাউন্ডেশনের স্বনামধন্য শৈল্পিক শাখা গ্যালারি কসমস রাজধানীর কসমস সেন্টারের গ্যালারি কসমসে প্রখ্যাত শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম এবং ভবিষ্যৎ চিত্রশিল্পীদের নিয়ে দিনব্যাপী এক মনোজ্ঞ আর্ট ইভেন্টের আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিসেম্বরকে শ্রদ্ধা ও গর্বের সঙ্গে স্মরণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে।
লাখ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি অনেক শিল্পঈ সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। শুধু যে যুদ্ধ তা কিন্তু নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহিত করতে অব্যাহত ছিল তাদের শৈল্পিক প্রচেষ্টা। তাদের মধ্যে একজন ষটের দশকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচিত বীরেন সোম।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করছে গ্যালারি কসমস
১ বছর আগে
ঢাকা-বেইজিংয়ের উচিত নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র অন্বেষণে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করা: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন শনিবার বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের উচিত সহযোগিতার জন্য ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করা’ এবং নতুন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করা।
তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই), গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (জিএসআই) এবং গ্লোবাল সিভিলাইজেশন ইনিশিয়েটিভের (জিসিআই) আওতায় সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক চীন।’
বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশে শিল্পের উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করতে এবং 'মেইড ইন বাংলাদেশ'-এর গুণগত মান ও প্রতিযোগিতার মান উন্নয়নে ইচ্ছুক।
রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস' (বাংলাদেশ-চায়না রিলেশনস: প্রগ্নসিস ফর দ্য ফিউচার) শীর্ষক কসমস ডায়ালগ অ্যাম্বাসেডরস’ লেকচার সিরিজ-এর অংশ হিসেবে আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে মূল বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
এনায়েতুল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশ ও চীন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বন্ধু হিসেবে আরও কাছাকাছি এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘চীনের শান্তিপূর্ণ উত্থান প্রত্যক্ষ করায় এটি বাংলাদেশিদের জন্য অনুপ্রেরণার একটি বড় উৎস। প্রেসিডেন্ট শি'র কাছ থেকে আমরা জানি, চীনের জনগণের একটি স্বপ্ন আছে। আমরা যখন মধ্যম আয়ের দেশ অর্জনের চেষ্টা করছি, তখন আমরা বাংলাদেশেও তাই করছি, যার দ্বারপ্রান্তে আমরা আছি।’
খান বলেন, ‘এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এই আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণের জন্য আমাদের প্রচেষ্টার ভিত্তি হিসেবে অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: কসমস সেন্টারে ওয়াইল্ডটিমের বাঘ সংরক্ষণ কর্মশালা শুরু
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীনা পক্ষ সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক অব বাংলাদেশ’ লক্ষ্য করেছে এবং বিশ্বাস করে যে তাদের অনেক ধারণা চীনের ধারণার অনুরূপ।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পররাষ্ট্রনীতি সংরক্ষণের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে বাংলাদেশকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে চীন সমর্থন করে।’
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিশ্ব আজ এক শতাব্দীতে অদৃশ্য বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সমৃদ্ধির পেন্ডুলাম প্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে। চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই নজিরবিহীন সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।’
এ বছর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) চালুর দশম বার্ষিকী।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের মতো বাংলাদেশে আটটি মেগা প্রকল্প সম্পন্ন করে ব্যবহার করা হবে।
রাষ্ট্রদূত ২০১৬ ও ২০১৯ সালে উচ্চ পর্যায়ের সফরের ফলাফল এবং বিআরআই-এর আওতায় সহযোগিতা জোরদারের কথা তুলে ধরে বলেন, রাজশাহী সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রকল্পের কাজও শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বাঘের সমন্বিত বাসস্থান সংরক্ষণ: ২৬-২৭ ফেব্রুয়ারি কসমস সেন্টারে ওয়াইল্ডটিমের আয়োজনে কর্মশালা
১ বছর আগে
কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হলেন ডা. কেনেথ এক্স. রবিন্স
বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত গবেষক, আর্কাইভিস্ট ও কিউরেটর ডা. কেনেথ এক্স. রবিন্স কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে যোগদান করেছেন।
ডা. কেনেথ রবিন্স পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে তার বি.এ. এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন থেকে এম.ডি. শেষ করেন।
তিনি ১৯৬০ -এর দশকে বিভিন্ন ডিলার ও নিলাম থেকে রাজপুত, ডেক্কানি, মুঘল ও দ. এশিয়ার বিভিন্ন নিদর্শন সংগ্রহ শুরু করেন এবং তার সংগ্রহগুলো ব্যবহার করে দ. এশিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপর ১৪টি বই প্রকাশ করেছেন।
মহারাজা, নবাব ও ডেক্কানি সুলতান থেকে শুরু করে আফ্রো-দক্ষিণ এশীয়দের মতো সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ব্যাপারে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
ডা. রবিন্স ও তার স্ত্রী জয়েস পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে এক লাখেরও বেশি আইটেম সংগ্রহ করেছেন। যেগুলো বৃহত্তর দ. এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় বৃহত্তর অঞ্চলের আফ্রিকানদের ইতিহাস এবং ভারত ও এর বাইরের ইহুদি প্রবাসীদের ইতিহাসকে তুলে ধরে।
পরিষদে ডা. রবিন্সকে স্বাগত জানিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘আমাদের উপদেষ্টা পরিষদে ডা. কেনেথ এক্স. রবিন্সকে পাওয়া আমাদের জন্য সম্মানের। দক্ষিণ এশীয় শিল্পকলা, ইতিহাস এবং মানুষের মধ্যে অনাবিষ্কৃত সংযোগের ব্যাপারে যে আবেগ ও অদম্য তৃষ্ণা ডা. রবিন্স তার সংগ্রহ ও প্রকাশিত রচনাগুলোর মাধ্যমে দেখিয়েছেন তা বিস্ময়কর। বাংলাদেশি শিল্প ও সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার জন্য কাজ করা একটি নেতৃস্থানীয় সংস্থা হিসেবে কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদে ডা. রবিন্স থাকা, আমাদের লক্ষ্যের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান বলেন, ‘যেভাবে আমাদের সংস্কৃতি একে অপরকে ঐতিহাসিকভাবে প্রভাবিত করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে আজও একে অপরকে প্রভাবিত করে যাচ্ছে তা মানবকল্যাণে অমূল্য অভিজ্ঞতা শেখায়। ডা. রবিন্সের এই অগ্রণী কাজ ভারত মহাসাগরীয় এলাকা জুড়ে আফ্রিকা থেকে ভারতে মানুষের চলাচল এবং জ্ঞান, সঙ্গীত, শিল্প ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানের আকর্ষণীয় অজানা ইতিহাস বিশ্ববাসীর সামনে গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে। কয়েক দশক ধরে তার বিস্তৃত অন্বেষণ অবশ্যই কসমস ফাউন্ডেশনকে সমৃদ্ধ করবে।’
কসমস ফাউন্ডেশন
কসমস ফাউন্ডেশন হলো কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা। উন্নত ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সহায়তা করার কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি এবং নীতিগত সমাধান প্রদানের জন্য নিবেদিত একটি ট্রাস্ট হিসেবে এটি নিবন্ধিত। ফাউন্ডেশনটি বাংলাদেশের শিল্পকে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মাঝে প্রচারে কাজ করে।
এটি কসমস গ্রুপের সংগ্রহশালা গ্যালারি কসমস এবং এর প্রিন্টমেকিং স্টুডিও আতেলিয়ার ৭১ এর দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
আরও পড়ুন: নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী: কসমস ডায়ালগে রাষ্ট্রদূতেরা
বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়লগ বৃহস্পতিবার
১ বছর আগে
'আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যকার ঐতিহাসিক ও অনাবিষ্কৃত সম্পর্কের বিষয়ে মনোযোগ বাড়ানো প্রয়োজন'
আফ্রো-দ.এশিয়া সংযোগ এবং বাংলায় সুলতানি আমলের হাবশী শাসকদের অজানা ইতিহাস অনুসন্ধানে বিশ্বখ্যাত গবেষক, আর্কাইভিস্ট ও কিউরেটর ডা. কেনেথ এক্স রবিন্স বলেছেন, আফ্রো-দ. এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক সারা বিশ্বে আরও আন্তরিকভাবে গবেষণা করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ড. রবিন্স বলেন, ‘বেশ কিছু ভারতীয় সালতানাতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল আফ্রিকানরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ দ. এশিয়ায় এসে নিজেদের বংশ বিস্তার করে এবং ভারতীয় উপমহাদেশের রাজ্য,জয়-পরাজয় ও যুদ্ধের ইতিহাসে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করার জন্য এখানে বসতি স্থাপন করে। তারা এই অঞ্চলের ইতিহাসে স্থায়ী ও ভাড়াকৃত সেনা, ব্যবসায়ী-বণিক, সঙ্গীতজ্ঞ, পণ্ডিত, এমনকি জেনারেল ও শাসক হিসেবে অবদান রেখেছেন।’
ডা. রবিন্স বিশ্বাস করেন, ১৪ ও ১৭ শতকের মধ্যে তারা ব্যবসায়ী, শিল্পী, শাসক, স্থপতি ও সংস্কারক হিসেবে এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করেন এবং অনেক বাঙালিও এসময় আফ্রিকাতে বসতি স্থাপন করেন।
এই ইতিহাসগুলো কম পরিচিত। তাই আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় সম্পর্ক এবং হাবশী রাজবংশের প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ বাড়ানো প্রয়োজন।
আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন-মহারাজা,নবাব ও ডেক্কানি সুলতান ইত্যাদি সম্পর্কে তার বিশেষ আগ্রহ থাকায়, তিনি তার সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক ১৪টি বই প্রকাশ করেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ ৩ জানুয়ারি ঢাকার বারিধারার গার্ডেন গ্যালারিতে তাদের বিশিষ্ট বক্তা সিরিজের অংশ হিসেবে ডা. কেনেথ এক্স রবিন্সকে নিয়ে সিম্পোজিয়াম ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে। আয়োজনের শিরোনাম ছিল- ‘আফ্রো-সাউথ এশিয়া কানেক্টিভিটি অ্যান্ড দ্য হাবশি কিংডমস অব বেঙ্গাল অ্যান্ড বিয়ন্ড’।
অনুষ্ঠানে স্ত্রী জয়েস রবিন্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে আসা ডা. রবিন্স তার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান।
১ বছর আগে
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
রোমানিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি এবং রোমানিয়ার ১০৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে কসমস ফাউন্ডেশন এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
সোমবার রাতে রাজধানীতে বাংলাদেশে রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এবং ইউএনবি ও ঢাকা কুরিয়ার-এর প্রধান সম্পাদক এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানের বারিধারার বাসভবনের গার্ডেন গ্যালারিতে বিশেষ এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এনায়েতউল্লাহ খান এবং ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা সেজোনভ টেনের আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে রোমানিয়ার শিল্পী-ভাস্কর আলেকজান্দ্রু পোটেকা পরিদর্শন করা সাতটি অনন্য শিল্পকর্ম এবং প্রখ্যাত বাংলাদেশি শিল্পী মাকসুদা ইকবাল নিপার দশটি চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতারাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যোগ দেন।
ইভেন্টটি সম্পর্কে এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ আমরা আমাদের বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। রোমানিয়ার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব উদযাপন করছি। শিল্পীরা একটি মহান জাতি, চিত্রশিল্পীরাও একটি মহান জাতি এবং এটি আমাদের।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে মুগ্ধ বৃটেন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
২ বছর আগে
নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী: কসমস ডায়ালগে রাষ্ট্রদূতেরা
ঢাকায় নিযুক্ত নর্ডিক রাষ্ট্রদূতেরা বলেছেন যে তাদের দেশগুলো আগামী ৫০ বছর ও তার পরেও বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও টেকসই’ অংশীদারিত্ব করতে চায়, যেখানে বৃহত্তর সহযোগিতার লক্ষ্যে সুযোগ অন্বেষণে প্রধান খাতগুলো থাকবে-জলবায়ু, সবুজ রূপান্তর, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সুস্থ মহাসাগর, লিঙ্গ সমতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ।
কসমস ডায়ালগে যৌথভাবে প্রস্তুত মূল বক্তব্য প্রদানকালে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টর সভেনডসেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেনও বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব, বহুপক্ষীয়তা, বৈশ্বিক সংহতি, আন্তর্জাতিক আইন ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর বিভাগ ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ তার চলমান রাষ্ট্রদূতের বক্তৃতা সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ইউএনবি’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত পণ্ডিত-কূটনীতিক ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান।
এছাড়া, আলোচনায় আরও যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও ড. লাইলুফার ইয়াসমিন।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, ‘এই ৫০ বছরে আমরা একসাথে একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা করেছি। আমাদের অংশীদারিত্ব চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের মধ্যদিয়ে হয়েছে। আর আমরা দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি বলেন, এটা বলা ন্যায্য হবে যে নর্ডিকরা বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার ও বন্ধু হয়ে থাকতে চায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নর্ডিক সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়লগ বৃহস্পতিবার
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য আসন্ন বছর খুবই প্রতিশ্রুতিশীল: ডাচ রাষ্ট্রদূত
সাহায্য থেকে বাণিজ্যে স্থানান্তরের কথা মাথায় রেখে বেসরকারি খাতের বৃহত্তর সম্পৃক্ততায় বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আসন্ন বছর ও দশকগুলো ‘খুবই প্রতিশ্রুতিশীল’ বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডাচ রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন।
‘বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এক সংলাপে মূল বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের সামর্থ্য, দুর্বলতা ও সুযোগ চিহ্নিত করেন এবং জয়-জয়ের ভিত্তিতে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সেগুলো মোকাবিলার ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত লিউয়েন বলেন, ‘তাই আমরা আসন্ন বছর ও এমনকি কয়েক দশককে দেখছি বেসরকারি খাতের বৃহত্তর সম্পৃক্ততার সঙ্গে কৃষি-খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল।’
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশন চলমান অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে এ সংলাপের আয়োজন করেছে।
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান সূচনা বক্তব্য দেন।
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা বক্তাদের
রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের প্রতি মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থনের প্রশংসা করা হয়েছে একটি ওয়েবিনারে। এছাড়া এতে দুটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সাধারণ ঐতিহ্য ও অত্যন্ত সুসম্পর্কের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শিরোনামের ওয়েবিনারটি কসমস ফাউন্ডেশন, কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা আয়োজন করেছে।
ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান।
এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড.ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো.হাশিম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংলাপটির প্রিমিয়ার হবে।
এ সময় প্যানেল আলোচক ছিলেন রাষ্ট্রদূত (অব.) ফারুক সোবহান, ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (আইএসআইএস) এর ফরেন পলিসি অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ প্রোগ্রামের গবেষক ইয়ানিথা মীনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।
সভাপতি ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘অভাবনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা আসিয়ানের পাশাপাশি অন্যান্য আঞ্চলিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গভীর মনোযোগ দেয়ার জন্য মালয়েশিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
এ সময় সাবেক এই উপদেষ্টা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের প্রশংসা করেন।
তিনি জাতিসংঘের গণহত্যা বিষয়ক রেজুলেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতিগত নিধন ও অন্যান্য অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের ‘সুরক্ষা দানের দায়িত্ব’ এর ওপর আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ ও ইউরোপের সাম্প্রতিক সংকটের পর একটি নিয়মতান্ত্রিক বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের টিকে থাকা নিশ্চিত করতে দুই দেশকে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ তার বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের উচিত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী সম্পর্ককে আরও বৃদ্ধি করা।
তিনি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটনের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তায় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
হাইকমিশনার আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার ৩০তম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং তারা দক্ষিণ এশিয়ার দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ আগামী পাঁচ বছরে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাজনাহ।
চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে, তিনি বিশ্বাস করেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও বৈচিত্র্যময় করার জন্য একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা উচিত।
মালয়েশীয় হাইকমিশনার প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা ও খাদ্য নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি এ খাতগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুকে বহুপক্ষীয় ফোরামে উত্থাপনে বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী সমর্থক হিসেবে পাশে থাকবে মালয়েশিয়া।
বক্তব্যে ফারুক সোবহান বলেন, বাংলাদেশকে তার ‘লুক ইস্ট নীতি’তে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে এই ‘লুক ইস্ট নীতি’র কেন্দ্রবিন্দু আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছে দেশ: টিআরএনবি ওয়েবিনারে বক্তারা
অতীতের উল্লেখযোগ্য যুগান্তকারী দ্বিপক্ষীয় সফরের কথা স্মরণ করে ফারুক সোবহান এ ধরনের মিথষ্ক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ড. ইমতিয়াজ পারস্পরিক সহযোগিতাকে আরও সুসংহত করার জন্য ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’-এর মতো দুই দেশের মধ্যে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম চালু করার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, এটা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে হতে পারে। এতে যোগ দেয়ার জন্য আমরা কিছু বেসরকারি উদ্যোক্তাকেও আমন্ত্রণ জানাতে পারি।
ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরও বৃদ্ধি করতে এফটিএ এবং বিশাল আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বা আরসিইপির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ এশিয়ান দেশগুলো আরসিইপি-তে যোগ দিচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এশিয়ার এই ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশগুলো আগামী দশকে বিশ্ব বাজারে আধিপত্য বিস্তার করবে।
তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আইন মেনে স্বচ্ছ, ন্যায্য ও নিরাপদ অভিবাসনের কথা উল্লেখ করেন।
মালয়েশিয়ার গবেষক ইয়ানিথা মীনা বলেন, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ শ্রম নিয়োগ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে; যা এই দুই বন্ধু দেশের মধ্যকার সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তিনি বলেন, এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ এবং বিষয়টি আমাদের সম্পর্কের মধ্যে বহুল সমাদৃত হয়েছে। তবে অন্য সব বিষয়ের মতো শ্রম সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান বলেন, ঢাকা ও কুয়ালালামপুর কীভাবে অর্ধ-শতাব্দী ধরে সত্যিকারের ‘সব সময়ের’ বন্ধু ও মিত্র হিসেবে রয়ে গেছে তা গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় তিনি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা ও সেবা প্রদানে মালয়েশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
নাহার খান বলেন, বাংলাদেশ আশা করে মালয়েশিয়া মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখবে। যাতে তারা তাদের দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
তিনি বলেন, এক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার এটাই সঠিক সময়।
নাহার খান বলেন, সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্কের নতুন মাত্রা হিসেবে ঢাকা ও পুত্রজায়ার মধ্যে সামুদ্রিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি করার এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি আরও বলেন, এজন্য সামুদ্রিক সম্পৃক্ততা শুরু করার ক্ষেত্র হিসেবে বঙ্গোপসাগর এবং আঞ্চলিক অন্যান্য জলসীমা ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ ভারত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলের প্রতিযোগিতামূলক সামুদ্রিক অঞ্চল হিসেবে ইতোমধ্যে এগুলোর গুরুত্ব রয়েছে।
সংলাপে বক্তারা একমত হন যে কসমস ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও মতবিনিময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তৃতি ও গভীরতাকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার শনিবার
২ বছর আগে