তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অনেক মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেছেন। ২৫ শে মার্চ রাতে ঢাকাসহ যেখানে যেখানে পাকবাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালায়, চট্টগ্রামও তার মধ্যে অন্যতম। সেই বিভীষিকাময় রাতের পরদিন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগকর্মী নূরুল হক শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। জিয়াউর রহমান চার দেয়ালের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করেন, আর নূরুল হক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাইকিং করে তা প্রচার করেন। এজন্য বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারে জিয়ার চেয়ে চট্টগ্রামের নূরুল হকের কৃতিত্ব বেশি।'
বৃহস্পতিবার ৭ই মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনাসভা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতার ডাক দেয়া কিংবদন্তি ভাষণের ওপর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিএনপি ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা করলেও বিশ্বব্যাপী আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিপিবদ্ধ। জিয়াউর রহমান তার জীবদ্দশায় কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি। ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঘোষণা তিনি ২৭ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেন। আর আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ।’
মন্ত্রী এসময় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতির ডাক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘জাতির পিতার এ ভাষণের মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন চূড়ান্ত সংগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়।’
এসময় একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ায় গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে অভিনন্দন জানান তথ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে অভিনন্দন। আশা করি, বিএনপিও নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে। নির্বাচিত হয়ে শপথ না নিলে ভোটারদের অপমান করা হয়।’