ইউরোপ
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৬টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দাবি মস্কোর
রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা ছয়টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করে মস্কো বলেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এক হাজার দিনের মধ্যে কিয়েভের প্রথম এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার এটি।
ব্রায়ানস্কে এটিএসিএমএস নামে পরিচিত সেনাবাহিনীর কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার।
রাশিয়ার ভেতরে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ভারী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়ার পর নিজেদের পরমাণু নীতি সংশোধন করেছে মস্কো। আর এদিনই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এ ধরনের হামলা চালানোর অভিযোগ করল তারা।
এর ফলে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ বা এসব দেশ সমর্থিত যেকোনো দেশের ওপর মস্কোর সম্ভাব্য পারমাণবিক প্রতিক্রিয়ার দ্বার উন্মুক্ত হলো।
এই দাবি সত্যি হলে তা ইউক্রেনসহ বিশ্বজুড়ে সংঘাতের একটি উদ্বেগজনক নতুন দিক উন্মোচন করবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের পর রাশিয়ার পরমাণু নীতি সংশোধন
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই এই যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে এবং কীভাবে এর অবসান সম্ভব, তা নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা ছড়াল।
হোয়াইট হাইসে প্রবেশের পর যত শিগগির সম্ভব, যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি, ইউক্রেনকে সমর্থন করতে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে, তারও সমালোচনা করেছেন তিনি।
বিপুল সম্পদের কারণে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও এই যুদ্ধ রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও পক্ষেই আর বেশি দীর্ঘায়িত করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
একদিকে সীমান্তের অন্তত ১ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে তীব্র চাপের মধ্যে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকরা রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিপর্যস্ত হচ্ছে।
সোমবার মধ্যরাতে ব্রায়ানস্কে রাশিয়ার একটি অস্ত্র গুদামে হামলা চালানোর দাবি করে ইউক্রেন। অবশ্য কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ‘প্রস্তুত’ পুতিন
রুশ বার্তা সংস্থাগুলোতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, (রাশিয়ার) সামরিক বাহিনী পাঁচটি এটিএসিএমএস ভূপাতিত এবং আরও একটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে নিচে পড়ায় আগুন লেগে যায়, তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে কোনো পক্ষের দাবিই স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
এর আগে, ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার ইউক্রেনের একটি আবাসিক এলাকায় রুশ হামলায় এক শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। তার আগে, সোমবার রাতে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সুমি অঞ্চলে শাহেদ ড্রোনের হামলায় দুই শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছে বলে জানায় কিয়েভ।
রোববার ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় সুমির একটি আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে ১১ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ধারাবাহিক বিমান হামলা প্রমাণ করে, পুতিন যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী নন।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার প্রতিটি নতুন হামলা পুতিনের আসল উদ্দেশ্যকেই নিশ্চিত করে। তিনি চান যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক। শান্তির কথা তার কাছে আকর্ষণীয় নয়। বলপ্রয়োগের মাধ্যমেই রাশিয়াকে ন্যায়সঙ্গত শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধ্য করতে হবে।’
১ দিন আগে
ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের পর রাশিয়ার পরমাণু নীতি সংশোধন
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার আগে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া এবং তাদের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আঘাত হানার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর একটি সংশোধিত পরমাণু নীতিতে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, পারমাণবিক শক্তিধর দেশ সমর্থিত যেকোনো দেশ যদি রাশিয়ার ওপর হামলা চালায়, তবে তা (রাশিয়ার ওপর) যৌথ হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর এক হাজারতম দিন উপলক্ষে এই সংশোধিত পরমাণু প্রতিরোধ নীতি অনুমোদন করেন পুতিন।
ইউক্রেনে যখন মস্কোর আক্রমণের মাত্রা কমেছে, তখন পশ্চিমাদের পিছু হটাতে দেশটির পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার কাজে লাগাতেই এই স্বাক্ষর।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ‘প্রস্তুত’ পুতিন
বাইডেনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত নীতিটি জারি করা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, নথিটি সময়মতো প্রকাশিত হয়েছে।
তবে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে নীতিগুলো আপডেট করতে সরকারকে চলতি বছরের শুরুতেই পুতিন নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর অন্যান্য ন্যাটো মিত্রদের সতর্ক করে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানার জন্য পশ্চিমাদের সরবরাহকৃত দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করতে দেওয়ার মানে হচ্ছে- রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চায় ন্যাটো।
সংশোধিত পরমাণু নীতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও মিত্র দেশ বেলারুশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়ায়- এমন পারমাণবিক হামলা বা যেকোনো হামলার জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া।
নীতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্লক বা জোটের (ন্যাটো) কোনো সদস্য দেশের আগ্রাসনকে পুরো ব্লকের আগ্রাসন হিসাবে দেখা হবে।
১ দিন আগে
ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ‘প্রস্তুত’ পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রুশ থিংক ট্যাংক ভালদাইয়ের বার্ষিক বৈঠকের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন এ কথা জানান।
পুতিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আমি তাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমেরিকার জনগণ বিশ্বাস করে এমন যেকোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কাজ করবে রাশিয়া।’
১ সপ্তাহ আগে
স্পেনে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২১৯, নিখোঁজ ৯৩
গত সপ্তাহে পূর্ব স্পেনে প্রবল বৃষ্টিপাতে নদীসহ শুষ্ক খালগুলো প্লাবিত হয়ে হঠাৎ বন্যার সৃষ্টি করে। এতে বসতি এলাকা তলিয়ে যায় এবং বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
বন্যার প্রভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অঞ্চলটি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভ্যালেন্সিয়া এলাকা। ২৯ অক্টোবরের বন্যার এক সপ্তাহ পরেও মৃত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি উদ্ধার কার্যক্রম চলমান।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক স্পেনের শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়:
২১৯ জন নিহত ও ৯৩ জন নিখোঁজ
ভয়াবহ এ বন্যায় ২১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলেই ২১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশী কাস্তিলা লা মঞ্চায় আরও সাতজন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় আন্দালুসিয়ায় আরও একজন মারা গেছেন।
সরকারিভাবে ৯৩ জনকে নিখোঁজ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। এখনও ৫৪টি মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। সব মিলিয়ে ৩৬ হাজার ৬০৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে বন্যার মতো চরম ঝুঁকির ক্ষেত্রে বিমা পরিশোধকারী পাবলিক-প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান স্পেনের কনসোর্টিয়াম ফর ইন্স্যুরেন্স কমপেনসেশন অনুমান করছে, তারা ক্ষতিপূরণে অন্তত ৩.৫ বিলিয়ন ইউরো (৩.৮ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় করবে।
কনসোর্টিয়ামটি বন্যার ক্ষয়ক্ষতির জন্য ১,১৬,০০০ বিমার আবেদন পেয়েছে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ দাবি গাড়ির এবং ৩১ শতাংশ বাড়ির জন্য। স্পেনের অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিধারণা করছে, এই বন্যা বিমা ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক রেকর্ড তৈরি করবে।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ২৩২ কিলোমিটার (১৪৪ মাইল) সড়ক ও রেলপথ মেরামত করলেও ভ্যালেন্সিয়া ও মাদ্রিদের মধ্যে দ্রুতগামী ট্রেন লাইনটি এখনও ভাঙা অবস্থায় রয়েছে।
পরিবার, ব্যবসা ও টাউনহলের জন্য ১০.৬ বিলিয়ন ইউরো (১১.৬ বিলিয়ন ডলার) ত্রাণ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভ্যালেন্সিয়া আঞ্চলিক সরকার মাদ্রিদের কাছে ৩১ বিলিয়ন ইউরো (৩৩ বিলিয়ন ডলার) সহায়তা চেয়েছে।
রেকর্ড বৃষ্টিতে বিপর্যয়
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত দুই বছর ধরে দেশটিতে যে খরা চলছে এবং রেকর্ড তাপমাত্রা বন্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
স্পেনের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ২৯ অক্টোবর ভ্যালেন্সিয়ার তুরিস শহরে এক ঘণ্টায় ৩০.৪ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। বিপর্যস্ত চিভা গ্রামেও আট ঘণ্টায় এত বৃষ্টি হয়েছে, যা গত ২০ মাসের সম্মিলিত বৃষ্টিপাতের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ঝড়ের তীব্রতা ম্যাগ্রো ও তুরিয়া নদী এবং পোয়ো খালে কেন্দ্রীভূত হয়, যা তীব্র স্রোতে পরিণত হয়ে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মানুষের চোখে এটি যেন একটি সুনামির মতো পানি ও কাদার ঢেউ ছিল, যা ভ্যালেন্সিয়া শহরের দক্ষিণ প্রান্ত জুড়ে ধ্বংসের চিহ্ন রেখে গেছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি জানায়, ৩১ অক্টোবরের স্যাটেলাইট ছবি অনুযায়ী, ১৫ হাজার ৬৩৩ হেক্টর (৩৮ হাজার ৬০০ একর) এলাকা জুড়ে পানি ঢুকেছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সব মিলিয়ে ৭৮টি পৌরসভায় একজন বাসিন্দা বন্যায় মারা গেছে।
১৭ হাজারের বেশি সেনা ও পুলিশ বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের বাহিনী
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের জরুরি অভিযানে ১৭ হাজারের বেশি সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
এই অভিযানে ৮,০০০ সৈন্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২,১০০ জন দুর্যোগ প্রতিক্রিয়ায় বিশেষায়িত সামরিক জরুরি ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত।এছাড়া স্পেনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ৯,২০০ অতিরিক্ত পুলিশ কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছেন, ঠিক কতজন আছেন তার কোনো নির্দিষ্ট হিসাব নেই। তারা প্রথম দিন থেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সহায়তা করেছেন।
দেশটির সরকার জানায়, বন্যার পর প্রথম সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ ১ লাখ ৪৭ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করেছে এবং পানীয় জল নেই এমন জায়গায় প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার বোতল পানি বিতরণ করেছে।
এখনও আজানা
স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ এখনও জানায়নি, তারা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে কতগুলো কল পেয়েছে। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির একটি অনুমান দিয়েছে বা কতটা জমি ধ্বংস হয়েছে তার একটি গণনা প্রকাশ করেছে। এই মুহূর্তে, পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা কখন শেষ হবে তা কেউ অনুমান করতে পারে না।
১ সপ্তাহ আগে
ভালেন্সিয়ার পর এবার বন্যার কবলে বার্সেলোনা
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে স্পেনের পূর্বাঞ্চলে অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে গত সপ্তাহে ভালেন্সিয়া প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এই দুর্যোগে ওই অঞ্চলের অন্তত ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার এর জেরে প্রবল বর্ষণে বন্যা দেখা দিয়েছে কাতালুনিয়া প্রদেশের রাজধানী বার্সেলোনায়।
সোমবার বার্সেলোনার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
বেসামরিক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অনুরোধে উত্তর-পূর্ব কাতালুনিয়ায় সব যাত্রীবাহী ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পেনের পরিবহনমন্ত্রী অস্কার পুয়েন্তে।
এদিকে, বার্সেলোনার দক্ষিণ উপকণ্ঠে ‘চরম ও অব্যাহত বৃষ্টিপাতের’ সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। সতর্কবার্তায় জনসাধারণকে শুকনো গিরিখাত বা খাল এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা: ভালেন্সিয়ায় ১০ হাজার সেনা ও পুলিশ পাঠাচ্ছে স্পেন সরকার
পুয়েন্তে বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা শহরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত বার্সেলোনা বিমানবন্দরের ১৫টি ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃষ্টিপাতের কারণে ‘রেড সিগনাল’ জারির পর বার্সেলোনা ও ভালেন্সিয়ার মাঝামাঝি অবস্থিত দক্ষিণ কাতালুনিয়ার শহর তারাগোনায় সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
২ সপ্তাহ আগে
রেল স্টেশনের ছাদ ধস: সার্বিয়ার অবকাঠামোমন্ত্রীর পদত্যাগ
সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর নোভি সাদে রেলস্টেশনের সামনের একটি কংক্রিটের প্ল্যাটফর্মের ছাদ ধসে হতাহতের ঘটনার পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নির্মাণ, পরিবহন ও অবকাঠামোমন্ত্রী গোরান ভেসিচ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে ঘটা এ ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও তিনজন আহত হন।
এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানান ভেসিচ।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার দিনই আমি পদত্যাগের কথা জানাই। আগামীকাল সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি পদত্যাগপত্র জমা দেব।’
দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে গত ২ নভেম্বর জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে সার্বিয়া সরকার।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ায় রেলস্টেশনের ছাদ ধসে নিহত ১৩
২ সপ্তাহ আগে
বন্যা: ভালেন্সিয়ায় ১০ হাজার সেনা ও পুলিশ পাঠাচ্ছে স্পেন সরকার
ভালেন্সিয়ায় ভয়াবহ বন্যার পর দ্রুত পুনর্বাসনে আরও পাঁচ হাজার সেনা ও পাঁচ হাজার পুলিশ মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে স্পেন সরকার। শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এ ঘোষণা দেন।
স্পেনের স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ২০৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কেবল ভালেন্সিয়া অঞ্চলেই ২০২ জনের প্রাণ গেছে। এছাড়া কাস্তিয়া-লা মঞ্চায় দুজন ও আন্দালুসিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার চার দিন পরও শনিবার উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া গাড়ি ও জরাজীর্ণ ভবনে লাশ খুঁজছিলেন।
এদিকে স্প্যানিশ দৈনিক দিয়ারিওর খবরে বলা হয়েছে, এখনও অন্তত ১ হাজার ৯০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধার অভিযানে সহায়তায় ৪০০ স্থলযান, ১৫টি হেলিকপ্টার এবং প্রায় দুই হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় আড়াই হাজার সিভিল গার্ড এবং ১ হাজার ৮০০ পুলিশ কাজ করছে। তাদের সঙ্গে ভালেন্সিয়ার হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবককে বেলচা ও ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা ও বাড়িঘর পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে দেখা গেছে।
২ সপ্তাহ আগে
সার্বিয়ায় রেলস্টেশনের ছাদ ধসে নিহত ১৩
সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলের শহর নোভি সাদে রেলস্টেশনের সামনের একটি কংক্রিটের প্ল্যাটফর্মের ছাদ ধসে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভিকা দাচিচ। ঘটনাস্থল থেকে আরও তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
দুর্ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যে জরুরি পরিষেবাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। একাধিক শহর থেকে ৮০ জনের বেশি উদ্ধারকর্মী উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে আটজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল সার্বিয়া সরকার। তবে এরই মধ্যে উদ্ধারকারীরা আরও পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
দাচিচ বলেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়া পর এ ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে।
২ সপ্তাহ আগে
বন্যায় স্পেনে নিহত বেড়ে ২০৫, নিখোঁজ প্রায় ১৯০০
স্পেনের ভালেন্সিয়া, কাস্তিয়া-লা মাঞ্চা ও আন্দালুসিয়া অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ২০৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া আরও অন্তত ১৯০০ মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত দেশটির ওই অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক বর্ষণ হয়। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, প্রতি বর্গমিটারে ৪০০ লিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং কিছু জায়গায় তা ৬০০ লিটার ছাড়িয়ে যায়।
শীতের পর গ্রীষ্মে মাটি খুব শুকনো থাকায় পানি ঠিকমতো শুষে নিতে না পারায় এ আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি আবহাওয়া কর্তৃপক্ষের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তিন মিটার উঁচু পানির স্রোত রাস্তায় নেমে এসে গাড়িগুলোকে খেলনার মতো স্তূপ করে ফেলেছে। বানের তোড়ে সেতু ভেসে গেছে, রেলওয়ে টানেল ধসে পড়েছে এবং মাঠ ডুবে গেছে। স্থানীয়দের অনেকে তাদের বাড়ি ও গাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন, কিন্তু বানের ধাক্কায় তাদের অনেকেরই প্রাণহানি হয়েছে।
উদ্ধার কার্যক্রম তদারক সংস্থা সেন্টার ফর কোঅর্ডিনেটেড অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড অপারেশন্সের (সিইসিওপিআই) তথ্যানুসারে, মঙ্গলবার রাতভর প্রবল বর্ষণের পর বুধবার সকালে প্রাথমিকভাবে ১২ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়, যা এখন বেড়ে ২০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। কেবল ভালেন্সিয়া অঞ্চলেই ২০২ জনের প্রাণ গেছে। এছাড়া কাস্তিয়া-লা মঞ্চায় দুজন ও আন্দালুসিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্প্যানিশ দৈনিক দিয়ারিওর খবরে বলা হয়েছে, এখনও অন্তত ১ হাজার ৯০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনেকে তাদের গাড়ি বাঁচাতে ভূগর্ভস্থ গ্যারেজে গিয়েছিলেন, কিন্তু প্রচণ্ড বন্যায় সেখানেই মৃত্যু হয় তাদের।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে শুক্রবার পর্যন্ত ২৩ হাজার বাড়ি এখনও বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে, বাকি সব বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ সংস্থা ইবারদ্রোলা।
২ সপ্তাহ আগে
বন্যায় স্পেনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮
স্পেনে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি উদ্ধার পরিষেবা বিভাগ।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবারের মধ্যে আঘাত হানা এ বন্যায় শুধু ভালেন্সিয়া প্রদেশেই ১৫৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রাদেশিক প্রশাসন। এছাড়া, আন্দালুসিয়া ও ক্যাসটিয়া মাঞ্চায় আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ভালেন্সিয়ার জরুরি সমন্বয়কেন্দ্র জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এখনও হতাহতদের সন্ধান করছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বৃহস্পতিবার ভালেন্সিয়ায় উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার তদারক সংস্থা সেন্টার ফর কোঅর্ডিনেটেড অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড অপারেশন্স (সিইসিওপিআই) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে বলেন, চরম আবহাওয়া এখনও শেষ হয়নি।
১৯৬৬ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা দেখছে ভালেন্সিয়া। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোরের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কিছু অঞ্চলে প্রতি বর্গমিটারে ৪০০ লিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বহু মানুষ ও যানবাহন ভেসে যায়। পাশাপাশি স্থানীয়দের বেশিরভাগই তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছে এবং সম্পত্তি ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্পেনে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫
টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভালেন্সিয়ার সঙ্গে মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার সংযোগকারী প্রধান সড়কগুলো এখনও চলাচলের উপযোগী হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গ্যারেজ থেকে কাদা পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। অনেকে আবার কাদায় ঢাকা ধ্বংসস্তূপ থেকে জিনিসপত্র উদ্ধার করছেন।
এদিকে, দেশটির ছোট্ট শহর পাইপোর্তায় তিন মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসের কারণে অন্তত ৪৫ জন নিহতের খবর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেন, ‘ভালেন্সিয়াবাসীর এই বিপদের দিনে আমরা তাদের পাশে রয়েছি। এই বিপর্যয়ের মধ্যে আমরা তাদের একা ছেড়ে দেইনি। তাদের টিকে থাকার লড়াইয়ে যতটা সম্ভব প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এছাড়া, মাদ্রিদে এক অনুষ্ঠানে রাজা ষষ্ঠ ফেলিপে এই বিপর্যয়কর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনিও সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন যে, জরুরি অবস্থা এখনও শেষ হয়নি।
বৃহস্পতিবার ভালেন্সিয়ার উত্তরাঞ্চলে আরও মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ভালেন্সিয়া ও মাদ্রিদের মধ্যে দ্রুতগতির রেলযোগাযোগ অন্তত দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী অস্কার পুয়েন্তে। বন্যায় ভালেন্সিয়ার প্রায় ৮০ কিলোমিটার স্থানীয় ও আঞ্চলিক রেলপথ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে স্পেনের সামরিক বাহিনীর জরুরি ইউনিটের প্রায় এক হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, যারা উদ্ধার ও পরিষ্কার অভিযানে সহায়তা করছে। তবে নিখোঁজদের সবাইকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে আগামী দিনগুলোতে আরও লাশ পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রেকর্ড তাপপ্রবাহে স্পেনে ৩ জনের মৃত্যু
হঠাৎ এমন মুষলধারে বৃষ্টিপাতকে আবহাওয়াবিদরা ‘বিচ্ছিন্ন অতি-গভীর নিম্নচাপ’ বা ডিএএনএ নামে আখ্যায়িত করেছেন। ভূমধ্যসাগরের উষ্ণ স্রোত অতিক্রম করার সময় ঘটে বায়ুমণ্ডলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে থাকে।
ডিএএনএ-র কারণে ১৯৫৭ ও ১৯৬৬ সালেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে স্পেন। সে সময়েও তুরিয়া নদী উপচে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ভালেন্সিয়া শহরকে কার্যত ধ্বংস করে দেয়।
এ ঘটনায় স্পেন সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। অপরদিকে, ভালেন্সিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য সমস্ত ম্যাচ স্থগিত করেছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন, যার মধ্যে শনিবার ভালেন্সিয়া ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার কোপা দেল রের ম্যাচও রয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে