বরিশাল
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চোখ হারানো সাইদুল পেল জীবিকার মাধ্যম
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে চোখের আলো হারিয়ে অন্ধকারে ডুবে যান পটুয়াখালীর যুবক সাইদুল। তবে, তার জীবনে নতুন করে আশার আলো জ্বালিয়েছে কিছু হৃদয়বান মানুষ। বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত। তুলে দিয়েছেন জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম একটি রিকশা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ড. আখতার উদ্দিন মিলনায়তনে সাইদুলের হাতে রিকশাটি তুলে দেওয়া হয়।
উপহারটি সাইদুলের হাতে তুলে দেন পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও দি ডেইলি স্টারের পটুয়াখালী প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসনে একযোগে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সাইদুলের জীবন নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে হৃদয়বানদের নজরে পড়ে। তিনি ওই গণমাধ্যম কর্মীর মাধ্যমে সাইদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা উপহার দেন।
রিকশাটি পেয়ে সাইদুল বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ।’ আমার এই সময়ে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তাদের প্রতি শুভকামনা। এখন আমি রিকশাটির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারব। সমাজের হৃদয়বান এসব মানুষের জন্য আজও মানবতা টিকে আছে। এছাড়া আমার দুঃসময়ে স্ত্রী আমাকে তালাক দিয়ে দেড় বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে চলে গেছে।
তিনি আরও জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে শামিল হন তিনি। ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সময় চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। ওই সময় আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও জনতা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে এক সপ্তাহ ভর্তি থাকার সময় তার চোখ থেকে স্প্লিন্টার বের করা হয়। পরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আরও এক সপ্তাহ চিকিৎসা নেন তিনি। সেখানে তার চোখে অপারেশন করা হয়। স্প্লিন্টারের আঘাতে তার বাম চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করল জাবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা
৭ ঘণ্টা আগে
‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিয়ে বরিশালে নাগরিক কমিটির সমাবেশে হামলা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বরিশালে জাতীয় নাগরিক কমিটির আলোচনা সভায় ‘জিয়ার সৈনিক’ স্লোগান দিয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নগরীর বিবির পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
সভায় উপস্থিতরা জানান, নাগরিক কমিটির সদস্যদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে এই হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় সভার চেয়ার ভাঙচুর করে তারা। হামলায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় একজন যুগ্ম সদস্য সচিবসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মাহমুদা মিতু, হামজালাল, রুমানা বেগম, জি এম মেহেদী হাসান ও মো. আসিফ।
হামলায় বরিশালের যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক কমিটির নেতারা। এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: তাহেরিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো’ স্লোগান দিতে দিতে একদল লোক মিছিল নিয়ে হেমায়েত উদ্দিন রোড দিয়ে বিবির পুকুর পাড়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে যায়। তখন কার্যালয়ের সামনের সড়কে জাতীয় নাগরিক কমিটির সভা শুরু হয়েছে মাত্র। মিছিলটি সেখানে গিয়েই সভার ব্যানার ছিড়ে ফেলে চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় তারা অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করে কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধর করে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির বরিশাল মহানগরের সংগঠক সাজ্জাদুর রহমান শাকিল মৃধা বলেন, পুলিশের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভা চলাকালে ‘আওয়ামী দোসর’ আখ্যা দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা বলেন, যুবদল ও কৃষক দলের নেতাকর্মীরা এসে হামলা-ভাঙচুর করেন। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মিতু বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তবে উপস্থিত লোকজনের বাধার মুখে তখন তা সম্ভব হয়নি।
বরিশাল মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব সাঈদ তালুকদার বলেন, মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন ওই সভা থেকে ‘আওয়ামী লীগ সরকার, বারবার দরকার’ বলে স্লোগান দেয়া হচ্ছিল। এমন স্লোগানে আমাদের কর্মীরা কিছুটা উত্তেজিত হয়ে যান। তখন সামান্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরে আমরা কর্মীদের শান্ত করি।
সেখানে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি সাঈদ তালুকদারের।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলা
১ সপ্তাহ আগে
কীর্তনখোলায় স্পিডবোট ডুবে নিখোঁজ আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তাদের লাশ উদ্ধার করেন নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
তিনজনের মধ্যে দুজন যাত্রী ও অন্যজন স্পিডবোটের চালক। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় মোট চারজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
নিহতরা হলেন- স্পিডবোট চালক আল আমিন, যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ওরফে ইমন ও মো. রাসেল আমিন। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জালিস মাহমুদ নামে এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ফোরম্যানের লাশ উদ্ধার
সজল দাস নামে আরও এক যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি বরিশালের বিমানবন্দর থানার রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা। ভোলায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে তিনি চাকরি করতেন।
নৌ পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট–সংলগ্ন নদীতে তিনটি লাশ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকেই লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
২ সপ্তাহ আগে
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত
বরিশালের মুলাদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার প্যাদারহাট সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ড. মো. ফরহাদ হোসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) উপসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম জানান, নিহত ফরহাদ হোসেন মুলাদী সদর ইউনিয়নের চর লক্ষীপুর এলাকায় মাওলানা আব্দুল কাদেরের ছেলে।
উপজেলার চরলক্ষীপুর নন্দীরবাজার মাহফিল আয়োজক কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন জানান, শুক্রবার নন্দীর বাজারে একটি মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন উপসচিব ড. ফরহাদ। মাহফিলে অংশ নিতে তিনি ঢাকা থেকে বরিশালে যান। বিকালে মীরগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে একটি থ্রি-হুইলারের (আলফা-মাহিন্দ্রা) যাত্রী হয়ে মুলাদী সদরে চরলক্ষীপুরে যাচ্ছিলেন ফরহাদ হোসেন। পথে থ্রি-হুইলারটি প্যাদারহাট পার হয়ে হাওলাদার ব্রিজের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ করে একটি কুকুর সামনে এসে পড়ে। তখন চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
ওসি বলেন, ‘চালকের যে পাশে ফরহাদ হোসেন বসা ছিলেন মাহিন্দ্রাটি সেই পাশেই উল্টে যায়। এতে ফরহাদ হোসেন মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তবে দুর্ঘটনায় থ্রি-হুইলার চালক ও অন্য যাত্রীরা তেমন আহত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ড. ফরহাদ হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
ভোলায় ট্রাকচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
ভোলায় ট্রাকচাপায় মো. ইমন (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন চত্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ইমন ভোলা সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজিবাড়ির বাসিন্দা ও পরানগঞ্জে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে চুমকি রাণী হত্যা, ১ সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ও স্থানীয় প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ইমন ভেদুরিয়া ফেরিঘাট যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়।
পথে পরানগঞ্জ চত্বরে ভেদুরিয়া ফেরিঘাট থেকে আসা একটি ট্রাকের চাপায় ইমনের মৃত্যু হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাইন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
বরিশালে বলগেট ও স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, নিখোঁজ ৩
বরিশালে নোঙরে থাকা বালুবাহী বলগেট ও যাত্রীবাহী স্পিডবোটের সংঘর্ষে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি (৫০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনও তিন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার বিশ্বাসের হাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর মোহনায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বরিশাল নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি বরিশাল নৌ বন্দরের দিকে আসছিল। স্পিডবোটটি দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় পৌঁছালে নদীতে নোঙর করে থাকা বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটে থাকা চার যাত্রী নিখোঁজ হন।, বাকি চারজন সাঁতরে তীরে উঠে। এ সময় এলাকাবাসী নিখোঁজদের মধ্যে একজনকে উদ্ধার করে বরিশাল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানের চিকিৎসক ওই যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি জানান, এখনও তিন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালেও রাত ৮টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে কোনো উদ্ধারকারী দল পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
২ সপ্তাহ আগে
মেঘনায় অভিযানের সময় মৎস্য কর্মকর্তার ওপর দৃর্বৃত্তের হামলা
ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনার সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম মাহামুদুল হাসান, মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী রফিকুল ইসলাম, জামাল, তানজিলা ও জাফর।
আহতদের মধ্যে তানজিলা, জাফর, রফিকুলকে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তানজিলা, জাফর ও রফিকুল জানান, মঙ্গলবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার মেঘনা নদীর কাঠির মাথা এলাকায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় তারা মশারি জাল উদ্ধার করতে গেলে ছকেট জামালের ভাগ্নে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনের নেতৃত্বে জেলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলা: গ্রেপ্তার ৭, বরখাস্ত ৩ পুলিশ সদস্য
এ হামলায় সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন আহত হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনাকরী মৎস্য বিভাগের সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পান।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মৎস্য ব্যবসায়ী শাহিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, মৎস্য বিভাগের একটি দল নিয়মিত অভিযানে যায়। এ সময় অবৈধ একটি জাল তাদের নজরে আসলে জেলেদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটি চক্র হামলা চালায়।
এছাড়া সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি ও হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান বিশ্বজিৎ কুমার দেব।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাত মো. হাসনাইন পারভেজ জানান, এ ব্যাপারে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হবে।
তবে এখন পর্যন্ত অভিযোগ হাতে পাননি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার নিন্দা ইসলামী ছাত্রশিবিরের
২ সপ্তাহ আগে
লক্ষ্মীপুরে সিএনজিতে ট্রাকের ধাক্কা নিহত ১, আহত ৬
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শিক্ষার্থীসহ আরও ছয়জন।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভবানীগঞ্জে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলমগীর হোসেন (৫৫) রামগতি উপজেলার চরআফজাল এলাকার মৃত সেকান্তর আলী পণ্ডিতের ছেলে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও ভাসুর আটক
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চর আলেকজান্ডার থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাটি লক্ষ্মীপুরের দিকে যাচ্ছিল। ভবানীগঞ্জ এলাকায় বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছেড়ে আসা ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলমগীর হোসেন। আহত হন বাকি ছয়জন। আলমগীর হোসেন সকালে লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়,কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ ও তার বোন, সিএনজি চালক ফেরদৌস আলম, এক নারী ও এক শিশু আহত হয়েছেন।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগে আলমগীর হোসেন মারা যান। আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ ও সিএনজি চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিএনজি চালক ফেরদৌস আলমসহ অন্যরা সদর হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, যেহেতু এটি একটি দুর্ঘটনা, তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই আলমগীর হোসেনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ট্রাকচালককে আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে গ্যাস পাম্পে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, দগ্ধ ২০
৩ সপ্তাহ আগে
ঝালকাঠিতে হাসপাতালের ড্রেন থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে রান্না ঘরের সামনে ওয়ার্ডের পাশের ড্রেন থেকে ৭ থেকে ৮ মাস বয়সি এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর দিকে পরিত্যক্ত একটি ড্রেনের মধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নার্সদের ধারণা, কে বা কারা ২ থেকে ১ দিন আগে হাসপাতালের রান্না ঘরের সামনে ওয়ার্ডের পাশের ড্রেনে লাশটি ফেলে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় চরমপন্থি দলের সাবেক নেতাকে গলাকেটে হত্যা
হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামিম আহমেদ বলেন, ঝালকাঠি থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মেহেদী হাসান সানী বলেন, ‘এই শিশুর জন্ম আমাদের এই সদর হাসপাতালে হয়নি। সদর হাসপাতাল অরক্ষিত থাকায় বাহির থেকে কে বা কারা ড্রেনে লাশটি রেখে গেছেন।’
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
৪ সপ্তাহ আগে
সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে ঢাকায় সমাবেশের চেষ্টা, লক্ষ্মীপুরে আটক ১১
সমাবেশে যোগ দিলেই সর্বনিম্ন এক লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকায় লোক জড়ো করে একটি গোষ্ঠী। তবে তারা রওনা দেওয়ার আগেই পুলিশ সেখানে পৌঁছে ১১ জনকে আটক করে এবং কয়েকটি যানবাহন জব্দ করে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে ‘অহিংস আন্দোলন বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের কথিত সমাবেশে নেওয়ার জন্য কমলনগর উপজেলার ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ-কিশোর-কিশোরীকে একত্রিত করা হয়। জেলার কমলনগর উপজেলার কড়ইতলা বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
রাতেই স্থানীয়রা তাদের ঘেরাও করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে ৩টি চেয়ারকোচ বাস ও ৪টি মাইক্রোবাস জব্দ করে। এ সময় ১১ জনকে আটক করা হয়। তবে তাদের নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাসযাত্রী নারী-পুরুষরা জানান, একটি চক্র সোমবার ঢাকার শাহবাগ বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হতে তাদের উদ্বুদ্ধ করে। ঋণের আবেদন ও সম্মেলনে উপস্থিতির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে তারা এক হাজার টাকা করে নিয়েছে। ঋণপ্রত্যাশী ও সম্মেলনে উপস্থিতির জন্য দেওয়া হয়েছে টোকেন। টোকেনধারী সবাইকে দেওয়া হবে এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ।
কড়ইতলা বাজার এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ আলম জানান, ৫ আগস্টের কয়েক দিন পর থেকে একটি চক্র গ্রামের মানুষকে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার নাম করে সংগঠিত করছিল। ঘটনার সময় সেই চক্রের আহ্বানে ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ ঢাকায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠেন। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দেয়।
উত্তর চরলরেঞ্চ গ্রামের গৃহবধূ ফারহানা আক্তার ও জেসমিন বেগম জানান, ঢাকার সমাবেশে যোগ দিলে এক লাখ ঋণ পাবেন। সমাবেশে পরদিন থেকে তাদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল।
তোরাবগঞ্জ গ্রামের গৃহবধূ নাছিমা ও রৌশন বেগম জানান, গাড়ি ভাড়া হিসেবে তিনি ১ হাজার টাকা দিয়েছেন। আরও অনেকের কাছ থেকেই এভাবে টাকা নিয়েছে স্থানীয় সংগঠকরা।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ৩টি বাস ও ৪টি মাইক্রোবাস জব্দ আছে। তবে মূলহোতাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তারা ঢাকায়। মাঝে মাঝে এসে ফরম পূরণ করে চলে যায়। তারা এখানকার হতদরিদ্র মানুষকে ১ হাজার টাকায় ফরম পূরণ করলে ১ লাখ টাকার চেয়ে বেশি সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছে। এতে তাদের ঢাকায় নিয়ে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন সমাবেশ করতে চেয়েছিল। ডিএমপির সঙ্গে কথা হয়েছে। কোনো সমাবেশ হয়নি, হবে না। কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তাদের সভা পণ্ড হয়ে গেছে।
৪ সপ্তাহ আগে