এশিয়া
শ্রীলঙ্কার সংসদ নির্বাচন: দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এনপিপির জয়
শ্রীলঙ্কার সংসদ নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হয়েছে দেশটির নতুন মার্কসবাদী প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকের নির্বাচনি জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি)।
নির্বাচনে ২২৫টি আসনের মধ্যে এনপিপি ১৫৯টি আসনে জয়লাভ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। আর এনপিপির নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস পাওয়ার পার্টি পেয়েছে মাত্র ৪০টি আসন।
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকে শ্রীলঙ্কার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলগুলোই দ্বীপরাষ্ট্রটি শাসন করে আসছিল। তবে চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেসব দলকে পেছনে ফেলে জয়ী হন প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে ও তার জোট এনপিপি।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্ক্সবাদী দিশানায়েকের জয়
অবশ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় সংসদ নির্বাচনে এনপিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। সংসদের নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে ন্যূনতম ১১৩টি আসনে জয়ের প্রয়োজন ছিল এনপিপির। তবে বিপুল ব্যবধানে জয়ের ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্য দলের ওপর আর নির্ভর করতে হবে না দলটির।
এনপিপির শীর্ষ কর্মকর্তা তিলভিন সিলভা এই বিজয়কে ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ঐক্যের ফল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, দেশের সব প্রান্তরের ভোটাররা একক কর্মসূচির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এজন্য বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলের তামিল ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। নিজেদের সম্প্রদায়ের বাইরের একজন নেতার ওপর আস্থা রাখায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সিলভা।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই জয়ের গুরুত্ব খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি। জনগণ আমাদের ওপর অগাধ আস্থা রেখেছে এবং আমাদের সেই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে।’
শ্রীলঙ্কার আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনি ব্যবস্থায় সংসদীয় ২২৫টি আসনের মধ্যে ১৯৬টি আসনে দলগুলো প্রতিনিধি দিতে পারে। প্রতিটি জেলায় প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুসারে দলগুলোর মধ্যে এই আসনগুলো বণ্টন করা হয়। অবশিষ্ট ২৯টি আসনকে ‘জাতীয় তালিকার আসন’ বলা হয়। দেশব্যাপী স্বতন্ত্র দলগুলোর প্রাপ্ত মোট ভোটের অনুপাত অনুসারে সেগুলো বণ্টন করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল (এসইউভি) খাদে পড়ে আটজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
শুক্রবার ভোরে দারচুলা জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই গাড়িতে মোট ১৩ জন আরোহী ছিলেন। স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে দারচুলা জেলায় একটি মহাসড়ক থেকে প্রায় ৩০০ মিটার গভীর খাদের নিচে পড়ে যায়।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ছত্র বাহাদুর রাওয়াত বলেন, ‘মল্লিকার্জুন মন্দির দর্শন শেষে তীর্থযাত্রীরা ওই গাড়িতে ফিরছিলেন।’
তিনি সিনহুয়াকে জানান, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
নেপালের পার্বত্য এলাকায় এ নিয়ে গত আট দিনে চারবার ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানে পৃথক সেনা অভিযানে ১২ সন্ত্রাসী নিহত
পাকিস্তানে দুটি পৃথক অভিযানে ১২ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমের বেলুচিস্তান প্রদেশ ও উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা গেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলায় প্রথম সেনা অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এ ঘটনায় চার সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
শনিবার বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার একটি রেল স্টেশনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় সেনা সদস্য ও রেলওয়েকর্মীসহ অন্তত ২৬ জন নিহত এবং প্রায় ৬২ জন আহত হওয়ার পাঁচ দিন পর বেলুচিস্তানে এই সেনা অভিযান চালানো হলো।
শনিবারের হামলার দায় স্বীকার করে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) বলে, রেলস্টেশনে উপস্থিত সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে রেল স্টেশনে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ২৫
বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠী বিএলএ। তবে শনিবারের হামলার পর পাকিস্তানের প্রশাসন গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করার অঙ্গীকার করে।
অন্যদিকে, আজ ভোরে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তানি তালেবানের একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে আট জঙ্গিকে হত্যা ও ছয়জনকে আহত করেছে বলে পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
নিহত সন্ত্রাসীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত পাকিস্তানি তালেবানের সদস্য, যা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান নামে পরিচিত। এরা আফগানিস্তানের তালেবানের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, দেশজুড়ে কোথাও কোনো সন্ত্রাসীর সন্ধান পাওয়া গেলে তাকে নির্মূল করতে নিরাপত্তাকর্মীরা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন পরিচালনা করছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
১ দিন আগে
শ্রীলঙ্কায় সংসদ নির্বাচনের ভোট চলছে
শ্রীলঙ্কায় সংসদীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার(১৪ নভেম্বর) ভোট দিতে কেন্দ্রগুলোতে হাজির হয়েছেন লঙ্কানরা। দেশটির এই নির্বাচনকে মার্কসবাদী নতুন প্রেসিডেন্টের দলের ক্ষমতাকে সুসংহত করা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি পূরণের মূল চাবিকাঠি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ব্রিটিশ শাসন থেকে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। এর পর থেকে দ্বীপরাষ্ট্রটি শাসন করে আসছে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলগুলো। চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুরোনো দলগুলোকে পেছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে।
তবে দিশানায়েকের ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে তার দলের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে তার দল ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার পার্টিকে অবশ্যই উল্লেখযোগ্যভাবে ভোট বাড়াতে হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তারা যে ৪২ শতাংশ আসনে জিতেছিল। তবে ২২৫ আসনের সংসদের নিয়ন্ত্রণ নিতে হলে ন্যূনতম ১১৩টি আসবে জয় পেতে হবে।
২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এনপিপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো দলটি শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দৃশ্যপটে তুলনামূলকভাবে নবাগত। এছাড়া দলটির অনেক প্রার্থী ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর সুপ্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে একেবারে নতুন মুখ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্ক্সবাদী দিশানায়েকের জয়
শ্রীলঙ্কার আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনি ব্যবস্থায় সংসদীয় ২২৫টি আসনের মধ্যে ১৯৬টি আসন রয়েছে। এই ব্যবস্থার অধীনে প্রতিটি জেলায় প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুসারে দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টন করে।
অবশিষ্ট ২৯টি আসনকে জাতীয় তালিকার আসন বলা হয়। দলগুলোর দেশব্যাপী প্রাপ্ত মোট ভোটের অনুপাত অনুসারে দল এবং স্বতন্ত্র দলগুলোর মাঝে বণ্টন করা হয়।
নির্বাচিত সংসদ সদস্য পদে ১৯৬টি আসনের বিপরীতে ৮ হাজার ৮২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী সাজিথ প্রেমাদাসা এবং তার সামাগি জানা বালাওয়েগায়া বা ইউনাইটেড পিপলস পাওয়ার পার্টি এনপিপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
দিশানায়েকে তার দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় ভোটারদের সংসদে নির্বাচিত করতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তিনি যে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের জন্য তাকে একটি জোটের উপর নির্ভর করতে না হয়।
শুক্রবার নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কানদের জন্য এই নির্বাচন একটি সিদ্ধান্তমূলক সময় হিসেবে সামনে এসেছে। কারণ, সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য লড়াই করছে দেশটি। এর আগে ২০২২ সালে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় দ্বীপরাষ্ট্রটিকে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে রেল স্টেশনে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ২৫
১ দিন আগে
পাকিস্তানে রেল স্টেশনে বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ২৫
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা শহরের একটি রেলস্টেশনে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সমন্বয়কারী ওয়াসিম বেগ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গুরুতর আহতদের অন্তত পাঁচজনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে ৬২ জন আহত হয়েছেন যাদের বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের একটি সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আরও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলুচ জানিয়েছেন, কোয়েটা থেকে রাওয়ালপিন্ডি শহরের উদ্দেশে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। এ সময় বিস্ফোরণটি ঘটে।
এদিকে বিবৃতি দিয়ে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি।
বিবৃতিতে তারা জানায়, রেল স্টেশনে অবস্থানরত সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করে আত্মঘাতী হামলাকারীরা।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির এ দাবির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কুয়েটা রেল স্টেশনে বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
টিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের লাগেজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
তেল ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় কিন্তু সবচেয়ে কম জনবহুল প্রদেশ। দেশটির জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু বেলুচদের একটি কেন্দ্রও এটি। কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য ও শোষণের শিকার হচ্ছেন বলে অনেকদিন ধরে তারা অভিযোগ করে আসছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি প্রদেশটিতে ইসলামী জঙ্গি সংগঠনগুলোও সক্রিয়।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি প্রায়ই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী এবং পাকিস্তানে বেইজিংয়ের বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অবকাঠামোগত প্রকল্প নির্মাণের কাজে নিয়োজিত চীনা নাগরিকসহ বিদেশিদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
৬ দিন আগে
পাকিস্তানের কুয়েটা রেল স্টেশনে বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে শক্তিশালী বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। হামলায় আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
শনিবার বেলুচিস্তানের রাজধানী কুয়েটার রেল স্টেশনে এ বোমা হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলুচ জানিয়েছেন, কুয়েটা থেকে রাওয়ালপিন্ডি শহরের উদ্দেশ্যে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। এ সময় বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে বিবৃতি দিয়ে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি।
আরও পড়ুন: গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত
বিবৃতিতে তারা জানায়, আত্মঘাতী বোম্বাররা রেল স্টেশনে অবস্থানরত সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির এ দাবির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
টিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের লাগেজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
কুয়েটা পুলিশের কর্মকর্তা আয়েশা ফয়েজ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন যাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
এর আগে, সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেছিলেন, হামলায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন মারা গেছেন।
তেল ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় কিন্তু সবচেয়ে কম জনবহুল প্রদেশ। এটি দেশটির জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু বেলুচদের একটি কেন্দ্রও। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য ও শোষণের শিকার হচ্ছেন বলে অনেকদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি, প্রদেশটিতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলোও সক্রিয় রয়েছে।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনী এবং পাকিস্তানে বেইজিংয়ের বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অবকাঠামোগত প্রকল্প নির্মাণের কাজে নিয়োজিত চীনা নাগরিকসহ বিদেশিদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
৬ দিন আগে
মিয়ানমারের রাখাইনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস জাতিসংঘের
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও শক্তিশালী জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতে জর্জরিত এবং রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল রাখাইন রাজ্য শিগগিরই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বলেছে, ‘একটি মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে’, যা পশ্চিম রাখাইনকে ‘অভূতপূর্ব বিপর্যয়ের কিনারায়’ ঠেলে দিয়েছে।
মিয়ানমার ও প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে পণ্য প্রবাহে সীমাবদ্ধতা, বাসিন্দাদের আয়-রোজগারের অভাব, মুদ্রাস্ফীতির উচ্চ হার, খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য হ্রাস এবং প্রয়োজনীয় সেবা ও সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাবের মতো একাধিক পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত সমস্যার কথা বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
ইউএনডিপি জানিয়েছে, ‘অত্যন্ত বিপন্ন এই জনসংখ্যা আসন্ন মাসগুলোতে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারে।’
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার বহুদিন ধরেই রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাংলাদেশ থেকে আসা ‘বাঙালি’ হিসেবে দেখে আসছে। যদিও তাদের পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে দেশটিতে বসবাস করছে। ১৯৮২ সাল থেকে প্রায় সবাইকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের একটি গোষ্ঠীর হামলার পর সেনাবাহিনী নির্মম অভিযান শুরু করে তাদের বিরুদ্ধে। এতে অন্তত ৭,৪০,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে গণতন্ত্রপন্থি গেরিলা এবং বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত নভেম্বরে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আরাকান আর্মি রাখাইনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে এবং রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। রাখাইন জাতিগত সংখ্যালঘু আন্দোলনের শসস্ত্র বাহিনী হিসেবে পরিচিত এই আরাকান আর্মি সামরিক বাহিনীকে উৎখাতের চেষ্টা চালানো সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর জোটেরও সদস্য।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) তাদের ২০২৩ ও ২০২৪ সালের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে জানায়, ‘রাখাইনের অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে গেছে, যেখানে বাণিজ্য, কৃষি ও নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো প্রায় স্থবির অবস্থায় রয়েছে।’
ইউএনডিপি জানায়, অবরোধের কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকায় মানুষের আয় কমে গেছে এবং একই কারণে কৃষিখাতের চাকরিও হ্রাস পাচ্ছে।
এছাড়া, সিমেন্ট আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ‘ব্যাপক দাম বেড়েছে’ এবং চাকরির প্রধান কর্মস্থল হিসেবে পরিচিত নির্মাণ শিল্পও অচল হয়ে পড়েছে।
“রাখাইন: এক দুর্ভিক্ষের সূত্রপাত” শিরোনামের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাখাইন শিগগরিই চরম দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ রাখাইনের অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন তার চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ পূরণ করতে পারবে।’
জাতিসংঘ বলছে, ‘বীজ ও সার সংকট, বৈরী আবহাওয়া, আর চাষাবাদ করতে পারছে না আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এমন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং চলমান সংঘাতের কারণে চাল উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য প্রায় সম্পূর্ণই স্থবির হয়ে পড়া ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে অনাহারের ঝুঁকিতে ফেলবে।’
রাখাইনে পণ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ, ত্রাণকর্মীদের অবাধ প্রবেশাধিকার, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং কৃষি খাত পুনরুদ্ধারে জরুরি অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে ইউএনডিপি।
ইউএনডিপি সতর্ক করে বলেছে, ‘জরুরি ব্যবস্থা না নিলে ৯৫ শতাংশ জনগণ বেঁচে থাকার সংগ্রামে পিছিয়ে পড়বে। তারা দেশীয় উৎপাদনে ব্যাপক হ্রাস, চরম মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাপক বেকারত্ব এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নিজেদের মতো করে টিকে থাকতে বাধ্য হবে।’
সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘বাণিজ্য রুট বন্ধ এবং ত্রাণ কার্যক্রমে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে রাখাইন গভীর মানবিক সংকটাপন্ন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’
১ সপ্তাহ আগে
ট্রাম্পকে অভিনন্দন শির, দুই দেশের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সঠিক পথ খোঁজার আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
দুই দেশের মধ্যে নতুন যুগে সঠিক সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান শি। তিনি বলেন, এটি উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের জন্য কল্যাণকর হবে।
শি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার মাধ্যমে লাভবান হয় এবং সংঘাতের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়‑ইতিহাস থেকেই এই শিক্ষাই পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় প্রশাসন গঠনে ট্রাম্পের ব্যাপক পরিকল্পনা
তিনি বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীল, সুদৃঢ় ও টেকসই সম্পর্ক দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে।
উভয় পক্ষ পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতার নীতিগুলো বজায় রাখবে, সংলাপ ও যোগাযোগ জোরদার করবে, মতপার্থক্যগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করবে এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতার প্রসার ঘটাবে বলে আশাবাদী শি।
একই দিনে, যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জে.ডি. ভ্যান্সকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেং।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের অভিনন্দন
১ সপ্তাহ আগে
১৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দেরিতে এবার মাউন্ট ফুজিতে তুষারপাত
জাপানের মাউন্ট ফুজিতে এই মৌসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে বৃহস্পতিবার। অস্বাভাবিক উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে গত ১৩০ বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে দেরিতে তুষারপাত হলো বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
প্রতি বছর ফুজি তুষারে ঢেকে যাওয়ার ঘটনা সরকারিভাবে ঘোষণা করে কোফুর স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জাপানি সংবাদপত্র আসাহী শিম্বুনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৬টায় মাউন্ট ফুজির শিখর তুষারে ঢেকে যায়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এবার নির্ধারিত সময়ের পরে ফুজির শিখর তুষারে ঢেকেছে। এর আগে ১৯৫৫ ও ২০১৬ সালে ২৬ অক্টোবর এটি হয়েছিল। এবার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল। ১৮৯৪ সাল থেকে এই রেকর্ড রাখা শুরু হয়।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে শিযুওকা ও ইয়ামানাশি অঞ্চলের ৩ হাজার ৭৭৬ মিটার উঁচু পর্বতের চূড়ায় তাপমাত্রা মাইনাস ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
বুধবার কিছু স্থান থেকে তুষারপাত দেখা গিয়েছে। কিন্তু মেঘের কারণে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় তুষারপাত নিশ্চিত করতে পারেনি ইয়ামানাশির দিকের কোফু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অক্টোবরে পর্বতচূড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডে গড়েছে। এ কারণে বৃষ্টিপাত হয় এবং তুষারপাত হয়নি।
সাধারণত মাউন্ট ফুজিতে প্রথম তুষারপাত ২ অক্টোবর হয়। তবে ২০২৩ সালের রেকডেৃ দেখা গেছে প্রথম তুষারপাত ৫ অক্টোবর।
১ সপ্তাহ আগে
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে ৭ সন্ত্রাসী নিহত
দেশব্যাপী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পৃথক অভিযানে সাত সন্ত্রাসী নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের উপজাতীয় জেলায় গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযানে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে পাশের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায়। সেনারা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুলি বিনিময় শুরু হয়। এতে পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং আরও তিনজন আহত হয়।
এ ছাড়াও সোমবার পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
১ সপ্তাহ আগে