এশিয়া
ভারতকে ‘অসহযোগিতাকারী’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভারতকে 'অসহযোগিতাকারী' দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। সাধারণত এই তালিকাভুক্ত দেশগুলোর বিরুদ্ধে নির্বাসন বা বিতারণ প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এই তালিকায় ভারত ছাড়াও রয়েছে ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলা।
আইসিই বলেছে, এই দেশগুলো সাক্ষাৎকার পরিচালনা, সময়মতো ভ্রমণের নথি সরবরাহ করা এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদের প্রত্যাবাসন সহজতর করার মতো মূল প্রক্রিয়াগুলোতে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু বুধবার
আইসিইর মতে, যুক্তরাষ্ট্র ১৮ হাজার ভারতীয়সহ সাড়ে ১৪ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসীকে বহিষ্কারের পরিকল্পনা করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে।
যদিও অনেক ভারতীয় অভিবাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের অবস্থা নিয়মিত করার চেষ্টা করছেন, তবে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি অনথিভুক্ত অভিবাসীর দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে হন্ডুরাস। দেশটির ২ লাখ ৬১ হাজার জন যুক্তরাষ্ট্রে অনথিভুক্ত। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীন ৩৭ হাজার ৯০৮ জন অনথিভুক্ত অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। আর ভারত রয়েছে ১৩তম অবস্থানে।
আরও পড়ুন: নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
৩ দিন আগে
তামিলনাড়ুতে হাসপাতালে আগুন, নিহত ৭
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে এক শিশুসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই থেকে প্রায় ৪৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে ডিন্ডিগুল জেলার ত্রিচি রোডের ওই হাসপাতালে আগুন লাগে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে সিটি হাসপাতালের অভ্যর্থনা বিভাগে আগুন লাগে। এরপর মুহূর্তের মধ্যে তা অর্থোপেডিক কেয়ার ইউনিটসহ পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।’
অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার পর লিফটের ভেতরে আটকে পড়া ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সম্ভবত শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।’
‘লিফটে আটকে পড়াদের প্রায় শ্বাসরোধ হয়ে গিয়েছিল। উদ্ধারের পর দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়।’
ওই কর্মকর্তা জানান, কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তা নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
৩ দিন আগে
অক্টোবর পর্যন্ত ৩৪১ সন্ত্রাসী হত্যা করেছে পাকিস্তান
চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দেশজুড়ে ১২ হাজার ৮০১টি অভিযান পরিচালনা করে মোট ৩৪১ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বনির্ধারিত এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়ার পর এসব অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়াও, পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে ৪০০ জন, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ থেকে ২০৩ জন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশ থেকে ১৭৩ জন, দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশ থেকে ২১ জন এবং উত্তর গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চল থেকে তিনজনসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে প্রায় ৮০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন সম্পর্কিত মামলায় এ সময়ের মধ্যে ২ হাজার ৪৬৬ জনকে গ্রেপ্তার এবং আরও ৫২৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এই সময়ে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মোট ৫৮ কোটি ১০ লাখ রুপিউদ্ধার করেছেন পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
৪ দিন আগে
নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। বুধবার রাতে ওই অঞ্চলের একটি মহাসড়কে একটি প্রাইভেট কার উল্টে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে জাজারকোট জেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাতজন যাত্রী নিয়ে গাড়িটি রাস্তা থেকে নিচে পড়ে যায়।
জেলা পুলিশের ইন্সপেক্টর হরি রাম ডাঙ্গি জানান, বিমানটি প্রায় ৭০০ মিটার গভীর একটি পাহাড় থেকে নিচে পড়ে।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ব্রেক ফেলের কারণে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। আহত অবস্থায় বাকি দুজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।
এর ফলে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটল।
৫ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর আত্মহত্যার চেষ্টা দ. কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধানের
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিতর্কিত সামরিক আইন ঘোষণায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর আটক অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
আটক কেন্দ্রের কর্মীরা তার আত্মহত্যাচেষ্টা প্রতিরোধ করেছেন এবং সাবেক এই মন্ত্রী এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং হিউনকে বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তি যাকে ৩ ডিসেম্বর জারি করা সামরিক আইন আদেশের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে আটক করা হয়।
এই ডিক্রি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ও অর্থনীতিকে সাময়িকভাবে অচল করে দিয়েছিল এবং সারা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ তাদের তদন্ত জোরদার করছে। পুলিশ ইয়ুনের অফিসে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়েছে। অন্যদিকে দেশটির বিরোধী আইনপ্রণেতারা গত শনিবার ব্যর্থ চেষ্টার পর প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের জন্য পুনরায় একটি প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভিযোগ করেছে, ইউনের সামরিক আইন জারি অসাংবিধানিক ছিল। তিনিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত করে দলটি।
সামরিক কমান্ডাররা সাক্ষ্য দিয়েছেন,আইনপ্রণেতারা যাতে আদেশ উল্টাতে না পারে সেজন্য তাদের বাধা দিতে সৈন্যদের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন ইউন। অন্যদিকে পাল্টা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সাংবিধানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের দায়ে গত ৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে বাতিল হওয়া এই আদেশ ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়ে।
অভিশংসন প্রক্রিয়া সফল হলে সাংবিধানিক আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত ইয়ুনের ক্ষমতা স্থগিত করা হবে। পদ থেকে বরখাস্ত হলে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দেবে।
এই অস্থিরতা আন্তর্জাতিকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অস্থিরতা সম্পর্কে প্রতিবেদন করেছে। এতে বলা হয়, এটি একটি বিরল পদক্ষেপ যা দক্ষিণ কোরিয়ার অস্থিতিশীলতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা।
এদিকে, সমালোচকরা যুক্তি দেখান, চলমান রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে ইউনের সামরিক আইন জারি একটি বাড়াবাড়ি ছিল, যা এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গণতন্ত্রের বিভক্তিকে আরও গভীর করেছিল।
৬ দিন আগে
নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
নেপালের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় রাউতাহাট জেলায় একটি স্পোর্টস ইউটিলিটি গাড়ি মহাসড়ক থেকে উল্টে খাদে পড়ে আটজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ১৩ জন আরোহী নিয়ে গাড়িটি বারা জেলার একটি মন্দির দর্শন শেষে তীর্থযাত্রীদের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল।
রাউতাহাট জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা রাম কুমার মাহাতো বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেপরোয়া গতির কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান।’
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর এবং হতাহতরা সবাই সিরাহা জেলার একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানান মাহাতো।
পাহাড়বেষ্টিত নেপালে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ প্রাণ হারায়।
১ সপ্তাহ আগে
মুম্বাইয়ে বাসচাপায় নিহত ৬
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে একটি সরকারি বাস বেশ কয়েকটি যানবাহন ও পথচারীকে চাপা দিলে অনন্ত ছয়জন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
সোমবার গভীর রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাসের চালকও দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তদন্ত চলছে।
১ সপ্তাহ আগে
পাকিস্তানে ৬ সেনা নিহত
শনিবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ার কুররাম জেলায় ফ্রন্টিয়ার কর্পসের একটি তল্লাশি চৌকিতে সশস্ত্র হামলায় ছয়জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তা সালিম খান জানান, পেশোয়ার থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বাগমে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের একটি সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যদিও কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সম্প্রতি এই অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৩০ জন মারা গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে শনিবারের হামলা এই সংঘর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, কারণ উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় এক সপ্তাহে নিহত অন্তত ৩৭০: জাতিসংঘ
এই ঘটনা পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হওয়ার মধ্যেই ঘটেছে।
গত মাসে, বেলুচিস্তানের কালাত জেলায় একটি সীমান্ত চৌকিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের হামলা সাতজন সৈন্য নিহত এবং ১৫ জন আহত হন। বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) জ্বালানি প্রকল্পগুলোর উপর হামলার জন্য পরিচিত। তারা বারবার নিরাপত্তা বাহিনীর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি, তারা একটি রেলস্টেশনে বোমা হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে।
জঙ্গি সহিংসতার পুনরুত্থানের কারণে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী উভয়ের কারণেই হুমকির সম্মুখীন হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে নিহত ১২, আহত ৩৯
১ সপ্তাহ আগে
উত্তর প্রদেশে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশে শুক্রবার তিনটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত ও বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছে।
রাজ্যের পিলিভিট জেলায় শুক্রবার মধ্যরাতে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি গাড়ি খাদে পড়ে গেলে ৬ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয় বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
তিনি জানান, চিত্রকুটে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আরও ৬ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া কনৌজ জেলায় একটি বেসরকারি বাস একটি পানির ট্যাঙ্কারকে ধাক্কা দিলে ৮ যাত্রী নিহত ও ১৯ জন আহত হয়।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং এই দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
ভারতে প্রায়ই অতিরিক্ত যাত্রী, রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখ সড়ক দুর্ঘটনায় দেশটিতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়।
১ সপ্তাহ আগে
পাকিস্তানে পৃথক সেনা অভিযানে ৮ সন্ত্রাসী নিহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে দুটি পৃথক সামরিক অভিযানে আট সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণমাধ্যম শাখা ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে জানায়, প্রদেশের দুটি পৃথক স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি টের পেয়ে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে একজন রিং লিডারসহ দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়। এছাড়া, সেখান থেকে আরও দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপর এক অভিযানে প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত জেলায় ছয় জঙ্গি নিহত হয়। নিহতরা ওই এলাকায় বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট কিলিংয়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল বলে জানায় আইএসপিআর।
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, দেশজুড়ে কোথাও কোনো সন্ত্রাসীর সন্ধান পাওয়া গেলে তাকে নির্মূল করতে নিরাপত্তাকর্মীরা ক্লিয়ারেন্স অপারেশন পরিচালনা করছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
১ সপ্তাহ আগে