বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর উদযাপিত
তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও দুই দেশের বন্ধুসুলভ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণ পরিবেশে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল তিমুর-লেস্তের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রাম, দৃঢ়তা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন।
তিমুর-লেস্তে সরকারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা—অ্যাম্বাসেডর জর্জে কেমোয়েন্স, মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়, এবং ইমানুয়েল টিলম্যান, পরিচালক, পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়—অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তারা বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন ও কূটনৈতিক সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল ও এনভয় লেগেসি এবং শেল্টেক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের সম্পর্ক আরও গভীর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি শুধু উৎসব নয়; বরং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করার একটি মাধ্যম। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তিমুর-লেস্তের আসিয়ানের ১১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক যোগদান দুই দেশের জন্য নতুন সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
সংবর্ধনা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। দুই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতিফলনই আয়োজিত সন্ধ্যার মূল বার্তা ছিল।
৫ দিন আগে
চীনের বিনিয়োগে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
চীনের বিনিয়োগে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়নার (এক্সিম ব্যাংক) ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং দোংনিং -এর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে, যা উন্নত দেশগুলোসহ চীনের জন্য রপ্তানি পণ্যের উৎপাদন করবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্যসেবা খাতেও চীনা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সৌর শক্তির বৃহত্তম উৎপাদক হিসেবে চীন বাংলাদেশের ‘গ্রিন এনার্জি’ সংক্রান্ত বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা চীনা শিল্পগুলোকে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানান এবং দেশের তরুণ শ্রমিকদের বড় সংখ্যার ব্যবহার করার সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাট কলগুলোর পুনঃব্যবহার করে নতুন যৌথ উদ্যোগ শুরু করার প্রস্তাবও দেন।
চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইয়াং ডংনিং বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের গ্রিন প্রযুক্তি, পাট, বস্ত্র ও ফার্মাসিউটিক্যালসে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তারা পাটের মাধ্যমে শক্তি, জৈব-সার এবং প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য উৎপাদনের জন্য এক মিলিয়ন টন পর্যন্ত পাট ব্যবহার করতে প্রস্তুত।
চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে শিল্প স্থানান্তরের জন্য আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘এই অঞ্চলের সমুদ্র পর্যন্ত প্রবেশ পথ বিশাল। চীনা শিল্প এখানে স্থানান্তরিত হতে পারে, পণ্য উৎপাদন করে ধনী দেশগুলো এবং চীনে রপ্তানি করতে পারে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সংস্থা ও রেলপথ সংযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ চীনের সঙ্গে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনের সুযোগ বৃদ্ধির কথাও আলোচিত হয়।
বৈঠকে সিনিয়র সচিব লামিয়া মরশেদ এবং চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
৬ দিন আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া
কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
এই অর্থায়নে আইওএম অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পে ৭টি ক্যাম্পে জীবনরক্ষাকারী পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) কার্যক্রম জোরদার করবে এবং ১৭টি ক্যাম্পের ৪১ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য নিয়মিতভাবে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহের মাধ্যমে নিরাপদ রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করবে। আইওএমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সহায়তাটি ক্যাম্পের পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করবে, হাইজিন প্রচার জোরদার করবে এবং নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ওয়াশ সেবা নিশ্চিত করবে।
প্রকল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রোহিঙ্গা পরিবারের রান্নার জ্বালানির প্রয়োজন মেটানো। এলপিজি বিতরণ শুধু নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করে না, এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি উন্নত করে, বন উজাড় কমায়, স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করে এবং বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের জন্য সুরক্ষা বৃদ্ধি করে, যারা জ্বালানি সংগ্রহের সময় লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকির মুখে পড়ে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, চলতি বছরেও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য কোরিয়া তার মানবিক সহায়তায় দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। আমাদের এবারের সহায়তার মধ্যে রয়েছে এক কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন এবং বিপুল চাল সরবরাহ যা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কোরিয়ার অটল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। কোরিয়া আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী উভয়েই প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়, পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য টেকসই সমাধান নিশ্চিত করা যায়।
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অব্যাহত সহমর্মিতার প্রশংসা জানিয়ে আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, এ সহায়তা ক্যাম্পে বসবাসরত সংকটাপন্ন মানুষের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও টিকে থাকার সক্ষমতাকে বাড়াবে যদিও তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দীর্ঘদিনের সহযোগী। তারা সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন জরুরি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। নতুন এ সহায়তা কক্সবাজারের মানবিক পরিস্থিতি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে তাদের অব্যাহত ভূমিকারই প্রতিফলন।
২০১৭ সালে জরুরি পরিস্থিতির শুরু থেকে কোরিয়া সরকার রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে আসছে। শুধু চলতি বছরেই দেশটি বাংলাদেশে আইওএম ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাকে মানবিক সহায়তার জন্য এক কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
৯ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে ফের চিঠি দিয়েছে ঢাকা
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে আবারও ভারত সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন নতুন এই কূটনৈতিক যোগাযোগের কথা জানালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
তবে, নয়াদিল্লির একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানের দিল্লি সফর শেষের পরপরই ‘নোট ভারবাল’ পাঠানো হয়।
গত ২০ নভেম্বর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) সপ্তম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকে যোগ দেন ড. খলিলুর রহমান।
এর আগে, জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে শেখ হাসিনা ও তার সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামালের হয় মৃত্যুদণ্ড। আর রাজসাক্ষী হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কারাদণ্ড হয় পাঁচ বছরের।
এদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও কামাল ৫ অগাস্টের পর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।
রায়ের দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আবারও আহ্বান জানায়।
১১ দিন আগে
বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করলেন রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি
বন্ধু ও ভালো প্রতিবেশী হওয়ার গুরুত্বসহ বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।
তিনি দুদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব, সামাজিক ও আন্তঃব্যক্তিক বন্ধন, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সমপৃক্ততা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
ঢাকাতে অনুষ্ঠিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৫’-এর ‘অ্যামবাসেডরিয়াল রিফ্লেকশন’ সেগমেন্টে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় দুই দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, পর্যটন, যোগাযোগ ও নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগকে মাইলফলক অর্জন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২০২৬ সালে একসঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও নেপাল। এ জন্য দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে গুরত্বারোপ করেন তিনি।
নভেম্বরের ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৫’-এর আয়োজন করেছে সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজ।
১২ দিন আগে
বাংলাদেশ-ভুটানের আলোচনা, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সব ধরনের সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনার আগে দ্বিপক্ষীয় এই আলোচনায় বসেন দুই নেতা।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা তার কার্যালয়ে শেরিং তোবগেকে স্বাগত জানান।
১২ দিন আগে
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
স্বাস্থ্য সহযোগিতা এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সমঝোতা স্মারকদুটি সই হয়।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে সই করে ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের তরফে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান সমঝোতায় সই করেন।
আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা বাণিজ্য বিষয়ে দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের তরফে সই করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে সই ও নথি বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে প্রধান উপদেষ্টা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী টোবগে একান্ত বৈঠক করেন। এরপর তাদের নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিন দিনের সফরে শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। তাকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হওয়ার পর শেরিং তোবগেকে গার্ড অব অনার দেয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় শেরিং তোবগে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
শেরিং তোবগে দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এবং তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
রবিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন বাংলাদেশ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারে।
সফর শেষে ২৪ নভেম্বর সকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
১২ দিন আগে
বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই: সিএসসিকে ঢাকা
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ‘স্থিতিশীল, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ’ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। পাশাপাশি কোনো অবস্থাতেই কোনো বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিল্লিতে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সপ্তম সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তৃতার সময় এ কথা বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ কিংবা সমাজের কোনো অংশের নিরাপত্তা ও কল্যাণকে চ্যালেঞ্জ জানায়—এমন কোনো বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার সামর্থ্য আমরা রাখি না।
‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার জটিলতা মোকাবিলায় আমরা পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান, অভিন্ন স্বার্থ এবং সুবিধা ভাগাভাগির নীতিতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি। একটি স্থিতিশীল, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ অঞ্চল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে ও কাজ করতে প্রস্তুত।’
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার এবং গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বিষয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে নয়াদিল্লিতে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগতিক দেশ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মালদ্বীপ, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের স্বাগত জানান। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে সম্মেলনে অংশ নেয় সেশেলস এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল মালয়েশিয়া।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া ড. খলিলুর রহমান বলেন, কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভকে ‘উন্মুক্ত আঞ্চলিকতাবাদের’ ভিত্তিতে একটি উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক বহুপক্ষীয় সংস্থা হিসেবে বিকশিত দেখতে চায় বাংলাদেশ।
কনক্লেভের পাঁচটি চিহ্নিত কর্মস্তম্ভকে বাংলাদেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এবং সেগুলোর মাধ্যমে সমষ্টিগত নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সিএসসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এমন মূল্যবোধ ও নীতিমালা অনুসরণ করে, যা সবার যৌথ সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত মহাসাগর নিশ্চিত করার দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে। যেখানে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের নীতিমালা—এসবকে অবশ্যই প্রধান ভিত্তি হিসেবে থাকতে হবে। টেকসই উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবিক সহায়তা এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের সামুদ্রিক ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালনে অটল। জলদস্যুতা, অবৈধ মাছ ধরা, সামুদ্রিক সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধ মোকাবিলায় আমরা মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। অতীতে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের কিছু চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশও মোকাবিলা করেছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে সব প্রকার সন্ত্রাসবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করি।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের (মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন) হুমকির মুখোমুখি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। বাংলাদেশের অঙ্গীকার হলো নিজস্ব সাইবার স্পেস, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও প্রযুক্তিকে সুরক্ষিত রাখা; শুধু নাগরিকদের নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্যই নয়, বরং নিশ্চিত করার জন্য যে বাংলাদেশ থেকে কোনো কর্মকাণ্ড যেন আঞ্চলিক বা বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য হুমকিস্বরূপ না হয়।
আঞ্চলিক নিরাপত্তার জটিলতা মোকাবিলায় পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান, অভিন্ন স্বার্থ এবং সুবিধা ভাগাভাগির নীতিতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘একটি স্থিতিশীল, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ অঞ্চল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে ও কাজ করতে প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘পারস্পরিক বিশ্বাস ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যেকোনো বিষয়ে অভিন্ন সমাধান খুঁজে পেতে আমরা প্রস্তুত। বাংলাদেশ এই কনক্লেভকে একটি উন্মুক্ত আঞ্চলিকতাবাদচালিত, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক বহুপক্ষীয় সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠার প্রত্যাশা করে।’
এর আগে, বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. খলিলুর রহমান। বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, তারা সিএসসি-এর কাজ এবং গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
১৪ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবি বাংলাদেশের
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাদের নিজ দেশে ফেরানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গৃহীত প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি এ সংকটের টেকসই সমাধান এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে ফেরার জন্য নতুন করে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং ১০৫টি দেশ এতে সমর্থন জানায়।
২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ প্রস্তাব গৃহীত হয়ে আসছে। এ বছরের প্রস্তাবে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাধাদান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রে জোর করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের এই কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য এই কমিটি আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৯ নভেম্বর প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। গত ৮ বছরে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি বলে হতাশাও ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৪ দিন আগে
শ্রমবাজার খুললেও মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা সম্ভব নয়: আসিফ নজরুল
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ফের শ্রমবাজার খুললেও ১০টি শর্ত যুক্ত করেছে মালয়েশিয়া, যেগুলোকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে ঢাকা। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা সম্ভব নয়। এগুলো পূরণ করতে গেলে আবারও সিন্ডিকেট হবে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) হোটেল শেরাটন ঢাকায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র সহযোগিতায় তৈরি ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্লাটফর্মের (ওইপি) উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অতীতে বহুবার জটিলতা এবং সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে। ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে একবার বন্ধ হওয়ার পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে ২০২২ সালে এটি আবার চালু হয়। কিন্তু সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশসহ অন্যান্য কর্মী প্রেরণকারী দেশ (যেমন: ভারত, নেপাল, মিয়ানমার) থেকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
গত অক্টোবরের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা যৌক্তিক করার জন্য ১০টি বাধ্যতামূলক মানদণ্ড নির্ধারণ করে। তাদের দাবি, এতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এই শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: কমপক্ষে ৫ বছর কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; বিগত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী পাঠানোর রেকর্ড থাকতে হবে; অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুটের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে; নিজস্ব প্রশিক্ষণ সুবিধা থাকতে হবে; মানবপাচার, জোরপূর্বক শ্রম, মানি লন্ডারিং বা অন্য কোনো অপরাধে সংশ্লিষ্ট না থাকার রেকর্ড থাকতে হবে।
বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠনসহ অনেকেই এই শর্তগুলোকে ‘অযৌক্তিক, অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক’ বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে যে ১০টা শর্ত দিয়েছে, কয়েকটা শর্তের ব্যাপারে আমরা শক্ত আপত্তি জানিয়েছি। আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কথা বলার পরে মালেশিয়াকে জানিয়েছি যে এসব শর্ত মিটআপ (পূরণ) করা সম্ভব না। কারণ এগুলো মিটআপ করতে গেলে এখানে আবার সিন্ডিকেট হবে। অল্প কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সি সুযোগ পাবে। এটি আমরা চাই না।’
তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া আশ্বাস দিয়েছে যে তারা এগুলো বিবেচনা করবে। শ্রমবাজার সবসময় সবার জন্য উন্মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলাপ অব্যাহত রাখব।’
১৫ দিন আগে