বৈদেশিক-সম্পর্ক
বিদেশি দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে ঢাকা
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনের প্রধানদের অবহিত করেছে সরকার। এ সময় বিদেশি দূতাবাসগুলোকে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক বৈঠক বিদেশি মিশনের প্রধানদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন যে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে, ব্রিফিংয়ে সেটা তাদের জানানো হয়েছে। তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাতেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।
তিনি বলেন, এ ছাড়া স্বশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সদাসতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছেন, এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দূতাবাসগুলোকে তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে ঢাকার দূতাবাসগুলোর প্রায় ৪০ জন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগে
ঢাকার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু হয়েছে
নিরাপত্তাজনিত কারণে গতকাল দুপুরের পর বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকার ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক)। তবে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ভিসা সেন্টারের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আইভ্যাকের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা আবেদনকারীদের সম্মুখীন হওয়া সমস্যাগুলো বুঝতে পারছি। পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভিত্তিতে আইভ্যাকের কার্যক্রম পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে।
বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির আলোকে বাংলাদেশের অন্যান্য আইভ্যাকগুলোর ভিসা পরিষেবাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এর আগে চলমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বুধবার দুপুর ২টার পর আর কোনো কার্যক্রম চলবে না।
এতে আরও বলা হয়, যেসব আবেদনকারীর আজকের (বুধবার) স্লট বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত ছিল, তাদের জন্য পরবর্তী সময়ে নতুন একটি তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সুদানে আহত বেড়ে ৯, শান্তিরক্ষীদের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাল আইএসপিআর
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ড্রোন হামলায় আরও একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে করে দেশটিতে আহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা ৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮ জন শান্তিরক্ষী আহত হন। পরবর্তীতে প্রাপ্ত হালনাগাদ তথ্যে আরও একজন শান্তিরক্ষী আহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে তারা কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগও করেছেন। বর্তমানে আহতদের সবাই আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ওই হামলায় নিহত ছয় শান্তিরক্ষীর মরদেহ আগামী ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরানোর কথা রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে প্রত্যাবর্তনের পর যথাযথ মর্যাদায় তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
গত ১৩ ডিসেম্বর আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী পরিচালিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন দায়িত্বরত শান্তিরক্ষী নিহত হন।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি, বিশেষ করে ভারতীয় হাইকমিশন ও দপ্তরগুলোর আশপাশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ জানাতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
এ সময় ঢাকায় ভারতীয় মিশন ঘিরে সৃষ্ট সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাকে ঘিরে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যে মিথ্যা বয়ান তৈরি করার চেষ্টা চলছে, তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে ভারত।
‘অন্তর্বর্তী সরকার ঘটনাগুলোর বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করেছে না, এমনকি ভারতের সঙ্গে অর্থবহ কোনো প্রমাণও ভাগ করছে না। এটি দুঃখজনক।’
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যার শেকড় মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে যৌথ সংগ্রামে প্রোথিত। পরবর্তীতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ ও দুদেশের জনগণের যোগাযোগের মাধ্যমে তা আরও দৃঢ় হয়েছে।
বাংলাদেশের শান্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে ভারত আরও বলেছে, ‘আমরা বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে আসছি।’
একই সঙ্গে কূটনৈতিক দায়িত্বের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশন ও পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।
১ দিন আগে
দুপুর ২টার পর ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
চলমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বুধবার দুপুর ২টার পর আর কোনো কার্যক্রম চলবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব আবেদনকারীর আজকের (বুধবার) স্লট বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত ছিল, তাদের জন্য পরবর্তী সময়ে নতুন একটি তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব খুনিদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া ও ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল, মিডিয়ালীগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ ‘মার্চ টু হাইকমিশন’ কর্মসূচি পালন করবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা ঐক্যবদ্ধ মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
১ দিন আগে
বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ইইউ’র
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এ উপলক্ষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভার্স ইজাবসকে প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ইইউ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালে এটি হবে বিশ্বের যেকোনো স্থানের মধ্যে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলন।
বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ জানিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের উচ্চ প্রতিনিধি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজা কালাস বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইভার্স ইজাবস বলেন, বাংলাদেশে ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের নেতৃত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। এই মিশন নির্বাচনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন তুলে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, এই মিশন বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষার আকাঙ্ক্ষার প্রতি ইইউর সমর্থনের বাস্তব উদাহরণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী পুরো নির্বাচনি প্রক্রিয়া মূল্যায়ন করবে। একই সঙ্গে প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও মতবিনিময় করবে।
১ দিন আগে
শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগ জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার আহ্বান জানিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য অব্যাহত রাখার অনুমতি দেওয়ায়’ বাংলাদেশ সরকারের গভীর উদ্বেগের কথা ভারত সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এ ছাড়াও আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার চেষ্টায় জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া রোধ করতে এবং যদি তারা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, তবে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের কাছ থেকে প্রত্যাশিত।
এ সময় ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, ভারত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
৪ দিন আগে
বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর উদযাপিত
তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও দুই দেশের বন্ধুসুলভ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণ পরিবেশে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল তিমুর-লেস্তের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রাম, দৃঢ়তা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন।
তিমুর-লেস্তে সরকারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা—অ্যাম্বাসেডর জর্জে কেমোয়েন্স, মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়, এবং ইমানুয়েল টিলম্যান, পরিচালক, পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়—অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তারা বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন ও কূটনৈতিক সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল ও এনভয় লেগেসি এবং শেল্টেক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের সম্পর্ক আরও গভীর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি শুধু উৎসব নয়; বরং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করার একটি মাধ্যম। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তিমুর-লেস্তের আসিয়ানের ১১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক যোগদান দুই দেশের জন্য নতুন সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
সংবর্ধনা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। দুই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতিফলনই আয়োজিত সন্ধ্যার মূল বার্তা ছিল।
১৯ দিন আগে
চীনের বিনিয়োগে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
চীনের বিনিয়োগে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়নার (এক্সিম ব্যাংক) ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং দোংনিং -এর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে, যা উন্নত দেশগুলোসহ চীনের জন্য রপ্তানি পণ্যের উৎপাদন করবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্যসেবা খাতেও চীনা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সৌর শক্তির বৃহত্তম উৎপাদক হিসেবে চীন বাংলাদেশের ‘গ্রিন এনার্জি’ সংক্রান্ত বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা চীনা শিল্পগুলোকে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানান এবং দেশের তরুণ শ্রমিকদের বড় সংখ্যার ব্যবহার করার সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাট কলগুলোর পুনঃব্যবহার করে নতুন যৌথ উদ্যোগ শুরু করার প্রস্তাবও দেন।
চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইয়াং ডংনিং বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের গ্রিন প্রযুক্তি, পাট, বস্ত্র ও ফার্মাসিউটিক্যালসে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তারা পাটের মাধ্যমে শক্তি, জৈব-সার এবং প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য উৎপাদনের জন্য এক মিলিয়ন টন পর্যন্ত পাট ব্যবহার করতে প্রস্তুত।
চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে শিল্প স্থানান্তরের জন্য আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘এই অঞ্চলের সমুদ্র পর্যন্ত প্রবেশ পথ বিশাল। চীনা শিল্প এখানে স্থানান্তরিত হতে পারে, পণ্য উৎপাদন করে ধনী দেশগুলো এবং চীনে রপ্তানি করতে পারে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সংস্থা ও রেলপথ সংযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ চীনের সঙ্গে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনের সুযোগ বৃদ্ধির কথাও আলোচিত হয়।
বৈঠকে সিনিয়র সচিব লামিয়া মরশেদ এবং চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
২০ দিন আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া
কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
এই অর্থায়নে আইওএম অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পে ৭টি ক্যাম্পে জীবনরক্ষাকারী পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) কার্যক্রম জোরদার করবে এবং ১৭টি ক্যাম্পের ৪১ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য নিয়মিতভাবে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহের মাধ্যমে নিরাপদ রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করবে। আইওএমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সহায়তাটি ক্যাম্পের পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করবে, হাইজিন প্রচার জোরদার করবে এবং নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ওয়াশ সেবা নিশ্চিত করবে।
প্রকল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রোহিঙ্গা পরিবারের রান্নার জ্বালানির প্রয়োজন মেটানো। এলপিজি বিতরণ শুধু নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করে না, এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি উন্নত করে, বন উজাড় কমায়, স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করে এবং বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের জন্য সুরক্ষা বৃদ্ধি করে, যারা জ্বালানি সংগ্রহের সময় লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকির মুখে পড়ে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, চলতি বছরেও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য কোরিয়া তার মানবিক সহায়তায় দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। আমাদের এবারের সহায়তার মধ্যে রয়েছে এক কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন এবং বিপুল চাল সরবরাহ যা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কোরিয়ার অটল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। কোরিয়া আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী উভয়েই প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়, পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য টেকসই সমাধান নিশ্চিত করা যায়।
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অব্যাহত সহমর্মিতার প্রশংসা জানিয়ে আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, এ সহায়তা ক্যাম্পে বসবাসরত সংকটাপন্ন মানুষের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও টিকে থাকার সক্ষমতাকে বাড়াবে যদিও তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দীর্ঘদিনের সহযোগী। তারা সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন জরুরি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। নতুন এ সহায়তা কক্সবাজারের মানবিক পরিস্থিতি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে তাদের অব্যাহত ভূমিকারই প্রতিফলন।
২০১৭ সালে জরুরি পরিস্থিতির শুরু থেকে কোরিয়া সরকার রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে আসছে। শুধু চলতি বছরেই দেশটি বাংলাদেশে আইওএম ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাকে মানবিক সহায়তার জন্য এক কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
২৩ দিন আগে