অর্থনীতি
পুঁজিবাজারে আবারও পতন, সূচক কমলো ১০৮ পয়েন্ট
পুরো সপ্তাহজুড়ে পতন দেখলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। এক সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে ১০৮ পয়েন্ট।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয়েছিল সূচকের উত্থান দিয়ে। সেই ধারা আর অব্যাহত থাকেনি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট, যা এ সপ্তাহে লাগাতার পতনের ধাক্কায় কমে হয়েছে ৫ হাজার ৯৭ পয়েন্ট। এক সপ্তাহে ঢাকার বাজার ১০৮ পয়েন্ট সূচক হারিয়েছে।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ২ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১২৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ১৯০ কোম্পানি। ৮২ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত আছে।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ,বি এবং জেড প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল অপরিবর্তিত। ১২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির পাশাপাশি দর হারিয়েছে ৯ কোম্পানি। ১৫ কোম্পানির ইউনিটের দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন।
ব্লক মার্কেটে ২১ কোম্পানির ১৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। বিচ হ্যাচারি সর্বোচ্চ ১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৩৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩৯৬ কোটি টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। অন্যদিকে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল।
শেয়ার কিনবে এসিআই
বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৪ লাখ শেয়ার কেনার কথা জানিয়েছে এসিআই লিমিটেড। ডিএসইকে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা বর্তমান বাজার মূল্যে ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ শেয়ার কেনার বার্তা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের ক্লোজিং প্রাইস অনুযায়ী, বাজারে এসিআই'র প্রতিটি শেয়ার ১৯৪ দশমিক ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১১ টাকা হয়েছিল।
এ ক্যাটাগরির এ কোম্পানিটি ২০২৪ সালে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা এ যাবৎকালে সর্বনিম্ন। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির প্রদত্ত লভ্যাংশের পরিমাণ ছিল ৪০ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ছিল ৫০ শতাংশ।আরও পড়ুন: পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার
কোম্পানিটির পরিচালকদের মধ্যে বাজার থেকে শেয়ার কেনার পরিমাণ বেড়েছে গত কয়েক মাস ধরে। ২০২৪ সালের জুনের হিসাব অনুযায়ী এসআইয়ের পরিচালকদের হাতে ৩৬ শতাংশ শেয়ার ছিল, যা চলতি বছর মার্চে বেড়ে হয়েছে ৪৩ শতাংশ।
বর্তমানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে কোম্পানিটির ২১ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো টানা পতনে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৬৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল নিম্নমুখী। ১৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০, কমেছে ১০১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। সারাদিনে মোট ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে অ্যারামআইটি লিমিটেড।
৩ দিন আগে
ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
৩ দিন আগে
পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
টানা তিন কার্যদিবসেই পতনের সাক্ষী হলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। দুই বাজারেই কমেছে সূচক, পড়ে গেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট। কমেছে বাকি দুই সূচকও; শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৭ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ১৫ পয়েন্ট।
ক্ষুদ্র ও মধ্যম ধাচের কোম্পানিগুলোর এসএমই সূচকও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ডিএসএমইএক্স সূচক হারিয়েছে ১৩ পয়েন্ট।
ডিএসই'র প্রধান সূচক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট নিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। যা তিন দিনে দফায় দফায় কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ, সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে ১২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও বিপরীতে দাম কমেছে ২১২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৭ কোম্পানির, ৭ কোম্পানির ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত আছে।
ডিএসই'র ব্লক মার্কেটে ২২ কোম্পানির ২১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এসিআই লিমিটেড সর্বোচ্চ ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: দোদুল্যমান সূচকে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
নিম্নমুখী সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও ভাটা পড়েছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনের লেনদেনে ৩৯৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪৪৬ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে দেশ জেনারেল ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ দাম কমে তলানিতে এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কমেছে সূচকের পরিমাণ। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২১ কোম্পানির এবং বেড়েছে ৬২ কোম্পানির। ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে। সারাদিন ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে—যা গতদিন ছিল ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে ইস্টার্ন ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
৪ দিন আগে
দোদুল্যমান সূচকে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও সূচকের দশা দোদুল্যমান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (১৬ এপ্রিল) লেনদেনের শুরুতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএসের অবস্থান শূন্যের নিচে এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৯, কমেছে ১২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৮০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় সার্বিক সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৫ কোম্পানির মধ্যে ৫৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৫২ কোম্পানি এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির।
সিএসইতে লেনদেনের প্রথমার্ধে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
৪ দিন আগে
পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
৫ দিন আগে
দুই সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম কমবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
দুই সপ্তাহের মধ্যেই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এ সময়ের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল চলে আসায় দাম কমবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। আশা করি নতুন ধান উঠে আসলে চালের বাজার আরও সহনীয় হয়ে উঠবে।’
এ সময় বেশ কিছুদিন ধরে চালের দাম বেশি থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বোরো ধান বাজারে আসলেই দাম কমবে। কারণ নাজিরশাইল বা মিনিকেটের মতো চিকন চালগুলো বোরো মৌসুমের চাল থেকেই আসে।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো লিটারে ১৪ টাকা
উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর আবহাওয়া ও বিদ্যৎ ঠিকভাবে ছিল। পাশাপাশি, সারের সরবরাহ ভালো থাকায় এ বছর ধানের ফলন ভালো পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শেখ বশিরউদ্দিন আরও বলেন, কৃষিপণ্য একটা গতিশীল জিনিস। তবে সব পণ্যে সরকার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেই ব্যবস্থাপনা করছে। যেসব পণ্যের দাম সহনীয় করা প্রয়োজন বলে মনে করে সরকার, সেসব পণ্যের দাম কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় ট্রাম্পের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এলে দুই দেশের বাণিজ্য নিয়ে কথা বলার সম্ভাবনা আছে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, একমাত্র এ বিষয়টিই গুরুত্ব পাবে।
৫ দিন আগে
সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো লিটারে ১৪ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৪ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। এতে এক লিটার সয়াবিনের দাম ১৭৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৯ টাকা।মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভাশেষে এ তথ্য জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল কিনতে এখন খরচ হবে ১৮৯ টাকা। আগে যা ছিল ১৭৫ টাকা। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা ছিল ৮৫২ টাকা।
বোতলজাত তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যা হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের কারনে এই মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই মুল্য আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এর আগে, গতমাসের ২৭ তারিখে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বাড়াতে চেয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেয় ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি।
আরও পড়ুন: দুদিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় দাম বাড়ানোর দাবি জানায় সমিতিগুলো।
এই নিয়ে গত সপ্তাহে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি সরকার। অবশেষে আজকের (মঙ্গলবার) বৈঠক শেষে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
৫ দিন আগে
সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন
গত কার্যদিবসে পতনের বড় ধাক্কার পর নববর্ষের ছুটি কাটিয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার, লেনদেন চলছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় কমেছে সবকটি সূচক।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৯ পয়েন্ট, শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম নিম্নমুখী। ১১৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২০৭ কোম্পানি, ৭৪ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের শুরুতেই সূচকের বড় পতন দেখল পুঁজিবাজার
দিনের প্রথমাংশে ডিএসইতে শেয়ার এবং ইউনিটের মোট লেনদেন ২৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন চলছে বড় পতনের মধ্যে দিয়ে। প্রথম দুই ঘন্টায় সার্বিক সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেন অংশ নেয়া ১৩৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৫, কমেছে ৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
৫ দিন আগে
শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ
নতুন শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার।
শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটারপ্রতি ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাপটিভে ৩১ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
আজ ১৩ এপ্রিল থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন শিল্পের পাশাপাশি এখন যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন, সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দরে বিল দিতে হবে।
বিইআরসি জানিয়েছে, যারা এরই মধ্যে গ্যাস সংযোগ পেয়েছেন, তারা আগের নির্ধারিত দামেই গ্যাস পাবেন। তবে যারা নতুন সংযোগ পেয়েছেন, সেই শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্যাসের দর প্রতি ঘনমিটারে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে বিদ্যমান গ্রাহকদের দর (শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৩১ দশমিক ৭৫ টাকা) অপরিবর্তিত রেখে নতুন ও প্রতিশ্রুত গ্রাহকদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবের ওপরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি গণশুনানি হয়। সেখানে পেট্রোবাংলার দাবি ছিল, দাম না বাড়ালে বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে পেট্রোবাংলার ওই দাবির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন: শিল্পে গ্যাসের মূল্য ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে: ডিসিসিআই
৭ দিন আগে
পতনের ধাক্কা দিয়ে শুরু পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবস
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতেই পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (১৩ এপ্রিল) লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির শেয়ার ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৮ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১০৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২০৯ কোম্পানি এবং দর অপরিবর্তিত আছে ৭৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: লেনদেনে সুবাতাস বইলেও সূচকে মন্দা
প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকার বাজারে মোট শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
একইভাবে সূচকের পতন হয়েছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৭ কোম্পানির মধ্যে ৩৮ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৬৭ কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
৭ দিন আগে