নির্বাচন
নির্বাচন সামনে রেখে জনমুখী ও উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল গ্রহণের পরামর্শ তথ্য সচিবের
আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বাড়াতে জেলা পর্যায়ে জনমুখী ও উদ্ভাবনী প্রচার কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রচার কৌশল নিবিড় ও জনস্পর্শী হতে হবে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) জুম প্ল্যাটফর্মে আসন্ন নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন তিনি। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা তথ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে এ সভা আয়োজিত হয়।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল জলিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের ৬৮ অফিসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
তথ্য সচিব বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, এ নির্বাচনে অতীতের সব নির্বাচনের চেয়ে ইউনিক ও অভূতপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। জেলা তথ্য অফিসগুলো ইনটেন্সিভ পাবলিসিটি বা জনমত গঠনের মূল দায়িত্ব পালন করবে। তিনি আজ থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করার জন্য জেলা তথ্য অফিসারদের নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন বা গ্রাম লেভেল পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে অবহিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে তথ্য অফিসাররা এ চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে। এছাড়া গুজব ও ফ্যাক্ট চেকিং-এর জন্য পিআইবি'র নেতৃত্বে ‘বাংলা ফ্যাক্ট’-এর সঙ্গে তথ্য অফিসারদের সংযোগ স্থাপন করে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তথ্য অফিসারদের একটি ইনোভেটিভ টিম হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেন সচিব। একই সাথে তারা জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুল জলিল বলেন, প্রচার কাজে অধিদপ্তরের ১০২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় করে ৩৪টি গান প্রস্তুত করা হয়েছে।
এগুলো আঞ্চলিক ভাষায় গেয়ে নির্দিষ্ট অঞ্চলে পরিবেশন করা হবে। গ্রামের হাট-বাজারে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি প্রদর্শন করা হবে। ভোট দিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রচার আরও আধুনিক ও হৃদয়গ্রাহী করা হচ্ছে। গণমুখী প্রচার কৌশলের ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং হ্যাঁ/না ভোটে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম, যুগ্ম সচিব মাহফুজা আখতার, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এবং সৈয়দ এ. মু’মেন বক্তব্য রাখেন।
১ দিন আগে
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হতে পারে: সিইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মক ভোটিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, তফসিল, আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে। তারিখগুলো (ভোটের দিন, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়) তখনই জানতে পারবেন। তফসিল ঘোষণার সময়ই সব জানানো হবে।
আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মক ভোটিং কার্যক্রম চালায় নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আদর্শ পরিবেশে কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যায়, তা দেখতেই এই কার্যক্রম। ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া জনগণকে দেখাতে এবং দুই ব্যালটে ভোট দিতে কত সময় লাগে—তা পরিমাপ করতেও এই মক ভোটিং করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনো ভালো ছিল না। এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আগেও চুরি-ছিনতাই হয়েছে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গণভোটের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষ্য, গণভোট নিয়ে এখনো সেভাবে প্রচারণা শুরুই হয়নি। সরকার এবং ইসি একসঙ্গে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে, সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গণভোটের যে বিষয়গুলো, এটা আমাদের প্রচারণার একটা বিশাল অংশ জুড়ে থাকবে। প্রচারণাটা যখন শুরু হবে, তখনি না আপনি বুঝতে পারবেন যে মানুষ জানল কি জানল না!
৫ দিন আগে
৭ দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুক্রবার পুনরায় চালু হতে পারে: ইসি
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান না করায় সাতটি দেশে সাময়িকভাবে স্থগিত থাকা প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুক্রবার পুনরায় চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দেশগুলো হলো— বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে ইসির আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন প্রকল্পের টিম লিডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সেলিম আহমদ খান বলেন, ‘শুক্রবার সকালেই অ্যাপটি আবার চালুর চেষ্টা চলছে। ছুটির দিনে প্রবাসীরা যাতে সুযোগ নিতে পারেন—সেজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’
তিনি জানান, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ চালুর পর অনেক প্রবাসী ভুল ডাক ঠিকানা দিয়েছেন। সঠিক ঠিকানা না থাকায় ডাক ব্যালট পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি নজরে আসার পর সাত দেশে নিবন্ধন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
ইসি জানায়, সংশ্লিষ্ট সাত দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে আবেদনকারীরা সঠিক ঠিকানা প্রদান করেন। ঠিকানা যাচাই সম্পন্ন হলে আগামী সপ্তাহের শেষে ডাক বিভাগের মাধ্যমে ডাক ব্যালট পাঠানো শুরু হবে।
৭ দেশে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন স্থগিত
ব্রিফিংয়ে ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই চার্টার গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী ভোটার যুক্ত হবেন বলে ইসি আশা করছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ৫৮,৫৬৩ জন প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ৪৯,৭৭৭ জন পুরুষ ও ৮,৭৮৬ জন নারী।
সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে (১০,৯৫৬)। এরপর রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া (৯,০২৮), জাপান (৬,৩৩৫), কানাডা (৬,১৮৭), অস্ট্রেলিয়া (৫,৫৭০), দক্ষিণ আফ্রিকা (৪,৩৩০) ও সিঙ্গাপুর (২,৪০৪)।
জেলাভিত্তিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১২,৪১১ জন প্রবাসী ঢাকা জেলায়, এরপর কুমিল্লা (৪,৩৪০), নোয়াখালী (৩,৭৫১), চট্টগ্রাম (৩,৬৪৫) ও সিলেট (৩,২১৯) থেকে ভোট দেবেন।
এটি দেশের প্রথম হাইব্রিড পোস্টাল ব্যালটিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৩ দেশে থাকা প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসীর জন্য ডাকভোটের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
৭ দিন আগে
৭ দেশে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন স্থগিত
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান না করায় সাতটি দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
নিবন্ধন স্থগিত রাখা দেশগুলো হচ্ছে— বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দেয়া ব্যাতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার কোনো ভোটারের কাছেই পাঠানো সম্ভব হবে না। এ কারণে বাধ্য হয়েই এই সাতটি দেশে নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে একই দিনে অনষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের গণভোটে প্রথমবারের মতো প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ গত ১৮ নভেম্বর উদ্বোধন করে ১৯ জুলাই থেকে প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়। পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ৫৩ দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমদ বলেন, বুধবার (২৬ নভেম্বর) থেকে নির্বাচন কমিশন অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধনের সময়সীমা তুলে দিয়েছে। এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে ২৬ নভেম্বর রাত ১২ টা থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইন নিবন্ধন করা যাবে।
৭ দিন আগে
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত থেকে পর্যবেক্ষক আসার অনুমতি বাংলাদেশ দেবে কি না, তা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বলেন, এটি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সহায়তা না চাইলে পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন বা আসার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি পর্যবেক্ষক মিশনকে আলাদাভাবে কোনো সহায়তা দেবে না।
মো. তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই আসন্ন নির্বাচনের পরিচালনার কাঠামো নির্ধারণ করেছেন এবং এর বাস্তবায়ন সম্পূর্ণভাবে কমিশনের ওপর নির্ভর করছে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, কেন পাঠাবো এটা হলো প্রথম প্রশ্ন। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
৮ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাসহ ১৬ দেশে ভোটার নিবন্ধন শুরু হচ্ছে আজ
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১২টা থেকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
পোস্টাল ভোট বিডি (Postal Vote BD) অ্যাপের মাধ্যমে এ নিবন্ধন করা যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
নিবন্ধন শুরু হওয়া দেশগুলো হলো— যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মেক্সিকো, কিউবা, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, পানামা, হন্ডুরাস, হাইতি, নিকারাগুয়া, গুয়াতেমালা, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা ও বাহামা দ্বীপপুঞ্জ।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমও আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো এবার প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে। পোস্টাল ভোট অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন চলাকালে ২৪ ঘণ্টা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে।
হেল্প ডেস্কের হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো নম্বর: +৮৮০১৩৩৫১৪৯৯২০, +৮৮০১৩৩৫১৪৯৯২৩–৩২, +৮৮০১৭৭৭৭৭০৫৬২; বোটিম নম্বর: +৮৮০১৩৩৫১৪৯৯২৭, +৮৮০১৩৩৫১৪৯৯২৯–৩০, +৮৮০১৭৭৭৭৭০৫৬২।
১০ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি
সুন্দর, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যে প্রতিশ্রুতি, সেটিতে সংস্থাটি অটল বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাতটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপ চলাকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, একটি সুন্দর নির্বাচন জাতির কাছে সব দলেরই ওয়াদা এবং ইসি দেশের মানুষের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ওয়াদাবদ্ধ।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা উৎসব মুখর নির্বাচনের কথা বলেন। আপনারা (রাজনৈতিক নেতারা) নির্বাচনের মূল প্লেয়ার (খেলোয়াড়)। আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে এগুতে চাই। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছি। আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। নিরপেক্ষ, সুন্দরভাবে করতে গেলে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। দল, ভোটার সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে।
১৫ দিন আগে
নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে সরকারের ৯ দিনের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয় দিনের জন্য বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামবে। এর মধ্যে নির্বাচনের আগে পাঁচ দিন, নির্বাচনের দিন এক দিন এবং নির্বাচনের পরে তিন দিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। তবে দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়সীমা সমন্বয় করা হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী এখন মাঠে আছে ৩০ হাজার সদস্য। নির্বাচনের সময় প্রায় এক লক্ষ সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে। বিজিবি থাকবে প্রায় ৩৫ হাজার, নৌবাহিনী পাঁচ হাজার, কোস্টগার্ড চার হাজার, র্যাব প্রায় আট হাজার এবং আনসার বাহিনীর সদস্য থাকবে সাড়ে পাঁচ লাখের মতো। নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় আনসার এবার বড় ভূমিকা পালন করবে। তাদের জন্য অস্ত্র এবং বডিক্যামও সরবরাহ করা হবে।’
নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সন্দেহের সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে হবে—এ নিয়ে সন্দেহের কিছু নেই।’
সরকার পরিবর্তন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে যে সরকার পতন হয়েছে, তা কোনো তিনজনের কারণে হয়নি। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন—কীভাবে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের আত্মীয়স্বজনরা পালিয়েছে। এটি একজন বা দুজনের কারণে হয়নি, হয়েছে জনগণের ইচ্ছার কারণে।’
মতবিনিময় শেষে তিনি পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্স ও কোস্টগার্ড স্টেশন পরিদর্শন করেন। পরে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
১৯ দিন আগে
সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনার পর গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
গণভোট প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সরকার থেকে গণভোট নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পেলে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি এখানে সংলাপে ছিলাম। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনিনি। কী বলেছেন, কোন লাইনে বলেছেন, আমি জানি না। যেহেতু শুনিনি, বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
‘আমরা ফরমালি বিষয়গুলো জানলে, সবাই বসে কমিশনে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের মতামত দিতে পারবো। এখন মতামত দেওয়া যথার্থ হবে না।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একইদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ইসির মতামত কী, চ্যালেঞ্জ হবে কিনা, সংসদ নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা প্রশ্নে সিইসি জানান, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজন করলে যেমন কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে, তেমনি কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি হতে পারে। তবে এতে ব্যয় অনেক কমবে।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, আলাদা দিনে গণভোট আয়োজন করলে ৮০০ কোটি থেকে ১ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই একসঙ্গে গণভোট আয়োজন করলে ব্যয় ৩০০ কোটি থেকে ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমিত থাকবে।
ইসি এখন পর্যন্ত হিসাব করেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আনুমানিক ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
২১ দিন আগে
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করাসহ ৭ দাবি হিন্দু মহাজোটের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ, নির্বিঘ্ন ভোটের পরিশে ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট’।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এসব দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।
সিইসি এসব দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন বলে বৈঠকের পরে বলেছেন হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে।
নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে কমিশন একমত হয়েছেন, জানিয়েছেন আগে থেকে এ নিয়ে কাজ করছেন। সিইসি সৌহার্দ্য পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন-শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনার সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন, আমরাও কথা দিয়েছি নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।
‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিবেশে পরিস্থিতি যেন না হয় সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।’
পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘সিইসি নিশ্চয়তা দিয়েছেন এবার কেউ আপনাদের অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বৈঠকে নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তানিশ্চিতে ৭টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিজেদের উদ্বেগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন অবস্থায় থাকি; দুর্গা পূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনও হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার হয়েছে। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’
নির্বাচন কমিশন এবার কঠোরভাবে অপরাধীদের দমনের আশ্বাস দিয়েছেন তুলে ধরে মহাজোটের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবের সাথে ইসির ভাবনার পুরোপুরি মিলে গেছে বলা হয়েছে। সিইসি আশ্বস্ত করেছেন, এ দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নিরাপত্তা নিয়ে বাসায় ফিরবেন।
‘এর ব্যত্যয় ঘটলে শক্তভাবে ব্যবস্থা নেবে ইসি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের ভয় ভীতি প্রদর্শন ও স্থাপনায় আঘাত হানলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত ভাবে ব্যবস্থা নেবে।’
প্রত্যেকটা সময় কিছু হলে হিন্দুরা সব সময় ‘বলির পাঠা’ হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবি হলো– ভোটের ১০ দিন আগে ও ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ও আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।
২৮ দিন আগে