নির্বাচন
নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান ইসির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধন দিতে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে এই আবেদন চাওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮-এ উল্লেখিত নিবন্ধনের শর্ত পূরণে সক্ষম দলের আবেদন চেয়ে সোমবার(১০ মার্চ) গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইসি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ৯০ক ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হয়।
কোনো দল ইসিতে নিবন্ধিত হলে তারা নিজস্ব প্রতীক নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।
নিবন্ধিত হতে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই তার আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইসি এনআইডি সেবা নিয়ন্ত্রণে রাখার পক্ষে: সিইসি
৪১ দিন আগে
ইসি এনআইডি সেবা নিয়ন্ত্রণে রাখার পক্ষে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাবেন।
তিনি বলেন, 'আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় আমরা দৃঢ়ভাবে আমাদের মতামত জানাব। যেখানে মতামতের প্রয়োজন হবে, আমরা মতামত দেব। আমাদের পুরো কমিশন এটাই চায়।’
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তর কক্ষের সামনে ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এ কথা বলেন।
জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সেবাসহ বেশ কিছু নাগরিক সেবাকে 'সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন' নামে একটি একক সংস্থার অধীনে আনার জন্য বর্তমান সরকার নতুন করে আইন প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রতিবাদে আন্দোলন করছিল ইসি কর্মীরা।
আগামী ১২ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ চান তারা। আর তা না নিলে নতুন কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য সাত দিনের আল্টিমেটামও দিয়েছেন তারা।
নাসির উদ্দিন বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশন থেকে এনআইডি কার্যক্রম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে বলে তিনি শোনেননি, বরং আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা সরকারকে লিখিতভাবে জানাবো, নির্বাচন কমিশনের অধীনে এটি রাখতে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে অবহিত করব।
এর আগে সোমবার (৩ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে 'নাগরিক নিবন্ধন (কমিশন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর খসড়া পর্যালোচনা করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ইসি সচিবালয়ের একজন প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।
২০২৩ সালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে স্থানান্তরের জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করে।
কিন্তু জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আইনটি বাতিলের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তিনি শুনেছেন সরকার হয়তো এক জায়গা থেকে সব ধরনের সেবা দেওয়ার কথা ভাবছে, কিন্তু এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে থাকবে।
নাসির উদ্দিন বলেন, এনআইডি ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের একটি অংশ এবং ইসি কর্মকর্তারা ১৭ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে সারা দেশে এনআইডি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। ‘সরকার অবশ্যই সব বিষয় বিবেচনায় নেবে। তথ্যের ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি থাকতে পারে। কমিশনের লিখিত মতামত পাওয়ার পর এই ঘাটতি আর অবশ্যই থাকবে না।’
তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার এবং সবার সম্মতির ভিত্তিতে তারা কাজ করছেন।
সিইসি বলেন, 'আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নই। আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করছি... আমি ইসির পক্ষ থেকে কথা বলতে পারি। সরকারের সামনে একটা অবস্থান তৈরি করতে পারি। আমরা একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সরকার আইন করলে আমাদের আইন মানতে হবে। তবে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় আমরা জরুরি ভিত্তিতে আমাদের মতামত তুলে ধরব।’
ইসি কর্মকর্তাদের উদ্বেগ ও কর্মসূচি সম্পর্কে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান আশা প্রকাশ করেন যে, নির্বাচন কমিশন থেকে এনআইডি কার্যক্রম যাতে স্থানান্তরিত না হয়, সে বিষয়ে কমিশন সব ধরনের উদ্যোগ নেবে।
তিনি বলেন, ইসির এখতিয়ার থেকে এনআইডি কার্যক্রম চলে গেলে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়বে। তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি স্মারকলিপি (সিইসি বরাবর) জমা দিয়েছি।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, এর আগেও একাধিকবার ইসি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এনআইডি সেবা সরানোর চেষ্টা হয়েছে। গতবার এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে স্থানান্তরের চেষ্টা থাকলেও এবার তা নতুন কমিশনের অধীনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি, কোনো না কোনো উদ্দেশ্যেই এসব করা হচ্ছে। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’
ইসি কর্তৃপক্ষের অধীনে ১৭-১৮ বছর ধরে এনআইডি কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, 'আজ আমরা মনে করি, এমন কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি যে, এনআইডি ইসি থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে হবে।’
মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা সময় দিয়ে কমিশনকে অবহিত করেছি এবং আগামী বুধবারের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি আশা করছি। অন্যথায় ১৩ মার্চ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ইসি সচিবালয়সহ সারাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন করবেন। এরপরও যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরা কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
৪৫ দিন আগে
কারসাজির চিন্তা বাদ দিয়ে মানতে হবে নিবার্চনী আচরণবিধি: সিইসি
কারসাজির চিন্তা বাদ দিয়ে আচরণবিধি মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এ বিষয়ে দলগুলোর থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি নেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
রবিবার (২ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত জাতীয় ভোটার দিবসের আলোচনায় এসব কথা বলেন সিইসি।
ভোটে কারসাজি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা, কেউ এ ধরনের উদ্যোগ নেবেন না; কেউ এ ধরনের চেষ্টা করবেন না। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের পাশে আছি।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে চাই, আমরা সব সময় ভুলে যাই, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে, ভোট সন্ত্রাস করে আপাত দৃষ্টিতে জেতা যায়। কিন্তু আখেরে নিজের জন্য, দলের জন্য, দেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে, আখেরে টেকা যায় না।’
আরও পড়ুন: এমন জোয়ার সৃষ্টি হবে, যেখানে ভোট ছাড়া কোনো চিন্তা থাকবে না: সিইসি
এ ছাড়াও, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচনী আইনবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি নেওয়ার পক্ষে মত দেন নাসির উদ্দিন। এতে আইনকানুন মানায় চাপ তৈরি হবে না বলে মনে করেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘লিখিতভাবে যদি এরকম একটা ঐকমত্য নেওয়া হয় আচরণবিধি মানার জন্য, এতে একটা দলীয় চাপ থাকবে। তাহলে আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করি।‘
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে সব দলের মধ্যেই ঐকমত্য রয়েছে। এক সময় দেশের স্বার্থে তারা একমত হবে বলে আশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, এ দেশের মানুষ এখন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। যদি কোনো কারণে এটা বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে জুলাইয়ের আন্দেলনে যারা আহত বা নিহত হয়েছেন তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। সেটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না: সিইসি
এতদিন দেশের মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলো উল্লেখ করে তিনি জনগণের সেই অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। এ কারণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
একটা সুস্থ সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করাই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একমাত্র এজেন্ডা বলে অভিমত দেন সিইসি। এরপরে সিইসি উপস্থিত নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করার ওয়াদা নেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক, নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকসহ সকল পর্যায়ে কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
৪৯ দিন আগে
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত আসবে: আসিফ মাহমুদ
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কিনা; খুব দ্রুতই সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। নিরাপরাধ আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমা চেয়ে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের ষষ্ঠ অধিবেশনে শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ অধিবেশন হয়।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এটা (স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনপ্রতিনিধি না থাকা) আমাদের প্রত্যেকদিনের সমস্যা, আমাদের অফিসাররা অধিকাংশই অতিরিক্ত দায়িত্বে বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের সংস্থায় কাজ করছেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শুনতে হচ্ছে স্যার প্রশাসক দেন, নির্বাচন দেন।'
আরও পড়ুন: দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে যে বিভাগীয় কমিশনাররা এসেছেন, তারা কোনো না কোনো সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে রয়েছেন। জেলা প্রশাসকদের জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। একজন অফিসারের পক্ষে একসঙ্গে কয়েকটি দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত কঠিন। এ কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নিয়ে আসা উচিত বলে মত তিনি।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে হয়নি। তবে খুব দ্রুতই একটি সিদ্ধান্ত আসবে। জনপ্রতিনিধি নির্বাচন কিংবা প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সংস্থাগুলো পরিচালনা করা হবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে ভালো হয় কিনা—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি অবশ্যই ভালো হয়। উই হ্যাভ টু রান কান্ট্রি। দেখা যায় একটি ভালো জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো যাবে না: ডা. ফরহাদ
স্থানীয় পর্যায়ে সাধারণ মানুষ নাগরিক সেবা বঞ্চিত হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় নির্বাচন আগে হওয়া প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি। তবে তার ব্যক্তিগত চিন্তা নয় বরং সরকারের পক্ষ থেকেই সিদ্ধান্ত আসবে বলেও নিশ্চিত করেন আসিফ মাহমুদ।
নিরাপরাধ আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্টে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা ঘটিয়েছে তা উঠে এসেছে। তাদের অপরাধ এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, তথ্য প্রমাণও রয়েছে। তাই আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে অভিহিত করে হিটলার ও মুসোলিনির পরিণতির দিকে ইঙ্গিত করেন।
এ সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিক্ষিপ্তভাবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান সুস্পষ্ট করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সময়ে বিগত ফ্যাসিবাদের সময় জনগণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে জড়িত ছিল, তাদের অধিকাংশই বর্তমানে পলাতক অবস্থায় রয়েছে। গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা আছে বিধায় তারা পলাতক অথবা জেলখানায় রয়েছে।উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামে এর বক্তব্যের পুর্নব্যক্ত করে বলেন, আওয়ামী লীগ যেসব নেতারা কোনো প্রকার অন্যায় অপরাধ কিংবা গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত নয়; তারা ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে আসতে পারবেন।
৬১ দিন আগে
তথ্য ফাঁস ঠেকাতে এনআইডি ভেরিফিকেশনে নতুন সিদ্ধান্ত ইসির
তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য ফাঁস বন্ধ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই সেবা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাটা সার্ভার থেকে আর কোনো নাগরিকের তথ্য সরাসরি সরবরাহ করবে না কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, “যখন তারা (সংস্থাগুলো) তথ্য দেবে, তখন আমরা তাদের বলব যে, এটি 'মিল আছে' বা 'মেলেনি' এক কথায়, 'হ্যাঁ' বা 'না'। এনআইডি ভেরিফিকেশন সেবা পেতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না।”
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এনআইডি মহাপরিচালক তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, বর্তমানে মোট ১৮২টি প্রতিষ্ঠান ইসির ডাটা সার্ভার থেকে এনআইডি ভেরিফিকেশন সেবা গ্রহণ করছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাইয়ের জন্য তাদের কাছে থেকে কিছু তথ্য পেতে পারে।
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যেহেতু আমরা এনআইডির তথ্য ফাঁসের কিছু প্রমাণ পেয়েছি, তাই আমরা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে ইসির চুক্তি বাতিল
তথ্য ফাঁস রোধে করণীয় নির্ধারণে গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন ও এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে মতবিনিময় সভার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অধিদপ্তর বলেছে, 'তথ্য ফাঁসের প্রেক্ষাপটে মূল্যবান (এনআইডি) তথ্য আরও ভালোভাবে সুরক্ষিত রাখতে আমরা ৬৪টি ব্যাংক, সরকারি সংস্থা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাদাভাবে মতবিনিময় সভায় বসেছিলাম।’
তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে এনআইডির তথ্য সুরক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি টিমও গঠন করা হবে।
তবে তিনি বলেন, এখন প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি দেখতে পারবে।
আজ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে হুমায়ুন কবির বলেন, বৈঠকে এনআইডি সেবাপ্রার্থীদের ঝুলে থাকা আবেদন নিষ্পত্তির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগে তারা বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ঝুলে থাকা আবেদন নিষ্পত্তির ঘোষণা দিয়েছিল। তাই এই কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতেই বৈঠকটি হয়।
তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রায় ৫০ শতাংশ ঝুলন্ত আবেদনের নিষ্পত্তি ইতোমধ্যে করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের কাজে নিজের সন্তুষ্টির কথাও জানান এনআইডি মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: এনআইডির তথ্য ফাঁস: ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইসি
৬১ দিন আগে
ডিসেম্বরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন
ডিসেম্বরেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, সরকার 'রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা' বজায় রাখা ও সমঝোতাকে 'অত্যন্ত গুরুত্ব' দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই এ বৈঠকের লক্ষ্য।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ডের সুবিচার হতে হবে, অবিচার যেন না হয়: প্রধান উপদেষ্টা
৬৮ দিন আগে
যেকোনো মূল্যে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিন বলেছেন, যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২৫ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘সুযোগের অভাবে মানুষ ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আমরা তাদের দুঃখ দূর করার লক্ষ্য নিয়েছি।’
নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটের অধিকার তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনাররা তথ্য সংগ্রহকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। কারণ, সর্বশেষ হালনাগাদ কর্মসূচিতে নারী ভোটারের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কম ছিল।
একই সঙ্গে দুই জায়গায় ভোট দেওয়া ভোটারদের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন তারা।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং যোগ্য ভোটারদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ অভিযানের সময় গণনাকারীরা ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি ও তার আগে জন্মগ্রহণকারী যোগ্য ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।
এছাড়া ভোটার তালিকায় বিদ্যমান ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ভোটারদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ এবং তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়োর জন্য মৃত ভোটারদের তথ্যও সংগ্রহ করবেন গণনাকারীরা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের ওপর ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫৫ হাজার ১৬ জন গণনাকারী এবং ১১ হাজার ৮০১ জন সুপারভাইজার রয়েছেন।
২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করবে ইসি। দাবি ও আপত্তি পুনর্বিবেচনার পর কমিশন ২০২৬ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করবে।
তথ্য সংগ্রহ অভিযানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও গণনাকারীদের জন্য সম্প্রতি ১৬টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম কিন্তু ভোটার তালিকার বাইরে রয়েছেন তাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, অতীতে ভোটার হয়েছেন কিনা তা নিশ্চয়তা, সম্ভাব্য ভোটারদের নামের বানান বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই লিখে রাখা এবং রোহিঙ্গা ও বিদেশি নাগরিকদের তথ্য যাতে কোনোভাবেই সংগ্রহ করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
বিদ্যমান ভোটার তালিকা অনুযায়ী (২ মার্চ ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত) দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার জন।
আরও পড়ুন: সন্দেহ দূর করতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে: সিইসি
৯০ দিন আগে
সন্দেহ দূর করতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ভোটার তালিকা নিয়ে সব সন্দেহ দূর করতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।
তিনি বলেন, 'সংশয় দূর করার জন্য আমরা এটা (ভোটার তালিকা হালনাগাদ) করছি। আমরা মাঠে অনেক মানুষকে সম্পৃক্ত করছি।’
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই আশাবাদী, সব সংশয় দূর হবে, ইনশাল্লাহ।’
সোমবার থেকে সারা দেশে শুরু হতে যাওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য কিছু উপকরণ সহায়তা দেয় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার ও ৪ হাজার ৩০০ ব্যাগ সিইসির কাছে হস্তান্তর করেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, তারা ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং প্রায় ৬৫ হাজার লোক এই বিশাল কর্মসূচিতে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: নারীর তুলনায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
তিনি বলেন, 'এই ছয় মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য আমাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে হবে।’
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সেজন্য কমিশন যাতে দ্রুত এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৬৫ হাজার লোক কাজ করবে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তারা রাজনৈতিক বক্তব্য (বিতর্ক) করেন না এবং আইন, বিধি ও বিধিবিধানের মধ্যে থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।’
সরকার ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে কমিশন কাজ করছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমার সঙ্গে তাদের প্রস্তুতি সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছি।’
ইউএনডিপির সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইসি ইউএনডিপির সহায়তা চাইবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, তারা আমাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
৯১ দিন আগে
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দিবে’: সিইসি
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা এবং আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নিতে পারবে কিনা, তা সময় বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, সময় আসলে দেখা যাবে কোন কোন দলের নিবন্ধন থাকে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সময় আসলে দেখা যাবে। সেজন্য কাজ করছে সিইসি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
সিইসি আরও বলেন, স্থানীয় সরকারক নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। অনেকে একদিনে নির্বাচন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে একদিনে সব নির্বাচন করা কোনোভাবেই সম্ভব না।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম’র মাধ্যমে হবে না। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময় অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য কাজ করছি। যা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে দিয়ে হবে। এবার নির্বাচনে প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলম।
আরও পড়ুন: নারীর তুলনায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
৯৯ দিন আগে
নারীর তুলনায় পুরুষ ভোটার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
নতুন করে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। খসড়া হালনাগাদ তালিকা প্রকাশে এ তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এবারের হালনাগাদে নারীদের তুলনায় পুরুষ ভোটার প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলেই দেখা গেছে। এবার মহিলার তুলনায় পুরুষ ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ জন বেশি ভোটার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
ইসি জানায়, গত বছরের ২ মার্চ মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিল ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন এবং মহিলা ভোটার ছিল ৫ কোটি ৯৭ লাখ ০৪ হাজার ৬৪১ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার ছিল ৯৩২ জন।
গত ২০২৪ সালের হালনাগাদে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মোট ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৬ জন এবং মহিলা ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৪ জন ও হিজড়া ৬২ জন।
এর ফলে আজকে পর্যন্ত মোট ভোটার দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজাট ১০৩ জন এবং মহিলা ৬ কোটি ০৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ জন ও হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৯৯৪ জন। মোট ভোটার বৃদ্ধির হার ১.৫০ শতাংশ বলে জানিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে কারো কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা জানাতে পারবেন। দাবি আপত্তি জানানোর শেষ সময় ১৭ জানুয়ারি।
আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
১০৮ দিন আগে