অন্যান্য
মরিশাসে মাদক রোধবিষয়ক সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলায় প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্টে মরিশাস আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো- তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ এবং আন্তঃসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ওষুধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।
উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো- সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত এবং ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশি ও কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো- ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা এবং নবায়ন, আইনি কাঠামো, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি এবং জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার, সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়।
সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের উপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহিত হয়।
আরও পড়ুন; নারীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে: সিমিন হোসেন
নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।
তিনি বলেন, নারী পুরুষের সমতা আনা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে।
শুক্রবার পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত জাতীয় পরিষদ সভা-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নারীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমরা যে রূপে নারীদের অবস্থান দেখছি আগে এমনটা ছিল না। ২০০৮ সালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীবান্ধব নীতি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত হয়েছে।
সিমিন হোসেন আরও বলেন, নারীরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি, গবেষণা, খেলাধুলা, বিনোদনসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং দেশের সুনাম বয়ে আনছে।
নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০২০, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ সহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, নারীদের অনলাইন প্লাটফর্মে সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়।
বর্তমান সরকার নারীদের গৃহস্থালী কাজের সুনির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণসহ একে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে বলে জানান মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে স্থিতিস্থাপক সমাজ গড়ে তুলতে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে: পরিবেশমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু
ঢাকা থেকে সরাসরি কলম্বো ফ্লাইট চালু করেছে শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ার।
প্রাথমিকভাবে কলম্বো থেকে ঢাকায় সপ্তাহে ২ দিন মঙ্গলবার ও শনিবার আসবে এই এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইট। আবার ঢাকা থেকে বুধবার ও রবিবার ফিটসএয়ারের ফ্লাইট কলম্বো যাবে।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বিমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবিষয়ক প্রশিক্ষণ
এ সময় ছিলেন- ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল ওয়েরাক্কোডি, ফিটসএয়ারের বাংলাদেশ জিএসএ বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন মিয়া, পরিচালক ফাইকা নাসের, চিফ অপারেটিং অফিসার সুমায়েয ইকবাল ও ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কান হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার রুয়ানথি ডেলপিটিয়া।
ফিটসএয়ারের জিএসএ বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন মিয়া জানান, ফিটসএয়ার ঢাকা-কলম্বো রিটার্ন টিকিটে সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার টাকা। যাত্রীরা ৩০ কেজি চেক-ইন লাগেজ এবং ৭ কেজি হ্যান্ড লাগেজ সুবিধা পাবেন।
এয়ারবাসের এ-৩২০ এয়ারক্রাফট দিয়ে এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ফিটসএয়ার।
বর্তমানে শুধু শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স ঢাকা-কলম্বো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বর্তমানে কলম্বো থেকে ঢাকার পাশাপাশি দুবাই, মালে, চেন্নাই রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে ফিটসএয়ার। শিগগিরই এয়ারলাইন্সটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, সৌদি আরবের জেদ্দা, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর এবং সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে।
এয়ারলাইন্সটির বহরে বর্তমানে তিনটি এয়ারবাস এ৩২০-২০০, একটি এটিআর ৭২-২০০, একটি সেসনা-২০৮বি গ্র্যান্ড ক্যারাভান, দুইটি সেসনা-১৫২ এবং একটি সেসনা-১৫০ এয়ারক্রাফট রয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে বিমানে ৮৪ জন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ
আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন হলে সরকারের উন্নয়নও ব্যাহত হবে: কুজেন্দ্র লাল
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যাঘাত ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ এনেক্স ভবনে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির ফলস্বরূপ পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের আইনশৃঙ্খলা অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা মেনে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে বসবাস করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা বাস্তবায়ন হবে।’
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অদৃশ্য শক্তি বলে কোনো কথা নেই। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে সরকার। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। সম্মিলিতভাবে সবারই এতে অংশগ্রহণ থাকতে হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সব সম্প্রদায়-গোষ্ঠী সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মূল স্রোতধারার সঙ্গে এক হয়ে এগোতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পার্বত্য অঞ্চল নয়, পুরো বাংলাদেশকে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানে জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায় আলাদা কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
পার্বত্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে উল্লেখ করে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আগামী দিনগুলোতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার আরও বেশি ত্বরান্বিত করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জানান, দীর্ঘসময় পর সাজেকে রাস্তা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্গম অঞ্চল সাজেকের মতো জায়গায় এত দ্রুতগতিতে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া এবং সীমান্ত বর্ডার রোড তৈরি করা হচ্ছে।
এছাড়াও কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের বিষয়টি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি পাস হলেই আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে।
বৈঠক শেষে পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বন ও পরিবেশবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ, উপজাতীয় শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা (সিনিয়র সচিব), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
চুয়াডাঙ্গায় রাতে বৃষ্টি দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি, রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি
টানা ২৫ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ বইছে। এপ্রিলের শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও গত ১০ দিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র রূপ নিয়েছে। এর মধ্যেই গতকাল মধ্যরাতে জেলায় ঝড়ো বৃষ্টি হয়। কিন্তু এতেও কমেনি তাপমাত্রা। বরং বৃষ্টির পর বেড়ে গিয়েছে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ।
এছাড়া গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সেসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি পণ্যের গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলাসহ ১৪টি জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিবন্ধন বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে মত বিনিময় সভা
এ সময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলো, দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কেন্দ্রীয়ভাবে জিআই পণ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করার পরামর্শ দেন তিনি।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্যের বিষয়ে সক্রিয় থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।’
দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষির আধুনিকায়নের বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষির সব স্তরে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে ১২তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তির মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। তিন দিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করেছে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া ও লিমরা এক্সিবিশন্স।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কৃষি ও ভাগ্যাহত কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রচলিত সনাতন ধারার কৃষি প্রযুক্তির পরিবর্তনে খামার যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ও কলাকৌশলের সমন্বয় সাধন একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী।
কৃষি ও শিল্প খাত দেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সেক্টর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দুটি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে দেশে সেবাখাতের বিকাশ হবে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন এবং এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কৃষি ও কৃষিসংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি উৎপাদক, প্রযুক্তি সম্প্রসারণকারী শিল্প ও প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে এই প্রযুক্তি মেলা কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করবে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মাৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়ার মহাপরিচালক মো. খুরশিদ ইকবাল রেজবী এবং লিমরার চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন।
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
আপিল বিভাগের নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ বিচারপতিকে শপথ পাঠ করান।
শপথ নেওয়া ৩ জন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ
শপথ অনুষ্টানে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, শপথ পাঠকারী ৩ বিচারপতির পরিবারের সদস্য, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রীম কোর্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উক্ত ৩ বিচারককে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
নতুন নিয়োগ পাওয়া এই ৩ বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা হলো ৮ জন।
আরও পড়ুন: মামলা জট কমাতে হলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে: প্রধান বিচারপতি
সিডিএর নতুন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।
বর্তমান চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পির সই করা এক প্রজ্ঞাপনে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৭ অনুযায়ী মোহাম্মদ ইউনুছকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
এর আগে ২০১৯ সালে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম জহিরুল আলম দোভাষকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ ১৯৫৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাটহাজারীর নুর আলী মিয়ার হাট ফরহাদাবাদ গ্রামের হিম্মত মুহুরী বাড়ীর মরহুম বাংলাদেশ রেলওয়ের উচ্চতর হিসাব কর্মকর্তা নুর হোসেনের ছেলে।
ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন মোহাম্মদ ইউনুছ। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত দুই মেয়াদে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি অবস্থায় চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চট্টগ্রাম কারাগার থেকে বি.কম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধা ফোরাম ‘৭৫ এর আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী
পাট শিল্পের উন্নয়ন ও সমস্যাগুলো সমাধানে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানক বলেন, পাটবীজের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশে তৈরি হয়। বাকি তিন- চতুর্থাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় যা দুঃখজনক। এছাড়াও পাট গবেষণা কেন্দ্র পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান নয়। এটা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, হাজারো সমস্যার কারণে পাট শিল্পে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। জুট কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে এ সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। জুট কাউন্সিল গঠন করা হলে পাট উন্নয়নের সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করাও সহজ হবে বলে আশা করি।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিকের তৈরি ৫০ কেজি চালের বস্তা নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বিজিএমের সদস্যরা। শুধু ৫০ কেজির বস্তা নয় সব ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ডিসি কনফারেন্সে রমজান মাসের পর প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধ করে পাটের ব্যাগ কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্য তৈরির করতে এর মধ্যেই ১০০ কোটি টাকার তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এ খাতে আরও বিনিয়োগ নিশ্চিত করা হবে।
নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তাবাহক উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘আমি আপনাদের বার্তা তার কাছে পৌঁছে দিব। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বার বার বলেছেন, পাট ও চামড়া শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে পোশাক শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে হবে।’
আগে পাট থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসত জানিয়ে পাটমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পাট ও পাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনগণের উন্নতি চেয়েছিলেন, তিনি পাটের উন্নতির জন্য পাট মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দিয়েছেন। ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস ঘোষণা করেছেন। পাট ও পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের ‘বর্ষ পণ্য’ ঘোষণা করেছেন।’
সরকার পাটের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পাটমন্ত্রী বলেন, পাটশিল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গার্মেন্টসশিল্পের মতো পাটশিল্পের উন্নয়ন চান এবং এজন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর কাছে পাটশিল্প খাতের কিছু সমস্যা তুলে ধরেন বিজেএমএর চেয়ারম্যানসহ বোর্ড সদস্যরা।
সমস্যাগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২৮২টি বহুমুখী পাটজাত পণ্যের তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে বলা হয়েছে। এতে করে রপ্তানিকারকরা বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবে।
পাটশিল্পের বকেয়া ঋণ সুদ-আসলসহ একটি হালনাগাদ তারিখভিত্তিক ব্লক হিসেবে স্থানান্তরের বিষয়ে ২ বছরের মরাটোরিয়াম সুবিধাসহ ১০ বছরে পরিশোধ এবং ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের পরিবর্তে ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট আদায় নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, কাঁচা পাটের উপর ২ শতাংশ উৎসে কর, প্রতিবেশী দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানির ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি আরোপ রহিতকরণ, ২ শতাংশ সরল সুদে পাটশিল্পের কাঁচামাল ক্রয় করার জন্য দেশীয় মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার একটি জুট সেক্টর উন্নয়ন তহবিল গঠন, কাঁচাপাটের পাশাপাশি পাটজাতপণ্যকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাটির প্রজ্ঞাপন জারি, পাটমিলগুলোর পুরাতন মেশিনারি স্থানান্তরের জন্য সরকারিভাবে অন্তত ৩০ শতাংশ নগদ সহায়তার বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাজারে পাটজাত পণ্যের বিক্রি বাড়ানো প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে পাট পণ্যের বিক্রি বাড়াতে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। বিদেশের বাজারে পাটজাত পণ্যের বিক্রি বাড়াতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, বিদেশের বিভিন্ন মেলা এবং বাজারে যাতে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের মানোন্নয়নের জন্য এর ডিজাইন, কালারিং, নকশা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাটশিল্প খাতকে গার্মেন্টসশিল্পের মতো সুযোগ সুবিধা দেওয়া ও উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে।
বিজেএমএর চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী নাবিল আহমেদ, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সার, বিজেএমএর প্রাক্তন ও নবনির্বাচিত পর্ষদ পরিচালকরা এবং পাট ও পাট পণ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।