পরিবেশ
বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে এটি থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার। বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে ইউএসএআইডি ও ঢাকা কলিংয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি জানান, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে শুধু শহর নয়, সব এলাকার বর্জ্যেরই ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে বিধি লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা
তিনি আরও বলেন, ‘বর্জ্য থেকে মানসম্পন্ন সার পাওয়া গেলে আমরা আমদানি কেন করব? বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন শুরু হলে সার আমদানি কমে যাবে। এতে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।’
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের কর্মসূচির মধ্যে ন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার পর্যায়ে আছে।
‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো ইকোসিস্টেমের দিকে আমরা তাকাচ্ছি। কীভাবে সেটার উন্নয়ন ও কার্যকর করা যায় তা ভাবা হচ্ছে। আপাতত কঠিন বর্জ্য বা সলিড ওয়েস্ট নিয়ে কাজ হবে। পর্যায়ক্রমে মনুষ্য বর্জ্য, ট্যানারি বর্জ্য, ই-বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য নিয়েও কাজ হবে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিককেও পুনর্ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভবিষ্যতের প্রয়োজন বিবেচনায় এখন থেকেই জায়গা চিহ্নিত করে জমি অধিগ্রহণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।’
সাভারের ট্যানারির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানকার বর্জ্য থেকে যে ক্রোমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে তা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করতে চায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।’
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
২০২৩ সালে চীন প্রায় ৪০ লাখ হেক্টর বনায়ন করেছে
গত বছর ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর ভূমিতে সবুজায়নে পদক্ষেপ নিয়েছে চীন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সরকারি তথ্য থেকে এসব জানা গেছে।
ন্যাশনাল গ্রিনিং কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের চেয়ে গত বছর দেশটিতে বেশি পরিমাণ ভূমিতে বনায়ন হয়েছে। এ সময় ৩৮ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর ভূমিতে বনায়ন করেছে দেশটি। ২০২৩ সালে, দেশটি ৪৩ লাখ ৭৯ হাজার হেক্টর তৃণভূমি পুনরুদ্ধার করেছে এবং ১৯ লাখ ৫ হাজার হেক্টর বালু মাটির ভূমি ও পাথরযুক্ত জমি শোধন করেছে।
চীনে মঙ্গলবার ৪৬তম জাতীয় বৃক্ষরোপণ দিবস পালিত হচ্ছে।
বনশ্রীতে বিধি লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা
সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণ করায় রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর তিতাস রোডে ভবন মালিকের জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
রবিবার (১০ মার্চ) বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম নির্মাণাধীন ভবন মালিকের এই জরিমানা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
নির্মাণাধীন ভবনের সামনে রাস্তার পাশে কোনো জায়গা না রেখে নির্মাণসামগ্রী যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা, নির্মাণাধীন বাড়ি নিরাপত্তার জন্য ঢেকে না রাখাসহ বিধি লঙ্ঘন করায় বাড়ির মালিকের মোট ১১ লাখ ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্মাণাধীন ভবনের রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন রাস্তার ক্ষতি করায় ১০ লাখ ২৪ হাজার টাকা এবং বাড়ি নির্মাণকালে নির্মাণসামগ্রী রাস্তায় রাখার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন করতে অলিম্পিয়াডের আয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
এছাড়াও, রাজউকের সেটব্যাক আইন অমান্য করে বাড়ি নির্মাণের সময় রাস্তার পাশে প্রয়োজনীয় জায়গা রাখা হয়নি। নিরাপত্তার জন্য নির্মাণাধীন ভবন ঢেকে রাখা হয়নি। এসব বিষয় রাজউকের আওতাধীন হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজউকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে ডিএসসিসি।
এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কোনো নির্মাণকাজ করলে বা পরিবেশ দূষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে। পরিবেশের মানোন্নয়নে সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো আরও সবুজ ও জলবায়ু সহিষ্ণু ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
নর্ডিক দেশগুলোর পরিবেশ রক্ষায় দৃষ্টান্তমূলক অঙ্গীকারের প্রশংসা করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশও একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ঢাকার হোটেল রেডিসনে আয়োজিত নর্ডিক দিবস স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব উদযাপন করতে এ্ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল। সে কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের সংহতি ও সমর্থনের ভিত্তিতে একটি সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলোর মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার উদাহরণ। এটি আসলে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ এবং টেকসই ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত অংশীদারিত্ব।
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সবচেয়ে টেকসই এবং সমন্বিত ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নর্ডিক কাউন্সিলের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর জোর দেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে নর্ডিক অঞ্চলের মোহনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জলবায়ু মোকাবিলার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: পরিবেশমন্ত্রী
এছাড়াও জলবায়ু সহনশীলতা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের রূপরেখা তুলে ধরেন পরিবেশমন্ত্রী।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং উদ্ভাবন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতাকে আরও গভীর করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সভেনডসেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার ও ভারতের নয়া দিল্লিতে ফিনল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ড. টিটো গ্রোনোও বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন করতে অলিম্পিয়াডের আয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন করতে অলিম্পিয়াডের আয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পাঠ্যবই ও পাঠ্যবইয়ের বাইরে বন্যপ্রাণী ও তাদের আবাসস্থল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সংবেদনশীল করার জন্য সারা দেশে বন্যপ্রাণী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আর কোনো বন্যপ্রাণীকে হারাতে চাই না।’
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বন্যপ্রাণী ও বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্র রক্ষা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উদ্ধুদ্ধ করতে দেশ জুড়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘স্মার্ট তারুণ্য বাঁচাবে অরণ্য’ স্লোগানে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং ওয়াইল্ড লাইফ অলিম্পিয়াড-২০২৪ এর লোগো, পোস্টার, বুকলেট ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘নানা কারণে আমাদের পরিবেশ আজ সঙ্কটাপন্ন। বন্য হাতির দল থেকে শুরু করে পাখি, এমনকি সাগরের তলদেশের প্রাণীরা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। গত একশো বছরে দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে ৩১ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। বন্যপ্রাণীদের বিলুপ্তি ও বিপদাপন্ন হওয়ার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য, যা মানুষের ওপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বন্যপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা এখন তাই কেবল দরকারি নয়, বরং অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তাই সব পেশার মানুষের এগিয়ে আসার পাশাপাশি তরুণ প্রজোন্মকেও সচেতন করতে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
অলিম্পিয়াডের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া উদ্বোধনের পাশাপাশি বন অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রথম ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডের বিস্তারিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের অধীনে দেশের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ওয়াইল্ডলাইফ বা বন্যপ্রাণী নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় আজ থেকে আরম্ভ হতে যাচ্ছে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড, ২০২৪-এর রেজিস্ট্রেশন।
তিনি জানান, এ বছর সারা দেশে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ৬৪টি ভেন্যুতে জেলা পর্যায়ের অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। দুইটি ক্যাটাগরিতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিক, কারিগরি, মাদরাসা বা সমমান পর্যায়ের যেকোনো শিক্ষার্থী স্কুল অথবা কলেজ ক্যাটাগরিতে এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে পারবে।
জেলা পর্যায়ের বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় আয়োজিত হবে জাতীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াড। বিজয়ীদের জন্য থাকবে লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার। ৭ মার্চ, থেকে শুরু হয়ে আগামী ১০ মে, পর্যন্ত www.bfdwlo.org এই ওয়েবসাইটে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করতে পারবে। জেলা পর্যায়ের অলিম্পিয়াড হবে ১০ মে থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত। জেলা পর্যায়ের সব অংশগ্রহণকারী ই-সার্টিফিকেট পাবে। জেলা পর্যায়ের বিজয়ীরা টি-শার্ট, বিজয়ী সার্টিফিকেট ও মেডেল পাবে।
জাতীয় পর্বের বিজয়ীরা টি-শার্ট, বিজয়ী সার্টিফিকেট ও মেডেল পাবে। জাতীয় পর্বের প্রতি ক্যাটাগরির ১ম, ২য় ও ৩য় বিজয়ী পাবে যথাক্রমে ৫০হাজার, ৩০হাজার ও ২০ হাজার টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় প্রমুখ।
এস আলম সুগার মিলে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ
চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামে লাগা আগুনে পুড়ে যাওয়া চিনির গলিত লাভা ও কেমিক্যাল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদীতে। এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে মাছ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী।
আজ বুধবার দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, এস আলম সুগার মিলের নালা দিয়ে পোড়া বর্জ্য আসছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে নদীর পানি তামাটে রং ধারণ করেছে। নদীর তীরে মরে যাওয়া মাছ কুড়াচ্ছে এলাকার মানুষ।
আরও দেখা গেছে, ১ নম্বর গুদামটির পোড়া চিনির গলিত পানি দুটি নালা হয়ে সরাসরি গিয়ে পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছে। পানিতে পোড়া তেল ও ফেনার মতো ভাসছে চিনির বর্জ্য। এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে মারছে মাছ। স্থানীয়রা নদী থেকে হাত দিয়েই মাছ ধরছে। আবার কেউ কেউ জাল ফেলেও মাছ ধরছে।
আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলের আগুনে চিনির দামে প্রভাব পড়বে না: প্রতিমন্ত্রী
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার থেকেই নদীতে মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে হাত দিয়েই নদীতে মাছ ধরা যাচ্ছে। এভাবে দূষণ হতে থাকলে নদীর মাছ প্রায় হারিয়ে যাবে। আগুনে পোড়া বর্জ্য শুধু কর্ণফুলী নদীতেই ফেলা হচ্ছে না। কারখানার আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়ও যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইছানগর এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এসব কারখানার বর্জ্য নিয়মিতই নদীতে ফেলা হয়। এখন রাস্তাঘাট ও জমিতে ফেলছে, এতে আমাদের এলাকার মানুষ অসুস্থ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনির দাহ্য পদার্থ যখন ৩৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকে তখন বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নেয়। আর সেখানে পানি ছাড়া হলে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন কার্বন তৈরি হয়। যে কারণে কারখানায় পোড়া চিনি বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নিয়ে নদী দূষণ করছে। যার কারণে নদীর মাছসহ সব ধরনের জলজ প্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে: নানক
রোজার পর পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
সোমবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
তবে এর আগে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে বৈঠক করা হবে বলেও জানান বস্ত্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের আশা করছি।
মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের কারণে কৃষকরা পাটের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়েও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাকসকদের কী সুপারিশ ছিল জানতে চাইলে নানক বলেন, সরকারের মালিকানায় বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) ও বাংলাদেশ বস্ত্রকল করপোরেশনের (বিটিএমসি) মিলগুলো দ্রুত চালু করার উদ্যোগের কথা বলেছেন। এছাড়াও পাট মৌসুম শুরুতে ভালোমানের পাটবীজের সরবরাহ ঠিক রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
বিশ্বব্যাপী দেশগুলোকে ২০৫০ সালের আগে নেট জিরো (গ্রিন হাউজ নির্গমন শূন্যের কোটায়) অর্জন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে জরুরি ও সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেবরুয়ারি) কেনিয়ার নাইরোবিতে ষষ্ঠ জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে জাতীয় বিবৃতি প্রদানকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি মানবজাতির সামনে অভূতপূর্ব পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐক্যবদ্ধতার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া যাচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে নগন্য অবদান সত্ত্বেও বাংলাদেশ হিমবাহ গলে যাওয়া, বন্যা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো বিরূপ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণগুলো নিরসনের গুরুত্ব এবং টেকসই স্থাপনার লক্ষ্যে আরও বেশি বহুপক্ষীয় প্রতিশ্রুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের পরিবেশগত দায়িত্বের প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ‘পৃথিবীর জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নকে প্রচারের লক্ষ্যে 'মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা' গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে পরিবেশ সংরক্ষণের নীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তুলে ধরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশের আন্তরিকতার প্রমাণ দেন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী প্লাস্টিক দূষণকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়ে প্লাস্টিকের বর্জ্য মোকাবিলা এবং টেকসই ভোগ ও উৎপাদন পদ্ধতিতে রূপান্তরের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিবেশগত শাসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইউএনইএ-৬ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সবুজ, আরও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইউএনইএ-৬ এর সভাপতি লেইলা বেনালি, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, প্রতিনিধি ও বিশ্ব নেতারা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়: পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিক দূষণের মতো জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'প্লাস্টিক দূষণ চুক্তি' একটি চালিকাশক্তি।’
বৃহস্পতিবার(২৯ ফেব্রুয়ারি) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ষষ্ঠ পরিবেশ অধিবেশনে 'গ্লোবাল প্লাস্টিক অ্যাকশন পার্টনারশিপ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীল ফসল উৎপাদনে কাজ করছে সরকার: সাবের হোসেন
বিশ্ব নেতা ও বিভিন্ন অংশীজনদের এই সমাবেশে প্লাস্টিক দূষণ নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বক্তব্যে মন্ত্রী প্লাস্টিক দূষণ নির্মূলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এ বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের কথা জানান। প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে পথিকৃৎ পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধকরণের বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন। এ উদ্যোগের ফলে পরিবেশ সংরক্ষণে বাংলাদেশকে অগ্রণী ভূমিকায় স্থাপন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেরা কাজ করব: সাবের হোসেন চৌধুরী
প্লাস্টিক দূষণ সংক্রান্ত উদীয়মান চুক্তির তাৎপর্য স্বীকার করে পরিবেশমন্ত্রী প্লাস্টিক বর্জ্য মোকাবিলায় বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। তিনি একটি জাতীয় প্লাস্টিক অ্যাকশন পার্টনারশিপ প্রতিষ্ঠাকে চুক্তির লক্ষ্যগুলোর সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে উল্লেখ করে সহযোগিতামূলক, বহু-স্টেকহোল্ডার প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
পরিবেশমন্ত্রী একটি সামগ্রিক কৌশলের রূপরেখা দেন, যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাইরেও প্লাস্টিকের ব্যবহার হ্রাস এবং বিকল্প উপকরণের প্রচারকে অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি চুক্তির উদ্দেশ্য এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য উভয়ের সঙ্গে এই কৌশলটির সারিবদ্ধতার ওপর জোর দেন, যা পরিবেশগত টেকসইতা এবং সামাজিক ন্যায্যতার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ইঙ্গিত দেয়।
সাবের হোসনে বলেন, বিশ্ব যখন একটি বৃত্তাকার অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। স্টেকহোল্ডারদের এই মুহূর্তটি কাজে লাগাতে এবং যৌথ উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে বাস্তব ফলাফলে রূপান্তরিত করতে হবে। গ্রহ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আশার আলোকবর্তিকা হিসাবে প্লাস্টিক দূষণ সংক্রান্ত চুক্তির তাৎপর্যের ওপর জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন:সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেরা কাজ করব: সাবের হোসেন চৌধুরী
জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া যাচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী
ষষ্ঠ জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনের হাই লেভেল সেগমেন্টে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কেনিয়া যাচ্ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
সোমবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কেনিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন মন্ত্রী।
বিশ্ব এখন জলবায়ু পরিবর্তন, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের হ্রাস এবং (প্লাস্টিক) দূষণের ত্রিশঙ্কা মোকাবিলা করায় এবারের জাতিসংঘ পরিবেশ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে 'জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের হ্রাস এবং দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে বেস্ট প্রকল্পকে সফল করতে পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশ
মন্ত্রী সাবের চৌধুরী অধিবেশনের হাই লেভেল সেগমেন্টে অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশের কান্ট্রি স্টেটমেন্ট প্রদান করবেন এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনে দেশের সাফল্যগুলো তুলে ধরবেন।
পরিবেশগত সুরক্ষায় জাতীয় উদ্যোগ ও মালিকানার গুরুত্বের পাশাপাশি তিনি বৈশ্বিক ঐক্য ও কর্মের গুরুত্ব তুলে ধরবেন তিনি।
জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগদান শেষে ৩ মার্চ তার দেশে প্রত্যাবর্তন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে বায়ুদূষণের অভিযোগে ৪ ইটভাটা বন্ধ