পরিবেশ
ঢাকাসহ আশপাশে ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ রাজধানীর আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল চার।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকাল ৪টা ৫২ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে এই কম্পন অনুভূত হয় বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প বিষয়ক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে ১০৫ কিলোমিটার দূরে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দিকে।
ভূমিকম্পের মাত্রা ‘মৃদু’ ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারও (ইএমএসসি) এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
ইএমএসসির তথ্য বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৬৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং ভারতের আগরতলা থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে দুদেশের সীমান্তের দিকে। ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে এই কম্পনটির উৎপত্তি হয়।
ভূমিকম্পটি মৃদু এবং স্বল্পস্থায়ী হলেও এর প্রভাবে বিভিন্ন স্থাপনা কেঁপে ওঠে। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেককে এ বিষয়ে পোস্ট দিতে দেখা যায়। অনেকে তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সবাইকে নিরাপদ থাকার জন্য পরামর্শ দেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
৯ দিন আগে
প্লাস্টিক দূষণ রোধে দক্ষিণ এশীয় ঐক্যের ডাক বাংলাদেশের
দক্ষিণ এশিয়ার নদনদী ও সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ রোধে আঞ্চলিকভাবে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার(৭ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত 'প্লাস্টিক-ফ্রি রিভার্স অ্যান্ড সিজ: এ ভিশন ফর সাউথ এশিয়া রিজিওনাল রাউন্ডটেববিল'র ‘পলিসি অ্যান্ড রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জেস অব ম্যানেজিং প্লাস্টিক ওয়েস্ট’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এ আহ্বান জানান।
ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নদী ব্যবস্থার আবাসস্থল। এখানকার জলাধারে প্লাস্টিক সীমান্ত পেরিয়ে এসে জমা হয় এবং বাস্তুতন্ত্র ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধানে দরকার সমন্বিত আঞ্চলিক কৌশল—যেখানে সহযোগিতা, উদ্ভাবন ও টেকসই অর্থায়ন থাকবে।’
পরিবেশ সচিব বলেন, প্লাস্টিক দূষণ সমস্যা মোকাবিলায় তিনটি প্রধান বাধা রয়েছে— অপ্রতুল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যেমন উন্মুক্তভাবে ফেলা ও পোড়ানো; দুর্বল আইন বাস্তবায়ন; তথ্য বিনিময় ও যৌথ পরিবীক্ষণে আঞ্চলিক সহযোগিতার ঘাটতি।
আরও পড়ুন: জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন চলমান থাকবে: পানি সম্পদ উপদেষ্টা
তিনি একটি দক্ষিণ এশীয় বহু খাতভিত্তিক প্লাস্টিক কর্মপরিকল্পনা গঠনের প্রস্তাব দেন। এই পরিকল্পনায় থাকবে—বৃত্তাকার অর্থনীতির জন্য সমন্বিত নীতি, প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাসে অভিন্ন মানদণ্ড এবং গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি।
আঞ্চলিকভাবে বর্জ্য সংগ্রহ, আলাদা করা ও প্রক্রিয়াকরণে যৌথ উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের আহ্বানও জানান পরিবেশ সচিব ফারহিনা।
তিনি বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকর প্লাস্টিক ধাপে ধাপে বন্ধ করার পাশাপাশি নিরাপদ ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিকল্প ব্যবহারের আহ্বান জানান।
পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আঞ্চলিক প্লাস্টিক ট্র্যাকিং ব্যবস্থা, হটস্পট পরিষ্কারের কর্মসূচি ও আইনের কঠোর প্রয়োগের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অঞ্চল উপযোগী গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে। জনসম্পৃক্ততা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাও দরকার।’
তিনি এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেস্পন্সিবিলিটি (ইপিআর) মডেলের ওপর জোর দেন, যাতে শিল্পকারখানাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আর্থিকভাবে অংশগ্রহণ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আলাদা চেষ্টা যথেষ্ট নয়। এখনই সময় সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার। আমরা সাহসী সিদ্ধান্ত নেব, প্লাস্টিকমুক্ত দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।’
ড. ফারহিনা আহমদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন—পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শামীমা বেগম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম।
এই গোলটেবিল বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিনিধি, নীতিনির্ধারক ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন।
১২ দিন আগে
জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন চলমান থাকবে: পানি সম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ৬টি খালের চলমান খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে ঢাকার খালগুলোতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। একারণে খাল খনন কার্যক্রম চলমান রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
শহরের জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখতে খালগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি বলে অভিমত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকার ১৯ খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে: রিজওয়ানা
উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬টি খাল খননের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এ বছরের মধ্যেই মোট ১৯ খাল খননের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দিন দিন ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকার খালগুলো খনন করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উন্নত হবে।
ঢাকার খালগুলো খননের পর খালের পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ফুলের চারা এবং পাখিদের খাওয়ার উপযোগী ফলদ বৃক্ষরোপণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
খাল খনন পরিদর্শনকালে বাউনিয়া খালের সাগুফতা সেতুর পাশে এবং উত্তরা ১০ নাম্বার সেক্টর সংলগ্ন খিদির খালের পাড়ে ২টি গাছের চারা রোপণ করেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা।
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, স্থপতি ফজলে রেজা সুমনসহ ডিএনসিসি ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৪৬ দিন আগে
ছুটির দিনেও দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
শুক্রবার ছুটির দিন হলেও ঢাকার বাতাসের দূষণ কমেনি। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী। বৃহস্পতিবারের ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে আজ বাতাসের মান নেমেছে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে।
আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ঢাকার ঢাকার বাতাস ২৩৬ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এ সময় বিশ্বের একমাত্র শহর হিসেবে দূষণের স্কোর ২০০-র বেশি ঢাকার।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ১৭৭ থাকলেও ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৬-এ।
আইকিউএয়ারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ১৯০ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার পরই রয়েছে চীনের বেইজিং, ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় ভারতের মুম্বাই, আর ১৮৩ নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। এছাড়া ১৭৮ একিউআই স্কোর নিয়ে এই তালিকার পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে ‘ভালো’ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এরপর একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের ফলে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৫১ দিন আগে
কার্বন বাণিজ্য কী? এটি কীভাবে কাজ করে?
কার্বন নির্গমন, প্রধানত কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂) এবং মিথেন (CH₄) এর আকারে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধির জন্য দায়ী, যা ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, দাবানল, খরা, তাপপ্রবাহ ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংঘটন ও তীব্রতা বৃদ্ধি করে। কার্বন নির্গমন হ্রাসের বহুমুখী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। কার্বন বাণিজ্য (Carbon Trading) কার্বন নির্গমন হ্রাসের একটি উপায় এবং একইসঙ্গে একটি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ব্যবস্থা। আসুন জেনে নেই কার্বন বাণিজ্য কীভাবে কাজ করে এবং কেন এটি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক ও কার্যকরী হতে পারে।
কার্বন বাণিজ্য কী?
কার্বন বাণিজ্য, যা কার্বন নির্গমন বাণিজ্য নামেও পরিচিত। এটি একটি বাজারভিত্তিক পদ্ধতি যা গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমন হ্রাসে সহায়তা করে। এটি দেশ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড বা অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের অধিকার প্রতিনিধিত্বকারী অনুমতি (permit) কেনা-বেচার সুযোগ দেয়। কার্বন নির্গমনের উপর মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে এটি অংশগ্রহণকারীদের কার্বন নির্গমনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাস করতে এবং পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করে।
কার্বন নির্গমন বাণিজ্য একটি ক্যাপ-অ্যান্ড-ট্রেড (Cap-and-Trade) ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হয়। যেখানে সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা মোট নির্গমনের জন্য একটি সীমা (cap) নির্ধারণ করে। কোম্পানিগুলো নির্দিষ্ট সংখ্যক কার্বন ক্রেডিট (carbon credits) পায় বা ক্রয় করে, যা তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন-দেয়-অক্সাইড (CO₂) নির্গমনের অনুমতি দেয়। যদি কোনো কোম্পানি নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কম কার্বন নির্গমন করে—তাহলে তারা অতিরিক্ত কার্বন ক্রেডিট অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারে। আর যদি কোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সীমার বেশি কার্বন নির্গমন করে—তাহলে তাদের অতিরিক্ত কার্বন ক্রেডিট কিনতে হবে বা শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
কার্বন বাণিজ্য কার্বন নির্গমন হ্রাসের একটি কার্যকরী ব্যবস্থা। কারণ এটি ব্যবসাগুলোকে পরিবেশবান্ধব হতে আর্থিকভাবে উৎসাহিত করে। তবে, এটি তখনই কার্যকরভাবে কাজ করে, যখন সঠিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়—যাতে প্রকৃত নির্গমন কমে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ১০টি ঘূর্ণিঝড়
কার্বন ক্রেডিট বিক্রির প্রক্রিয়া
কার্বন ক্রেডিট বিক্রির প্রক্রিয়াটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়, যেখানে ক্রেডিট তৈরি করা থেকে শুরু করে ক্রেতা খুঁজে লেনদেন সম্পন্ন করা পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ জড়িত। নিচে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো—
কার্বন ক্রেডিট উৎপাদন
প্রথমে, একটি প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পকে গ্রিনহাউস গ্যাস (GHG) নির্গমন কমাতে বা অপসারণ করতে হবে। এই কার্যক্রমের মধ্যে বনায়ন, নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্প, বা কার্বন ক্যাপচার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কার্বন নির্গমন হ্রাসের পরিমাপ ও যাচাই পদ্ধতি অবশ্যই স্বীকৃত তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সত্যায়ন হতে হবে।
যাচাই ও সার্টিফিকেশন
প্রকল্পটি নিম্নলিখিত স্বীকৃত কার্বন স্ট্যান্ডার্ডের মাধ্যমে যাচাই ও অনুমোদিত হতে হবে:
- ভেরিফায়েড কার্বন স্ট্যান্ডার্ড (VCS)
- গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড (Gold Standard)
- ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম (CDM)
- ক্লাইমেট অ্যাকশন রিজার্ভ (CAR) ইত্যাদি।
এই মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতিটি কার্বন ক্রেডিট ১ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂) হ্রাস বা অপসারণের সমতুল্য।
আরো পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পশু-পাখির সুরক্ষা: বন্যা, খরা ও শৈত্য প্রবাহে করণীয়
কার্বন রেজিস্ট্রিতে নিবন্ধন পদ্ধতি
যাচাইকরণের পরে কার্বন ক্রেডিটগুলো নিম্নলিখিত প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধিত হয়:
- ভেরা (Verra)
- আমেরিকান কার্বন রেজিস্ট্রি (American Carbon Registry - ACR)
- গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড রেজিস্ট্রি (Gold Standard Registry) ইত্যাদি।
প্রতিটি কার্বন ক্রেডিটকে একটি নির্দিষ্ট সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়, যা ডাবল কাউন্টিং প্রতিরোধ করে।
আরো পড়ুন: বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য সতর্ক হোন
৫৩ দিন আগে
ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি
গত তিন দিন ধরে ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি হয়ে চলেছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য মানে উন্নতি হলেও তা স্বাস্থ্যকর পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি।
ফাল্গুনের প্রথম দিন সকাল ১০টায় ঢাকার ঢাকার বাতাস ১৪১ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে।
বায়ুদূষণে ঢাকা যেখানে সবসময় বিশ্বে এক কিংবা দুই নম্বরে থাকে, সেখানে মঙ্গলবার ছিল সপ্তম স্থানে, বুধবার ষষ্ঠ এবং আজ (শুক্রবার) অষ্টম স্থানে।
বুধবার সকালে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৭১, বৃহস্পতিবার ১৭৩ ও আজ তা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৪১-এ।
আইকিউএয়ারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২৩৭ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৮৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তার পরেই অবস্থান মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের, আর ১৭৭ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে ‘ভালো’ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এরপর একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের ফলে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
৬৫ দিন আগে
দাবানল কী ও কেন হয়? পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ানক কয়েকটি দাবানল
লস অ্যাঞ্জেলেসের চলমান দাবানল দুর্যোগের বিধ্বংসী প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা বিশ্বকে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে প্যালিসেডে শুরু হওয়া এই অগ্নিকাণ্ড বনাঞ্চল ছাড়িয়ে আশপাশের বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। উষ্ণ সান্তা আনা বাতাসের প্রভাবে দীর্ঘদিনের উত্তপ্ত অবস্থা থেকে উৎপত্তি এই দাবানলের। উত্তর আমেরিকার গ্রেট বেসিন নামক বিস্তৃত মরু অঞ্চল থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে ধেয়ে আসে এই গরম বাতাস। এখন পর্যন্ত দাবানলে ২৫ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। দাবানল কি শুধুই প্রাকৃতিক বিপর্যয়? দাবানল সৃষ্টির নেপথ্যের কারণ খুঁজে দেখার পাশাপাশি চলুন, ইতিহাসের সর্বাধিক প্রাণহানী ঘটানো দাবানলগুলো সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
দাবানল কি এবং কেন হয়
শুষ্ক বনাঞ্চলে মাত্রাতিরিক্ত উত্তাপের রেশ ধরে সৃষ্ট আগুন গোটা বন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা দাবানল হিসেবে পরিচিত। বনের ভেতরে ঘন ঝোপঝাড় এবং পরস্পর সংস্পর্শে থাকা গাছপালা স্বতঃস্ফূর্ত দহনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। এমতাবস্থায় ছোট একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গই যথেষ্ট পুরো বনভূমিকে অঙ্গারে পরিণত করার জন্য। এই অগ্নিস্ফুলিঙ্গের নেপথ্যে প্রাকৃতিক ও মনুষ্য ঘটিত উভয় কারণই থাকতে পারে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্ফুলিঙ্গের সাধারণ প্রাকৃতিক কারণ থাকে বজ্রপাত। মানবসৃষ্ট কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাম্প ফায়ার, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট বা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি।
দাবানলের ব্যপ্তি কতটা জায়গা জুড়ে হবে তা স্থানটির ভৌগলিক অবস্থান ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। যেমন আশপাশের কোনো স্থান থেকে শুষ্ক ও উত্তপ্ত বাতাসের চাপ, জলবায়ু পরিবর্তন, ও দীর্ঘস্থায়ী খরা। এসব কারণে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বনসহ আশপাশের অঞ্চলগুলোকে অধিক শুষ্ক করে রাখে।
আরো পড়ুন: দাবানলে সৃষ্ট বায়ুদূষণে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু: গবেষণা
উষ্ণ বাতাসের স্থায়ীত্বের সঙ্গে আগুন জ্বলতে থাকার মাত্রা সমানুপাতিক হারে বাড়ে। তাছাড়া ছোট একটি জায়গায় আগুন লাগলে তার আশপাশের পরিবেশ এমনিতেই উত্তপ্ত হতে থাকে। এমন সময় সেখানে থাকা তাপ পরিবাহী বস্তুগুলো আবহাওয়া উষ্ণ রাখার মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। বাকি থাকে শুধু একটি সহায়ক মাধ্যম যার উপর দিয়ে আগুন নিমেষেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে। এই অনর্থ সংঘটনের জন্য বন-জঙ্গল সব থেকে আদর্শ জায়গা। গায়ে গায়ে লেগে থাকা গাছপালা এখানে রীতিমত বৈদ্যুতিক তারের ভূমিকা পালন করে। একবার আগুন লেগে গেলে তা অনেক দূর পর্যন্ত নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ে। চরম অবস্থায় এই আগুন আশপাশে থাকা গ্রাম বা শহরে প্রবেশ করে ব্যাপক ধ্বংসের কারণ হয়।
৯২ দিন আগে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা প্রথম
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ২৪২ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'খুবই অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি, পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর যথাক্রমে ১৯০, ১৮৬ ও ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
১৩৫ দিন আগে
শুক্রবার ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ১৫৫ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও উত্তর মেসিডোনিয়ার স্কোপিয়ে যথাক্রমে ৩৫০, ১৯৩ ও ১৭৬ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
১৪২ দিন আগে
শুক্রবার ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫০ একিউআই স্কোর ১৯৫ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
একিউআই সূচক অনুযায়ী, আজকের বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও মিশরের কায়রো যথাক্রমে ৬০৩, ৪৫২ ও ১৯১ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
১৪৯ দিন আগে