আইনশৃঙ্খলা
যশোরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
যশোরের শার্শা উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের সাত নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরালী এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান (৬০), ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন আলম (৪০), শার্শা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ইউপি সদস্য আবদুল খালেক (৫৪), বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মুকুল হোসেন (৪৪), শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী আক্তারুজ্জামান (৫৪), শার্শা সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি হায়দার আলী (৩৭) ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাহেব আলী (৫৫)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৬
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা, শার্শা ও বেনাপোল থানায় নাশকতার একাধিক মামলা আছে। সোমবার দুপুরে সাত নেতাকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
হাসনাতের ওপর হামলায় ঘটনায় ১০০ জনের নামে মামলা
গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ১০০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় এনসিপির সদর থানার আহ্বায়ক খন্দকার আল আমিন বাদী হয়ে বাসন থানায় এ মামলা করেন।
এ ঘটনায় সোমবার সকাল পর্যন্ত ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর ও জেলার এনসিপি নেতারা বাসন থানায় উপস্থিত হয়ে সংগঠনের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় মামলার এজাহার করেন।
পরে সন্ধ্যায় ১০০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন খান।
মামলায় বলা হয়, রবিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলা হয়। গাড়ির কাঁচ ভেঙে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় আটক ২
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাতভর চান্দনা চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।’
‘এ সময় ৫৪ জনকে আটক করা হয়। এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারা সবাই আওয়ামী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।’
রবিবার রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের আটক করে। সন্ধ্যার পর হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার পর থেকেই জিএমপির থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুজনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন—গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা মো. নিজাম উদ্দিন ও কাশিমপুর থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমদ দিপু। এছাড়া অন্যদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
গাড়ির চালকের ভাষ্য মতে, পেছন থেকে মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্ত এসে গাড়িতে হামলা করে। হামলায় গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। আব্দুল্লাহ দ্রুত আশ্রয় নেন আইইউটিতে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় ঢাকায় যান তিনি। এরপর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক অভিযান শুরু হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর হাসপাতাল থেকে গুলিবিদ্ধ ভারতীয় পাচারকারী আটক
চোরাচালানে জড়িত সন্দেহে ঢাকায় এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর মগবাজারের একটি হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক সুজন বর্মন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার বটতলী গ্রামের মঙ্গল বর্মনের ছেলে। তিনি সীমান্তে সক্রিয় একটি চোরাচালান চক্রের সহায়তায় রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে বিজিবি হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করে।
ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ সুজন সিন্ডিকেটের সহায়তায় অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে বিজিবির কাছে তথ্য ছিল।
ঘটনার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি নজরদারি ও তদন্ত কার্যক্রম জোরদার করে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে হত্যা আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, তাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিজিবির একটি টহল দল সোমবার দুপুরে মগবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজনকে খুঁজে পায় এবং তাকে আটক করে।
পরে তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা।
২ ঘণ্টা আগে
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান-বিজ্ঞানী মঞ্জু ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানসহ তার পরিবারের সদস্যদের ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুর আহসানসহ তার স্ত্রী বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৫ মে) দুদকের পৃথক দুইটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
দুদকের উপপরিচালক তানজির হাসিব সরকার, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নান, তার স্ত্রী তাহমিদা বেগম, ছেলে শেখ লাবিব হান্নান ও মেয়ে সানজিদা আক্তারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আবেদন করে।
আবেদনে বলা হয়, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধন, ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের কাজ চলমান।
দুদক জানতে পেরেছে, শেখ আব্দুল হান্নান ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন নিষেধাজ্ঞা প্রায়োজন।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আবেদন করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুর আহসান ও তার স্ত্রী নার্গিস খানমের।
তার আবেদনে বলা হয়, মঞ্জুর আহসান ও তার স্ত্রী নার্গিসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। এর মধ্যে সংস্থাটি জানতে পেরেছে, অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা: নাগরিকদের চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ঢাকায় এলে তাকে পথে পথে অভ্যর্থনা দেবেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের চলাচলে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য কিছু বিষয় মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (৫ মে) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জনসাধারণকে গুলশান/বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান না করে ফুটপাতে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আগত জনসাধারণকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফুটপাতে অবস্থান করানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান-বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়ক যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। বিকল্প রাস্তার মধ্যে রয়েছে:
• আব্দুল্লাপুর কামারপাড়া ধউর ব্রীজ-পঞ্চবটী-মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে গাবতলী হয়ে চলাচল।
• ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার।
• উত্তরা ও মিরপুরে বসবাসকারীদের এয়ারপোর্ট সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে হাউস বিল্ডিং- জমজম টাওয়ার-১২নং সেক্টর খালপাড়-মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন- উত্তরা সেন্টার স্টেশন-মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে চলাচল এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশন হতে ১৮ নং সেক্টর-পঞ্চবটী হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করতে পারেন।
• গুলশান, বাড্ডা এবং প্রগতি সরণি এলাকার যাত্রীরা কাকলী, গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক সড়কের পরিবর্তে গুলশান-১/পুলিশ প্লাজা-আমতলী-মহাখালী হয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন র্যাম্প ব্যবহার করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এয়ারপোর্ট/উত্তরা যেতে পারবে।
• মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলগামী যানবাহন মিরপুর-গাবতলী রোড হয়ে চলাচল করতে পারবে।
• এয়ারপোর্ট/৩০০ ফিট রাস্তা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনকে বনানী/কাকলী র্যাম্পের পরিবর্তে মহাখালী র্যাম্প/এফডিসি র্যাম্প ব্যবহার করতে পারবে।
এছাড়া ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ ঢাকা সেনানিবাসের রাস্তা (জিয়া কলোনী/জাহাঙ্গীর গেইট /সৈনিক ক্লাব/স্টাফ রোড) সকাল ৮ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুধু হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং সেনানিবাসের রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ সিএনজিচালিত অটোরিক্শা ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত টোল পরিশোধপূর্বক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিমি গতিসীমা মেনে ও এক্সপ্রেসওয়ের বাঁ পাশের সেইফ লেন ব্যবহার করে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ওভারস্পিড ও লেন পরিবর্তন করলে আইন প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
বিকল্প হিসেবে ঢাকা-জয়দেবপুর চলাচলকারী ট্রেন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রেলওয়ের সব আন্তঃনগর ট্রেন আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টঙ্গী, এয়ারপোর্ট এবং তেজগাঁও স্টেশনে দুই মিনিটের জন্য থেমে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামীকাল সকাল থেকৈ দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর-টঙ্গী রুটে অতিরিক্ত একটি শাটল ট্রেন পরিচালনা করবে।
হজযাত্রীসহ বিদেশগামীদের এয়ারপোর্টে গমানগমনের ক্ষেত্রে এবং ওই এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মিরপুর ও উত্তরাবাসীকে বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেল ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনাকারীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অভ্যর্থনাকারীরা কোনো যানবাহন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে যুক্ত হতে পারবেন না।
অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল নিয়ে কোনোক্রমেই গুলশান/বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করতে পারবেন না বা মোটরসাইকেলযোগে জনতার মধ্য দিয়ে চলতে পারবেন না। তবে এ রাস্তা দিয়ে (জনসমাগম না হলে) সাধারণ যানের সাথে মোটরসাইকেল চলতে পারবে।
৫ ঘণ্টা আগে
চার দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি জাফর আলম
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জাফর আলমের (৬৯) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৫ মে) মামলার শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ আদেশ দেন।
আজ (সোমবার) সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল জাফর আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত। তার আগে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। একই দিনে আওয়ামী লীগও পাল্টা সমাবেশ ডাকে।
আরও পড়ুন: ভ্যানচালক হত্যাচেষ্টা মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে সিদ্দিক
এ সময় বিএনপির সমাবেশ পণ্ড করতে পুলিশের সহায়তায় দলটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে । হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
জাফর আলম ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। জাফর আলম ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ২০১৪ সালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী সরকার পতনের পর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চকরিয়া ও পেকুয়ায় হত্যা মামলাসহ তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৫ থেকে ১৬টি মামলা করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
চলতি সপ্তাহে কার্যতালিকায় আসবে জামায়াতের নিবন্ধনের আপিল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আংশিক শ্রুত আপিলটি চলতি সপ্তাহে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় থাকবে। জামায়াতের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপস্থাপনের পর রবিবার (৪ মে) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ বলেছেন- ‘কার্যতালিকা ওয়াচ (নজরে রাখবেন) করবেন। মঙ্গলবার বা বুধবার কার্যতালিকায় আসবে।’
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল মামলাটি খারিজ (আইনজীবী হাজির না থাকায়) করে দেয়। এরপর আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য পুনরুজ্জীবিত করেছেন।
এরপর গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল। প্রথম দিনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত। ওইদিন পরবর্তী শুনানির জন্য ১৪ জানুয়ারি এবং এরপর ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
প্রথম দিনের শুনানির বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘শুনানিতে যা বলা হয়েছে তা হলো, যারা রিট করেছিলেন তারা বলেছেন জনস্বার্থে করেছেন। কিন্তু মূলত এটা জনস্বার্থে রিট করা হয়নি। এটি করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। তারা যে রিট করেছেন তাদের সেই এখতিয়ার নেই। তারা জনস্বার্থে বলেছেন, কিন্তু মূলত রিট করেছেন ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক স্বার্থে।’
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান।
এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়।
এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।
২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।
সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এদিন আদালতে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর ও আহসানুল করীম। জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন: নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনায় কমিটি চেয়ে রিট
ওইদিন আইনজীবী জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীর ব্যক্তিগত অসুবিধা ছিল। আর অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীনও অনুপস্থিত ছিলেন। এ ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে ছয় সপ্তাহ সময় চেয়েছিলাম। যেহেতু আমাদের আইনজীবীরা উপস্থিত নেই, সেহেতু আদালত এটা ডিসমিস ফর ডিফল্ট করেছেন। অর্থাৎ আইনজীবী উপস্থিত না থাকার কারণে খারিজ করেছেন।
এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ফের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। গত জুলাই মাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ছাত্র-জনতা সরকার পদত্যাগের দাবি তোলে। এর মধ্যে ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
পরে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আবেদন বাতিলের উদ্যোগ নেয়। গত ২৮ আগস্ট সরকার আগের নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল করে। এরপর আপিল বিভাগে নিবন্ধন মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য আবেদন করে।
১ দিন আগে
এসএসসি পরীক্ষার্থীর মোবাইলে নকল, শিক্ষকের জেল-জরিমানা
এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছাত্রকে হোয়াটসঅ্যাপে নকল সরবরাহের ঘটনায় আটক আমেনা বাকী স্কুলের শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে ভ্রাম্যমাণ আদাল ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।।
আটক শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সাইতাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি চিরিরবন্দরের আমেনা বাকী রেসিডেন্সি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিতের শিক্ষক।
কেন্দ্র সচিব সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, আজকে উচ্চতর গণিত পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরিদর্শক দল একটি কক্ষে ৯৫২৭৫৭ রোল নম্বরধারী লাবিব হাসনাত সর্দার নামে এক ছাত্রের কাছে মোবাইল দেখতে পেলে তাকে বহিষ্কার করে। এরপর ওই মোবাইলের সূত্র ধরে আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে আমেনা বাকি স্কুল থেকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও একই পরীক্ষায় অন্য একটি কক্ষ থেকে নকল করার অভিযোগে ২৪৫৫৭০ রোল নম্বরধারী হাফিজুল ইসলাম নামে আরেক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনায় কমিটি চেয়ে রিট
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, কেন্দ্রের ভিতর থেকে মোবাইল ফোনে প্রাইভেট শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের কাছে প্রশ্ন জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে উত্তর সংগ্রহ করছিল তার ছাত্র। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষককে চিহ্নিত করে আটক করেন তারা। স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই শিক্ষককে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মীর সাজ্জাদ আলী জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক পরীক্ষা হলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তিনি বহিরাগত হিসেবে নকল সরবরাহে জড়িত ছিলেন। পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বনের দায়ে গাইবান্ধায় ৬ জন পঞ্চগড়ে ১ জন এবং দিনাজপুরে ২ জনসহ ৯ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলে ৯৯৮ জন পরীক্ষার্থী।
১ দিন আগে
নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনায় কমিটি চেয়ে রিট
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ছয়টি সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী। রবিবার (৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন রিটকারী রওশন আলী।
নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ও সাংঘর্ষিক বিষয় পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এই রিটে। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে। রিটে নারী ও শিশু, আইন ও ধর্ম মন্ত্রণালয় ও নারী সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরিয়তের বিধানের পরিপন্থী। দেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তাই এই বিষয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয়ভাবে স্পর্শকাতর।
রিটে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২ অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশগুলো কেন বেআইনিভাবে প্রণীত ও আইনগত কার্যকারিতা–বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত, আফতাবনগরে পশুর হাট নয়: হাইকোর্ট
রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট— ২০২৫’ এই রিপোর্টটি ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরীয়ত, আমাদের সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। প্রথমত, রিপোর্টের অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর জন্য সমান উত্তরাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থী। দ্বিতীয়ত, রিপোর্টে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত একটি বিধান এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে। তৃতীয়ত, ‘মাই বডি, মাই চয়েজ’ স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরীয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
চতুর্থত, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামী মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। পঞ্চমত, রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা শরীয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিটে নারী কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।’
১ দিন আগে
ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত, আফতাবনগরে পশুর হাট নয়: হাইকোর্ট
রাজধানীর আফতাব নগরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর বিষয়ে জারি করা ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (৪ মে) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন-১ ও ২ এর খালি জায়গায় পশুর হাট বসানোর জন্য জারি করা ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এলজিআরডি সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আফতাবনগরে পশুর হাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। এর আগে গত ২১ এপ্রিল ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
বিজ্ঞপ্তির ৫ নম্বর কলামে আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন-১ ও ২ এর খালি জায়গা পশুর হাটের বিষয়টি উল্লেখ ছিল। পরে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ৫ নম্বর কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘এটি একটি আবাসিক এলাকা। এ এলাকায় লাখ লাখ মানুষের বসতি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য রিটটি করি। আদালত রুল ও স্টে দিয়েছেন। ফলে এবার পশুর হাট বসানো যাবে না।’
১ দিন আগে