আইনশৃঙ্খলা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-হাসপাতালের আশপাশে সিগারেট বিক্রি করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্ক এলাকায় সিগারেট বা তামাক বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করবেন না বা করাবেন না।
সরকার বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সময় সময় সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দিয়ে এ সীমানার পরিধি বাড়াতে পারবে বলে অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা মুখে পড়বেন। দ্বিতীয়বার বা বারবার এ অপরাধ করলে দ্বিগুণ হারে শাস্তি পেতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন ঘিরে ঢাকায় ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির ২৭ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান এ তথ্য জানান।
শরিফুল ইসলাম বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করতে এভারকেয়ার হাসপাতাল, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও জিয়া উদ্যানজুড়ে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে আজ সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ। সকাল সোয়া ৯টার পর খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী লাল-সবুজ পতাকা মোড়ানো গাড়িটি গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় পৌঁছায়।
খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা আজ (বুধবার) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর তার স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারা দেশে বুধবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং সাধারণ ছুটি পালিত হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তার চাদরে খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফন সম্পন্ন হবে
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরো কার্যক্রম ঘিরে ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ, এপিবিএনসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠিত হবে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, জানাজা ও দাফন উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ হাজারেরও বেশি পুলিশ, এপিবিএন ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য মাঠে থাকবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু এলাকায় সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনাও থাকবে।
জানাজার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি বিষয় নতুন করে পর্যালোচনা করেছে। সম্প্রতি একটি বড় জানাজার অভিজ্ঞতা থাকলেও এবার আরও বৃহৎ পরিসরে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যাতে পুরো অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খল ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হয়।
শফিকুল আলম জানান, জানাজা ও দাফনের সার্বিক আয়োজন নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির পূর্ণ সমন্বয় রয়েছে। এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে। দলটির পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া গেছে এবং সরকারও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
নিরাপত্তা শঙ্কা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, কোনো ধরনের উদ্বেগ নেই। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পৌঁছানো পর্যন্ত জানাজা ও দাফনের সব আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে শফিকুল আলম বলেন, তিনি ছিলেন আপোষহীন নেত্রী। দেশের গণতন্ত্র বারবার সংকটে পড়লেও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে এবং প্রায় ৪৫ বছরের দীর্ঘ জনসেবার মাধ্যমে তিনি দেশের জন্য যে অবদান রেখেছেন, তা অনন্য।
২৩ ঘণ্টা আগে
ঋণখেলাপির তালিকা থেকে মান্নার নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ, নির্বাচনে বাধা নেই
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে অবিলম্বে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এর ফলে বগুড়া-২ আসন থেকে তার নির্বাচন করতে আর কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে মান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া, আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে, ইসলামী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম।
গতকাল (রবিবার) ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমান মান্না আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপিতর আদালতে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
এর আগে, গত বুধবার ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে মান্নার রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এর ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।
সেদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ চেয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না রিট করেছিলেন। আদালত রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
মান্নার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া হাইকোর্টের রিট খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান। সে অনুযায়ী গতকাল আপিল বিভাগে আবেদন করেন মান্না।
তার আগে, গত ১০ ডিসেম্বর মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের কাছে খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা। মান্না ও তার দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো এই নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। শাখা প্রধান তৌহিদ রেজার স্বাক্ষরিত নোটিশটি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানায় পাঠানো হয়।
তথ্য অনুযায়ী, আফাকু কোল্ড স্টোরেজের মালিকানায় মান্না ৫০ শতাংশ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ২৫ শতাংশ এবং তার স্ত্রী ও পরিচালক ইসমত আরা লাইজু ২৫ শতাংশ অংশীদার। ৩ ডিসেম্বর পাঠানো নোটিশে বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কাছে খেলাপি বিনিয়োগ বাবদ মোট ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ব্যাংকের নোটিশে বলা হয়, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ করেনি। ফলে বকেয়া বেড়ে বর্তমান পরিমাণে দাঁড়িয়েছে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কোনোরকম অগ্রগতি না থাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা হিসেবেই এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
২০২৫ সালের ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ না করলে ব্যাংক আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলেও জানানো হয়।
ইসলামী ব্যাংক বগুড়া বড়গোলা শাখার প্রধান তৌহিদ রেজা বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ঋণ খেলাপি হওয়ার পরও টাকা পরিশোধে কোনো উদ্যোগ নেননি। প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হলেও তিনি চুক্তি অনুযায়ী পরিশোধ করেননি। তাই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগে
সীমান্ত সমস্যা সমাধানে বিজিবিকে কৌশলী হতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবিকে কৌশলী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে ‘বিজিবি দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি ‘ত্রিমাত্রিক’ বাহিনী হিসেবে দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা ও জনকল্যাণমূলক কাজে অনন্য ভূমিকা রাখছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় অত্যন্ত ন্যায়ানুগ পন্থায় নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে কোনো মাদক প্রবেশ করবে না। অবৈধ পথে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশীয় কোনো পণ্য বিদেশে পাচার হবে না। বিজিবির যেসব সদস্য চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সহায়তা করেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন উপদেষ্টা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত কৌশলী ও যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। দেশের স্বার্থ শতভাগ রক্ষা করতে হবে।’ সেইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে কোনো অপরাধী, সন্ত্রাসী সীমান্ত দিয়ে যাতে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশও দেন তিনি।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ নিতে বিজিবি সদস্যদের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, ফেয়ার এবং উৎসবমুখর হয়, সেজন্য আপনাদের যতো ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে, আপনাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এই নির্বাচনটা উৎসবমুখর করা আপনাদের কিন্তু একটা বড় দায়িত্ব! এটা আপনারা ভালোভাবে পালন করবেন—এ আমি বিশ্বাস করি। আপনারা জাতিকে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিবেন—এ আমার আশা।’
এ সময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী গত এক বছরে বিজিবির নানা অর্জন ও বাহিনীটির সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সকল ক্ষেত্রে আমরা হয়তো শতভাগ সার্থক হতে পারিনি, তবে আমাদের প্রচেষ্টায় কোনধরণের কমতি ছিল না। ভবিষ্যতেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নির্বাচনি দায়িত্ব সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে পালনে বিজিবি বদ্ধপরিকর বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান।
২ দিন আগে
ওসমান হাদিকে হত্যাকারী ফয়সাল ভারতে পালিয়েছেন: ডিএমপি
ইনকিলাব মঞ্চের সদ্য প্রয়াত আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম ওরফে দাউদ খান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ফয়সাল দেশে আছেন না ভারতে পালিয়ে গেছেন— তা নিয়ে এক সপ্তাহ আগেও সন্দিহান ছিল পুলিশ। কিন্তু আজকের সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম বললেন, ফয়সাল ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে গেছেন। মেঘালয় পুলিশ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তার ভাষ্যে, ‘তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া জবানবন্দি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ফয়সাল ও আলমগীর (সহযোগী) ঘটনার পরপরই সিএনজিতে করে আমিন বাজার যান। পরবর্তীতে তারা মানিকগঞ্জের কালামপুর যান। সেখান থেকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি প্রাইভেটকারে করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পৌঁছান।
‘ঘটনাটি তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এজন্য আসামিদের চিহ্নিত করার আগেই তারা সীমান্ত পাড়ি দিতে সক্ষম হন।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হালুয়াঘাটের আগে মুন ফিলিং স্টেশনে ফিলিপ ও সঞ্জয় নামের দুজন তাদের গ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ফিলিপ তাদের সীমান্ত পার করে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পুত্তি নামের এক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করেন। পুত্তি ট্যাক্সিচালক সামির কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। সামি তাদের মেঘালয়ের পুরা শহরে পৌঁছে দেন। অনানুষ্ঠানিক মাধ্যম দিয়ে মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব তথ্য জানা গেছে বলে জানান তিনি।
পুত্তি ও সামিকে ইতোমধ্যে মেঘালয় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সন্দেহ করি, আসামিরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন।’
মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পুলিশ চার্জশিট দিতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এই ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে, আমাদের (পুলিশ) পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
হাদি হত্যায় এ পর্যন্ত ফয়সালের বাবা ও মা, তার স্ত্রী, শ্যালক, বান্ধবীসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছয় জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। তদন্তে নেমে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৫২ রাউন্ড গুলি, মোটরসাইকেল ও ভুয়া নম্বর প্লেট এবং ৫৩টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ২১৮ কোটি টাকার চেক উদ্ধারের কথাও জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার।
৩ দিন আগে
চানখারপুলে গণহত্যা: ৮ জনের বিরুদ্ধে রায় ২০ জানুয়ারি
চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেয়।
প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলায় হাবিবসহ চার আসামি পলাতক রয়েছেন।
এদিন আসামি ইমাজ হোসেন ইমনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. জিয়াউর রশিদ। পরে পলাতক চার আসামির হয়ে যুক্তি তুলে ধরেন এ মামলার স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী কুতুবউদ্দিন আহমেদ। প্রসিকিউশনের পক্ষে পাল্টা যুক্তি খণ্ডন করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম; সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সহিদুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল নোমানসহ অন্যরা।
গত ২২ ডিসেম্বর আংশিক যুক্তিতর্ক শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। বাকি শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিল ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন যুক্তি উপস্থাপন করেন শাহবাগ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেনের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন অভি। এরপর কনস্টেবল সুজন ও নাসিরুলের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী সিফাত মাহমুদ শুভ ও আবুল হাসান। যুক্তিতর্কে নিজেদের মক্কেলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ আনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তারা।
এ মামলার গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন—শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আজ সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
পলাতকরা হলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল। চলতি বছরের ১৪ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। তিনি এ মামলার আদ্যোপান্তসহ গত বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুলের ঘটনায় আসামিদের কে কোন অপরাধ করেছেন, কার কতটুকু সংশ্লিষ্টতা ছিল—সব তুলে ধরেন। ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের সরাসরি নির্দেশে ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সবশেষ আট আসামির সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে ট্রাইব্যুনালের কাছে বিচার প্রার্থনা করেন এই প্রসিকিউটর।
১০ ডিসেম্বর এ মামলার আসামি আরশাদ হোসেনের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন জুয়েল মাহমুদ। ৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে নিজের পক্ষে নিজেই সাফাই সাক্ষ্য দেন আরশাদ হোসেন। একই দিন জবানবন্দি দিয়েছেন মো. সোলাইমান। ৩০ নভেম্বর আরশাদ হোসেনের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানি করেন আইনজীবী অভি। পরে তার আবেদন মঞ্জুর করে তিনজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল। ২৭ নভেম্বর এ আবেদন করেন তিনি।
একই দিন এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামের জেরা শেষ করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ১৯ নভেম্বর টানা তৃতীয় দিনের মতো তার সাক্ষ্য শেষ হয়। জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয় ১২ নভেম্বর। সবমিলিয়ে ২৩ কার্যদিবসে ২৬ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনার পাশাপাশি শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক নিহত হন।
৭ দিন আগে
কাশিমপুর কারাগারে আতাউর রহমান বিক্রমপুরী
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আটকাদেশের পর আটক হওয়া আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই সিকিউরিটি ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
আতাউর রহমানের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি থানার আমতলী গ্রামে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, জিএমপির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্রমপুরীকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারার ক্ষমতাবলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার বিরুদ্ধে ৯০ দিনের আটকাদেশ জারি করা হয়।
তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের আটকাদেশ পেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বুধবার কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ দিন আগে
নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফার ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।
এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। জুবায়ের রহমান চৌধুরী তার স্থলাভিষিক্ত হবেন।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ১৯৮৫ সালে জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগে তার নিয়োগ স্থায়ী হয়। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স ও এলএলএম ডিগ্রি নেওয়ার পর যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইনের ওপর আরেকটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।
৭ দিন আগে
নাশকতার আশঙ্কা: ভূমি অফিসগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারে স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি
ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠপর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোর নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি স্থাপনায় নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সরকারি স্থাপনাসমূহে দুর্বৃত্তদের দ্বারা নাশকতামূলক অগ্নিসংযোগের ঘটনা লক্ষ করা যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ডিসেম্বর ভোর সোয়া ৪টার দিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা মাগুরা সদর উপজেলা ভূমি অফিসে প্রবেশ করে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ ঘটায়। একই সময়ে মাগুরা সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও আগুন লাগে।
অগ্নিকাণ্ডে উপজেলা ভূমি অফিসের একটি কক্ষে সংরক্ষিত প্রয়োজনীয় কিছু নথিপত্র ও রেজিস্টার, একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টারসহ টেবিল, চেয়ার, আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পেট্রোলের বোতল, কয়েকটি খালি বোতল ও মাস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, যা পুলিশ আলামত হিসেবে জব্দ করেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমি সংক্রান্ত দলিলপত্র সংরক্ষিত থাকে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে এ ধরনের নাশকতামূলক ঘটনার ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড কক্ষসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাঠপর্যায়ের সব উপজেলা ভূমি অফিস, রাজস্ব সার্কেল ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সব কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
৯ দিন আগে