ক্রিকেট
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ভারতের বিপক্ষে অভিযান শুরু করবে টাইগাররা
ভারত-পাকিস্তান ইস্যু নিয়ে নানা অনিশ্চয়তার পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে ক্রিকেটের শীর্ষ আট জাতির এলিট টুর্নামেন্ট আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে সমস্যার সুরাহা করা হয়েছে।
তারপরও এই টুর্নামেন্টের নিয়ে সূচি ঘোষণা করতে পারছে না আইসিসি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচি ঘোষণা না হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কবে শুরু হতে পারে তার আভাস পাওয়া গেছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) একটি সূত্র দেশটির গণমাধ্যমে জানিয়েছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর।
সূত্রটি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিক পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্দা উঠছে। আর ক্রিকেট ভক্তদের কাঙ্ক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি।
সূত্রের তথ্যমতে, উদ্বোধনী দিনের পরদিনই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অভিযান শুরু হবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।
আরও পড়ুন: ভারতের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পিসিবি
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলো গড়াবে করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামে। আর রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান যেতে অস্বীকার করায় ভারতের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইয়ে।
এছাড়া টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল হতে পারে যথাক্রমে ৪ ও ৫ মার্চ। এর যেকোনো একটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে, অপরটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। এবারের আসরে ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।
১ দিন আগে
ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে দারুণ এক প্রতিশোধ নিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে টি-টোয়েন্টি নিজেদের অর্জনের মুকুটে যোগ হয়েছে নতুন পালক।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। এর আগে প্রথম দুই ম্যাচে ৭ ও ২৭ রানে জয় পায় টাইগাররা।
এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৪ ওভারেই ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন রান আউট ভেবে ড্রেসিংরুমে চলে গিয়ে আবার ফেরা জাকের আলি অনিক। এছাড়া ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ২১ বলে ৩৯ এবং মেহেদি হাসার মিরাজ করেন ২৩ বলে ২৯ রান।
দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম বোলার রোমারিও শেফার্ড। একটি করে উইকেট নেন আলজারি জোসেফ, রোস্টন চেস ও গুদাকেশ মোটি। এছাড়া রান আউটের শিকার হন শামীম হোসেন ও শেখ মেহেদী।
অপরদিকে, ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় বলেই ইউকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর ফলে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি বাংলাদেশি বোলারদের।
লোয়ার মিডল অর্ডারে নামা শেফার্ডের ২৭ বলে ৩৩ রানই তাদের ইনিংস সর্বোচ্চ। এছাড়া ২৩ রান করেন ওপেনার জনসন চার্লস।
টাইগারদের পাঁচ বোলারই আজ উইকেটের দেখা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন রিশাদ, দুটি করে উইকেট তুলেছেন তাসকিন ও শেখ মেহেদী এবং বাকি দুই উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব ও হাসান মাহমুদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৮৯/৭ (জাকের আলি ৭২, ইমন ৩৯, মিরাজ ২৯; শেফার্ড ২/৩০, চেস ১/১৫)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১০৯/১০ (শেফার্ড ৩৩, চার্লস ২৩, পুরান ১৫; রিশাদ ৩/২১, মেহেদী ২/১৩, তাসকিন ২/৩০)।
ফলাফল: বাংলাদেশ ৮০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জাকের আলি।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: শেখ মেহেদী।
৩ দিন আগে
হঠাৎ অবসরের ঘোষণা দিলেন অশ্বিন
বোর্ডার–গাভাস্কার টেস্ট সিরিজ চলাকালে হুট করেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসলেন ভারতীয় স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ভারতের একাদশে ছিলেন না তিনি, তার আগে জায়গা হয়নি পার্থে প্রথম টেস্টেও। মাঝে অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্টটিই দেশের জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ হয়ে রইল।
ব্রিসবেন টেস্টের শেষে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অফ স্পিনার। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, কিছু একটা ঘোষণা দিতে চলেছেন তিনি। আর তা সত্যি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন তিনি।
‘ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব সংস্করণে এটিই আমার শেষ দিন। ক্রিকেটার হিসেবে যদিও কিছুটা তাড়না আমার ভেতর এখনও আছে, তবে সেটি দেখাতে চাইব ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে।’
‘আমার অনেক স্মৃতি থাকবে রোহিতসহ সবার সঙ্গে, আমরা শেষ কয়েকজন বুড়ো যারা ড্রেসিং রুমে ছিলাম (হাসি)।’
‘অনেককেই ধন্যবাদ দিতে হয়। বিসিসিআই ও সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানালে আমার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করা হবে না। তাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করতে চাই। দীর্ঘ এই পথচলায় কোচ হিসেবে যাদের পেয়েছি (সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা)। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোহিত, বিরাট (কোহলি), আজিঙ্কা (রাহানে), (চেতেশ্বর) পুজারা… যারা ব্যাটের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে অনেক ক্যাচ নিয়েছে এবং এত বছর ধরে আমাকে এত উইকেট নিতে সহায়তা করেছে, সবাইকে ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন: এক বছরের ব্যবধানে ফের অবসরে ইমাদ ওয়াসিম
সংবাদ সম্মেলনে এত বড় ঘোষণা দিলেও এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বের সুযোগ রাখেননি অশ্বিন।
‘এমনিতেই অনেক সময় নিয়ে ফেললাম। এটা আমার আবেগী মুহুর্ত, কারো কোনো প্রশ্ন এখন নিচ্ছি না। আমার মনে হয়, প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দেওয়ার মতো অবস্থায় আমি নেই। এজন্য আমাকে ক্ষমা করবেন।’
ক্যারিয়ারজুড়ে ১০৬ টেস্ট খেলে ৫৩৭ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন অশ্বিন। ভারতের হয়ে সাদা জার্সিতে অনিল কুম্বলের (৬১৯) পর তিনিই সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারী। এছাড়া একদিনের ১১৬ ম্যাচে বল হাতে ১৫৬ এবং ৬৫ টি-টোয়েন্টিতে ৭২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
টেস্টে ৩৭ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন, মুত্তিয়া মুরালিধরনের (৬৭) পর শেন ওয়ার্নের সঙ্গে যা যৌথ সর্বোচ্চ। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ৮ বার, কুম্বলের সঙ্গে যা যৌথভাবে ভারতের সর্বোচ্চ ও টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ।
এছাড়া টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার (২৬৮) বাঁহাতি ব্যাটারদের আউট করার রেকর্ডও রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে ইমরুল কায়েস
তবে শুধু বোলিং নয়, ব্যাট হাতেও তিনি ক্রিকেট রাঙিয়েছেন। টেস্টে ৬টি সেঞ্চুরি ও ১৪টি ফিফটিতে ২৫.৭৫ গড়ে ৩ হাজার ৫০৩ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ অলরাউন্ডারও হয়েছেন অশ্বিন।
টেস্টে ৩০০ উইকেট ও ৩ হাজার রান সংগ্রহ করা ১১ ক্রিকেটারের একজন তিনি। একই টেস্টে পাঁচ উইকেট ও সেঞ্চুরি করার নজির চারবার রেখেছেন তিনি, যা ইয়ান বোথামের (৫ বার) পর ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এ ছাড়াও ওয়ানডেতে ১১৬ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ১৫৬টি; টি-টোয়েন্টিতে ৬৫ ম্যাচে ৭২টি। ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ ও ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
আসন্ন আইপিএলে তাকে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে। এবারের নিলামে তাকে ৯ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছে চেন্নাই।
৫ দিন আগে
সৌম্যর আঙুলে ৫ সেলাই, রংপুর রাইডার্স শিবিরে দুঃসংবাদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের দিন দুঃসংবাদ শুনল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে আঙুলে চোট পেয়ে বেশ কিছুদিনের জন্য ছিটকে গেছেন টাইগারদের বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হলেও টানা দুই ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ৭ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টি জেতার পর বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে ২৭ রানের জয় পেয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে লিটন দাসের দল।
এদিন ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সপ্তম ওভারে তানজিম হাসানের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন রভম্যান পাওয়েল। আগে নিকোলাস পুরানের ক্যাচ নিলেও পাওয়েলকে তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন সৌম্য। এ সময় আঙুলে বলের আঘাত লাগায় ব্যথায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।
পরে ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটার। তার কিছুক্ষণ পর অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
এ বিষয়ে বিসিবির এক বিবৃতিতে জাতীয় দলের ফিজিও বায়জেদুল ইসলাম জানান, সৌম্যর আঙুল কেটে যাওয়ায় পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক্স-রে করে দেখা গেছে, আঘাত পাওয়া জায়গায় হাড় স্থানচ্যুত হয়েছে। সুস্থ হতে তার তিন-চার সপ্তাহ লাগতে পারে।
এর ফলে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি তো বটেই, আসন্ন বিপিএলের শুরুর দিকের কিছু খেলাও মিস করবেন সৌম্য। ফলে আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হতে চলা বিপিএলের এবারের আসরের শুরুতে তাকে পাবে না রংপুর রাইডার্স।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলে ছিলেন না সৌম্য। পরে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রান না পেলেও শেষ ম্যাচ থেকে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছেন এই ব্যাটার। তৃতীয় ম্যাচে ৭৩ বলে ৭৩ রান করেন তিনি। এরপর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩২ বলে ৪৩ রান করেন। আর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রানআউট হওয়ার আগে করেন ১১ বলে ১৮ রান।
৫ দিন আগে
তিন সংস্করণেই ক্যারিবীয়দের কোচ ড্যারেন সামি
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পর এবার ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ হচ্ছেন ক্যারিবীয়দের দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ড্যারেন সামি।
গত বছরের মে মাস থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাদা বলের ক্রিকেটে কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সামি। এবার লাল বলের দায়িত্বও দেওয়া হলো ২০১২ ও ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে উইন্ডিজের নেতৃত্ব দেওয়া সামির ওপর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দলের বর্তমান কোচ আন্দ্রে কোলির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি। আগামী এপ্রিল মাস থেকে টেস্ট দলের দায়িত্ব নেবেন ৪০ বছর বয়সী এই কোচ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রেসিডেন্ট ড. কিশোর শ্যালো বলেছেন, ‘দলের দায়িত্ব নিয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে অভূতপূর্ব নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন ড্যারেন সামি। তার দূরদর্শিতা, নিবেদন ও খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতাই সব সংস্করণে তাকে (কোচ হিসেবে) উপযুক্ত ব্যক্তি করে তুলেছে।’
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় তুলতে এই নিয়োগ একটি সাহসী ও রোমাঞ্চকর পদক্ষেপ।’
ক্যারিবীয়দের লাল বলের কোচ হিসেবে আগামী বছরের জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সামির যাত্রা শুরু হবে। তার আগে জানুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজই হবে আন্দ্রে কোলির শেষ সিরিজ।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
সামির অধীনে ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে তার ২০টি জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়ে সিজির জিতেছে তার দল। দায়িত্ব নেওয়ার পর টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের নবম স্থানে থাকা ক্যারিবীয়দের পঞ্চম স্থানে তুলেছেন তিনি।
ওয়ানডেতেও তার জয়ের পাল্লা ভারী। সাবেক এই অলরাউন্ডারের অধীনে ৭টি ওয়ানডে সিরিজ খেলে চারটি জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৫ দিন আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
আর্নোস ভেল গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।
ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হতাশাজনক হারের পর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সফরকারীরা টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধীর ও স্যাঁতসেঁতে পিচে ছন্দ ধরে রাখতে হিমশিম খায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাস (১০ বলে ৩) আকিল হোসেনের বলে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নিলে ৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে শুরুতেই সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের মোকাবিলায় টপ অর্ডার তানজিদ হাসান (২), সৌম্য সরকার (১১) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (২৬) হোঁচট খেয়ে শুরুটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ফলে ১৪তম ওভারে ৬ উইকেটে ৭২ রান করে মনে হচ্ছিল হতাশাজনক স্কোরের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
তবে শামীম হোসেনের একটি সতর্ক ইনিংস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান মাত্র ১৭ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৫ রান করে বাংলাদেশকে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৯ রান তুলে দেয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি উইকেট নেন গুদাকেশ মোতি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৩০ রানের সামান্য লক্ষ্য অর্জন করতে নেমে বাংলাদেশের সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের চাপে শুরুতেই নড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
তাসকিন আহমেদ তার প্রথম ওভারেই ব্রেন্ডন কিং (৮) ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে (০) আউট করে স্বাগতিকদের ১৯ রানের মাথায় দুটি উইকেটের পতন ঘটান। এরপর মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেন মিলে মিডল অর্ডারের নিকোলাস পুরান (৫) ও রোভম্যান পাওয়েলকে (৬) মাঠ ছাড়া করেন।
স্বাগতিকদের ভরসা ছিল রোস্টন চেজের ওপর। তিনি ৩৪ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে দারুণ লড়াই করেন। আকিল হোসেইন চূড়ান্ত পর্যায়ে ৩১ বলে ৩১ রানের লড়াকু স্কোর যোগ করলেও অপর প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকায় তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
হোসেইনকে আউট করে ১৮ ওভার ৩ বলে ১০২ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসকে গুটিয়ে দেন তাসকিন।
আরও পড়ুন: এক বছরের ব্যবধানে ফের অবসরে ইমাদ ওয়াসিম
৫ দিন আগে
এক বছরের ব্যবধানে ফের অবসরে ইমাদ ওয়াসিম
এক বছরের ব্যবধানে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইমাদ।
তিনি লিখেছেন, ‘অনেক চিন্তাভাবনা ও পর্যবেক্ষণের পর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জীবনের জন্য সর্বোচ্চ সম্মানের। আর সবুজ জার্সি গায়ে জড়ানোর প্রতিটি মুহূর্ত অবিস্মরণীয়।’
‘এই অধ্যায় শেষ করে আমি ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এগিয়ে চলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আশা করি, নতুন উপায়ে সবাইকে বিনোদন দিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে ইমরুল কায়েস
গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন ইমাদ। তবে চার মাসের মধ্যে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে আলোচনার পর গত মার্চে তিনি অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরেন।
মূলত গত বছরের পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দুর্দান্ত ফর্মের কারণেই তাকে অবসর ভেঙে মাঠে ফেরায় পিসিবি। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে শিরোপা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। আসরের তিনটি প্লে-অফ ম্যাচেই ম্যাচসেরা হন তিনি।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইমাদকে ফেরাতে ভীষণ আগ্রহী ছিল পিসিবি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া আসরে একদমই ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। সুপার এইটে উঠতে ব্যর্থ হয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায় তারা। এরপর আর দলে ডাক মেলেনি তার।
পাকিস্তানের হয়ে প্রায় এক দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি ইমাদের। ৫৫টি ওয়ানডেতে ৯৮৬ রানের পাশাপাশি ৪৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে ২০২০ সালের পর এই সংস্করণেও আর খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ৭৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে তিনি ৫৫৪ রান ও ৭৩টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন।
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
বাসেতেরেতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জেডেন সিলেসের ৪/২২ এবং ব্র্যান্ডন কিংয়ের ৮২ রানের জাদুকরি ব্যাটিংয়ের ফলে ৭৯ বল বাকি থাকতেই ২২৮ রানের লক্ষ্য অর্জন করে স্বাগতিকরা।
টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সিলস তাৎক্ষণিকভাবে বল ডেলিভারি করে। ১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে ৫৪-৩ করে দেন এই পেসার।
তানজিদ হাসান ৩৩ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে শুরুতেই প্রতিরোধ গড়ে তুললেও উইকেট পড়েছে নিয়মিত। অষ্টম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ (৬২) ও তানজিম হাসান সাকিবের (৪৫) মধ্যে রেকর্ড ৯২ রানের পার্টনারশিপ সত্ত্বেও ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
জবাবে ১০৯ রানের জুটি গড়ে শক্ত ভিত গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও এভিন লুইস।
৮টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কায় ৭৬ বলে ৮২ রানের ইনিংসের গতি তুলে দেয়। রিশাদ হোসেনের বলে ৪৯ রান করে আউট হয়ে হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি থেকে বিদায় নেন লুইস।
কেসি কার্টি নেন ৪৫ রান। আর অধিনায়ক শাই হোপ (অপরাজিত ১৭) ও শেরফানে রাদারফোর্ড (অপরাজিত ২৪) স্বাচ্ছন্দ্যে কাজটি শেষ করেন।
হোপ বলেন, 'আমরা আজ ঝোড়ো ছিলাম। আমরা ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের জন্য সংগ্রাম করছি, এখন ৩-০ ব্যবধানে শেষ করার আশা করছি।’
১০ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়।
দলের ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
তিনি বলেন, ‘মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। পার্টনারশিপ মিস ছিল। এই উইকেটে ৩০০-র বেশি রান দরকার ছিল।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির আগে পুনরায় সংগঠিত হতে চায়।
আরও পড়ুন: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
১ সপ্তাহ আগে
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে টস ভাগ্য গিয়েছে স্বাগতিকদের কাছে।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই ম্যাচে টস জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্যারিবীয়রা। ফলে গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও আগে ব্যাটিংয়ে নামতে হচ্ছে টাইগারদের।
বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে ক্যারিবীয় অধিনায়ক শেই হোপ জানিয়েছেন, এই মাঠে শুরুর দিকে কিছুটা আর্দ্রতা থাকবে। তাছাড়া লক্ষ্য তাড়া করতেই আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সামনে লক্ষ্য থাকলে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে খেলা যায়।
প্রথম ওয়ানডের একাদশে একটি পরিবর্তন নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই ম্যাচে মাঠে নামছে জানিয়ে হোপ বলেন, আলজারি জোসেফকে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। তার পরিবর্তে আজ (ক্যারিবীয়দের ক্যাপে) অভিষেক হবে মারকিনো মাইন্ডলির।
আরও পড়ুন: কিংস্টন টেস্ট: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০১ রানে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের
বাংলাদেশের একাদশেও একটি পরিবর্তন আসছে জানিয়ে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, একই উইকেটে আজও খেলব, তাই আমাদের স্পিনারদের জন্য আজও ভালো সুযোগ থাকবে। শুরুতে যদি বড় একটি লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারি, তাহলে ম্যাচটি জেতা সম্ভব।
তিনি বলেন, এই উইকেটে বোলিং করা খুবই কঠিন। তবে আমার বিশ্বাস, আমরা ভালোই করব।
তাসকিন আহমেদকে বসিয়ে শরীফুল ইসলামকে দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্রেন্ডন কিং, এভিন লুইস, কেসি কার্টি, শেই হোপ, শেরফেইন রাদারফোর্ড, রোস্টন চেইস, রোমারিও শেফার্ড, জাস্টিন গ্রিভস, গুদাকেশ মোটি, মারকিনো মাইন্ডলি ও জেইডেন সিলস।
১ সপ্তাহ আগে
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ে দেশের যুবাদের রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশের যুবাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ: টানা দ্বিতীয় জয়ে যুবাদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন।
এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে এবং ভবিষ্যতেও জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
২ সপ্তাহ আগে