ক্রিকেট
মুরাদের হ্যাটট্রিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রস্তুতি শেষ করেছে বাংলাদেশ
টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিজেদের প্রস্তুতি ভালোভাবেই শেষ করেছে।
অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বোলাররা।
জাতীয় দলের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলা মুরাদ দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে ম্যাচটি ড্র করে নজর কেড়েছেন।
টস জিতে ৭ উইকেটে ২৫৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক, লিটন দাস, জাকির আলী অনিক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনসহ বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান মাঝমাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
মুমিনুল ৫৮ বলে ৩১ রান করেন, লিটন মাঠ ছাড়ার আগে ৫৩ বলে ৩১ রান করেন। জাকির ১১০ বলে ৪৮ ও অঙ্কন ৮৭ বলে ৪১ রান করেন।
বৃষ্টি ও বাংলাদেশের তীক্ষ্ণ বোলিং ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিলেক্ট একাদশের সুযোগকে সীমিত করে দেয়।
স্বাগতিকরা ২৭.৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৭ রান তুলতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পিসিবি
২৮তম ওভারে পরপর দুই বলে ড্যানিয়েল বেকফোর্ড, নাভিয়ান বিদাইড ও চেইম হোল্ডারকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেন হাসান মুরাদ। ১.৪ ওভার, ১ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেন মুরাদ।
পেসাররাও ভালো অবদান রেখেছেন। তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট নেন, তাসকিন ৫ ওভারে ২১ রান দেন এবং হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে দেন মাত্র ১৫ রান।
২২ নভেম্বর অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডের স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট এবং ৩০ নভেম্বর থেকে জ্যামাইকার কিংস্টনের সাবিনা পার্কে দ্বিতীয় টেস্ট।
টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।
আরও পড়ুন: টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে ইমরুল কায়েস
২৩ ঘণ্টা আগে
টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে ইমরুল কায়েস
টেস্ট ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস। সোমবার(১৮ নভেম্বর) এই ঘোষণা দেন তিনি।
টেস্ট ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ১৭ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারের আবেগময় সমাপ্তি টানার ঘোষণা দিয়েছেন ইমরুল।
তবে কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমরুল।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। ১৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানবো। এটা আমার জীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং ও আবেগঘন মুহূর্ত।’
আরও পড়ুন: বিপিএলের সূচি প্রকাশ
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৩৯ টেস্ট খেলে তিনটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটি করা ইমরুল তার কৃতজ্ঞতা ও গর্ব প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৬ সালে যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়, কখনো ভাবিনি বাংলাদেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলব। একটা টেস্ট হোক বা পঞ্চাশে, দেশের প্রতিনিধিত্ব করা অনেক বড় সম্মানের। আমি আমার সেরাটা দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছি, হয় ব্যাট হাতে নিয়ে কিংবা কিপার হিসেবে।’
ইমরুলের টেস্ট ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি মাইলফলক রয়েছে, যার মধ্যে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে তামিম ইকবালের সঙ্গে রেকর্ড ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটি রয়েছে।
তিনি বলেন, দেড়শ’র ওই ইনিংসটি আমার কাছে চিরকাল বিশেষ স্মৃতি হয়ে থাকবে।
নিজের অবদানে গর্ববোধ করলেও ইমরুল কিছু অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে ক্যারিয়ারে বড় কোনো ট্রফি জিততে না পারা।
তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান, তামিম, মাশরাফি, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাইয়ের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন খেললেও আমরা বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ট্রফি জিততে পারিনি। এশিয়া কাপ বা নিদাহাস ট্রফির মতো কিছু জিততে পারলে আমার ক্যারিয়ার আরও পরিপূর্ণ হতো।’
ইমরুল আরও বলেন, ‘ওই জয়ের পর যে উদযাপন করা হয়েছিল, তা ছিল অবিস্মরণীয়। সেই রাতে ভক্তদের কাছ থেকে আমরা যে ভালবাসা এবং সমর্থন পেয়েছিলাম তা এখনও আমাকে শিহরিত করে। এটা প্রমাণ করে আমাদের দেশে ক্রিকেটকে কতটা গভীরভাবে ভালোবাসে।’
আরও পড়ুন: ভারতের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পিসিবি
২ দিন আগে
বিপিএলের সূচি প্রকাশ
অপেক্ষার পালা শেষে অবশেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সূচি প্রকাশ করেছে বিসিবি। চলতি বছরের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে এবারের বিপিএল আসর।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে বিপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করে বিসিবি।
এবারের আসরের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। তাই টুর্নামেন্টের নাম হচ্ছে ‘ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বিপিএল টি-টোয়েন্টি’।
ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের একাদশ আসর। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। একইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে ঢাকা ক্যাপিটালস।
৭টি দলের অংশগ্রহণে এবারের আসরে মোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। শুরুর আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এরপর ৪-৫ জানুয়ারি দুই দিন বিরতি দিয়ে ৬ তারিখ থেকে শুরু হবে সিলেট পর্ব। সিলেটে ৮ দিনে ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ফের দুদিন বিরতি দিয়ে ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম পর্ব। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেও টানা ৮ দিনে ১২টি ম্যাচ খেলার পর ঢাকায় ফিরবে বিপিএল।
এরপর ২৬ জানুয়ারি থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের বিপিএল আসরের।
বিপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
১ সপ্তাহ আগে
ভারতের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পিসিবি
আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টুর্নামেন্ট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আয়োজক পাকিস্তান। তবে প্রতিবেশী দেশটিতে নিজেদের দল পাঠাবে না বলে আইসিসিকে এক চিঠিতে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ভারত। এরপর ভারতের কাছ থেকে ওই চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে পিসিবিকে মেইল করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আইসিসির কাছ থেকে এ মেইল পেয়ে বেজায় চটেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের থেকে শুরু করে পিসিবি কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে পিসিবির এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি পরিস্কার করতে আইসিসিকে একটি চিটি পাঠিয়ে এর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। (আইসিসির) মেইলটি ফরোয়ার্ড করে (পাকিস্তান) সরকারের কাছে থেকেও সিদ্ধান্ত ও পরামর্শের অপেক্ষায় আছি আমরা।’
রাজনৈতিক কারণে সরকারের নির্দেশে ২০০৮ সাল থেকে পাকিস্তান ভ্রমণ করেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল। একই সময় থেকে ভারতে আসেনি পাকিস্তান দলও। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সবশেষ ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। তখনও নিরাপত্তা শঙ্কা ও রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। এরপর উপায়ান্তর না পেয়ে একটি হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। ভারতের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়।
তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এ ধরনের হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনে অস্বীকৃতির কথা জানিয়েছে পিসিবি।
শুধু ভারতই নয়, নিরাপত্তা শঙ্কায় এর আগে শ্রীলঙ্কায় খেলতে যায়নি অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। ফলে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ওই দুই ম্যাচে লঙ্কানদের বিজয়ী ঘোষণা করে পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল।
এখন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের দাবি, ভারত যদি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে পাকিস্তানকে বিজয়ী ঘোষণা করে পয়েন্ট দিয়ে দেওয়া হোক। আগেও যেহেতু এটা হয়েছে, এবারও সেই নিয়মেই সমস্যা সমাধানের দাবি তুলেছেন তারা।
১ সপ্তাহ আগে
শান্তর ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি
টপ অর্ডারের অবদানের পর আজও মিডল অর্ডারে খেই হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষের দিকে জাকের আলী ও নাসুম আহমেদের কল্যাণে উইকেটের ধস থামিয়ে লড়াই করার মতো রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্যে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তারই ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলেছে টাইগাররা।
টপ অর্ডারের ব্যাটাররা এদিন অল্পবিস্তর রান করে একে একে বিদায় নিতে থাকলেও ওয়ান ডাউনে নেমে উইকেটের একপাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। ১১৯ বলে এই রান করার পথে ৬টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি।
এছাড়া ওপেনার সৌম্য সরকারের ৩৫, শেষের দিকে জাকের আলীর অপরাজিত ৩৭ এবং নাসুম আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।
আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। এছাড়া রশিদ খান ও আল্লাহ গজনফর নেন দুটি করে উইকেট।
এদিন ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও চতুর্থ ওভারে ফিরে যান তানজিদ তামিম। তৃতীয় ওভারে পরপর দুটি চার মেরে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আল্লাহ গজনফরকে ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে তার পরের বলেও বড় শটের চেষ্টা করে মিড অনে থাকা মোহাম্মদ নবীর হাতে ধরা পড়েন তামিম।
সাজঘরে ফেরার আগে ১৭ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২২ রানের ইনিংস খেলে যান এই ওপেনার।
এরপর অধিনায়ক শান্ত ক্রিজে এলে তার সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে দলের সংগ্রহকে মজবুত ভিত্তি এনে দেন সৌম্য সরকার। এই দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ওই একটি উইকেট হারিয়েই ৫৯ রান তুলে এগোতে থাকে বাংলাদেশ।
১৮.৪ ওভারে দলীয় সংগ্রহ ৯৯-তে রেখে বিদায় নেন সৌম্য। রশিদ খানের ঘুর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে লেগ বিফোর হয়ে ফেরার আগে ৪৯ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।
অবশ্য রিভিউ নিলে বেঁচে যেতে পারতেন তিনি। শান্তর সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে মাঠ ছাড়েন সৌম্য। পরে টিভি রিপ্লেতে বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, রশিদের ডেলিভারিটি লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করেছে, কিন্তু রিভিউ না নেওয়ায় বৃথা উইকেট বিলিয়ে দেয় বাংলাদেশ।
সৌম্যর বিদায়ের পর রানের চাকা কিছুটা শ্লথ করে সতর্ক ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত ও চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের মাঝপথে ৭৫ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত।
শান্ত-মিরাজের জুটি পঞ্চাশ পেরোনোর পথে ৩২.২তম ওভারে দলীয় সংগ্রহ দেড়শ ছাড়ায় বাংলাদেশের। এরপরই মেহেদীকে সাজঘরে ফেরান রশিদ।
ওই ওভারের চতুর্থ বলটি অফস্ট্যাম্পের বাইরে পড়ে টার্ন করে ভেতরে ঢোকার সময় রুম করে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালান মিরাজ। তবে বল খানিকটা নিচু হয়ে আসায় পরাস্ত হন এই অলরাউন্ডার, আর পেছনে থাকা উইকেট গুঁড়িয়ে যায়। ফলে ৩৩ বলে ২২ রান করে দলীয় ১৫২ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এর ফলে ভাঙে ৫৩ রানের জুটি।
এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ফের আরেকটি জুটি গড়ায় মনোযোগী হন শান্ত। তবে স্কোরবোর্ডে ২২ রান যোগ করতেই ভাঙে চতুর্থ উইকেটজুটি।
মিরাজের সঙ্গে ব্যাট চালানোর সময় থেকে রানের গতি কিছুটা পড়ে গিয়েছিল। ইনিংসের ৩৫ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাউন্ডারির মাধ্যমে রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন হৃদয় ও শান্ত। এর একপর্যায়ে ৩৯তম ওভারে খারোতের প্রথম বলে সীমান্তে ধরা পড়েন হৃদয়। ১৬ বলে একটি চারের সাহায্যে ১১ রান করে তিনি যখন ফিরছেন, তখন দলের সংগ্রহ চার উইকেট হারিয়ে ১৭৪।
এরপর আরও ৯ রান বাড়িয়ে দিয়ে একই কায়দায় লং-অফে ধরা পড়েন উইকেটের এক পাশ আগলে রাখা শান্ত। ১১৯ বলে ৭৬ রান করে তিনি ফেরার দুই বল পরে ক্যাচ হয়ে যান মাহমুদুল্লাহও (৩)। ফলে পরপর দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে আফগানদের ম্যাচে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন খাতোরে।
শেষের দিকে নাসুম আহমেদ (২৫) ও জাকের আলীর (৩৭*) কল্যাণে ২৪৮ রান তুলে ইনিংস শেষ করে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২৫২/৭ (শান্ত ৭৬, জাকের ৩৭*, সৌম্য ৩৫; খাতোরে ৩/২৮, রশিদ ২/৩২, গজনফর ২/৩৫)।
১ সপ্তাহ আগে
দুই পরিবর্তন নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম ওয়ানডেতে ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে বড় পরাজয়ের পর সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের।
আঙুলে চোট পেয়ে মুশফিকুর রহিম চলমান সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একাদশে ডাক পেয়েছেন জাকের আলী অনিক। আজকের ম্যাচ দিয়ে এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হতে চলেছে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের।
তিনি ছাড়া আরও একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে বসিয়ে রেখে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে এই ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, প্রথম ম্যাচ জেতা একাদশই অপরিবর্তিত রেখেছে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকের আলী অনিক, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকউল্লাহ অটল, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর, নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে, ফজলহক ফারুকি।
১ সপ্তাহ আগে
মোস্তাফিজ-তাসকিন তোপে ২৩৫ রানে অলআউট আফগানিস্তান
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুঃস্বপ্নময় সময় অতিবাহিত করার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গিয়েছে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দারুণ বোলিংয়ে দুঃসময় পেছনে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে ২৩৫ রানে অলআউট হয়ে গেছে আফগানিস্তান।
আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নবী। ৭৯ বল মোকাবিলা করে তিনটি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ৯২ বল খেলা অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির ব্যাট থেকে এসেছে ৫২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে চারটি করে উইকেট নিয়ে আফগান ব্যাটিং লাইন-আপ ভেঙে চুরমার করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। এরই ধারাবাহিকতায় ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় তারা। এরপর শহীদির সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়ে উইকেটের ভাঙন ঠেকান গুলবদিন নাইব। তাসকিনের বলে ক্যাচ দিয়ে ২২ রান করে গুলবদিন ফিরে গেলে ২০ ওভারে ৭১ রান তুলতে পাঁচ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এরপর মোহাম্মদ নবীকে সঙ্গে নিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান শহীদি। দলীয় সংগ্রহ ৭১ থেকে ১৭৫-এ তোলার পর তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় শহীদিকে। এরপর আবারও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও ছোট ছোট কয়েকটি জুটিতে ২৩৫ রান তুলে ফেলেন আফগান ব্যাটাররা। তবে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ফজলহক ফারুকি রান আউট হয়ে গেলে অলআউট হয়ে যায় তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ২৩৫/১০ (নবী ৮৪, শহীদি ৫২; মোস্তাফিজ ৪/৫৮, তাসকিন ৪/৫৩)।
২ সপ্তাহ আগে
টাইগারদের জ্যেষ্ঠ সহকারী কোচ হলেন সালাহউদ্দিন
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ হিসেবে সবচেয়ে পরিচিত নাম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমদের গুরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ এই কোচকে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বিসিবি।
এর আগে, ২০০৬-২০১০ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের সহকারী কোচ ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর ২০১০-২০১১ সালে বিসিবির ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বিশেষজ্ঞ কোচ হিসেবে কাজ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত হাথুরুসিংহে, সিমন্সকে নিয়োগ বিসিবির
সালাহউদ্দিন ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পান এবং অস্ট্রেলিয়ায় এসিসি ক্রিকেটের লেভেল-৩ কোচিং সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
তিনি দেশের অন্যতম সফল স্থানীয় কোচ যিনি বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশনের শিরোপা জিতেছেন। সর্বশেষ তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ ছিলেন যারা বিপিএলের সফলতম দল।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর সালাহউদ্দিনের নিয়োগ নিয়ে জোর গুঞ্জন ছিল। পরে ফিল সিমন্স প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় জানা যায়, জাতীয় দলের সহকারী কোচ হতে সালাহউদ্দিনকে প্রস্তাব দিয়েছে বিসিবি।
জানা গেছে, আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজে সালাহউদ্দিনকে দলের সঙ্গে পেতে আশাবাদী বিসিবি এবং ইতোমধ্যে ভিসার জন্যও আবেদন করেছেন তিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দলের দায়িত্বে দেখা যাবে তাকে।
২ সপ্তাহ আগে
রেকর্ড রান ও ইনিংস ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে ১৫৯ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দেড়শও পেরোতে পারল না বাংলাদেশ। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে তোলা ৫৭৫ রানের চেয়ে ২৭৩ রান পেছনে থেকে নিদারুণ পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছে টাইগারদের।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনেই এক ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরে প্রোটিয়াদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
কেবল তৃতীয় দিনেই ১৬ উইকেট খুইয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এর আগে, টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে গেলে ৪১৬ রানে এগিয়ে থাকে সফরকারীরা। ফলে ব্যাটিংয়ে নেমে আর সময় নষ্ট না করে বাংলাদেশকে ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও মাত্র ৪৩.৪ ওভারে ১৪৩ রানের মাথায় টাইগারদের ইনিংস গুটিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। ফলে ২৭৩ রানের জয় পায় মার্করামের দল।
আরও পড়ুন: রানপাহাড়ে চাপা পড়ার পর ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ইনিংস ও ৩১০ রানে বিপর্যস্ত হয়েছিল টাইগাররা।
অন্যদিকে, নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ের স্বাদ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগের রেকর্ডটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ২০১৭ সালে ঘরের মাঠ ব্লুমফন্টেইনে ইনিংস ও ২৫৪ রানের ব্যবধানে জিতেছিল তারা। এবার টাইগারদের ডেরায় ঢুকে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন করে গড়ল তারা।
প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য সাফল্যের দেখা পাননি। পাবেনই বা কী করে? কেশব মহারাজ ও সেনুরান মুথুসামি যথাক্রমে ৫টি ও ৪টি উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৫৭৫/৬ ডিক্লে. (ডি জর্জি ১৭৭, স্টাবস ১০৬, মুল্ডার ১০৫*; তাইজুল ৫২.২-৫-১৯৬-৫, নাহিদ ২৪-২-৮৩-১)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫৮/১০ (মুমিনুল ৮২, তাইজুল ৩০, অতিরিক্ত ২২; রাবাদা ৯-১-৩৭-৫, প্যাটারসন ১০-১-৩১-২, মহারাজ ১৬.২-৪-৫৭-২)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৪৩/১০ (হাসান ৩৮, শান্ত ৩৬, অঙ্কন ২৯; মহারাজ ১৬.৪-০-৫৯-৫, মুথুসামি ১৩-৩-৪৫-৪)।
ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা এক ইনিংস ও ২৪৩ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: টনি ডি জর্জি।
প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ: কাগিসো রাবাদা।
২ সপ্তাহ আগে
রানপাহাড়ে চাপা পড়ার পর ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসেই দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৭৫ রানের পাহাড়সম সংগ্রহের পর ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা আগেভাগেই শেষ না হলে ক্ষত হয়তো আরও বড় হতো।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং স্বর্গে সাবলীল ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে পৌনে ছয়শ’ রান সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে, মাত্র ৯ ওভার খেলতে গিয়েই চার ব্যাটারকে খুইয়েছে বাংলাদেশ, তুলেছে মাত্র ৩৮ রান। অর্থাৎ এখনও ৫৩৭ রান পিছিয়ে আছে শান্তর দল। ফলো-অন এড়াতেও প্রয়োজন আরও অন্তত ৩৩৮ রান। তৃতীয় দিন খেলতে নামবেন মুমিনুল হক (৬) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)।
সাগরিকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনটি শতক ও দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার টনি ডি জর্জি। এছাড়া ট্রিস্টান স্টাবস ১০৬ এবং দিনের শেষভাগে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ভিয়ান মুল্ডার। ১০৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি, আর তার সঙ্গে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সেনুরান মুথুসামি। তিনিও টেস্টে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন আজ। এছাড়া ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড বেডিংহ্যাম।
বাংলাদেশের পক্ষে ১৯৮ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন তাইজুল; অপর উইকেটটি গেছে নাহিদের ঝুলিতে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ক্রিকেটের অধিনায়ক পদে থাকতে চান না শান্ত
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমেই শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশি ব্যাটারদের যাওয়া-আসার খেলা। রাবাদার বলে প্রথম ওভারেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন সাদমান। এরপর পঞ্চম ওভারে ফের রাবাদার শিকার হন জাকির। কট বিহাইন্ড হন তিনিও, অথচ বুঝতেই পারেননি বল তার ব্যাটে লেগেছে। উল্টো একটি রিভিউ নষ্ট করে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
২১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে আর আট রান যোগ করতে না করতেই স্লিপে দাঁড়ানো প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মাহমুদুল হাসান জয়। ফেরার আগে তিনি অবশ্য এ পর্যন্ত ইনিংস-সর্বোচ্চ ১০ রান করতে সক্ষম হন।
২৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে হাসান মাহমুদকে ক্রিজে পাঠায় বাংলাদেশ। তবে প্রতিরোধ গড়তে গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন তিনিও। কেশভ মহারাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
হাসানের বিদায়ের পর মাঠে নামেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬ বলে খেলে একটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪ রানে অপরাজিত তিনি। তার সঙ্গে অপরাজিত রয়েছেন মুমিনুল হক। ১০ বলে তিনিও একটি বাউন্ডারি মেরে করেছেন ৬ রান। এ দুই ব্যাটারের দিকেই আগামীকাল তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৫৭৫/৬ ডিক্লে. (ডি জর্জি ১৭৭, স্টাবস ১০৬, মুল্ডার ১০৫*; তাইজুল ৫২.২-৫-১৯৬-৫, নাহিদ ২৪-২-৮৩-১)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৮/৪ (৯ ওভার) (অতিরিক্ত ১৩, জয় ১০, মুমিনুল ৬*; রাবাদা ৩-০-৮-২, প্যাটারসন ৩-০-১৫-১, মহারাজ ২-১-৪-১)।
৩ সপ্তাহ আগে