অন্যান্য
ঢাবিকে শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
সাধারণ মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পাটের তৈরি সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভর্তুকি মূল্যে পাটের ব্যাগ দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা হবে।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয় সংক্রান্ত সেমিনার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পাটের ব্যাগ ব্যবহারে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রচার কার্যক্রম চালানো হবে। পাটের ব্যাগ তৈরির সঙ্গে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। টেকসই ব্যবস্থার জন্য জেডিপিসি, এসএমইএফ, জয়িতা ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।’
‘প্লাস্টিকের বিকল্প নেই—এই ধারণা ঠিক নয়। সরকারের সব উদ্যোগ রাতারাতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তবে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাফারি পার্কে প্রাণী নিখোঁজ নিয়ে হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন—পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি; ঢাকা নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান মারিয়ান রাবে ক্নাভেলসরুদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ; ইউনিডোর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকি উজ জামান; ঢাকা মেডিকেল কলেজের ড. আফিয়া শাহনাজ; বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।
সময় পরিবেশ উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও শব্দদূষণমুক্ত ঘোষণা করার আহ্বান জানান।
১ দিন আগে
সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কিত নিজেদের মতামত জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশনের কার্যালয়ে এই প্রস্তাবনা জমা দেন দলটির মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ও সহকারী মহাসচিব আহমদ আবদুল কাইয়ুম।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হওয়ার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কমিশনে স্বাস্থ্য সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বিএনপি
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে তা পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩২টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে কমিশন।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামী শনিবার বাংলাদেশ জাসদ ও জাকের পার্টির সঙ্গে কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
১০ দিন আগে
স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা যাচাইয়ের দাবি হাসনাত আবদুল্লাহর
স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির(এনসিপি) মুখ্য সংগঠক(দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই। ভোট দিয়েছে প্রশাসন, নির্বাচন পরিচালনা করেছে প্রশাসন। একটি স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার দক্ষতা এই আওয়ামী প্রশাসনের নেই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এই প্রশাসনের সংস্কার না করা পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে আমরা আশ্বস্ত হচ্ছি না। অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, ৫টি বা ৬টি ধাপে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা যাচাইয়ে একটা পরীক্ষা হয়ে যাক।
বুধবার(১৯ মার্চ) কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছায় জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত গণইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশীদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
হাসনাত আরও বলেন, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি মাঠ দখল পুকুর দখল শুরু হয়ে গেছে। যারা দখলবাজ চাঁদাবাজ তাদের হাত গুড়িয়ে দিয়ে পুলিশে দিন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে ফায়দা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা করছে। এক খাপে দুই তলোয়ার যেমন থাকতে পারে না ঠিক একইভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে এনসিপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ থাকতে পারে না।
৩১ দিন আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিনিধি দল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয়ে নবগঠিত রাজনৈতিক দল 'জাতীয় নাগরিক পার্টি'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপির দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার কিছু পরে তারা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরও দুজনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়।
এর আগে উপস্থিত হয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ সালাহউদ্দিন সালু প্রমুখ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি, পিপলস রাইটস পার্টির (পিআরপি) চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহমেদ বাদল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠায় ‘গণপরিষদ’ নির্বাচনের জন্য লড়াই করুন: নাহিদ
৫০ দিন আগে
‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠায় ‘গণপরিষদ’ নির্বাচনের জন্য লড়াই করুন: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণ করব।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মানিক মিয়া এভিনিউয়ে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদেরকে সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: মানিক মিয়া এভিনিউ স্লোগানে মুখরিত
নতুন দলের সদ্য দায়িত্ব গ্রহণকারী নাহিদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, ২৪’র জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক (দ্বিতীয় বারের মতো প্রজাতন্ত্র) প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের সূচনা করেছে।
নবগঠিত দলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় নাগরিক পার্টি-জেএনপি হবে একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি রাজনৈতিক দল।
নাহিদ বলেন, ২০২৪‘র জুলাই ছাত্র-জনতার বিপুল আত্মত্যাগের মাধ্যমে এক অভূতপূর্ব গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। কিন্তু, আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে— হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতা কেবল একটি সরকার পতন করে আরেকটি সরকার বসানোর জন্যই ঘটেনি।
তিনি বলেন, জনগণ বরং রাষ্ট্রের আস্টেপিস্টে জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্খা থেকে এই অভ্যুত্থানে সাড়া দিয়েছিল— যেন জনগণের অধিকারভিত্তিক এবং মর্যাদাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিচ্ছি।
নাহিদ বলেন, আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক-এ জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ভেঙে পড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় গড়ে তোলা ও তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা করা হবে আমাদের রাজনৈতিক অগ্রাধিকার। এর মধ্যে দিয়ে কেবল আমরা একটি পরিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে আবির্ভুত হতে পারব।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ চাই, যেখানে সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বিভেদের বদলে ঐক্য, প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান হবে না।
নাহিদ বলেন, আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক-এ সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে মূলধারায় তুলে আনা হবে। রাষ্ট্রে প্রতিটি নাগরিককে সমান গুরুত্ব প্রদান ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমরা একটি ন্যায্যতা ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংকল্প আবারও পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ২৪’র জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধেই বিজয় নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণেরও শপথ। চলুন আমরা একসঙ্গে হাত হাত রেখে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি— যেখানে প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনি হবে, সেখানে ন্যায় প্রতিষ্ঠা মানুষের অধিকারের সংগ্রামই রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য, সেখানে সাম্য ও মানবিক মর্যাদা হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি। এখনই হবে নতুন স্বপ্ন দেখার নতুন পথ চলার এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার।
নাহিদ বলেন, আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক অধরা কোনো স্বপ্ন নয়, এটিই আমাদের আজকের দিনের সামনের বাংলাদেশের প্রতিজ্ঞা।
এর আগে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটি(জেএনসি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের(এডিএসএম) নেতারা একত্রিত হয়ে নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে দল গঠন করেন।
অনুষ্ঠানে দলের একটি আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটায়।
আরও পড়ুন: নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠান শুরু
সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদিবকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং তাসনিম জারা ও নাহিদা সারোয়ারকে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব করা হয়।
এছাড়া হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক এবং সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল হান্নান মাসুদ।
আজ বিকল ৪টা ২০ মিনিটে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শাহাদাত বরণকারী শহীদ ইসমাইল হোসেন রাব্বীর বোন মীম আক্তার আনুষ্ঠানিকভাবে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করেন।
পরে সদস্য সচিব আখতার হোসেন আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্যান্য শূন্য পদের নেতাদের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানান আখতার হোসেন।
এর আগে সামান্তা শারমিন, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, নুসরাত তাবাসসুম, আবদুল হান্নান মাসউদসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ
৫০ দিন আগে
নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ
জুলাই আন্দোলনের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
নতুন দলটির নেতৃত্বে বসানো হয়েছে জুলাই আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে দলটি আত্মপ্রকাশ করে।
এর আগে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক কমিটি(জেএনসি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের(এডিএসএম) নেতারা একত্রিত হয়ে নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে দল গঠন করেন।
অনুষ্ঠানে দলের একটি আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটায়।
সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদিবকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং তাসনিম জারা ও নাহিদা সারোয়ারকে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব করা হয়।
এছাড়া হাসনাত আবদুল্লাহকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক এবং সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল হান্নান মাসুদ।
আজ বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় শাহাদাত বরণকারী শহীদ ইসমাইল হোসেন রাব্বীর বোন মীম আক্তার আনুষ্ঠানিকভাবে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করেন।
পরে সদস্য সচিব আখতার হোসেন আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্যান্য শূন্য পদের নেতাদের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানান আখতার হোসেন।
এর আগে সামান্তা শারমিন, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, নুসরাত তাবাসসুম, আবদুল হান্নান মাসউদসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠান শুরু
৫০ দিন আগে
নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠান শুরু
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জুলাই আন্দোলনের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-জেএনসির অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
শুক্রবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ ইতোমধ্যে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। এখনও অনেকে এই কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি (জেএনসি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (এডিএসএম) নেতারা নতুন এই রাজনৈতিক দল গঠন করছেন।
নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ দশ পদের জন্য নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদিব এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব পদে তাসনিম জারা ও নাহিদা সারোয়ার (নোভা) শীর্ষ পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রধান সমন্বয়ক পদে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী ও যুগ্ম সমন্বয়কারী পদে আবদুল হান্নান মাসুদকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এছাড়া উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সারজিস আলম এবং দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে নতুন দলের নাম নিশ্চিত করেন সারজিস আলম। ‘সারা দেশে এই নামেই ব্যানার হোক। এই নামের সাথেই বাংলাদেশ প্রতিধ্বনিত হোক।’
তিনি বলেন, নতুন দল তার রাজনৈতিক ধারায় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখবে।
দল গঠনের আগে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা বুধবার 'গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ' নামে একটি নতুন ছাত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেন। তবে এই আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মীদের একটি অংশের প্রতিবাদ করে শ্লোগান দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: মানিক মিয়া এভিনিউ স্লোগানে মুখরিত
৫১ দিন আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ: মানিক মিয়া এভিনিউ স্লোগানে মুখরিত
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নতুন রাজনৈতিক দলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মিছিল নিয়ে এখনো দলে দলে যোগ দিচ্ছেন মানুষ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি-জেএনসি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি) নামে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করতে অল্প সময়ের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে অনুষ্ঠানটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিকাল পৌনে ৩টা পর্যন্ত শহর ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জড়ো হয়েছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি (জেএনসি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (এডিএসএম) নেতারা নতুন এই রাজনৈতিক দল গঠন করছেন।
নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ দশ পদের জন্য নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদিব এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব পদে তাসনিম জারা ও নাহিদা সারোয়ার (নোভা) শীর্ষ পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রধান সমন্বয়ক পদে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী ও যুগ্ম সমন্বয়কারী পদে আবদুল হান্নান মাসুদকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এছাড়া উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সারজিস আলম এবং দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে নতুন দলের নাম নিশ্চিত করেন সারজিস আলম। ‘সারা দেশে এই নামেই ব্যানার হোক। এই নামের সাথেই বাংলাদেশ প্রতিধ্বনিত হোক।’
তিনি বলেন, নতুন দল তার রাজনৈতিক ধারায় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখবে।
দল গঠনের আগে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা বুধবার 'গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ' নামে একটি নতুন ছাত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেন। তবে এই আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের সময় আন্দোলনে অংশ নেওয়া কর্মীদের একটি অংশের প্রতিবাদ করে শ্লোগান দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নতুন দলসহ সব রাজনৈতিক দল জনকল্যাণমুখী হবে, আশা উপদেষ্টা আসিফের
৫১ দিন আগে
ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’।
জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দলের নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি বা এনসিপি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি National Citizen Party (NCP)।’
আগামীকাল (শুক্রবার) দুপুর ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এই নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হবে বলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জানান সারজিস আলম।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। সেই সময় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নাহিদ ইসলামও। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি পদত্যাগ করেন।
৫২ দিন আগে
প্রয়োজনে বিদেশে পলাতকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
বেক্সিমকোর নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা লোপাটের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। অর্থলোপাটের সঙ্গে জড়িতদের আত্মসমর্পণ করে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘প্রয়োজনে বিদেশে পলাতকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামেই ১১টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে ঋণ নেওয়া হয়েছে। অস্তিত্ববিহীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া হয়েছে আরও ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে বেক্সিমকোর।’
‘এছাড়া বেক্সিমকোর নামে ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া টাকা কোথায় গেছে, সেটাও আমরা জানি না। এর সঙ্গে ১৩টি ব্যাংক জড়িত।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি ব্যাংক, সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, যারা এই টাকা দেওয়ার পেছনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।’
‘বুধবার আমার তরফ থেকে এ বিষয়ে ব্যর্থহীন ঘোষণা গিয়েছে। এটি আমাদের মিটিংয়ের কার্যবিবরণীতেও লেখা আছে।’
ড. সাখাওয়াত বলেন, ‘এটা মনে করবেন না যে, বিদেশে চলে গিয়ে বেঁচে গেছেন। বিদেশে যারা গেছেন তারা হয় আসবেন, নয় সেখানেই আটকা পড়বেন। আমি জানি না কী হবে! আমি এরইমধ্যে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি; দরকার হলে তদন্তের পর তাদের প্রত্যেকের পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোনো কথা না বুঝে বলেননি সেনাপ্রধান: শ্রম উপদেষ্টা
‘আমরা এভাবে কাউকে ছেড়ে দিতে পারি না। যারা এতগুলো শ্রমিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তারা তো শান-শওকতে এখানেও আছে, বিদেশেও আছে।’
২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে থাকেন বা বিদেশে, যারা বিদেশে আছেন আমি তাদের অনুরোধ করব—আপনারা দেশে এসে আত্মসমর্পণ করুন। আর যদি মনে করেন এভাবে চলে যাবে, আগামীতে কী ঘটবে সেটা আল্লাহ জানেন। তাই বলছি আত্মসমর্পণ করেন, তদন্তের মুখোমুখি হোন। যদি নির্দোষ হোন, তো বিদেশেই থাকবেন!’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বিদেশে সিটিজেনশিপ (নাগরিকত্ব) কিনেছেন। কিন্তু বিদেশে সিটিজেন হলেও বাংলাদেশের আইনে সেটা প্রযোজ্য হবে বলে আমি মনে করি। তাই বিদেশে থাকবেন আর এখানে গণ্ডগোলের মধ্যে ফেলবেন, সেটা আর হবে না।’
৫২ দিন আগে