অন্যান্য
জোটের ভোটে দলীয় প্রতীকের বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ নির্বাচন করলেও স্বস্ব দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বাধ্যবাধকতা যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন বাতিল চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর মহাসচিব মোমিনুল আমিন এ রিট দায়ের করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এনডিএমের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম বলেন, আগামী সপ্তাহে বিচারপতি ফাতেমা নজীবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম রিটের পক্ষে শুনানি করবেন।
গত ৩ নভেম্বর নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বাধ্যবাধকতা যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
উল্লেখ্য, আগে কোনো দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে তারা জোটের শরিক যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করার সুযোগ পেত।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই ভোট করার বিধান নিয়ে তখন আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে আপত্তির কথা জানায়। জোটভুক্ত হতে আগ্রহী কিছু ছোট দলও সিদ্ধান্তটি নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছিল।
পরে সরকার এটি বাদ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে— এমন খবর পাওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। শেষ পর্যন্ত সংশোধিত বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৭ দিন আগে
নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে ইসিতে জামায়াতসহ ৮ দলের স্মারকলিপি
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিসসহ ৮টি রাজনৈতিক দল।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে নির্বাচন ভবনের সামনে ও মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে মার্কেটসংলগ্ন সড়কের পাশে মঞ্চ করে সমাবেশ শেষে তারা ইসিতে স্মারকলিপি দেয়।
সমাবেশে নেতারা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি করে নভেম্বরে গণভোট করতে হবে। সংসদ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। তা না হলে বিগত ইসির পরিণতি ভোগ করতে হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ৫ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে।
এ সময় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, মোবারক হোসেন, রেজাউল করিম, নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে। আমরা আট দল মিলে ইসির কাছে স্মারকলিপি দেব।’
একই দিনে গণভোট ও সংসদ নির্বাচনের বিএনপির দাবির কঠোর সমালোচনা করেন জামায়াত নেতারা।
নির্বাচন ভবনের সামনে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট করতে হবে।
৫ দফা দাবি
• জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা;
• আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা;
• অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা;
• ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা;
• ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
৩৫ দিন আগে
‘হাতি’ প্রতীকে নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি
আদালতের নির্দেশে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি)। দলটির নির্বাচনী প্রতীক নির্ধারণ করা হয়েছে ‘হাতি’।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দলটির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয়ের হাতে নিবন্ধন সনদ তুলে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন ১১১২২/২০১৮ এর সূত্রে গত ২৩ জুলাই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর বিধান অনুযায়ী, প্রধান কার্যালয়: ৮৮/১ শহিদ ফারুক রোড (৩য় তলা), দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪ এ অবস্থিত বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি)-কে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইসি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। দলের জন্য হাতি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। দলটির নিবন্ধন নম্বর ৫৭।
নিবন্ধন পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আবু হানিফ হৃদয় বলেন, ‘গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে, আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টি হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন থেকে ‘আনারস’ প্রতীক নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায়।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু হয়। এখন পর্যন্ত ৫৭টি দল নিবন্ধন পেয়েছে, তবে এর মধ্যে পাঁচটি—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবোধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)—বিভিন্ন কারণে ও আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারায়। অবশ্য সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামী পুনরায় নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে।
এদিকে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ২২টি দলের সরেজমিন তদন্ত শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
৩৯ দিন আগে
প্রতীক হিসেবে অনুমোদিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ‘শাপলা’ চায় বাংলাদেশ কংগ্রেস
শাপলা প্রতীকের দাবিতে যখন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনড়, ঠিক এ মুহূতে দলীয় প্রতীক হিসেবে জাতীয় ফুল ‘শাপলা’ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।
কমিশন ‘শাপলা’কে দলীয় প্রতীক হিসেবে অনুমোদন দিলে ‘ডাব’ প্রতীকের পরিবর্তে প্রথম দাবিদার হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদেরই ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলামের সই করা এ আবেদনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর জমা দেওয়া হয়। ইসিতে দলটির দপ্তর সম্পাদক তুষার রহমান আবেদনপত্রটি জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে তাদের দাবির পক্ষে প্রয়োজনীয় নথিও সংযুক্ত করা হয়।
আবেদনে পত্রে বাংলাদেশ কংগ্রেস বলেছে, ‘আমরা ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ কংগ্রেস দলীয় প্রতীক হিসেবে “শাপলা” ব্যবহার করে আসছি। দলের প্রথম প্রচারপত্রে ন্যাচারাল ডিজাইনে শাপলার ব্যবহার হয়। পরে শৈল্পিক ডিজাইন করে সকল কাগজপত্রে “শাপলা” দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ২০১৭ সালে নিবন্ধনের আবেদন করার সময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, “শাপলা” জাতীয় প্রতীক এবং এটা দলীয় প্রতীক হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের উক্ত কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা “বই” প্রতীক প্রস্তাব করে আবেদন জমা দেই, যদিও আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া কাগজপত্র ও দলীয় লোগোতে তখনও শাপলার ছবি ছিল।’
এতে আরও বলা হয়, ‘পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের রায় অনুসারে যখন বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর নিবন্ধন দেওয়া হয়, তখন আমরা “বই” প্রতীক দাবি করি, কিন্তু গেজেটভূক্ত প্রতীকের বাইরে প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমাদের “ডাব” প্রতীক নিতে বাধ্য করা হয়।
‘ডাব’ প্রতীকের পরিবর্তে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের কথা উল্লেখ করে আবেদনপত্রে আরও বলা হয়, ‘সম্প্রতি কোনো কোনো রাজনৈতিক দল থেকে ‘শাপলা’কে দলীয় প্রতীক হিসেবে চাওয়া হচ্ছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’কে যদি দলীয় প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে প্রথম দাবিদার বাংলাদেশ কংগ্রেসকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা “ডাব” প্রতীকের পরিবর্তে “শাপলা” প্রতীক বরাদ্দের আবেদন জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ৯ অক্টোবর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিবন্ধন যদি আমাদের দিতে হয় এবং নিবন্ধন প্রশ্নে সেটা শাপলা দিয়েই হবে। শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না। এনসিপিও শাপলা ছাড়া নিবন্ধন মানবে না।’
এর আগে, ৫০টি প্রতীক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিজেদের মার্কা বাছাই করতে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যে তালিকায় ছিল না শাপলা।
যে ৫০টি প্রতীক থেকে এনসিপিকে তাদের মার্কা পছন্দ করতে বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাঁপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, কম্পিউটার, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, ফ্রিজ, তবলা, বক, মোরগ, কলম, তরমুজ, বাঁশি, লাউ, কলস, চিংড়ী, থালা, বেঞ্চ, লিচু, দোলনা, প্রজাপতি, বেলুন, ফুটবল, ফুলের টব, মোড়া, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার।
৫২ দিন আগে
পদ্ধতি নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনই বড় চ্যালেঞ্জ: মঞ্জু
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের পদ্ধতির চেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু।
তিনি বলেছেন, ‘যদি আগের মতো রাতেই ভোট হয়, যদি কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি হয়, তাহলে বর্তমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন হোক কিংবা পিআর পদ্ধতিতেই হোক— তাতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না।’
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচন পদ্ধতির চেয়ে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা কতটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ধারা বজায় রেখে একটি নির্বাচন করতে পারি, সেই সক্ষমতা ও সদিচ্ছা।’
পিআর পদ্ধতি নিয়ে দলীয় অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যদি নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতেই হয়, তাহলে এবি পার্টি চায় মিশ্র পিআর পদ্ধতি, যেখানে অধিকাংশ আসনে প্রচলিত ধারায় ভোট হবে, আর কিছু আসনে পিআর পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি মুখরোচক আলোচনার জন্য ভালো, কিন্তু এটি বাস্তবে কাজে লাগানো বেশ কঠিন। বাস্তবতার নিরিখে এই পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা কম।’
থ্রেশহোল্ড পিআর পদ্ধতির প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে অসংখ্য দলের বদলে জোটবদ্ধ দল তৈরি হবে। এতে করে রাজনৈতিক আদর্শিক দ্বন্দ্ব কমে আসবে।’
নিম্নকক্ষে এখনেই পিআর পদ্ধতি না এনে সবার আগে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি আনার পক্ষে মত দেন এই রাজনীতিক।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মামুন আল মোস্তফা।
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির এডিটর-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব সম জকরিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
৫৪ দিন আগে
হঠাৎ রাজপথে পিআর নিয়ে আন্দোলনের পেছনে দূরভিসন্ধি রয়েছে: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনে উচ্চকক্ষে পিআর নিয়ে আলোচনা হলেও নিম্নকক্ষের পিআর প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। তখন কোনো রাজনৈতিক দল নিম্নকক্ষে পিআর প্রসঙ্গে শক্ত কোনো আলাপও তোলেনি।
‘কমিশনে এ নিয়ে কোনো আলাপ না তুলে হঠাৎ করে রাজপথে পিআর নিয়ে আন্দোলনের পেছনে কারও কারও নিশ্চয়ই দূরভিসন্ধি আছে। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আসার এই আন্দোলন এবং আলোচনা কয়েকটি দলের চাপিয়ে দেয়া আলোচনা,’ বলেন সাইফুল।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
দেশের মানুষ প্রচলিত ধারায় অভ্যস্ত উল্লেখ করে সাইফুল বলেন, ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়, এ ধরণের বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক। মানুষ রাজনৈতিক ও মানসিক অভ্যস্থতায় আগের ধারাকেই সুবিধাজনক মনে করে।
‘মানুষের মাঝে নানা ধরণের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ঢালাওভাবে বলা হচ্ছে ৯০’র ওপরের দেশে পিআর আছে। সেসব পিআরের ধরণ কেমন, এ নিয়ে আদৌ কোনো বিশ্লেষণ নেই,’ বলেন সাইফুল।
সংবিধান অনিবন্ধিত দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে আসার অধিকার দেয়। পিআর আসলে এই অধিকার পুরোপুরি ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করেন সাইফুল।
‘সরকার এমনিতেই সংকটের মধ্যে আছে। পিআর নিয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো আর সংকট না বাড়াই,’ আহ্বান জানান সাইফুল।
গণভোট প্রসঙ্গে সাইফুল জানান, সরকারসহ অনেকে নভেম্বরে গণভোটের কথা চিন্তা করলেও এটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে এখান থেকে সরে আসা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই এবং সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের উপযুক্ত সময়।
‘এখন গণভোট হলে ২০-২৫ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিবে না। এর কমসংখ্যক মানুষ নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সনদের স্বীকৃতি দেয়া হবে বিপদজ্জনক,’ বলেন সাইফুল।
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির সম্পাদক-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া প্রমুখ।
৫৪ দিন আগে
বিদ্যমান নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে জনগণের কোনো অভিযোগ নেই: গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘এমন নয় যে জনগণ প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতিতে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ১৭ বছর ধরে তারা কোনো ভোট দিতে পারেনি। জনগণ চায় ভোটাধিকার। বিদ্যমান পদ্ধতি নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।’
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: এ ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
রুবেল বলেন, ‘পিআরের কথা তখনই ভাবা যেত, যদি জনগণ বিদ্যমান পদ্ধতির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলতো।’
যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, তাহলে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান আরও চাপে পড়বে বলে রুবেল জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো ভৌগলিক অবস্থানের দেশে পিআর পদ্ধতি স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। তখন প্রতিবেশী দেশ ভারত, মিয়ানমার, চীন—এদের মধ্যে পড়ে চিরেচ্যাপ্টা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবেই বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দিকে বিশ্বের শক্তিধর সব রাষ্ট্রের নজর থাকে। এ অঞ্চল কোনো কারণে অস্থিতিশীল হলে তারা বাংলাদেশ থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে।’
পিআরের অস্থিতিশীলতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে রুবেল নেপালকে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘নেপালে ১৭ বছরে ১৪ বার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য পিআর অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘সরকার যদি কাজ করার মতো সময় ও স্থিতিশীলতা না পায়, তাহলে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হবে। এমন সময়ে পিআর পদ্ধতির দিকে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
দেশ দীর্ঘ সময় অস্থিতিশীল থাকলে আবারও ফ্যাসিজমের সম্ভাবনার শঙ্কা প্রকাশ করেন রুবেল। তিনি বলেন, ‘হাসিনার ফ্যাসিজম ছিল অনপপুলার ফ্যাসিজম। যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে নতুন করে কোনো ফ্যাসিজম জন্ম নেয়, তা হবে পপুলার ফ্যাসিজম—এটি হাসিনার ফ্যাসিজমের থেকেও ভয়ঙ্কর হবে।’
রাজনীতিকে সংসদে কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘সংসদের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। এরপরও যদি পিআর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর প্রয়োজন মনে হয়, সেজন্য এটি নিরাপদ হবে উচ্চকক্ষে আনা।’
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির সম্পাদক-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব সম জকরিয়া প্রমুখ।
৫৪ দিন আগে
‘সেফ এক্সিট’ খুঁজছি না, বাকি জীবন দেশেই কাটাব: রিজওয়ানা
‘উপদেষ্টাদের অনেকে সেইফ এক্সিট খুঁজছেন’ বলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিনি কোনো ‘এক্সিট’ খুঁজছেন না। বরং জীবনের বাকিটা দেশেই কাটাতে চান তিনি।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন। তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবছেন।
আজ (বুধবার) এক সাংবাদিক এ বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘নাহিদ ইসলাম কারা কারা এক্সিট খুঁজছেন, তা বলেননি। আলোচনার প্রসঙ্গও খোলাসা করেননি। তাহলে আমি কীভাবে মন্তব্য করব?’
তিনি বলেন, ‘আমার চোখে যা দেখা যাচ্ছে তা হলো, নবগঠিত রাজনৈতিক দলটির (এনসিপি) সঙ্গে সরকারের একটি ভালো ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ রয়েছে। এখন উনি (নাহিদ ইসলাম) এই মন্তব্য করেছেন অভিমানে নাকি কোনো অসন্তোষ থেকে, সেটা পরিষ্কার করতে হবে। সেটা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত সরকারের অবস্থান নেওয়ার সুযোগ নেই।’
নাহিদ ইসলামের মন্তব্য নিয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘গণতন্ত্রে সবার মতপ্রকাশের অধিকার আছে। কিন্তু প্রতিটি অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে গেলে আমাদের মন্ত্রণালয়গুলো চালানো কঠিন হয়ে যাবে। সরকার তখন প্রতিক্রিয়া নয়, কাজের জায়গায় পিছিয়ে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে অভিযোগটি (সেফ এক্সিট খোঁজা) তোলা হয়েছে, সেটি প্রমাণসহ স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করার দায়িত্ব নাহিদ ইসলামের। আমি কেন সেটি খণ্ডন করব? সরকারকেও সুনির্দিষ্ট তথ্য না দেওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব নয়।’
এ সময় নিজ অবস্থান স্পষ্ট করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি একদম কোনো এক্সিট খুঁজছি না। এর আগেও বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা এসেছে। প্রতিটি সঙ্কটের মধ্যে থেকেও আমি দেশে ছিলাম, কাজ করেছি। ইনশাআল্লাহ বাকিটা জীবনও বাংলাদেশেই কাটিয়ে দেব, আপনাদের সঙ্গেই।’
৫৭ দিন আগে
আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতবিরোধে সমাধানে আশাবাদী প্রেস সচিব
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান আলোচনা শান্তিপূর্ণ ও সামগ্রিক সমাধান এনে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ কয়েক দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে প্রেস সচিব ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
ব্রিফিংয়ের সময় উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদও উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমেই সবকিছুর সমাধান হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, চলতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেবেন। তিনি স্পষ্ট করেন, এই সফর বাংলাদেশের নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো মধ্যস্থতা বা আলোচনার জন্য নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে।
তিনি আারও বলেন, ‘তারা সরকারের অংশীদার হিসেবে এ ধরনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অংশ নিচ্ছেন।’
ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে গত ১২ ফেব্রুয়ারি গঠিত কমিশনটি এখন ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এ কমিশনের দায়িত্ব হলো সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ পর্যালোচনা ও গ্রহণ করা। এর অংশ হিসেবে তারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তারা।
৭৭ দিন আগে
হামলায় নূরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়েছে: রাশেদ খান
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিশক্তি হ্রাস (শর্ট টাইম মেমরি লস) হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নুরের শারীরিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
রাশেদ খান বলেন, ছোটখাটো অনেক বিষয় ভুলে যাচ্ছেন নুর। তার নাক দিয়ে এখনও রক্ত ঝরছে। সরকার থেকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার আশ্বাস দেওয়া হলেও সরকারের একটি মহল চায় না নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হোক।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের অবহেলা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নুরের শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হতে পারে।
অন্য দিকে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আমাদের নেতাকর্মীদের নাম জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
৮৯ দিন আগে