পোশাক-শিল্প
ভাঙচুরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস, রবিবার থেকে সব পোশাক কারখানা খুলছে
সরকারকে অস্থিতিশীল করতে এবং অর্থনীতির ক্ষতি করতে কেউ কারখানা বন্ধ করার চেষ্টা করলে তাদের কথা মনে রাখা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শনিবার উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে 'তৈরি পোশাক কারখানায় চলমান সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান' শীর্ষক মত বিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আদিলুর রহমান বলেন, 'তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ মোকাবিলায় সরকার বিশেষ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবে।’
আরও পড়ুন: নিরাপত্তার আশ্বাসের পরও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ, ২২টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, আগামীকাল রবিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হবে।
তবে কোনো কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করলে, কাজ না করে কারখানা ত্যাগ করলে বা কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলেই কেবল দেশ ও শিল্পের স্বার্থে এবং চাকরি রক্ষার্থে ওই কারখানার মালিক শ্রম আইন ১৩(১) অনুযায়ী বা কাজ না করলে বেতন নাই (নো ওয়ার্ক নো পে) ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, মেজর জেনারেল মঈন খান, শিল্প পুলিশের প্রধান সিগাত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিকেএমইএ সভাপতি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং বিজিএমইএর সাধারণ সদস্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: শনিবার আশুলিয়ায় অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলেছে
শ্রমিকদের পক্ষে মত বিনিময় সভায় অংশ নেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোসরেফা মিশুসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
সভায় পোশাক খাতে চলমান শ্রম পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা আগামীকাল থেকে সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। তারা নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে বলেন, কোনো কারখানায় অশান্তি হলে সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় অস্থিরতার কারণে বন্ধ শতাধিক পোশাক কারখানা
২ মাস আগে
শনিবার আশুলিয়ায় অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলেছে
শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা শনিবার সকালে পুনরায় চালু হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ফিরেছেন শ্রমিকরা।
শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, সকাল থেকেই শ্রমিকরা বিভিন্ন কারখানায় প্রবেশ করতে করতে শুরু করেন এবং সকাল ৮টা থেকে উৎপাদন শুরু হয়।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, পুরো এলাকায় কোনো সহিংসতা, ভাঙচুর বা সড়ক অবরোধের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ৮৬টি কারখানার মধ্যে প্রায় ৫০টি কারখানা পুনরায় চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় অস্থিরতার কারণে বন্ধ শতাধিক পোশাক কারখানা
এসপি সারওয়ার জানান, সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা বাকি ১৩টি কারখানার বেশিরভাগই আজ চালু রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং শিল্প এলাকায় শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ টহল অব্যাহত রয়েছে।
শ্রমিক ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের পর আশুলিয়ায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে মালিকরা ২১৯টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেন, যার মধ্যে ৮৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল মনে হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বেশিরভাগ কারখানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ'র প্রচেষ্টার পরও আশুলিয়ায় ৪০টি পোশাক কারখানা বন্ধ
২ মাস আগে
এফবিসিসিআই সভাপতির পদত্যাগ, প্রশাসক নিয়োগ
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন।
ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এই পদত্যাগ পত্র পাঠান বলে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন।
মাহবুবুল আলম সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য (অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমানকে বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ
আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরীর সই করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে জানাতে।
এর আগে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি হিসেবে মাহবুবুল আলম এফবিসিসিআইয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টর এবং ২০২৩-২০২৫ সালের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ'র প্রচেষ্টার পরও আশুলিয়ায় ৪০টি পোশাক কারখানা বন্ধ
২ মাস আগে
বিজিএমইএ'র প্রচেষ্টার পরও আশুলিয়ায় ৪০টি পোশাক কারখানা বন্ধ
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বুধবার থেকে সব তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিলেও অস্থিরতার কারণে আশুলিয়া ও বাইপাইলে সকাল থেকে প্রায় ৪০টি কারাখানা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় এলাকার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গতকাল সোমবার নিরাপত্তাজনিত কারণে সকালে খোলার পর প্রায় ৭০টি কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
শিল্প পুলিশ-১ এর পরিদর্শক মো. সারওয়ার আলম বলেন, 'মঙ্গলবারের পরিস্থিতি আগের দিনগুলোর তুলনায় অনেকটাই স্বাভাবিক। আজ সকালে অধিকাংশ কারখানা খুলেছে। গতকাল থেকে কিছু কারখানা বন্ধ রয়েছে এবং কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রায় ২১টি কারখানায় আজ (মঙ্গলবার) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাইল বিজিএমইএ
সারা দেশে বিজিএমইএর সদস্য কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ১৪৫টি। আশুলিয়া ও বাইপাইল এলাকা ছাড়া গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের অন্যান্য অঞ্চলের সব কারখানায় উৎপাদন পুরোদমে চলছে।
আশুলিয়া ও বাইপাইল এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সোমবার ৪০৭টি কারখানার মধ্যে ৬৮টি কারখানার উৎপাদন আবারও ব্যাহত হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, তারা আশুলিয়াসহ গাজীপুরের অন্যান্য অংশে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু অস্থিরতার কারণে কিছু কারখানা আজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করা হবে এবং পরিস্থিতি উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কারখানা মালিক ও বিজিএমইএ প্রতিনিধি একসঙ্গে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ
২ মাস আগে
বেতন সমস্যা সমাধান চেষ্টার মধ্যেই শনিবার আশুলিয়ায় ৪৫টি কারখানা বন্ধ
পোশাক কারখানা সচল রাখতে ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও চলমান শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আশুলিয়া ও বাইপাইল এলাকার প্রায় ৪৫টি কারখানা শনিবার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আগামী রবিবার সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম শিল্প উৎপাদনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'আমাদের কারখানাগুলোর নিরাপত্তা দিতে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করি।’
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন দিতে মানবাধিকার কমিশনের আহ্বান
শনিবার সকালে সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হলেও বহিরাগত আন্দোলনকারীদের বাধার কারণে সকাল ১০টার মধ্যে ৪৫টি কারখানা আবারও বন্ধ করতে হয়েছে।
বিজিএমইএর পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, শনিবার সারাদেশের অধিকাংশ কারখানা চালু থাকলেও আশুলিয়া এলাকায় বেতন পরিশোধ নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানে বিজিএমইএ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
রবিবার থেকে পোশাক কারখানাগুলোতে উৎপাদন পুরোপুরি শুরু হবে এবং অস্থিরতা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজিএমইএ সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, কারখানা মালিক এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে একটি সমন্বয় সেল প্রতিষ্ঠা করেছে। এলাকাভিত্তিক এই সেটআপটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে নিরাপত্তাহীনতা বা অস্থিরতার যেকোনো ঘটনা দ্রুত মোকাবিলা করা যায়, যা কারখানার কার্যক্রমের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
পোশাকখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন: বিজিএমইএ
২ মাস আগে
এলইইডি সনদ পেল দেশের আরও ২ তৈরি পোশাক কারখানা
দেশের আরও দুইটি তৈরি পোশাক কারখানা চলতি মাসে এলইইডি সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মধ্যদিয়ে দেশে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত কারখানার সংখ্যা ২২৬টিতে দাঁড়াল।
চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এলইইডি সার্টিফিকেশন কারখানার সংখ্যা ছিল ২২০টি। গত পাঁচ মাসে আরও ১৪টি কারখানা এই সনদ অর্জন করেছে।
লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন) একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গ্রিন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম, যা পরিবেশগত দায়বদ্ধতা এবং জ্বালানি দক্ষতার ওপর গুরুত্বারোপ করে।
আরও পড়ুন: আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ইউএনবিকে বলেন, এলইইডি সনদের স্বীকৃতি পোশাক খাতে সবুজ উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
বিজিএমইএর তথ্যানুসারে, সনদপ্রাপ্ত ২২৬টি কারখানার মধ্যে ৮৯টি সর্বোচ্চ প্লাটিনাম রেটিং অর্জন করেছে। আর ১২৩টি স্বর্ণ, ১০টি রৌপ্য এবং ৪টি সনদ পেয়েছে।
নতুন সনদপ্রাপ্ত শীর্ষ দুটি কারখানা হলো ঢাকার আশুলিয়ার দিয়াখালী ও মোল্লা বাজারে অবস্থিত সাদাতিয়া সোয়েটার্স লিমিটেড এবং গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলায়েদ এলাকায় অবস্থিত এক্সিকিউটিভ গ্রিনটেক্স লিমিটেড প্লাটিনাম ও গোল্ড ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে ৯১ ও ৬৯ স্কোর অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: পোশাকখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন: বিজিএমইএ
বিজিএমইএ অনুসারে, এই অর্জন বিশ্বব্যাপী টেকসই ফ্যাশন আন্দোলনে বাংলাদেশকে শীর্ষস্থানে তুলে এনেছে। বিশ্বব্যাপী এলইইডি-প্রত্যয়িত ১০০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ৬০টি বাংলাদেশে অবস্থিত।
বিজিএমইএর তথ্যানুসারে, বিশ্বব্যাপী এলইইডি সনদপ্রাপ্ত শীর্ষ ২০টি কারখানার মধ্যে ১৮টিই রয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই সার্টিফিকেশনগুলোর ভৌগলিক বণ্টন তৈরি পোশাক শিল্পের টেকসই প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
বিজিএমইএ'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের চ্যালেঞ্জ এবং বর্তমান জাতীয় ও ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাবলী সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সহনশীলতা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে চলেছে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এলইইডি সার্টিফিকেশন অর্জনের এই অগ্রগতি পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং নির্ভরযোগ্য সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে এই শিল্পের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আমাদের কার্যক্রমের স্থায়িত্বকে ধারাবাহিকভাবে অগ্রাধিকার দিয়েছি। একই সঙ্গে এটিও নিশ্চিত করে যে , আমাদের প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী সর্বোত্তম অনুশীলন এবং পরিবেশগত ন্যস্ত দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাইল বিজিএমইএ
২ মাস আগে
ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানায় নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাইল বিজিএমইএ
চলমান পরিস্থিতিতে দেশের শিল্প কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এফবিসিসিআই’র গুলশান কার্যালয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার) মেজর জেনারেল মো. মঈন খান এবং বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবসায়ী নেতারা।
মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন করা গেলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতি গতিশীলতা ফিরে পাবে। এই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতে ব্যবসায়ী সমাজ আশান্বিত।
মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিতে না পারলে অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়বে। এ জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের নিরাপত্তা দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কর্তব্য। তাই কোন ব্যবসায়ী কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠান চাঁদাবাজিসহ হামলার হুমকি পেলে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বন্দরের কন্টেইনার জট কমানো ও অন্যান্য অনিয়ম দূরীকরণে সেনাবাহিনী গুরুত্বের সঙ্গেও কাজ করছে বলে জানান তিনি।আরও পড়ুন: আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া বলেন, শিল্পের সুরক্ষায় ইতিমধ্যে অধিকাংশ পুলিশ সদস্য কাজে যোগদান করেছে। শিগগিরই বাকি সদস্যরা কাজে যোগদান করবেন। তাছাড়া বেশিরভাগ শিল্প কারখানায় শ্রমিক উপস্থিতি আশাব্যাঞ্জক বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা থাকলে বিনিয়োগ হবে না। এ জন্য তিনি সবার আগে সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের আহ্বান জানান এবং ব্যবসায়ীরা তাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মীর নাসির হোসেন, মো. জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ঢাকা চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনের নেতা, ঢাকা শিল্প পুলিশের ডিআইজি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পোশাকখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন: বিজিএমইএ
৩ মাস আগে
পোশাকখাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন: বিজিএমইএ
শ্রমিকদের কাছে ঈদুল আজহা আনন্দময় করতে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে পোশাক শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা। ফলে শ্রমিকরা উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পারবেন।
শনিবার (১৫ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেতন-ভাতা পরিশোধের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে বিজিএমইএ।
এতে বলা হয়, পোশাক খাতের মোট ২ হাজার ১৬০টি কারখানার মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৮৩৫টি এবং চট্টগ্রামে ৩২৫টি চালু রয়েছে। এর মধ্যে সব কারখানার মে মাসের বেতন ও ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা শতভাগ পরিশোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২.৮৬ শতাংশে নেমে এসেছে
তবে এখনো মাত্র ৪টি কারখানায় উৎসব ভাতা দেওয়া প্রক্রিয়াধীন। যা শনিবারের মধ্যেই পরিশোধ করবেন।
বিজিএমইএ বলছে, তাদের জানামতে আর কোথাও বেতন-ভাতা পরিশোধ বাকি থাকার কোনো তথ্য নেই।
সরকারের আহ্বানে ও বিজিএমইএ’র অনুরোধে পোশাক কারখানাগুলো ১৩ জুন থেকে ১৫ জুনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব শ্রমিককে ছুটি দিয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই শ্রমঘন পোশাক শিল্প খাতে বেতন-ভাতা দেওয়ার সুবিধার্থে সরকারি ছুটির দিনে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার তফসিলি ব্যাংকের শাখাসমূহ খোলা রাখতে বিজিএমইএ অনুরোধ জানিয়েছিল।
এছাড়া বিজিএমইএ রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে সরকারি ছুটির দিনে ইপিবি, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ, আইসিডি কমলাপুর, ঢাকা কাস্টমস, মোংলা কাস্টমস, বেনাপোল কাস্টমস ও পানগাঁও কাস্টমস হাউজ এবং ঢাকা ও চট্রগ্রামের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় এবং একইসঙ্গে এসব কাস্টমস হাউজ ও শুল্ক স্টেশন-সংশ্লিষ্ট বন্দর, ব্যাংকের শাখা ও অন্যান্য স্টেকহোলিং প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়।
আরও পড়ুন: আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
৫ মাস আগে
আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
চলতি মাসে এলইইডি সনদ পেয়েছে দেশের আরও দুটি তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানা। এতে দেশে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২০টিতে।
চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এলইইডি সার্টিফাইড কারখানার সংখ্যা ছিল ২১৮টি, গত ৫ মাসে ১২টি কারখানা সনদ অর্জন করেছে।
লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গ্রিন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম যা পরিবেশগত দায়বদ্ধতা এবং শক্তি দক্ষতার ওপর জোর দেয়।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এলইইডি সনদের স্বীকৃতি পোশাক খাতে সবুজায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
সনদপ্রাপ্ত ২২০টি কারখানার মধ্যে ৮৪টি সর্বোচ্চ প্লাটিনাম রেটিং, ১২২টি স্বর্ণ, ১০টি রৌপ্য এবং ৪টি সাধারণ সনদ পেয়েছে।
নতুন যে দুটি কারখানা সনদ পেয়েছে সেগুলো হলো- গাজীপুরের কাশিমপুরের কটন ক্লাব ও কটন ক্লাউট বিল্ডিং-১ এবং ঢাকার ধামরাইয়ের গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেড। কারখানা দুটি গোল্ড ক্যাটাগরিতে ৭১ ও ৭৮ স্কোর অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এখন আরএমজি সেক্টরে ২০৪টি 'সবুজ' কারখানা
মে পর্যন্ত গত পাঁচ মাসে নতুন সনদপ্রাপ্ত ৮টি কারখানাকে প্লাটিনাম রেটিং এবং বাকি ৪টি কারখানাকে গোল্ড রেটিং দেওয়া হয়েছে।
১০৬ পয়েন্ট নিয়ে এসএম সোর্সিং এবং ১০৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড ইউনিট-৪ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে আছে।
এছাড়া শীর্ষ স্থানের তালিকায় ৯৯ পয়েন্ট নিয়ে ইন্টিগ্রা ড্রেসেস ও নিট এশিয়া লিমিটেড, ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড এবং ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে ফতুল্লা অ্যাপারেলস অবস্থান করছে।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এলইইডি-সনদপ্রাপ্ত ১০০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৬টিই বাংলাদেশে হওয়ায় বিশ্বজুড়ে টেকসই ফ্যাশন আন্দোলনে নেতৃত্বের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
বিজিএমই থেকে আরও জানা যায়, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি এলইইডি সনদপ্রাপ্ত শীর্ষ ১০টি কারখানার মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০ কারখানার মধ্যে ১৮টি কারখানাই বাংলাদেশে।
এলইইডিসনদ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের এই অবস্থান দেশের পোশাক শিল্পের টেকসই অঙ্গীকারের চিত্র তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: টেকসই ফ্যাশন: ২০২৩ সালে ২৪টি নতুন এলইইডি সবুজ কারখানা নিয়ে বাংলাদেশের পোশাক খাত নেতৃত্বে
৫ মাস আগে
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২.৮৬ শতাংশে নেমে এসেছে
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি হয়েছে বলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশ করা তথ্যে উঠে এসেছে।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, ১১ মাসে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত পোশাক রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময় রপ্তানি ছিল ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমকি ৬৭ শতাংশ।
চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে রপ্তানি একটানা কমে যাওয়ার ফলে বিগত ১১ মাসের গড় রপ্তানিতে মন্দাভাব সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ন্যায্য-ন্যূনতম মূল্য ও সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের আহ্বান বিজিএমই সভাপতির
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানিয়েছেন, ১১ মাসে আমাদের পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ পিছিয়ে পড়েছে।
রুবেল আরও বলেন, গেল মে মাসে নীটওয়্যার পণ্যের প্রবৃদ্ধি ২০ দশমিক ৭৫ কমেছে এবং ওভেন পোশাক রপ্তানি ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমেছে।
সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি এবং তা নিয়ন্ত্রণে সুদহার বৃদ্ধির ফলে ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। ফলে পোশাকের খুচরা বিক্রয় ও আমদানি কমেছে (২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক পোশাক আমদানি কমেছে ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ইউরোপের কমেছে ১২ দশমিক ৮৪)। পাশাপাশি ইউনিট প্রতি পণ্যের উল্লেখযোগ্য দরপতন (২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে আমাদের প্রধান পণ্যের দরপতন হয়েছে ৮ থেকে ১৮ শতাংশ) রপ্তানি কমার অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: পোশাককর্মীদের কল্যাণে বিজিএমইএর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ইন্ডাস্ট্রিঅল
বিশেষ করে নূন্যতম মজুরি বৃ্দ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, ব্যাংক সুদ সিঙ্গেল ডিজিট থেকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ হওয়া, এবং এই সংকটময় সময়ে নগদ সহায়তা কমিয়ে আনার ফলে শিল্প প্রতিযোগি সক্ষমতার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে। তার কিছুটা প্রতিফলন রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ফুটে উঠেছে।
উল্লেখ্য যে, পোশাকখাতকে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হচ্ছে। আমরা একদিকে এনবিআর, বন্দর ও ব্যাংকিং সংক্রান্ত জটিলতা মোকাবিলা করছি। অন্যদিকে শিল্পাঞ্চলের বাইরে নতুন কোন কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ ও ব্যাংক ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, যা আমরা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বিনিয়োগ ও রপ্তানি আরও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২০৩০ সাল নাগাদ আমরা ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি এবং সেই অনুযায়ী উদ্যেক্তারা নতুন পণ্যে বিনিয়োগ করছেন এবং নতুন বাজার তৈরিতে তৎপর আছেন। আমরা বিশ্বাস করি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয় ও অর্থনীতির কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধির স্বার্থে সরকার পোশাক খাতের জন্য বিকল্প ইনসেনটিভ প্রবর্তনের আগ পর্যন্ত চলমান সকল সহায়তা অব্যাহত রাখবে এবং এর মাধ্যমে শিল্পের উৎকর্ষতা ও টেকসই হওয়ার পথটি মসৃণ করতে সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন দিতে মানবাধিকার কমিশনের আহ্বান
৫ মাস আগে