অস্ট্রেলিয়া
সিডনিতে গুলিতে ১৫ প্রাণহানির পর কঠোর অস্ত্র আইনের পথে অস্ট্রেলিয়া
সিডনির বন্ডি সমূদ্রসৈকতে ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালে গুলিবর্ষণে শিশুসহ ১৫ জন নিহতের ঘটনার পর জাতীয় পর্যায়ে আরও কঠোর অস্ত্র আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।
এই ঘটনার তদন্তের পর জানা যায়, হামলাকারী ছিলেন দুজন। তারা পিতা-পুত্র। তাদের মধ্যে পিতার গত এক দশক ধরে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুসারেই ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
এই তথ্য সামনে আসার পর স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের আলবানিজ বলেন, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কতটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন, তা পুনর্নির্ধারণ করে নতুন অস্ত্র আইনের প্রস্তাব দেওয়া হবে। এ ধরনের হামলা ঠেকাতে সরকার প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আর এ জন্য কঠোর অস্ত্র আইনের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বদলায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেউ কেউ চরমপন্থা দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। তাই (আগ্নেয়াস্ত্রের) লাইসেন্স কোনোভাবেই আজীবনের জন্য হওয়া উচিত নয়।’
রবিবারের ওই হামলায় অন্তত ৩৮ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও একজন রাব্বি ছিলেন।
সৈকত-সংলগ্ন ছোট এক পার্কে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজার খানেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গরমের মধ্যে ওই সন্ধ্যায় সৈকতে প্রচুর ভিড় ছিল। এরই মধ্যে গুলি চালান দুই হামলাকারী।
গণহামলা ঠেকাতে অস্ত্র আইন
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকতটিতে সংঘটিত এই নৃশংস হামলা দেশটিতে প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী গুলিবর্ষণের ঘটনা। রাইফেলের মাধ্যমে ব্যাপক হারে গুলিবর্ষণ ঠেকাতে দেশটিতে কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন রয়েছে।
তারপরও একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীর ওপর এমন বর্বরতাকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা গোটা দেশের হৃদয়ে আঘাত করেছে। যত দ্রুত সম্ভব এই ধরনের নৃসংশতা ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
এ লক্ষ্যে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে নিউ সাউথ ওয়েলসের নেতাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি অস্ত্র আইনসংক্রান্ত প্রস্তাব উপস্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান। কারণ কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়নে রাজ্য আইনের প্রয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তার কথায়, ‘কিছু আইন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রণয়ন করা যায়, কিন্তু আরও কিছু আইন রয়েছে যেগুলো বাস্তবায়নের এখতিয়ার রাজ্য সরকারগুলোর। আমরা চাই সবাই যেন সম্পূর্ণভাবে সমান অবস্থানে থাকে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার (রাজ্য সরকারপ্রধান) ক্রিস্টোফার মিন্স আলবানিজের প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তিনিও মনে করেন, অস্ত্রের লাইসেন্স আজীবনের জন্য দেওয়া উচিত নয়।
রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে সাংবাদিকদের মিন্স বলেন, ‘রাজ্যের বিদ্যমান অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে। এ লক্ষ্যে সংসদে একটি বিল উপস্থাপন করা হবে, যাতে এসব ভয়ংকর অস্ত্র প্রাপ্তি আরও কঠিন হয়। আমাদের সমাজে যেসব অস্ত্রের কোনো বাস্তব প্রয়োজন নেই, সেগুলোর ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।’
১ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে ৪০টি বাড়ি ভস্মীভূত, এক ফায়ার ফাইটার নিহত
অস্ট্রেলিয়ার দুই অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ৪০টি বাড়ি পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কমিশনার ট্রেন্ট কার্টিন জানান, নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের বুলাহডেলা শহরের কাছে রবিবার রাতে একটি দাবানল নেভানোর সময় ৫৯ বছর বয়সী ওই ফায়ার ফাইটারের ওপর গাছ ভেঙে পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। তবে তাকে চিকিৎসা দিয়েও বাঁচানো যায়নি।
রবিবারে লাগা ওই আগুনে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর (৮ হাজার ৬৫০ একর) বনভূমি এবং চারটি বাড়ি পুড়ে গেছে।
কার্টিন বলেন, দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আরও কয়েক দিন কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করলেন আলবানিজ
নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ের মধ্যদিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ।
আনুষ্ঠানিক ভোট গণনা কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে না। তবে সারা দেশে লিবারেল ন্যাশনাল জোটের শোচনীয় পরাজয়ের পর আলবানিজের বামপন্থী সরকার নাটকীয়ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
আরও পড়ুন: গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে যুদ্ধ হয়: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (৩ মে) আলবানিজ বলেছেন, ‘আজ অস্ট্রেলিয়ার জনগণ মূল্যবোধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, ন্যায্যতা, আকাঙ্ক্ষা ও সুযোগ সৃষ্টির জন্য। এটি প্রতিকূলতায় সাহস দেখানোর শক্তি এবং যাদের প্রয়োজন তাদের প্রতি দয়া দেখানো।’
জোট নেতা পিটার ডাটন নিজের ২৪ বছর ধরে জয় পাওয়া নিজের আসনে হেরেছেন। তিনি দলের পরাজয়ের জন্য নিজের সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করে দলীয় এমপিদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
২২৭ দিন আগে
গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ইরাকে যুদ্ধ হয়: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী
গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) সম্পর্কে গোয়েন্দাদের ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরাক যুদ্ধ পরিচালিত হয় বলে স্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড।
বুধবার(১ জানুয়ারি) হাওয়ার্ড বলেছেন, এটি হতাশাজনক যে, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) শনাক্ত করতে গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানগুলোতে ভুল হয়েছিল। তবে তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, অস্ট্রেলিয়াকে যুদ্ধে জড়িত করার সিদ্ধান্তটি জাতীয় স্বার্থে ছিল।
ন্যাশনাল আর্কাইভ অব অস্ট্রেলিয়ার (এনএএ) ২০০৪ সালের পূর্বের মন্ত্রিসভার নথি প্রকাশের সঙ্গে তার মন্তব্যগুলো মিলে যায়।
প্রতি বছর ১ জানুয়ারি এনএএ ২০ বছর আগের মন্ত্রিসভার নথি জনসম্মুখে প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন
২০০৩ সালের নথিগুলোর কিছু নিখোঁজ হওয়ার কারণে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বিলম্বে প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে, হাওয়ার্ডের সরকার ২০০৩ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছিল। ওই বছরের কয়েক মাস আগে মার্চে অস্ট্রেলিয়াকে প্রকাশ্যে ইরাক যুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা হয়।
২০০৪ সালের একটি তদন্তে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইরাকের গণবিধ্বংসী অস্ত্রের পরিমাণ এবং প্রকৃতি সঠিকভাবে বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হাওয়ার্ড বুধবার বলেছেন, যুদ্ধে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে।
বল প্রয়োগের অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের কোনো অনুমোদন ছাড়াই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ২০০৩ সালের মার্চ মাসে ইরাক আক্রমণ শুরু করেছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মিশনটি ছিল ‘ইরাককে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে নিরস্ত্র করা, সন্ত্রাসবাদে সাদ্দাম হোসেনের সমর্থন শেষ করা এবং ইরাকি জনগণকে মুক্ত করা।‘ যা আসলে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ক্যানবেরায় টিফার আওতায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক মে মাসে
৩৪৯ দিন আগে
মাস্কের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে অস্ট্রেলিয়ার কড়া জবাব
শিশু-কিশোরদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে নতুন যে আইন উত্থাপন হয়েছে, তা দেশটির সরকারের কূট পরিকল্পনা হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন এক্স-এর মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। মাস্কের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে উত্থাপিত বিলের উদ্দেশ্যের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
শিশুদের বেড়ে ওঠা প্রাণবন্ত করার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে তাদের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পার্লামেন্টে এক প্রস্তাব উত্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড। প্রস্তাবিত আইনে ১৬ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোরদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয়।
রোল্যান্ড বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শিশুদের বেড়ে ওঠা যে অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক বৈশিষ্ট নয়, এই বিলের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি নতুন আদর্শিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা হবে।’
‘যাচাই না করা বিপুল পরিমাণ কনটেন্টের সংস্পর্শ থেকে শিশু-কিশোরদের বিরত রাখতে তাৎক্ষণিকভাবে অবশ্যই কিছু করা উচিত। আর এ বিষয়টি দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।’
তবে বিষয়টিতে অন্য কিছুর গন্ধ পান ইলন মাস্ক। এক্স-এ তিনি লেখেন, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে এটি (সরকারের) একটি গোপন কৌশল বলে মনে হচ্ছে।
তবে শুক্রবার মাস্কের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির কোষাধ্যক্ষ জিম চালমার্স।
আরও পড়ুন: ১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করবে অস্ট্রেলিয়া
মাস্কের দাবিই সরকারের উদ্দেশ্য কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই না।’
‘মাস্কের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাওয়া বিস্ময়কর কিছু নয়। কারণ আইন বাস্তবায়নের পর তা লঙ্ঘন করলে এক্সসহ সব সামাজিক প্ল্যাটফর্মকে ১৫ কোটি (অস্ট্রেলিয়ান) ডলার করে জরিমানা করা হবে।’
‘ফলে মাস্ক যে আমাদের এই পদক্ষেপে খুশি নন, তা আমাদের বিস্মিত করে না। তার মন্তব্য আমাদের খুব বেশি ভাবায় না।’
ব্যাপক রাজনৈতিক সমর্থন থাকায় এক্স, টিকটক, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট ও ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক প্ল্যাটফর্ম থেকে কিশোর-কিশোরীদের নিষিদ্ধ করতে আগামী সপ্তাহেই অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট আইনটি পাস হতে পারে। সোমবার এ নিয়ে দেশটির সংসদ সদস্যদের মধ্যে পার্লামেন্টে বিতর্ক হওয়ার কথা রয়েছে।
চালমার্স আরও বলেন, ‘ইলন মাস্ককে খুশি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নীতিমালা করা আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ হচ্ছে অনলাইনে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
৩৮৯ দিন আগে
১৬ বছরের কম বয়সিদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করবে অস্ট্রেলিয়া
অনলাইনে সন্তানদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাবা-মায়ের জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে যুগান্তকারী এক আইন উত্থাপন করেছেন দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড। প্রস্তাবিত আইনে ১৬ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোরদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে রোল্যান্ড বলেন, এই আইন পাস হলে ছোট ছোট বাচ্চাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা ও ব্যবহার আটকাতে ব্যর্থ হলে টিকটক, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট, এক্স ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে ৫ কোটি (অস্ট্রেলিয়ান) ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শিশুদের বেড়ে ওঠা যে অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক বৈশিষ্ট নয়, এ বিষয়ে এই বিলের মাধ্যমে একটি নতুন আদর্শিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা হবে।’
‘যাচাই না করা বিপুল পরিমাণ কনটেন্টের সংস্পর্শ থেকে শিশু-কিশোরদের বিরত রাখতে তাৎক্ষণিকভাবে অবশ্যই কিছু করা উচিত। আর এ বিষয়টি দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।’
তবে বিষয়টি অন্যভাবে দেখছেন এক্সের মালিক ইলন মাস্ক। তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে এটি (সরকারের) একটি গোপন কৌশল বলে মনে হচ্ছে।’
অবশ্য পার্লামেন্টে উত্থাপনের পর বিলটি ব্যাপক রাজনৈতিক সমর্থন পেয়েছে। এটি আইনে পরিণত হলে সামাজিক মাধ্যমে বয়সের সীমাবদ্ধতা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে কাজ করার জন্য প্ল্যাটফর্মগুলো এক বছর সময় পাবে।
রোল্যান্ড বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার অনেক তরুণের জন্যই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ক্ষতিকর হতে পারে। ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সি অস্ট্রেলিয়ানদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই অনলাইনে মাদকের ব্যবহার, আত্মহত্যা কিংবা সহিংস কনটেন্ট দেখে থাকে। অনিরাপদ খাদ্যাভ্যাসের বিজ্ঞাপন দেখেছে তাদের এক-চতুর্থাংশ।’
‘সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার ৯৫ শতাংশ সেবাদাতা অনলাইন নিরাপত্তাকে অভিভাবকত্বের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে হওয়া ক্ষতির মোকাবিলায় তারা আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তরুণদের শাস্তি দেওয়া বা (অনলাইনে কর্মকাণ্ড থেকে) বিচ্ছিন্ন করে ফেলা নয়, বরং তাদের সুরক্ষার জন্য আইনটি প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাবা-মায়েদের উদ্দেশে বলতে চাই, সন্তানের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য আমরা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।’
৩৯০ দিন আগে
রহস্যময় কালো বলে সয়লাব, সিডনির সৈকত বন্ধ ঘোষণা
অপরিচিত ও রহস্যময় প্রচুর কালো কালো বলের আকৃতির বস্তু ভেসে আসার পর সিডনির একটি জনপ্রিয় সৈকত জনসাধারণের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পূর্ব সিডনির কুগি সৈকতজুড়ে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) লাইফ গার্ডরা বলের আকৃতির শত শত আবর্জনা পাওয়ার পর সৈকতটিকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় র্যান্ডউইক সিটি কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সৈকতটি বন্ধ থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভেসে আসা বস্তুগুলো কী ধরনের উপাদান দিয়ে গঠিত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
৪২৬ দিন আগে
ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দূত নিয়োগ
দেশে বিদ্যমান ইসলামবিদ্বেষ মোকাবিলায় একজন বিশেষ দূত নিয়োগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।
জাতিসংঘের মুসলিমবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক আফতাব মালিককে অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রথম ইসলামবিদ্বেষ-বিষয়ক দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সময় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ঘোষণায় জানান প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ।
গত জুলাই মাসে জিলিয়ান সেগালকে ইহুদিবিদ্বেষ-বিষয়ক দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রায় তিন মাস পর এবার ইসলামবিদ্বেষ-বিষয়ক দূত নিয়োগ দিল অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে সহিংসতার জেরে ইসরায়েলিদের ওপর অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞা
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অভিবাসন ও বহুসংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রী টনি বার্কের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে অ্যালবানিজ বলেন, বিশেষ দূত মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য, ধর্মীয় বৈষম্য বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সর্বোত্তম উপায় নিয়ে কাজ করবেন।
আগামী ১৪ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন মালিক। তিন বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ এবং মন্ত্রী টনি বার্ককে রিপোর্ট করবেন তিনি।
যুক্তরাজ্যে পাকিস্তানি পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণের পর ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান মালিক। সেখানে তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজ্য সরকারের সংহতি প্রচার এবং ঘৃণা ও চরমপন্থা মোকাবিলায় কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়
৪৪১ দিন আগে
শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করছে অস্ট্রেলিয়া
শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
অ্যালবানিজ বলেছেন, এ বছরই তার সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারের ন্যূনতম বয়স প্রয়োগের উদ্দেশ্যে আইন প্রবর্তন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে, সামাজিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এটি শিশুদের প্রকৃত বন্ধু এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’
যে আইনটি পাস করা হবে, তাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে ন্যূনতম বয়স ১৬ বছর হতে হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়
গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৬১ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান ১৭ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রবেশাধিকার সীমিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
একই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিষিদ্ধ করতে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার ম্যালিনাউসকাসের সাবেক ফেডারেল বিচারক রবার্ট ফ্রেঞ্চকে আইনি পথগুলো অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, আইনটির খসড়া তৈরির সময় ফেডারেল সরকার রবার্ট ফ্রেঞ্চের পর্যালোচনা বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: নির্ভুলভাবে ব্রেইন টিউমার শনাক্ত করবে এআই টুল: অস্ট্রেলিয়ার গবেষক দল
৪৬২ দিন আগে
বেকারত্ব বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়
গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়ায় বেকারত্বের হার।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) অস্ট্রেলিয়ার পরিসংখ্যান ব্যুরো (এবিএস) থেকে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, জুলাইয়ে দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশে, জুনে যা ছিল ৪ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২১ সালের নভেম্বরের পর থেকে এটিই দেশটির সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি) জানিয়েছে, জুলাই মাসে দেশটির বেকারত্বের হার ৪.১ শতাংশেই স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিবিদরা।
এবিএস জানিয়েছে, জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত মানুষের সংখ্যা ৫৮ হাজার ২০০ জন বেড়ে মোট ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে দেশটির বেকার মানুষের সংখ্যা ২৩ হাজার ৯০০ জন বেড়ে মোট ৬ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ জনে দাঁড়িয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বরের পর যা সর্বোচ্চ।
এবিএসের শ্রম পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান কেট ল্যাম্ব এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কর্মসংস্থান ও জনসংখ্যার অনুপাত শূন্য দশমিক ১ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে ৬৪.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির গতি দ্রুত ছিল।’
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ানদের এক-তৃতীয়াংশ একাকীত্বে ভুগছে: জরিপ
৪৮৮ দিন আগে