মধ্যপ্রাচ্য
আইসিসি পরোয়ানা এড়াতে নেতানিয়াহুর বিমানের পথ পরিবর্তন: হারেৎস
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানার ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রবিবার (৬ এপ্রিল) তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেছেন।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের খবরে বলা হয়েছে, আসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারে এমন দেশগুলোর আকাশপথ এড়িয়ে চলতে স্বাভাবিক পথের চেয়ে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার বেশি পথ ঘুরেছেন তিনি।
আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো তাকে গ্রেফতার করতে তাকে বহনকারী বিমানের জরুরি অবতরণ করাতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: গদি রক্ষায় পাখির মতো মানুষ মারছে নেতানিয়াহু?
গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।
নেতানিয়াহুর হাঙ্গেরি সফরের আগেই ভিক্টর অরবানের সরকার জানায়, তারা ‘রোম সংবিধি’ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আইসিসির বিচারিক কাঠামোর ভিত্তি। যদিও সদস্যপদ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া কার্যকর হতে এক বছর সময় লাগে, হাঙ্গেরির সরকার আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তারা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জারি হওয়া পরোয়ানা কার্যকর করবে না।
রবিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছালে নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে স্থানীয় কর্মকর্তারা স্বাগত জানান। এই ঘটনা ইঙ্গিত দেয়, আন্তর্জাতিক আদালতের জারি করা পরোয়ানা কেবল কাগজে-কলমে নয়, বাস্তব কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সিদ্ধান্তেও গভীর প্রভাব ফেলে।
২২ ঘণ্টা আগে
গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজ ভূমিতে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা
গত মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরুর পর ক্রমাগতভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ করে চলেছে দখলদার ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত উপত্যকাটির ৫০ শতাংশ অংশ দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিজ ভূমিতে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা।
ইসরায়েলি সেনা ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, গাজা সীমান্তের আশপাশে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে বড় এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর, কৃষিজমি এবং অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব এলাকা এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সামরিক বাফার জোনের পরিধি দ্বিগুণ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতের মাধ্যমে বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে চাপ দেওয়ার সাময়িক প্রয়োজনের অজুহাতে হামলা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি গাজার ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে ইসরায়েল।
তবে মানবাধিকার গোষ্ঠী ও গাজা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলের দখলে থাকা অঞ্চলটির উত্তর-দক্ষিণের ভূমিকে বিভক্ত করা করিডোরটি দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে বলেছেন, হামাস পরাজিত হওয়ার পরও ইসরায়েল গাজায় নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে এবং ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হবে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত
পাঁচ ইসরায়েলি সেনা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে ধ্বংসযজ্ঞ এবং বাফার জোনের ধারাবাহিক সম্প্রসারণ ১৮ মাস আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চলমান।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর যে দলটি ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তাদের সুরক্ষায় মোতায়েন করা ট্যাংক স্কোয়াডের এক সদস্য বলেন, ‘তারা যা কিছু পেয়েছে, তাই ধ্বংস করেছে। তাদের সামনে যা কিছু কার্যকর মনে করছে, তারা সেখানেও তারা গুলি করেছে ...যাতে (ফিলিস্তিনিদের) ফিরে আসার কিছুই না থাকে। তারা আর ফিরতে পারবে না, কখনই না।’ নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি এবং আরও চার সেনা এপিকে এসব কথা বলেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বাফার জোনে থাকা সেনাদের বিবরণ নথিভুক্ত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দখলদারবিরোধী ভেটেরান্স গ্রুপ ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স। হাতেগোনা কয়েকজন সেনাদের মধ্যে কয়েকজন এপির সঙ্গে আলাপও করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ওই অঞ্চলটিকে একটি বিশাল পতিতভূমিতে পরিণত করছে বলে জানিয়েছেন।
গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘ব্যাপক, পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী ভবিষ্যতে ওই এলাকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি তৈরি করেছে।’
সৈন্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা তার দেশকে রক্ষার জন্য এবং বিশেষত ৭ অক্টোবরের হামলায় বিধ্বস্ত দক্ষিণাঞ্চলীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা উন্নত করতে কাজ করছে। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।
বিভক্ত গাজা
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের মতে, যুদ্ধের প্রথমদিকে ইসরায়েলি সেনারা সীমান্তের নিকটবর্তী গাজার এক কিলোমিটারের বেশি এলাকায় বাস করা ফিলিস্তিনিদের জোর করে সরিয়ে একটি বাফার জোন তৈরি করতে সেখানে থাকা সব স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সৈন্যরা ‘নেতজারিম করিডোর’ নামে পরিচিত গাজার একটি বিশাল ভূমিও দখল করেছে। এই করিডোরটি গাজা সিটিসহ উত্তরাঞ্চলকে সংকীর্ণ ও উপকূলীয় উপত্যকাটির বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। গোটা গাজা উপত্যকাটিতে ২০ লাখের বেশি মানুষের আবাসস্থল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রকাশ করা একটি মানচিত্রে দেখা যায়, গত মাসে ইসরায়েল যখন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পুনরায় হামলা শুরু করে, তখন এটি বাফার জোনের আকার দ্বিগুণ করেছে। কিছু জায়গায় এটি গাজার অভ্যন্তরে তিন কিলোমিটার (১.৮ মাইল) পর্যন্ত দখলে নেয়।
বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশগত গবেষণার অধ্যাপক ইয়াকভ গার্ব বলেন, বাফার জোন এবং নেতজারিম করিডোর উপত্যকাটির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত। এই অধ্যাপক কয়েক দশক ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূমি ব্যবহারের ধরন পরীক্ষা করে আসছেন।
গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল দক্ষিণ গাজায় আরেকটি করিডোর তৈরি করতে চায়—যা রাফাহ শহরকে অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। গাজায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়বে। গাজার ওই অঞ্চলে সম্প্রতি পরিকল্পিত হামলার আগে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা।
বাফার জোন ‘কিল জোন’, দাবি সেনাদের
সৈন্যরা বলেছে, বাফার জোনের কোনো নির্দিষ্ট সীমানা নেই। তবে এসব এলাকায় যে ফিলিস্তিনিরা প্রবেশ করেছিলেন, তাদের গুলি করা হয়েছে।
ট্যাংক স্কোয়াডে থাকা ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, একটি সাঁজোয়া বুলডোজার ভূমি সম্প্রসারণ করে একটি ‘কিল জোন’ তৈরি করেছে। ট্যাংকের ৫০০ মিটারের মধ্যে কেউ এলে, তাকে গুলি করা হয়। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪৪, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোরকে হত্যা
কম্পিত ও ভীত অবস্থায় তিনি বলেন, ‘অনেক সেনা ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ নিতে এ কাজ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি, কারণ তারা আমাদের হত্যা করেছে। এখন আমরা তাদের হত্যা করতে এসেছি। আমি বুঝতে পারছি যে, আমরা কেবল তাদের হত্যা করছি না, আমরা তাদের স্ত্রী, শিশু, বিড়াল, কুকুরকে হত্যা করছি। ধ্বংস করছি তাদের বাড়িঘর।’
সেনাবাহিনী বলেছে, ‘যতটা সম্ভব বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি এড়াতে’ গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে তারা আক্রমণগুলো চালাচ্ছেন।
এদিকে, ২০২৩ সালের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আর পোলিও টিকার অভাবে গাজার ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।
২২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালো হামাস, আহত ৩
ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। দক্ষিণ ইসরায়েলের আশদোদ শহরে চালানো এ হামলায় আহত হয়েছেন তিনজন।স্থানীয় সময় রবিবার (৬ এপ্রিল) এই রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড। ফিলিস্তিনের বেসামরিক জনগণের উপর ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার জবাবেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচয় আদ্রে জানায়, গাজা থেকে ইসরায়েলের শহর লক্ষ্য করে ছোড়া ১০টি রকেট শনাক্ত করেছে তারা। এর বেশিরভাগই ইসরায়েলি সেনারা প্রতিহত করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, আশকেলন শহরে একটি রকেট পড়ায় সেখানে তিনজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় আশদোদ, আশকেলন ও ইয়াভনি শহরে সর্তকতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে।
এ হামলার কড়া জবাব দিতে মধ্য গাজায় চলমান অভিযান আরও জোরদার করতে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সকে (আইডিএফ) নির্দেশ দিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত
এরপর রবিবার রাত থেকেই মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ শহরে বিমান হামলা শুরু করে আইডিএফ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতভর লাগাতার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলো উড়তে দেখা গেছে গাজার আকাশে।এতে আজ (সোমবার) গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় বড় আকারের বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল।
নতুন করে চালানো এসব হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩ হাজার ২৯৭ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, ২০২৩ সালের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আর পোলিও টিকার অভাবে গাজার ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।
১ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই সাংবাদিক। স্থানীয় সময় সোমবার (৭ এপ্রিল) দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরের নাসের হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের তাঁবুতে ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালালে প্রাণ হারান তারা, এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।—খবর আল জাজিরার।
কুদস নেটওয়ার্ক ও ফিলিস্তিনের গণমাধ্যমের সংবাদে নিহত ওই দুই সাংবাদিকদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা হলেন, হেলমি আল ফাকাউই ও আহমেদ মনসুর।
হামলায় আহতদের মধ্যে আল জাজিরার এক ফটো সাংবাদিকও রয়েছেন বলে গণমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞে অদ্যাবধি অন্তত ২০০ সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন।
এর আগে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় বড় আকারের বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এসব বর্বর হামলার প্রতিবাদে রবিবার (৬ এপ্রিল) ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় হামাস। এতে দক্ষিণ ইসরায়েলে তিনজন আহত হন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪৪, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোরকে হত্যা
এর জবাবে গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। এতে আজ (সোমবার) গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় অধিকৃত পশ্চিত তীরে আইডিএফ ১৪ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
নতুন করে চালানো এসব হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩ হাজার ২৯৭ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, ২০২৩ সালের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আর পোলিও টিকার অভাবে গাজার ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।
সূত্র: বিভিন্ন এজেন্সি
১ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪৪, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোরকে হত্যা
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের ছোড়া বিরল রকেট হামলার পর এই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ইসরায়েলি হামলায় এসব হতাহত হয় বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।
অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিত তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ১৪ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০, আহত ১৬২
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড রবিবার সকালে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে রকেট হামলা চালানোর পর সহিংসতা বেড়ে যায়। রকেট হামলাকে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি 'গণহত্যার' প্রতিশোধ হিসেবে বর্ণনা করেছে হাসাস।
রকেট নিক্ষেপকে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে নিন্দা জানিয়ে 'কঠোর জবাব' দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের ছোড়া রকেটের বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে একটি রকেট আশকেলন শহরে আঘাত হানলে তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন। এর জবাবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দেইর আল-বালাহসহ মধ্য গাজার সন্দেহভাজন রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাতভর লাগাতার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় বড় আকারের বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে।
এর আগে রবিবার গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, নতুন করে চালানো এসব হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩ হাজার ২৯৭ জন আহত হয়েছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার তুরমাস আইয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ১৪ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোর ওমর মোহাম্মদ রাবেয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
আইডিএফ দাবি করেছে, সৈন্যরা ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে লড়াই করার সময় বেসামরিক নাগরিকরা পাথর নিক্ষেপ করেছিল, যার ফলে একজন নিহত এবং দু'জন আহত হন।
তবে বিনা উসকানিতে এই গুলিবর্ষণের নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। তুরমাস আইয়ার মেয়র একজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীকে সহিংসতায় উসকানিদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় চিকিৎসাকর্মী হত্যার ঘটনায় ভুল স্বীকার ইসরায়েলের
১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দখলে থাকা পশ্চিম তীরে জানুয়ারি থেকে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে আইডিএফ। এসব অভিযানকে ইসরায়েল সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান হিসেবে বর্ণনা করছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি নেতা ও বাসিন্দারা ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধির অভিযোগ এনেছে—যা ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে তুলছে।
১ দিন আগে
আল-আকসায় অবৈধ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হানা
অধিকৃত জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে জোরপূর্বক ঢুকে পড়েছে পাঁচ শতাধিক অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইহুদি। রবিবার (৬ এপ্রিল) ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ করেছে।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদুলুর খবর বলছে, ইসরাইলি পুলিশের নিরাপত্তা মসজিদ চত্বরে ঢুকে পড়ে তারা। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ উৎসব ‘পাসওভারের’ সময় এই ধরনের হামলা বা ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের’ ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে, ইসরাইলি পুলিশ আল-আকসায় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের প্রবেশে নানা রকম কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চলেছে। এতে ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম এই স্থানটিতে মুসল্লিদের স্বাভাবিক ইবাদতের পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। আল-আকসা মসজিদ বহুদিন ধরেই ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে। ইসরাইলি বসতকারীদের এই ধরনের আগ্রাসী আচরণ আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনি ধর্ম ও আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে মসজিদটিতে ২১ বারেরও বেশি হানা দিয়েছে অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তেরো হাজার ৬৪ অবৈধ বসতিস্থাপনকারী মসজিদটিতে জোর করে ঢুকে পড়ে।
আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে ইসরাইলি হামলা, হামাস নেতাসহ নিহত ৫
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন যখন মুসল্লিরা নামাজের জন্য জমায়েত হন, তখন ইসরাইলি উগ্র ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী মসজিদটিতে অনুপ্রবেশ করে। এরআগেও সে কয়েকবার একই কাণ্ড করেছে। তার এই উসকানিমূলক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান।
এছাড়া ইসরাইলি অবরোধে গাজা উপত্যকার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। তারা জানিয়েছে, গেল একমাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো বাণিজ্যিক সরবরাহ কিংবা সহায়তা ঢুকতে পারছে না।
কাজেই গাজায় মানবিক সহায়তার ওপর ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
১ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০, আহত ১৬২
গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬২ জন।
নিহতদের মধ্যে আজ ভোর থেকে চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন ফিলিস্তিনি। মিডল ইস্ট আই গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইউনিসেফের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ১৮ মার্চ থেকে পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ জন শিশু নিহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় চিকিৎসাকর্মী হত্যার ঘটনায় ভুল স্বীকার ইসরায়েলের
গাজার ১০ লাখেরও বেশি শিশু এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পাচ্ছে না বলেও সতর্ক করেছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ।
গাজায় আগ্রাসনের সময় চলতি বছরের ২৩ মার্চ ১৫ জন জরুরি চিকিৎসা কর্মীকে হত্যার ঘটনায় ভুল স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহতে এই হত্যাকাণ্ডটি চালিয়েছে আইডিএফ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার রেফাত রাদওয়ানের মোবাইলে ধারন করা ভিডিওটি প্রকাশের পর হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সামনে আসে। ত্রাণবাহী একটি দল নিহত চিকিৎসাকর্মীদের লাশগুলো খুঁজে পায়। এসময় তারা রিফাত রাদওয়ানের মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করেছিল।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে চিকিৎসাকর্মী ও ত্রাণকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। যা নতুন প্রকাশিত একটি ভিডিওতে অকাট্যভাবে প্রমাণিত। এটি আন্তর্জাতিক আইনে একটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
গাজায় ১৫ জন চিকিৎসা ও ত্রাণ কর্মীর হত্যাকাণ্ডকে ‘নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধাপরাধ’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সাবেক প্রধান এবং মেডিয়েশন গ্রুপ ইন্টারন্যাশনালের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মার্টিন গ্রিফিথস।
ওই ঘটনায় ৮ জন রেড ক্রিসেন্ট কর্মী, ৬ জন দমকল কর্মী ও একজন জাতিসংঘের কর্মী নিহত হয়েছেন।
রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৭
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এসময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এরপর যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে বেশিরভাগ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ইসরায়েলও অসংখ্য মৃতদেহসহ মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়টির দেওয়া হিসাবে বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধার আলাদা হিসাব দেওয়া হয়নি। তথ্যমতে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। ইসরায়েল প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করার দাবি করলেও এর সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
চলমান এই যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংস করেছে। বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার মাত্রা এতো বেশি যে, ভূখন্ডটির জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সূত্র: বিভিন্ন এজেন্সি
২ দিন আগে
গাজায় চিকিৎসাকর্মী হত্যার ঘটনায় ভুল স্বীকার ইসরায়েলের
গাজায় আগ্রাসনের সময় চলতি বছর ১৫ জন জরুরি চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার ঘটনায় ভুল স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গত ২৩ মার্চ এই হত্যাকাণ্ডটি চালিয়েছে আইডিএফ।
রাফাহর কাছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের একটি গাড়ি এবং গাজার সিভিল ডিফেন্সের একটি অগ্নিনির্বাপক গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করেছিল আইডিএফ। এতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।
ওই ঘটনার পর ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল যে, গাড়ি বহরটিকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে ইসরায়েলি সৈন্যরা গুলি চালিয়েছিল। কারণ, বহরটির গাড়িগুলোর হেডলাইট বা ফ্ল্যাশিং লাইট ছাড়াই অন্ধকারে চালানো হয়েছিল। তারা আরও দাবি করেছে যে, এসব যানবাহন চলাচলের আগে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বা অনুমোদন নেওয়া হয়নি।
তবে নিহত হওয়া একজন জরুরি চিকিৎসাকর্মীর মোবাইলে ধারন করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আহতদের সাহায্য করতে যাওয়ার সময় গাড়িগুলোতে আলো জ্বলছিল। গাড়িগুলোতে স্পষ্ট লোগো লাগানো ছিল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জোর দিয়ে বলেছে যে, ওই বহরে থাকা কমপক্ষে ছয়জন চিকিৎসাকর্মী হামাসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন—তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি তাদের দাবির পক্ষে। ইসরায়েলি সেনারা যখন গুলি চালিয়েছিল, তখন তারা নিরস্ত্র ছিল বলে স্বীকারও করেছেন তারা।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের শেয়ার করা মোবাইল ভিডিওতে দেখা যায়, ভোর হওয়ার ঠিক আগেই যখন গাড়িগুলো সড়কে চলছিল, ঠিক তখনই কোনো প্রকার সতর্ক বার্তা না দিয়েই গুলি চালানো শুরু করে সেনারা।
পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় ধারণ করা ভিডিতে রেফাত রাদওয়ান নামের ওই চিকিৎসাকর্মীকে শেষ প্রার্থনা করতেও শোনা যায়। তিনি কাঁদতে কাঁদতে ও ক্ষীণ কণ্ঠে বলছিলেন, 'আমাকে ক্ষমা করে দাও মা। এই পথটাই আমি বেছে নিয়েছি মা, মানুষকে সাহায্য করার জন্য।’
আইডিএফের এক কর্মকর্তা শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, এর আগে সৈন্যরা তিন হামাস সদস্যকে বহনকারী একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
অ্যাম্বুলেন্সগুলো যখন সাহায্যের জন্য ওই এলাকায় পৌঁছায়, তখন ইসরায়েলের আকাশ থেকে নজরদারিকারীরা ঘটনাস্থলে থাকা সেনাদের তাদের অগ্রসর হওয়াকে 'সন্দেহজনক’ বলে জানায়।
আরও পড়ুন: গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৭
যখন অ্যাম্বুলেন্সগুলো হামাসের গাড়ির পাশে এসে থামে, সৈন্যরা ধরে নিয়েছিল যে তারা হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং জরুরি দলের কেউই সশস্ত্র ছিল— এমন কোনো প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও গুলি চালানো হয়।
ইসরায়েল স্বীকার করেছে যে, অ্যাম্বুলেন্সগুলো বাতি না জ্বালিয়ে অগ্রসর হয়েছিল বলে তারা পূর্বে যে বক্তব্য দিয়েছিল তা ভুল ছিল। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেনাদের দায়ী করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়িগুলো স্পষ্টভাবে লোগো দিয়ে চিহ্নিত করা ছিল এবং জরুরি চিকিৎসাকর্মীরা রিফ্লেক্টিভ হাই-ভিস ইউনিফর্ম পরিধান করেছিলেন।
ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, সৈন্যরা বন্য প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ১৫ জন মৃত কর্মীর দেহ বালিতে পুঁতে রাখে। রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য পরের দিন গাড়িগুলো সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ওই এলাকায় চলাচল নিরাপদ করার ব্যবস্থা করতে না পারায় ঘটনার এক সপ্তাহ পরও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ত্রাণবাহী একটি দল যখন লাশগুলো খুঁজে পায়, তখন তারা রিফাত রাদওয়ানের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে। আর সেই মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওগুলো থেকে এসব তথ্য উঠে আসে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার কোনো চিকিৎসককে হাতকড়া পরানোর কথা অস্বীকার করে ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেন, খুব কাছ থেকে তাদের হত্যা করা হয়নি—যেমনটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে বেঁচে যাওয়া একজন চিকিৎসা কর্মী বিবিসিকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলোর লাইট জ্বালিয়ে রাখা হয়েছিল এবং তার সহকর্মীদের কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই ঘটনার ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছে যে তারা ‘ঘটনার প্রেক্ষাপট এবং পরিস্থিতি পরিচালনা করবে।’
ওই ঘটনায় ৮ জন রেড ক্রিসেন্ট কর্মী, ৬ জন দমকল কর্মী ও একজন জাতিসংঘের কর্মী নিহত হয়েছেন।
রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এসময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এরপর যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে বেশিরভাগ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ইসরায়েলও অসংখ্য মৃতদেহসহ মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করত ইসরায়েলি বাহিনী
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়টির দেওয়া হিসাবে বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধার আলাদা হিসাব দেওয়া হয়নি। তথ্যমতে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। ইসরায়েল প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করার দাবি করলেও এর সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
চলমান এই যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংস করেছে। বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার মাত্রা এতো বেশি যে, ভূখন্ডটির নজনসংখ্যার ৯০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
সূত্র: বিভিন্ন এজেন্সি
২ দিন আগে
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৭
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভোরে চালানো বিমান হামলায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলের আরও গভীরে প্রবেশ করেছে এবং হামাসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান জোরদার করেছে।
হামাস পরিচালিত গাজার হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের অনেকেই একই পরিবারের সদস্য। হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
আরও পড়ুন: নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি, পাল্টা প্রস্তাব ইসরায়েলের
এই হামলার মাত্র একদিন আগেই ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের মুক্তি দিতে চাপ সৃষ্টি করতেই ইসরায়েল গাজায় হামলা বাড়িয়েছে। ইসরায়েলি বাহিননীর হামলায় গাজায় গত দুই সপ্তাহেই শত শত লোক মারা গেছেন।
শুক্রবার ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ বাড়ানোর জন্য তাদের স্থল বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
স্থল অভিযানের আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজার কিছু অংশ থেকে খালি করার জন্য বাসিন্দাদের নির্দেশ দিয়েছিল।
গত মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা দপ্তর।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এসময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এরপর যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে বেশিরভাগ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ইসরায়েলও অসংখ্য মৃতদেহসহ মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করত ইসরায়েলি বাহিনী
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়টির দেওয়া হিসাবে বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধার আলাদা হিসাব দেওয়া হয়নি। তথ্যমতে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। ইসরায়েল প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করার দাবি করলেও এর সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
চলমান এই যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংস করেছে। বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার মাত্রা এতো বেশি যে, ভূখন্ডটির নজনসংখ্যার ৯০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
৩ দিন আগে
ফিলিস্তিনিদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করত ইসরায়েলি বাহিনী
গাজা যুদ্ধে কুকুরের পরিবর্তে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মানবঢাল (হিউম্যান শিল্ড) হিসেবে ব্যবহার করত ইসরায়েলি সেনারা। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) নন-রিজার্ভিস্ট ব্রিগেডের এক সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। দিনে অন্তত ছয়বার বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের এভাবে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হত বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সময় রবিবার (৩০ মার্চ) ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে নাম গোপন করে এসব জানান ওই সেনা কর্মকর্তা। তিনি নয় মাস ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি একজন নন-রিজার্ভিস্ট সেনা। সামরিক বাহিনীতে নন-রিজার্ভিস্ট ব্রিগেড হলেন তারা, যারা রিজার্ভ ফোর্স কিংবা সংগঠনের সদস্য না। অর্থাৎ তারা সামরিক বাহিনীর নিয়মিত, পূর্ণকালীন ব্রিগেড। রিজার্ভিস্টরা সামরিক বাহিনীতে খণ্ডকালীন সদস্য।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় দুই সাংবাদিকসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিয়মিতই ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গেছে, এটিকে রণনীতি হিসেবে ব্যবহার করতেন তারা। যেকোনো সামরিক অভিযানের আগে গাজার বাড়িগুলোতে জোর করে ফিলিস্তিনি কোনো নাগরিককে প্রবেশ করিয়ে তারা নিশ্চিত হতেন; সেখানে কোনো বিষ্ফোরক বা হামাসের যোদ্ধা রয়েছেন কিনা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, ফিলিস্তিনিদের এভাবে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার পদ্ধতিকে আইডিএফ সেনারা ‘মসকিউটো প্রোটোকল’ (মশা প্রোটোকল) নামে একটি কোড নামে অভিহিত করত।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার দুমাস পরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথম এই অমানবিক রণনীতির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানান তিনি।
সাধারণত এই কাজে সেনারা কুকুর ব্যবহার করে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে সে সময় সেনাবাহিনীতে কুকুরের অভাব ছিল না। অথচ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের একাজে ব্যবহার করা হত। সেনারা এসব নাগরিকদের ‘শাবিশ’ বলে অভিহিত করতেন।’
প্রতিটি প্লাটুনে একজন করে অর্থাৎ প্রতিটি ব্রিগেডে ৩৬ জন শাবিশ রাখা হয়। আন্তজার্তিক মানবাধিকার আইনে যেকোনো যুদ্ধে মানবঢাল ব্যবহার করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়া আন্তর্জাতিক আদালতের রোম সংবিধির অধীনে এটি একটি যুদ্ধাপরাধ।
এ বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত মাসে ছয়টি তদন্ত শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনী এই ব্যাপারে আন্তরিক হলে ১ হাজার তদন্ত করা প্রয়োজন ছিল বলে অভিমত দেন ওই সেনা কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে এই পদ্ধতি এতটাই স্বাভাবিক যে, আমার মনে হয়েছে আমি হ্যালুসিনেট করছি। আমি জানিনা কোন পরিস্থিতি বেশি খারাপ—সেনাবাহিনী জানত না যে অভিযানে কি হচ্ছে; নাকি তারা জেনেও কিছু করেননি।’
এ বিষয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও মানবঢাল ব্যবহার বেড়েছে। বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনে তা বন্ধ করার উদ্যোগ না নিয়ে বরং এটিকে অভিযানের সফলতার জন্য প্রয়োজনীয় বলে মত দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি অ্যাক্টিভিস্ট আটক: যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, গাজার বিভিন্ন বাড়িতে অভিযানে মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার না করে রোবট, কুকুর কিংবা কুকুরও ব্যবহার করা যায়।
এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে অনুসন্ধান করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিনা কারণে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলার পক্ষপাতি নন তিনি।
৫ দিন আগে