ঢাকা
জেলের জালে বিশাল বোয়াল, ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ার কুশাহাটা এলাকায় পদ্মা নদীতে জেলের জালে ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কালাম সরদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। তার কাছ থেকে মাছটি কিনে নেন ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা
জেলে কালাম সরদার পাবনার ঢালার চর এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, রবিবার রাতে কুশাহাটা এলাকায় পদ্মা নদীতে জাল ফেলেন কালাম সরদার। পরদিনে তার জালে বোয়াল মাছটি ধরা পড়ে। তিনি মাছটি বিক্রির জন্য স্থানীয় আড়তদার কেছমত মোল্লার ঘরে নিয়ে যান।
পরে মাছটি বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ২ হাজার ৮৫০ টাকা কেজি দর হিসেবে ৪৯ হাজার ৮০০ টাকায় কেনেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, সম্প্রতি পদ্মা নদীতে তেমন একটা মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয়দের পাশাপাশি মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা অঞ্চলের জেলেরা প্রতিদিন মাছ শিকার করছেন। কিন্তু জালে মাছের দেখা তেমন না মেলায় অনেকে হাজারি বরশি দিয়েও মাছ শিকার করছেন।
আরও পড়ুন: পরমাণু প্রকল্প দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
এছাড়া পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া কুশাহাটায় জেলেরা জালের পাশাপাশি হাজারি বরশি দিয়ে মাছ শিকার করছেন বলে জানান স্থানীয় মৎস্যজীবীরা।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার চাঁদনি-আরিফা মৎস্য ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী চান্দু মোল্লা বলেন, বোয়ালটি বিক্রির জন্য বিভিন্ন পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে থাকি। ঢাকার পরিচিত এক বড় ব্যবসায়ীকে জানালে তিনি মুঠোফোনে ভিডিও কলে বোয়ালটি দেখার পর পছন্দ করেন।
তিনি বলেন, তিনি কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে লাভে তার কাছে ২ হাজার ৯০০ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেন। ইতোমধ্যে বোয়ালটি ঢাকার ওই ব্যক্তির কাছে পরিবহনের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এই মৌসুমে এত বড় বোয়াল মাছ এর আগে পাওয়া যায়নি বা বিক্রিও হয়নি বলে জানান চান্দু মোল্লা।
৯ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
বন্ধ ঘোষণা করা দুইটি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে কোনাবাড়ি এলাকার এম এম নিটওয়্যার লিমিটেড ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছেন।
পুলিশ ও কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক এম এম নিটওয়্যার ও মামুন নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানা দুটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ
পরে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিকালে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসবে শর্তে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয়। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের শর্ত সাপেক্ষে কারখানায় যোগদানের কথা জানায়। কিন্তু শ্রমিকরা তা মেনে নেননি। সোমবার সকালে কারখানা দুটি শ্রমিকেরা পুনরায় কোনাবাড়ী এলাকায় কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় শ্রমিকরা বিনা শর্তে কারখানা খুলে দেওয়া ও শ্রমিকদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবিও জানান। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।
পরে কর্তৃপক্ষ ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আঘাত করেন শ্রমিকরা। পরে শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিককে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ১৭ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধে যানজট
১৪ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিনজনের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনের ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকালে কারখানা থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
পুলিশ জানায়, নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি লালমনিরহাটের বাবলু মিয়ার ছেলে মজলুম মিয়া।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বোতাম কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১
এর আগে রবিবার রাতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানান, রবিবার রাত পর্যন্ত দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটো লাশ আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাই লাশ দুটোর পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, প্রথম দিকে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তখনই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামে ওই কারখানায় আগুন লাগে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুরে হঠাৎ করে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তেই বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। কারখানার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করেন। কারখানার আশপাশের বসতবাড়ির লোকজন তাদের আসবাবপত্রসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র বাইরে নিরাপ; নিয়ে আসতে থাকে। পরপর বিস্ফোরণে আশপাশে প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুর ১টার ৪০ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে প্রথমে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৬ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। যেহেতু কেমিক্যাল ড্রামে বিস্ফোরণের খবর ছিল তাই গাজীপুর চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি, রাজেন্দ্রপুর মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটিসহ পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। সবমিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন য়িন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সম্মিলিত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখানে প্রচুর কেমিক্যালের ড্রাম ছিল, আগুনের তাপে ড্রামগুলো ফুলে যাচ্ছিল। সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বোতাম কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট
১৬ ঘণ্টা আগে
৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দুই রুটে ফেরি চলাচল শুরু
কুয়াশায় আবারও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে এই দুই নৌপথে ফেরি, লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মাঝ নদীতে আটকা পড়া চার ফেরিতে থাকা যাত্রী, চালকসহ কয়েকশ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার পর থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে দুই নৌপথে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, রবিবার দিবাগত থেকে পদ্মা এবং যমুনা নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে অতিমাত্রায় কুয়াশা পড়তে থাকলে রাত ১২টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে এবং প্রায় ২০ মিনিট পর রাত ১২টা ২০মিনিটে পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে ফেরি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ফেরি বন্ধের আগে দুই ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিন, শাহ পরান এবং বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি কপোতী দুর্ঘটনা এড়াতে মাঝ নদীতে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। মাঝ নদীতে চারটি ফেরি আটকে যাওয়ার খবর পেয়ে কোনো ঘাট থেকে আর কোনো ফেরি ছাড়েনি।
আরও পড়ুন: ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
এ সময় দৌলতদিয়ার ৩ নম্বর ঘাটে কেটাইপ (মাঝারি) ফেরি বাইগার এবং ৭ নম্বর ঘাটে রো রো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নোঙর করতে বাধ্য হয়।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকার ৩ নম্বর ঘাটে কেটাইপ ফেরি কুমিল্লা, ইউটিলিটি ফেরি বনলতা ও ৫ নম্বর ঘাটে হাসনা হেনা এবং রো রো ফেরি ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা ও কেরামত আলী নোঙর করে ছিল। প্রায় সাত ঘণ্টা পর সোমবার সকাল ৭টা থেকে কুয়াশা কমলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি, লঞ্চসহ নৌযান চলাচল স্বাভাবকি হয়। মাঝ নদীতে আটকে থাকা চারটি ফেরির শতাধিক যানবাহনের সঙ্গে প্রায় দুইশ যাত্রী, যানবাহনের চালকসহ ফেরির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কুয়াশা আর কন কনে শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েন।
মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরটা নৌপথেও রবিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামীদুর রহমান, কেটাইপ ফেরি ধানসিড়ি মাঝ নদীতে কুয়াশার কবলে আটকা পড়ে নোঙর করতে বাধ্য হয়। প্রায় ৬ ঘন্টা পর সোমবার সকাল ৭টার পর থেকে কুয়াশা কাটতে থাকলে এই রুটেও ফেরি চলাচল শুরু হয়। এর আগে কুয়াশায় বন্ধের কারণে আরিচা ঘাটে কেটাইপ ফেরি চিত্রা ও কিষাণী এবং রো রো ফেরি শাহ আলী ও খানজাহান আলী নোঙরে ছিল। কাজিরহাট প্রান্তে এ সময় কোনো ফেরি ছিল না।
তার আগে রবিবার সকালেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা ও কাজিরহাট এই দুই নৌপথে কুয়াশার কারণে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো দুই নৌপথে ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল।
কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নদী পাড়ি দিতে ঢাকামুখী অন্তত শতাধিক গাড়ি অপেক্ষা করতে থাকে।
ক্যানাল ঘাট এলাকার বাসিন্দা শাকিল মোল্লা বলেন, ‘রবিবার রাত ১১টার পর থেকে কুয়াশা পড়তে থাকে। ভারি কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যান চলাচল অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর রাত ১২টার দিকে শোনা যায় ফেরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময় ফেরি ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হয়।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, কুয়াশার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথে রবিবার সকালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধের পর মধ্যরাত থেকে ফের ফেরি বন্ধ হয়। ৭ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে এবং ৬ ঘণ্টা পর আরিচা-কাজিরহাট রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া দুই নৌপথে মাঝ নদীতে আটকা পড়ে ছয়টি ফেরি। দুর্ভোগে পড়েন কয়েকশ যাত্রী ও যানবাহনের চালক।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
১৭ ঘণ্টা আগে
সোনারগাঁয়ে ছেলের ছুরির আঘাতে বাবা নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাদকাসক্ত ছেলের বিরুদ্ধে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুল ইসলাম নোয়াগাঁওয়ের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ছেলে রিফাত পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিফাত মাদকের জন্য বাবার কাছে টাকা চাইলে তিনি টাকা না দেওয়ায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে রিফাত তার বাবাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে। আর ঘটনাস্থলে তার বাবার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে ধ্বংস করেছে: শ্বেতপত্র
নিহতের ভাতিজা ইয়ামিন সুজন বলেন, ‘রিফাত মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। মাদকের টাকা না পেয়েই সে তার বাবাকে হত্যা করেছে।’
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী বলেন, ‘রিফাতেকে আটকের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
১ দিন আগে
গাজীপুরে বোতাম কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বোতাম তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ২টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি এলাকায় ফেনাসেমিকন বোতাম কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট।
স্থানীয়রা জানান, ওই কারখানায় কেমিকেল থাকায় কিছুক্ষণ পর পর ব্যাপক শব্দে কেমিকেল ড্রামের বিস্ফোরণ হচ্ছে। আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি।
এছাড়া ওই কারখানার আশপাশে পানির উৎস কম থাকায় আগুন নেভাতে দেরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
১ দিন আগে
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১১
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার কারণে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় ১১ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের তিনটি পৃথক স্থানে সকাল ৭টার দিকে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্রীনগরের চালিতপাড়া এলাকায় একটি বাসকে পেছন থেকে অপর একটি বাস ধাক্কা দেয়। মাত্র ১০০ মিটার দূরে একটি প্রাইভেটকার অন্য একটি বাসের পেছনে ধাক্কা মারে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী শিক্ষানবিশ আইনজীবী নিহত
নিমতলার কাছে হাসারার শোলোঘরে পেছন থেকে অন্য গাড়ি ধাক্কা মারার একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কদ্বীপে ধাক্কা মারে। সবগুলো দুর্ঘটনাই ঘটেছে মহাসড়কের মাওয়াগামী লেনে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
১ দিন আগে
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
নরসিংদীতে হুমায়ূন কবির নামে ছত্রদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হুমায়ুন (৩৫) মেহেড়পাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য ও একই ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে।
নিহতের ভাতিজা তন্ময় জানান, রাতে পাঁচদোনা বাজার এলাকার একটি মাঠে হুমায়ুনসহ কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। রাত ১১টার দিকে একই এলাকার পরিচিত দুই যুবক হুমায়ুনকে কথা বলার জন্য খেলার মাঠের অদূরে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই গুলির শব্দ শুনতে পান মাঠে থাকা তন্ময়সহ অন্যরা। এ সময় তন্ময় এগিয়ে গেলে তাকেও লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে মোটসাইকেলে করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে গুলিবিদ্ধ হুমায়ুনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে কোনো পূর্বশতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।’
১ দিন আগে
৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
ঘন কুয়াশায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এদিকে, দুই ঘণ্টা বন্ধের পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ সময় মাঝ নদীতে আটকে পড়া ফেরিগুলোও ঘাটে পৌঁছেছে। ঘাটে আটকে পড়া যানবাহনগুলো পারাপার শুরু করেছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের ডিজিএম নাসির চৌধুরী জানান, ঘন কুয়াশায় রবিবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় মাঝ নদীতে আটকে পড়ে হাসনা হেনা ও কেরামত আলী নামে দুইটি ফেরি। এছাড়া পাটুরিয়াঘাটে ৬টি ও দৌলতদিয়াঘাটে ২টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহনবোঝাই করে আটকে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
এছাড়া ঘন কুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটেও রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় মাঝ নদীতে যানবাহন নিয়ে নোঙর করে রাখা হয় খান জাহান আলী নামে একটি ফেরি। এছাড়া আরিচাঘাটে আরও তিনটি ও কাজিরহাট ঘাটে একটি ফেরি আটকিয়ে রাখা হয়।
ঘন কুয়াশার প্রকোপ কমে যাওয়ায় সকাল সাড়ে ৮টায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় এবং সকার ৯টায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় চারটি ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকে থাকা যানবাহনগুলো পারাপার শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ২ নৌরুটে চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে ৪ ফেরি
১ দিন আগে
সাভারে ওয়াজ মাহফিলে ছুরিকাঘাতে আহত ৩
সাভারে ওয়াজ মাহফিলে ইমরুল নামে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ওয়াজ মাহফিলে প্রবেশের সময় স্বেচ্ছাসেবকরা বাধা দিলে তিনি এই ঘটনা ঘটান।
আহতরা হলেন- রাহাত, মনি ও নাজমুল হোসেন। তাদের সাভার থানা রোডের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছুরি হামলার পর স্থানীয়রা ইমরুলকে হাতেনাতে ছুরিসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মামুনুর রশিদ ও আল আমিন জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের বাধার মুখে ওয়াজ মাহফিলে ঢুকতে না পেরে পকেট থেকে ছুরি বের করে তিনি (ইমরুল) স্বেচ্ছাসেবক তিন যুবককে আহত করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় ইমরুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খুলনার দুঃখ বিল ডাকাতিয়া, জীবন-জীবিকার ঝুঁকিতে এলাকাবাসী
২ দিন আগে