ঢাকা
বিজয় দিবসের আগের রাতে মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মন্নান খানের কবরের ওপর আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে কবরের ওপর শুকনো ডালপালা ও পাতা রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়ির বসতঘরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে স্বামীর কবর জিয়ারত করতে গিয়ে তার স্ত্রী মাহফুজা বেগম কবরের ওপর পোড়া ছাই ও আগুনের চিহ্ন দেখেন। এ সময় তিনি চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জানানো হয়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খানের কবরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন যে তাদের কোনো শত্রু নেই। তারপরও যদি এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়, তাহলে ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে
সাভারে পার্কিং করা বাসে আগুন
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার এলাকায় পার্কিং করে রাখা একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের আরিচামুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই বাসটি থেকে ধোঁয়া ও আগুন বের হতে দেখা যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাভার ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ পরিদর্শক মেহেরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সাভার ফায়ার সার্ভিস ১০টার দিকে আগুনের খবর পায়। পরে ১০টা ৬ মিনিটের দিকে এক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কে বা কারা বাসে আগুন দিয়েছে, তা জানা যায়নি। এ ছাড়া কোনো হতাহতের খবর এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিদিষ্ট করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক ধারণা, দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন দিতে পারে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান আলী বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বাসটির মালিক আজহারুল ইসলাম এবং চালকের নাম জুলমন। আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২ দিন আগে
টঙ্গীতে বিকাশ প্রতিনিধিকে গুলি করে টাকা লুট
গাজীপুরের টঙ্গীতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশের দুই প্রতিনিধিকে গুলি করে টাকা লুট করে নিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে টঙ্গী আনারকলি রোডে ঘটনাটি ঘটে।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরিফ হোসেন (২৭) ও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন আজাদ হোসেন (২৯)। এদের মধ্যে আরিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিকাশ কর্মীদের দাবি, তাদের কাছ থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, মোটরসাইকেলে চড়ে আরিফ ও আজাদ টঙ্গীবাজার ও আশপাশের এলাকার বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে টাকা সংগ্রহ করে আনারকলি রোড হয়ে টঙ্গীবাজার সেনাকল্যাণ ভবনের জে অ্যান্ড সন্স নামক বিকাশ এজেন্টের অফিসে যাচ্ছিলেন। আনারকলি রোডের মাঝামাঝি আসামাত্র তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে চড়ে এসে তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা টাকাভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিতে চাইলে তারা বাধা দেন। পরে দুর্বৃত্তরা আরিফের বুকে গুলি করে এবং আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর গুরুতর আহত আজাদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাহিদা সুলতানা জানান, আরিফকে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, টাকা ছিনতাই ও গুলির ঘটনার বিষয়ে তিনি শুনেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে কত টাকা ছিনতাই হয়েছে, তা নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন তিনি।
২ দিন আগে
৭ ঘণ্টার চেষ্টায় জমেলা টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার এলাকায় অবস্থিত জমেলা টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর এখন তা পুরোপুরি নির্বাপনের কাজ চলছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ভবনে আটকে পড়া আরও ৩ জনকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে ভবনটি থেকে মোট ৪৫ জনকে উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
প্রচুর ধোঁয়ার কারণে তিনটি ব্রিদিং টেন্ডার, একটি হ্যাজম্যাট টেন্ডারসহ মোট ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে বলে সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে, আজ (শনিবার) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় বাবুবাজার ব্রিজ-সংলগ্ন ওই ভবনটির নিচতলার ঝুট কাপড়ের গুদামে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। গুদামে বিপুল পরিমাণ কাপড়, ঝুট কাপড় ও সুতা মজুত থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
৩ দিন আগে
কেরানীগঞ্জে জমেলা টাওয়ারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৫ ইউনিট
ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাবুবাজার এলাকায় অবস্থিত জমেলা টাওয়ার নামের একটি ১২ তলা ভবনে আগুন লেগেছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জমেলা টাওয়ার নামে ওই বহুতল ভবনের নিচতলায় আগুন লেগেছে। কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের ইউনিটগুলো আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুলাম চৌধুরী জানান, ভবনটির নিচ তলায় ঝুট কাপড় ও তৈরি পোশাকের গোডাউন থেকে আগুল লাগে। বর্তমানে ফায়ার সর্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
৪ দিন আগে
গাজীপুরে কারখানা বন্ধের ঘোষণায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। কারখানা খুলে দেওয়া এবং তাদের কিছু দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকার পি এন কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার এক শ্রমিক গত ৭ ডিসেম্বর জরুরি কাজে কারখানা থেকে বের হয়ে বাইরে যান। যখন তিনি কাজ শেষ করে ফিরে আসেন, তখন কারখানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন, অর্থাৎ গতকাল (সোমবার) শ্রমিকদের কয়েকজন ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সারা দিন শ্রমিকদের বুঝিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিকেলে শ্রমিকরা চলে গেলে কর্তৃপক্ষ রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধের নোটিশ কারখানার প্রধান ফটকে সেঁটে দেওয়া হয়।
নোটিশে লেখা রয়েছে, পি এন কম্পোজিট লিমিডেটের সংশিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ৭ ডিসেম্বর থেকে কারখানার শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি উত্থাপন করে, অবৈধভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে। চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে এবং অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়, যা আজও চলমান। এর ফলশ্রুতিতে কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। এ ছাড়াও কারখানার নির্ধারিত রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে কোম্পানি বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আহ্বান জানায় যে, যে কোনো প্রকার দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব এবং সবাইকে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা কাজে যোগদান করা থেকে বিরত থাকে। ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। শ্রমিকদের এই আচরণ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ এই কারখানার শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল। পরবর্তীতে কারখানা চালু করার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কোনাবাড়ি থানা পুলিশ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে কারখানার ব্যবস্থাপক তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর ডিউটি চলাকালীন একজন শ্রমিক কারখানার বাইরে যায়। পরে তার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করলেও তারা কথা না শুনে সোমবারও কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঘটনাস্থলে শিল্প ও থানা পুলিশ রয়েছে। শ্রমিক এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
৭ দিন আগে
রাজধানীতে অটোরিকশার ধাক্কায় যুবক নিহত
রাজধানীর ডেমরায় রাস্তা পারাপারের সময় অটোরিকশার ধাক্কায় মো. বাবুল মিয়া (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ডেমরা থানার বামৈল মোল্লা ডাইং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পরপরই আহত বাবুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী আশিকুর জানান, বাবুল কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া এলাকার মতি মিয়ার ছেলে। তিনি ডেমরা এলাকায় বসবাস করতেন।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি অটোরিকশার ধাক্কায় বাবুল গুরুতর আহত হন। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হলে তারা অটোরিকশা জব্দ ও চালককে আটক করে থানায় নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
৯ দিন আগে
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেলআরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন দুই আপন ভাই।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— সুমন (২৫) ও তার ভাই ইমন (২২)। তারা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুরের করিম মন্ডলের ছেলে। আরেকজন হলেন আশিক মোল্লা (২২)।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা অজ্ঞাতনামা একটি যানবাহন মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সুমন ও ইমন নিহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আশিককে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর সার্জেন্ট রাসেলকে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটিকে একটি অজ্ঞাত গাড়ি ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।
তিনি বলেন, নিহতদের মরদেহ আজ (রবিবার) সকালে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরাধী গাড়িটি ও তার চালককে শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।
৯ দিন আগে
গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারায়ণগঞ্জে ৪ জন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশু ও নারীসহ এক পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণে দগ্ধদের রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার কাঁচপুর পাটাততা গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন— জরিনা বেগম (৬৫), আলাউদ্দিন (৩৫), সাঁথিয়া আক্তার (১৪) ও সাইমা (৪)।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আজ ভোরে সোনারগাঁও এলাকা থেকে শিশু ও নারীসহ চারজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে জরিনা বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ, আলাউদ্দিননের ৪০ শতাংশ, সাঁথিয়া আক্তারের ১২ শতাংশ এবং শিশু সাইমার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে আলাউদ্দিনের দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে এবং অন্যদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরও ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হতে পারে।
দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বাসায় লাইনের গ্যাসের মাধ্যমে রান্নার কাজ চলত। গত রাতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে যায়। পরে তা থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে আমার দুই ভাতিজিসহ ভাইয়ের পরিবারের চার সদস্য আহত হয়। পরে আজ ভোরে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।’
এ বিষয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের কেউ জানায়নি। শুনেছি দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।’
১০ দিন আগে
আগারগাঁওয়ে গ্যাস বিস্ফোরণ: এক পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
দগ্ধরা হলেন— মো. জলিল মিয়া (৫০), আনেজা বেগম (৪০), আসিফ মিয়া (১৯), সাকিব মিয়া (১৬), মনিরা (১৭) ও ইভা (৬)।
হাসপাতালে নিয়ে আসা দগ্ধ জলিল মিয়ার জামাই আফরান মিয়া জানান, আমার শ্বশুর আগারগাঁওয়ের পাকা মার্কেট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাম পাশের একটি বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিয়ে আকস্মিক গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে আমরা খবর পেয়ে আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাদের ঢামেকের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি। বর্তমানে সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, আজ সকালে আগারগাঁও এলাকা থেকে নারী ও শিশুসহ ছয় জনকে দগ্ধ অবস্থায় ঢামেকের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তাদের ড্রেসিং চলছে। তাই এই মুহূর্তে তাদের কে কতটা দগ্ধ হয়েছে, তা বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
১১ দিন আগে